আপডেট : ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:২০
এক পাকিস্তানির সেঞ্চুরিতে ম্লান আরেক পাকিস্তানির সেঞ্চুরি
ক্রীড়া প্রতিবেদক

এক পাকিস্তানির সেঞ্চুরিতে ম্লান আরেক পাকিস্তানির সেঞ্চুরি

সেঞ্চুরি উদ্‌যাপন চট্টগ্রামের উসমানের। চেয়ে চেয়ে দেখছেন খুলনার সেঞ্চুরিয়ান আজম। ছবি: বিসিবি

ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আজম খান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ডানহাতি। তবে তার সেই আগ্রাসন ধোপে টেকেনি আরেক পাকিস্তানি উসমান খানের কাছে। সেঞ্চুরির জবাব সেঞ্চুরিতে দিয়ে খুলনাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে উসমান এবারের মৌসুমে প্রথম জয় এনে দেন চট্টগ্রামকে।

আজমের সেঞ্চুরি ছাড়া অবশ্য খুলনার ব্যাটসম্যানরা বলার মতো কিছুই করেননি। অনেকটা ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে দুবার জীবন পেয়েও ৩৭ বলে ৪০ করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ১০ রান সাব্বিরের ব্যাটে। ৮ ছয় ও ৯ চারে আজমের ৫৮ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের পুঁজি খুলনার।

তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই বিদেশি ওপেনারের ভয়ডরহীন ব্যাটিং। পাওয়ার প্লেতে উসমান ও মার্ক ও'ডাউড যোগ করেন ৫০ রান। ও'ডাউড একপ্রান্ত ধরে খেললেও উসমান ব্যাট চালিয়ে খেলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। কোন উইকেট না হারিয়ে ১৩ ওভারে চট্টগ্রাম স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১০০ রান। দুই ব্যাটসম্যানই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ফিফটি করতে ৩৪ বল খেলেন উসমান, ও’ডাউড খেলেন ৪৬ বল।

দলকে ১৫০-এর কাছাকাছি নিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট ও’ডাউড। ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫০ বলে ৫৮ করে আউট হন তিনি। এরপর তিনে নামা আফিফকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন উসমান। মাত্র ৫৫ বলে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে চট্টগ্রামকে ৯ উইকেটের জয় এনে দেন তিনি। ৫৮ বলের ইনিংসটি সাজান ১০টি চার ও ৫টি ছয়ে। আফিফ অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।