আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০২২ ১০:৩১
খুবির হলে রাইসকুকার ও রান্নার সরঞ্জাম রাখা যাবে, আন্দোলন প্রত্যাহার

খুবির হলে রাইসকুকার ও রান্নার সরঞ্জাম রাখা যাবে, আন্দোলন প্রত্যাহার

হলে রাইস কুকার ও রান্নার সরঞ্জামদি ব্যবহার বন্ধের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবী মেনে নিয়েছেন হল প্রশাসন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্তরে শিক্ষর্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে লিখিত দেন অপরাজিতা হলের প্রভোষ্ট রহিমা নুসরাত রিম্মি।পরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

এর আগে অপরাজিতা হলে রাইসকুকার ও অন্যান রান্নার সরঞ্জাম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে রাত ১১ টার দিকে আন্দোলনে নামের অপরাজিতা হলের ছাত্রীরা।

পরে তাদের আন্দোলনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন অন্যান্য হলের ছাত্র ছাত্রীরা।

অপরাজিতা হলের গেট থেকে তারা আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্তরে এসে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অপরাজিতা হলের টয়লেটে গিয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় বটি দিয়ে পোচ দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় অপরাজিতা হলে দা, বটি, চাকু এমনকি রাইসকুকারও নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীদের রুমে গিয়ে সরঞ্জামগুলো জব্দ করা হয়। সবাইকে ডাইনিংয়ের খাবার খেতে নির্দেশ দেয়া হয়।

অপরাজিতা হলের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের মান খুবই খারাপ। তার মধ্যে রাইসকুকার নিষিদ্ধ করা হলো। রান্নার সব সরঞ্জামও হলে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।’

লীমা নামের আরেক ছাত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে আসতে আমাদের বাধা দেয়া হয়েছিল। আমরা হলের দুটি তালা ভেঙে নেমেছিলাম।’

আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন এসেছিলেন। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে চলে যান।

পরে শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে রাত দেড় টায় হলের প্রভোষ্ট বডি তাদের সাথে দেখা করে সব দাবী মেনে নেওয়া হবে বলে লিখিত দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবী সমূহ ছিল,

১. রাইস কুকার ও হলের রান্নার সরঞ্জামদি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।

২. যৌন হয়রানির প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলার কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও পারিবারিক শিক্ষা তুলে কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হবে।

৩. হলে প্রয়োজনে অভিভাবক ও মহিলা আত্মীয়দের থাকার অনুমতি প্রদান করতে হবে।

৪. পানির পোকা ও খাবারের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

৫. নিজ ডিসিপ্লিনের স্টুডেন্টদেরকে ডেকে নিয়ে ব্যক্তিগত এবং একাডেমিক বিষয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে ও প্রভোস্টেক ক্ষমা চাইতে হবে।

৬. হলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

৭. যেকোন পরিস্থিতিতে সিট বাতিলের হুমকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

৮. যেকোন পরিস্থিতিতে হলের ছাত্রীদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।

৯. হলের মিল খাওয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না।

১০. এই আন্দোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেওয়া যাবে না।

১১. এসব দাবি না মানলে প্রভোস্ট কমিটিকে পদত্যাগ করতে হবে।

প্রতিবেদক, খুলনা প্রতিনিধি