আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৪৭
রাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৫
রাজশাহী ব্যুরো

রাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৫

রাবি শিক্ষার্থী অপহরণে জড়িত পাঁচজন। ছবি: দৈনিক বাংলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা বিভাগের রাতুল কুমার বর্মন নামে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকেও উদ্ধার করেন পুলিশ সদস্যরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাতুল কুমার বর্মন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চান্দলাই গ্রামের প্রয়াত অসীম কুমার বর্মনের ছেলে। তিনি চারুকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রানীনগর হিন্দুপাড়ার ইন্দ্রজিৎ সরকারের ছেলে পবন সরকার উদয় (১৯), রাজপাড়া থানার হড়গ্রাম বাজার এলাকার প্রয়াত সাইদুল ইসলামের ছেলে দাউদ ইব্রাহিম সাফি (২২), প্রয়াত সুরে জামাল শেখের ছেলে পলাশ কবির (২৬), কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম পালপাড়ার হরেন্দ্রনাথ পালের ছেলে প্রবীণ পাল রুদ্র (২০) ও শামসুর রহমান বাদলের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান নুর (২০)।

স্থানীয়রা জানায়, রাতুল কুমার বর্মনের সঙ্গে আসামি পবন সরকারের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। সেই সূত্রে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পবন সরকার মোবাইলে রাতুলকে কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্বরে আসতে বলেন। রাতুল সেখানে গিয়ে তার ছোট ভাই দিবাকর বর্মনের মেসে থাকা নিয়ে পবনের সঙ্গে কথা বলে। কথা শেষ করে রাতুল সেখান থেকে যেতে চাইলে পবনের অপর সহযোগী দাউদ ইব্রাহিম ও পলাশ তাকে অপহরণ করে হড়গ্রাম বাজারে দাউদ ইব্রাহিমের একতলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করে। রাত ৯টার দিকে আসামিরা রাতুলের মোবাইল থেকে তার মাকে কল করে। পুলিশ পরিচয়ে তারা রাতুলের মায়ের কাছে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের কথায় রাতুলের মা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠান। অবশিষ্ট টাকার জন্য রাতুলকে আবারও মারধর করে জখম করে। একপর্যায়ে রাতুলের চিৎকার শুনে স্থানীয় এক বাসিন্দা পুলিশকে জানান।

পরে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে এবং রাতুলকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

ওসি জানান, এ ঘটনায় রাতুল ওই পাঁচজনের নামে অপহরণ, মারধর ও টাকা আদায়ের অভিযোগে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।