বিজয়ের মাসে মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উপহার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপ্রধান এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘ইতিহাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত জনবহুল মহানগরী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার যানজট নিরসনে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময়সাশ্রয়ী, বিদ্যুতচালিত, পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন সরকারের একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।’
‘মেট্রোরেলের যাত্রা ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত ব্যবস্থায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ করবে। নগরবাসীর কর্মঘন্টা সাশ্রয় হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ছয়টি মেট্রোরেল লাইন সমন্বয়ে ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্ত সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সম্পূর্ণ অংশের বাস্তবায়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সরকারের বিচক্ষণতা, সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং সাহসী নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যার ঢাকা মহানগরীতে সুষ্ঠুভাবে মেট্রোরেল নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। অনেক বাঁধা-বিপত্তি এবং করোনা ভাইরাস মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ক্ষতিকর প্রভাব জয় করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উত্তরা (উত্তর) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন সরকার, ঢাকা মহানগরবাসী ও অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টারই ফসল।
মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে ঢাকা মহানগরী তথা দেশের যোগাযোগ ও আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এর সুফল পাওয়া যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল বা এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন। শুরুতে প্রতিদিন সকাল ৮টার থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।
রাজধানীর যানজট কমাতে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রকল্প নির্মাণে মোট ব্যয় হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বাকি পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। তবে ডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা