বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
৮ শ্রাবণ ১৪৩২

থার্ড জেন্ডারদের জন্য আইসিটি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৩ ১০:৫৫

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী থার্ড জেন্ডার বা ট্রান্সজেন্ডারদের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

এই কর্মসূচি পরিচালনায় অন্যতম সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে কোডার্সট্রাস্ট।

বুধবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী থার্ড জেন্ডার/ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য আইসিটি প্রশিক্ষণ কোর্স’ শীর্ষক এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ট্রান্সজেন্ডার বা থার্ডজেন্ডার জনগোষ্ঠী সঠিকভাবে স্কিলড হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে সফলতার সঙ্গে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে। আর তাদের এই অগ্রযাত্রায় আমরা সাথে পেয়েছি কোডার্সট্রাস্টকে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোডার্সট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ বলেন, ‘দেশের ট্রান্সজেন্ডার বা থার্ডজেন্ডার মানুষগুলো সকল বাধা ভেঙ্গে তাদের ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্টে এগিয়ে এসেছেন। আর তাদের সেই অগ্রযাত্রায় অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে কোডার্সট্রাস্ট। এটি একটি বড় অর্জন।’

এ সময় ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির ১০০ সদস্যকে কোডার্সট্রাস্টের সৌজন্যে প্রশিক্ষণ দেয়ার ঘোষণা দেন আজিজ আহমদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি সালেহ আহমেদ।


বিমান দুর্ঘটনার পর পানি বিক্রি নিয়ে অপপ্রচার শনাক্ত : রিউমার স্ক্যানার

আপডেটেড ২৩ জুলাই, ২০২৫ ১১:২৬
বাসস

উত্তরার বিমান দুর্ঘটনার পর হতাহতের ঘটনার প্রেক্ষাপটে ‘২ লিটার পানির বোতল ৬০০ টাকায় বিক্রি’-এই ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের অপপ্রচার ও অপতথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমার স্ক্যানার।

বাংলাদেশে চলমান গুজব ও ভুয়া খবর প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

অনুসন্ধান টিম ফ্যাক্টচেক করে জানায়, ‘২ লিটার পানির বোতল ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে’ এমন দাবিতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

অর্থাৎ, এটি বর্তমান বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।

রিউমার স্ক্যানার আরো জানায়, গত বছর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার ক্রমবর্ধমান, এবং তারা এ বিষয়ে নথিভুক্ত প্রমাণ পেয়েছে।

শুধু চলতি বছরের এপ্রিলেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুয়া তথ্য শনাক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।


রিয়েলমি ১২-তে হট অফার, ৩০০০ টাকার অবিশ্বাস্য মূল্যছাড়!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি তাদের জনপ্রিয় ডিভাইস রিয়েলমি ১২-তে (১৬ জিবি + ২৫৬ জিবি) অবিশ্বাস্য মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। আগের ২৭,৯৯৯ টাকা দামের এই ডিভাইসটি এখন মাত্র ২৪,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, অর্থাৎ, ক্রেতাদের সাশ্রয় হচ্ছে ৩,০০০ টাকা। অনন্য এই অফারটি রিয়েলমির প্রিমিয়াম ফিচারগুলোকে সাশ্রয়ী দামের নাগালে নিয়ে এসেছে, যা উদ্ভাবনকে সহজলভ্য করতে রিয়েলমির প্রতিশ্রুতিকেই পুনর্ব্যক্ত করে।

রিয়েলমি ১২-তে আধুনিক ব্যবহারকারীদের উপযোগী বেশকিছু অনবদ্য ফিচার নিয়ে আসা হয়েছে। এতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির ১২০ হার্জ আল্ট্রা-স্মুথ অ্যামোলেড ডিসপ্লে; পাশাপাশি, ২,০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস ও রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ ফিচার যা ভেজা বা যেকোনো অবস্থায় ফোন ব্যবহারকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তোলে। ডিভাইসটিতে ১৬ জিবি র্যাম (৮ জিবি ফিজিক্যাল + ৮ জিবি ডাইনামিক) ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে; যা মাল্টিটাস্কিং, অ্যাপ বা মিডিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। এতে রয়েছে ৬৭ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং সহ ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা মাত্র ১৯ মিনিটে ৫০ শতাংশ এবং ৪৭ মিনিটে পুরো চার্জ সম্পন্ন করতে সক্ষম; যা ব্যবহারকারীদের জন্য অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

গেমিং, ব্রাউজিং ও প্রয়োজনীয় অ্যাপ চালানোর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট। ফটোগ্রাফিপ্রেমী মানুষদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সহ সনি এলওয়াইটি-৬০০ ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, যা চলতি অবস্থাতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে সক্ষম। এছাড়াও, ডিভাইসটিতে আইপি৫৪ রেটেড ওয়াটার এবং ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স এবং ভ্যাপর চেম্বার কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে, যা দীর্ঘ সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স স্থিতিশীল রাখে।

রিয়েলমির সকল অনুমোদিত রিটেইলার ও অফিসিয়াল অনলাইন স্টোর থেকে এখনই নতুন দামে স্মার্টফোনটি কেনা যাবে।


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় পাহাড়ধসের তথ্য সংগ্রহে মোবাইল অ্যাপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

‘ল্যান্ডস্লাইড ইনভেন্টরি অ্যাপ’ উদ্বোধন ও সেক্টরভিত্তিক আগাম সতর্কতা বার্তাবিষয়ক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শ সভা’ আয়োজন করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ও রাইমস। গতকাল রবিবার (১৩ জুলাই) গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি), সরকারি প্রতিনিধি, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট খাতের অংশীজন এবং অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ১৯টি ভূমিধস ঘটে এবং এ ধরনের দুর্যোগের ঘটনা প্রতি বছর প্রায় ৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। অতিবৃষ্টি, দ্রুত নগরায়ন, বন উজাড় ও অপরিকল্পিত পাহাড় কাটার কারণে চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল ও আশপাশের জেলাগুলোতে এসব ঘটনা বেশি ঘটে। ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ এ ধরনের দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক মানুষ স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুতি পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহায়তায়, ইউরোপীয় সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড এবং জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এই মোবাইল এ্যাপটি এটি সরকারের অনুমোদিত ‘ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং রোডম্যাপ’-এর পিলার ২: “ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য ও আগাম সতর্কতা” অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের ভূমিধসপ্রবণ এলাকায় পূর্বাভাস- ভিত্তিক পদক্ষেপ ও আগাম সতর্কতা সংক্রান্ত তথ্য উন্নয়নে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ল্যান্ডস্লাইড ইনভেন্টরি অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হয়, যা ভূমিধস সংক্রান্ত রিয়েল-টাইম তথ্য সরবরাহ করবে। সেভ দ্য চিলড্রেন ও রাইমস ইতোমধ্যে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের এ অ্যাপ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যেন ভূমিধসের পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে সংগ্রহ করতে পারে। ইতোমধ্যে গত ২৯-৩০ জুন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সংগঠিত ভূমিধসের তথ্য জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে পরীক্ষামূলকভাবে সংযুক্ত হয়েছে।

এই অনুষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন শিক্ষাখাত, সরকারি মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য খাতের প্রতিনিধিদের একত্রিত করে সেক্টরভিত্তিক আগাম সতর্কতা বার্তা প্রণয়ণ ও যাচাই করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। এর মাধ্যমে ভূমিধস ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানগত সমন্বয় ও প্রস্তুতি আরও জোরদার করার ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

সেভ দ্য চিল্ড্রেন-এর এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যের মাধ্যমে বান্দরবন ও চট্টগ্রামে পূর্বাভাসভিত্তিক আগাম কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। তারা দুর্যোগের সময় একত্রিত হয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ করে। তাদের কাজগুলো আরও গতিশীল করতে ল্যান্ডস্লাইড অ্যাপ-এর মতো কার্যকরী যেকোনও ধরনের সহায়তা বা সরবরাহ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।


অপো ফাইন্ড এন৫: ফোল্ডেবল ডিভাইসে আল্ট্রা-থিন ডিজাইন ও অবিশ্বাস্য ডিউরেবিলিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতার সাথে ট্যাবলেটের মতো বড় ডিসপ্লেকে একত্রিত করে বুক-স্টাইল ফোল্ডেবলগুলো; ফলে, এগুলো সাধারণ ফোনের মতো পাতলা ও টেকসই হয় না। তবে অপোর নিয়ে আসা ফাইন্ড এন৫ এই ধারণাকে অতিক্রম করে গেছে। পাতলা ও টেকসই ফোল্ডেবল তৈরির প্রযুক্তি না থাকায় অপো নিজেই উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে। আর এই উদ্ভাবনের কারণেই অপো ফাইন্ড এন৫ ডিভাইসটি একইসাথে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট, এই দুইয়ের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পারছে। পাশাপাশি হালকা, পাতলা, দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই নির্ভরযোগ্যতাও নিশ্চিত করতে পারছে।

বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা বুক-স্টাইল ফোল্ডেবল স্মার্টফোন

মাত্র ৮.৯৩ মিলিমিটার পুরুত্বের ফাইন্ড এন৫ বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা বুক-স্টাইল ফোল্ডেবল ফ্ল্যাগশিপ। এটি এর কাছাকাছি প্রতিযোগী ফোল্ডেবল ডিভাইসের তুলনায় ২৬ শতাংশ পাতলা। ভাঁজ করা অবস্থায়ও এটি ৯ মিলিমিটারের কম পুরুত্বে থাকে এমন প্রথম ফোল্ডেবল। আর খোলা অবস্থায় এটি মাত্র ৪.২১ মিলিমিটার পাতলা, যা কাস্টম-ডিজাইন উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। খোলা অবস্থায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ডিভাইসগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ফাইন্ড এন৫ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হালকা বুক-স্টাইল ডিভাইস, যার ওজন মাত্র ২২৯ গ্রাম। এটি এর কাছাকাছি প্রতিযোগীর তুলনায় অন্তত ১০ গ্রাম হালকা; যার ওজন যেকোনো ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের ওজনের কাছাকাছি। এই হালকা-পাতলা ফোনটি হাতে ধরে ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে এবং সাধারণ স্মার্টফোনের মতো খুব সহজেই পকেট বা ব্যাগে ফিট হয়।

হালকা-পাতলা অথচ টেকসই ও শক্তিশালী

হালকা-পাতলা গঠন, অথচ একইসাথে টেকসই ও শক্তিশালী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ফাইন্ড এন৫-এর প্রতিটি দিক খুব সূক্ষ্মভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে সর্বাধুনিক ও টেকসই টাইটানিয়াম অ্যালয় ফ্লেক্সন হিং (কব্জা) ব্যবহার করা হয়েছে। এর হিং কভার ও উইং প্লেট দুটিই অ্যারোস্পেস-গ্রেডের গ্রেড ৫ টাইটানিয়াম অ্যালয় থেকে থ্রিডি প্রিন্ট করা। ফলে এই ডিভাইসে ব্যবহৃত হিং এর আগের প্রজন্মের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেশি দৃঢ় ও ২৬ শতাংশ পর্যন্ত আকারে ছোট।

এছাড়াও, ফাইন্ড এন৫ টিইউভি রাইনল্যান্ড রিলায়েবল ফোল্ডিং সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে; যা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শুরু করে -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত ১ লক্ষ বার ভাঁজ খোলার পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনের পরিচয় বহন করে। এই সার্টিফিকেশন ব্যবহারকারীদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা এবং কঠিন পরিস্থিতিতে মসৃণ ফোল্ডিং কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। এর ফ্রেম কাস্টমাইজড ৭০০০-সিরিজ অ্যালুমিনিয়াম থেকে তৈরি, যা আগের প্রজন্মের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি শক্তিশালী।

এর উন্নত অ্যারোস্পেস-গ্রেডের ফাইবার থেকে তৈরি ব্যাক কভার ৪৩ শতাংশ পাতলা এবং ড্রপ টেস্টে আরও বেশি স্থিতিস্থাপক। ডিভাইসটির ভেতরে ব্যাটারি কম্পার্টমেন্টে ব্যবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার ও অ্যালুমিনিয়াম-সিরামিক কম্পোজিট। ফলে এটি একইসাথে শক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি করে আবার, জায়গার পুরুত্বও কমিয়ে আনে। এর কোয়াড-স্ট্যাকিং মাদারবোর্ড আগের প্রজন্মের তুলনায় ২০ শতাংশ পাতলা ও ৩১ শতাংশ পর্যন্ত আকারে ছোট।

অভ্যন্তরীণ ডিসপ্লের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে ফাইন্ড এন৫-এ ডুয়েল শিল্ডেড ফ্লেক্সিবল স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে দুইটি সুরক্ষার স্তর রয়েছে। ইলাস্টোমার উপাদান থেকে তৈরি এর এক্সক্লুসিভ অ্যান্টি-শক ফিল্ম ডিভাইসটিকে ক্ষতিকর ফোর্স থেকে সুরক্ষিত রেখে। এটি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শক প্রতিরোধ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।

ওয়াটার রেজিজট্যান্স সহ প্রথম ফোল্ডেবল

ফাইন্ড এন৫ আইপিএক্স৬, আইপিএক্স৮ ও আইপিএক্স৯ সার্টিফিকেশন অর্জনকারী বিশ্বের প্রথম ফোল্ডেবল স্মার্টফোন। এটি বৃষ্টি বা পানিতে পড়ে যাওয়ার মতো বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি অনায়াসে মোকাবিলা করতে পারে। এই ওয়াটার রেজিজট্যান্সের জন্য ফাইন্ড এন৫ একটি উদ্ভাবনী মাল্টি-লেয়ার ওয়াটার-প্রুফ স্ট্রাকচার ব্যবহার করে, যেখানে অ্যাডহেসিভ ব্যাকিং ও নিখুঁত ডিসপেনসিং একটি সুরক্ষিত বন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অত্যাধুনিক উপকরণ, নির্ভুল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং উন্নত কাঠামোগত ডিজাইনের মাধ্যমে ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের ধারণাকেই বদলে দিয়েছে অপো ফাইন্ড এন৫। ধারাবাহিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফাইন্ড এন সিরিজের ফোল্ডেবলগুলো প্রথমবারের মতো নির্ভরযোগ্য ডিভাইসে রূপান্তরিত হয়েছে। ফোনটি প্রমাণ করেছে যে, ফোল্ডেবল হলেও হালকা-পাতলা ডিজাইনের এবং একইসাথে, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়া সম্ভব।


‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বে টেক্সটাইল শিল্প রূপান্তরের আহ্বান এনইউবির সেমিনারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ—এই তিন সামাজিক ও পরিবেশগত সংকটের সমাধানে প্রস্তাবিত ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বকে টেক্সটাইল শিল্পে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এনইউবি) আয়োজিত এক সেমিনারে।

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত “The Three Zero Theory and Its Transformational Impact on Bangladesh’s Textile Industry” শীর্ষক এই সেমিনারে বক্তারা শিল্প খাতে পরিবেশ ও মানুষের টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে রূপান্তরমূলক পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দেন।

এই তত্ত্বের প্রবক্তা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে H&M এর সাসটেইনেবিলিটি এক্সপার্ট পার্থ রায় বলেন, “দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে থ্রি জিরো তত্ত্ব আমাদের উদ্যোগের ভিত্তি। বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে এটি বাস্তবায়ন হলে বৈশ্বিকভাবে নেতৃত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।” তবে এর জন্য নীতিগত সহায়তা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

সেমিনারে অংশ নিয়ে GSCS ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের টেকনিক্যাল ম্যানেজার সাফায়েত বিন ইসলাম বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি এখন আর বিকল্প নয়, এটি শিল্প খাতের অবিচ্ছেদ্য বাস্তবতা। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি প্রয়োগ করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসই আগামী দিনের টেক্সটাইল খাতের মূল চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “শুধু তত্ত্ব নয়, থ্রি জিরো দর্শন একটি বাস্তবভিত্তিক রূপান্তরের মডেল, যা আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও বাস্তবভিত্তিক প্রয়োগ দিয়ে এর বাস্তব রূপরেখা তৈরি সম্ভব।”

সেমিনারে জানানো হয়, এনইউবির টেক্সটাইল বিভাগ ইতিমধ্যে টেক্সটাইল বর্জ্য পানি পুনঃব্যবহার, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাস, পরিবেশবান্ধব ডাইং প্রযুক্তি, এনার্জি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং আগুন প্রতিরোধী-তাপ নিরোধক কম্পোজিট তৈরির ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক জি এম ফয়সাল ‘থ্রি জিরো’ ভিত্তিক একটি গবেষণা মডেল উপস্থাপন করেন, যেখানে দক্ষ মানবসম্পদ গঠন, গ্রিন এনার্জি ব্যবহার এবং বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকে মূল উপাদান হিসেবে দেখানো হয়।


টিকটক কিনতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সামাজিকমাধ্যম টিকটকের মালিকানা পেতে চলতি সপ্তাহেই চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি চুক্তি অনেকটাই এগিয়েছে বলে দাবি তার।

শুক্রবার (৪ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘সোমবার বা মঙ্গলবার সম্ভবত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বা তার কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো। তবে, আমাদের চুক্তি অনেকটাই চূড়ান্ত।-খবর দ্য গার্ডিয়ানের

তিনি জানান, এ বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি নিজে চীন সফর করতে পারেন কিংবা শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন। গত মাসে দুই নেতা পরস্পরকে নিজ নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

গত মাসে, ট্রাম্প টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান চীনভিত্তিক বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদগুলো বিক্রির জন্য তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এ চুক্তির জন্য চীনের সম্মতি নিতে হবে।

চুক্তি নিয়ে বেইজিংয়ের ওপর কতটা আস্থা রয়েছে—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নই, তবে মনে করি হবে। প্রেসিডেন্ট শি এবং আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। এ চুক্তি চীনের জন্যও ভালো, আমাদের জন্যও ভালো।’

গত জুনে ট্রাম্প তৃতীয় দফায় নির্বাহী আদেশ দিয়ে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময় বাড়ান। এর ফলে বাইটড্যান্সের হাতে আরও ৯০ দিন সময় আছে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ বিক্রি করার জন্য, অন্যথায় টিকটক মার্কিন বাজারে নিষিদ্ধ হবে।

চলতি বসন্তে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে একটি নতুন মার্কিন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার আলোচনা চলছিল। সেখানে নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে, ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে বেইজিং এ পরিকল্পনায় আপত্তি জানায় এবং আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন পর সুপ্রিম কোর্ট টিকটক নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার রায় দিলে তিনি প্রথম নির্বাহী আদেশে সময়সীমা বাড়ান। দ্বিতীয় নির্বাহী আদেশ আসে এপ্রিল মাসে। তখন বিক্রি বা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ছিল ১৯ জুন। এখন তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।


মহাকাশে হারিয়ে গেল উপগ্রহ ‘মিথেনস্যাট’

কৃত্রিম উপগ্রহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার চেষ্টায় বড় ধাক্কা খেয়েছে বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও গবেষণা মহল। তেল ও গ্যাস খাতসহ বিভিন্ন উৎস থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস শনাক্ত করতে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা প্রায় ১০৩৬ কোটি টাকা মূল্যের (৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার) উপগ্রহ মিথেনস্যাট এখন আর কক্ষপথে সাড়া দিচ্ছে না। এই ঘটনায় পরিবেশবিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

গত বছর ইলন মাস্কের স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল উপগ্রহটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করে গুগল, জেফ বেজোস এবং আরও কয়েকটি প্রভাবশালী সংস্থা ও ব্যক্তি। পাঁচ বছরব্যাপী এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নির্গমন উৎস শনাক্ত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া।

উপগ্রহটির তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স ফান্ড (ইডিএফ) জানিয়েছে, দশ দিন আগে মিথেনস্যাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, উপগ্রহটি শক্তি হারিয়েছে এবং পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নেই। তবে এখনো বিষয়টি তদন্তাধীন।

ইডিএফ জানিয়েছে, কিছু সফটওয়্যার ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে নতুন করে আরেকটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি।

মিথেন একটি অতি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস, যা ১০০ বছরের ব্যবধানে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের চেয়ে প্রায় ২৮ গুণ বেশি প্রভাব ফেলে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মতে, যদিও ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নির্গমন ৩০ শতাংশ কমানোর আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তারপরও প্রতি বছর এর মাত্রা বাড়ছেই।

মিথেন নির্গমনের প্রধান উৎসগুলো হলো তেল ও গ্যাস উৎপাদন, কৃষি এবং ল্যান্ডফিলে (ভাগাড়) উচ্ছিষ্ট খাবারের পচন। বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণকারী অনেক উপগ্রহ বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়, যার ফলে মিথেন নির্গমনের জন্য দায়ী প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়।

মিথেনস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা ছিল। যাতে সরকার ও গবেষকরা দূষণকারীদের শনাক্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। গুগল তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি দিয়ে এ তথ্য ব্যবহার করে বৈশ্বিক মিথেন মানচিত্র তৈরিরও পরিকল্পনা করেছিল।

উপগ্রহটিতে যুক্ত ছিল বিশ্বের অন্যতম সংবেদনশীল যন্ত্র, যা ছোট থেকে বড় সব ধরনের মিথেন নির্গমন শনাক্ত করতে সক্ষম। বিশেষভাবে কৃষিভিত্তিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নির্গমন উৎস শনাক্তে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত।

বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণে অন্যতম উৎস হলো কার্বনম্যাপার (CarbonMapper) এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহের TROPOMI যন্ত্র। তবে সেন্টিনেল-৫পি-এর সাত বছর মেয়াদি মিশন চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা। এরপর গ্রিনহাউস গ্যাস নিরীক্ষণের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

ইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাহসী পদক্ষেপ ও ঝুঁকি নেওয়া জরুরি। মিথেনস্যাট ছিল সেই সাহসী উদ্যোগের একটি প্রতীক।’


মঙ্গলে কেন প্রাণ নেই? রহস্য ভেদের ইঙ্গিত দিল নাসার রোভার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পৃথিবীর মতোই অনুরূপ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও মঙ্গল গ্রহে কেন প্রাণের অস্তিত্ব নেই, যেখানে পৃথিবীতে প্রাণ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে? নাসার এক রোভার সম্প্রতি এমন একটি সূত্র খুঁজে পেয়েছে, যা এই প্রশ্নের জবাবের একটি সম্ভাব্য দিক উন্মোচন করেছে।

প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, নতুন গবেষণা বলছে, মঙ্গলে এক সময় অল্প সময়ের জন্য নদী ও হ্রদ প্রবাহিত হলেও পুরো গ্রহটি মূলত মরুভূমিতেই পরিণত হয়েছিল। ফলে প্রাণ বিকাশের সম্ভাবনা স্থায়ী হয়নি।

মঙ্গল গ্রহে প্রাণ সৃষ্টির উপাদানগুলোর অনেকটাই থাকলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তরল পানি সম্ভবত দীর্ঘসময় ছিল না। অথচ প্রাচীন নদী ও হ্রদের নিদর্শনে বোঝা যায়, এক সময় এখানে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।

চলতি বছরের শুরুতে, নাসার কিউরিওসিটি রোভার এমন কিছু শিলা আবিষ্কার করে, যেগুলোতে কার্বনেট খনিজের উপস্থিতি রয়েছে। পৃথিবীতে এরকম খনিজ, যেমন লাইমস্টোন, বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে শিলায় আটকে রাখে।

বুধবার ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এই কার্বনেট শিলার প্রভাব মডেল করে দেখিয়েছেন যে, কীভাবে এটি মঙ্গলের আবহাওয়া ও জলবায়ুর গতিপথকে বদলে দিতে পারে।

গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিজ্ঞানী এডউইন কাইট বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহে কিছু নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ ছিল।’ তবে এই ‘ওএসিস’গুলো ছিল ব্যতিক্রম, নিয়ম নয়।

পৃথিবীতে কার্বন ডাইঅক্সাইড আবহাওয়া উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে, যা পরে শিলায় জমা হয় এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু মঙ্গলে আগ্নেয়গিরির গ্যাস নিঃসরণের হার তুলনামূলকভাবে খুবই কম, ফলে এই প্রাকৃতিক চক্রটি ব্যাহত হয়েছে।

মডেল অনুযায়ী, মঙ্গলে তরল পানির সংক্ষিপ্ত উপস্থিতির পর প্রায় ১০ কোটি বছরব্যাপী তা মরুভূমিতে রূপ নেয়, যা প্রাণ টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত দীর্ঘ ও কঠিন সময়।

কাইট বলেন, এখনও মঙ্গলের গভীরে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে, যা আমরা আবিষ্কার করতে পারিনি। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার ২০২১ সালে মঙ্গলের একটি প্রাচীন ডেল্টায় অবতরণ করে এবং সেখানে কার্বনেটের চিহ্ন খুঁজে পায়।

বিজ্ঞানীরা এখন আরো বেশি কার্বনেট খুঁজে পেতে চান, যার সেরা উপায় হলো মঙ্গলের শিলা পৃথিবীতে এনে পরীক্ষা করা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আগামী এক দশকের মধ্যেই এ লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় রয়েছে।

এই অনুসন্ধানের মূল প্রশ্ন- পৃথিবীর মতো প্রাণ বহনকারী গ্রহ কি বিরল? ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরের প্রায় ৬ হাজার গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। তবে কেবল পৃথিবী ও মঙ্গলেই এমন শিলা পাওয়া যায়, যা দিয়ে তাদের অতীত বোঝা সম্ভব।

কাইট বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে মঙ্গলের পানিপূর্ণ যুগেও কোনো প্রাণ জন্ম নেয়নি, তাহলে বোঝা যাবে, মহাবিশ্বে প্রাণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া বেশ কঠিন। আর যদি প্রাচীন প্রাণের কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়, তাহলে তা হবে সুস্পষ্ট বার্তা: ‘গ্রহ পর্যায়ে প্রাণ সৃষ্টি অনেক সহজ’।


পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে অপপ্রচার: শনাক্ত বাংলাফ্যাক্টের

আপডেটেড ২ জুলাই, ২০২৫ ১৩:০১
বাসস

রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের একটি পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচারের গুজব শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম ‘বাংলাফ্যাক্ট’।

বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান টিম জানায়, রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের পুরোনো ভিডিওটি সাম্প্রতিক বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এর সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছি এটি পুরোনো ঘটনা।

প্রতিষ্ঠানটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তরা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। সে সময় এসব ঘটনার প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। অথচ সম্প্রতি ওই ঘটনার ভিডিও বর্তমান সময়ের হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।

বাংলাফ্যাক্ট বলছে, বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনসাধারণকে যাচাইকৃত সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।


ল্যাগ-ফ্রি গেমিং নিশ্চয়তায় রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোন 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই ডিজিটাল লাইফস্টাইলের নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা চান। সেরা পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা চান। এসব ব্যবহারকারীদের জন্য পাওয়ারহাউজ’ স্মার্টফোন ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’এনেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা এই স্মার্টফোনটি গ্রাহকদের দেবে ‘আল্টিমেট’ স্পিড ও ইফিশিয়েন্সি। এই ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকরা পাবেন নির্বিঘ্ন ডাউনলোড, ‘ল্যাগ-ফ্রি’ গেমিং নিশ্চয়তা। রয়েছে স্মুথ স্ট্রিমিং, ব্লেজিং-ফাস্ট ৫জি কানেক্টিভিটি। আরো আছে উভয় সিম স্লটে ‘ডুয়েল-মুড ৫জি’ ফিচারসহ সবকিছুতেই দ্রুতগতির ‘নেক্সট-জেনারেশন’ এক্সপেরিয়েন্স। জেনে নেয়া যাক এই স্মার্টফোনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো।

শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট: রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোনের শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেন ৪ ৫জি চিপসেট ব্যতিক্রমী ও অসাধারণ প্রসেসিং পাওয়ার প্রদান করে। এতে করে চাহিদা অনুযায়ী নিত্যদিনের রুটিনমাফিক কাজসহ গ্রাফিক্স-ইনটেনসিভ গেমস দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলা যায়। একইসঙ্গে সম্ভব হয় নির্বিঘ্ন মাল্টিটাস্কিং ও রেসপন্সিভ পারফরম্যান্স।

ব্যাটারি: রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে- ৪৫ওয়াট ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি ও ৬০০০এমএএইচ টাইটান ব্যাটারি যা দ্রুতই স্মার্টফোনকে পূর্ণ চার্জ হতে সাহায্য করে। এতে ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যাবার ভাবনা ছাড়াই নিশ্চিন্তে গ্রাহকরা ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যামোলেড ই-স্পোর্টস ডিসপ্লে: স্মার্টফোনটির ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এর ৬.৬৭ ইঞ্চির অ্যামোলেড ই-স্পোর্টস ডিসপ্লে গ্রাহকদের আল্ট্রা-স্মুথ স্ক্রলিং এবং প্রাণবন্ত ভিজুয়্যাল এর অভিজ্ঞতা দেবে। ব্যবহারকারীরা আরো উপভোগ করতে পারবেন- ফ্লুইড এনিমেশন, রেসপন্সিভ টাচ এক্সপেরিয়েন্স, আইডিয়াল মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড গেমিং।

ক্যামেরা: নান্দনিক সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করতেও সিদ্ধহস্ত ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’। এই ডিভাইসের ‘ভার্সেটাইল’ ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা স্পষ্ট ও নিখুঁত ছবি উপহার দেয় এবং বাড়তি লেন্স ও ইন্টেলিজেন্ট এআই ফিচার স্মার্টফোনপ্রেমীদের সৃজনশীলতা প্রকাশে সহায়তা করে।

স্থায়িত্ব: ডিভাইসটিতে রয়েছে- অ্যান্ডয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই ৬.০, যা ব্যবহারকারীদের স্মুথ ও কাস্টমাইজেবল এক্সপেরিয়েন্স দেয়। এছাড়া ডিভাইসটিতে আরো রয়েছে- সেরা মানের আইপি৬৯, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৬ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স, যা কি না স্মার্টফোনকে অভাবনীয় স্থায়িত্ব প্রদান করে।

দাম: ডাইনামিক র‌্যাম এক্সপ্যানশনের মাধ্যমে গ্রাহকের মাল্টিটাস্কিং অভিজ্ঞতা প্রদানে সক্ষম ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’বাজারমূল্য ৪১,৯৯৯ টাকা


কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর আত্মহত্যার দাবিটি ভিত্তিহীন: ফ্যাক্টওয়াচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ।

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আত্মহত্যার খবরটি সঠিক নয়। কুমিল্লা জেলার একাধিক সাংবাদিক ও মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ফ্যাক্টওয়াচকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে ভুক্তভোগী ওই নারীর আত্মহত্যার বিষয়ে জাতীয় ও কুমিল্লার আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলোতেও দাবিটির পক্ষে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ, ফেসবুকে দাবিটি সূত্রহীনভাবেই প্রচার হচ্ছে।

পরে এ বিষয়ে অধিকতর যাচাইয়ে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে কর্মরত কুমিল্লার একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্যাক্টওয়াচ। কুমিল্লা জেলা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীর আত্মহত্যার খবরটি গুজব।

এছাড়া মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমানের সঙ্গে দাবিটি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফ্যাক্টওয়াচকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলেই আছেন। ভুক্তভোগী নারীর আত্মহত্যার দাবিটি গুজব।

ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, সুনির্দিষ্ট বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে এটা নিশ্চিত যে, কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণের আলোচিত ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আত্মহত্যার দাবিটি কোনো সূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে। এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত ও প্রমাণ করছে।

দেশে বিভিন্ন বিষয়ে গুজব, অপতথ্য ও ভুল তথ্যের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিভিন্ন ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করছে।

বাংলাদেশে গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে ফ্যাক্টওয়াচ। এটি লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় (ইউল্যাব) অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটিভেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) দ্বারা পরিচালিত।


এআইয়ের উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে রয়েল বেঙ্গল এআই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েল বেঙ্গল এআই। প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র উচ্চ মাধ্যামিক বা কলেজ শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ দিচ্ছে। কোডিং না জানলেও শুধু মাত্র এআইয়ের উপর আগ্রহী এমন কর্মীই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি ৩ জনকে শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেবে। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করত, পাশাপাশি মাসে ১০০ ডলার সম্মানি।

কোডিং জানার প্রয়োজন নেই, কোনও পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতাও দরকার নেই। সাবলীল ইংরেজির প্রয়োজন নেই শুধু মাত্র এআই সম্পর্কে কৌতূহলী এবং শিখতে, গবেষণা করতে এবং ধারণা সংগঠিত করতে আগ্রহী এমন প্রার্থীকেই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

ঘরে বসেই এআইয়ের উপর অভিজ্ঞ মানুষদের সাথে কাজ পাশাপাশি থাকবে সার্টিফিকেট, এআইয়ের উপর বাস্তব-বিশ্বের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ।

আবেদনের শেষ তারিখ ৪ জুলাই ২০২৫। আবেদন করতে https://shorturl.at/2o8Uc লিংকে প্রবেশ করুণ।


অপো এ৩এক্স এখন ১২,৯৯০ টাকায়!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ – শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো তাদের ডিউরেবিলিটি পাওয়ারহাউজ স্মার্টফোনকে আরও বেশি সাশ্রয়ী করে তুলেছে। অসাধারণ দৃঢ়তা ও পারফরম্যান্সের জন্য সুপরিচিত ডিভাইস অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১২,৯৯০ টাকায়; আগে এর দাম ছিল ১৩,৯৯০ টাকা। নতুন অফারের আকর্ষণীয় এই স্মার্টফোনটি বাংলাদেশের সকল অনুমোদিত অপো স্টোর থেকে কেনা যাবে।

স্মার্টফোন থেকে যারা অনেক বেশি প্রত্যাশা করেন, তাদের কথা বিবেচনা করেই এ অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিজট্যান্স, যা ১.২ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা থেকে পতন বা যেকোনো দিক থেকে আসা আঘাতের পরও ফোনটিকে আগের মতোই সচল রাখতে সক্ষম। পাশাপাশি, এর সাথে যুক্ত হওয়া মাল্টিপল লিকুইড রেজিজট্যান্স ও স্প্ল্যাশ টাচ প্রযুক্তির কারণে হাত ভেজা থাকলেও ফোনটি সক্রিয় থাকবে। অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়া বা হঠাৎ ছিটে আসা পানির ক্ষেত্রে এটি একদম নিখুঁতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।

একইসাথে, ডিভাইসটিতে অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে ৫,১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ সুবিধা ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে, এটি মাত্র ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশ চার্জ এবং মাত্র ৭৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ হতে সক্ষম। ফোনটির ইন্টেলিজেন্ট স্মার্ট চার্জিং ফিচার আপনার প্রতিদিনের ব্যবহারের অভ্যাস থেকে শিখতে সক্ষম, যা ব্যাটারির লাইফকে দীর্ঘায়িত করে। উল্লেখযোগ্য কোনোরকম ঝক্কি ছাড়াই এই স্মার্টফোনটি অন্তত ৪ বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।

অপো এ৩এক্স ডিভাইসে শক্তিশালী কাঠামোর পাশাপাশি, মসৃণ ও আধুনিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, এর ডিসপ্লেতে রয়েছে ১,০০০ নিটস, যা প্রখর সূর্যের আলোতেও ফোন দেখার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “অপোতে আমরা আমাদের গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। অপো এ৩এক্স-এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি স্মার্টফোন নিয়ে এসেছি যা প্রতিদিনের ফোন চালানোর চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে যাবতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। আর আকর্ষণীয় ও নতুন এই মূল্যের পাশাপাশি, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা অপোর টেকসই প্রযুক্তিও ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন।”

এখন মাত্র ১২,৯৯০ টাকার অবিশ্বাস্য মূল্যে সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি)। আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা ওয়েবসাইট www.oppo.com/bd ভিজিট করুন।


banner close