এনড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
এনড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ডের সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা নিয়ে এক প্রশ্নে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এটা আইনের বিষয়, এ নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
এরপরও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমি একটি ব্যাখ্যা দেব, সেটি হচ্ছে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) একটি শব্দ ব্যবহার করেছে বাধ্যতামূলক। এই শব্দটি বিভ্রান্তিকর।
‘যেকোনো এনড্রয়েড ফোনে আপনি যেকোনো সফটওয়্যার রাখতে পারেন, আনইনস্টল করতে পারেন, ফেলে দিতে পারেন, নতুন করে ইনস্টল করতে পারেন। অতএব বাধ্যতামূলক শব্দ প্রয়োগ করার কিছু নেই, এটি বাধ্যতামূলক নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কার জন্য বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে? যেটি বলা হয়েছে, যিনি উৎপাদক অথবা আমদারিকারক তিনি বাংলা লেখার সুবিধা তৈরি করে দেয়ার জন্য একটি সফওয়্যার দিয়ে দেবেন। ব্যবহারকারী সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করবে কি করবে না, সেটি সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার।’
বাইপাস শব্দটি প্রায় সবার কাছেই পরিচিত। বিভিন্ন অর্থে আমরা এই শব্দ ব্যবহার করে থাকি। এই যেমন, বিকল্প রাস্তা, হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচলের নতুন পথ, অথবা চার্জিং প্রযুক্তি হিসেবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শব্দটি বিকল্প কোনো পদ্ধতি বা রাস্তা বোঝায়। বাইপাস যখন চার্জিং প্রযুক্তি, তখন এর মাধ্যমে ল্যাপটপ কাজ করবে ব্যাটারির সাহায্য ছাড়াই, শুধু চার্জারে যুক্ত থেকে। তাই নিরাপদ ও সেরা পারফরম্যান্স পেতে এখন স্মার্টফোনেও এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ বাজারে আসার পর, স্মার্টফোন বাজারে আবারো আলোচনায় বাইপাস চার্জিং প্রযুক্তি। এর আগে স্যামসাং, সনি, আসুস এবং অন্যান্য কিছু উচ্চমূল্যের স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি পাওয়া যেত। কিন্তু মাঝারি দামের স্মার্টফোনে সম্প্রতি ইনফিনিক্স এই প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে।
সাধারণত, চার্জারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় প্রথমে ল্যাপটপের ব্যাটারি চার্জ হয় এবং এরপর ব্যাটারি থেকে পাওয়ার নিয়ে ডিভাইসটি চলে। এর মানে হলো শক্তির উৎস প্রধানত একটি। তাহলে ল্যাপটপের বাইপাস চার্জিংয়ের অবদান কী এখানে? এই প্রযুক্তি থাকার ফলে, ব্যাটারিকে সম্পূর্ণভাবে পাশ কাটিয়ে, ডিভাইস সরাসরি চার্জার থেকে শক্তি গ্রহণ করতে পারে। এই দুই ধরনের শক্তির উৎসের সাহায্যে আমরা ল্যাপটপ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা পেতে পারি।
বাইপাস চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে আমাদের স্মার্টফোনগুলোও এখন একইভাবে কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে। ব্যাটারি সাহায্য ছাড়াই ফোন এখন ওয়াল চার্জারে রেখেই কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে যেহেতু কোনো ব্যাটারির ব্যবহার নেই, তাই ব্যাটারি পার্সেন্টেজ বাড়বেও না, কমবেও না। ফোনের মাদারবোর্ড সরাসরি শক্তি গ্রহণ করে ফোন চালু রাখে। বাইপাস চার্জিং মোড ব্যবহার না করলে ফোনটি সাধারণ মোডে ফেরত আসবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের স্মার্টফোনে এই উন্নত প্রযুক্তি কেন প্রয়োজন?
বর্তমানে সাধারণ কাজ, বিনোদন বা গেমিং ইত্যাদি প্রয়োজনে আমরা স্মার্টফোনেই থাকি সারাদিন। এমনও সময় আসে যখন আমাদের স্মার্টফোনকে চার্জে রেখেই কাজ করে যেতে হয়। সাধারণত, চার্জিংয়ের সময় ফোন অনেক তাপ উৎপন্ন করে। ভিডিও এডিটিং বা গেমিংয়ের মতো কাজ করার সময় এই তাপ বেড়ে দ্বিগুণ হয়, যা ফোনের জন্য খুবই বিপজ্জনক। স্মার্টফোনের ব্যাটারি ও অন্যান্য অংশের জন্য অতিরিক্ত তাপ ক্ষতিকর। গরম ফোন হাতে ধরে রাখাও খুব একটা সুখকর অনুভূতি নয়। সুতরাং, চার্জার প্লাগ-ইন করার সময় বাইপাস চার্জিং মোড চালু থাকলে স্মার্টফোন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ ব্যাটারিতে পাঠায়। এরপর বাকি শক্তি ফোনের মাদারবোর্ডে পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ, মাদারবোর্ডে পাওয়ার সাপ্লাইকে বাইপাস করে দেয়।
অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিসম্পন্ন ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন ব্যাটারি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হওয়ার পর এই চার্জ বাইপাস হয়ে যায়। নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো এই দুটি মডেল এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকায়। এর সাথে ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার ক্রেতারা পাচ্ছেন বিনামূল্যে। নোট ৩০ স্মার্টফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুটি ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১৮ হাজার ৯৯৯ এবং ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের নামে মামলা করেছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ‘গেম অব থ্রোনস’ (গট) লেখক জর্জ আরআর মার্টিন ও লেখক জন গ্রিশাম। বিবিসির শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই লেখকের দাবি, সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে চ্যাটজিপিটি লেখকদের মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করেছে।
মার্টিন তার ফ্যান্টাসি উপন্যাস সিরিজ ‘আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। পরে এ উপন্যাস অবলম্বনে ২০১১ সালে এইচবিওতে নির্মাণ হয় গেম অব থ্রোনস শো, যা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো (এলএলএম) অনলাইনে ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের প্রশিক্ষণ দেয়। মামলায় দাবি করা হয়, চ্যাটজিপিটিকে আরও স্মার্ট করে তুলতে লেখকদের অনুমতি ছাড়াই তাদের বই ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে ওপেনএআই কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা লেখকের মেধাস্বত্বের প্রতি সম্মান জানায় ও বিশ্বাস করে যে, এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তারাও উপকৃত হবেন। মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছেন জোনাথন ফ্রানজেন, জোডি পিকো ও জর্জ সন্ডাজের মতো লেখকরাও।
লেখকদের হয়ে কাজ করা ট্রেড গ্রুপ ‘অথরস গিল্ড’ নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে মামলা করে। ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বের অনেক নির্মাতার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করছি। আমরা এআই নিয়ে তাদের উদ্বেগের কারণগুলো বুঝতে এক হয়ে কাজ করছি।’
মামলার বিবরণে পুরো গণমাধ্যম শিল্পে এআই নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, ‘এ ধরনের প্রযুক্তি মানুষের লেখা কনটেন্টের জায়গা করে নিচ্ছে।’ মামলায় ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে ‘বড় ধরনের পরিকল্পিত চুরির’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
টেলিগ্রামের অনেক বট সম্পর্কে আমরা জানি না। তাই টেলিগ্রামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বট সম্পর্কে অবগত করতে এই লেখাটি। এখানে বটগুলোর সরাসরি ইউজার নেম দেয়া হয়েছে। কারণ একই নামে অনেক বট আছে।
@TGStat_Bot: টেলিগ্রামে অনেকের চ্যানেল থাকে। চ্যানেলের গ্রাফ দেখতে এই বট ব্যবহার করতে পারেন।
@cricbuzz_bot: টেলিগ্রামে খেলার খবর পেতে এই বট ব্যবহার করতে পারেন। এখানে খেলার কমেন্ট্রিসহ স্কোর দেয়া হয়।
@utuberabot: এই বট ব্যবহার করে ইউটিউবের সাম্প্রতিক ট্রেন্ডে থাকা ভিডিও সহজেই পেয়ে যাবেন। প্রত্যেক দেশের আলাদা আলাদা করে তথ্য দিতে পারে এই বটটি।
@ChannelInlineBot: আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে ইনলাইন পোস্ট দিতে ব্যবহার করতে পারবেন এই বট। পোস্টের নিছে সরাসরি লিংক এড করা যাবে।
@LivegramBot: লাইভগ্রাম বটটি দিয়ে আপনার নিজস্ব বট তৈরি করতে পারবেন। তবে ইউজারদের ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতে হবে আলাদা আলাদা করে।
@sticker2GIFBot: স্টিকার থেকে gif তৈরি করতে পারবেন এই বটের সাহায্যে। গিফ্টগুলো টেলিগ্রামে সেভও করতে পারবেন।
@Stickers: টেলিগ্রামের অফিশিয়াল স্টিকার বট এটি। এই বটের সাহায্যে আপনি টেলিগ্রামে স্টিকার যুক্ত করতে পারবেন এবং তা ব্যবহার করতে পারবেন ম্যাসেজে।
@QuizBot: টেলিগ্রামে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বট কুইজ বট। শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক এই বট। বটটির সাহায্য সময়সীমাসহ কুইজ তৈরি করতে পারবেন। গ্রুপ এবং ম্যাসেজে কুইজ টেস্ট দেয়া যাবে। তা ছাড়া এখানে লিডারবোর্ড সুবিধা ও আছে।
@cloud_upload_bot: এই বটটি ক্লাউডভিত্তিক বট। এখানে ফাইল, ছবি, ভিডিও আপলোড করে লিংকের মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। যাদের টেলিগ্রাম নেই তাদের সঙ্গেও শেয়ার করা যাবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর ব্যবহার দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেলেও আগামী বছরের শেষে দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সংস্থাটির।
অ্যানালাইটিক ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনের সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্ট এমন কথাই বলছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাট জিপিটি চালাতে প্রতিদিন কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে সংস্থার। শুধু চ্যাটজিপিটি সেবা দিতেই ওপেনএআই সংস্থা প্রতিদিন খরচ করছে ৭ লাখ ডলার, যা প্রায় ৮ কোটি টাকার সমান।
জিপিটি ৩.৫ এবং জিপিটি ৪ এই দুই সংস্করণকে মনিটাইজ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে লাভের মুখ দেখেনি। উল্টো প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে সংস্থাটির।
আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে চ্যাটজিপিটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ কোটি কমেছে, যা মোট ব্যবহারকারীর ১২ শতাংশ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওপেনএআই সংস্থার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত চ্যাটজিপিটি মেসেজিং পরিষেবাটি চালু হয়। ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পায় তারা। তবে দ্রুত কাজ করা এই অ্যাপ এখন কিছুটা হলেও বিপদে। যাত্রার শুরুর দিকে অসংখ্য ব্যবহারকারী এতে আগ্রহ দেখালেও বিগত কয়েক মাসে এই সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিপুল ব্যয়ে নাজেহাল ওপেনএআই সংস্থাটি।
অ্যানালাইটিকস ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন বলছে, টেকনোলজির এই প্রতিযোগিতার বাজারে অসংখ্য ওপেন সোর্স এলএলএম মডেল রয়েছে। যেগুলো বিনা মূল্যে নিবন্ধন ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। যেমন, মাইক্রোসফটের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি মেটার লিয়ামা-২ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্যও বিনা মূল্যে সেবা দিচ্ছে। চ্যাটজিপিটির সেবা বিনা মূল্য নয়। আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ফলে ওপেনএআইয়ের ব্যবহারকারীরাও অন্য বিকল্প দেখে সুবিধামতো বেছে নিচ্ছেন।
প্রতিবেদন বলছে, ওপেনএআই এখনো ব্যবসা থেকে লাভ করতে পারেনি। বরং মে মাসে ৫৪ কোটি ডলার ক্ষতি হয় সংস্থাটির। তবে আশা ছাড়েনি সংস্থাটি। তাদের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, চলতি বছর তারা ২০ কোটি ডলার লাভ করবে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের শেষে লাভের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা রাখলেও বর্তমানে ক্ষতির সম্মুখীন ওপেনএআই।
তথ্য সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস
প্রিমিয়াম ও স্মার্ট ডিভাইসের গ্লোবাল ব্র্যান্ড টেকনো রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট চালু করেছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া এই ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটের ঠিকানা আরআর মোবাইল, শপ নং ১৬ডি অ্যান্ড ১৭এ, লেভেল-৪, ব্লক-সি।
প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান, টেক ইউটিউবার আশিকুর রহমান তুষার, স্যামজোনসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে আইস্মার্টইউ টেকনোলোজি বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল হক বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কের এই স্মার্টফোন মার্কেট ক্রেতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ক্রেতার সুবিধার কথা চিন্তা করে, প্রিমিয়াম ডিজাইন, প্রিমিয়াম এক্সপেরিয়েন্স এবং আরও ভালো সার্ভিস দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা টেকনোর প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর এই মার্কেটে চালু করলাম। এখানে গ্রাহকরা আমাদের উদ্ভাবনী পণ্যগুলো পরখ করতে পারবে।
টেকনোর প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট চালু উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য টেকনো ক্যামন ২০ সিরিজ এবং স্পার্ক ১০ সিরিজসহ টেকনোর সর্বশেষ স্মার্টফোন ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ক্রয়ে গ্রাহকদের সাপ্তাহিক দুর্দান্ত পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে। ব্লকবাস্টার মুভি টিকিট অথবা সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এবং স্পা কক্সবাজারে দম্পতির রোমান্টিক ভ্রমণের সুযোগ, অথবা এয়ার অ্যাস্ট্রার সৌজন্যে ঢাকা-কক্সবাজার এয়ার টিকিট।
শুধু তাই নয়, একজন বিজয়ীর রানার বোল্ট ১৬৫আর বাইক জেতার সুযোগ রয়েছে মাসব্যাপী এই উদযাপনে।
২৩ আগস্ট ২০২৩। বিকেল ৬টা। ভারতীয় তো বটেই গোটা বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানপ্রেমীরা ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলে ঢুঁ মারতে শুরু করেন। চাঁদ অভিযানের রুদ্ধশ্বাস ত্রিশ মিনিট প্রত্যক্ষ করার জন্য। শঙ্কা ছিল, দ্বিধাও ছিল। কারণ এর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান তীরে গিয়ে তরি ডুবিয়েছিল। চাঁদের মাটি থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে থাকতেই বিধ্বস্ত হয় চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার। তাছাড়া দুইদিন আগে রাশিয়ার লুনার ২৫-এর করুণ পরিণতি দেখে শংকাটা আর বড় আওয়াজে বাজতে শুরু করেছিল ভারতীয়দের মনে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ইসরোর বিজ্ঞানীদের আর দূরে বসে অনালাইনে উপস্থিত ভারতের প্রধানন্ত্রীর শঙ্কিত চেহারাই বলে দিচ্ছিল, দোলচালে আছেন তাঁরাও। তবে গতবারের ভুল থেকে বিজ্ঞানীরা শিক্ষা নিয়েছিলেন বলেই কিনা, এবার কয়েকদিন ধরেই সফলতার মন্ত্র আওড়াচ্ছিল ভারতীয় মিডিয়া। সত্যিই সত্যিই তাঁদের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিল বিক্রমের কৃত্রিম পা চাঁদের মাটি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে।
খুব কম বাজেটে ভারত মহাকাশে অভিযান চালাচ্ছে গত একদশক ধরেই। চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রনযান ১, মঙ্গলের কক্ষপথে মঙ্গলযান ১ অরবিটার দুটি ঘুরে ঘুরে এখনো ভারতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সামর্থ্যের জয়পতাকা ওড়াচ্ছে। কিন্তু ভারতের স্বপ্ন ছিল চাঁদের বুকে ল্যান্ডার অবতারণ করানো। মঙ্গলবার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।
ভারত তাঁদের মহাকাশযান তৈরি করে নিজেদের ল্যাবরেটরিতেই, ব্যবহার করে নিজেদের স্পেস স্টেশন। ৭৬ বছর আগে সদ্য স্বাধীন হওয়া হতদরিদ্র দেশটা তখন হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি একদিন তারা চাঁদে নভোযান পাঠাবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৬টা ১৫ মিনিট থেকেই শুরু হয় অবতরণের সবচেয়ে কঠিন সময়টা। অবশ্য বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের ৩০ কিলোমিটার কক্ষপথে অবস্থান করছিল। শেষ ২০ মিনিটে ছিল আসল পরীক্ষা। চাঁদে বায়মণ্ডল নেই, তাই মঙ্গলে বা পৃথিবীতে যত সহজে একটা নভোযানকে অবতারণ করানো সম্ভব, চাঁদে সেটা সম্ভব নয়। বায়ুমণ্ডল নেই বলে মাটি স্পর্শ করার আগমুহূর্তে প্যারাস্যুটের সহায্যে অবতরণের কোনো সুযোগ নেই। তাই খুব ধীরে ধীরে ল্যান্ডারের গতি কমাতে হয়।
এদিন দেখা গেল, চাঁদের মাটি থেকে ৭.৪ কিলোমিটার দূরে থাকতে প্রায় স্থির হয়ে গেল বিক্রম। কারণ চাঁদের দূরত্ব পৃথিবী থেকে প্রায় চার লাখ কিলোমিটার। এত দূর থেকে চাইলেই ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না পৃথিবী থেকে। তাই শেষ মুহূর্তে গিয়ে ওই ব্রেক। তখন আসলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা দেখে নিচ্ছিলেন, সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। অবতরণ স্থান, সেখান কোন জায়গাটা বেশি সমতল, ইত্যাদি। তারপর ধীরে সুস্থে বিক্রমকে আবার চালাতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। শেষ আট শ মিটারে গিয়ে বিক্রম সবচেয়ে সাবধানী ছিল, খুব ধীরে নামো হচ্ছিল তখন সেটাকে। তারপর ১৫০ মিটার ও ৫০ মিটারে গিয়ে আরও দুবার ছোট ছোট ব্রেক নেয় বিক্রম। তারপর আসে সেই কাংখিত মুহূর্ত। বিক্রম অবতরণ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে।
বিক্রম যখন চাঁদে অবতরণ করছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে অবস্থান করছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখান থেকেই তিনি ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। বিক্রম চাঁদের মাটি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ১৪০ কোটি ভারতীয়কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘দূরের চাঁদমামা এখন ট্যুরের হবে’।
বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরু স্পর্শ করা প্রথম দেশ হতে চেয়েছিল। কিন্তু সে পথে বাগড়া দেয় রাশিয়া। গত ১১ আগস্ট তারা লুনার ২৫ মিশন চাঁদের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপন করে। তাঁদেরও লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ মেরু। কিন্তু তারা মাত্র দশদিনেই চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষমূহুর্তে গিয়ে চাঁদের মাটি থেকে অনেকটা দূরেই বিধ্বস্ত হয় লুনার ২৫-এর ল্যান্ডার। তাই ভারতের কপালেই উঠল চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের প্রথম খেতাব। লক্ষ্য এখন পরবর্তী গবেষণা।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফরাসী বিজ্ঞানী পিয়েরে সায়মন ল্যাপলাস হাজির হাজির করালেরন এক ডেমন বা দৈত্যকে। যিনি ভবিষ্যতের সকল ঘটনা পাই টু পাই বলে দেবেন। ভবিষ্যদ্বাণী করবেন গোটা মহাবিশ্বের প্রতিটা কোণে আগামীতে ঘটবে এমন সকল ঘটনার। ল্যাপলাস জানতেন মহাপুরুষের পক্ষেও সম্ভব নয়। পদার্থবিজ্ঞানে সেই ডেমন ল্যাপলাসের দৈত্য নামে অমর হয়ে গেছে।
তো কী কাজ এই দৈত্যের?
অতিমানবিক এক কাজ করতে হবে সেই দৈত্যের। তবেই আমরা পাব ভবিষ্যতের সকল রূপরেখা। এজন্য দৈত্যকে খাটতে হবে, জানতে গোটা ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন বছরের ইতিহাস। প্রায় ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন আগেই বিগ ব্যাংয়ের মাধ্যমে আমাদের মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছি। আদুরে বাংলা নামে যেটাকে আমরা বলি মহাবিস্ফোরণ। সেই মহাবিস্ফোরণের সাথে সাথে জন্ম হয়েছিল সময়ের। জন্ম হয়েছিল স্থানের। মোটা কথা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে জনপ্রিয় টার্ম স্পেসটাইম বা স্থানকালের শুরুটাই হয়েছিল মহাবিস্ফোরেণর সাথেই সাথেই। এরপরে প্রথম তিনমিনিটেই প্রচণ্ড গতিতে প্রসারিত হয়েছে স্থানকাল তথা মহাবিশ্ব। বিস্ফোরণের শক্তি থেকে তৈরি হয়েছে বস্তকণা আর আলো। এরপর কালের বিবর্তনে আরো প্রসারিত হয়েছে মহাবিশ্ব। প্রসারণের সাথে সাথে তৈরি হয়ে গ্যালাক্সি, গ্রহ-নক্ষত্র, উপগ্রহ-বামনগ্রহ, বামনগ্রহ, ধূমকেতু আরো কত কী!
মহাবিশ্বে গ্যালাক্সির সংখ্যায় প্রায় ১০ হাজার কোটি। একেকটা গ্যালাক্সিতে আবার কয়েক হাজার কোটি নক্ষত্র থাকে। গোটা মহাবিশ্বে নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ ইত্যাদির সংখ্যা বের করা শুধু কঠিনই নয়, প্রায় অসম্ভব। প্রতিটি গ্রহে, প্রতিটা উপগ্রহে, প্রতিটা নক্ষত্রে প্রতি মুহূর্তে কত ঘটনা ঘটছে। সামান্য একটা ব্যাকেটিরায় দেহেই ঘটছে কত ঘটনা। মানুষের কথা বাদই দিন। চলছে পরমাণুর ভেতরে ইলেকট্রন আর নিউক্লিয়নদের মধ্যেও কত কত অ্যাকশন-রি অ্যাকশন। শুধু পৃথিবীর মাত্র এক মুহূর্তের ঘটনার হিসাব কি কষা সম্ভব?
সম্ভব নয়। পৃথিবীর পাঁচ শ কোটি বছরের হিসাব রাখা আরও কঠিন। সেখানে গোটা মহাবিশ্বের ১৩.৮ বিলিয়ন বছরে প্রতিটা গ্যালাক্সিতে, নক্ষত্রে, গ্রহে, মহাজাগতিক বস্তুতে, প্রতিটা পরমাণুতে ঘটে যাওয়া ঘটনার হিসাব রাখবে কে?
মহাপুরুষই হোক আর দৈত্যই হোক, তার পক্ষে এত হিসাব রাখা সম্ভব?
ল্যাপল্যাস বলেছিলেন, তার সেই দৈত্যের পক্ষে সম্ভব মহাবিশ্বের জীবনের ইতিহাসে যত ঘটনা ঘটেছে, সব ঘটনার হিসাব তার নখদর্পনে থাকবে। সত্যিই যদি এমন কোনো দৈত্য থাকে বা তৈরি করা সম্ভব হয়, তাহলে সেই দৈত্যের পক্ষে সম্ভব মহাবিশ্বে ভবিষ্যতে কী ঘটবে তার সকল ঘটনার জবাব দেওয়ার।
পদার্থবিজ্ঞান অনেক কিছুরই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। যেমন আপনার হাতে একটা কলম আছে, সেটা আপনি ছেড়ে দিলেন হাত থেকে। তখন আপনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন সেটা মেঝেতে পড়বে। তেমনি চাঁদে নভোযান পাঠিয়ে আপনি বলতে পারবেন কখন কবে সেটি চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা অবশ্য ঘটে। মহাকাশযান চাঁদে পৌঁছানোর আগেই হয়তো বিধ্বস্ত হতে পারে। সেটা পদার্থবিদ্যার ব্যার্থতা নয়। ব্যার্থতা বিজ্ঞানীদের। হয়তো মহাকাশ যানের ত্রুটি ছিল, সেটা তাঁরা ধরতে পারেননি। তাঁরা পৃথিবী থেকে চাঁদ পর্যন্ত মহাশূন্যের প্রতিবন্ধকতাগুলোর হিসাব বের করতে পারেননি। মোটকথা হিসাবে ভুল ছিল। আর হিসাবে ভুল থাকলে ল্যাপলাসের দৈত্যেরও ক্ষমতা নেই ঠিকঠাক মতো ভবিষ্যৎ গণনা করার।
ল্যাপলাসের সময় মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের কথা জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ‘সময়’ তো সবকালেই ছিল। তাই ছিল অতীতের হিসাবও। ল্যাপল্যাস বলেছিলেন, সেই অতীতের সব ঘটনার কথা। সে অতীত যত লম্বাই হোক না কেন। এখন দেখা যাক, ল্যাপলাসের দৈত্যের পক্ষে আসলেই সম্ভব কিনা।
ল্যাপলাসের দৈত্যকে মানুষ বা প্রাণীই হতে হবে তার কোনো মানে নেই। সেটা যন্ত্র হলেও চলবে। হতে পারে সেটা সুপার কম্পিউটার। কিন্তু সেই সুপার কম্পিউটারই কি অতীতের সব হিসাব কষে রাখতে পারে?
পারে না। কারণ, তাপগতিবিদ্যার সূত্র। আরো নিশ্চিত করে বললে শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি।
শক্তির সংরক্ষণশীতা নীতি, যেটাকে আবার কার্নোর ইঞ্জিন তত্ত্ব থেকে বলা যায়, দুনিয়ায় এমন কোনো যন্ত্র তৈরি সম্ভব নয় যে শতভাগ দক্ষতায় কাজ করতে পারে।
সুতরাং এটা নিশ্চিত যত চেষ্টাই করা হোক, এমন কোনো যন্ত্র বা দৈত্য তৈরি করা সম্ভব নয় যে মহাবিশ্বের অতীতের সব ঘটনার হিসাব রাখবে। আবার যত হিসাব কষবে সেগুলোরও শতভাগকে সে আউটপুট হিসেবে বের করতে পারবে না। অর্থাৎ সব ঘটনার হিসাব থেকে সবগুলোর হিসাবকেই ভভিষ্যদ্বাণীতে রূপান্তরিত করেেত পারবে না। কিছু তথ্য হারিয়ে যাবে তার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। তাই ল্যাপলাসের দৈত্য তৈরি করা কখনোই সম্ভব হবে না, অন্তত আমাদের মহাবিশ্বে পদার্থবিদ্যার যে নীতি রয়েছে, সে অনুযায়ী এমন দৈত্যের জন্ম হবে না কখনো।
সাত সকালে বিল্টুর হাতে একটা যন্ত্র ধরিয়ে দিলেন ফজলু চাচা। বললেন, ‘নাও তোমার টাইম মেশিন?’
‘টাইম মেশিন!’ বড্ড অবাক হয় বিল্টু। এ যন্ত্র আজ পর্যন্ত কেউই বানাতে পারেননি। ফজলু চাচা বানিয়ে ফেললেন। অবশ্য ফজলু চাচাকে দুনিয়ার সেরা বিজ্ঞানী মনে করে বিল্টু। তার পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু এটা যদি সত্যি সত্যি টাইম মেশিন হয়, এর দাম তো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার! নাহ, বিলিয়ন নয়, ট্রিলিয়নও নয়, অমূল্য। এত দামি জিনিস চাচা ওকে দিয়ে দিলেন। বিল্টু চাচা গিয়ে বলল ওকথা৷ চাচা হেসে বললেন, ‘যে জিনিস অমূল্য, কেউ কি সেটা কিনতে পারবে? আর না-ই যদি বিক্রি হলো, ওটা দিয়ে আমার কী লাভ! আমি বরং আরেকটা বানিয়ে নেব।’
কিছুতেই বিস্ময় যাচ্ছে না বিল্টুর। তারমানে, চাচা চাইলেই আরেকটা বানিয়ে নিতে পারেন! এখন থেকে ওটা ওর!
