চলমান অর্থনৈতিক মন্দাভাবের প্রভাবে ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবে জাতীয় দিবস বিবেচনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সীমিত আকারে পালন করা হবে। এই ব্যয় সংকোচনের ফলে সরকারের ৪০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে দাবি করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার জুম প্ল্যাটফর্মে হওয়া এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আইসিটি বিভাগে অনুষ্ঠিতব্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে এ প্রেস বিফ্রিংয়ের আয়োজন করে আইসিটি বিভাগ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আইসিটি বিভাগে যেসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথা ছিল, তা কমানো হয়েছে। ফলে যেসব ইভেন্ট ছিল, সেখান থেকে ১৭টি বাতিল করছি।
তিনি বলেন, এই সংকটে সকলের দায়িত্ব আছে। আমরা যতটুকু পারি ব্যয় সংকোচন করতে চাই, সাশ্রয় করতে চাই। এই সংকট সাময়িক, দ্রুতই এটি কেটে যাবে।
পলক জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আইসিটি বিভাগের বরাদ্দ ছিল ৭৫ কোটি টাকা। তার দাবি, এই ১৭ অনুষ্ঠান বাতিল করায় ৪০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেয়া হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অন্য প্রকল্পে আর কীভাবে ব্যয় সংকোচন করা যায়, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আগামী দুয়েক বছরের মধ্যে এই আর্থিক সংকট কেটে যাবে। তখন আইসিটির নিয়মিত অনুষ্ঠান করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপো, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বিপিও সামিট, ব্লক চেইন অলিম্পিয়াড, ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, চিলড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ওয়ার্ল্ড কনগ্রেস অন আইটিতে অংশগ্রহণ, বাংলাদেশ স্টার্ট আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, রোড শো, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, টেক কার্নিভ্যালসহ মোট ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে যেগুলো টেন্ডার করা হয়েছিল, এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট চাওয়া হয়েছিল, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে জাতীয় দিবস বিবেচনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস সীমিত পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান বাতিল ও ব্যয় সংকোচন প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে বা যে সিদ্ধান্তগুলো বিভিন্ন টেন্ডারকারীদের দেয়া হয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে জানা বা বোঝার ভুল হচ্ছে। গত ১৫ নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকা ভুল করেছে। লিখেছে, চলতি অর্থবছরে অনুষ্ঠানের জন্য ৭৫ কোটি টাকা চেয়েছে আইসিটি বিভাগ। এমন শিরোনাম ও ভেতরের তথ্য উপাত্তের সংবাদ হয়েছে, তাতে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণেই আজকেরে এই ব্রিফিং।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা