অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানলেন জিয়ানলুকা ভিয়ালি। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ৫৮ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন সাবেক এই ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড।
২০১৭ সালে প্রথম ভিয়ালির অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে। তবে ২০২০ সালে ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন বলে জানা যায়। সে বছর ইতালির ইউরোজয়ী দলের কোচিং বহরেও ছিলেন।
তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফের তার শরীরে ক্যানসারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর আর ফুটবলে ফেরা হয়নি তার।
১৯৮০ সালে ইতালিয়ান ক্লাব ক্রেমোনেনসের হয়ে সিরি সিওয়ানে অভিষেকের মাধ্যমে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় ভিয়ালির। এরপর ক্লাবটির হয়ে সিরি বি-তেও খেলেছেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে সাম্পদোরিয়ার হয়ে প্রথম ইতালিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তর সিরি আ-তে খেলার সুযোগ পান।
সাম্পদোরিয়ার জার্সিতে জিতেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ‘স্কুদেত্তো’। এরপর জুভেন্টাসের হয়ে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে জিতেছেন ক্যারিয়ারের একমাত্র চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষবেলায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ইংল্যান্ড, খেলেছেন চেলসির হয়ে। দীর্ঘ ক্লাব ক্যারিয়ারে ৬৭৩ ম্যাচ খেলে ২৫৯ গোল করেছিলেন ভিয়ালি।
ইতালির হয়ে ৫৯ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল, তবে দেশের হয়ে ভিয়ালির অর্জন বলতে শুধু ইতালিয়া ’৯০-এ তৃতীয় স্থান।
চেলসিতে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুমে খেলোয়াড়-ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন ভিয়ালি। অবসরের পরপরই চেলসির স্থায়ী ম্যানেজার বনে যান। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ – তিন বছরের মধ্যে চেলসিকে এফএ কাপ, লিগ কাপসহ জিতিয়েছেন পাঁচটি শিরোপা। এরপর অন্য ইংলিশ ক্লাব ওয়াটফোর্ডেও কাটিয়েছেন কিছুটা সময়।
সর্বশেষ ২০২০ ইউরোর সময় রবার্তো মানচিনির কোচিং স্টাফে যোগ দিয়েছিলেন ভিয়ালি। খেলোয়াড়ি জীবনে সাম্পদোরিয়ায় মানচিনির নেতৃত্বে খেলেছিলেন তিনি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা