পাবনার সুজানগর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম (৬৩) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের দাবি- জুয়া ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, মামলা সক্রান্ত জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
জাহাঙ্গীর আলম ২০২১ সালে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন।
জাহাঙ্গীরের ছেলে জুবায়ের খন্দকার জানান, জুয়া ও চাঁদাবাজি নিয়ে স্থানীয় আশরাফ, জসিম মাস্টার, রাজা, সুমন ও সোবহানসহ কয়েকজনের সঙ্গে তার বাবার বিরোধ চলছিল। অবসর গ্রহণের পর এলাকায় জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করতেন জাহাঙ্গীর। এ ঘটনার জেরেই আশরাফ ও রবিউল মাস্টারের নেতৃত্বে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ট্যাটা ও হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘটনাস্থলেই মারা যান জাহাঙ্গীর। এছাড়া তার ভাই মতি খন্দকারসহ ১০ জন আহত হন। পরে আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মতি খন্দকারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা চলছিল। এ ঘটনার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা