কক্সবাজারের সদরে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার সকালে মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তিনজনকে আসামি করে গতকাল সোমবার রাতে মামলা করেছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নির্যাতিত ওই নারীকে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে বলে সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মালিপাড়া থেকে ওই নারী তার এক ভাগনির মেহেদী অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়া নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে ইজিবাইকে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ এলাকায় আসলে বেদার ও তার সহযোগীরা তাকে আরেকটি ইজিবাইকে তুলে নেয়। পরে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে।
মামলায় বেদার মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। বেদার মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষিকার এক স্বজন বলেন, ‘এ ঘটনা পরিবারের লোকজন জানার পর থানায় যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে রামু থানা, সেখান থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায়। মামলা নিতে চাচ্ছিল না। পরে সোমবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা মামলা নিয়েছে।’
ওসি সেলিম উদ্দিন বলেন, মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে সদর হাসপাতালের ক্রাসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিম নিজে মামলার বাদী, সে হিসেবে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। এজাহারের বক্তব্যই জবানবন্দি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর এজাহার পাওয়ার পর মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা