বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ৫৬ শতাংশ মানুষ, সিম ১৯ কোটি

প্রতীকী ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:২২

ষষ্ঠ জনশুমারি অনুযায়ী দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বর্তমানে সিম ব্যবহার হচ্ছে ১৯ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ একজন একাধিক সিম ব্যবহার করছেন। অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) এ তথ্য জানিয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এ তথ্য পেয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব। সংগঠনটির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে সিমের গ্রাহক ১৯ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার। সিম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৭৪ লাখ।

আর মোট জনসংখ্যার ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ফোরজির আওতাভুক্ত। এ ছাড়া বর্তমানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ব্যবহার করছে ২১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক। তাছাড়া মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ মোবাইল বাজার বাংলাদেশ।

৫১ শতাংশ ট্যাক্স দিচ্ছে মোবাইল কোম্পানি

দেশের জাতীয় জিডিপিতে টেলিকম খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ শতাংশ অবদান রাখছে। নানাভাবে নিজেদের মোট আয়ের ৫১ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স দেয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো।

প্রতি ১০০ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলোকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দিতে হয় ৩৯ টাকা, বিটিআরসিকে দিতে হয় ১৫ টাকা, ইকোসিস্টেমের জন্য দিতে হয় ১৮ টাকা এবং পরিচালন খরচ রয়েছে ২৬ টাকা। সে ক্ষেত্রে কোম্পানিভেদে এ ব্যয় ৮৪ থেকে ১০৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অ্যামটবের মহাসচিব লে. কর্নেল মোহম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেন, আমরা মনে করি, সিম বিক্রি থেকে সম্পূর্ণ ট্যাক্স ছাড় দেওয়া উচিত। সিম ও করপোরেট কর প্রত্যাহার করলে স্মার্টফোন ও ডেটা সহজলোভ্য হবে। এতে জিডিপিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে টেলিকম খাত।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কর কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হলে ইকোসিস্টেমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিয়ে বসতে হবে। আলোচনার সব কথা যেমন উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, আবার সব কথার সঙ্গে একমত নই আমরা। তবে রি-ফর্ম (পুনর্নির্ধারণ) করতে হবে। টেলিকম খাতের টোটাল সিস্টেম রিভিউ করে আরও সিমপ্লিফাই (সহজ) করতে হবে।


বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাসের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন

ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে গত শুক্রবার ওয়ানপ্লাসের স্টোর উদ্বোধন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গ্লোবাল টেকনোলজি ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের প্রথম অফিসিয়াল ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন করেছে। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্টোরটি উদ্বোধন করা হয়।

অত্যাধুনিক এই রিটেইল স্টোরটি ডিজাইন করা হয়েছে গ্রাহকদের ওয়ানপ্লাসের সবশেষ প্রযুক্তি ও পণ্যের অভিজ্ঞতা দিতে। আকর্ষণীয় ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটিতে রাখা হয়েছে একটি ইন্টারেক্টিভ জোন, যেখানে গ্রাহকরা তাদের মান ও পছন্দের সর্বশেষ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যগুলো দেখতে পারবেন। যমুনা ফিউচার পার্কের ‘৪সি-০১৮বি’ নম্বরের দোকানটিতে প্রতিদিন (ছুটির দিন ছাড়া) সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্টোরটি খোলা পাবেন গ্রাহকরা।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে ওয়ানপ্লাসের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন উদযাপন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য র‍্যাফেল ড্রয়ের একটি বিশেষ সিরিজ ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ব্র্যান্ডটির ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট ৫জি এবং ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ৫জি ফোন কিনে গ্রাহকরা র‍্যাফেল ড্রতে অংশ নিতে পারবেন। যেখানে গ্রাহকরা ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট ৫জি কিংবা ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ৫জি স্মার্টফোন জিতে নেওয়ার সুযোগ ছাড়াও পাবেন আকর্ষণীয় গিফট বক্স।

ওয়ানপ্লাসের সিইও মেঙ্ক ওয়াং বলেন, ‘আমাদের ব্যবহারকারীদের জন্য ঢাকায় প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর খুলতে পেরে আমরা আনন্দিত। এমনভাবে স্টোরটি ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে গ্রাহকরা এসে আমাদের পণ্যগুলোর ফ্রার্স্ট হ্যান্ড রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে আমাদের স্টোরটিতে আসার জন্য এবং এই মাইলফলক উদযাপনে আমাদের সঙ্গী হতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যা ব্যবহারকারীদের প্রতি ওয়ানপ্লাসের প্রতিশ্রুতি পূরণের আরেকটি অগ্রগতি।’

পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে এবং বিক্রয়োত্তর অফিসিয়াল সেবা পেতে ওয়ানপ্লাস সবসময় গ্রাহকদের অফিসিয়াল বাংলাদেশ সংস্করণ কিনতে উৎসাহিত করছে। ওয়ানপ্লাস অফিসিয়াল পণ্য বাংলাদেশে তৈরি এবং যেগুলো আমদানি করা সবগুলোরই বিটিআরসি সিস্টেমে তাদের আইএমইআই নিবন্ধিত।

গ্রাহকরা খুব সহজে তাদের অফিসিয়াল ফোনের আইএমইআই যাচাই করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ফোনের মেসেজিং অপশনে গিয়ে লিখতে হবে ‘KYD IMEI’ এবং পাঠাতে হবে ১৬০০২ নম্বরে। এ ছাড়া যে কোনো কিছু জানতে সরাসরি কল করা যাবে বিক্রোয়োত্তর সেন্টারের ০৯৬১০৯৯৭৭৯২ নম্বরে কিংবা ইমেইল করা যাবে [email protected] এই ঠিকানায়।

ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের দোকান নম্বর ‘৪সি-০১৮বি’-তে গিয়ে ওয়ানপ্লাসের ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটি ঘুরে আসতে পারবেন। আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই ঠিকানায় https://www.oneplus.com/bd/experience-and-retail#/.


মুখে কৃত্রিম ত্বক বসিয়ে রোবটকে হাসালেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানীদের তৈরি করা সেই কৃত্রিম ত্বক ও সেখানে ফুটে ওঠা হাসি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম জীবন্ত ত্বক রোবটে বসিয়ে সেটিতে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। টোকিও ইউনিভার্সিটির বায়োহাইব্রিড সিস্টেম ল্যাবরেটরির অধ্যাপক শোজি তাকেউচির নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা মানুষের মুখের অনুরূপ একটি অ্যাকচুয়েটর (এক ধরনের বল প্রয়োগকারী যন্ত্র) ব্যবহার করে এ কাজ করেছেন। এখানে অ্যাকচুয়েটরটি ত্বকের লিগামেন্টের কাজ করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এ সংক্রান্ত। সেখানে দেখা যায়, বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম ত্বকের টিস্যুগুলো দলা পাকতে না দিয়ে, না ছিঁড়তে দিয়ে বা কোনো জায়গায় আটকে যেতে না দিয়ে সফলভাবে সেখানে হাসির অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে কৃত্রিমভাবে তৈরি ত্বককে যখনই কোনো শক্ত তলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, তখনই সেই ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এবার ক্ষিতগ্রস্ত না হলেও হাসিটি পুরোপুরি মানুষের মতো হয়নি। বরং অনেকটাই অ্যানিমেশন চরিত্রের হাসির মতো হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের আশা, এই আবিষ্কার মানবসদৃশ রোবটিক যন্ত্রের বিকাশকে এগিয়ে নেবে।

শোজি তাকেউচি বলেন, ‘আমাদের তৈরি করা ত্বকের লক্ষ্য হলো মানুষের ত্বকে পাওয়া জৈবিক কার্যক্রমের সম্পূর্ণ পরিসরের প্রতিলিপি করা; যেখানে মুখের পেশি, ঘামগ্রন্থি, সেবাসিয়াস গ্রন্থি, রোমকূপ, রক্তনালি, চর্বি ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর ব্যাপক কার্যকারিতা আরও প্রাণবন্ত ও কার্যকর রোবোটিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেবে।’ বায়োহাইব্রিড রোবোটিকসের পক্ষের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের অগ্রগতি একদিন একটি সামাজিক বিপ্লবের সূত্রপাত করতে পারে, যেখানে মানুষ ও মানবসদৃশ রোবট পাশাপাশি বাস করবে এবং সেগুলো বাস্তব মানুষের মতোই কাজ করবে। জীবন্ত ত্বক রোবটগুলোকে মানুষের সঙ্গে আবেগপ্রবণ ও আরও ভালো যোগাযোগের সুবিধা দেবে।

টোকিও ইউনিভার্সিটির তাকেউচির দলটি বর্তমানে তাদের কাজের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তাদের এই প্রকল্পে মিনি রোবট তৈরি করা হবে। যেগুলো কৃত্রিমভাবে তৈরি জৈবিক পেশি টিস্যু এবং থ্রিডি প্রিন্টেড কৃত্রিম মাংস ব্যবহার করে তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে এই দল কৃত্রিম কোষের ঝিল্লি, নিউরাল নেটওয়ার্ক এবং ইমপ্লান্টেবল ডিভাইস নিয়েও গবেষণা করছে। তাকেউচির বিশ্বাস, রোবোটিক ত্বক শতভাগ বাস্তবসম্মত হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিতে হবে। কারণ টেক্সচার, রং ও জৈবিক উপাদানগুলোর একীকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা আরও প্রাণবন্ত রোবট তৈরি করার লক্ষ্য রেখেছি, তবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য সেগুলোর উপযোগিতা ও মিথস্ক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ানো।’


সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সংশোধনের আহ্বান অ্যামনেস্টির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অতীতের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে মানবাধিকারের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে সংগঠনটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে।

গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) এক এক্স পোস্টে এ আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ওই পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে সংগঠনের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক গবেষক তাকবির হুদা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি মেনে চলার জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধনের আহ্বান জানাচ্ছে।’

এক্সের পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে যেকোনো নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটা জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের রক্ষা এবং অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার উপযুক্ত মুহূর্ত।

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি তাকবির হুদার আহ্বান, মানবাধিকারের দাবি জানাতে গিয়ে আইসিটি আইন, ডিএসএ, সিএসএ কিংবা অন্য কোনো আইনের অধীনে আটক সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে ও তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে।

এদিকে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, গত কয়েক সপ্তাহের গণবিক্ষোভ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


৫ ঘণ্টা পর সচল হলো ফেসবুক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার বন্ধ হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর এ দুই সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম আবার চালু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার সচল হতে শুরু করে।

এর আগে আজ বেলা ১টার দিকে মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধ করে দেয় অপারেটররা। অনেক ব্যবহারকারী জানান, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকে ঢুকতে সমস্যার মুখে পড়ছেন তারা।

মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। তাই দুপুর ১২টার পর থেকে ফেসবুকের ক্যাশসার্ভারগুলো ডাউন করে রেখেছে মোবাইল অপারেটররা। মোবাইল নেটওয়ার্কে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও বন্ধ করা রয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম।


মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ ফেসবুক-টেলিগ্রাম

মোবাইল অপারেটর সূত্রে বলছে, ফেসবুক-টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ রয়েছে
প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২ আগস্ট, ২০২৪ ১৪:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছে অপারেটররা। আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে অনেক ব্যবহারকারী জানান, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকে ঢুকতে সমস্যার মুখে পড়ছেন তারা।

মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। তাই দুপুর ১২টার পর থেকে ফেসবুকের ক্যাশসার্ভারগুলো ডাউন করে রেখেছে মোবাইল অপারেটররা। মোবাইল নেটওয়ার্কে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও বন্ধ করা রয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম।

এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। ৩১ জুলাই দুপুরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু হয়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেওয়া এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।

বিষয়:

ইন্টারনেটে আবারও ধীর গতি, জানা গেল কারণ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১০ দিন পর বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার ফের চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। তবে শুরুতেই ইন্টারনেটের ধীরগতি পেয়েছেন অনেকে। এর আগে চালু হওয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। কিন্তু আজ সোমবার দুপুর থেকে ফের ধীরগতিতে চলছে ব্রডব্যান্ড সেবা।

গ্রাহকদের অভিযোগ, স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে এ সমস্যা। স্বাভাবিক সময়ে এই সার্ভারগুলো ঠিক হতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ইন্টারনেট সার্ভিস চালুর পর ১০ দিন গুগলের ক্যাশ সার্ভিস, অর্থাৎ গুগল বা গুগল রিলেটেড জিমেইল, ইউটিউব এগুলো বন্ধ ছিল। এসব সার্ভার আপডেট হতে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন পড়ে। এতে প্রধান আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে চাপ পড়েছে। ফেসবুকসহ যেসব সার্ভিস বন্ধ আছে সেগুলো ভিপিএন দিয়ে অনেকে চালাচ্ছেন। যার কারণেও আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে প্রচুর চাপ পড়েছে। এ কারণে মোবাইল ইন্টারনেট অনেক জায়গায় স্লো পাচ্ছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে মোবাইলে ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে পড়ে। তখন থেকে সব অপারেটরের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। রোববার চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। এ ছাড়া ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই রাত থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হয়।


কেন ভিপিএনে ঝুঁকছে মানুষ?

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:১৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নিজের পরিচয় লুকিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন। বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৬০ কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করছে, যা মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ।

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্যমতে, বর্তমানে ব্যবসার তুলনায় ব্যক্তিগত পর্যায়েই ভিপিএনের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়াতে এবং নির্দিষ্ট এলাকার জন্য সীমাবদ্ধ বিভিন্ন স্ট্রিমিং সার্ভিস ও কন্টেন্টের অ্যাকসেস পেতেই ভিপিএন বেশি ব্যবহার করছে মানুষ।

জরিপ বলছে, ব্যবহারকারীদের ভিপিএনে আগ্রহী হওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়ানো। ৬৬ শতাংশ ব্যবহারকারীই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ভিপিএন ব্যবহার করেন। বিপরীতে, নিয়োগদাতা বা অফিসের তথ্য সুরক্ষায় ভিপিএন ব্যবহার করেন মাত্র ছয় শতাংশ ব্যবহারকারী।

১৬ শতাংশ ব্যহারকারী জানিয়েছেন, নিয়োগদাতার বাধ্যবাধকতার কারণে তারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশই বলেছেন, তারা সুরক্ষা বাড়াতে ভিপিএনে আগ্রহী হয়েছেন।

৩৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা নিজেদের ইন্টারনেট কার্যক্রম গোপন রাখতে ভিপিএন ব্যবহার করেন। এনক্রিপশন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভিপিএন ব্যবহার করেন ১৮ শতাংশ ব্যবহারকারী। টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের জন্য ভিপিএন ব্যবহার করেন ৩০ শতাংশ মানুষ।

ভিপিএন কারা ব্যবহার করেন?

বিভিন্ন কারণে এই ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ে। ভিপিএন ব্যবহারে সুবিধার পাশাপাশি নানারকম ঝুঁকি ও অসুবিধা আছে। এর মধ্যে কিছু নিরাপদ আবার কিছু অনিরাপদ ভিপিএন আছে। প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা জানান, অনিরাপদ ভিপিএন ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা আছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা বাড়ানো এবং অপ্রবেশযোগ্য কনটেন্ট দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়েছে ভিপিএন। তবে ভিপিএন ব্যবহার করা অবস্থায় ব্যাংক কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

নব্বইয়ের দশকে ভিপিএনের আবির্ভাব ঘটেছে। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই ভিপিএন ব্যবহার করা হলেও স্ট্রিমিং, গোপনীয়তা, গেমিং, ভ্রমণ এবং নিষিদ্ধ সাইট ও কনটেন্টে অ্যাকসেস পেতেও ভিপিএন ব্যবহার করা হয়। শুরুতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়েই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গুগল প্লে স্টোরে শীর্ষ ডাউনলোড করা পাঁচটি অ্যাপসের মধ্যে চারটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিপিএন। এরপর আছে টিকটক।

বর্তমানে অসংখ্য ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ পাওয়া যায়। এই ভিপিএন টুল ডাউনলোড করার সময় ডিভাইস, ফেসবুক, ই-মেইলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভিপিএন নির্মাতার কাছে। এ ঝুঁকির পাশাপাশি অনেক সময় ইন্টারনেটের গতিও কমে যায়।

এ ছাড়া ভিপিএনের মূল উদ্দেশ্য তথ্য গোপন করা। তাই সরকারি সংস্থাগুলো চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে এসব তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারে না। ভিপিএন ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী বহু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপরাধীদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন, যা মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৩১ শতাংশ। বর্তমানে ভিপিএনের বাজার প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও ২০৩০ সাল নাগাদ এটি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারে নানারকম কঠোর বিধিনিষেধ আছে। সেসব দেশে মূলত ভিপিএন ব্যবহার করেন বহু মানুষ। বর্তমানে শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশ কাতার। দেশটিতে ৭০ শতাংশ মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করেন। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত ৬২ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুর ৫৪ শতাংশ। কম ব্যবহারকারীর তালিকায় শীর্ষে সাউথ আফ্রিকা। সেখানে মাত্র ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করেন। এরপর জাপান ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং কেনিয়া ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।


ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে বিটিআরসির নির্দেশ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে বিকেল ৩টার দিকে বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন ডিরেক্টরেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল করা হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ও বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সে নির্দেশনা আইআইজি অপারেটরদের জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশনাও দিয়েছে বিটিআরসি। ফলে এখন থেকে ইউটিউব ও গুগলে সার্ভিস পেতে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না ব্যবহারকারীদের।

তবে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ) এবং টিকটকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুলাই রাত থেকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করে সরকার। গত বুধবার রাত থেকে সব জায়গায় ব্রডব্যান্ড চালু করা হয়। তবে ব্রডব্যান্ড চালু হলেও ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি পাচ্ছিলেন না। এরপর গুগলের ক্যাশ চালু ও ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো আপাতত বন্ধই থাকছে। তবে ভিপিএন ব্যবহার করে বহু ব্যবহারকারী এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন।


সহসাই চালু হচ্ছে না ফেসবুক-ইউটিউব

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সহসাই ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

পলক বলেন, আগামী তিন দিনের ফেসবুক, টিকটকের মতো মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে চিঠি দিয়ে তাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি এই শুনানিতে অংশ নিয়ে সন্তোষজন জবাব দিতে না পারে তবে তাদের বিষয়ে কঠোর হবে সরকার।

এজন্য এফ-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের আরো দুই-তিন দিন ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান পলক। একইসঙ্গে দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্মগুলোকে এ ধরনের প্লাটফর্ম তৈরিতে আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা যেন নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করেন। এ জন্য আমরা দেশীয় ডোমেইন সহজ করেছি।

বিষয়:

মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সারা দেশে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী।

আজ বুধবার রাজধানীর আমারি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইইউ প্রতিনিধি টিমের যৌথ উদ্যোগে সাইবার-নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, কৌশল এবং ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশনা নিয়ে ‘সাইবার-সিকিউরিটি সিম্পোজিয়াম: বাংলাদেশ'স পাথ ফরওয়ার্ড’ বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু দেখে যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা মানুষের মুক্ত বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা সবার বক্তব্য, মন্তব্য ও আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই বিবেচনা করবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী বা সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, একজন বাবা এবং সচেতন মানুষ হিসেবে সবার প্রতি অনুরোধ করব, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ধৈর্যশীল ও সহনশীল হয় এবং সবার আগে আমাদের নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান এই অবস্থায় তৃতীয় কোনো পক্ষ যেন শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে ও সুযোগ নিতে না পারে। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ভুল তথ্য, গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন অসহনশীল হয়ে না যায়।

সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী পলক তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সাইবার নিরাপত্তার সমপরিমাণ ঝুঁকি রয়েছে। আমরা কেউই সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে শতভাগ নিরাপদ নয়। কারণ ইন্টারনেটের সর্বত্রই আমাদের ফুটপ্রিন্ট ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা আছে। তাই সাইবার সিকিউরিটি এখন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশের ইস্যু নয়, সাইবার সিকিউরিটি একটা গ্লোবাল ইস্যু।

তিনি বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার জগৎ নিশ্চিত করতে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, অ্যাকাডেমিয়া ও মিডিয়ার সমন্বয়ে যৌথভাবে সচেতনতা তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে ডিজিটাল লিটারেসি ও এআই লিটারেসি নিয়েও আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কারণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যসহ এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।

তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে অর্থ এখন আর মুখ্য বিষয় নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন প্রধান বিষয় হচ্ছে ডেটা। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব হবে আমাদের দেশ, সরকার ও নাগরিকের তথ্য উপাত্তের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। আমাদের ভবিষ্যৎ ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ সাইবার জগৎ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হবে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, অ্যাকাডেমিয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পার্টনারশিপ ও পারস্পরিক সহযোগিতা।


১০ বছরে স্টার্টআপের মাধ্যমে প্রায় বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১০ বছরে স্টার্টআপের হাত ধরে দেশে এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৪’-এর প্রস্তুতি সম্পর্কে আলাপকালে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট করা সরকার কিংবা বেসরকারি খাতের পক্ষে একা সম্ভব না, এর জন্য দরকার উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ। বর্তমানে দেশে ২ হাজার ৫০০ স্টার্টআপ আছে, যেখানে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে; ফলে সফলভাবে এগোচ্ছে এ খাত। গত ১০ বছরে স্টার্টআপের হাত ধরে দেশে এক বিলিয়ন ডলারের মতো বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।

বাংলাদেশের ব্যাকিং সেক্টর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করতে ভয় পায় জানিয়ে পলক বলেন, যখন স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ পায়নি, তখন সরকার নিজে স্টার্টআপে বরাদ্দ দিয়ে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাজেটে স্টার্টআপের জন্য বরাদ্দ সারা বিশ্বে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে সরকারও স্টার্টআপে বিনিয়োগ করতে পারে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বিনোদনেও স্টার্টআপ আসা উচিত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এবারের স্টার্টআপ সামিটে ৫০ জনের বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী আসবেন। ২০৪১ সাল নাগাদ দেশে এক লাখ স্টার্টাপ থাকবে, যা এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

উল্লেখ্য, শতাধিক আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী নিয়ে আগামী ২৭ জুলাই রাজধানী ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৪’। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ এন্ডলেস পসিবিলিটিস’ শিরোনামে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজন করা হবে এবারের সম্মেলন।


দাম কমল ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো ফোনের

আপডেটেড ১১ জুলাই, ২০২৪ ১৯:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইনিফিনিক্স নোট ৩০ প্রো-তে বিশেষ মূল্যছাড় দিচ্ছে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। তরুণরা যাতে বাজেটের মধ্যে আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্টফোনটি কিনতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখে বিশেষ এ মূল্যছাড় দিয়েছে ইনফিনিক্স।

ইনিফিনিক্স নোট ৩০ প্রো ডিভাইসের ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টির দাম তিন হাজার টাকা কমিয়ে এখন হয়েছে ২১ হাজার ৯৯৯ টাকা। যার বাজারমূল্য ছিল ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। চলতি মাস থেকেই বিশেষ এই মূল্যছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে স্মার্টফোনটি। এই ছাড় তরুণদের বিনোদনের পথ সহজ করার পাশাপাশি এবং কর্মমুখর ও উৎপাদনশীল হতে উদ্বুদ্ধ করবে।

গত বছরের জুলাই মাসে বাজারে আসে ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো। এর উদ্ভাবনী চার্জিং প্রযুক্তি, অলরাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ফোনটিকে তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় করে তোলে। এর রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তিও বেশ সাড়া ফেলেছিল। গতিময় জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এই ফোন তরুণদের চার্জিং সক্ষমতা, স্মার্ট প্রযুক্তি এবং অনন্য এক অভিজ্ঞতা দেয়।

কর্মব্যস্ততার কারণে যারা সব সময় বাইরে থাকেন অথবা যারা ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য নোট ৩০ প্রো একটি আশীর্বাদ। ডিভাইসটিতে আছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৬৮ ওয়াট ওয়্যারড চার্জিং অ্যাডাপ্টর, যা দিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটে ৮০ শতাংশ চার্জ করা সম্ভব। এই ফোনে আরও আছে ১৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি। এছাড়া বাইপাস চার্জি প্রযুক্তি অধিক ব্যবহারের সময় স্মার্টফোনটিকে ঠান্ডা রাখে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে গেম খেলা বা ভিডিও কলে কথা বলার সময় স্মার্টফোনটি গরম হয় না। গেমিং ও ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে ফোনটিতে আছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের অ্যামলয়েড ডিসপ্লে। ডিভাইসটিতে আছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর দ্বারা চালিত ভেপার-চেম্বার লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি; যা মাল্টি টাস্কিংয়ে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা দেয়। ফোনটি চলে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এর ওপর গঠিত এক্সওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে। ফলে তরুণ ব্যবহারকারীরা চমৎকার ইউজার ইন্টারফেস উপভোগ করতে পারেন।

নোট ৩০ প্রো-তে আছে ট্রিপল ক্যামেরা। যার মধ্যে ১০৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-হাই-পিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। যা ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে ব্যবহারকারীদের অনন্য অনুভূতি দেবে। বন্ধুদের সঙ্গে অসাধারণ সব মুহূর্তের ছবি তুলতে, একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অথবা অনলাইনে গেমিং করতে, তরুণদের মাঝে এটি বিশেষ জনপ্রিয়।

ইনফিনিক্স-এর ৩০০০ টাকার মূল্যছাড় অফার চলবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত। তাই যারা সাধ্যের মধ্যে কম বাজেটের স্মার্টফোন খুঁজছেন, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, তরুণ ও প্রযুক্তিপ্রেমী, তাদের জন্য ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো এর মূল্যছাড় অফারটি বেশ আকর্ষণীয়।


আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা উপহার দিতে চাই: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কক্সবাজার রেলস্টেশন এলাকায় মোবাইল সেবার গুণগতমান পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা প্রদানে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশে কলড্রপ, ব্লাংকসংযোগ বিড়ম্বনা হ্রাস, মোবাইল ইন্টারনেটের যথাযথ গতি এবং সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনে দেশে আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা উপহার দিতে চাই। এ লক্ষ্যে মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের সেবার মান পর্যবেক্ষণে কারিগরি দল গঠন করা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার কক্সবাজার রেলস্টেশন এলাকায় মোবাইল সেবার গুণগতমান পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘উন্নত মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে অপারটেরদের সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেব, যাতে নদীটা পার হওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা এখন চাই এগুলোর মান বৃদ্ধি করতে। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে আমরা ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনা করছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল অপারেটরদেরকে গ্রাহকদের প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট প্রদান এবং অপারেটরদের যেসব সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।’

পলক বলেন, ‘মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। তেমনি বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে, সে রিপোর্ট অনুসারেও কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।’

‘স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কক্সবাজারকে পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্রসৈকত উল্লেখ করে পলক বলেন, প্রতিবছর লাখ-লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানে আসেন। এই পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটি ট্রেন স্টেশন ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করে দিয়েছেন। কক্সবাজারে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করার জন্য তিনি ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কক্সবাজারকে বিশ্বমানের আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, উচ্চগতির ইন্টারনেট, সড়ক-রেল-আকাশপথের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে।


banner close