বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর ঘটে যাওয়া ঘটনায় পুলিশ অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং অপেশাদার আচরণ করেছে বলে উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান বলছেন, এরই মধ্যে বরগুনা থেকে প্রত্যাহার হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মহররম আলীসহ মোট ১৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের এসব তথ্য দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন ডিআইজি আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন এসব পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও অপেশাদার আচরণ করেছেন বলে তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তাদের বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে এবং কনস্টেবলদের ব্যাপারে জেলা পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
এএসপি মহররম ছাড়া বাকি যে পুলিশ সদস্যের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন পুলিশ পরিদর্শক, ছয়জন উপপরিদর্শক (এসআই), চারজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), একজন নায়েক ও ছয়জন কনস্টেবল।
এর আগে, বরগুনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে। বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনেই এ ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী।
পুলিশ বলছে, ওই দিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এমপি শম্ভু পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ বলেছিল, গাড়ি ভাঙচুরকারীকে তারা চিনতে পেরেছে। আমি বলেছি, যে ভাঙচুর করেছে তাকে দেখিয়ে দিন। আমি তাকে আপনাদের হাতে সোপর্দ করব। আসলে তাদের (পুলিশের) উদ্দেশ্যই ছিল ছাত্রলীগের ছেলেদের মারবে। আমি তাদের মার ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেখানে এত পুলিশ আসছে যে কমান্ড শোনার মতো কেউ ছিল না।’
এ ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জিয়াউল হককে প্রধান করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি করা হয়।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা