বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা তৈরি করা দরকার’

আপডেটেড
৪ জুন, ২০২৩ ০৯:৪১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৪ জুন, ২০২৩ ০৯:১৮

প্রতিবছর দেশে সৃষ্টি হচ্ছে ৩০ লাখ মেট্রিকটন ই-বর্জ্য। যার মধ্যে শুধু স্মার্ট ডিভাইসেই সৃষ্টি হচ্ছে সাড়ে ১০ কেজি টন ই-বর্জ্য। অন্তত দুই লাখ ৯৬ হাজার ৩০২ ইউনিট নষ্ট টেলিভিশন থেকে সৃষ্টি হচ্ছে ১ দশমিক ৭ লাখ টনের মতো ই-বর্জ্য। জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে আসছে ২৫ লাখ টনের বেশি। শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই বর্জ্য বাড়ছে ৩০ শতাংশ হারে। হিসাব বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ কোটি টনের ই-বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে বিলিয়ন ইউনিট স্মার্ট উৎপাদন হবে। কম্পিউটার পিসিবিভিত্তিক ধাতু রূপান্তর ব্যবসায় সম্প্রসারিত হবে। যা ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট। সঙ্কট নিয়ন্ত্রণে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার সঙ্গে অন্য দেশ থেকে দেশে প্রবেশ করা রিফার্বিশ ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন।

শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ আইসিটি জর্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) উদ্যোগে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ‘ই-বর্জ্যের কার্বণ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ: কারণ ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন বক্তারা।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ই-বর্জ্যের কোনো গাইডলাইন নেই। অভিভাবকহীন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে একটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা তৈরি করা দরকার। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে আমরা এই বিআইজেএফ-এর পতাকা তলে সবাইকে নিয়ে দেশজুড়ে আন্তর্জাতিক মানের ই-বর্জ্য সচেতনতা দিবস পালন করব। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা একটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হ্যাকাথন করতে চাই।

স্বাগত বক্তব্যে ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রজন্মকে এর ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় বিআইজেএফ-এর নেয়া এই উদ্যোগ আগামীতে আরও জোরদার করা হবে বলে জানান সাংবাদিক সংগঠনটির সভাপতি নাজনীন নাহার।

গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সময়ের সঙ্গে খুবই প্রাসঙ্গিক। এজন্য সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপশি ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ থাকা দরকার। এটা বাস্তবায়নে বিআইজেএফ প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।’

সার্ক সিসিআই (বাংলাদেশ) নির্বাহী কমিটির সদস্য শাফকাত হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল আলম, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‌্যাব-এর আইন ও মিডিয়া শাখার পরিচালক খন্দকার আলী মঈন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব সাঈদ আলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) উপ-পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিইআরএম পরিচালক রওশন মমতাজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নিয়ে ই-বর্জ্য নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি শহীদ উল মুনির, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড চেয়ারম্যান আব্দুল ফাত্তাহ, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জেআর রিসাইক্লিং/সলিউশন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হোসেন জুয়েল, এইচপি বাংলাদেশ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার (ভোক্তা পিএস) কৌশিক জানা, আসুস বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি প্রোডাক্ট ম্যানেজার আসাদুর রহমান সাকি, লেনোভো ভারত-এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক ব্যবসা) সুমন রায়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজমুস সালেহীন, ইউসিসির হেড অব সেলস শাহীন মোল্লা ও স্মার্ট টেকনোলজিসের সেলস ডিরেক্টর মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন।

সভায় ই-বর্জ্য ঝুঁকি থেকে বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে কাল-বিলম্ব না করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। বক্তাদের পরামর্শ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে এনে বিআইজেএফ আগামীতে স্মার্ট সংবাদিকতায় ভূমিকা পালন করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গোল টেবিল আলোচনায় উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।


অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে

মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ওনাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশসহ (ওনাব) অন্যান্য পেশাদার সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওনাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করতে চায় না। তবে সাংবাদিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি যে, একটা শৃঙ্খলা আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে সে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। দায়িত্বশীল সাংবাদিক ও সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমকে প্রণোদনা ও সমর্থন দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, এ বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে একমত।’

তিনি বলেন, সাংবাদিকরাই বলছেন শৃঙ্খলার জন্য নজরদারি দরকার। গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত ও স্বাধীন যে নিবন্ধন ছাড়াও তারা চলছে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন। এটা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্ত গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে অবাধ স্বাধীনতার কারণে কিছুটা শৃঙ্খলার অভাবও দেখা দিচ্ছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘অনিবন্ধিত পোর্টালগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর অপতথ্যের বিস্তার হয়। এ অপতথ্যের বিস্তার অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের ছাড়াও বিভিন্ন পেশাদার সাংবাদিকদের পীড়া দেয় বলে বিভিন্ন সময় তারা জানিয়েছেন। এটা খুব ভালো দিক যে, আমাদের সাংবাদিকরা চাচ্ছেন গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে সাংবাদিকদের সাথে একমত।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণে নয় বরং স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, নজরদারিতে নয় বরং দায়িত্বশীলতায় বিশ্বাস করে। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। অপতথ্যের বিস্তৃতি, গুজব ও অপপ্রচার সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, গণতন্ত্র সবকিছুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সকলের স্বার্থে এগুলো রোধ করার জন্য সরকার ও গণমাধ্যমের একটি অংশীদারিত্ব দরকার।’

গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ অন্যান্য নীতিমালা সময়োপযোগী ও আধুনিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ওনাব’র সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ ও খোকন কুমার রায় প্রমুখ।


সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:২৫
বাসস

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সোমবার সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতে মতো বাংলাদেশে কোন জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সকলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম।’

তিনি বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে এ সময় আরাফাত আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তাঁর সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।


`প্রধানমন্ত্রী বগুড়াবাসীকে শেখ কামাল আইটি ও জয় স্মার্ট সেন্টার উপহার দিচ্ছেন'

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:১৬
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়াবাসীকে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার ও জয় স্মার্ট ডি-সেট সেন্টার উপহার দিবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে দুুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য জায়গা পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে আরো কর্মসংস্থান’। এই লক্ষ্য নিয়ে তিনি বগুড়ায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাই টেক পার্ক ও বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেললাইন নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বগুড়ার জন্য আরও দুটি অনন্য সাধারণ উপহার দিবেন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং জয় ডি-সেট সেন্টার। এই দুটি শেখ কামাল আইটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হলে বগুড়ায় হাজার হাজার হাজার তরুণ, তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শত কোটি টাকা ব্যয়ে তরুণ-তরুনীদের কর্মসংস্থানের ঠিকানা শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার আগামী একনেক বৈঠকে অনুমোদন হবে এবং জয় স্মার্ট ডি ট্রেনিং সেন্টারের কাজ শুরু হবে।

আগামী ৬ মাসের মধ্যে জয় স্মার্ট ডি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন। আগামী বছরের মধ্যে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ শুরু হবে। সেখানে বগুড়ার তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান হবে।

এ সময় বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম, বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।


গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর ঈদের নামাজ আদায়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি আজ সকালে রাজধানীর গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

নামাজ আদায়ের পর তিনি মসজিদে মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


দেশে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ৫৬ শতাংশ মানুষ, সিম ১৯ কোটি

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ জনশুমারি অনুযায়ী দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বর্তমানে সিম ব্যবহার হচ্ছে ১৯ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ একজন একাধিক সিম ব্যবহার করছেন। অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) এ তথ্য জানিয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এ তথ্য পেয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব। সংগঠনটির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে সিমের গ্রাহক ১৯ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার। সিম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৭৪ লাখ।

আর মোট জনসংখ্যার ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ফোরজির আওতাভুক্ত। এ ছাড়া বর্তমানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ব্যবহার করছে ২১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক। তাছাড়া মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ মোবাইল বাজার বাংলাদেশ।

৫১ শতাংশ ট্যাক্স দিচ্ছে মোবাইল কোম্পানি

দেশের জাতীয় জিডিপিতে টেলিকম খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ শতাংশ অবদান রাখছে। নানাভাবে নিজেদের মোট আয়ের ৫১ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স দেয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো।

প্রতি ১০০ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলোকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দিতে হয় ৩৯ টাকা, বিটিআরসিকে দিতে হয় ১৫ টাকা, ইকোসিস্টেমের জন্য দিতে হয় ১৮ টাকা এবং পরিচালন খরচ রয়েছে ২৬ টাকা। সে ক্ষেত্রে কোম্পানিভেদে এ ব্যয় ৮৪ থেকে ১০৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অ্যামটবের মহাসচিব লে. কর্নেল মোহম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেন, আমরা মনে করি, সিম বিক্রি থেকে সম্পূর্ণ ট্যাক্স ছাড় দেওয়া উচিত। সিম ও করপোরেট কর প্রত্যাহার করলে স্মার্টফোন ও ডেটা সহজলোভ্য হবে। এতে জিডিপিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে টেলিকম খাত।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কর কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হলে ইকোসিস্টেমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিয়ে বসতে হবে। আলোচনার সব কথা যেমন উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, আবার সব কথার সঙ্গে একমত নই আমরা। তবে রি-ফর্ম (পুনর্নির্ধারণ) করতে হবে। টেলিকম খাতের টোটাল সিস্টেম রিভিউ করে আরও সিমপ্লিফাই (সহজ) করতে হবে।


বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ফুটেজ সংরক্ষণ করবে গেটি ইমেজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংক্রান্ত ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভিজ্যুয়াল মিডিয়া সংস্থা গেটি ইমেজের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কে গেটি ইমেজ অফিসে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এই সময় উপস্থিত ছিলেন।

ফিল্ম আর্কাইভের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং গেটি ইমেজের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া প্যাসিফিক টিভি অ্যান্ড সেলস ডিরেক্টর অ্যারান বার্চেনো সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এই সময় ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সাথে গেটি ইমেজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ করে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদটি প্রচার হয়। এছাড়া, মহান মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা ছবি ও সংবাদ প্রকাশ করে। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গেটি ইমেজ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে এসব অমূল্য দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করবে। এরফলে, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার সক্ষমতা অর্জন করবে।

বিষয়:

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক কি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শাহিদ মোবাশ্বের

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটকের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু রাজ্য সরকার এবং রাজধানী ক্যাপিটল হিলে বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাদের মনোভাব কঠোর হয়েছে। সম্ভবত এখন থেকে প্রায় ছয় মাসের মধ্যে কংগ্রেসনাল আইন যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীদের অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেবে যা প্রাথমিকভাবে এর তরুণ দর্শকদের হতাশ করবে!

সম্প্রতি সিবিএস নিউজ এই মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, “আমেরিকানরা আগামী ছয় মাসের মধ্যে টিকটক-এ তাদের অ্যাক্সেস হারাতে পারে যদি বেইজিং-ভিত্তিক মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সকে তার অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে বাধ্য করতে চাওয়া সংক্রান্ত কোন বিল পাশ হয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপটির সম্ভাব্য মৃত্যু নির্ভর করছে এই আইনটি কংগ্রেসের বেশ কয়েকটি বাধা অতিক্রম করে আইনি পরীক্ষায় টিকে থাকতে পারে কিনা তার উপর। চীনের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে আইনপ্রণেতারা দীর্ঘদিন ধরে প্ল্যাটফর্মটিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তাদের যুক্তি - এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ! কারণ চীনা সরকার আমেরিকানদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য টিকটক ব্যবহার করতে পারে বা কোন বিষয়বস্তুকে প্রসারিত বা দমন করে গোপনে মার্কিন জনগণকে প্রভাবিত করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। গত ১৩ই মার্চ কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ স্বত:স্ফুর্তভাবে একটি ব্যবস্থা পাস করে বাইটড্যান্সকে একটি পছন্দ দিয়েছে: আগামী ছয় মাসের মধ্যে টিকটক বিক্রি করে দাও অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েব-হোস্টিং পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস হারাও।

অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও একই ধরনের আশঙ্কা রয়েছে। জার্মানির নেতারা টিকটক সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এটি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারা এই উদ্বেগগুলিই শেয়ার করেছেন। অনেকে সরকার প্রদত্ত মোবাইল ডিভাইস থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করাসহ যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য সরকারগুলো ক্রমেই আরও বেশী শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল এবং মন্টানা রাজ্য থেকে টিকটক সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে - এটি একটি নিষেধাজ্ঞা যা ব্যবহারকারীদের প্রথম সংশোধনী অধিকার লঙ্ঘনের যুক্তি দেখিয়ে একজন ফেডারেল বিচারক কর্তৃক অবরুদ্ধ হয় ৷ (এই ফেডারেল নিষেধাজ্ঞা সম্ভবত আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে।)

অনেক নীতিনির্ধারকদের আশঙ্কা যে, টিকটক এর মূল সংস্থা বাইটড্যান্স, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তার ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে পারে (এমনকি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো কর্তৃক সংগৃহীত তথ্যের চেয়েও বেশি) এবং বেইজিংয়ের সমালোচনামূলক মন্তব্যকে সেন্সর করতে পারে অথবা বিভ্রান্তি ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে কতটা চিন্তিত হওয়া উচিত? যেমনটি আমি আমার চীনের তথ্য এবং প্রভাব প্রচেষ্টার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধিত সাম্প্রতিক বই "বেইজিংয়ের গ্লোবাল মিডিয়া অফেন্সিভ" - এ উল্লেখ করেছি, “টিকটক, যা ব্যবহারকারীদের বিপুল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ করে, যেমন দাবি করে যে, এটি বেইজিংকে কোনও ব্যবহারকারীর তথ্য দেয়নি; কিন্তু মার্কিন সরকার তদন্ত করছে যে কোম্পানিটি চীনের কাছে বিপুল পরিমাণ ডেটা পাঠিয়েছে কিনা। (বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন আরেকটি অ্যাপ, ডুয়িন - যা মূলত টিকটকের চীনা সংস্করণ, স্পষ্টভাবে সেন্সরশিপ এবং ব্যবহারকারী পর্যবেক্ষণ নিয়োগ করে।)

ইতোমধ্যেই টিকটকের এমন উদাহরণ রয়েছে যে, এই অ্যাপ থেকে অনেক মন্তব্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যেমন বেইজিংয়ের সমালোচনামূলক মন্তব্য যা চীনের বাইরে থেকে করা। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেইজিং তার বিভ্রান্তিমূলক কৌশলগুলিতে আরও পরিশীলিত হওয়ার সাথে সাথে - তারা অতীতে খুব আনাড়ি ছিল - একটি সত্যিকারের এক উদ্বেগের বিষয় যে চীনা বিভ্রান্তির অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি টিকটক এখন আরও পরিশীলিত যার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার, কানাডা, ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের ভোটারদের প্রভাবিত করতে ব্যবহার করা হতে পারে। এখন দেখা যাচ্ছে যে, খুব সম্ভবত বেইজিং যদি আমেরিকার একটি ফার্মের কাছে টিকটক ইউএস সাবসিডিয়ারি বিক্রি না করে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে - কেননা টিকটককে চীনের একটি মুকুট রত্ন হিসেবে দেখা হয়, তবে বিশাল এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সত্যিই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে যা শেষ হয়ে যেতে পারে এদেশে।

মূল: জোসুয়া কারলান্টজিক


এআই ব্যবহার করে ভারতের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে চীন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে চীন। এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এমন এক সময়ে এই তথ্য সামনে এল যখন আগামী ১৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন।

চলতি বছরে এআই দিয়ে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচন প্রভাবিত করতে চায় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটির গোয়েন্দা দলের দাবি, এই হস্তক্ষেপে মদদ দিচ্ছে চীনের রাষ্ট্র-সমর্থিত সাইবার গ্রুপ ও উত্তর কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান।

মাইক্রোসফটের গোয়েন্দারা বলছেন, চীন নিজের স্বার্থে নির্বাচনের আগে এআই নির্মিত কনটেন্ট ব্যবহার করবে। ডিপফেক ভিডিও প্রকাশের শঙ্কা রয়েছে। এর আগে তাইওয়ানের নির্বাচনেও এভাবে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালিয়েছে চীন। সেটি ছিল ট্রায়াল।

সংস্থাটি বলছে, চীন এআই দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ সতর্কতা প্রকাশের আগে গত মাসে ভারত সফর করেছেন মাক্রোসফট প্রধান বিল গেটস। ওই সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এআই নিয়ে আলাপ করেন।

মাইক্রোসফট বলছে, ভারত, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে কাজ করছে চীনের সরকারি বিশেষ সাইবার গ্রুপ। এতে সহায়তা করছে উত্তর কোরিয়াও। এ বছর আরও কয়েকটি দেশের নির্বাচনে তারা হস্তক্ষেপ করতে পারে।

এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেক ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে জনগণকে ভুল বার্তা দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া ভুয়া অডিও মিম ছড়িয়ে দেবে সাইবার দলটি।

গত মাসেই লোকসভা নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে ভারত। এ ঘোষণা করেন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, মোট সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হবে। প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। আর সপ্তম দফার ভোট হবে ১ জুন। ৪ জুন ফল প্রকাশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) রাজীব কুমার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে ও ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ২৫ মে।


শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য জেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতবেদক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে- যা এখন দৃশ্যমান। তিনি বলেন, সারা দেশে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন।

শুক্রবার জেলার প্রধান ডাকঘর পরিদর্শন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।

ওই সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামসহ পোস্ট অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে রাঙামাটিকে স্মার্ট জেলায় পরিণত করতে রাঙামাটির পোস্ট অফিস পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেকটি পোস্ট অফিসকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরিত করার অংশ হিসেবে আগামী মে মাসের মধ্যে রাঙামাটি প্রধান ডাকঘরকে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে এখানে একটি স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে পোস্ট অফিসের গতানুগতিক সেবার পাশাপাশি সরকারের ৩২৫টি ডিজিটাল সেবা সাধারণ মানুষ নিতে পারবে এবং পাশাপাশি ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানসহ ই-কমার্স আরও সম্প্রসারিত করা হবে।


সেবা নিতে একই তথ্য দ্বিতীয়বার দিতে হবে না

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেবা নিতে একবার দেওয়া তথ্য আর দ্বিতীয়বার সরকারকে দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, এস্তানিয়ার ই-গভর্নেন্সে অ্যাকাডেমির সঙ্গে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছি। যেখানে এস্তোনিয়ার যে কৌশল, সেটা কাজে লাগানো হবে। সেখানের ১৩ লাখ মানুষ কখনো সরকারকে একটি তথ্য দিলে দ্বিতীয়বার আর দিতে হয় না।

সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার নিজ দপ্তরে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রধান ক্রিস্টি ক্যারেলসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রযুক্তি সফলতার কথা তুলে ধরে তা বাংলাদেশেও প্রয়োগ করার কথা জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ বলেন, কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একটি তথ্য একবার দেন, এরপর কেউ যদি পাসপোর্ট করতে যান, তাহলে একই জিনিস তাকে দ্বিতীয়বার দিতে হবে না। তাদের যে প্রযুক্তিগত কাঠামো আছে, সেগুলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও কাজে লাগানো সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নাগরিককেন্দ্রিক সুবিধা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য হবে। এতে সময় ও খরচ কমে যাবে। পাশাপাশি দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়া হবে। এটা করতে এস্তোনিয়ার সাফল্য ও সক্ষমতা ব্যবহার করব। পাশাপাশি এস্তোনিয়ার প্রযুক্তিগত জ্ঞান অনেক আছে, কিন্তু দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ নেই। কারণ সেটা ১৩ লাখ মানুষের একটি দেশ। আর আমরা ১৭ কোটি মানুষের দেশ।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দু'দেশের মধ্যকার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম যাতে আরও ঘন ঘন হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। দিল্লি থেকে যে রাষ্ট্রদূত এসেছেন, তিনিও আগামীতে সহযোগিতা বাড়াবেন।

ডাক ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে আইটি সম্পৃক্ত একটি বিজনেস পোর্টাল চালু করব। একটি সমঝোতা স্মারকও সই করা হবে। রপ্তানি আয় বাড়ানো ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয় থাকবে এই সমঝোতায়। আগামীতে এস্তোনিয়ায় আমাদের আইটি রপ্তানির কেন্দ্র হবে। পাশাপাশি তাদের বিনিয়োগও বাংলাদেশে বাড়বে।’


অভিযোগ আমলে না নিলে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব সেবা বন্ধ থাকবে। আমরা প্রথমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঠিকভাবে জানাব যে তারা (সোশ্যাল মিডিয়া) আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে এই অপরাধ এবং গুজব চালাতে দিচ্ছে এবং এগুলো প্রতিরোধে তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রথমে কয়েকবার বলা হবে। প্রয়োজনে আমরা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও বলব, যেন মনে না হয় যে এখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইনের বিধান হলো কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। তারা আমাদের অভিযোগের তদন্ত করছে না। আমরা এখন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে তাদের উদাসীনতা সম্পর্কে জানাব, যেন বাধা (সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ) দেওয়া হলে দায় সরকারের ওপর না পড়ে, বরং তাদের ওপরই বর্তায়।’


দেশের দেড় লাখসহ বিশ্বের ৯০ লাখ ভিডিও মুছেছে ইউটিউব

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৪ ২৩:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বর্তমান বিশ্বে বিনোদন কিংবা তথ্যবহুল যেকোনো ভিডিও দেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা বেশ। শুধু ভিডিও দেখাই নয়, এই মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করে আয়ও করা যাচ্ছে লাখ লাখ ডলার। তাই তো সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে থাকে ইউটিউবে। এই ভিডিও বানানো এবং তা আপলোডের জন্য ইউটিউবের রয়েছে বেশকিছু নীতিমালা। সেই নীতিমালা ভঙ্গ করলেই ইউটিউব সেসব ভিডিও মুছে ফেলে বা বাতিল করে দেয়।

ঠিক তেমনিভাবে নিজেদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় বাংলাদেশে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে ইউটিউব। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামতও মুছে ফেলেছে ভিডিওর এই স্ট্রিমিং সাইটটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উগ্রবাদিতা, নগ্নতা এবং স্প্যাম ভিডিও প্রচার এবং শিশুবান্ধব না হওয়ার কারণে এসব ভিডিও ও মতামতগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, উল্লেখিত সময়ে সারাবিশ্বের প্রায় ৯০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সব থেকে বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এ ছাড়া এই সময়ে ইউটিউব থেকে ২০ কোটির বেশি ইউটিউব চ্যানেলও মুছে ফেলা হয়।

যেসব কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ভিডিও সরানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক কনটেন্ট- যার হার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। সহিংসতা ছড়ানো বা তাৎক্ষণিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় কনটেন্টগুলো অপসারণ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

সবচেয়ে বেশি সরানো হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে এমন ভিডিও। এর হার ছিল ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। শিশুদের হয়রানি ও তাদের কেন্দ্র করে নানা অনলাইন অপব্যবহার রোধে ভিডিওগুলো সরানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আর অন্যদিকে তৃতীয় যে শ্রেণির ভিডিও সরানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি সেগুলো ছিল হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট। এর হার ছিল সাড়ে সাত শতাংশ। মানুষের মনে আতঙ্ক বা উদ্বেগ ছড়াতে পারে এমন সংবেদনশীল দৃশ্য যেমন দাঙ্গা, রক্তপাত ইত্যাদিকে হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে ইউটিউব।

এর আগেও ইউটিউব এমনভাবে তাদের নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য ভিডিও এবং চ্যানেল মুছে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর- এ তিন মাসে ৮৩ লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে। ওই বছর কমিউনিটি নীতিমালা না মানায় এসব ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছিল বলে তখনকার ত্রৈমাসিক ‘এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন’-এ উল্লেখ করেছিল ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।

ওই সময় ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানায়, যৌনতাপূর্ণ ভিডিও সরিয়ে ফেলতে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তিন মাসে ৯১ লাখ অনুরোধ পেয়েছিল ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য বা অবমাননাকর ভিডিও পোস্টের অভিযোগ পেয়েছিল ৪৭ লাখ। এসব অভিযোগের বেশির ভাগ এসেছিল ভারত, যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিল থেকে।

গত বছরের জানুয়ারি মাসেও ইউটিউব এভাবে ভিডিও সরিয়ে ফেলার কাজ করেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ, এই তিন মাসের মধ্যে ১০ লাখ ৮০ হাজার ভিডিও ইউটিউবের ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো হয়েছে। এ ছাড়া আমেরিকার ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৮, রাশিয়ায় ৪ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৩ এবং ব্রাজিলের ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫৯টি ভিডিও সরিয়েছিল ইউটিউব।

ওই সময়ে ইউটিউব ৬.৪৮ মিলিয়নের বেশি ভিডিও তার প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়েছে কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার অভিযোগে।

ইউটিউব ব্যক্তিমানুষ ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এই দুইয়ের প্রয়োগ ঘটিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়গুলো যাচাই করে। তবে মুছে ফেলা ভিডিওগুলোর প্রায় ৯৬ শতাংশের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত এআই নিয়েছে। বাকি ৪ শতাংশ ভিডিও অপসারণে ইউটিউবের সাধারণ ব্যবহারকারী ও ‘প্রায়োরিটি ফ্ল্যাগার প্রোগ্রামের’ বা কমিউনিটি সদস্যদের অভিযোগ বা পরামর্শ বিবেচনা করে তা করা হয়েছে বলে জানা যায়।

গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আপলোড করা ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৩টি ভিডিও মুছে ফেলেছিল টিকটক। ভিডিওগুলো টিকটকের নীতিমালা (কমিউনিটি গাইডলাইন) লঙ্ঘন করাসহ ভুল তথ্যের প্রচার ঠেকানোর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে তা মুছে ফেলা হয়েছে বলে জানায় টিকটক। ওই সময়ে টিকটকের প্রকাশিত সর্বশেষ ‘কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৯ কোটি ১০ লাখ ৩ হাজার ৫১০টি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করা ভিডিওর প্রায় দশমিক ৬ শতাংশ। এই ভিডিওগুলোর মধ্যে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯১১টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে মুছে ফেলা হয়েছে। তবে যাচাইয়ের পর ৬২ লাখ ৯ হাজার ৮৩৫টি ভিডিও পুনরায় টিকটকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।

ভিডিও মুছে ফেলার পাশাপাশি ১৩ বছরের কম বয়সি ব্যবহারকারী সন্দেহে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪টি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছি টিকটক।

একই সময়ে ৫ কোটি ১২ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৫টি ভুয়া অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলা হয়েছিল। ভুল তথ্যের প্রচার রোধ এবং অনলাইনকে নিরাপদ করতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তখন জানিয়েছিল টিকটক কর্তৃপক্ষ।


ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে এলো ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রযুক্তিকথা প্রতিবেদক

বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ নিয়ে এসেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এই সিরিজে থাকছে দুটি মডেল- ইনফিনিক্স নোট ৪০ এবং ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো।

নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং রিভার্স চার্জের সুবিধা। ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় স্মার্টফোন চার্জ করতে পারবে সুবিধাজনক, বহনযোগ্য ও শক্তিশালী এই ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি। নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাবেন ম্যাগকেস নামক ম্যাগনেটিক ব্যাক কাভার। এছাড়াও নোট ৪০ এর সাথে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগপ্যাড নামক ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড এবং নোট ৪০ প্রো এর সাথে থাকবে ম্যাগপাওয়ার নামক ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে আরও যুক্ত করা হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১। প্রচলিত চিপের চেয়ে চিতা এক্স১ এর সক্ষমতা ২০৪% বেশি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে এই ফোনগুলো গেমার ও হেভি ইউজারদের দেবে চমৎকার পারফরম্যান্স ও কার্যকারিতা। উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি।

৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে নোট ৪০ প্রো। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০% পর্যন্ত চার্জ হবে এই ফোন। অন্যাদিকে, নোট ৪০-এর ৪৫ ওয়াট অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ সব পরিস্থিতিতেই ফোনের ব্যবহারকে সহজ করে তুলবে।

নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে নিরাপত্তা জোরদারে দেওয়া হয়েছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর নোট ৪০ প্রো-তে আছে বেজেল-বিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে। ফোনে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।

নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ। এছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। চমৎকার অডিওর জন্য নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএল-এর প্রযুক্তির সমন্বয়।

৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রো-এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। অন্যদিকে, ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা। এই ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এই দুটি রঙে।

১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল রিটেইলার এবং অনলাইনে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।


banner close