সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

‘স্টার্ট-আপগুলোকে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজির সঙ্গে যুক্তের কাজ চলছে’

প্যারিসে স্টার্ট-আপ এবং প্রযুক্তি ইভেন্টে ভিভাটেক নিউজের রিপোর্টার মি. লুক ব্রাউনকে বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকার দেন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৪ ১৬:৪১

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, উদ্ভাবন ও স্টার্ট-আপদের জন্য নিবেদিত ‘ভিভাটেক ২০২৪’ এ প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ১২টি স্টার্ট-আপ বিভিন্ন উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্যারিসে ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্ট-আপ এবং প্রযুক্তি ইভেন্টে ভিভাটেক নিউজের রিপোর্টার মি. লুক ব্রাউনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার ঢাকায় আইসিটি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞটিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ বছর আগে বাংলাদেশে কোনো ধরনের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম ছিল না। সেখান থেকে আমরা আমাদের তরুণ উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছি। এ ছাড়া স্টার্ট-আপ ক্যাম্পেইন, এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম চালুসহ স্টার্ট-আপগুলোকে সহজতর করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে। প্রতিমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ২৫০০টি স্টার্ট-আপ রয়েছে, যা আইসিটি সেক্টরে ১৫ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের স্টার্ট-আপগুলি তাদের উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করছে।’

লুক ব্রাউনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ১৩ কোটি ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় ২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ সক্রিয় আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। দেশের প্রায় আড়াই হাজারটি সরকারি পরিষেবা ডিজিটাইজ এবং ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা করা হয়েছে।’

এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হচ্ছে। এই সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ’-বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।’


প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে গ্রামগুলো জেগে উঠেছে: পলক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গ্রামগুলো জেগে উঠেছে। শহরের সকল সুবিধা এখন গ্রামেই পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার নাটোরের সিংড়াতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মহেষচন্দ্রপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় বাংলাদেশকে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে গ্রামে বসেই এখন শহরের সকল সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। শতভাগ বিদ্যুৎ, শিক্ষার প্রসার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা, রাস্তাসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে অভূতপূর্ব। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার সুযোগ গ্রহণ করে বাড়িতে বসেই ফ্রিল্যান্সাররা উপার্জন করতে পারছেন। দুই শতাধিক নাগরিক সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে।

পলক বলেন, এখন গ্রামের বাড়িতে থেকেই শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করতে পারছে। টেলিমেডিসিন সেবা চালু করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে। দোর গোড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে ব্যবস্থাপত্রের সঙ্গে ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপন্ন কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারছেন। উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। ভবিষ্যতে উন্নয়নের এই ধারা আরো বেগবান হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হা-মীম তাবাসসুম প্রভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী পরে পর্যায়ক্রমে সিংড়া উপজেলার কলম, শোরকোল, হাতিয়ানদহ এবং চামারী ইউনিয়নে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮০টি পরিবারের মধ্যে ১ বান্ডিল করে ঢেউটিন, ৩ হাজার টাকা এবং শুকনো খাবার বিতরণ করেন।


এক আইএমইআই নম্বরে দেড় লাখ মোবাইল ফোন!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইল ফোনের পরিচয় বহন করে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টি তথা আইএমইআই নম্বর। একটি মোবাইল হ্যান্ডসেটে একটি আইএমইআই নম্বর এবং দুটি সিম সংযুক্ত হয় এমন মোবাইলে দুটি আইএমইআই নম্বর থাকে। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে শুধু একটি আইএমইআই নম্বরের নিবন্ধন দিয়ে অন্তত দেড় লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোড়কে গ্রাহকের হাতে চলে গেছে এসব অবৈধ মোবাইল ফোন। এ অভিযোগ করেছেন দেশের মোবাইল উৎপাদকরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সেমিনারে মোবাইল ডেটাবেজের উপাত্ত তুলে ধরে এ তথ্য জানান টেলিকম অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবির আয়োজনে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শাহেদ আলম বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে এখন ৫টি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। এ ফোনগুলোর বিপরীতে একটি আইএমইআই নম্বরে রেজিস্ট্রেশন করা আছে ১ লাখ ৫০ হাজারের ওপর হ্যান্ডসেট। ১ লাখ ৫০ হাজার হ্যান্ডসেটে আছে একটা আইএমইআই নম্বর। সব কপি। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর না হওয়া এবং গ্রে-মার্কেটের কারণে আমাদের জন্য একটি মোবাইল ডিভাইস লকিং গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই গাইডলাইন কোনো কাজে আসছে না। কেননা এর শর্তগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক। সেটে থাকা দুটি সিম স্লটের মধ্যে একটি বন্ধ রেখে আরেকটা চালু রাখার ক্ষেত্রে এটা কাজ করছে না।

এ তথ্য জেনে চমকে ওঠেন অনুষ্ঠানের অতিথি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘কী বলেন! এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’

এ সময় সেমিনারে উপস্থিত পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রতিমন্ত্রী। জবাবে তিনি বলেন, এ নিয়ে যখন অভিযান করি, তখন দেখি আপনাদের মতো এমন অফিস বানিয়ে তারা ব্যবসা করছে এবং হ্যান্ডসেট বানাচ্ছে। এক অভিযানে ৭০০ মোবাইল উদ্ধার করি। চীনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ এনে তারা এ মোবাইলগুলো বানাচ্ছে। দুই-তিন মাস চালানোর পর তা নষ্ট হয়ে যায়। এটা শুধু মোবাইল নয় গাড়ির ক্ষেত্রেও এমনটা দেখেছি। এক নম্বর দিয়ে ২৯টা গাড়ি চলছে।

এ সেমিনারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোর নতুন সংগঠন মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ, সহসভাপতি রেজওয়ানুল হক, এমটব মহাসচিব লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এনইআইআর বাস্তবায়ন করে উজবেকিস্তানে ৭০০ শতাংশ রাজস্ব বেড়েছে। আজারবাইজানের ৯৮ শতাংশ হ্যান্ডসেট এখন নিবন্ধিত হয়েছে। নিবন্ধন জটিলতার কারণে বাংলাদেশে এনইআইআর বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। অথচ মোবাইল অ্যাডাপশন ৪০ শতাংশ বাড়লে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয় ৪.৮ শতাংশ। ৬৭ শতাংশ মোবাইল ব্রডব্যান্ড অ্যাডাপশন হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১২ শতাংশ।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রবিন।

সংগঠনের সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আমাদের অস্তিত্ব কেবল একটি ডিভাইস। এটা নিজের পরিচিতি ও আবাস। অপারেটর ও ম্যানুফ্যাকচারের মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসায়িক সমঝোতা হলে আমরা অনেক দামি সেটও কম দামে পেতে পারি। এ সমন্বয় না থাকায় দেশে গ্রে মার্কেট বাড়ছে।

সেমিনারে মোবাইল উৎপাদকরা দাবি করছেন, লাগেজে আনা কর ফাঁকি দেওয়া মোবাইল ফোন দেশের মার্কেটগুলোতে বাজারজাত বন্ধে সরকারের মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরদারি বাড়াতে হবে। তারা বলেন, এসব অবৈধ ফোন বাজারজাতকরণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থাগুলো ব্যবস্থা না নিলে ফোন কারখানাগুলো থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ে বাধ্য হবেন হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা।

হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা জানান, হ্যান্ডসেট সংযোজনে বর্তমানে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজ-ব্যাগেজে আনা অবৈধ মোবাইল ফোনের দখলে। এতে বছরে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। টিকতে না পেরে স্মার্ট ও ফিচারফোন মিলিয়ে ৪০ লাখ উৎপাদন সক্ষমতার ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান জোরদারের কথা জানান ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ার পরও এনবিআরের প্রতিনিধি না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উদ্যোক্তারা। বাধ্য হয়ে এরপর থেকে যেকোনো অনুষ্ঠানে এনবিআরকে নিজেই দাওয়াত দেবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।


‘বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে’

বৃহস্পতিবার টেলিযোগাযোগ ভবন মিলনায়তনে বিটিসিএলের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্মার্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সারা দেশে বিটিসিএলের অব্যবহৃত জমির সুষ্ঠু ব্যবহার, কলিং অ্যাপ ‘আলাপ-এর সেবার মান বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রাহক বৃদ্ধি, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন-এর সেবার আওতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামোর পরিকল্পিত ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে স্মার্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় টেলিযোগাযোগ ভবন মিলনায়তনে বিটিসিএলের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রী চীনের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাট ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যাকোটকের ন্যায় বাংলাদেশের নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘কলিং অ্যাপ’আলাপকে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি জাতীয় সোশ্যাল প্লাটফর্ম তৈরি করার যথেষ্ট সুযোগ আমাদের রয়েছে। তাই, বিটিসিএলের আলাপ, জীবন এবং অব্যবহৃত ভূমি ও অবকাঠামো কাজে লাগাতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে।’

এ সময় পলক বলেন, ‘আলাপ’-এর অগ্রগতিতে আমি খুশি কিন্তু সন্তুষ্ট নই।’তিনি আলাপের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মার্কেটিং ও সার্ভিসিং- এ দুটিরই ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

পরে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় টেলিটকের কার্যক্রম-সম্পর্কিত এক পর্যালোচনায় টেলিটককে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির হালনাগাদ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।


শিগগির প্রাইভেট ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হবে: পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রাইভেট ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট খুব শিগগিরই প্রণয়ন করা হবে যাতে ডেটার ক্ল্যাসিফিকেশনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত থাকে।

প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের সর্ববৃহৎ ডেটা সায়েন্স প্রতিযোগিতা ‘ডেটাথন-৩.০’ এর তৃতীয় সংস্করণের গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্সের জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রসেসেবল ডেটার প্রয়োজন। পাশাপাশি ডেটার ক্ল্যাসিফিকেশন প্রয়োজন হবে যাতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে না পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রাইভেট ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, দেশের মেধাবীদের মেধা ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ডেটাগুলোকে যদি সেইফ-ক্লিন-প্রসেসেবল করা যায়, তাহলে ডেটা-ড্রিভেন ডিসিশন মেকিংয়ে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা সম্ভব। বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি হেলথ ডেটার পাশাপাশি এডুকেশন ডেটা, মোবাইল অপারেটরদের ডেটাগুলোকে যদি প্রসেসেবল করা যায়, তাহলে সেখান থেকে নতুন নতুন স্টার্টআপ উপহার দেয়া সম্ভব।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি।

প্রতিযোগিতায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ফোরজি ও ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, রবি আজিয়াটা লিমিটেড আয়োজিত ‘ডেটাথন ৩.০’-এর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টিম ‘এসিআই সার্ভার ডাউন’। প্রথম রানার আপ হয়েছে টিম ‘ইয়েলো কিং’ এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে টিম ‘বিগ ডেটা এআই ডেটা সায়েন্স’। এসিআই সার্ভার ডাউন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পেয়েছে ৫ লাখ টাকা সমমূল্যের পুরস্কার। প্রথম রানার আপ ইয়েলো কিং ৩ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপ বিগ ডাটা এআই ডাটা সায়েন্স পেয়েছে ২ লাখ টাকার পুরস্কার।

পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ী ৩ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।


‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩’ প্রদানে জুরি বোর্ড গঠন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২৩ প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রসমূহ মূল্যায়ন করে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম সুপারিশ করার জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (চলচ্চিত্র) সভাপতি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করে ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে একথা বলা হয়।

জুরি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন: ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন); মহাপরিচালক (বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ); চলচ্চিত্র অধিশাখা প্রধান (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়); ড. মতিন রহমান (সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ফিল্ম ও মিডিয়া বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়); বদরুল আনাম সৌদ (চলচ্চিত্র পরিচালক); মিল্টন খন্দকার (সংগীত পরিচালক); আব্দুল লতিফ বাচ্চু (চিত্রগ্রাহক); খায়রুল আলম সবুজ (অভিনেতা); অঞ্জনা সুলতানা, (অভিনেত্রী); শুভ্র দেব (গায়ক); এবং মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল (সাংবাদিক)।

পুরস্কার প্রদানের জন্য যে সকল ক্ষেত্রসমূহ বিবেচনা করা হবে তা হলো: আজীবন সম্মাননা; শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র; শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র; শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র; শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী; শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার; শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক; শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক; শ্রেষ্ঠ গায়ক; শ্রেষ্ঠ গায়িকা; শ্রেষ্ঠ গীতিকার; শ্রেষ্ঠ সুরকার; শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার; শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার; শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা; শ্রেষ্ঠ সম্পাদক; শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক; শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক; শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক; শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ১৭:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় এ টিকিট বিক্রি।

আজ দেয়া হচ্ছে ১২ জুনের টিকিট। এবার শতভাগ টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।

অনলাইন পদ্ধতিতে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট কিনতে পারছেন যাত্রীরা। ঘরে বসেই খুব সহজে কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়।

এ ছাড়া মোবাইলের প্লে স্টোর থেকে রেল সেবা অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটা সম্ভব।

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (https://eticket.railway.gov.bd/) অথবা ‘রেল সেবা’ অ্যাপে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রথমে আপনার এনআইডি, ই-মেইল নম্বর, ফোন নম্বর এবং ব্যক্তিগত তথ্যাদি প্রদান করতে হবে।

এরপর মোবাইলে একটি ওটিপি (one time password) আসবে। সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করতে হবে। সব তথ্য ঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশন সফল হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। এখানে ইউজার অটো লগইন হয়ে যাবে।

টিকিট কেনার পদ্ধতি

প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। অটো লগইন না হয়ে থাকলে প্যানেলে ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড পূরণ করে লগইন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নতুন পেইজে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, প্রারম্ভিক স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, শ্রেণি পূরণ করে ফাইন্ড টিকিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরের পেইজে ট্রেনের নাম, সিট অ্যাভেলেবিলিটি (আসন আছে কি নেই) ও ট্রেন ছাড়ার সময় দেখা যাবে।

ট্রেন অনুযায়ী ভিউ সিটস বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পছন্দের আসন সিলেক্ট করে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

টিকিটের মূল্য পরিশোধ করবেন যেভাবে

পরবর্তী ধাপে বিকাশ, নগদ অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন। ভিসা, মাস্টার কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ই-মেইলে টিকিটের কপি চলে যাবে।

এ ছাড়া ই-মেইলের ইনবক্স থেকে টিকিট প্রিন্ট করে ফটো আইডিসহ ই-টিকিটের দেয়া টিকিট প্রিন্ট ইনফরমেশন দিয়ে সংশ্লিষ্ট সোর্স স্টেশন থেকে যাত্রার আগে ছাপানো টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।

রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা যায়, এবার ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঁচ দিনের ট্রেনের আসন বিক্রি করা হবে। ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি।

কোন তারিখে ট্রেনের কোন টিকিট

২ জুন দেওয়া হবে ১২ জুনের টিকিট, ৩ জুন দেয়া হবে ১৩ জুনের, ৪ জুন ১৪ জুনের, ৫ জুন ১৫ জুনের এবং ৬ জুন ১৬ জুনের টিকিট দেয়া হবে। ফিরতি টিকিট দেয়া হবে ১০ জুন থেকে। ১০ জুন দেয়া হবে ২০ জুনের টিকিট, ১১ জুন ২১ জুনের, ১২ জুন ২২ জুনের, ১৩ জুন ২৩ জুনের এবং ১৪ জুন ২৪ জুনের টিকিট দেয়া হবে।

বিষয়:

‘গণমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়াতে হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বুধবার রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, দেশটা আমাদের সবার। এ দেশের স্বার্থের বিপক্ষে যেসব ষড়যন্ত্র হবে সেগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে একটা অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে, এ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে প্রচেষ্টা সে ক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ সবাইকে সম্মিলিত ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। যে স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ তৈরি হয়েছিল, সে স্বপ্নের একটি বড় জায়গায় গণতন্ত্র, মানবাধিকারের সুরক্ষা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। এ বিষয়গুলো আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট এ দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে। তারপর অন্ধকারের শক্তি এ দেশে ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। সামরিক শাসন জারি করে, গণমাধ্যমের গলা টিপে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হত্যা করে, মানবাধিকার বিনষ্ট করে, স্বাধীনতার স্বপ্নগুলোকে ভূলুণ্ঠিত করে এ দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়াশীল ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সেই বাস্তবতা থেকে গত পনেরো বছরে অন্ধকার জায়গা থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে আলোর দিকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রেস কাউন্সিলকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও শক্তিশালী করা, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের পরিবেশ আরও উন্নততর করা, আরও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা আছেন তারা যাতে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন, সে কারণে সরকার বিভিন্নভাবে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। গণমাধ্যম সব ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে সরকারের সমালোচনাও যদি করে, সেগুলো বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাগত জানাতে চায়। সরকারের চোখ হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম। কোথাও কোনো বিচ্যুতি-ব্যর্থতা থাকলে, সমস্যা থাকলে গণমাধ্যম সেটি নিরপেক্ষভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে সরকার মনে করে গণমাধ্যম সরকারের সহযোগিতাই করছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে আমরা গণমাধ্যমকে দেখতে চাই। সরকারের বিচ্যুতি-ব্যর্থতা বা কোনো সমস্যা সত্য তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরলে সেগুলোকে সরকার স্বাগত জানাবে এবং স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কারও হাতে তুলে দেবে। এ সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার। যারা সমালোচক তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়। কাজেই সমালোচনা নেওয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকারের যে সহনশীলতা বা তার যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটি প্রেস কাউন্সিল পদক প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা গণমাধ্যমের ঘাড়ে চেপে বসে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, বৈদেশিক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশ ও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, অপতথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তখন সমস্যা তৈরি হয়। এগুলোকে সরকার সমালোচনা বলে না, সেগুলো হলো অপপ্রচার, অপসংবাদিকতা, অপতথ্য, অন্যায় এবং ষড়যন্ত্র। অন্যায়, অপতথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হলে, অপসংবাদিকতা হলে পেশাদার সাংবাদিকরা সেটা দমন করতে চায় সুষ্ঠু ও সুস্থ সাংবাদিকতার স্বার্থে। সরকার পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে আছে।

আরাফাত বলেন, কিছুদিন আগে জার্মানির ডয়েচে ভেলে একটি তথ্যচিত্র বানিয়ে প্রচার করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের যে সাফল্য ও সুনাম, সে সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য, আমাদের খাটো করে দেখানোর জন্য এক ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচারের একটি তথ্যচিত্র তারা তৈরি করেছে। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। কোনো দলের বিপক্ষে নয়, কোনো ব্যক্তির বিপক্ষে নয়। যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে সুরক্ষা দেয়, যে প্রতিষ্ঠান গোটা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে, বাংলাদেশের সুনাম যারা বৃদ্ধি করেছে, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে খাটো করা মানে বাংলাদেশকে খাটো করা। একটা গোষ্ঠী সিন্ডিকেট করে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের অপপ্রচার করছে। ডয়েচে ভেলে বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবাদ সংস্থা তারা যদি মানবাধিকারের প্রতি তাদের কোনো সৎ অঙ্গীকার থেকে কোনো প্রতিবেদন বা তথ্যচিত্র করে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাব। ডয়েচে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার থাকে, সততা থাকে তাহলে আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাই, আজকে বিশ্বে যে যুদ্ধের ডামাডোল, মধ্যপ্রাচ্যের গাজায় যেভাবে নারী-শিশুকে হত্যা করে মানবাধিকার ভঙ্গের ন্যক্কারজনক নজির তৈরি হচ্ছে, যেখানে গণহত্যা হচ্ছে, সেই গণহত্যা নিয়ে তারা একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে তুলে ধরুক। তাহলে আমরা বুঝব তাদের মানবাধিকারের অঙ্গীকারে সততা আছে।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী এমপি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২৩-এর জুরি বোর্ডের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর আহাম্মদ।

অনুষ্ঠানে ৬টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২৩ প্রদান করা হয়। আজীবন সম্মাননা ক্যাটাগরিতে সাপ্তাহিক বেগম সম্পাদক মরহুম নুরজাহান বেগম, প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজ, আঞ্চলিক প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে দৈনিক কক্সবাজার, উন্নয়ন সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক (বার্তা) মো. ইকবাল হোসেন, গ্রামীণ সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে সময় টেলিভিশনের পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা সিকদার জাবীর হোসেন এবং নারী সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ঝর্ণা মনিকে পদক প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত (যিনি মোহাম্মদ এ. আরাফাত নামে পরিচিত) একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদ। টেলিভিশন টক শো অঙ্গনে একজন স্বীকৃত কণ্ঠস্বর, তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং যুক্তিযুক্ত যুক্তির জন্য তিনি আকাশসম জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি জনপ্রিয় মুখ। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সম্পর্কে তার আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবস্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য ন্যায়বিচারের পক্ষে তাকে বাংলাদেশি যুব জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের কাছে প্রিয় করে তোলে।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত অলাভজনক সামাজিক-অ্যাডভোকেসি সংস্থা, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। ফাউন্ডেশনটি অন্যান্যের মধ্যে উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক সমর্থনমূলক কাজ করেছে।

ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত এই জাতীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।

আরাফাত প্রাইরি ভিউ এএন্ডএম ইউনিভার্সিটি এবং ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাডভান্সড বিজনেস ডিগ্রি অর্জন করেছেন।


তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পুরস্কৃত হলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

জেনেভায় মঙ্গলবার পুরস্কার গ্রহণ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৪ ১৭:০২
বাসস

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে পুরস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার ২০২৪- গ্রহণ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

গতকাল মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার ২০২৪-এ তিনি উইনার পুরস্কার গ্রহণ করেন।

আজ বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

চলতি বছর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সিকিউর ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম (বৈঠক) তৈরির জন্য বিল্ডিং কনফিডেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন ইউস অব আইসিটি’স ক্যাটেগরিতে উইনার হিসেবে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম (বৈঠক) তৈরির জন্য এবং এটি তৈরিতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যে সকল তরুণ, ইনোভেটিভ প্রোগ্রামার কাজ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কোভিড ১৯ অতিমারি কর্তৃক সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার জন্য বিসিসি উদ্ভাবিত ‘বৈঠক’ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং এর ফলে আমাদের তরুণ উদ্ভাবকরা তথ্য প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারছে।’

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জমা দেওয়া ১ হাজার ৪৯টি প্রকল্প বা উদ্যোগ থেকে বাছাই করে ৩৬০টি প্রকল্পকে ভোটাভুটির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার নির্ধারণে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে একাধিক উদ্যোগ বা প্রজেক্টকে ভোটের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে থেকে একটিকে উইনার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবছর ১৮টি প্রজেক্টকে উইনার ও ৭২ টি প্রজেক্টকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

বিষয়:

ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২: পেশাদারদের নিত্যদিনের সঙ্গী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্যস্ত এই সময়ে সহজে বহনযোগ্য প্রযুক্তি পণ্য এখন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আর কর্মজীবীদের জন্য যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নিয়ে এসেছে ইনবুক এক্স২ ল্যাপটপ যা সহজেই বহন করা যায়। সাশ্রয়ী মূল্যের এই ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়।

চমৎকার ডিজাইনের স্লিম ও হালকা ওজনের ইনবুক এক্স২ মাত্র ১৪.৮ মি.মি. পুরু এবং এর ওজন ১.২৪ কেজি। এটি সহজেই ব্যাগে এঁটে যায়, ফলে বহন করা খুবই সহজ। ল্যাপটপটির ৫০ ওয়াট-আওয়ারের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির ফলে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে সারাদিন ধরে কাজ করে যেতে পারেন। ফলে চার্জ দেওয়া নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া এর ৪৫ ওয়াটের টাইপ-সি চার্জারটি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। এতে প্রয়োজনের সময় দ্রুত ব্যাটারি চার্জ করে নেওয়া যায়।

আকারে খুব বেশি বড় না হলেও ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২ তে আছে ১১তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৫ প্রসেসর। ফলে যেকোনো জায়গায় বসেই অফিসের কাজ অনায়েসেই সেরে নিতে পারবেন। ইনফিনিক্সের নিজস্ব কুলিং সিস্টেম ‘আইস স্টর্ম ১.০’-এর সাহায্যে প্রসেসর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে ডিভাইসটি কোনো ঝামেলা ছাড়াই কার্যকরভাবে চলতে পারে।

দুর্দান্ত ভিজ্যুয়ালের জন্য ল্যাপটপটিতে যুক্ত করা হয়েছে ১০০% এসআরজিবি প্রফেশনাল ডিসপ্লে। এর ১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলের রেজোলিউশনের ১৪ ইঞ্চি এফএইচডি আইপিএস স্ক্রিনের সাহায্যে চলতি পথেই ভিডিও কনফারেন্সিং, প্রেজেন্টেশন ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের মতো কাজ করা যায়।

এ ছাড়া, লাইভ মিটিং বা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সময় চেহারাকে স্পষ্ট করে তুলতে ইনবুক এক্স২-এর এইচডি ক্যামেরার সঙ্গে আছে ডুয়েল এলইডি ফিল লাইট। ল্যাপটপটির দুই স্তরের স্টিরিও ডিজাইনের সাহায্যে ঘরের ভেতরে ও বাইরে সুন্দরভাবে মিডিয়া উপভোগ করা যায়।

কানেক্টিভিটির প্রয়োজন মেটাতে ল্যাপটপটিতে বিভিন্ন ধরনের পোর্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে আছে দুটি টাইপ-সি পোর্ট, দুটি ইউএসবি পোর্ট, এইচডিএমআই, একটি কার্ড স্লট এবং একটি হেডফোন জ্যাক। ফলে কর্মজীবীরা সহজেই ল্যাপটপটিকে বিভিন্ন ডিভাইস ও পেরিফেরালের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন প্রয়োজন মতো।

বহনযোগ্য ল্যাপটপ হিসেবে ৬১,৯৯০ টাকা বাজারমূল্যের ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২ বেশ সাশ্রয়ী। তবে ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ইনফিনিক্সের এই ল্যাপটপের দাম আরও কমতে পারে, যা সহজে বহনযোগ্য এই ল্যাপটপটিকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।


নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইন মার্কেট প্লেস ‘উই হাটবাজার’ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় পণ্যের পসরা নিয়ে ১০০ জন উদ্যোক্তা মার্সেন্ট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইন মার্কেট প্লেস- উইহাটবাজার ডট কম। এফ কমার্স, পিকমার্স এবং ঘরোয়া পণ্যকে ই-কমার্স প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে এই প্লাটফর্ম স্মার্ট নারীর ক্ষমতায়নে মাইলফলক হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

১৬ মে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই বিশেষায়িত ই-কমার্স প্লাটফর্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ সময় তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার একজন মানুষকে কীভাবে পাল্টা দিতে পারে -উই একটি তার উদাহরণ। নারীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে উই।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে জানিয়ে ডাক্তার দীপু মনি বলেন, সরকারের নানান মন্ত্রণালয়ের এই প্রশিক্ষণ গুলো দিয়ে নারীরা ক্রমাগত দক্ষ হয়ে উঠছে। তারা সঙ্ঘবদ্ধ হতেও শিখেছে। প্রান্তিক মানুষগুলোকে নারীসহ এই মানুষগুলোকে মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার চেষ্টা আমরা দেখছি।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে সাম্যের পৃথিবীটা করতে চাই, যেখানে নারী নির্যাত দিতে হবে না, নারী তার অধিকার ভোগ করবে, যেখানে কোন সহিংসতা থাকবে না; সেই জগৎটা তৈরি করতে হলে একদিকে যেমন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের চেষ্টা করছি একই সাথে তার অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নটা খুব জরুরি। তুই সেই কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করছে বলে আমি মনে করি।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যেগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এবং বিশ্বব্যাংকের লিড কানট্রি ইকোনোমিস্ট সোলায়মান কুলিবালি।

সভাপতির বক্তব্যে পলক বলেন, সরকারের নানা সুবিধার কারণে আজকে ৫০ শতাংশের বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এখন থেকে আরো ৫ হাজার নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকা করে গ্রান্ট দেওয়া হবে। আশা করছি জুন মাস থেকেই দেওয়া শুরু হবে।

উই এর সঙ্গে মিলে ডাক বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতায় উদ্যোক্তাদের পণ্য ডেলিভারিতে সহায়তা করা হবে্ তাদের জন্য বিশেষ ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন- নারী উদ্যোক্তারা খুব সুলভ মূল্যে যাতে উচ্চগতির ইন্টারনেট পান সেই ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও নগদের ডিজিটাল ব্যাংক চালু হলে বিনা জামাতে নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য যতদূর সম্ভব, সেই লিমিটের একটি ফাইন্যান্সিংয়ালের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে উদ্যোক্তাদের টাকার কোন সমস্যা না থাকে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উই হাটবাজার ডটকম চেয়ারম্যান জাহানুর কবির সাকিব। এরপর নতুন এই প্লাটফর্ম বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ঈমানা হক জ্যোতি। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের লিড কানট্রি ইকোনোমিস্ট সোলায়মান কুলিবালি।

অনুষ্ঠানে উই হাটবাজারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক ও উই হাটবাজার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমা আক্তার নিশা। তিনি জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে ডিজিটাল কমার্স খাতে দেশে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আশা করা যায়, এই প্লাটফর্মের কল্যাণে ই-কমার্স খাতে এক লাখ নারীর কর্মসংস্থান হবে। এখন ১০০ মার্চেন্ট নিয়ে শুরু করলে সামনে আরও মার্চেন্ট যোগ করা হবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১ হাজার মার্চেন্ট যুক্ত করা হবে । পরে আগামী ৫ বছরে এই সংখ্যা ১০ হাজারে নিয়ে যাব ইনশাল্লাহ । আপনারা শুধু ধৈয্য ধারণ করে কাজ করে যান। নিজের উদ্যোগের যত্ন দিন।

অনুষ্ঠানে আইসিটি খাতের শীর্ষ সংগঠন বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্কোসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, অনলাইন মার্কেট প্লেস উই হাটবাজারে প্রথম ১০০ জন মার্চেন্টকে নিয়ে যাত্রা করছে। এখানে শুধুমাত্র নারী উদ্যোক্তাদের বানানো দেশীয় পণ্য পাওয়া যাবে। বিদেশি কোন পণ্য পাওয়া যাবে না।


‘চলনবিলে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট নির্মাণ করা হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল এদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধুর সেই অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে চলনবিলে কৃষি ও মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট নির্মাণ করা হবে।

আজ মঙ্গলবার নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৮১ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে চারটি কম্বাইন হারভেস্টার, দশটি মেইজ শেলার, ছয়টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ও সাতটি পাওয়ার স্প্রেয়ার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “বিএনপির শাসন আমলে সারের জন্য কৃষকদের মাঝে হাহাকার ছিল। বিএনপি নেতাদের টোকেন ছাড়া কোনো সার পাওয়া যেত না। এক বস্তা সারের জন্য কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কৃষকদের হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষক-শ্রমিকদের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আমাদের কৃষক-শ্রমিক ভাইয়েরাই হচ্ছেন সেই সোনার মানুষ’।”

ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার রোজি, সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।


‘ভবিষ্যৎমুখী তথ্যপ্রযুক্তিতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি চায় বাংলাদেশ’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভবিষ্যৎমুখী তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়তে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি চায় বাংলাদেশ। এ জন্য বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই ফ্রান্স যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ সোমবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্সে আমাদের সঙ্গে ১২টি আইটি কোম্পানিকে নিয়ে যাচ্ছি। দেশটিতে প্রায় ১২০টি কোম্পানির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। সেখানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আমরা বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা ও সক্ষমতা তুলে ধরব। ফ্রান্সের ট্রেড মিনিস্টারের সঙ্গে একটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হবে।’ তিনি বলেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে আমরা নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে যাচ্ছি। শিক্ষা, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ- এ তিনটি বিষয় হচ্ছে আমাদের এবারের ফ্রান্স ভিজিটের মূল উদ্দেশ্য। ফ্রান্সের ট্রেড মিনিস্টার আমাদের দাওয়াত করেছেন। একই সময়ে ফ্রান্স বা ইউরোপের অন্যতম একটি বড় প্রযুক্তি উৎসব ডিভাটেকে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।

‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ফ্রান্সের অত্যন্ত সফল একটি উদ্যোগ রয়েছে। সেটি হচ্ছে স্কুল ফরটি-টু। সেটার সঙ্গে আমাদের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমরা তাদের বাংলাদেশে আনতে চাই’- যোগ করে বললেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, ইউনিভার্সিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডাটা এনালিটিক্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সাইবার সিকিউরিটি- এ ধরনের ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য তাদের (ফ্রান্স) সঙ্গে আনুষ্ঠানিক একটা চুক্তিতে যাওয়ার জন্য আমরা ভিজিট করছি।’

পলক আরও বলেন, ‘অ্যানিমেশনে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা চমৎকার একটি অ্যানিমেটেড ফিল্ম এবং ল্যাব তৈরি করব। সেটিও এবারের সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্যাটেলাইট কোম্পানি এয়ার বাসের পক্ষ থেকে আমাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সক্ষমতা তৈরি করার জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও বিবেচনায় নিচ্ছি।’


banner close