পৌষের হাড়কাঁপানো শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়, যা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান।
চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ভোর থেকে বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। উত্তরের হিমশীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। শনিবারও সূর্যের দেখা মেলেনি চুয়াডাঙ্গার আকাশে।
এমন শীতে কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না দিনমজুররা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষকে।
তীব্র ঠাণ্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। শীতে নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধানের বীজতলা।
দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের দিনমজুর আজিবার রহমান বলেন, ‘খুব ঠাণ্ডা পড়চি। সকালে মাঠে যাওয়া যাচ্চি না। হাত-পা অবস হয়ে যাচি। শীতে টিনের ঘরেও থাকা যাচ্চি না। সারা দিন শুধু আগুন তাপাতি হচ্চি।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে এ জেলারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ নিয়ে চলতি মাসে দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।’
গত ডিসেম্বর মাসে চার দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়। এ ছাড়া বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। এ মৌসুমে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ও পরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা