শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আবারও ফেসবুকে সমস্যা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড
২০ মার্চ, ২০২৪ ২২:৫৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৪ ২২:৫০

ফেসবুকে আবারও সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যার কারণে ভালোমতো দেখা যাচ্ছে না লাইভ ভিউয়ের সংখ্যা এবং পেইজের কাভার ফটো।

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।

সার্ভার সমস্যার কারণে এমনটি হতে পারে বলে ধারণা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের। কারণ প্রায় ১০ ঘণ্টা আগে ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) এ এক পোস্টে এর ইঙ্গিত দেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।

এক্সে তিনি লেখেন, ‘আমার আরেকটি সার্ভার জটিলতা প্রয়োজন। এর বাইরে এ বিষয়ে মেটার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।’

এর আগে ৫ মার্চ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮১৭ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। দ্রুত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইনের চেষ্টা করেও পারেনি ফেসবুকে লগইন করতে।

বিষয়:

ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে বিটিআরসির নির্দেশ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে বিকেল ৩টার দিকে বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন ডিরেক্টরেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল করা হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ও বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সে নির্দেশনা আইআইজি অপারেটরদের জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশনাও দিয়েছে বিটিআরসি। ফলে এখন থেকে ইউটিউব ও গুগলে সার্ভিস পেতে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না ব্যবহারকারীদের।

তবে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ) এবং টিকটকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুলাই রাত থেকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করে সরকার। গত বুধবার রাত থেকে সব জায়গায় ব্রডব্যান্ড চালু করা হয়। তবে ব্রডব্যান্ড চালু হলেও ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি পাচ্ছিলেন না। এরপর গুগলের ক্যাশ চালু ও ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো আপাতত বন্ধই থাকছে। তবে ভিপিএন ব্যবহার করে বহু ব্যবহারকারী এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন।


সহসাই চালু হচ্ছে না ফেসবুক-ইউটিউব

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সহসাই ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

পলক বলেন, আগামী তিন দিনের ফেসবুক, টিকটকের মতো মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে চিঠি দিয়ে তাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি এই শুনানিতে অংশ নিয়ে সন্তোষজন জবাব দিতে না পারে তবে তাদের বিষয়ে কঠোর হবে সরকার।

এজন্য এফ-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের আরো দুই-তিন দিন ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান পলক। একইসঙ্গে দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্মগুলোকে এ ধরনের প্লাটফর্ম তৈরিতে আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা যেন নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করেন। এ জন্য আমরা দেশীয় ডোমেইন সহজ করেছি।

বিষয়:

মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সারা দেশে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী।

আজ বুধবার রাজধানীর আমারি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইইউ প্রতিনিধি টিমের যৌথ উদ্যোগে সাইবার-নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, কৌশল এবং ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশনা নিয়ে ‘সাইবার-সিকিউরিটি সিম্পোজিয়াম: বাংলাদেশ'স পাথ ফরওয়ার্ড’ বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু দেখে যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা মানুষের মুক্ত বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা সবার বক্তব্য, মন্তব্য ও আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই বিবেচনা করবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী বা সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, একজন বাবা এবং সচেতন মানুষ হিসেবে সবার প্রতি অনুরোধ করব, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ধৈর্যশীল ও সহনশীল হয় এবং সবার আগে আমাদের নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান এই অবস্থায় তৃতীয় কোনো পক্ষ যেন শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে ও সুযোগ নিতে না পারে। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ভুল তথ্য, গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন অসহনশীল হয়ে না যায়।

সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী পলক তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সাইবার নিরাপত্তার সমপরিমাণ ঝুঁকি রয়েছে। আমরা কেউই সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে শতভাগ নিরাপদ নয়। কারণ ইন্টারনেটের সর্বত্রই আমাদের ফুটপ্রিন্ট ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা আছে। তাই সাইবার সিকিউরিটি এখন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশের ইস্যু নয়, সাইবার সিকিউরিটি একটা গ্লোবাল ইস্যু।

তিনি বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার জগৎ নিশ্চিত করতে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, অ্যাকাডেমিয়া ও মিডিয়ার সমন্বয়ে যৌথভাবে সচেতনতা তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে ডিজিটাল লিটারেসি ও এআই লিটারেসি নিয়েও আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কারণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যসহ এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।

তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে অর্থ এখন আর মুখ্য বিষয় নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন প্রধান বিষয় হচ্ছে ডেটা। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব হবে আমাদের দেশ, সরকার ও নাগরিকের তথ্য উপাত্তের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। আমাদের ভবিষ্যৎ ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ সাইবার জগৎ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হবে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, অ্যাকাডেমিয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পার্টনারশিপ ও পারস্পরিক সহযোগিতা।


১০ বছরে স্টার্টআপের মাধ্যমে প্রায় বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১০ বছরে স্টার্টআপের হাত ধরে দেশে এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৪’-এর প্রস্তুতি সম্পর্কে আলাপকালে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট করা সরকার কিংবা বেসরকারি খাতের পক্ষে একা সম্ভব না, এর জন্য দরকার উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ। বর্তমানে দেশে ২ হাজার ৫০০ স্টার্টআপ আছে, যেখানে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে; ফলে সফলভাবে এগোচ্ছে এ খাত। গত ১০ বছরে স্টার্টআপের হাত ধরে দেশে এক বিলিয়ন ডলারের মতো বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।

বাংলাদেশের ব্যাকিং সেক্টর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করতে ভয় পায় জানিয়ে পলক বলেন, যখন স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ পায়নি, তখন সরকার নিজে স্টার্টআপে বরাদ্দ দিয়ে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাজেটে স্টার্টআপের জন্য বরাদ্দ সারা বিশ্বে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে সরকারও স্টার্টআপে বিনিয়োগ করতে পারে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বিনোদনেও স্টার্টআপ আসা উচিত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এবারের স্টার্টআপ সামিটে ৫০ জনের বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী আসবেন। ২০৪১ সাল নাগাদ দেশে এক লাখ স্টার্টাপ থাকবে, যা এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

উল্লেখ্য, শতাধিক আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী নিয়ে আগামী ২৭ জুলাই রাজধানী ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৪’। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ এন্ডলেস পসিবিলিটিস’ শিরোনামে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজন করা হবে এবারের সম্মেলন।


দাম কমল ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো ফোনের

আপডেটেড ১১ জুলাই, ২০২৪ ১৯:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইনিফিনিক্স নোট ৩০ প্রো-তে বিশেষ মূল্যছাড় দিচ্ছে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। তরুণরা যাতে বাজেটের মধ্যে আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্টফোনটি কিনতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখে বিশেষ এ মূল্যছাড় দিয়েছে ইনফিনিক্স।

ইনিফিনিক্স নোট ৩০ প্রো ডিভাইসের ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টির দাম তিন হাজার টাকা কমিয়ে এখন হয়েছে ২১ হাজার ৯৯৯ টাকা। যার বাজারমূল্য ছিল ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। চলতি মাস থেকেই বিশেষ এই মূল্যছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে স্মার্টফোনটি। এই ছাড় তরুণদের বিনোদনের পথ সহজ করার পাশাপাশি এবং কর্মমুখর ও উৎপাদনশীল হতে উদ্বুদ্ধ করবে।

গত বছরের জুলাই মাসে বাজারে আসে ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো। এর উদ্ভাবনী চার্জিং প্রযুক্তি, অলরাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ফোনটিকে তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় করে তোলে। এর রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তিও বেশ সাড়া ফেলেছিল। গতিময় জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এই ফোন তরুণদের চার্জিং সক্ষমতা, স্মার্ট প্রযুক্তি এবং অনন্য এক অভিজ্ঞতা দেয়।

কর্মব্যস্ততার কারণে যারা সব সময় বাইরে থাকেন অথবা যারা ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য নোট ৩০ প্রো একটি আশীর্বাদ। ডিভাইসটিতে আছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৬৮ ওয়াট ওয়্যারড চার্জিং অ্যাডাপ্টর, যা দিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটে ৮০ শতাংশ চার্জ করা সম্ভব। এই ফোনে আরও আছে ১৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি। এছাড়া বাইপাস চার্জি প্রযুক্তি অধিক ব্যবহারের সময় স্মার্টফোনটিকে ঠান্ডা রাখে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে গেম খেলা বা ভিডিও কলে কথা বলার সময় স্মার্টফোনটি গরম হয় না। গেমিং ও ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে ফোনটিতে আছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের অ্যামলয়েড ডিসপ্লে। ডিভাইসটিতে আছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর দ্বারা চালিত ভেপার-চেম্বার লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি; যা মাল্টি টাস্কিংয়ে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা দেয়। ফোনটি চলে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এর ওপর গঠিত এক্সওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে। ফলে তরুণ ব্যবহারকারীরা চমৎকার ইউজার ইন্টারফেস উপভোগ করতে পারেন।

নোট ৩০ প্রো-তে আছে ট্রিপল ক্যামেরা। যার মধ্যে ১০৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-হাই-পিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। যা ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে ব্যবহারকারীদের অনন্য অনুভূতি দেবে। বন্ধুদের সঙ্গে অসাধারণ সব মুহূর্তের ছবি তুলতে, একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অথবা অনলাইনে গেমিং করতে, তরুণদের মাঝে এটি বিশেষ জনপ্রিয়।

ইনফিনিক্স-এর ৩০০০ টাকার মূল্যছাড় অফার চলবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত। তাই যারা সাধ্যের মধ্যে কম বাজেটের স্মার্টফোন খুঁজছেন, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, তরুণ ও প্রযুক্তিপ্রেমী, তাদের জন্য ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর মূল্যছাড় অফারটি বেশ আকর্ষণীয়।


আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা উপহার দিতে চাই: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কক্সবাজার রেলস্টেশন এলাকায় মোবাইল সেবার গুণগতমান পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা প্রদানে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশে কলড্রপ, ব্লাংকসংযোগ বিড়ম্বনা হ্রাস, মোবাইল ইন্টারনেটের যথাযথ গতি এবং সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনে দেশে আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা উপহার দিতে চাই। এ লক্ষ্যে মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের সেবার মান পর্যবেক্ষণে কারিগরি দল গঠন করা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার কক্সবাজার রেলস্টেশন এলাকায় মোবাইল সেবার গুণগতমান পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘উন্নত মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে অপারটেরদের সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেব, যাতে নদীটা পার হওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা এখন চাই এগুলোর মান বৃদ্ধি করতে। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে আমরা ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনা করছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল অপারেটরদেরকে গ্রাহকদের প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট প্রদান এবং অপারেটরদের যেসব সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।’

পলক বলেন, ‘মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। তেমনি বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে, সে রিপোর্ট অনুসারেও কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।’

‘স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কক্সবাজারকে পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্রসৈকত উল্লেখ করে পলক বলেন, প্রতিবছর লাখ-লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানে আসেন। এই পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটি ট্রেন স্টেশন ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করে দিয়েছেন। কক্সবাজারে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করার জন্য তিনি ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কক্সবাজারকে বিশ্বমানের আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, উচ্চগতির ইন্টারনেট, সড়ক-রেল-আকাশপথের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে।


মানা বে ওয়াটার পার্কে যাতায়াতে বিশেষ ছাড় পাবেন উবার যাত্রীরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গ্রাহকদের এক্সক্লুসিভ প্রোমোশনাল অফারের উদ্দেশ্যে পার্টনারশিপ করেছে শীর্ষস্থানীয় রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার এবং দেশের প্রথম পলিনেশিয়ান থিমড ওয়াটার পার্ক মানা বে। এর মাধ্যমে দর্শনার্থীরা পার্কটিতে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ ও উন্নত অভিজ্ঞতার পাশাপাশি পাবেন ছাড়।

উবার যাত্রীরা মানা বে-তে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারছেন গত ১১ জুন থেকে। (ICMANABAYRT2024) প্রোমো কোড ব্যবহার করে যাত্রীরা ঢাকা-মানা বে-ঢাকায় পরবর্তী দুটি ইন্টারসিটি রাউন্ড ট্রিপে ১৪% ছাড় পাবেন। ৪ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা সময়ব্যাপী ইন্টারসিটি ট্রিপের ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য। প্রত্যেক ব্যবহারকারী অথবা যাত্রী ২টি ট্রিপের ক্ষেত্রে এই ছাড় পাবেন।

ইন্টারসিটি রাউন্ড ট্রিপ যাত্রীদের জন্য মানা বে’র এন্ট্রি টিকেটে ১৪% ছাড় দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এই যাত্রীরা গাড়ি পার্কিংয়ের সময়ও পাবেন ১০% ছাড়। পাশাপাশি, ইন্টারসিটি ওয়ান-ওয়ে চালকরা ২০ মিনিটের জন্য গাড়ি পার্কিং ফিসের ওপর ছাড় পাবেন। এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য হলো যাত্রীদের নিজের বাড়ি থেকে গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো যাত্রাটি আরামদায়ক করে তোলা। এই প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্কটি ভ্রমণে সবাইকে উৎসাহিত করে তোলাও এর আরেকটি উদ্দেশ্য।

উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল বলেন, ‘নিজেদের সেবার মান উন্নত করতে উবার সবসময়ই সচেষ্ট। বাংলাদেশের গ্রাহকদের সুবিধাজনক ও সহজলভ্য যাতায়াতব্যবস্থা প্রদানে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মানা বে’র সঙ্গে এই পার্টনারশিপও আমাদের সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইন্টারসিটি যাত্রীদের সাশ্রয়ী ভাড়ায় মানা বে-তে যাতায়াত এবং স্বচ্ছন্দে এর রাইডগুলো উপভোগ করার জন্য এটি চমৎকার সুযোগ।’

মানা বে ওয়াটার পার্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিম খান সুরাত্তি বলেন, ‘উবারের মতো একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা উবারের গ্রাহকদের জন্য এক্সক্লুসিভ প্রোমোশনাল অফার দিচ্ছি, ফলে মানা বে-তে তাদের ভ্রমণ হয়ে উঠবে আরও আনন্দময়। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে গ্রাহকদের অসাধারণ সেবা ও সুবিধা প্রদান করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা মানা বে-তে তাদের দারুণ ও অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে চাই।’

উবারের ইন্টারসিটি রাউন্ড ট্রিপ সার্ভিসের সাহায্যে যাত্রীরা শহরের বাইরেও ভ্রমণের সময় একই গাড়ি ও চালককে এক বা একাধিক দিনের জন্য বুক করতে পারবেন।

যেভাবে এই ছাড় উপভোগ করতে পারবেন

• উবার অ্যাপের অ্যাকাউন্ট সেকশনে যান → পেমেন্ট → অ্যাড প্রোমো কোড

• প্রোমো কোড ICMANABAYRT2024 লিখুন

• অ্যাপের হোম এ গিয়ে ‘হোয়্যার টু’ বক্সটিতে লিখুন ‘মানা বে ওয়াটার পার্ক’ → রাউন্ড ট্রিপ সিলেক্ট করুন

• ট্রিপের ভাড়াসহ অন্যান্য বুকিংয়ের অন্যান্য তথ্য ভালোমতো দেখে নিয়ে ‘কনফার্ম ইন্টারসিটি’ ট্যাপ করুন

• রাইড উপভোগ করুন

বিষয়:

মোবাইল গ্রাহকদের আন্তর্জাতিকমানের সেবা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর

আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোববার মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান সংক্রান্ত সভায় বক্তব্য দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘মোবাইল গ্রাহক সেবার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিটিআরসি আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান সংক্রান্ত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিদ্যমান প্রত্যেকটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে গ্রাহকদের প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট প্রদান এবং অপারেটরদের যে সকল সুবিধা আমরা দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগে দেশে মোবাইল সেবাকে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।’

কোভিডকালে মোবাইল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কলড্রপ নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন অসন্তুষ্ট, তেমনি বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারেও সেবার মান খুব একটা সন্তোষজনক নয়।’

‘আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে মোবাইল অপারেটরগুলো যে তথ্যই দিক না কেন, তা গুরুত্ববহ হবে না। গ্রাহকদের কাছ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত না একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র কিংবা না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ, এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় প্রভাব ফেলে।’

কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছি, উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোবাইল ওয়ার্ক অপারেটরগুলো যদি প্রতিশ্রুত সেবা না দেয় তাহলে তাদের গ্রাহককে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। কল ড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।

এ সময় পলক জানান, ফাইন্যান্সিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপরও জোর দেওয়া হবে। ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া কী ? সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেওয়া হবে। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

এক্ষেত্রে অপারেটরদের সহায়তাও দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেব, যাতে নদীটা পার হওয়া যায়। কলড্রপ যাতে বিশ্বের অন্যতম একটা ভালো বেঞ্চমার্কে পৌঁছাতে পারি। সেটা আমাদের মূল লক্ষ্য। কলড্রপে সময় নষ্ট হয়, এনার্জি নষ্ট হয়, গ্রাহক বিরক্ত হয়। পাশাপাশি আপনাদেরও কিন্তু টেকনিক্যাল ও ফাইন্যান্সিয়াল লস হয়। এসব বিষয় খেয়াল করে সমাধানে যেতে হবে। সমস্যা যত কঠিনই হোক না কেন সমাধান করতে হবে।

পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবা প্রসঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রথম পর্যায়ে এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় রোল আউট করা হবে।

হজরত শাহজালাল (রহ:) আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের তৃতীয় টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে, উল্লেখ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল অনেক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়। আমার বিশ্বাস সেসব জায়গায়ও এ বিষয়ে কোম্পানিগুলো মনোযোগ দেবে। চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় ফাইভজি ও আইওটি কীভাবে ব্যবহার করতে পারি সে বিষয়েও কাজ করছি। আমরা আশা করছি সেখানেও দ্রুত ফাইভজি ব্যবহার করতে পারব।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যামটব সভাপতি ও গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমানসহ মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


ডাক বিভাগের কর্মীরা ৫১ কোটি টাকা লোপাট করেছেন: পলক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকের অর্থ এবং ডাকের নিজস্ব তহবিল মিলিয়ে মোট ৫১ কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এক কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এ ধরনের ১১টি অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব কাজে জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

সম্প্রতি তানোর উপজেলা পোস্ট অফিসে পরিবার সঞ্চয়পত্রে পারুল বেগম নামে এক নারীর জমা রাখা দুই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে পোস্টমাস্টার মোহাম্মদ মোকসেদ আলীর বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত না পাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নারী। এ ঘটনার পর আর কোনো গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন কি না তা জানতে তানোরসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করে জানানোর উদ্যোগ নেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

পলক জানান, শুধু তানোরেই আরও ৫১ গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এতে অনিয়ম বন্ধ করে বছরে ডাক বিভাগের ৭০০ কোটি টাকা লোকসান ঠেকাতে গাড়ি-জমি লিজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। যাতে ২০টি প্রতিষ্ঠান সাড়া দিয়েছে বলেও জানান তিনি।


দেশে অনলাইন জুয়ায় ৫০ লাখ মানুষ জড়িত: পলক

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সোমবার ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ জুন, ২০২৪ ২০:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশের ৫০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

পলক বলেন, ‘অনলাইন জুয়া থেকে জনগণকে দূরে রাখার জন্য সচেতনতা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন জুয়া নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। এটাতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আমাদের বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা। এমনকি অনেক বয়স্ক ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিও এর মধ্যে জড়িয়ে পড়ছেন। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, ৫০ লাখ মানুষ কীভাবে যেন এই অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন।’

‘আমরা অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোকে ব্লক করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি একটা সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যাতে সাধারণ মানুষ এ ধরনের কোনো প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত না হন। আমাদের দেশের মুদ্রা যাতে বিদেশে পাচার না হয়। একটা সচেতনতা আর একটা প্রযুক্তিগত প্রয়োগ। পাশাপাশি কঠোর আইনের প্রয়োগের বিষয়টিও রয়েছে’- যোগ করে বললেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, ‘আমরা মোট ২ হাজার ৬০০টি জুয়ার সাইট ব্লক করেছি। এখন আমরা মোবাইল অ্যাপগুলো প্রতিনিয়ত ব্লক করছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার, কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি ও সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি-সবাইকে নিয়ে বসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যার যতটুকু সক্ষমতা আছে, পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স- সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে একটা ড্রাইভ দিচ্ছি। আরও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা অবিরাম এটা ব্লক করতে থাকব।‌ মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোর্সে আমরা যেটা পাচ্ছি, সেটা ব্লক করার চেষ্টা করছি।’

এদিকে ব্যাটিং সাইটগুলো নিয়ে নিয়মিতই দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে খেলার সময় বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এতে করে তরুণরা এই সাইটে আরও বেশি ঝুঁকছেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাদের মতে, টিভিতে যখন ক্রিকেট খেলা চলে তখন সেখানে দেখা যায় ওয়ান এক্স ব্যাটসহ বিভিন্ন ব্যাটিং সাইটের বিজ্ঞাপন, যা দেখে বিশ্বাসযোগ্যতা মনে করে তরুণরা জুয়ার ব্যাটিং সাইটে প্রবেশ করছে এবং তা নিয়ে ব্যাটিং করে সর্বস্ব হারাচ্ছে। বর্তমানে টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা চলায় ক্রিকেট নিয়ে সব বয়সি দর্শক মাতোয়ারা। আর এরই ফাঁকে খেলার মধ্যে ব্যাটিংয়ের বিজ্ঞাপন দেখে তা নিয়ে মাতচ্ছেন তারা। খোয়াচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। যা কি না দেশ থেকে হুন্ডি হয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।

আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে

২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইন্টারনেটভিত্তিক জুয়ার বিজ্ঞাপন ও সারোগেট বিজ্ঞাপন অপসারণ ও প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত।

রুলে জানতে চাওয়া হয় অবৈধ অনলাইন বেটিং বা জুয়ার বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ বা অপসারণে ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অবিলম্বে এসব বিজ্ঞাপনের সম্প্রচার, প্রচার বন্ধ বা অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না। রুলের জবাব দিতে বলা হয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে।

সে ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ১১ জুলাই এক আদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশন; বিশেষ করে খেলার চ্যানেলসহ ডিজিটাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনলাইন বাজি ও জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যেসব আর্থিক পরিষেবার মাধ্যমে ব্যাটিং ওয়েবসাইটের অর্থ আদান-প্রদান হয়, সেগুলোর গেটওয়ে এবং চ্যানেল বন্ধেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতকিছুর পরও খেলা চালানো দেশের টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বেটিং-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল খেলা দেখায়, আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও টিভিগুলোতে খেলার মধ্যে নিয়মিত এসব বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলই হোক কিংবা ঘরের মাঠের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অথবা আইপিএলের ম্যাচ; খেলার মধ্যে টেলিভিশনের পর্দায় একটু পরপরই ভেসে উঠছে ব্যাটিং-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই জুয়ার ব্যাটিংয়ের কারণে দেশে তরুণ সমাজ বিপদগ্রস্ত। অনেক দিনমজুর, কম আয়ের মানুষজন এই ব্যাটিংয়ের কারণে নিঃস্ব। অনেকেই অনলাইন ব্যাটিংয়ে আসক্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি, মারামারি, এমনকি খুন-খারাবির ঘটনাও ঘটছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাটিং-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না হলে দেশের কিশোর-তরুণ প্রজন্ম খেলার চেয়েও বেটিংয়ের দিকে বেশি ঝুঁকে যাবে।

অনেকে বলেন, দেশে জুয়া খেলা আগে ক্লাব বা ঘরের মধ্যে সীমিত ছিল। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল মাধ্যম এবং খেলার সময় টেলিভিশনেও জুয়া খেলার বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে। এটা ক্ষতিকর। কারণ, এতে কিশোর-তরুণ সমাজ সেদিকে বেশি ঝুঁকছে।


‘দেশীয় ওয়েবসাইটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে’

রোববার বিমসটেক আয়োজিত ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনকে আরও স্মার্ট করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার শিগগিরই বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ রোববার দ্য বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) আয়োজিত ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট’ শীর্ষক রিজিওনাল কনসালটেশন সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

পলক বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশের ডিজিটাল খাতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এক দশকে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০ মিলিয়ন। তাই দেশীয় ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনকে আরও স্মার্ট করতে শিগগিরই এআইয়ের ব্যবহার বাড়ানো হবে।

ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর আগেও এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল এক হাজার ডলার। বর্তমানে প্রতি এমবিপিএসের দাম কমে হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। শুধু শহর নয়, গ্রামেও সর্বত্র ইন্টারনেট সেবা চালু রাখতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল ডেলিভারি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এর আওতায় বর্তমানে গ্রামের ১০ মিলিয়ন মানুষ সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন। দেশে বর্তমানে নয় হাজারের মতো ডিজিটাল ডেলিভারি সার্ভিস রয়েছে, যা আগামীতে আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এক দশকে ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। ৯৯৯ থেকে শুরু করে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস আইসিটি বিভাগের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আইসিটি বিভাগ বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের জন্য কাজ করছে।

নিরাপদ ইন্টারনেট সেবার গুরুত্ব উল্লেখ করে পলক বলেন, শিগগিরই পার্সোনাল ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু করা হবে। এর পাশাপাশি পলিসি মেকিংয়ের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের বিকাশ নিয়েও আইসিটি বিভাগ কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।


শুল্ক ও বাড়তি কর বিদেশি বিনিয়োগে বড় বাধা: পলক

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিদেশি বিনিয়োগে শুল্ক ও বাড়তি কর বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সচিবালয়ে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মোহাম্মদ হাসিমের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন তিনি।

পলক বলেন, বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে ও বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। কিন্তু শুল্ক ও অশুল্ক নানা বাধা, বাড়তি কর ও বাড়তি মূসক এ খাতের গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ নিয়ে রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মালয়েশিয়ান কোম্পানি। নতুন করে রাজস্ব না বাড়িয়ে সেবার মান বাড়ালে আইসিটি সেক্টরে নতুন খাত তৈরি হবে। এতে রাজস্ব আহরণ ও বিনিয়োগ বাড়বে।’

এ সময় হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম বলেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে মালয়েশিয়া বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। পারস্পরিকভাবে সে পরিবেশ তৈরিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে মালয়েশিয়া বিশ্বাস করে।

বিষয়:

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে গ্রামগুলো জেগে উঠেছে: পলক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গ্রামগুলো জেগে উঠেছে। শহরের সকল সুবিধা এখন গ্রামেই পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার নাটোরের সিংড়াতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মহেষচন্দ্রপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় বাংলাদেশকে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে গ্রামে বসেই এখন শহরের সকল সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। শতভাগ বিদ্যুৎ, শিক্ষার প্রসার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা, রাস্তাসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে অভূতপূর্ব। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার সুযোগ গ্রহণ করে বাড়িতে বসেই ফ্রিল্যান্সাররা উপার্জন করতে পারছেন। দুই শতাধিক নাগরিক সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে।

পলক বলেন, এখন গ্রামের বাড়িতে থেকেই শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করতে পারছে। টেলিমেডিসিন সেবা চালু করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে। দোর গোড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে ব্যবস্থাপত্রের সঙ্গে ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপন্ন কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারছেন। উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। ভবিষ্যতে উন্নয়নের এই ধারা আরো বেগবান হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হা-মীম তাবাসসুম প্রভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী পরে পর্যায়ক্রমে সিংড়া উপজেলার কলম, শোরকোল, হাতিয়ানদহ এবং চামারী ইউনিয়নে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮০টি পরিবারের মধ্যে ১ বান্ডিল করে ঢেউটিন, ৩ হাজার টাকা এবং শুকনো খাবার বিতরণ করেন।


banner close