চীনের মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাসের মিশন শেষ করে পৃথিবীতে ফিরেছেন তিন মহাকাশচারী।
গত রোববার ‘শেনঝো-১৪’ নামের মহাকাশ যানে করে তারা চীনের অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবতরণ করেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনের চূড়ান্ত নির্মাণকাজের তদারকি করতে নভোচারীরা গত ৫ জুন মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হন। স্টেশনটির নির্মাণকাজ গত নভেম্বরে শেষ হয়। মহাকাশ স্টেশন ত্যাগের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর তারা রোববার বিকেলে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। ল্যান্ডিং সাইটের কর্মীরা তাদের ক্যাপসুল থেকে বের করার পর জানান, তিন নভোচারীই সুস্থ আছেন। এই মিশনটি ‘সম্পূর্ণ সফল’ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে চীনা মহাকাশ সংস্থা।
মহাকাশচারী দলটির কমান্ডার হলেন চেন ডং। অন্য দুজন হলেন- লিউ ইয়াং এবং কাই জুজে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, এই মিশনে থাকা লিউ ইয়াং হলেন চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী। লিউ বলেন, ‘মহাকাশ স্টেশনের স্মৃতি ভোলার নয়। মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত।’
গত জুন মাস থেকে স্পেস স্টেশনটির নির্মাণকাজ সামাল দেয়া এই তিনজনের কাছ থেকে নতুন স্পেস স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নিতে আরও তিন নভোচারী সেখানে পাড়ি জমিয়েছেন। গত ২৯ নভেম্বর তারা তিয়াংগং স্টেশনে পৌঁছান। সেখানে আগামী ছয় মাস তারা অবস্থান করবেন এবং তিয়াংগংয়ের দেখভাল করবেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলোর তৈরি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)’ থেকে বাদ পড়ার পর চীন স্বতন্ত্রভাবে তিয়াংগং স্টেশন নির্মাণ শুরু করে। ১৯৭০ সালে পৃথিবীর চারপাশের কক্ষপথে প্রথম স্যাটেলাইট স্থাপন করে চীন। গত ১০ বছরে দেশটি দুই শতাধিক রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। ইতিমধ্যে চাঁদে শিলার নমুনা সংগ্রহের জন্য ‘চাং ই-৫’ নামে একটি মনুষ্যবিহীন মিশন পাঠিয়েছে তারা। চাঁদের বুকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বড় পতাকা লাগিয়েছে চীন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা