দাবদাহ ও খরার পর ইউরোপ এবার প্রবল ঝড়ের কবলে পড়েছে। ইতালি, অস্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের কর্সিকা দ্বীপে ঝড়ে তিন শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রয়টার্স জানায়, ইউরোপের বিভিন্ন অংশে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যতিক্রমী ধরনের উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজমান রয়েছে। এর মধ্যেই বড় ঝড় আঘাত হানল।
অস্ট্রিয়ায় ঝড়ে গাছ পড়ে দুটি পৃথক ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমেই ভূমধ্যসাগরের উত্তর উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এরপর বিকেলে আল্পস পর্বতের দেশটিতে এ ঝড় আঘাত হানলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্লোভেনিয়া সীমান্তের কাছে দক্ষিণ অস্ট্রিয়ার সেন্ট আন্দ্রে শহরের কাছে একটি হ্রদের কাছে গাছ ভেঙ্গে পড়ে চার ও আট বছর বয়সী দুই শিশু মারা যায়।
পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভিয়েনাকে ঘিরে থাকা অস্ট্রিয়ার লাওয়ার প্রদেশের গেমিং শহর এলাকায় একটি গাছ ভেঙ্গে পড়ে আরও তিনজন নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঠিক কী কারণে গাছটি উপড়ে গেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে বজ্রপাত বা ঝোড়ো হাওয়ায় গাছটি উপড়ে যেতে পারে।
ঝড়ের সময় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে দমকা হাওয়া বইছিলো। তীব্র গরমে স্থানীয় হ্রদে গোসল করতে আসা লোকদের কাছে এটি বেশ বিস্ময়কর মনে হয়েছে।
অস্ট্রিয়ার জাতীয় রেল কোম্পানি ওবিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রবল ঝড়ের কারণে সেখানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এর ফলে স্লোভেনিয়া ও ইতালির সীমান্তবর্তী স্টাইরিয়া এবং ক্যারিন্থিয়ার দক্ষিনাঞ্চলীয় প্রদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে গাড়িচালকদের একটি দল জানিয়েছে, স্টাইরিয়া ও ক্যারিন্থিয়ার অনেক রাস্তাও ঝড়ের কারণে বন্ধ ছিল।
এর আগে, বুধবার (১৭ আগস্ট) ইতালিতে ঝড়ের সময় গাছ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ফ্রান্সের কর্সিকা দ্বীপে ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে গেছে। এতে গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, গাছ চাপা পড়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী প্রাণ হারিয়েছে। একই ঘটনায় প্রাপ্তবয়স্ক এক ব্যক্তিও মারা গেছেন। ঝড়ে একটি ঘরের চালা উড়ে গিয়ে একটি গাড়িতে আছড়ে পড়ে। তখন ওই গাড়িতে অবস্থানকারী একজন বয়স্ক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সাগরে এক জেলে এবং নৌকার আরোহী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা