তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে চলচ্চিত্র বাছাই কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
সরকারি অনুদান প্রদানের জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সামনে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুদান প্রাপ্তির জন্য আবেদনকৃত মোট ১৯৫ টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ৪৫ টি চলচ্চিত্রের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে।
এ দিন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখে চলচ্চিত্রগুলোকে স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপনীয়ভাবে আলাদা আলাদা নম্বর দিয়েছেন। ওই সময় চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাছাই কমিটির সদস্যরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিভিন্ন মানদনদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদনকৃত চলচ্চিত্রের প্রস্তাবনার ওপর আলাদা নম্বর প্রদান করছেন। পরবর্তীতে সব সদস্যদের নম্বরগুলো গড় করে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনগুলো অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ ও আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটারও পারফরম্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী চলচ্চিত্রের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)–এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়।
অ্যাপার্টমেন্ট কেনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত! আপনার স্বপ্নের বাড়িকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত বিনিয়োগে পরিণত করতে হলে আপনাকে অবশ্যই খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে নজর দিতে হবে এবং এর সুরক্ষা ও আইনি দিকগুলোতে গভীরভাবে মনোযোগ দিতে হবে। মার্কেটিংয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। এখানে আজ আমরা এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা অ্যাপার্টমেন্ট কেনার আগে আপনার জানা প্রয়োজন:
কাঠামোগত নিরাপত্তা
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কখনো অনুমান-নির্ভর হবেন না। বিশেষ করে, একটি ভবনের ভিত্তির ওপরেই এর নিরাপত্তা নির্ভর করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) নিয়ম অনুযায়ী সয়েল টেস্ট রিপোর্ট, অনুমোদিত স্ট্রাকচারাল ডিজাইন এবং কলাম–বিম রিইনফোর্সমেন্ট ডিটেইলস সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। বিশেষত, এগুলো ভূমিকম্পের সময় দালানের প্রধান প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে। আপনার পরিবারের নিরাপত্তা এই কাঠামোর ওপরেই নির্ভরশীল।
আইনি অনুমোদন
নিশ্চিত করুন যে ডেভেলপারের কাছে রাজউক বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত ও অনুমোদিত নকশা রয়েছে। এই অনুমোদিত নকশার সাথে তৈরি হওয়া কাঠামোটি মিলিয়ে দেখুন। আলো–বাতাস চলাচল ও অগ্নিনিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যতামূলক খোলা জায়গাগুলো রয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখুন। সঠিক নকশাই অ্যাপার্টমেন্টের ঝামেলাহীন ব্যবহার নিশ্চিত করে।
সম্পত্তির ডকুমেন্ট যাচাই
বিনিয়োগের জন্য নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রয়োজন। ভূমি তফসিল, মূল দলিল ও নামজারির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলো ডেভেলপারের মালিকানায় রয়েছে কিনা এবং সম্পত্তির মালিকানার বৈধতা নিষ্কন্টক কিনা, তা যাচাই করে দেখুন। পরিচ্ছন্ন কাগজপত্র রয়েছে মানেই ওই সম্পত্তিতে বিনিয়োগ নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞের মূল্যায়ন
এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেনাকাটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, একজন স্বতন্ত্র সার্টিফাইড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার বা বিশেষজ্ঞের সহায়তায় সম্পত্তির টেকনিক্যাল অডিট করিয়ে নিন। একজন সাধারণ মানুষের কাছে যে ত্রুটিগুলো অদৃশ্য থাকে, তা পেশাদার কারও চোখে খুব সহজেই ধরা পড়বে। এক্ষেত্রে ভবনে সত্যিই কোনো ঝুঁকি রয়েছে কিনা তা বোঝা সম্ভব হবে। সঠিক মূল্যায়নে অদৃশ্য ঝুঁকিও ধরা পড়ে।
নির্মাণের গুণগতমান
নৈতিক ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড মেনে চলে এমন কোনো ডেভেলপারকে বেছে নিতে পারেন। মানসম্মত উপকরণ, নিয়ম মেনে নির্মাণ ও বিশেষজ্ঞ তদারকি নিশ্চিত করুন। যেমন বলা যায়, গুলশান লেক–ড্রাইভের আয়েশা নুরুল লেক সেরেনিটির মতো নান্দনিক ও আধুনিক প্রকল্পগুলোতে নির্মাণের গুণগতমান এবং রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্সকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। গুলশান লেক–ড্রাইভের আয়েশা নুরুল লেক সেরেনিটি আধুনিকতা ও নিরাপত্তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
এক্ষেত্রে, ইউনিমাস হোল্ডিংস লিমিটেডের মতো বিশেষায়িত ও নির্ভরযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অ্যাপার্টমেন্টের গুণগতমানের নিশ্চয়তার পাশাপাশি যোগাযোগে স্বচ্ছতা, বিনিয়োগের সুরক্ষা এবং নিরাপদ স্বপ্নের বাড়ি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন অদ্য ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি. মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায়, পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, শাহবাগ, ঢাকায় “পরমাণু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা- ২০২৫” এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহমেদ, কমিশনের সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) ড. দেবাশীষ পাল এবং কমিশনের পরিচালকবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সার্বিক উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে পরমাণু প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগে আগ্রহী করতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের উদ্যোগে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি. রোজ মঙ্গল ও বুধবার ২দিন ব্যাপী পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, শাহবাগ, ঢাকা ক্যাম্পাসে “তারুণ্যের উৎসব-২০২৫” উদযাপন উপলক্ষ্যে এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় ১১টি স্টলের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত গবেষণা, উন্নয়ন কার্যক্রম এবং সেবামূলক উদ্যোগ—যেমন খাদ্য, কৃষি, পরিবেশ, শিল্প, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষ ও বিজ্ঞানানুরাগীরা পরমাণু বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। এর লক্ষ্য হলো পরমাণু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি, ব্যবহার এবং এর সুবিধা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা।
উদ্বোধনী পর্বে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তারা তাদের জিজ্ঞাসা ও কৌতূহল আরও সমৃদ্ধ করে তোলেন। মেলায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজে অংশগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে। মেলাটি ২৫ ও ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি. সকাল ১০:০০ টা হতে বিকাল ০৪:০০ টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ।
শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল টেকনোলজি ব্র্যান্ড অপো তাদের দুটি ফোনের দাম কমিয়েছে। ডিউরেবিলিটি পাওয়ারহাউজ অপো এ৫ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) এখন আকর্ষণীয় নতুন দাম মাত্র ১৭,৯৯০ টাকায় নিয়ে এসেছে। ডিভাইসটির আগের দাম ছিল ১৯,৯৯০ টাকা। ব্র্যান্ডটি তাদের ফ্ল্যাগশিপ রেনো১৪ এফ ফাইভজির জন্য নতুন ও পরিমার্জিত মূল্য ঘোষণা করেছে। কৌশলগত মূল্যহ্রাসের মধ্য দিয়ে এখন রেনো১৪ এফ ফাইভজি (৮ জিবি + ২৫৬ জিবি) মাত্র ৩৯,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাবে। ডিভাইসটি ওপাল ব্লু ও লুমিনাস গ্রিন রঙে পাওয়া যাচ্ছে, যা অপোর নান্দনিকতাকেই তুলে ধরে।
অপো এ৫-এ ইন্ডাস্ট্রির সেরা ডিউরেবিলিটি নিশ্চিত করা হয়েছে। ফোনটিতে রয়েছে আইপি৬৫ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স যা পানি, ছিটা বা ধুলাবালি থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষিত রেখে আপনার লাইফস্টাইলের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সঙ্গী হতে পারে। ফোনটির ১৪-স্টার মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিসট্যান্স, হঠাৎ পড়ে গিয়ে নষ্ট হওয়া থেকে ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত রাখে। আর এর এসজিএস গোল্ড সার্টিফিকেশন যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে ফোনটিকে সচল রাখার মতো সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কেবল কঠিন পরিস্থিতিতে টিকে থাকাই নয়, বরং যেকোনো আঘাতেও নিখুঁতভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত এই ডিভাইসটি।
ডিভাইসটিতে ৬,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি নিয়ে আসা হয়েছে, যা পাওয়ার ডিগ্রেডেশন ছাড়া টানা ৫ বছর পর্যন্ত কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম। পাশাপাশি, এর ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মাত্র ১৯ মিনিটে ৩০% চার্জ ও ৩৬ মিনিটে ৫০% চার্জ করতে পারবেন। ফলে, ডাউনটাইম কমে আসে এবং গেমিং, স্ট্রিমিং বা চলার পথে জরুরি কাজের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন থাকার সময় বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে কনটেন্ট নির্মাতা ও স্টোরিটেলারদের জন্য নিয়ে আসা রেনো১৪ এফ ফাইভজি দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের সাথে যুগান্তকারী এআই প্রযুক্তিকে একত্রিত করেছে। এই উদ্ভাবনের শীর্ষে রয়েছে অপোর এআই লো লাইট ফটোগ্রাফি সিস্টেম, যা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলার জন্য বিশেষভাবে তৈরি। ডিভাইসটিতে একটি ডুয়াল-ফ্ল্যাশ সেটআপ যুক্ত করা হয়েছে, যা এর আগের ফোনের তুলনায় দ্বিগুণ আলো সরবরাহ করে। এটি আবছা আলোর অনুষ্ঠান বা সন্ধ্যার সিটিস্কেপ যাই হোক না কেন, প্রতিটি মুহূর্তের স্বতঃস্ফূর্ত ছবি নিশ্চিত করে।
পাশাপাশি, এতে রয়েছে এআই এডিটর ২.০, যা ব্যবহারকারীদের পেশাদার-মানের পোস্ট-প্রোডাকশন সক্ষমতা প্রদান করে। এর এআই রিকম্পোজের মতো টুল বুদ্ধিমত্তার সাথে ত্রুটি সংশোধন করে, এআই পারফেক্ট শট স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রুপ ফটোতে চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক করে দেয়; অন্যদিকে, এআই স্টাইল ট্রান্সফার তাৎক্ষণিকভাবে একটি ছবির স্টাইল অন্য ছবিতে প্রয়োগ করে; যা যেকোনো ছবিকে অনায়াসে দৃষ্টিনন্দন কনটেন্টে পরিণত করে।
পৃথিবীর ভূত্বক কোনো স্থির বা শক্ত একক স্তর নয়; বরং এটি বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত, যেগুলোকে বলা হয় টেকটনিক প্লেট।
বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্লেটগুলো ধীর কিন্তু ধারাবাহিক নড়াচড়াই পৃথিবীতে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং নতুন পাহাড়-পর্বত সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পে এক শিশুসহ কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর উপরের স্তরে থাকা এসব প্লেট প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার হারে সরে যায়। তবে এই নড়াচড়া যখন হঠাৎ সংঘর্ষে পরিণত হয়, তখন সৃষ্টি হয় তীব্র ভূকম্প।
বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতীয় ও ইউরেশীয় প্লেটের সংযোগস্থলের নিকটে অবস্থান করায় এই অঞ্চলটি বিশেষভাবে ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ।
ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, টেকটনিক প্লেটের গভীর গতিবিধি আমরা চোখে দেখতে না পেলেও এর প্রভাব ভয়াবহ। পরিকল্পিত নগরায়ণ ও শক্ত ভবন নির্মাণ ছাড়া ভূমিকম্পের ভয়াবহতা কমানো সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নত ভূকম্প পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু, পুরনো ভবনগুলো ঝুঁকিমুক্ত করা এবং জনগণকে সচেতন করাই ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবিলার প্রধান উপায়।
এর আগে চলতি বছরের ৫ মার্চ রাজধানীতে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। তারও আগে ২৮ মে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ২৪ মিনিটের দিকে ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোইরাং শহরের কাছাকাছি এলাকায় আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই সময়ও ভূমিকম্পে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ মানের পাশাপাশি, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে সুরক্ষিত রাখতে আজ (১৬ নভেম্বর) সম্পূর্ণ টেকনোলজি স্যুট অ্যাপেক্স গার্ড নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে অপো। স্মার্টফোন থেকে ক্রেতারা যা আশা করে তার সবই নতুন এই ধারণার মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে আছে প্রতিদিনের ব্যবহারের বাইরে গিয়ে পণ্যের জীবনকাল বর্ধিত করা এবং ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ডকে নেক্সট লেভেল নিয়ে যাওয়া।
অপোর গ্লোবাল হেডকোয়ার্টার ও আরঅ্যান্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) হাব বিনহাই বে ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে নেক্সট লেভেল কোয়ালিটির ক্ষেত্রে নতুন এই ভিশন উন্মোচন করে অপো, যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণা থেকে শুরু করে পুরো ডিভাইসটি তৈরি হওয়া পর্যন্ত, পণ্য উন্নয়নের প্রতিটি ধাপে মানের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে অপো গ্লোবালের ডিরেক্টর অব ম্যানুফেকচারিং গ্রাস শান বলেন, “সবকিছুর ভিত্তিই হলো মান (কোয়ালিটি)। এক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপো প্রত্যেক ব্যবহারকারীর স্বকীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মান কেবল কোনো ফিচার নয়; এটি ‘মেক ইওর মোমেন্ট’-এর ফ্রিডম।”
ব্যবহারকারীর সত্যিকারের চাহিদাগুলোকে বিস্তৃত সমাধানের মাধ্যমে পূরণ করার ক্ষেত্রে অপোর প্রতিশ্রুতির মূলে রয়েছে অ্যাপেক্স গার্ড। এটি এমন একটি প্রযুক্তি স্যুট, যা সমস্ত প্রোডাক্ট লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তিনটি মূল ক্ষেত্রের মানকে উন্নত করতে ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রতিদিনের ব্যবহারের বাইরে নেক্সট লেভেল কোয়ালিটি; ডিজাইনে মৌলিক অগ্রগতির পাশাপাশি, অ্যাপেক্স গার্ড পানি বা দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে যাওয়ার মতো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি থেকেই সুরক্ষা দেয় না; বরং, দৈনন্দিন ব্যবহারের বাইরেও একটি নিরবচ্ছিন্ন ও সহজ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
পণ্যের জীবনকালের বাইরে নেক্সট লেভেল কোয়ালিটি; নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতার জন্য অ্যাপেক্স গার্ড নেক্সট লেভেল কোয়ালিটি নিশ্চিত করে যা সময়ের পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ। কাস্টমাইজড স্ফেরিকাল সিলিকন-কার্বন ম্যাটেরিয়ালসহ অপো সিলিকন-কার্বন ব্যাটারির মতো উদ্ভাবনের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা নিশ্চিত করছে এটি, যা ব্যাটারি সেলের জীবনকালকে অতিরিক্ত ৪০০ সাইকেল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। অ্যাপেক্স গার্ড অপো ডিভাইসগুলোকে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য নতুনের মতো পারফর্ম করতে সক্ষম করে তোলে।
প্রতিদিনের স্মুথনেস নিশ্চিত করতে কালারওএস ১৬-এর অল-নিউ লুমিনাস রেন্ডারিং ইঞ্জিন, অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রথম ইউনিফাইড অ্যানিমেশন আর্কিটেকচার চালু করেছে, যা পুরো সিস্টেম জুড়ে নিরবচ্ছিন্ন অ্যাপ চালু ও স্মুথ ট্রানজিশন প্রদান করে। এছাড়াও, অল-নিউ ট্রিনিটি ইঞ্জিনের মধ্যে থাকা চিপ-লেভেল ডায়নামিক ফ্রেম সিঙ্ক টেকনোলজি, মাল্টিটাস্কিংয়ের সময় ফ্রেম রেন্ডারিংয়ের প্রতিটি সিস্টেমকে রিয়েল-টাইমে সাড়া দিতে সহায়তা করে। স্মুথনেসের ওপর মনোযোগের অংশ হিসেবে, অপো পরিমাপযোগ্য ডেটা দিয়ে স্মুথনেস পরিমাপের মূল্যায়ন সিস্টেম তৈরি করেছে। অপো স্মুথনেস বেসলাইন টেস্ট হাজারো রিয়েল-ওয়ার্ল্ড সিনারিওতে সফটওয়্যার কর্মক্ষমতা পরিমাপ করতে সক্ষম।
অপো বিনহাই বে’তে আরও অত্যাধুনিক স্কেল ও সিনার্জির সুবিধা যুক্ত করেছে; ফলে, আধুনিক ইকুইপমেন্ট ও কেন্দ্রীভূত রিসোর্স ব্যবহারের মাধ্যমে অপো কোয়ালিটির প্রতি প্রতিশ্রুতিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে ম্যাটেরিয়ালস ল্যাব, ইন্টেলিজেন্ট টার্মিনাল টেস্টিং ল্যাব, পাওয়ার কনজাম্পশন ইন্টেলিজেন্ট ল্যাব ও কমিউনিকেশন ল্যাবের মতো অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিজ থাকায় নির্ভরযোগ্য হার্ডওয়্যার ও স্মুথ সফটওয়্যার নিয়ে আসার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
বৈশ্বিক অনলাইন স্বাধীনতা কমলেও এ বছর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচকে ভারতের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
ফ্রিডম হাউসের ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আন্তর্জাতিক নজর কেড়েছে। গত বছরের ৪০ থেকে এ বছর দেশের স্কোর বেড়ে ৪৫ এ পৌঁছেছে—যা শুধু সাত বছরের সর্বোচ্চই নয়, বরং অঞ্চলগতভাবে ভারত (৫১) ও শ্রীলঙ্কার (৫৩) কাছাকাছি অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
গতকাল শনিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন টেলিকম অধ্যাদেশ, সার্ভেইল্যান্স কাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ পাস করাসহ ইন্টারনেটের স্বাধীনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন, যার ফলশ্রুতিতে সূচকের এই উত্থান। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ বিশ্বমানের হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ৭২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এ বছর সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি অর্জনকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ফলে দমনমূলক সরকার অপসারিত হওয়ায় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন নীতিগত সংস্কার—বিশেষত ইন্টারনেট শাটডাউন বন্ধে নীতিগত সংশোধন এবং বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল—ইন্টারনেটের স্বাধীনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশের এই অগ্রগতি দেশটির ডিজিটাল ভবিষ্যৎ আরও উন্মুক্ত ও সুরক্ষিত করার প্রত্যয়কেই প্রতিফলিত করে। আশা করা যাচ্ছে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট গভর্নেন্স, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, টেলিকমের কমপ্লেক্স লাইসেন্স রেজিম সহজ করা, নাগরিক সেবা এবং ইন্টার অপারেবিলিটিতে যে উদ্যোগগুলো নেওয়া হচ্ছে, তাতে খুব দ্রুতই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতার সূচক ৫০ ছাড়িয়ে যাবে।
সারা দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম কার্যকর হবে। এরপর থেকে দেশের নেটওয়ার্কে অবৈধ বা আনঅফিসিয়াল কোনো স্মার্টফোন আর চলবে না।
তবে এরই মধ্যে নেটওয়ার্কে যুক্ত বা ব্যবহৃত সব বৈধ ও অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং নেটওয়ার্কে সচল থাকবে।
রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে সেটির বৈধতা যাচাই করতে গ্রাহকদের ফোনে *#06# ডায়াল করে ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বর সংগ্রহের পর ‘KYD<স্পেস>আইএমইআই নম্বর’ লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে তথ্য জানানো হবে।
আর এনইআইআর সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানার জন্য গ্রাহকরা বিটিআরসির হেল্পডেস্ক নম্বর ১০০–তে কল করতে পারবেন। পাশাপাশি যেকোনো অপারেটরের নম্বর থেকে *16161# ডায়াল করেও তথ্য জানা যাবে। তবে এই সেবা চালু হবে ১৬ ডিসেম্বর থেকে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ফোন করে কিংবা সরাসরি কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়েও সহায়তা নেওয়া যাবে। একই সঙ্গে এনইআইআর সংক্রান্ত সাধারণ জিজ্ঞাসা ও তথ্য জানতে গ্রাহকদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার পরামর্শ দিয়েছে বিটিআরসি।
সম্প্রতি দেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন এনেছে তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিয়েলমি। রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নামের এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করলো ব্র্যান্ডটি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
এর আগে রিয়েলমির পানিরোধী স্মার্টফোন হিসেবে ব্যাপক সফলতা পেয়েছিল সি৭৫। এই ধারা বজায় রেখেই নতুন স্মার্টফোন সি৮৫ প্রো আনা হয়েছে। সি৭৫ এর উত্তরসুরী হিসেবে আসা এই ফোনটি ডিউরেবিলিটি, ব্যাটারি সক্ষমতা, ডিসপ্লে ও প্রসেসিং পারফরম্যান্সে ব্যাপক আপগ্রেড এনেছে। ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় আইপি৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং, সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, উজ্জ্বল ৪০০০ নিটসের অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও কার্যকরী স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসরের সমন্বয় সাশ্রয়ী ফোনের ধারণাকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং ও পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় আইপি৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্ট রেসিজট্যান্ট সক্ষমতা কেবল বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য প্রয়োজন। এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি৬৯ প্রো রেজিজট্যান্স স্মার্টফোন সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড নিশ্চিত করে, যা আইপি৬৮ বা আইপি৬৭ এর প্রথাগত মানদণ্ডকে বহুগুণ ছাড়িয়ে যায়।
আকস্মিক বর্ষার বৃষ্টি, পানির প্রবল ধারা, দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে যাওয়া বা পানিতে ডুবে যাওয়ার পরও ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডিভাইসটি মেরামতের খরচ কমিয়ে আনবে; যা এটিকে বাইরে কাজ করেন এমন মানুষ, ডেলিভারি কর্মী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ সঙ্গী করে তোলে। এই অনন্য সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিলিটারী-গ্রেড শক রেজিজট্যান্স, যা ফোনটিকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া বা আঘাতের বিপক্ষে সুরক্ষা প্রদান করে এর দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে। ফলে অন্যান্য ডিভাইসগুলো যেখানে কেবল হালকা পানির ছিটা সামলাতে পারে, সেখানে আইপি৬৯ প্রো প্রতিকূল পরিবেশ ও ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
এই সেগমেন্টের সবচেয়ে বড় ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার টাইটান ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। সারাদিন ফোন চার্জ করার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে এই আলট্রা ব্যাটারি, যা এমনকি ব্যস্ততম দিনেও ব্যবহারকারীরদের আত্মবিশ্বাসী রাখে। একবার সম্পূর্ণ চার্জে এটি ১১৮ ঘণ্টা মিউজিক প্লেব্যাক, ৫৯ ঘণ্টা কলিং ও ১৯ ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিমিং করার সক্ষম রাখে। রিচার্জের সময় ফোনটির ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং মাত্র ৩০ মিনিটেই ৫০% চার্জ করতে সক্ষম। এর ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং এই অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে; ব্যবহারকারীদের চলার পথে অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ বা ফোন চার্জ করতে সহায়তা করে এটিকে একটি পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংকে পরিণত করে। ডিভাইসের দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিতে ব্যাটারির হেলথ ৬ বছর পর্যন্ত একইরকম কার্যকর থাকবে।
এতে যুক্ত হয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে যা বাজেট সেগমেন্টে মানসম্মত ফিচার। এবারই প্রথম রিয়েলমি সি-সিরিজের ফোনে অ্যামোলেড ডিসপ্লে নিয়ে আসা হয়েছে। একই দামের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিভাইস হিসেবে এতে ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ডিসপ্লেতে রঙগুলো দারুণভাবে বোঝা যায়, এমনকি প্রখর সূর্যালোকেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল প্রদান করে ফোনটিকে নেভিগেশন বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য একদম যথার্থ করে তোলে। যাত্রাপথের ব্যস্ততায় সমৃদ্ধ অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে এতে ৪০০% আলট্রা বুম স্পিকার ও ৯২.৩% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও নিয়ে আসা হয়েছে, যা দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। সবমিলিয়ে ডিসপ্লের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে সি৮৫ প্রো, যা আর্থিক সাশ্রয়েরও নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
একই প্রাইস-রেঞ্জের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো-তে নির্ভরযোগ্য স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি স্মুথ মাল্টিটাস্কিং, স্থিতিশীল কানেক্টিভিটি ও কার্যকর শক্তি ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেয়। ফোনটিতে মেমোরির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে ৮ জিবি র্যাম (২৪ জিবি পর্যন্ত এক্সপান্ডেবল) ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। এর ৫০ মেগাপিক্সেল এআই রেয়ার ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনাকে যেকোন পরিবেশে স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ছবি তোলার নিশ্চয়তা দিবে; এর ইন্টেলিজেন্ট এআই ইমেজিং টুল ফটোগ্রাফিকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এতে একাধিক এআই-চালিত অপটিমাইজেশনের সমন্বয় করা হয়েছে। এর এআই নেটওয়ার্ক বুস্ট (ডেটার গতি ২২% পর্যন্ত বাড়ায়) ও এআই কল ভলিউম বুস্ট কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও স্পষ্ট যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো এআই এডিট জিনি, যা ব্যবহারকারীর ভয়েস-সক্ষম ফটো এডিটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে দ্রুত ছবি এডিটের সুযোগ করে দেয়। ফলে, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রিয়েটর ও প্রতিদিনের ব্যবহারকারীদের জন্য ছবি এডিটিং আরও সহজ হয়ে ওঠে।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত অনন্য লাইট ফেদার ডিজাইনে নিয়ে আসা হয়েছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। স্টাইল ও তারুণ্যের অনন্য সমন্বয় হিসেবে প্যারট পার্পল ও পিকক গ্রিন এই দুইটি নজরকাড়া রঙে ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য এই ফোনটির কারণে এখন সবাই উন্নত ফিচারগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এখন তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে এই ফোনটি। এর ৬ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২০,৯৯৯ টাকা, ৮ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২২,৯৯৯ টাকা ও ৮ জিবি + ২৫৬ জিবির দাম মাত্র ২৪,৯৯৯ টাকা।সংলাপে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ছয়টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। দলগুলো হলো-বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, এলডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেস, এনপিপি।
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারেও ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানির রাজস্বে মাসিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং গ্রাহক সংখ্যা ৩ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
টেলিটকের বর্তমান উপদেষ্টা, চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্বে আসার পর কোম্পানির রাজস্ব প্রায় ৫ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নেটওয়ার্ক সেবার মান অর্জন করেছে নতুন উচ্চতা।
গত পাঁচ মাসে টেলিটক ১৪১২টি বেস স্টেশনকে ফোরজি আপগ্রেড করেছে, যার ফলে মোট সক্রিয় ফোরজি সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৩২২টি। পাশাপাশি আরো ৩,০০০ নতুন বেস স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রাহকরা জানিয়েছেন, টেলিটকের বর্তমান নেটওয়ার্ক এখন আগের তুলনায় উন্নত ও স্থিতিশীল। এমনকি বিদ্যুৎ চলে গেলেও নেটওয়ার্ক অচল হয় না, যা ব্যবহারকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে।
টেলিটকের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে তারা সবাই একসাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের মুখ দেখছে। তাদের বিশ্বাস, এই গতিধারাই বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।
সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নে টেলিটক ইতোমধ্যেই একটি বিশ্বস্ত জাতীয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। উন্নত নেটওয়ার্ক, নিরাপদ ডেটা ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহকবান্ধব সেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গর্বের প্রতীক হিসেবে নিজের অবস্থান শক্ত করছে।
মোবাইলে অশ্লীল বা অশোভন বার্তা পাঠানো হলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এছাড়া কাউকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করলেও এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এই নিয়মগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ায়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বুধবার (৬ নভেম্বর) অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করেছে। অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত গ্রহণের জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
খসড়া অনুযায়ী, ধারা ৬৯ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে অশ্লীল, ভীতিকর, অপমানজনক বা অশোভন কোনো বার্তা, ছবি বা ভিডিও পাঠালে দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড প্রদান করা হবে। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।
ধারা ৭০ অনুযায়ী, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কাউকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করলেও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া বেআইনিভাবে টেলিযোগাযোগ আড়ি পাতার ক্ষেত্রেও দুই বছরের কারাদণ্ড বা দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা যেতে পারে।
খসড়া অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ-সহ সব ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
এ খাতে গঠিত হবে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন’, যা স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করবে। কমিশনে পাঁচজন সদস্য থাকবেন, যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান হবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার প্রয়োজনে সরকার যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখবে।
অধ্যাদেশের বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ই-মেইলে পাঠাতে হবে—[email protected], অথবা ডাকযোগে: সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বিদেশ থেকে আনা মোবাইল নিবন্ধনে গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এ ধরনের নিবন্ধন বিশ্বব্যাপী একটি আদর্শ চর্চা।
আজ শুক্রবার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আনা মোবাইল অবশ্যই নিবন্ধিত হতে হবে এবং এটি সারাবিশ্বে একটি সাধারণ নিয়ম।
তিনি লিখেছেন, এটি বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে ভুল সিম নিবন্ধন, ভুল এমএফএস নিবন্ধন, সিম সম্পর্কিত অপরাধ, মোবাইল অর্থায়ন সম্পর্কিত অপরাধ, অনলাইন জুয়া এবং প্রতারণা, অবৈধ ক্লোন করা মোবাইল সম্পর্কিত অপরাধ, পেটেন্ট এবং প্রযুক্তিগত রয়্যালটি পরিশোধ না করা, ভ্যাট এবং শুল্ক ফাঁকি দেওয়া, ভারত ও চীন থেকে মোবাইল অবৈধভাবে আমদানি প্রতিরোধ, লাগেজ পার্টি এবং সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ ও স্থানীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পের সুরক্ষার বিষয়।
তিনি আরো বলেন, আপনারা বিদেশ থেকে মোবাইল যথাযথ নিয়ম মেনে আনবেন এবং সেই অনুযায়ী নিবন্ধন করবেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশব্যাপী মোবাইল ব্যবহারকারীদের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছে। ওইদিন থেকে সরকার সব অবৈধ এবং ক্লোন করা ডিভাইসগুলোর জাতীয় মোবাইল নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস নিষিদ্ধ করবে।
ফয়েজ লিখেছেন, যদি আপনার (ব্যবহারকারীর) নামে নিবন্ধিত সিমটি এমন কোনো মোবাইলে ব্যবহার করা হয় যা ক্লোন করা হয়নি, তাহলে আপনাকে কখনোই কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। এজন্য আপনার সিমটি নিজের নামে নিবন্ধিত রাখুন।
তিনি আরো বলেন, আপনার ব্যবহৃত সিমটি যদি আপনার নিজের নামে নিবন্ধিত হয়, তাহলে (হ্যান্ডসেটের) নিবন্ধন প্রক্রিয়া খুবই সহজ।
তৈয়্যব বলেন, আমরা ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানি করা এবং চোরাচালান মোবাইল বন্ধ করব।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা নিয়ম মেনে বিদেশ থেকে এক বা দু’টি মোবাইল বিনা শুল্কে আনতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী নিবন্ধন করতে পারবেন। এতে কোনো জটিলতা থাকবে না। দু’টির বেশি মোবাইলের জন্য এনবিআরের অধীনে পৃথক নিয়ম রয়েছে, যার জন্য ফি প্রয়োজন, এটি বিদ্যমান নিয়ম।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পরামর্শ চেয়ে বলেছেন, সাধারণ নাগরিকদের জন্য নিবন্ধন, নিবন্ধন বাতিল এবং পুনঃনিবন্ধনের প্রক্রিয়াগুলো কীভাবে সহজ করা যায় সে সম্পর্কে যৌক্তিক পরামর্শ দিন।
১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর চালু হচ্ছে, তাই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কিছু প্রক্রিয়া চালু করেছে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে যা করবেন : যেকোনো উৎস থেকে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, অথবা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে আপনাকে নীচে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করতে হবে এবং ক্রয়ের রসিদটি নিরাপদে রাখতে হবে।
হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হবে।
ধাপ ১ : আপনার মোবাইল মেসেজ অপশনে যান এবং KYD <space> 15-msL¨vi IMEI নম্বর টাইপ করুন।
উদাহরণস্বরূপ : KYD 123456789012345|
ধাপ ২ : বার্তাটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ ৩ : হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে আপনাকে একটি ফিরতি বার্তা পাঠানো হবে।
বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে কেনা বা প্রাপ্ত মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন প্রক্রিয়া :
বিদেশ থেকে বৈধভাবে কেনা বা উপহার হিসেবে প্রাপ্ত হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকবে। ব্যবহারকারীকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য একটি এসএমএস নির্দেশনা দেওয়া হবে। জমা দেওয়া তথ্য যাচাইয়ের পর কেবল বৈধ হ্যান্ডসেটগুলো নিবন্ধিত হবে এবং নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে কেনা বা প্রাপ্ত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের পদ্ধতি নিম্নরূপ :
ধাপ ১: neir.btrc.gov.bd লিঙ্কটিতে প্রবেশ করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
ধাপ ২: পোর্টালের ‘বিশেষ নিবন্ধন’ বিভাগে যান এবং হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর লিখুন।
ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় নথিপত্রের স্ক্যান কপি বা ছবি আপলোড করুন (যেমন ভিসা/ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্প, ক্রয়ের রসিদ ইত্যাদি দেখানো পাসপোর্ট পৃষ্ঠা) এবং জমা দিন বোতাম টিপুন।
ধাপ ৪: হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি অবৈধ হলে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে এবং ডিভাইসটি নেটওয়ার্ক থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নেই এমন ব্যবহারকারীদের জন্য বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র এবং ইউএসএসডি কোড *১৬১৬১# এর মাধ্যমে যাচাইকরণ এবং নিবন্ধন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে।
কর্মকর্তারা জানান, ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা কোনো প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবে না।
দেশের জন্য আরো নিরাপদ ডিজিটাল ইকোসিস্টেম নিশ্চিত করতে, জালিয়াতি, চুরি এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সহায়তার জন্য বিটিআরসি গ্রাহকদের শুধু যাচাইকৃত আইএমইআই নম্বরসহ হ্যান্ডসেট ব্যবহার করার জন্যও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
এর আগে বুধবার বিটিআরসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব ঘোষণা করেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জাতীয় সরঞ্জাম পরিচয় নিবন্ধন (এনইআইআর) পরিষেবা চালু হতে চলেছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান টেলিকম নেটওয়ার্ক নীতিমালার আলোকে নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৩৮ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ফিচার ফোন ব্যবহার করেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাজারে চুরি যাওয়া এবং সংস্কার করা হ্যান্ডসেটের উপস্থিতি মোবাইলের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনইআইআর সিস্টেম কার্যকর হওয়ার পর দেশের ১৮টি কোম্পানি যারা স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি করে, তারা আরো প্রতিযোগিতামূলক দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হবে।
এনইআইআর সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিটিআরসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, স্থানীয় মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতারা ভবিষ্যতে কেবল অভ্যন্তরীণ চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং বিদেশেও হ্যান্ডসেট রপ্তানি শুরু করবে।
এনইআইআর বাস্তবায়নে মোবাইল অপারেটরদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করে অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, এনইআইআর সিস্টেম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সূত্র: বাসস
দেশে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ ও টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এতে করে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন কিংবা আনঅফিশিয়াল ফোনের ব্যবহার একেবারেই বন্ধ হতে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বোর্ডরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, এনইআইআর চালুর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এটি এমন একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই নম্বরকে ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত করে নিবন্ধিত করবে। ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
বিশেষ সহকারী জানান, এই ব্যবস্থা চালু হলে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নকল মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে। এর ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে। পাশাপাশি, চুরি বা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস শনাক্ত ও ব্লক করা সম্ভব হওয়ায় অপরাধ দমনেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, এনইআইআর শুধু একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়, এটি নাগরিকের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা এবং টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি জাতীয় অঙ্গীকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন)-এর পাশাপাশি দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর- গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক এবং টেলিটক বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এনইআইআর চালুর ফলে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) জালিয়াতি, সিম প্রতারণা ও স্ক্যাম কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে ইকেওয়াইসি যাচাই আরও শক্তিশালী হবে, টেলিকম সেক্টরে নিরাপত্তা জোরদার হবে এবং রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে।
উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন অপারেটরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম খাতে একটি নতুন, নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করব। আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এই উদ্যোগ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করুন এবং বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করেন।
এ সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্য ও কৃষি, ফার্নিচার, পর্যটন এবং হসপিটালিটি খাতে প্রায় ৫৯ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হারানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বক্তরা। গতকাল সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে স্মার্ট মানবসম্পদ উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান অর্থনৈতিক কার্যক্রমে দ্রুত পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কেবল প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নয়, বরং এটি উৎপাদনব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রমবাজারে গভীর এবং মৌলিক রূপান্তর এনেছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের শিল্প ও সেবা খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
তিনি জানান, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের তথ্যানুসারে আগামী ৫ বছরে বর্তমান চাকরির বাজারের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে স্মার্ট মানবসম্পদই হবে বাংলাদেশের একমাত্র হাতিয়ার।
তবে তাদের প্রযুক্তিনির্ভর নতুন যুগের কর্মক্ষেত্রে নিজেদের উপযোগী করে তুলতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, কারিগরি শিক্ষায় অধিক গুরুত্ব প্রদান এবং শিক্ষা ও শিল্প খাতের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি অপরিহার্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বলেন, প্রশিক্ষণ প্রদানে নিয়োজিত সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। পাশাপাশি মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে সব স্তরে সচেতনতার ঘাটতিও পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এনএসডিএ নিজস্ব আইনি কাঠামো, ভৌত ও প্রশাসনিক অবকাঠামো গড়ে তোলায় মনোযোগ দিলেও বর্তমানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, জাপানে এক লাখ দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে সরকারি ও শিক্ষা খাতের সহায়তায় জাপানি ভাষা শেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণেও তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে মানবসম্পদ উন্নয়নকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ।
তিনি বলেন, এটুআই ও ইউএনডিপির ২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্য ও কৃষি, ফার্নিচার, পর্যটন এবং হসপিটালিটি খাতে প্রায় ৫৮.৯ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
এ অবস্থায় দেশের কর্মরত মানবসম্পদকে প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রমকে যুগোপযোগী করা এবং কারিগরি শিক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে নির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব (আইসিটি ডিভিশন) মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান, দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)-এর সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ট্রান্সকম গ্রুপের করপোরেট মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এম সাব্বির আলী, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর রিজিওনাল সিনিয়র ম্যানেজার খান মোহাম্মদ শফিকুল আলম, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসরুর আলী এবং ব্রেইন স্টেশন ২৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাইসুল কবীর।