বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত বুশরার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুনানি শেষে রোববার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবর রহমান দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মামলায় বুশরাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পূর্ব পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শুনানি হয়। ওই দিন শুনানি শেষে আজ রোববার আদেশ দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
গত বছরের ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এর আগে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, ‘তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে’।
১০ নভেম্বর ফারদিনকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে রামপুরা থানায় মামলা করেন তার বাবা নূর উদ্দিন। সেই মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় আমাতুল্লাহ বুশরাকে। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ৫ দিন রিমান্ডে নেয়া হয় বুশরাকে। এখন তিনি কারাগারে আছেন।
মামলার তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর মাদকসংশ্লিষ্টতা, মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন, কিশোর গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয় সামনে আসে। সর্বশেষ তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি ও র্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। ডিবি পুলিশ জানায়, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলে থাকা বুশরা নির্দোষ।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা