আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৫৭
আল-আমিনের দাপটে ঢাকার কাছে হার তামিমের খুলনার
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আল-আমিনের দাপটে ঢাকার কাছে হার তামিমের খুলনার

আল-আমিন ৪ উইকেট নিয়েছেন। ছবি: বিসিবি

কাগজ-কলমের হিসাব টিকল না মাঠের ক্রিকেটে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে শক্তির বিচারে ঢাকা ডমিনেটরসের চেয়ে এগিয়ে ছিল খুলনা টাইগার্স। কিন্তু লো স্কোরিং ম্যাচে নতুন ফ্র‍্যাঞ্চাইজির মালিকানায় মাঠে নামা ঢাকাই আজ ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে খুলনাকে।

ডানহাতি পেসার আল-আমিন হোসেনের দাপুটে বোলিংয়ে আগে ব্যাট করে সুবিধা করতে পারেনি খুলনা। নির্ধারত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে করে মাত্র ১১৩ রান। সহজ লক্ষ্যে নেমেও শেষ ওভারে গিয়ে মাত্র ৫ বল হাতে রেখে বিপিএলের নবম মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পায় ঢাকা।

১১৪ রানের লক্ষ্যে শুরুটা দেখেশুনে করেন আহমেদ শেহজাদ ও দিলশান মুনাবিরা। তবে দলীয় ১৬ রানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানি ওপেনার শেহজাদ। তিনে নেমে মুনাবিরার সঙ্গে জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই বাঁহাতি। ১৩ বলে থামেন ১৬ রানে। ৪ রান পর ২২ করে আউট মুমাবিরা।

সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুনও। ১২তম ওভারের শেষ বলে ভ্যান ম্যাকেরেনের সোজা বল মিস করেন মিঠুন। স্টাম্প ভেঙে যাওয়ার পূর্বে করেন ১২ বলে ৮ রান। নাসির হোসেনে সঙ্গে উসমান ঘানির ৩৪ রানে জুটি ভাঙলেও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি ঢাকাকে। শেষদিকে নাসিরের ৩৬ বলে ৩৬ রানে লক্ষ্য টপকে যায় ঢাকা।

এর আগে ঘন কুয়াশার কারণে মিরপুরে বেলা দেড়টার ম্যাচ শুরু হয় আধা ঘণ্টা পর। টস হেরে ব্যাট করে নামা খুলনার ব্যাটসম্যানদের সুবিধা করতে দেননি ঢাকার বোলাররা। উইকেট ও কন্ডিশনের সঠিক ব্যবহার করে শুরু থেকেই দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও শারজিল খানকে চাপের মধ্যে রাখেন তাসকিন আহমেদ ও নাসির হোসেন। সেই চাপ কাটিয়ে স্কোর বোর্ডে দ্রুত রান জমা করতে গিয়ে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাসিরের বলে ৭ রান করে বোল্ড হন শারজিল।

১১ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটিকে বিপদে ফেলে যান মুনিম শাহরিয়ার। ৪ রান করেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তামিমও ছিলেন নিষ্প্রভ, ১৫ বলে করেন ৮ রান। এতে পাওয়ার প্লে-তে ৩২ রান তুলতেই ৩ উইকেট নেই খুলনার।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে আজম খান ও ইয়াসির আলি মিলে দলকে টেনে নিতে থাকেন। তবে দলীয় ৪৯ রানে আরাফাত সানির বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন ১৮ রান করা আজম।

পঞ্চম উইকেটে রাব্বি-সাইফউদ্দিনের ৩১ রানের জুটি ভাঙেন অধিনায়ক নাসির। নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান ২৪ রান করা রাব্বিকে। খানিক পর একই পথ ধরেন ২৮ বলে ১৯ করা সাইফউদ্দিন। শেষদিকে আল-আমিনের তাণ্ডবে মনে হচ্ছিল এক শ-র আগেই থামবে খুলনার ইনিংস। তবে ওয়াহাব রিয়াজের ৩ বলে ১০ ও সাব্বির রহমানের অপরাজিত ১১ রানে ১১৪ রানের পুঁজি পায় খুলনা। ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন আল-আমিন।