আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:৩৫
ফারদিনের আত্মহত্যার কথা মানতে নারাজ বুয়েট শিক্ষার্থীরা, সমাবেশের ডাক
প্রতিনিধি, ঢাবি

ফারদিনের আত্মহত্যার কথা মানতে নারাজ বুয়েট শিক্ষার্থীরা, সমাবেশের ডাক

ফাইল ছবি

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য মানতে নারাজ তার সতীর্থরা। র‌্যাব-পুলিশের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বুয়েটে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিফ্রিং ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ফারদিনের বাবাও এই কর্মসূচিতে থাকবেন।

ফারদিনের সহপাঠী মাশিয়াত জাহিন বলেন, ‘ডিবি প্রধানের বক্তব্যের প্রতিবাদে আমাদের এই সমাবেশ। আমাদের কাছে সবকিছু পরিষ্কার মনে হচ্ছে না। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না যে এটা সুইসাইড ছিল। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার আছে।

আমরা কেন এটিকে সুইসাইড মনে করছি না সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই। সেজন্য আমরা এই প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছি। এতে ফারদিনের বাবাও উপস্থিত থাকবেন।’

ফারদিন আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ। একই তথ্য জানিয়েছে ফারদিনের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে ছায়াতদন্তের দায়িত্বে থাকা র‌্যাব।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি, বুধবার সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কোথাও বলা হয়নি যে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। ফারদিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকরা বলেছেন যে ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এতোদিন ধরে তদন্তের পর গোয়েন্দা প্রধানের এমন বক্তব্য মানা যায় না।

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা থেকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় যান বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ। নিখোঁজের তিনদিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।

এ ঘটনায় ফারদিনের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিনকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।