শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিলেন মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুক পোস্টে আরেক দফা কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
১৪ মার্চ, ২০২৩ ২০:৪২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৩ ২০:৪০

আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। আসন্ন মাসগুলোতে কয়েক ধাপে কাজটি করা হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। পাশাপাশি ৫ হাজার খালি পদে নিয়োগ স্থগিত করা হচ্ছে। খবর দ্য ভার্জের।

গত নভেম্বরে মেটার ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণার মাস চারেকের মধ্যেই এল নতুন ঘোষণা।

নতুন করে কর্মী ছাঁটাই শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই। শুরুতে এর প্রভাব পড়বে মেটার নিয়োগ-সংক্রান্ত বিভাগে। এপ্রিলে প্রযুক্তি-সংক্রান্ত কাজে যুক্ত কর্মীদের জানানো হবে। আর ব্যবসায়-সংক্রান্ত কাজে যুক্ত কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে মে মাসে।

নতুন ঘোষণার কথা এরই মধ্যে কর্মীদের জানিয়েছেন জাকারবার্গ। ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘চলতি বছরে যত দ্রুত সম্ভব এই প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন সম্পন্ন করার আশা করছি যেন অনিশ্চয়তার মুহূর্ত পেরিয়ে আমরা সামনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগী হতে পারি।’

ফেব্রুয়ারিতে মেটার আর্থিক বিবরণী উপস্থাপনের সময় চলতি বছরকে ‘কার্যকারিতার বছর’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন জাকারবার্গ। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে পরিবর্তন এনে মাঝপর্যায়ের কিছু ব্যবস্থাপক বাদ দেয়ার কথা বলেছিলেন যেন দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণ সম্ভব হয়।

কর্মীছাঁটাই এবং আয় হ্রাস পাওয়ার পরও মেটাভার্স তৈরিতে বিপুল বিনিয়োগ করে যাচ্ছে মেটা। পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর টুল তৈরির ঘোষণাও দিয়েছে।

গত কয়েক মাসে প্রযুক্তি খাত থেকে প্রায়ই কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা এসেছে। আমাজন, গুগল, মাইক্রোসফট, স্পটিফাই, ভিমিও, ডোরড্যাশসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও একই পথে হেঁটেছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কথাই বলেছে বারবার।

বিষয়:

ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে এলো ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রযুক্তিকথা প্রতিবেদক

বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ নিয়ে এসেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এই সিরিজে থাকছে দুটি মডেল- ইনফিনিক্স নোট ৪০ এবং ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো।

নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং রিভার্স চার্জের সুবিধা। ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় স্মার্টফোন চার্জ করতে পারবে সুবিধাজনক, বহনযোগ্য ও শক্তিশালী এই ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি। নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাবেন ম্যাগকেস নামক ম্যাগনেটিক ব্যাক কাভার। এছাড়াও নোট ৪০ এর সাথে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগপ্যাড নামক ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড এবং নোট ৪০ প্রো এর সাথে থাকবে ম্যাগপাওয়ার নামক ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে আরও যুক্ত করা হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১। প্রচলিত চিপের চেয়ে চিতা এক্স১ এর সক্ষমতা ২০৪% বেশি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে এই ফোনগুলো গেমার ও হেভি ইউজারদের দেবে চমৎকার পারফরম্যান্স ও কার্যকারিতা। উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি।

৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে নোট ৪০ প্রো। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০% পর্যন্ত চার্জ হবে এই ফোন। অন্যাদিকে, নোট ৪০-এর ৪৫ ওয়াট অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ সব পরিস্থিতিতেই ফোনের ব্যবহারকে সহজ করে তুলবে।

নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে নিরাপত্তা জোরদারে দেওয়া হয়েছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর নোট ৪০ প্রো-তে আছে বেজেল-বিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে। ফোনে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।

নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ। এছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। চমৎকার অডিওর জন্য নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএল-এর প্রযুক্তির সমন্বয়।

৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রো-এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। অন্যদিকে, ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা। এই ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এই দুটি রঙে।

১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল রিটেইলার এবং অনলাইনে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।


‘বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে বিতর্ক থাকা উচিত নয়’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ এক ও অভিন্ন। এই তিনটি ইস্যুতে আমাদের কোনো বিতর্ক থাকা উচিত নয়। বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শিতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিই হবে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম হাতিয়ার। তিনি একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।’

মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমাদের এই স্বাধীনতা তখনই পূর্ণ হবে, যখন আমার কৃষক-শ্রমিকরা পেট ভরে ভাত খেতে পরবে; যখন আমার মা-বোনেরা পরনের কাপড় পাবে, যখন আমার যুবকরা চাকরি বা কাজ পাবে’। মাত্র ৪টি লাইনে বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার একটা দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, যেমনটা দিয়েছিলেন ৭ মার্চের ভাষণে।”

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর মাত্র ৯ মাসের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, যেখানে নাগরিকের ৫টি মৌলিক অধিকার রাষ্ট্রের দ্বারা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শের সম্পূর্ণ উল্টো দিকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তাই আজ আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাই, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ এক ও অভিন্ন এই তিনটি ইস্যুতে সকল শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে আমাদের কোনো বিতর্ক থাকা উচিত নয়।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে মুছে দিয়ে বাংলাদেশকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। যার কারণে দীর্ঘ ২১টা বছর আমাদের দেশে কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি। এ দেশের নাগরিকদের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই উল্টো পথের যাত্রা থেকে আমাদের দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করেছেন।’


আবারও ফেসবুকে সমস্যা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২০ মার্চ, ২০২৪ ২২:৫৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফেসবুকে আবারও সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যার কারণে ভালোমতো দেখা যাচ্ছে না লাইভ ভিউয়ের সংখ্যা এবং পেইজের কাভার ফটো।

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।

সার্ভার সমস্যার কারণে এমনটি হতে পারে বলে ধারণা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের। কারণ প্রায় ১০ ঘণ্টা আগে ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) এ এক পোস্টে এর ইঙ্গিত দেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।

এক্সে তিনি লেখেন, ‘আমার আরেকটি সার্ভার জটিলতা প্রয়োজন। এর বাইরে এ বিষয়ে মেটার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।’

এর আগে ৫ মার্চ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮১৭ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। দ্রুত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইনের চেষ্টা করেও পারেনি ফেসবুকে লগইন করতে।

বিষয়:

মহাকাশে চালু হচ্ছে রেস্তোরাঁ!

‘স্পেসভিআইপি’র ভাসমান রেস্তোরাঁ। ছবি: এপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মহাকাশের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ভাসমান রেস্তোরাঁ খুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ‘স্পেসভিআইপি’ নামে একটি পর্যটন কোম্পানি। রেস্তোরাঁর জন্য বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা এক ড্যানিশ শেফকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। তবে এখনো আরও কিছু কাজ বাকি। তাই অতিথিদের স্বাগত জানাতে আরও একটি বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

‘স্পেসভিআইপি’ তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে রেস্তোরাঁর বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁটি দেখতে হবে অনেকটা বেলুনের মতো। ছয় ঘণ্টার জন্য সেই হাইটেক স্পেস-বেলুনে মহাকাশ-সফরে নিয়ে যাওয়া হবে অতিথিদের। তার জন্য মাথাপিছু খরচ প্রায় ৫ লাখ ডলার।

‘স্পেসভিআইপি’ জানিয়েছে, তাদের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুকিংসংক্রান্ত অসংখ্য প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, এ সফরে নাম লেখাতে কোথায় সাইন আপ করতে হবে।

আপাতত ছয়জন অতিথির জন্য টেবিল থাকছে রেস্তোরাঁয়। চারপাশে বড় বড় জানালা, চোখ চলে যাবে সুদূরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ লাখ ফুট উচ্চতায় বসে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে খাবার উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা। ওয়াইফাইও থাকবে।

বিশ্বের অন্যতম সেরা ড্যানিশ রেস্তোরাঁ ‘অ্যালকেমিস্ট’-এর শেফ রাসমুস মাঙ্ক মেন্যু তৈরি করছেন। এখনো মেন্যু চূড়ান্ত হয়নি, তবে ৩২ বছর বয়সি শেফ জানিয়েছেন, মহাকাশ সফরের মতো মেন্যুতেও স্বাদে-গন্ধে চমক থাকবে।

মাঙ্ক জানান, খরচ অনেকটাই বেশি, তবু মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। তার কথায়, এই সফরের বিপুল খরচ সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। তবে এটাই প্রথম যাত্রা কি না, তাই এতটা দামি। মাঙ্ক নিজেও প্রথম সফরে অংশ নেবেন। জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও অনেক সফর হবে। টিকিটের দাম ধীরে ধীরে কমবে। আরও বেশি মানুষ এ অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

‘স্পেসভিআইপি’র প্রতিষ্ঠাতা রোমান চিপোরুখা বলেন, ইতোমধ্যে কয়েক ডজন আবেদন জমা পড়েছে আমাদের কাছে। সবাই খুব উৎসাহী। কিন্তু আমাদের কাছে মাত্র ছয়টি আসন রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রী-তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

মহাকাশে ভাসমান বেলুন-রেস্তোরাঁটি নির্মাণ করেছে ‘স্পেস পারসপেকটিভস’। অতিথিদের কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। জানা গেছে, রকেট নয়, একটি স্পেস বেলুনের সাহায্যের এক ধরনের ক্যাপসুলে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে যাত্রীদের। প্রযুক্তিটির পেছনে রয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আগামী মাস থেকে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন শুরু হবে।

তবে শুধু ‘স্পেসভিআইপি’ নয়, ২০২৫ সালের পর্যটন-বাজারে তাদের প্রতিযোগীরাও হাজির হচ্ছে। গত বছর ফ্রান্সের একটি সংস্থা ‘জেফাল্টো’ ঘোষণা করেছিল, তারাও মহাকাশ-রেস্তোরাঁ খুলতে যাচ্ছে। খরচ অবশ্য অনেক কম, একটি টিকিটের দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার।


একসঙ্গে কাজ করবে বিসিএস ও বিআইটিপিএফসি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৮ মার্চ, ২০২৪ ১৫:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনাল ফেন্ডস ক্লাব এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি সারা দেশে থেকে বিভিন্ন আইটি প্রফেশনালদের নিয়ে গঠিত। বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচারের জন্য কীভাবে একে অপরের প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে একসঙ্গে কাজ করা যায় এ নিয়ে উভয় সংস্থার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি ড. সামসুল আরেফিন বলেন, ‘বাংলাদেশের আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এর জন্য দরকার কলাবোরেশান। নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে দেশের মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রফেশনাল ট্রেনিং ওয়েবনার ওয়ার্কশপসহ নানা ধরনের কার্যক্রম চালু করতে হবে।’

বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনাল ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি সালেহ মোবিন বলেন, ‘ দেশে আমাদের আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে আমাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

সংগঠনের সহসভাপতি ফারুক আজম এরশাদ বলেন, ‘২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। উঠতি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ট্রেনিং, ওয়েবনার ওয়ার্কশপসহ আয়োজন করা এবং কীভাবে তাদের জীবনের পরবর্তী ধাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবেন, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ইত্যাদি বিষয়ে উভয় সংস্থার অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’

জেনারেল সেক্রেটারি এসএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমরা বাংলাদেশের সর্বস্তরের আইটি প্রফেশনালদের একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে বিসিএস এবং বিআইটিপিএফসি একসঙ্গে হয়েছিলাম। এর মাধ্যমে দুই পক্ষ একমত হয়েছি যে, সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’

শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনালস ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট সালেহ মোবিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক আজম এরশাদ, মহাসচিব এসএম সাজ্জাদ হোসেন, এডভাইজার শাহজেব ইবনে হোসেন, সেক্রেটারি পাবলিক রিলেসন রাজিব হাসান, সেক্রেটারি মেম্বারশিপ ডেভেলপমেন্ট সাব্বির আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন। সহ-সভাপতি (এডমিন) ও সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম। সহ-সভাপতি (ফিন্যান্স) অধ্যাপক মো. আব্দুল বাছেত সহ-সভাপতি (একাডেমিক) জয়নাল আবেদীন, মহাসচিব এলিন ববি, যুগ্ম-সচিব (এডমিন): শরিফুল আনোয়ার, যুগ্ম-সচিব (ফিন্যান্স) মো. জারাফাত ইসলাম, যুগ্ম-সচিব (একাডেমিক) প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ. মো. শাহরিয়ার হোসেন খান ফরহাদ এবং কাউন্সিলর এসএম সাজ্জাদ হোসেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনালস ফ্রেন্ডস ক্লাব একটি অলাভজনক সংগঠন। এই ক্লাবের বর্তমান সদস্য ১২ হাজারের বেশি। ক্লাবের লক্ষ্য পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটি খাতে দক্ষ জনবল তৈরি করা, নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা।


সিগওয়ার্ক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করেছে ৯ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রযুক্তিকথা ডেস্ক

আগের বছরের চেয়ে ২০২৩ সালে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন ও লেবেলের জন্য প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী কোম্পানি সিগওয়ার্ক স্কোপ ১ এবং ২ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নয় শতাংশ হ্রাস করেছে।

কোম্পানিটি তাদের ২০২৩ সালের সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে একটি প্রকৃত টেকসই ব্যবসা হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার প্রতি কোম্পানিটির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

২০২৩ সালের সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদনে সিগওয়ার্ক তার টেকসই ব্যবসায়িক কৌশল “হরাইজননাউ (HorizonNOW)” এর একটি বিস্তারিত ধারণা দিয়েছে। এতে ২০২৫ সালের সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত লক্ষ্য এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উন্নতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

পরিমাণগত মেট্রিক্সের মাধ্যমে, সিগওয়ার্ক স্বচ্ছতার সাথে ২০২৩ সালের জন্য গুণগত মাইলফলকসহ সব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র জুড়ে নিজেদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং বিভিন্ন উদ্যোগ উপস্থাপন করেছে। সিগওয়ার্কের হেড অফ গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড সার্কুলার ইকোনমি অ্যালিনা মার্ম বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি’র প্রতি সিগওয়ার্কের প্রতিশ্রুতি শুধু কমপ্লায়েন্সেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের কর্পোরেট নীতির সাথেও গভীরভাবে জড়িত।”

প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো:

নিরাপদ ও সার্কুলার কালি ও কোটিংয়ের জন্য উদ্ভাবন:

সিগওয়ার্ক তার পণ্য উদ্ভাবন ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছে। এসব প্রক্রিয়া কনভার্টার ও ব্র্যান্ড মালিকদের কার্যকরী, নিরাপত্তা ও সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। ২০২২ সালে নিজেদের পণ্য সিরিজ ইউনিন্যাচার ও ডি-ইংকিং প্লাস্টিক সমাধানের জন্য তিনবার প্যাকেজিং ইউরোপের সাসটেইনেবিলিটি পুরস্কার জিতে নেয় সিগওয়ার্ক।

জলবায়ু সংক্রান্ত ব্যাপক কার্যক্রম:

২০৫০ সালের মধ্যে নিট-জিরো অর্জন করার উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য (বিজ্ঞান ভিত্তিক লক্ষ্যের উদ্যোগ দ্বারা যাচাইকৃত) নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সিগওয়ার্ক। প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, কোম্পানিটি বর্তমানে এই লক্ষ্য পূরণেই কাজ করছে। বেসলাইন বছর ২০২২ থেকে এখন পর্যন্ত সিগওয়ার্ক স্কোপ ১ এবং ২ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নয় শতাংশ হ্রাস করেছে।

বৈশ্বিক সামঞ্জস্য বিধান:

সিগওয়ার্ক কীভাবে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

অংশীদারদের সাথে মিলিত কার্যক্রম:

সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগের কেন্দ্রে আছে সহযোগিতা। প্রতিষ্ঠানটি সক্রিয়ভাবে তার ক্রেতা, পার্টনার এবং জনগণসহ অংশীদারদের মতামত গ্রহণ করে। এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজের সাথে সিগওয়ার্কের বৈশ্বিক সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিসহ সাম্প্রতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

সিগওয়ার্কের লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির সিইও বলেন, প্রতিবেদনটি নিরাপদ, সার্কুলার এবং ডিজিটাল প্যাকেজিং সমাধানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের জন্য সিগওয়ার্কের অগ্রণী অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। গ্রাহক, ব্র্যান্ড মালিক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে টেকসই প্যাকেজিংয়ের ভবিষ্যৎ গঠনই সিগওয়ার্কের লক্ষ্য।


১ ঘন্টা পর সক্রিয় ফেসবুক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সক্রিয় হয়েছে মেটার আওতাধীন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর সক্রিয় হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে সচল হতে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমটি।

এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার সময় ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮১৭ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। দ্রুত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইনের চেষ্টা করেও পারেনি ফেসবুকে লগইন করতে।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। মেটার অভ্যন্তরীণ সিস্টেম আগেই ডাউন হয়ে পড়ে এটি। বিশ্বব্যাপী তার প্রভাব পড়েছে আজ মঙ্গলবার।


হঠাৎ নিষ্ক্রিয় ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মার্চ, ২০২৪ ২২:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না।

ফেসবুকে সক্রিয় থাকা আইডিগুলোও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং ইনস্টাগ্রামেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮১৭ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। দ্রুত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইনের চেষ্টা করেও পারেনি ফেসবুকে লগইন করতে।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। মেটার অভ্যন্তরীণ সিস্টেম আগেই ডাউন হয়ে পড়ে এটি। বিশ্বব্যাপী তার প্রভাব পড়েছে আজ মঙ্গলবার।

এদিকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রবেশ করতে না পেরে বাংলাদেশি অনেক ব্যবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে। বিষয়টি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে একজন আরেকজনের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা গেছে।


গেমিংয়ে সেরা পারফরম্যান্স দিতে বাজারে এলো ইনফিনিক্স হট ৪০ প্রো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

স্মার্টফোন গেমারদের জন্য বাংলাদেশের বাজারে নতুন গেমিং ফোন হট ৪০ প্রো নিয়ে এলো প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। তরুণ গেমারদের সেরা গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে, শক্তিশালী ও উন্নত ফিচারসম্পন্ন এই ফোন এনেছে ব্র্যান্ডটি। ডিভাইসটিতে উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে জোর দেওয়া হয়েছে খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয়ের ওপর।

হট ৪০ প্রো ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্ট্রা-স্পিড প্রসেসের। ফলে কম শক্তি খরচেই পাওয়া যাবে কার্যকর পারফরম্যান্স। এই প্রসেসরকে আরও শক্তিশালী করেছে ইনফিনিক্সের তৈরি এক্স-বুস্ট গেমিং ইঞ্জিন। এই সমন্বয়টি তরুণদের গেমিং চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করবে স্বচ্ছন্দ অভিজ্ঞতা।

দিনব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে সাশ্রয়ী মূল্যের এই গেমিং ফোনটিতে আছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি এবং ৩৩ ওয়াটের টেকসই ফাস্ট চার্জার। এই চার্জার দিয়ে মাত্র ৩৫ মিনিটেই ফোনটির চার্জের পরিমাণ ২০% থেকে ৭৫% করা যায়। এছাড়াও চার্জিং-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফোনটিতে আছে রিয়েল-টাইম টেম্পারেচার মনিটরিং ফিচার।

উন্নত গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য হট ৪০ প্রো ফোনটিতে আছে ৮ জিবি র‍্যাম, যা ১৬ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ১২৮ জিবি ধারণক্ষমতার এই স্মার্টফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক এক্সওএস ১৩.৫ অপারেটিং সিস্টেমে চলে। ফোনটির সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা আরও বাড়াবে।

গেমারদের ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা উন্নত করতে ডিভাইসটিতে আছে ম্যাজিক রিং ফিচারসহ ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি+ আইপিএস ডিসপ্লে। স্বচ্ছন্দ টাচ ও স্ক্রলিংয়ের জন্য ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে। গেমিংয়ের সময় সর্বোত্তম স্বচ্ছতা ও দেখার স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে ৯০.৭% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও এবং ৫০০ নিটস ব্রাইটনেস থাকছে ইনফিনিক্স হট ৪০ প্রো-তে। এর মাল্টিফাংশনাল এনএফসি’র মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ডেটা শেয়ার অথবা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন সহজেই।

হট ৪০ প্রো-তে নতুন মেটাম্যাটেরিয়াল অ্যান্টেনা নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স। অ্যান্টেনাটি চলে মেটাম্যাটেরিয়াল গেমিং নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির মাধ্যমে। এই প্রযুক্তি তিনগুণ বেশি অ্যান্টেনা এরিয়া কাভার করতে পারে। ফলে গেমিংয়ের সময় নেটওয়ার্ক সিগন্যাল নিয়ে বাড়তি দুঃশ্চিন্তা করতে হয় না।

ফটোগ্রাফির জন্য ডিভাইসটিতে আছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা। এই হাই-রেজোলিউশন লেন্সের সাথে আছে দুই মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স। পাশাপাশি এতে আছে একটি এইচএমএস সেন্সর, যা সুন্দর ও স্পষ্ট ছবি তুলতে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করবে। ডিভাইসটির সামনে থাকা ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে সুন্দর সেলফি তুলতে পারবে তরুণরা।

উদ্ভাবনী ফিচারযুক্ত ইনফিনিক্স হট ৪০ প্রো পাওয়া যাচ্ছে একটি চমৎকার এমএলবিবি-কাস্টমাইজড বক্সে। পাম ব্লু, হরাইজন গোল্ড এবং স্টারলিট ব্ল্যাক - এই তিনটি রঙে বাজারে এসেছে ফোনটি। ১৯,৯৯৯ টাকা মূল্যের ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের অনুমোদিত শপ এবং দেশের বৃহত্তম অনলাইন শপিংপ্লেস দারাজে।


ফেব্রুয়ারিতে বাজারে আসছে ইনফিনিক্সের নতুন গেমিং ফোন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রযুক্তিকথা ডেস্ক

গেমাররা সাধারণত তাদের ডিভাইসকে গেমিংয়ের সাথে মানানসই হিসেবে দেখতে চান। এমন ডিভাইসের প্রতি তারা বেশি আকৃষ্ট হন। গেমারদের এই আবেগের বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন গেমিং ফোন আনবেইনফিনিক্স। ডিপ-কাস্টমাইজড এমএলবিবি বক্সে বাংলাদেশের বাজারে আসতে যাচ্ছে প্রো-লেভেল গেমিং স্মার্টফোন হট ৪০ প্রো।

ধারণা করা হচ্ছে, হট সিরিজের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সেরা ফোন হতে যাচ্ছে মাঝারি বাজেটের হট ৪০ প্রো। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বাজারে আসতে পারে এই ফোনটি। ডিভাইসটিকে সত্যিকারের গেমিং ফোন বানিয়ে তোলার জন্য এর প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছে ইনফিনিক্স।

গত বছর ডিসেম্বরে বিশ্ববাজারে আসে ইনফিনিক্সের হট ৪০ সিরিজ। এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত তিনটি মডেল হলো: ইনফিনিক্স হট ৪০, হট ৪০আই এবং হট ৪০ প্রো। গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বাজারে আসে হট ৪০আই। ১৩,৯৯৯ টাকা মূল্যের ফোনটি গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে।

বাজেটের মধ্যে বাংলাদেশি তরুণদের সেরা অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে হট ৪০ প্রো। ১২৮ জিবি বা ২৫৬ জিবি ভার্সনের ফোনটিতে থাকতে পারে সেরা প্রসেসর হেলিও জি৯৯। হট ৪০ প্রো-এর কোন ভার্সন, কত দামে এবং কখন বাংলাদেশের বাজারে আসছে, তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। গেমিং ফোনের এই এমএলবিবি সংস্করণটি ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে একমাত্র ব্র্যান্ড হিসেবে এই ট্রেন্ড নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স। তরুণদের আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা বিবেচনা করে এই ফোনে যুক্ত করা হয়েছে বড় স্ক্রিন ও ব্যাটারি, ফাস্ট চার্জিং,হাই রিফ্রেশ রেট, সর্বশেষ নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি, শক্তিশালী চিপসেট এবং বিশেষত এক্স-বুস্ট গেমিং প্রযুক্তি।

পাশাপাশি ক্যামেরা ও অন্যান্য সাধারণ ফিচারেও নজর দিয়েছে ইনফিনিক্স। হট ৪০ প্রো-কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে দারুণ সব অফার নিয়ে আসারও পরিকল্পনা আছে প্রতিষ্ঠানটির।

মোবাইল লিজেন্ডস ব্যাং ব্যাং (এমএলবিবি) একটি মোবাইল মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটল অ্যারেনা গেম। সম্প্রতি বাংলাদেশের গেমাররাও এই গেমের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর এমএলবিবি-র সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করে ইনফিনিক্স। গেমিংয়ের ক্ষেত্রে সেরা অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য ইনফিনিক্স ও এমএলবিবি- এর মধ্যে অফিশিয়াল পার্টনারশিপ রয়েছে।


চিন্তা করলেই মেসেজ বা ফোনকল চলে যাবে কল্পনার ব্যক্তির কাছে!

ইলন মাস্ক
আপডেটেড ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১২:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বহু জটিল কাজ জাদুর মতো সহজ করে দিয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই)। ফলে মুখ দিয়ে বলা ও হাতের স্পর্শেই এখন করা যায় অনেক কিছু। এবার আরও একধাপ সহজ হচ্ছে। শুধু মনে মনে ভাববেন, আর তাতেই ভাবনার ওই ব্যক্তির কাছে চলে যাবে ফোন বা মেসেজ। এমনটাই বাস্তবে পরিণত করছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক।

মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক এমন একটি যন্ত্র বা ডিভাইস আবিষ্কার করেছে, যা মানুষের মনকে পড়ে ফেলতে পারে। এটি ফোন করা বা কম্পিউটার চালানোর কাজ করবে। ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানো হয়েছে এবং প্রাথমিক পরীক্ষায় তার ভালো ফলাফলও পাওয়া গেছে। চিপ বসানোর পর সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ওই ব্যক্তি।

নিউরোলিঙ্ক একটি নিউরো-টেকনোলজি কোম্পানি। ২০১৬ সালে ইলন মাস্ক এই সংস্থার সূচনা করেছিলেন। সম্প্রতি ইলন মাস্ক নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘নিউরোলিঙ্কের প্রথম পণ্যটির নাম টেলিপ্যাথি।’

নিউরোলিঙ্কের এই ডিভাইস মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারকে যোগ করার ইন্টারফেস। সহজ ভাষায় এটি এক ধরনের ব্রেইন চিপ, যা মস্তিষ্ক ও মোবাইল ফোনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এই চিপে শয়ে শয়ে ইলেক্ট্রোড তার রয়েছে, যাকে বলা হয় মাইক্রোন-স্কেল থ্রেড। এই ইলেক্ট্রোডগুলো মস্তিষ্কের নিউরন সংকেতগুলোকে প্রক্রিয়া করে। এরপর সেই তথ্য পৌঁছে যায় নিউরোলিঙ্ক অ্যাপে। সেখানে সফটওয়্যারটি ডেটা বা তথ্য ‘ডিকোড’ করে, তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

ধরুন আপনি মনে মনে ভাবলেন, কাউকে ফোন করবেন। এই চিপ সেই তথ্য সিগন্যালটি প্রক্রিয়া করে অ্যাপে পাঠাবে। সেখান থেকে তথ্য ডিকোড করে, নিউরোলিঙ্ক অ্যাপ আপনার হয়ে ফোন করে দেবে। এক কথায় বলতে গেলে, শুধু চিন্তা করেই আপনি ফোন বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

প্রাথমিকভাবে, যেসব ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল, তাদের ব্যবহারের জন্য এই চিপ ব্যবহার করা হবে। এই ডিভাইসে একটি ছোট ব্যাটারি রয়েছে, যা একটি কমপ্যাক্ট চার্জারের মাধ্যমে তার ছাড়াই চার্জ দেওয়া যাবে। নিউরোলিঙ্কের চিপের মাধ্যমে মানুষ তাদের মস্তিষ্ক দিয়ে ফোন ও কম্পিউটার চালাতে পারবে। যারা স্নায়ুর রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে।

মস্তিষ্কে যেভাবে চিপ বসানো হবে

মস্তিষ্কে এই যন্ত্র ইমপ্লান্ট করা একটু কঠিন। যন্ত্রের ইলেক্ট্রোড তারগুলো এত লম্বা যে, মানুষের হাতে সেগুলো মস্তিষ্কে লাগানো যায় না। তাই মস্তিষ্কে ডিভাইসটি বসানোর জন্য আলাদা সার্জিক্যাল রোবট তৈরি করা হয়েছে। মেশিনে খুব পাতলা সূঁচ এবং সেন্সর ইনস্টল করা আছে। এই রোবট মাথার খুলিতে একটি গর্ত তৈরি করবে এবং মস্তিষ্কের যে অংশ নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে ইলেক্ট্রোড তার ঢুকিয়ে দেবে।

পশুর ওপর সফল পরীক্ষা

গত বছরের মে মাসে নিউরোলিঙ্ক মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানোর জন্য মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন পায়। মানুষের ওপর পরীক্ষা করার আগে নিউরোলিঙ্ক ২০২১ সালে বানরের মস্তিষ্কে এই চিপটি পরীক্ষামূলকভাবে বসিয়েছিল। এর একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি বানর কম্পিউটারে একটি গেম খেলছে। এর জন্য হাতও নাড়ছে না সে, কেবল মন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করছে গেম। বানরের মস্তিষ্কে যে তার লাগানো রয়েছে, তা মস্তিষ্কের সংকেত কম্পিউটারে পাঠাচ্ছে। ইলন মাস্ক ওই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘নিউরোলিঙ্ক ডিভাইসটির সাহায্যে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মস্তিষ্কের শক্তি দিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।’

আরও যে কাজ করবে এই চিপ

ইলন মাস্কের লক্ষ্য শুধু মন বা মস্তিষ্ক দিয়ে ফোন নিয়ন্ত্রণ করাই নয়। পক্ষাঘাতগ্রস্তদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোই পরবর্তী পরিকল্পনা। নিউরোলিঙ্ক শরীরের মোটর ফাংশন এবং তার সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে

জরিপ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এ সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ। বুধবার প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এএফপির।

মিডিয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা মেল্টওয়াটার এবং সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা উই আর সোশ্যালের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায় যা বিশ্বের জনসংখ্যার ০ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষকে সামাজিক নেটওয়ার্ক মেটার ফেসবুক ব্যবহার করে। এটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন। মেটার ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন। ব্যবহারের দিকে এর পরের অবস্থানে থাকা সামাজিক মাধ্যম হচ্ছে টিকটক। বিশ্বের প্রায় ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মানুষ এ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।

প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় অ্যাকাউন্ট বা বিভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করার কারণে এসব মিডিয়া ব্যবহার করা সুনির্দিষ্ট লোকের সংখ্যা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদনটি ডিজিটাল কনসালটেন্সি কোম্পানি কেপিওস’র সংকলিত পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।


নিউরালিংক প্রথম রোগীর মস্তিস্কে ইমপ্লান্ট ইনস্টল করে সাফল্য পেয়েছে: ইলন মাস্ক

আপডেটেড ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:২৪
বাসস

ইলন মাস্ক মঙ্গলবার বলেছেন, প্রথম একজন রোগীর মস্তিস্কে তার নিউরালিংক স্টার্টআপ ইমপ্লান্টের প্রাথমিক ফলাফলে এর সাফল্যের ‘সম্ভাবনা’ জাগিয়ে তুলেছে।

২০১৬ সালে মাস্ক সহ-প্রতিষ্ঠিত নিউরোটেকনোলজি কোম্পানির লক্ষ্য মস্তিস্ক এবং কম্পিউটারের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের চ্যানেল তৈরি করা। সাতজন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী এবং ইলন মাস্ক কোম্পানিটির প্রতিষ্টায় জড়িত ছিলেন।

কোম্পানির উচ্চাকাকাঙ্খা হলো মানুষের ক্ষমতাকে সুপারচার্জ করা, এএলএস বা পারকিনসন্সের মতো স্নায়ুবিক রোগের চিকিৎসা করা এবং হয়তো একদিন মানুষ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে একটি সিম্বিওটিক সম্পর্ক অর্জন করা।

মাস্ক এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘প্রথম এক ব্যক্তি গতকাল নিউরালিংক থেকে একটি ইমপ্লান্ট পেয়েছিল এবং সে সুস্থ হয়ে উঠছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ফলাফলগুলোতে দেখা যায় এটি নিউরন কার্যক্রমে সংযুক্ত হতে পেরেছে।’

স্টার্ট-আপটি গত বছর বলেছিল, এটি মানুষের মধ্যে মস্তিস্কের প্রতিস্থাপন পরীক্ষা করার জন্য মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।

নিউরালিংকের প্রযুক্তি প্রধানত ‘লিঙ্ক’ নামক একটি ইমপ্লান্টের মাধ্যমে কাজ করবে, এতে মুদ্রার আকারের একটি ডিভাইস চামড়ার নিচে স্থাপন করা হয়। এটি স্থাপনে মাথার খুলি কাটার প্রয়োজন হয় না।

বিষয়:

banner close