আপডেট : ১৮ মে, ২০২২ ১৭:০৫
১৩২ আরোহী নিয়ে চীনা বিমান দুর্ঘটনা ইচ্ছাকৃত

১৩২ আরোহী নিয়ে চীনা  বিমান দুর্ঘটনা ইচ্ছাকৃত

বিমান ধ্বংসের পর উদ্ধার অভিযান




চলতি বছর মার্চে বিধ্বস্ত হওয়া চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের বিমানটিকে ককপিটের কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিধ্বংস্ত করেছে। উদ্ধার হওয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্সের কথ্য বিশ্লেষণ করে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।  

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করা ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ডের (এনটিএসবি) কর্মকর্তাদের প্রাথমিক মূল্যায়নে এই তথ্য উঠে এসেছে।

ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ককপিটে থাকা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নোজ-ডাইভের মাধ্যমে বিমানটি বিধ্বস্ত করেছে।

বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। চীনের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়েছে বোয়িং।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

দুর্ঘটনার পেছনে ককপিটের কেউ জড়িত রয়েছে- এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পর সেই ফ্লাইটের ক্রুদের আচরণ ও চলাচল আরও গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়।

চলতি বছর মার্চে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইনস চায়না ইস্টার্ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি হঠাৎ খাড়াভাবে বহু নিচে নেমে যাওয়ার পরে গুয়াংজৌর পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।

কুনমিং থেকে গুয়াংজু শহরে যাচ্ছিল বিমানটি। এতে থাকা ১২৩ যাত্রী এবং ৯ ক্রুসহ সবাই নিহত হন। ২৮ বছরের মধ্যে এটি ছিল চীনের মূলভূখণ্ডে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

এনটিএসবির চেয়ার জেনিফার হোমেন্ডি রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গত ৯ মে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরে যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থার সঙ্গে বোয়িংয়ের একাধিক কর্মকর্তা বেইজিং গিয়েছিলেন চীনা গবেষকদের সহায়তা দিতে।