পেডিয়াট্রিক প্যালিয়েটিভকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি’র (বিপিপিসএস) যাত্রা শুরু হয়েছে আজ। প্রাথমিকভাবে সভাপতি ও মহাসচি নির্বাচিত করার মাধ্যমে কার্যনিবার্হী কমিটি গঠিত হলেও খুব শিগগরিই এই কমিটিতে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অধ্যাপক ডা. জোহরা জামিলা খানকে সভাপতি ও ডা. জান্নাত আরাকে মহাসচিব নির্বাচিত করার মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে।
কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. একেএম আমিরুল মোরশেদ খসরু এবং অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ, সহ-সভাপতি হিসেবে ডা. অজন্তা রানী সাহা ও ডা. এস এম রেজানুর রহমান, যুগ্ম সচিব হিসেবে ডা.মো. শাহেদুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ডা. মেহনাজ আক্তার, বিশেষ সদস্য অধ্যাপক ডা. সাহ্নুর ইসলাম, ডা. রেজওয়ানা রিফাত, ডা. রুমানা ইসলাম।
পেডিয়াট্রিক প্যালিয়েটিভ কেয়ার কী?
পেডিয়াট্রিক প্যালিয়েটিভ কেয়ার এক ধরনের প্রশমন সেবা। যা আসলে শিশু রোগীদের অনিরাময়যোগ্য বা দুরারোগ্য অসুখের চিকিৎসা চলাকালে যেসব সমস্যা হয় তার কষ্ট-লাঘব করা এবং রোগীর জীবনমান সুনিয়ন্ত্রিতভাবে বজায় রাখার সমষ্টিগত প্রক্রিয়া।
এ চিকিৎসা পদ্ধতি শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক সবকিছুকে কেন্দ্র করে একটি সুনির্দিষ্ট প্রটোকলের মাধ্যমে দেয়া হয়। আর এখানে শুধু রোগ সারিয়ে তোলা নয় বরং প্রতিটি রোগীর যত্নের ব্যাপারে ভালোবাসা-স্নেহের পরশ ও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এ সেবা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। বিশেষ করে তরুণ ও ছাত্রসমাজ এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে আসতে পারে।
পেলিয়েটিভ কেয়ারে রোগীর জীবনমানের কথা বিবেচনা করে, মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের শেষ মুহূর্তের কষ্ট-লাঘবে সেবা দেয়া হয়ে থাকে। প্রত্যেক মানুষ যেন জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বাঁচার মতো বাঁচতে পারে; কোনোরূপ অসহনীয় কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যথা এবং চিকিৎসাজনিত কষ্ট যেন সে না পায়।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা