আপডেট : ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১৮
সব ভ্যারিয়েন্টের জন্য একই ভ্যাকসিন নিয়ে আমি আশাবাদী না
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সব ভ্যারিয়েন্টের জন্য একই ভ্যাকসিন নিয়ে আমি আশাবাদী না

সারাহ গিলবার্ট।

অক্সফোর্ডের করোনা প্রতিরোধক টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, ‘করোনার ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জন্য একই ভ্যাকসিন নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদী নই। আমরা যে ভ্যাকসিন তৈরি করা শুরু করেছি, সেটি নির্দিষ্ট স্পাইক প্রোটিনে কাজ করে। এটি অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করে, যাতে ভাইরাসকে অবরুদ্ধ করতে পারে। ভাইরাসকে প্রবেশে বাধা দেয়ার সুযোগ নেই।’

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এক সেশনে দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে সারাহ এসব কথা বলেন।

সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘স্পাইক প্রোটিন বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে বদলায়। সব ভ্যারিয়েন্টের জন্য একই ভ্যাকসিন তৈরি করতে গেলে হয়তো আমাদের ভাইরাসের মূলে যেতে হবে। আমার কাছে এটি অসম্ভব মনে হয়। এই মুহূর্তে ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রেই প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে মনে করি।’

দ্বিতীয় দিনে শীতের জড়তা কাটিয়ে সকাল থেকেই উৎসবমুখর হয়ে ওঠে ঢাকা লিট ফেস্ট। দিনের শুরুতেই সরদার আফসার উদ্দিনের কণ্ঠে সুফি সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় পরিবেশনা। এদিন প্রাধান্য পায় সাহিত্য ও বিজ্ঞানবিষয়ক নানা আলোচনা।

সকাল ১০টায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে নানা উদ্ভাবনী আলাপ নিয়ে মেতে ওঠেন তরুণ বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত আগামীর পৃথিবীতে ‘উপন্যাস, গল্প তথা আখ্যানের ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আলোচনায় ছিলেন ইমদাদুল হক মিলন ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘প্রযুক্তির উৎকর্ষ যেখানেই পৌঁছাক, ছাপার অক্ষরের সাহিত্য টিকে থাকবে আরও অনেক দিন। উপন্যাস বা আখ্যান জীবনঘনিষ্ঠ কাহিনিনির্ভর, তাই মানুষ আনন্দের খোঁজেই তা পড়বে।’

উপন্যাস ‘দি হাংরি টাইড’ নিয়ে আলোচনা করেন ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ। বাংলা একাডেমির লনে ‘চাপের মুখে সাংবাদিকতা’ শিরোনামে সেশনে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মহসীন হাবিব।

আলোচনায় সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে শ্যামল দত্ত বলেন, ‘সাংবাদিকতায় চ্যালেঞ্জের নানা রকম চেহারা আমাদের সামনে বিদ্যমান। বিপ্লব এসেছে বিশ্বজুড়ে, সেটা হচ্ছে মোবাইল টেকনোলজি। চাপ বহুজাতিক কোম্পানি থেকেও আছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়েও চাপ রয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ চলমান রয়েছে।’

এ ছাড়া দ্বিতীয় দিনে সুফিবাদ: পারস্য ও বাংলা সাহিত্যের প্রভাব, বাংলায় দক্ষিণ ও পূর্ব এশীয় সাহিত্যচর্চা, সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের নানা সংকট মোকাবিলার গল্প, শিশুদের জন্য পুতুলনাচ, বাংলাদেশের নারীদের সার্ফিং নিয়ে সিনেমা, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর এক শ বছরের সাহিত্যসহ ৪৮ সেশনে নানা আয়োজন পরিবেশিত হয়।