আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:০৯
সব কার্যালয় বন্ধ, ‘সমাধিস্থ’ টুইটার
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সব কার্যালয় বন্ধ, ‘সমাধিস্থ’ টুইটার

টুইটার ‘সমাধিস্থ’, খোদ ইলন মাস্ক তার অ্যাকাউন্টে এই প্রতীকী ছবি পোস্ট করেছেন

হঠাৎ করে টুইটারের সব কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন নতুন মালিক ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেয়া হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।

ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে টুইটারের কর্মীদের জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যালয় আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে তারা অফিসে বা টুইটারের সার্ভারেও প্রবেশের সুযোগ পাবেন না। তবে কী কারণে আকস্মিক এই ঘোষণা দেয়া হলো, তা জানানো হয়নি।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির মালিকানা নেয়ার পরই কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন মাস্ক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চাকরি ছাড়ারও হিড়িক পড়ে যায় প্রতিষ্ঠানটিতে। এরমধ্যে হঠাৎ কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা এলো।

কর্মীদের পাঠানো টুইটারের বার্তায় বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও কোম্পানির গোপনীয় তথ্য নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বার্তায় কর্মীদের কোম্পানির নীতি মেনে চলারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে কার্যালয় বন্ধের বিষয় নিয়ে টুইটার গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

সমাধির নামফলকে টুইটারের লোগো!
এদিকে শুক্রবার সকালে টুইটারে একটি সমাধির ছবি পোস্ট করেছেন ইলন মাস্ক। ওই সমাধির নামফলকের ওপর টুইটারের লোগো বসানো। এটি দিয়ে তিনি বিশেষ কোনো ইঙ্গিত দিলেন কি না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গত ২৭ অক্টোবর চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কেনেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। মালিকানা নেয়ার পর থেকেই একের পর এক ঘটনায় টুইটারকে আলোচনায় রেখেছেন তিনি।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি টুইটারকর্মীদের বলা হয়, কঠোর পরিশ্রম করার শর্তে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। ই-মেইল পাঠিয়ে কর্মীদের টুইটার আরও বলেছে, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে এই শর্তে রাজি না হলে তিন মাসের সেভারেন্স পে (বেতনের সমপরিমাণ অর্থ) দিয়ে বিদায় করা হবে। মাস্কের এসব অদ্ভূত শর্ত-প্রস্তাবের মধ্যে কার্যালয় বন্ধের ঘোষণায় ধারণা করা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক কর্মী টুইটারের চাকরি ছেড়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক এক কর্মী বলেছেন, বর্তমানে হয়ত দুই হাজারেরও কম কর্মী টুইটারে আছেন। অনেকে মাস্কের শর্তে রাজি থাকলেও চাকরি ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। মাস্ক যখন টুইটার কিনে নেন তখন সাড়ে সাত হাজারের মতো কর্মী ছিলেন প্রতিষ্ঠানটিতে।