বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনাল ফেন্ডস ক্লাব এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি সারা দেশে থেকে বিভিন্ন আইটি প্রফেশনালদের নিয়ে গঠিত। বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচারের জন্য কীভাবে একে অপরের প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে একসঙ্গে কাজ করা যায় এ নিয়ে উভয় সংস্থার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি ড. সামসুল আরেফিন বলেন, ‘বাংলাদেশের আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এর জন্য দরকার কলাবোরেশান। নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে দেশের মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রফেশনাল ট্রেনিং ওয়েবনার ওয়ার্কশপসহ নানা ধরনের কার্যক্রম চালু করতে হবে।’
বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনাল ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি সালেহ মোবিন বলেন, ‘ দেশে আমাদের আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে আমাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
সংগঠনের সহসভাপতি ফারুক আজম এরশাদ বলেন, ‘২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। উঠতি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ট্রেনিং, ওয়েবনার ওয়ার্কশপসহ আয়োজন করা এবং কীভাবে তাদের জীবনের পরবর্তী ধাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবেন, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ইত্যাদি বিষয়ে উভয় সংস্থার অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
জেনারেল সেক্রেটারি এসএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমরা বাংলাদেশের সর্বস্তরের আইটি প্রফেশনালদের একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে বিসিএস এবং বিআইটিপিএফসি একসঙ্গে হয়েছিলাম। এর মাধ্যমে দুই পক্ষ একমত হয়েছি যে, সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’
শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনালস ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট সালেহ মোবিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক আজম এরশাদ, মহাসচিব এসএম সাজ্জাদ হোসেন, এডভাইজার শাহজেব ইবনে হোসেন, সেক্রেটারি পাবলিক রিলেসন রাজিব হাসান, সেক্রেটারি মেম্বারশিপ ডেভেলপমেন্ট সাব্বির আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন। সহ-সভাপতি (এডমিন) ও সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম। সহ-সভাপতি (ফিন্যান্স) অধ্যাপক মো. আব্দুল বাছেত সহ-সভাপতি (একাডেমিক) জয়নাল আবেদীন, মহাসচিব এলিন ববি, যুগ্ম-সচিব (এডমিন): শরিফুল আনোয়ার, যুগ্ম-সচিব (ফিন্যান্স) মো. জারাফাত ইসলাম, যুগ্ম-সচিব (একাডেমিক) প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ. মো. শাহরিয়ার হোসেন খান ফরহাদ এবং কাউন্সিলর এসএম সাজ্জাদ হোসেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনালস ফ্রেন্ডস ক্লাব একটি অলাভজনক সংগঠন। এই ক্লাবের বর্তমান সদস্য ১২ হাজারের বেশি। ক্লাবের লক্ষ্য পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটি খাতে দক্ষ জনবল তৈরি করা, নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নভেম্বরে। এই নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ‘ইলেকটোরাল ভোট’। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ভর করে এই ইলেকটোরাল ভোটের ওপর। ইলেকটোরাল ভোট পদ্ধতিটি ‘ইলেকটোরাল কলেজ’নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্গরাজ্য থেকে ‘ইলেকটর’বা নির্বাচকদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই নির্বাচকরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এই পুরো পদ্ধতিটি নিয়ন্ত্রণ করে মার্কিন আইন পরিষদ-কংগ্রেস।
সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে তাদের মনোনীত ইলেকটোরাল ভোটারের তালিকা জমা দেওয়া হয়, যাকে বলা হয় ‘স্লেট’। আর কোন রাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট থাকবে, সেটি নির্ধারিত হয় ওই রাজ্যে কতটি কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্ট রয়েছে, তার ওপর। প্রতিটি কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্টের জন্য একটি করে ভোট এবং দুজন সিনেটরের জন্য দুটি ভোট বরাদ্দ থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৩তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ছাড়াও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার জন্য অতিরিক্ত ৩ জন ইলেকটর নিয়োগ করা যাবে। এই পদ্ধতির স্বার্থেই নির্বাচনের সময় ডগ্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াকেও আলাদা রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নির্বাচনের দিন ভোটাররা মূলত প্রার্থীদের বাছাই করা ইলেকটরদের ভোট দিয়ে থাকেন। দুটি ছাড়া বাকি ৪৮টি অঙ্গরাজ্যে ‘উইনার-টেকস-অল’, অর্থাৎ জয়ী প্রার্থী ওই অঙ্গরাজ্যের জন্য বরাদ্দ সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে থাকেন।
নির্বাচনের দিন সারা দেশে ভোটাররা যে ভোট দেন, সেটিকে বলা হয় ‘পপুলার ভোট’। আর ইলেকটোরাল কলেজের ভোটকে বলা হয় ‘ইলেকটোরাল ভোট’। কোনো একটি অঙ্গরাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন, তার ঝুলিতে ওই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট যাবে।
জনসংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে। এই অঙ্গরাজ্যে ইলেকটরের সংখ্যা ৫৪টি। নির্বাচনে ট্রাম্প কিংবা কমলা যিনিই এই অঙ্গরাজ্যে সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন, তার ঝুলিতেই যাবে ক্যালিফোর্নিয়ার সব ইলেকটোরাল ভোট।
তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মেইন ও নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্য। এ দুই অঙ্গরাজ্যে আনুপাতিক হারে ইলেকটোরাল ভোটার বণ্টন করা হয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনে মেইন অঙ্গরাজ্যে বিজয়ী হয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু আনুপাতিক হারে নির্ধারিত চারটি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে হিলারি পেয়েছিলেন তিনটি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ৫৩৮টি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য দরকার ২৭০টি। সুতরাং একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মোট কতটি অঙ্গরাজ্যে জয়ী হলেন এবং সেসব অঙ্গরাজ্যের জন্য বরাদ্দ থাকা নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট মিলিয়ে মোট কতটি ইলেকটোরাল ভোট পেলেন, তার ওপরেই নির্ভর করে কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিটি বহু পুরোনো। আঠারো শতকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পপুলার ভোটেই হতো। ১৭৮৭ সালে সংবিধান রচনার সময় সংবিধান প্রণেতারা কংগ্রেস ও জনগণের সরাসরি ভোট বা পপুলার ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধারণা বাতিল করে দেন।
অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ওএসের ওপর ভিত্তি করে আনা প্রথম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ওয়ানপ্লাসের অক্সিজেন ১৫ ওএস। আগামী ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়ানপ্লাস সর্বাধুনিক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) ‘অক্সিজেন ওএস ১৫’ উন্মুক্ত করবে।
এদিন এক অনলাইন ইভেন্ট আয়োজন করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেটিং সিস্টেমটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ওয়ানপ্লাসের সকল অফিশিয়াল চ্যানেল থেকে ইভেন্টটি সরাসরি দেখা যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ওএসের ওপর ভিত্তি করে প্রথম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ওয়ানপ্লাসের ১৫ অপারেটিং সিস্টেমটি। নতুন ওএসটিতে ওয়ানপ্লাস তাদের নিরলস গবেষণা ও ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এই অপারেটিং সিস্টেমটিতে ওয়ানপ্লাসের স্পিরিট নেভার সেটেলের প্রতিফলন পাওয়া যাবে।
ওয়ানপ্লাসের আপডেটেড ওএসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, ইন্ডাস্ট্রির সেরা ও দ্রুতগতির ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, নতুন ও কার্যকরী এআই ফিচার এবং বিশেষায়িত ডিজাইন যা ওয়ানপ্লাসের সিগনেচার ডিজাইন ল্যাংগুয়েজের অনুভূতি দেবে। এসব ফিচার নিয়ে বাজারের সবচেয়ে দ্রুতগতির ও ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম হতে যাচ্ছে অক্সিজেন ওএস ১৫।
গতি ও কৃত্রিম প্রযুক্তির মেলবন্ধন
যেকোনো প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওয়ান প্লাসের মূল দর্শন হলো গ্রাহকদের দ্রুতগতির, মসৃণ ও ঝামেলাবিহীন অভিজ্ঞতা দেওয়া। অক্সিজেন ওএস ১৫ অপারেটিং সিস্টেমটিতে ওয়ানপ্লাস বাজারের সেরা সফটওয়্যার অ্যালগরিদম টেকনোলোজি ও অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের সৃজনশীল নির্মাণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মসৃণ অ্যানিমেশন ইফেক্ট দেবে।
এছাড়াও, অক্সিজেন ওএস ১৫-এর ডিজাইনে একটি সতেজ ও নতুন ভিজুয়াল স্টাইল এনেছে, যা ব্র্যান্ডটির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ব্যবহারকারীদের আনন্দময়য় ও নির্ঝঞ্ঝাট অভিজ্ঞতা দেবে। ব্যবহারকারী কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ ব্র্যান্ডটিকে মাল্টিটাস্কিং সিনারিও ও বেশ কিছু পারসোনালিটি এক্সটেনশন সিনারিও যোগ করতে সহায়তা করেছে।
অক্সিজেন ওএস ১৫-তে ওয়ানপ্লাসের এআই ফিচার যোগ করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বাধুনিক এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। ফিচারটি বেশ কিছু কমন সিনারিওতে সংযুক্ত করার মাধ্যমে প্রোডাক্টিভিটি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে ব্যবহারকারীর জীবনকে সহজ করে তুলবে। ফলে নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ হতে যাচ্ছে গতি, পারফরমেন্স ও বুদ্ধিমত্তার এক পারফেক্ট কম্বিনেশন।
অক্সিজেন ওএস ১৫ ওয়ানপ্লাসের উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতির এক বহিঃপ্রকাশ যা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অসাধারণ এক সফটওয়্যার অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ সম্প্রতি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক কমিউনিটি গ্রুপের সূচনা করেছে যেখানে ভক্তরা তাদের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও ইভেন্ট সম্পর্কে তথ্য পাবেন।
গ্রুপটি একটি মানসম্মত যোগাযোগের ঘনিষ্ঠ কমিউনিটি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে গড়া হয়েছে, যেখানে এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও ওয়ানপ্লাস টিমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে।
তাই ওয়ান প্লাস সম্পর্কে আপডেটেড থাকতে ও সকল তথ্য পেতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ওয়ানপ্লাসের কমিউনিটি গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। গ্রুপের লিংক-www.facebook.com/groups/oneplusbangladeshcommunity
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় বড় এক নিরাপত্তা দুর্বলতা মানুষের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ, এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। গবেষকরা সতর্ক করেছেন, যেসব রোবটিক সিস্টেমে এআই ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেগুলো ভেঙে পড়তে পারে আর সেগুলো নিরাপদও নয়।
নতুন এই গবেষণায় বিভিন্ন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল অথবা ‘এলএলএম’ খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা। এই এলএলএম প্রযুক্তির সাহায্যেই চ্যাটজিপিটির মতো এআই ব্যবস্থা কাজ করে। এমনকি রোবটিক্সের বেলাতেও একই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা গেছে, যেখানে বাস্তব-জগতে নেওয়া সিদ্ধান্ত মেশিনের মাধ্যমে প্রয়োগ করে এটি।
ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া পরিচালিত নতুন এ গবেষণা অনুসারে, ওই প্রযুক্তিতে এমন নিরাপত্তা ত্রুটি ও দুর্বলতা আছে, যার সুযোগ নিয়ে হ্যাকারদের পক্ষে এসব সিস্টেমে প্রবেশ করা সম্ভব।
ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জর্জ পাপাস বলেন, ‘আমাদের কাজে দেখা গেছে, এ মুহূর্তে বিভিন্ন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল বাস্তব জগতে ব্যবহারের মতো যথেষ্ট নিরাপদ নয়।’
এতে অধ্যাপক পাপাস ও তার সহকর্মীরা পরীক্ষা করে দেখেন, বর্তমানে ব্যবহার করা বেশ কিছু সিস্টেমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে এতে প্রবেশ করা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে ‘সেলফ-ড্রাইভিং’ বা স্বচালিত গাড়ির ব্যবস্থা, যাকে দিয়ে গাড়িকে চৌরাস্তার মধ্য দিয়ে কোনো দিকে ভ্রূক্ষেপ না করেই চালানোর ঝুঁকি রয়েছে।
গবেষকরা এখন এই সিস্টেমগুলোর নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করছেন যাতে সে দুর্বলতাগুলো শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে তারা সতর্ক করেছেন, এতে সুনির্দিষ্ট দুর্বলতার ‘প্যাচ’ তৈরির চেয়ে বরং এসব সিস্টেম কীভাবে তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করা উচিত।
গবেষণার সহ-লেখক বিজয় কুমার বলেন, ‘এ গবেষণাপত্রের ফলাফল থেকে এটা পরিষ্কার যে, এমন গুরুদায়িত্ব পালন করা সিস্টেম চালু করার বেলায় ‘সেইফটি-ফার্স্ট’ পন্থা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এআই-চালিত রোবটকে বাস্তব জগতে ছেড়ে দেওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই এসব দুর্বলতা নিয়ে কথা বলা উচিত। আমাদের গবেষণা যাচাইকরণ ও বৈধতা নিয়ে এমন একটি কাঠামো বানাচ্ছে, যা বিভিন্ন রোবটিক সিস্টেম সংশ্লিষ্ট সামাজিক নীতিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’
রাতের মেঘমুক্ত আকাশে প্রায়ই চোখে পড়ে উজ্জ্বল আলোর এক রেখা, যা মুহূর্তের মধ্যেই আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। এ ঘটনাটিকে উল্কাপাত বা তারার খসে পড়া বলেন অনেকে। রাতের আকাশে উল্কা যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তখন এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
পৃথিবীতে আছড়ে পড়া বেশিরভাগ উল্কাপিণ্ড আসলে কোথা থেকে আসে? সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় উঠে এসেছে, সব ধরনের উল্কাপিণ্ডের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে কেবল তিনটি গ্রহাণু পরিবারের কাছ থেকে। গ্রহাণু বেল্টের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে এসব গ্রহাণু পরিবার, যার মধ্যে একটি পরিবার ৫৮ লাখ বছর আগে, দ্বিতীয়টি ৭৫ লাখ বছর আগে ও তৃতীয়টি তৈরি হয়েছে চার কোটি বছর আগে।
বেশিরভাগ গ্রহাণু পরিবারের অবস্থান গ্রহাণু বেল্টে। এই গ্রহাণু বেল্টের অবস্থান মঙ্গল আর বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝখানে। এতে বেশ কিছু অংশে অসংখ্য গ্রহাণু গুচ্ছ আকারে আছে যেগুলোকে গবেষকরা বলছেন গ্রহাণু পরিবার।
এসব গ্রহাণু পরিবারের মধ্যে ‘মাসালিয়া’ নামের গ্রহাণু পরিবারটি নিজেই ৩৭ শতাংশ গ্রহাণু তৈরির জন্য দায়ী বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
এ তিনটি গ্রহাণু পরিবার এত এত গ্রহাণুর জন্ম দিচ্ছে তার কারণ, তুলনামূলকভাবে এখনো তরুণ বয়সে রয়েছে এরা। মহাকাশের আশপাশে ভাসমান অবস্থায় থাকা ও এদের দ্রুত ঘোরাঘুরির মানে হচ্ছে, এরা সহজেই গ্রহাণু বেল্ট থেকে বেরিয়ে গিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে।
এ ছাড়া উল্কাপিণ্ডের আরও উৎস খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। সবমিলিয়ে ৯০ শতাংশেরও বেশি উল্কাপিণ্ডের উৎপত্তি কোথায়, তা এখন গবেষকরা জানেন। এর মানে হলো, কিলোমিটার আকারের বিভিন্ন গ্রহাণুর উৎস খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর এসব গ্রহাণু হুমকির মুখে ফেলতে পারে পৃথিবীকে এবং সাম্প্রতিক মহাকাশ মিশনে এদের দিকেই বিশেষভাবে নজর দিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব গ্রহাণু নিয়ে তারা আরও গবেষণা চালাবেন এবং মনোযোগ থাকবে বিভিন্ন তরুণ বয়সের গ্রহাণু পরিবারের উপরও। এতে করে তারা আশা করছেন, বাকি ১০ শতাংশের উল্কাপিণ্ডের উৎপত্তি কোথায় সে সম্পর্কে আরও তথ্য মিলবে।
গ্রহাণু বেল্টের মধ্যে থাকা প্রধান উল্কাপিণ্ডের বিভিন্ন পরিবার নিয়ে জরিপ করার পর এসব উল্কাপিণ্ড কোথা থেকে আসে তা খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিভিন্ন গ্রহাণুর মধ্যে কীভাবে সংঘর্ষ হয় ও এগুলো কীভাবে ঘুরে বেড়ায় তা বোঝার জন্য কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করেছেন তারা।
এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্রে যার মধ্যে অন্যতম বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ও ‘নেচার’।
দেশের বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ‘রেনো১২ ৫জি’ মডেলের ফোন আনছে অপো। এআই ক্লিয়ার প্রযুক্তিনির্ভর ফোনটিতে পছন্দের ফ্রেম নির্বাচন করে দ্রুত ভালো মানের ছবি তোলার পাশাপাশি জেনারেটিভ এআইয়ের সাহায্যে ছবিতে থাকা ব্যক্তির চেহারা, চুলসহ বিভিন্ন অংশ দ্রুত সম্পাদনা করা যায়।
শুধু তাই নয়, চাইলে ছবিতে কারও চোখ বন্ধ থাকলে তাও সম্পাদনা করে ঠিক করা যায়। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অপো বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফোনটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির পাশাপাশি ৮০ ওয়াটের সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি থাকায় ৪৭ মিনিটেই শতভাগ চার্জ করা যায়। ফলে ফোনের চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
১২ গিগাবাইট র্যাম ও ৫১২ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাও পাওয়া যাবে। ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ৫৯ হাজার ৯৯০ টাকা। ৬ দশমিক ৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির পেছনে ৫০, ৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
ফলে সহজেই উন্নত রেজল্যুশনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যায়। পানি ও ধুলা প্রতিরোধক হওয়ায় ফোনটি ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না। ফোনটি কেনার জন্য অগ্রিম ফরমাশ করলে উপহারও পাওয়া যাবে।
শিক্ষা ও বিনোদনমূলক ভিডিও দেখার জন্য অনেকেই নিয়মিত ইউটিউব ব্যবহার করে থাকেন। কেউ কেউ পছন্দের ভিডিও অন্যদের দেখার সুযোগ দিতে সেই ভিডিওর লিংক বন্ধু বা পরিচিত ব্যক্তিদের পাঠান।
তবে ভিডিওর আকার বড় হলে ভিডিওর গুরুত্বপূর্ণ বা মজার অংশ দেখার জন্য পুরো ভিডিও দেখতে হয়, যা বেশ সময়সাপেক্ষ। তবে চাইলেই ইউটিউবে থাকা ভিডিওর গুরুত্বপূর্ণ বা মজার অংশের ক্লিপ অন্যদের পাঠানো যায়। ইউটিউব ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশের ক্লিপ অন্যদের পাঠানোর পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ অন্যদের পাঠানোর জন্য ইউটিউব অ্যাপ থেকে নির্দিষ্ট ভিডিও চালু করতে হবে। এরপর চ্যানেলের নামের নিচে থাকা ক্লিপ অপশন নির্বাচন করে ভিডিও ক্লিপের কাঙ্ক্ষিত অংশ নির্দিষ্ট করতে হবে।
এবার সর্বোচ্চ ৫৯ সেকেন্ডের ক্লিপ নির্বাচন করে ওপরে থাকা টাইটেল অংশে ভিডিওর টাইটেল লিখতে হবে। এরপর নিচে থাকা শেয়ার ক্লিপ অপশন নির্বাচন করার পর লিংকটি কপি করতে হবে। এবার হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বা ই-মেইল আইকন নির্বাচন করে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করলেই ভিডিওর লিংকটি সেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
২০২১ সালের পর নতুন সংস্করণের আইপ্যাড মিনি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ সুবিধাযুক্ত নতুন আইপ্যাডটি আগামী সপ্তাহে বাজারজাত করা হলেও এরই মধ্যে অনলাইনে ফরমাশ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপলের তথ্যমতে, ৮ দশমিক ৩ ইঞ্চির লিকুইড রেটিনা পর্দা রয়েছে নতুন সংস্করণের আইপ্যাড মিনিতে। এ১৭ প্রো প্রসেসর থাকায় আইপ্যাডটি আগের সংস্করণের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি গতিতে কাজ করতে পারে। দ্বিগুণ গতির নিউরাল ইঞ্জিন-সুবিধার আইপ্যাডটি অ্যাপলের পেনসিল প্রো-সমর্থন করে।
ফলে যারা আঁকাআঁকির কাজ করেন, তাদের জন্য এই আইপ্যাড বেশ কার্যকর হবে। ১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার আইপ্যাডটির দাম ধরা হয়েছে ৪৯৯ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৬০ হাজার টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১২০ টাকা ধরে)।
ইউএসবি সি পোর্টযুক্ত নতুন আইপ্যাড মিনি ওয়াই-ফাই ৬ই প্রযুক্তি সমর্থন করে। এর ফলে দ্রুত চার্জ করার পাশাপাশি আগের প্রজন্মের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। বেগুনি ও নীল রঙে তৈরি আইপ্যাড মিনির সামনে-পেছনে ১২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা রয়েছে। ই-সিম যুক্ত করে ফোনকল করার সুযোগও রয়েছে নতুন আইপ্যাড মিনিতে।
সূত্র: দ্য ভার্জ, অ্যাপল ডটকম
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স কার্ড ও হার্ডওয়্যার সল্যুশন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান গিগাবাইট টেকনোলজি সম্প্রতি এর যুগান্তকারী জেড-৮৯০ মাদারবোর্ড নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ মাসের শেষ নাগাদ গিগাবাইট জেড-৮৯০ মাদারবোর্ডটি সব জায়গায় পাওয়া যাবে। এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে গিগাবাইটের ওয়েবসাইট www.gigabyte.com/Motherboard/Intel–Chipset-Intel-Z890 ভিজিট করতে বলা হয়েছে।
এই নেক্সট জেনারেশন মাদারবোর্ডগুলো এআই ইন্টেগ্রেশন এবং পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে পেশাদারদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করবে। সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) সমৃদ্ধ এই মাদারবোর্ডগুলো সক্ষমতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
অসীম মেমোরি কর্মক্ষমতা
গিগাবাইট জেড-৮৯০ তে ব্যবহার করা হয়েছে ডি-৫ বায়োনিক কোরসা টেকনোলজি, যা মেমোরি পারফরম্যান্সকে ডিডিআর-৫ এক্সএমপি ৯৫০০ ও তার ওপরে নতুন করে উন্নীত করতে সক্ষম। ডিডিআর-৫ মেমোরির জন্য এটি সত্যিই এক দারুণ এআইসমৃদ্ধ ওভারক্লকিং টেকনোলজি; যেখানে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার থেকে শুরু করে ফার্মওয়্যার সাইড পর্যন্ত চারটি মূল প্রযুক্তিকে তুলে ধরে ডি-৫ বায়োনিক কোরসা এর অরাস এআই স্ন্যাচ ও এআই স্ন্যাচ এআই-ওভারক্লকিংয়ের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে; যেখানে এআইসমৃদ্ধ পিসিবি ও হাইপারটিউন বিআইওএসের এআই-ডিজাইন মাদারবোর্ডের সিগনাল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
অরাস এআই স্ন্যাচ এআই মডেলের একটি স্বয়ংক্রিয় ওভারক্লকিং সফটওয়্যার, যা মাত্র এক ক্লিকেই ব্যবহারকারীর জন্য সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে। অরাস এআই স্ন্যাচের মূলে রয়েছে এআই মডেলের নিয়ে আসা এআই স্ন্যাচ ইঞ্জিন, এআই টপের প্রশিক্ষিত এই বিস্তৃত ওভারক্লকিং ডেটাসেট সমৃদ্ধ করে স্থিতিশীল পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।
এ ছাড়া, এআইসমৃদ্ধ পিসিবি টেকনোলজি ভায়াস, রাউটিং ও স্ট্যাকআপ্স অপ্টিমাইজ করতে এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করবে; যেখানে হাইপারটিউন বিআইওএস এমআরসি অপ্টিমাইজ করতে, সিগনালকে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় পৌঁছে নিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মেমোরি ক্লক বুস্ট করতে এবং সবধরনের পারফরম্যান্স সমৃদ্ধ করতে এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করবে।
অনন্য ডিআইওয়াই বান্ধব অভিজ্ঞতা
ডিআইওয়াই বান্ধব অভিজ্ঞতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে উদ্ভাবনী ডিজাইনের ফিচার নিয়ে এসেছে গিগাবাইট জেড৮৯০ মাদারবোর্ড। একটি একক অ্যাডাপ্টারের মধ্যে ওয়াইফাই ইজেড-প্লাগের সঙ্গে ওয়াইফাই অ্যান্টেনার সংযোগ স্ক্রুয়ের ইনস্টলেশনের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। ইজেড-ডিবাগ জোন ট্রাবলশুটিং নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এলইডি ও কন্ট্রোল বাটনকে কেন্দ্রীভূত করবে; যেখানে একটি অপ্টিমাল ডিআরএএম ইনস্টলেশন এলইডি থাকবে, যা যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত স্লট থেকে মডিউল ইনস্টল হওয়া মাত্র সচল হয়ে যাবে। সেন্সর প্যানেল সেটআপ সহজ ও কেবল ব্যবস্থাপনার ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখতে ভেতরের ভিডিও পোর্টের সঙ্গে সেন্সর প্যানেল সংযুক্ত থাকবে।
এতে পিসিএলই গ্রাফিক্স কার্ডের স্ক্রুবিহীন ইনস্টল নিশ্চিত করতে থাকছে পিসিএলই এজেড-ল্যাচ প্লাস; যেখানে এম. ২ এসএসডি ও হিটসিংকসের উপকরণহীন ইনস্টল নিশ্চিত করবে এম. ২ এজেড-ল্যাচ ক্লিক এবং এম. ২ এজেড-ল্যাচ প্লাস। আর সবমিলিয়ে এটি পুরো প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তুলবে; ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়।
উপযুক্ত কম্পিউটিং
এর আপগ্রেডেড ইউসি বিআইওএসে থাকছে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের টিউনিং অপশনসহ ইনটুইটিভ ইন্টারফেস। এর এআই পার্ফড্রাইভ ব্যবহারকারীর আসল সিস্টেম টেম্পারেচারের ওপর নির্ভর করে অপ্টিমাল ইউসেজ প্রোফাইল রিকোমেন্ড করতে পারবে। এর মাল্টি-থিম ডিজাইন মাত্র এক ক্লিকেই বিআইওএস থিম কাস্টমাইজ করতে সক্ষম, যেখানে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে নতুন গ্রেস্কেল অপশনও যুক্ত করা হয়েছে। নন-উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য এর এআইও ফ্যান কন্ট্রোল বিআইওএস থেকে সরাসরি এআইও ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তার ওপর এইচউইনফোর সঙ্গে এর বিশেষ অংশীদারিত্ব নিয়ে এসেছে সমৃদ্ধ সক্ষমতা। এর পাওয়ার মনিটর একদম নিখুঁত সিপিইউ ভি-কোর পাওয়ার ফেইজ আউটপুট ও সক্ষমতা মনিটর করতে সক্ষম। এর অরাস বা এইচউইনফো টেক্সট বা গ্রাফ আকারে ওএসডি ডিসপ্লে করবে, যা অতিরিক্ত কোনো সফটওয়্যার ছাড়াই পুরো স্ক্রিন জুড়ে অ্যাপ্লিকেশন ও গেমস দেখাতে সক্ষম। ব্যক্তিনির্ভর কম্পিউটিং অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে অসাধারণ এই অগ্রগতি সিস্টেম পারফরম্যান্সের ওপর ব্যবহারকারীর আরও নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ প্রদান করবে।
সর্বাধুনিক পারফরম্যান্স ও থারমাল ম্যানেজমেন্ট
গিগাবাইট জেড-৮৯০ এ রয়েছে লেটেস্ট ইনটেল কোর আলট্রা প্রসেসর (সিরিজ ২) যা ১১০এ এসপিএসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী স্থিতিশীলতা ও পাওয়ার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভিআরএমের সল্যুশনকে মোট ২১টি স্তরে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম। বিআইওএসে গিগাবাইটের বিশেষ এনপিইউ ওভারড্রাইভ ইনটেলের সর্বশেষ প্রসেসরকে সুপারচার্জ করে। বাস্তবে যা ২৩ শতাংশ পর্যন্ত এআই সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর ভেতরে রয়েছে ৮ স্তরবিশিষ্ট সার্ভার-গ্রেড পিসিবি; যা সর্বোচ্চ ওভারক্লকিং ও গেমিং স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়।
সিস্টেম কার্যকরভাবে সচল রাখতে উদ্ভাবনী কুলিং সমাধান নিয়ে আসা হয়েছে। একটি সিনার্জিস্টিক হিট ডিসসিপেশন সিস্টেম তৈরি করতে ভিআরএম ও এম. ২ থারমাল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ডিডিআর উইন্ড ব্লেড ও ভেন্টেড ব্যাক প্যানেল। এই ফিচারগুলো এমনকি কাজের তীব্র চাপের মধ্যেও তাপমাত্রা সঠিক রাখা নিশ্চিত করবে। এতে নতুন প্রজন্মের ইন্টেল সিপিইউর নানান সমস্যা চিহ্নিত করতে সক্ষম, এমন ভিআরএম থারমাল ব্যালেন্স মেকানিজম নিয়ে আসা হয়েছে। এর শীর্ষে অবস্থিত প্রাইমারি পাওয়ার ইনপুট একদম নির্দিষ্ট অঞ্চলের তাপমাত্রা চিহ্নিত করতে সক্ষম। ফলে এর হিটপাইপ ডিজাইনের মেকানিজম ভিআরএমের উভয় পাশের তাপমাত্রা সমন্বয় করতে এবং চলতি আউটপুট পুনরায় ছড়িয়ে দিয়ে পিডব্লিউএম ফার্মওয়্যার অপ্টিমাইজ করতে সক্ষম। আরএল-আইএলএম (রিডিউসড লোড-ইনডিপেন্ডেন্ট লোডিং মেকানিজম) ব্যবহার করে এটি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ কমাতে এবং সিপিইউ আইএইচএসের (ইন্টেগ্রেডেট হিট স্প্রেডার) সম্ভাব্য বেঁকে যাওয়া ঠেকাতে সক্ষম। ফলে সিপিইউটি কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
সর্বব্যাপী কানেক্টিভিটি
কানেক্টিভিটির শীর্ষে থাকা জেড-৮৯০ মাদারবোর্ড নেক্সট জেনারেশনের তারসহ ও ছাড়া নেটওয়ার্কের নিরবচ্ছিন্ন বন্ধন নিশ্চিত করে। ডেটা ট্রান্সফারের গতি নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিতে এতে রয়েছে পিসিএলই ৫.০ স্টোরেজ ও সর্বাধুনিক থান্ডারবোল্ট ৪ পোর্ট। গিগাবাইটের ডিরেকশনাল আলট্রা-হাই গেইন অ্যান্টেনার সঙ্গে ওয়াইফাই ৭ ব্যান্ডউইথকে সমৃদ্ধ করে, যা তড়িৎগতির ফাইল ট্রান্সফার স্পিড নিশ্চিত এবং ভিআর অভিজ্ঞতার জন্য একটি যথাযথ পরিবেশ তৈরি করবে।
এর জিসিসি সফটওয়্যারের উদ্ভাবনী ওয়াইফাই কম্পাস ফিচার তারবিহীন কানেক্টিভিটিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। এর উদ্ভাবনী টুল অ্যান্টেনা ও ওয়াইফাই রাউটারের মধ্যে রিয়েল-টাইম সিগনাল নিশ্চিত করবে, যা সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে অ্যান্টেনার প্লেসমেন্ট অপ্টিমাইজ করতে সহায়তা করবে।
এর ইউএসবি৪ পোর্টের ডুয়েল থান্ডারবোল্ট ৪ এর মতো অনবদ্য ফিচার, ৪০ জিবিপিএস পর্যন্ত স্পিড নিশ্চিত করবে। ডিসপ্লেপোর্ট ১.৪- এ সমৃদ্ধ এর অনন্য সব পোর্ট ৪কে ও ৮কে ডিসপ্লে করা এবং চার্জিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ ৫টি পর্যন্ত ডিভাইস সংযুক্ত করতে সক্ষম। এই ধরনের কানেক্টিভিটি কনটেন্ট তৈরি হোক বা গেমিং, ব্যবহারকারীর যেকোনো কাজে সর্বোচ্চ এবং অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
এআই টপ সিরিজ
নিখুঁত হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি থেকে জেড-৮৯০ প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বাধুনিক এআই টপ সিরিজ। এই সিরিজে অরাস ও এআই টপ লাইনের সর্বাধুনিক ফিচারের সমন্বয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ফ্ল্যাগশিপ জেড-৮৯০ অরাস এক্সট্রিম এআই টপ, জেড-৮৯০ অরাস মাস্টার এআই টপ এবং জেড৮৯০ এআই টপ। এই মাদারবোর্ডগুলোয় ১০ জিবিই ল্যান পর্যন্ত ডুয়েল গ্রাফিক্স কার্ড এবং বিশেষ এআই টপ ইউটিলিটির সঙ্গে থান্ডারবোল্ট ৫ রয়েছে। বিশেষ করে, কম্পিউটেশনাল সক্ষমতার সর্বোচ্চটি প্রকাশ করতেই এই এআই টপ জেড-৮৯০ লাইনআপ নিয়ে আসা হয়েছে।
এখন এআইয়ের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে; আর এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতেই এআই-নির্ভর গিগাবাইট জেড-৮৯০ নিয়ে আসা হয়েছে। এটি কেবল মাদারবোর্ডের চেয়েও বেশি কিছু; এটি কম্পিউটিংয়ের আগামীতে যাওয়ার অনন্য উপায়; ব্যবহারকারী ও পেশাদারদের সকল প্রকার চাহিদা পূরণেই এটি নিয়ে আসা হয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিন্টন।
বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে সুইডেনের স্টকহোম থেকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজেতা হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
নোবেল পুরস্কার ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘জন হপফিল্ড এবং জিওফ্রি হিন্টন পদার্থবিজ্ঞানের টুল ব্যবহার করে এমন কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা আজকের শক্তিশালী মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ভিত্তি।’
জন হপফিল্ড এমন একটি অ্যাসোসিয়েটিভ মেমোরি তৈরি করেন, যা ডেটায় সংরক্ষিত ছবি বা অন্যান্য প্যাটার্ন পুনর্গঠন করতে পারে। এটি মেশিনের ছবি চিনতে ও বিভিন্ন প্যাটার্ন শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে, জিওফ্রি হিন্টন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা ডেটা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করে। এর ফলে মেশিন নির্দিষ্ট ছবি বা উপাদান শনাক্ত করার মতো জটিল কাজ সম্পাদন করতে পারে।
জন জে. হপফিল্ড ১৯৩৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
জিওফ্রি ই. হিন্টন ১৯৪৭ সালে লন্ডন, যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ থেকে পিএইচডি অর্জন করেন এবং বর্তমানে টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্র, ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য, ১১ অক্টোবর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার শান্তিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
এ ছাড়া ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।
বিপর্যয় ও দুর্যোগের সময়, বিশেষ করে বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারবে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের তৈরি একটি ড্রোন।
বন্যাপ্রবণ বাংলাদেশ প্রায়ই বন্যার কবলে পড়ে। সড়কপথ তলিয়ে যাবার ফলে অসহায় ও দুস্থদের কাছে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক এই সংকটময় মুহূর্তে আশীর্বাদ হয়ে এলো ওয়াটার ড্রোন নামক এ প্রযুক্তিটি।
রিলিফ অ্যাসিসটেন্স ফ্লোটিং ট্রান্সপোর্ট নামক ড্রোনটি সাত কেজি পর্যন্ত জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বা পেলোড সরবরাহ করতে সক্ষম। পাশাপাশি এটি দুই কিলোমিটার পর্যন্ত কার্যক্ষমতা ধারণ করতে পারবে।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নির্মিত এই প্রযুক্তিটি ভবিষ্যতে বিপর্যয়ের সময় বন্যার্তদের মাঝে সহায়তা দ্রুত এবং সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড টেকনো সম্প্রতি তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা ইন-ক্লাস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হ্যাসব্রো’র ট্রান্সফরমারস ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কোলাবোরেশন করেছে। এই সহযোগিতার আওতায় টেকনো স্পার্ক ৩০ সিরিজ থেকে বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন ট্রান্সফর্মার্স এডিশন (সংস্করণ)।
ট্রান্সফর্মার্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা এই নতুন সংস্করণের ফোন তরুণ প্রজন্মের মতো প্রাণবন্ত হবে, সঙ্গে থাকবে আইকনিক ডিজাইন এবং আরও শক্তিশালী ও পার্সোনালাইজড অভিজ্ঞতা। স্পার্ক ৩০সি এই অংশীদারিত্বের অধীনে রিলিজ হওয়া প্রথম ডিভাইস।
এর ধারাবাহিকতায় টেকনো বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে স্পার্ক সিরিজের নতুন ফোন টেকনো স্পার্ক ৩০সি। দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা সঙ্গে আল্ট্রা-স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে এই ফোন। যারা নির্ভরযোগ্য, শক্তিশালী এবং ভালো পারফরম্যান্স যুক্ত একটি ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য চমৎকার একটি পছন্দ হতে পারে নতুন এই ডিভাইস।
টেকনো স্পার্ক ৩০সি ফোনের অনেকগুলো আকর্ষণীয় ফিচারের একটি হলো এর ‘৫০ মাসের দীর্ঘস্থায়ী ফ্লুয়েন্সি’ ফলে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো রকম ল্যাগ ছাড়াই উপভোগ করা যাবে স্মুথ স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা। স্থায়িত্বের জন্য এই ফোনে আরও রয়েছে আইপি৫৪ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স (পানি এবং ধূলিকণা প্রতিরোধক) ফিচার। বৈরি আবহাওয়া বা ধুলোময় পরিবেশ যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন স্পার্ক ৩০সি। ফলে যেসব ব্যবহারকারীরা একটু চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করেন অথবা একটি পাওয়ারফুল স্মার্টফোন প্রয়োজন তাদের জন্য আদর্শ চয়েস হতে পারে স্পার্ক ৩০সি।
এ ছাড়া, এই ফোনের ইনফ্রারেড রিমোট-কন্ট্রোল ফিচারের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা ঘরের যেকোনো স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সহজেই। ফোনটিতে আরও আছে ১২০ হার্জ ৬.৬” এইচডি+ আইপিএস স্মুথ ডিসপ্লে। প্রসেসর সেকশনে থাকছে হেলিও জি৮১ অক্টা-কোর প্রসেসর।
স্পার্ক ৩০সি ফোনে থাকছে ১২জিবি র্যাম (৬জিবি + ৬জিবি এক্সটেন্ডেড) ১২৮জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। স্মুথ ডিসপ্লে, বড় র্যাম, পাওয়ারফুল প্রসেসরের কম্বিনেশন রেগুলার ব্যবহার থেকে শুরু করে গেমিং সব ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত ল্যাগবিহীন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।
ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য এই ডিভাইসে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা যার সাহায্যে তোলা যাবে উচ্চ-রেজ্যুলেশনে প্রাণবন্ত ছবি। এছাড়া, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা নিখুঁত ডিটেইলস সহ ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত। ১৮ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সহ ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকআপ নিশ্চিত করবে। মনোমুগ্ধকর অডিও অভিজ্ঞতার জন্য এই ডিভাইসে আছে ডিটিএস ডুয়াল সিমেট্রিকাল স্পিকার।
দুর্দান্ত সব ফিচার যুক্ত স্পার্ক ৩০সি পাওয়া যাবে মাত্র ১৩,৯৯৯ টাকায় (ভ্যাট ব্যতীত) দেশজুড়ে সকল টেকনো স্টোরে।
তরুণ প্রজন্মের প্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি শিগগিরই একটি নতুন ফোন আনতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে অনন্য মাত্রা যোগ করবে। গুঞ্জন রয়েছে, এই স্মার্টফোনটি হতে যাচ্ছে রিয়েলমির জনপ্রিয় নাম্বার সিরিজের ফোন, যা এক বছর পর ফিরে আসছে।
শোনা যাচ্ছে, আসন্ন এই স্মার্টফোনটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট দ্বারা পরিচালিত একটি শক্তিশালী ফোন হতে চলেছে। যদি এটি সত্য হয়, তবে ব্যবহারকারীরা এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং দ্রুত গতির অভিজ্ঞতা পাবেন। যদিও বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এর সম্ভাব্য পারফরম্যান্স নিয়ে ইতোমধ্যেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
ডিভাইসটির পারফরম্যান্সের মূল ভিত্তি প্রসেসিং স্পিড হলেও, অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ ফিচার থাকার সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে, যা তরুণ ব্যবহারকারীদের এই ফোনের ব্যাপারে আরও আগ্রহী করে তুলবে। ফোনে আরও থাকতে পারে একটি শক্তিশালী সনি ওআইএস পোর্ট্রেট ক্যামেরা। এটি স্মার্টফোনপ্রেমীদের দেবে অসাধারণ এবং ঝকঝকে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা।
গ্রাহকদের বাড়তি প্রত্যাশা পূরণে ফোনটিতে একটি উচ্চমানের রিফ্রেশ রেটের অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকার সম্ভাবনাও আলোচনায় রয়েছে। এই সম্ভাবনা সত্যি হলে, ডিসপ্লে ব্যবহারকারীদের অভূতপূর্ব ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতার পাশাপাশি চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্স দিতে সক্ষম হতে পারে।
এছাড়াও, চার্জিং সক্ষমতা অনেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের সূত্র বলছে, এই ফোনটি অত্যন্ত দ্রুত চার্জিং সুবিধা নিয়ে আসছে। কিছু সূত্র এমন ইঙ্গিতও দিচ্ছে যে, এটি ৬৭ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং এর মতোই শক্তিশালী হতে পারে।
যদিও বিস্তারিত তথ্য এখনও গোপন রাখা হয়েছে, তবে অতুলনীয় গতিসম্পন্ন এবং পারফরম্যান্স প্রদানে সক্ষম এই স্মার্টফোনটির সম্পর্কে জানার জন্য গ্রাহকদের আগ্রহ কিন্তু বেড়েই চলেছে। তরুণ স্মার্টফোনপ্রেমীরা তাই নতুন ফোনের অভাবনীয় পারফরম্যান্সের সাক্ষী হওয়ার জন্য দিন গুনছেন।
আগামীকাল রোববার রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত আংশিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস। আজ শনিবার দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটনিং ফিল্টার ইনস্টলেশনের কারণে চার ঘণ্টা কোনো কোনো জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হবে।
আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও পূর্ব-পশ্চিম ইউরোপের কনসোর্টিয়াম (এসইএ-এই-ডব্লিউই ফাইভ) এই ইনস্টলেশনের কাজ করবে। সেসময় কুয়াকাটা থেকে এসইএ-এই-ডব্লিউই ফাইভ হয়ে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের পাঁচ হাজার ৮০০ জিবিবিএস ব্যবহার করছে। এর অর্ধেক ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত থেকে স্থলপথে আমদানি করে।
সাগরের নিচ দিয়ে আসা প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ৮০০ জিবিবিএস আনা হয়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ এই সংযোগে যুক্ত হয়। বর্তমানে তা বাড়িয়ে তিন হাজার ৮০০ জিবিবিএস করা হয়েছে।
কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডব্লিউই ফাইভ থেকে পাওয়া যায় এক হাজার ৭০০ জিবিবিএস। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডব্লিউই সিক্স থেকে ১৩ হাজার ২০০ জিবিবিএস পাওয়া যাবে।