কাকা ওকে দেখিয়ে দিলেন, কীভাবে চালাতে হবে যন্ত্রটা। দেখতে একটা খেলনা গাড়ির মতো। চাকাও আছে আবার পাখাও আছে। চাইলেই ওড়া যাবে, মাটিতেও চালানো যাবে, চাচা জানালেন। বিল্টু কিছুটা হতাশ হলো। বইয়ে পড়ছে, কেউ টাইম মেশিনে চড়ে যন্ত্রাটা চালু করলেই যন্ত্রসহ মানুষটা উধাও হয়ে যায়। চাচার যন্ত্রটা তাহলে তেমন নয়, সামনে পেছনে চলে। এই যন্ত্র কীভাবে টাইম ট্রাভেল করাবে কে জানে।
‘ওসব ভূঁয়া!’ চাচা বলেন। বিল্টু বুঝতে পারেন না, তাই চাচা ভেঙে বলেন, ‘তুমি যেটা ভাবছ ওটা ভূঁয়া, ওসন গাঁজাখুরি সায়েন্স ফিকশন বই আর সিনেমাতেই সম্ভব। বাস্তবের টাইম মেশিন এমনই।’
বিল্টুর কেমন যেন অস্বস্তি হলো। কিন্তু কিছু বলল না।
চাচার পাগলামির খতা সবাই জানে। তাই বিল্টু গাড়িটা লুকিয়ে রাখল বাড়ির পেছনের ঝোপের ভেতর। রাতে বের করবে।
রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েছে, বিল্টু তখন চুপিচুপি গাড়িটা বের করে রাস্তায় নামে। গ্রামের রাস্তা, একদম ফাঁকা থাকে এসময়। বিল্টু গাড়িতে উঠে বসে। এ গাড়ি চালানো খুব সহজ, অন্তত চাচার কথা যদি সত্যি হয়। শুধু সুইচ চেপে দিলেই হলো। অবশ্য ডিসপ্লেতে গাড়ির স্পিড ঠিক করে দিতে অথবা দিন তারিখ হয়। অর্থাৎ কবে কোন তারিখে কোথায় উপস্থিত হবে বিল্টু, সেটা লিখে দিলেই গাড়ি ইচ্ছেমতো চলতে শুরু করে।
বিল্ট গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবে। একেবারে আলোর বেগে চালিয়ে। এত গতি! তার আগে হেডলাইট জ্বালিয়ে নেয়। গাড়িটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চলে। তাই অ্যাকসিডেন্ট হওয়ার কোনো আশংকা নেই।
গাড়ি চলতে শুরু করে। কীন্তু একী, কিছুই যে দেখতে পাচ্ছে না! হ্যাঁ, গতির কারণে সবকিছু ঝাপসা দেখাতে পারে, কিন্তু পুরো অন্ধকার কী করে হয়? হেডলাইট জ্বালিয়েছে, তবু কিছু দেখা যাচ্ছে না কেন?
তখনই গাড়ির ইন্টারকমে খনখনে আওয়াজ শুনতে পায়, ‘বুদ্ধু কোথাকার!’ ফজলু চাচার গলা।
‘আরে গাড়ি চলছে আলোর গতিতে, হেডলাইটের আলোও চলছে আলোর গতিতে। তাই আলো সামনের কোনো বস্তুতে গিয়ে যখন পড়ছে, ঠিক একই সময়ে তুমিও সেই জায়গা অতিক্রম করছ। সেজন্য প্রতিফলিত আলো তোমার চোখে এসে পড়ছেই না। তাই দেখবে কী করে?’
পাঁচ বন্ধু সন্ধ্যায় খোলা মাঠে আড্ডা মারছেন। তখনই একঝাঁক মশা আক্রমণ করে বসল। সেটা আপনাকে। বাকি চারজনে যেন মশার রুচিই নেই। ভেবে দেখেছেন, কেন শুধু মশা আপনাকেই বেছে নিচ্ছে। শুধু আপনি নন, আমাদের পরিবারে সমাজের সবাইকে মশা একই হারে আক্রমণ করে না। কারও কারও রক্ত যেন মশার খুবই পছন্দ। কারও কারও রক্তে মশার অ্যালার্জি। এটা কেন হয়?
এ বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরে গবেষণা চলছে। সম্প্রতি আরেকটি গবেষণা হয়েছে, সেখান থেকে জানা গেছে চমকপ্রদ তথ্য। গবেষণাটি চালিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুজীববিদ্যার গবেষক লেসলি ভসহলের ও তার দল। তাদের গবেষণা বলছে, কিছু মানুষের চামড়ায় এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে, যেগুলো মশাকে আকৃষ্ট করে।
সেল ম্যাগাজিনে তাদের সেই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়। গবেষকরা ৬৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর একটি পরীক্ষা চালান। নানা সাজে স্বেচ্ছাসেবকরা ডেঙ্গুবাহী মশা এডিস ইজিপ্টাইর মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রতিবারই বিশেষ কয়েকজনের প্রতি মশাদের আগ্রহ ছিল বেশি, সেটা অন্যদের তুলনা প্রায় এক শ গুণ।
গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, যাদের মশা বেশি কামড়ায় তাদের ত্বকে কিছু বিশেষ ধরনের অ্যাসিড ক্ষরিত হয়। এই অ্যাসিডই আকৃষ্ট করে মশাদের। অথচ বিশেষ এই অ্যাসিড আবার ওই ব্যক্তির ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অ্যাসিড ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকভেদে এই অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ ভিন্ন। তাই যাদের শরীরে এই অ্যাসিড ক্ষরণের হার বেশি, মশা তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় নেই। সারা জীবন এই অ্যাসিডের প্রতি মশার আগ্রহ নিয়েই মানুষকে বেঁচে থাকতে হবে।
সূত্র: সেল ম্যাগাজিন
বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গুর বড় আঘাতের পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। দেখা যায় আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সরকারি পরিসংখ্যানে রোগীর যে সংখ্যা দেখানো হয়, তা ঢাকার মাত্র ৭৭টি হাসপাতাল ও অন্যান্য জেলার অল্পকিছু হাসপাতালের তথ্য। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ। আবার অসংখ্য রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষা করে বাসায় চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
পৃথিবীতে প্রতিবছর ৩৯০ মিলিয়ন ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ হয়, যার মধ্যে ৯৬ মিলিয়ন ক্লিনিক্যালি তীব্রতাসহ প্রকাশ পায়। পৃথিবীর ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও এর ৭০ শতাংশ এশিয়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এবার ডেঙ্গুঝুঁকিতে থাকবে। ডেঙ্গু ভাইরাস প্রধানত এডিস ইজিপ্টাই প্রজাতির স্ত্রী মশা দ্বারা সংক্রামিত হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে অল্প মাত্রায় এডিস অ্যালবোপিকটাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এই প্রজাতির মশা চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার ও জিকা ভাইরাসেরও বাহক।
ডেঙ্গু Flaviviridae পরিবারের একটি ভাইরাস এবং এর চারটি স্বতন্ত্র, কিন্তু ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত সেরোটাইপ রয়েছে (DENV-1, DENV-2, DENV-3 এবং DENV-4), যা ডেঙ্গু সৃষ্টি করে। অবশ্য আফ্রিকার একটি দেশে DENV-5 ধরনের ভাইরাস পাওয়া গেছে। এই ভাইরাসটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে পাওয়া গেছে। একটি সেরোটাইপ দিয়ে একবার ডেঙ্গু হলে একই সেরোটাইপ দিয়ে আর ডেঙ্গু হয় না। তবে অন্য সেরোটাইপ দিয়ে একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে, যা মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। ডেঙ্গুর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। লক্ষণ অনুযায়ী এই রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। পৃথিবীব্যাপী মশা নিয়ন্ত্রণই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায়। তবে কোনোভাবেই যেন মশার সঙ্গে পেরে উঠছে না মানুষ। তাই পৃথিবীর বড় বড় গবেষণা সংস্থা নজর দিয়েছে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরিতে।
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করা চ্যালেঞ্জিং এই কারণে যে, ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ রয়েছে এবং চারটি সেরোটাইপই ডেঙ্গু রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি কোম্পানি ইতোমধ্যে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল হয়েছে এবং কয়েকটি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের ফেজ-৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত সানোফি পাস্তুর দ্বারা তৈরি ডেনভ্যাকসিয়া (Dengvaxia®) হলো একমাত্র ভ্যাকসিন, যা ২০১৫ সাল থেকে বিশ্বের অনেক দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং ব্যবহৃত হচ্ছে। সানোফির তথ্যমতে, এটি পূর্বে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এমন ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তিরা গ্রহণ করতে পারবে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (CDC) ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এটি দেয়ার সুপারিশ করেছে। তবে এই ভ্যাকসিন দেয়ার আগে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে, এই ব্যক্তি আগে ডেঙ্গু দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিল। কারণ হলো, শিশুদের আগে ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়নি তাদের এই ভ্যাকসিন দেয়ার পর ডেঙ্গু হলে সেই রোগটি গুরুতর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের টিকা দেয়ার আগে পরীক্ষাগার-নিশ্চিত পূর্ববর্তী ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রমাণ পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
Dengvaxia®-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে গর্ভবতী মায়েদের সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তাই এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত নেই। গর্ভাবস্থায় ডেনভ্যাকসিয়ার প্রভাব নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। গর্ভবতীরা যেহেতু যেকোনো ভাইরাসজনিত রোগের জটিলতার ঝুঁকিতে থাকে।
৯ বছরের কম বয়সী শিশুদের আগে ডেঙ্গু সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কম। এই কারণে ৯ বছরের কম বয়সীরা Dengvaxia® ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য যোগ্য নয়। ডেঙ্গু থেকে পূর্ণ সুরক্ষার জন্য ডেনভ্যাকসিয়া ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ এবং প্রতিটি ডোজ ছয় মাসের ব্যবধানে (০, ৬ এবং ১২ মাসে) দিতে হবে।
শিশুদের মধ্যে যাদের টিকা দেয়ার আগে ডেঙ্গু হয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে ডেঙ্গু রোগ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং গুরুতর ডেঙ্গু থেকে ৮০ শতাংশ (১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন) রক্ষা করে। ভ্যাকসিনটি চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসের (ডেঙ্গু 1, 2, 3 এবং 4) বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দেয়।
Dengvaxia® ভ্যাকসিন নেয়ার পর কত বছর ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দেয়, সেটি নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ গবেষণা এখনো হয়নি। তবে কোম্পানির তথ্যমতে, ভ্যাকসিনটি কমপক্ষে ছয় বছরের জন্য ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করবে। যদিও ভ্যাকসিনটি অত্যন্ত কার্যকর, তবে টিকাপ্রাপ্ত স্বল্পসংখ্যক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির প্রমাণও পাওয়া গেছে। Dengvaxia® ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যথা, চুলকানি বা ইনজেকশন সাইটে ব্যথা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা এবং সাধারণ অস্বস্তি।
জাপানের তাকেদা ফাউন্ডেশন QDENGA® (TAK-003) নামে একটি ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এটি আগস্ট ২০২২-এ, ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ইন্দোনেশিয়া জাতীয় ওষুধ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। ৬ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে যেকোনো সেরোটাইপের ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দেবে বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফেজ-১, ২ ও ৩ পর্যায়ের ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিন কার্যকর ও নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। এই টিকাটি ছয় বছরের বেশি সবাইকে দেয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই দুটি ডোজ দিতে হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার তিন মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়। এতে শরীরে জীবনব্যাপী প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয় বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে গবেষণালব্ধ নিশ্চিত প্রমাণ নেই। এটি DENV-2 ধরনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। তবে অন্য তিনটি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট ডেঙ্গু জ্বর থেকেও সুরক্ষা দেবে বলে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইউকে, আইসল্যান্ড, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ অনেকগুলো দেশ জাপানের তৈরি এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
ভারতের প্যানেসিয়া ফার্মাসিউটিক্যালস ও সেরাম ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির প্রায় শেষ প্রান্তে চলে এসেছে। এই কোম্পানির ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরও সাতটি কোম্পানি ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডিভি১- ডিভি ৪, টেট্রাভেক্স-ডিভি- টিভি ০০৩, আভিদা বায়োটেকস, কেএম বায়োলিকস কেডি ৩৮২/ টেট্রাভ্যালেন্ট, ইমার্জেকস পেপজিএনপি-ডেঙ্গু, কোডাভ্যাকস-ডেনভি, প্যানাসিয়া বায়োটেক ইত্যাদি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন আমদানি এবং প্রয়োগ করবে কি না, সেটি নানা মাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। একজন গবেষক হিসেবে আমি মনে করি এটির আমদানি এবং প্রয়োগের আগে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশ, যারা এটি প্রয়োগ শুরু করেছে তাদের কাছ থেকে এর ফলাফল এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
লেখক: অধ্যাপক, কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের গবেষকরা এক অভিনব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন। এর সাহায্যে যেকোনো লেখা থেকে তৈরি করা যাবে মিউজিক। এই মিউজিকগুলো এক থেকে দেড় মিনিট পর্যন্ত লম্বা হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শিস বা গুনগুন করা সুরকে অন্য বাদ্যযন্ত্রের মিউজিকেও পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো লেখা থেকে তৈরি হবে মিউজিক। গুগলের কিছু গবেষক তাদের এই নতুন গবেষণা নিয়ে ‘মিউজিকএলএম, জেনারেটিং মিউজিক ফ্রম টেক্সট’ শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। পুরো মডেলটির নাম দেয়া হয়েছে ‘মিউজিকএলএম’। তবে জনসাধারণের জন্য এখনই উন্মুক্ত নয় এটি। আপাতত এটি ব্যবহার করে কিছু বাজানো যাবে না। গুগলের গবেষকরা যদিও কিছু স্যাম্পল গবেষণাপত্র সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে জুড়ে দিয়েছেন।
তবে যেটাই তারা জুড়ে দিক না কেন, সেগুলোকে বেশ চমকপ্রদ হিসেবেই উল্লেখ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই। কারণ একটি অনুচ্ছেদের বর্ণনা থেকে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের একটি মিউজিক তৈরি করেছে গুগলের নতুন এই প্রযুক্তি। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, এটি শুনতে প্রকৃত গানের মতোই।
মিউজিকএলএম নামক নতুন এই প্রযুক্তি মানুষের কণ্ঠও অনুকরণ করতে পারে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ এটিই প্রথম নয়। কিন্তু মিউজিকএলএমের রয়েছে সমৃদ্ধ ডেটাবেজ। এই ডেটাবেজে আছে দুই লাখ ৮০ হাজার ঘণ্টার মিউজিক। এর সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে গুগলের এই নতুন প্রোগ্রামটি। গুগলের গবেষকরা এখনো কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত আনা হচ্ছে নতুনত্ব। যাতে যেকোনো টেক্স থেকে ভালোমানের মিউজিক তৈরি করা যায়। নতুন এই ফিচারটি জনসাধারণের জন্য কবে উন্মুক্ত হবে, গুগলের গবেষকরা এ বিষয়ে এখনই কিছু জানাননি।
সূত্র: দ্য ভার্জ
শিগগির বিশ্ববাজারে স্যুটকেস টেলিভিশন নিয়ে আসছে এলজি। সম্প্রতি এক সংবাদবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সামনেই বিশ্বকাপ। আপনি হয়তো সপরিবারে বা সবান্ধব বনভোজনে গিয়েছেন। রাত্রিযাপন করছেন তাঁবুতে। বাংলাদেশের খেলা মিস করার জো আছে? হাতে মোবাইল আছে। চাইলেই অনলাইনে খেলা দেখে নিতে পারেন। কিন্তু বড় পর্দায় সবাই মিলে একসঙ্গে খেলা দেখার যে মজা, সেটা কি মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে মেটে! আর মেটে না বলেই বাড়িতে ৪৩ ইঞ্চি টিভি রেখে অনেকেই বিশ্বকাপের খেলা দেখেন রাস্তার মোড়ে টাঙানো কোনো প্রজেক্টরের পর্দায়! তাই ঘুরতে গিয়ে সেটা মিস যেন না হয়, সে ব্যবস্থাই করছে এলজি। হ্যাঁ, অত বড় পর্দা হয়তো মিলবে না। কিন্তু ২৭ ইঞ্চি টেলিভিশনই বা কম কী?
এলজির ‘স্টান্ডবাই মি গো’ মডেলের টেলিভিশনটিতে রয়েছে ২৭ ইঞ্চি পর্দা। তবে এর বড় বিশেষত্ব হলো, এর পুরোটাই ইনস্টল করা থাকে একটা স্যুটকেসের ভেতর। স্যুটকেস খুললেই টিভিটি দৃশ্যমান হবে। তখন টেলিভিশনের পর্দাটা সোজা করে দাঁড় করালেই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
আর সব স্মার্ট টিভির মতোই সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই টেলিভিশনে। গান শোনা, ভিডিও দেখা, ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা তো আছেই। এর সঙ্গে রয়েছে বিল্ট ইন চারটি স্পিকার। সুতরাং বেশ জোরালো শব্দে গান ও ভিডিওর সাউন্ড শুনতে পারবেন। ঘুরতে গেল সব সময় হাতের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ নাও থাকতে পারে। সে কথা ভেবেই এই টিভিতে রাখা হয়েছে বিল্ট ইন ব্যাটারি, যা একবার চার্জে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।
এতে আছে অ্যাপলের এয়ার প্লে ব্লুটুথ টেকনোলজি। ফলে খুব সহজেই আইফোন বা আইপ্যাডের কোনো ভিডিও মিরর স্ক্রিনের সাহায্যে এই টিভিতে দেখতে পাবেন। ব্যবহারের জন্য টিভিকে স্যুটকেসের বাইরে বের করে আনার দরকার নেই। এর ভেতরেই রয়েছে একে দাঁড় করিয়ে রাখার মতো একটা সুবিধাজনক স্ট্যান্ড। চাইলে এর স্ক্রিন রোটেডও করতে পারবেন। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের মতো আড়াআড়ি এবং উলম্ব- দুভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। এতে রয়েছে ভয়েস কন্ট্রোল সুবিধাও।
এতে রয়েছে এইচডি পর্দা। অর্থাৎ এর ডিসপ্লের রেজল্যুশন ১০৮০ পি। তাই উচ্চমানের ভিডিও দেখতে পারবেন। আগস্টের শেষ দিকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে টিভিটি। প্রাথমিকভাবে এর দাম পড়বে ১ হাজার ইউএস ডলার।