রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি ও রিজার্ভবাজার এলাকায় দুটি সেতুর রং মিলে যায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পতাকার সঙ্গে। আসন্ন বিশ্বকাপের আগে তাই এই দুটি সেতু নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সমর্থকদের মধ্যে।
রিজার্ভবাজার এলাকার সেতুতে রঙের নকশা আর্জেন্টিনার পতাকার মতো। আর আসামবস্তির সেতুর রঙের নকশা ব্রাজিলের পতাকার মতো। এরই মধ্যে স্থানীয়দের মুখে মুখে সেতু দুটির নামকরণও হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার নামে। তবে রঙের মিলের বিষয়টিকে কাকতালীয় বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
রিজার্ভবাজার এলাকার সেতুটির (আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে সজ্জিত) নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহম্মদ তালুকদার সেতু। আর আমাসবস্তির সেতুর নাম লাল বাহাদুর ছেত্রি সেতু। দুটি সেতুরই রংকরণের কাজ হয় চলতি বছর। এরপর থেকে সেতু দুটিতে এসে ছবি তুলছেন দল দুটির সমর্থকরা।

রাঙামাটির রিজার্ভবাজার এলাকায় আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে সজ্জিত আরেকটি সেতু।
ব্রাজিল দলের সমর্থক ও স্থানীয় সুমন চাকমা বলেন, ‘এর আগে রাঙামাটিতে শুধু আর্জেটিনার পতাকার রঙে সেতু দেখা যেত। এখন আমরা ব্রাজিলভক্তরা খুব খুশি।’
আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দা মিনা চাকমা বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলই বিজয়ী হবে। তাই আর্জেন্টিনা সেতুতে এসে ছবিও তুলেছি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা বলেন, বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত সেতুগুলোতে প্রায়ই সাদা ও আকাশি রং দেয়া হয়। রিজার্ভবাজারের সেতুতেও তা করা হয়েছে। কাকতালীয়ভাবে তা আর্জেন্টিনার পতাকার রঙের সঙ্গে মিলে গেছে।
তবে পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, রিজার্ভবাজারে যেহেতু আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে সেতু আছে, সেদিক বিবেচনা করে আসামবস্তির সেতুতে ব্রাজিলের পতাকার রঙে রং করা হয়েছে। ব্রাজিল সমর্থকরাই মূলত অনুরোধ করেছিলেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা