শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাসের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন

ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে গত শুক্রবার ওয়ানপ্লাসের স্টোর উদ্বোধন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:৫৮

গ্লোবাল টেকনোলজি ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের প্রথম অফিসিয়াল ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন করেছে। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্টোরটি উদ্বোধন করা হয়।

অত্যাধুনিক এই রিটেইল স্টোরটি ডিজাইন করা হয়েছে গ্রাহকদের ওয়ানপ্লাসের সবশেষ প্রযুক্তি ও পণ্যের অভিজ্ঞতা দিতে। আকর্ষণীয় ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটিতে রাখা হয়েছে একটি ইন্টারেক্টিভ জোন, যেখানে গ্রাহকরা তাদের মান ও পছন্দের সর্বশেষ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যগুলো দেখতে পারবেন। যমুনা ফিউচার পার্কের ‘৪সি-০১৮বি’ নম্বরের দোকানটিতে প্রতিদিন (ছুটির দিন ছাড়া) সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্টোরটি খোলা পাবেন গ্রাহকরা।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে ওয়ানপ্লাসের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন উদযাপন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য র‍্যাফেল ড্রয়ের একটি বিশেষ সিরিজ ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ব্র্যান্ডটির ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট ৫জি এবং ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ৫জি ফোন কিনে গ্রাহকরা র‍্যাফেল ড্রতে অংশ নিতে পারবেন। যেখানে গ্রাহকরা ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট ৫জি কিংবা ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ৫জি স্মার্টফোন জিতে নেওয়ার সুযোগ ছাড়াও পাবেন আকর্ষণীয় গিফট বক্স।

ওয়ানপ্লাসের সিইও মেঙ্ক ওয়াং বলেন, ‘আমাদের ব্যবহারকারীদের জন্য ঢাকায় প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর খুলতে পেরে আমরা আনন্দিত। এমনভাবে স্টোরটি ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে গ্রাহকরা এসে আমাদের পণ্যগুলোর ফ্রার্স্ট হ্যান্ড রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে আমাদের স্টোরটিতে আসার জন্য এবং এই মাইলফলক উদযাপনে আমাদের সঙ্গী হতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যা ব্যবহারকারীদের প্রতি ওয়ানপ্লাসের প্রতিশ্রুতি পূরণের আরেকটি অগ্রগতি।’

পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে এবং বিক্রয়োত্তর অফিসিয়াল সেবা পেতে ওয়ানপ্লাস সবসময় গ্রাহকদের অফিসিয়াল বাংলাদেশ সংস্করণ কিনতে উৎসাহিত করছে। ওয়ানপ্লাস অফিসিয়াল পণ্য বাংলাদেশে তৈরি এবং যেগুলো আমদানি করা সবগুলোরই বিটিআরসি সিস্টেমে তাদের আইএমইআই নিবন্ধিত।

গ্রাহকরা খুব সহজে তাদের অফিসিয়াল ফোনের আইএমইআই যাচাই করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ফোনের মেসেজিং অপশনে গিয়ে লিখতে হবে ‘KYD IMEI’ এবং পাঠাতে হবে ১৬০০২ নম্বরে। এ ছাড়া যে কোনো কিছু জানতে সরাসরি কল করা যাবে বিক্রোয়োত্তর সেন্টারের ০৯৬১০৯৯৭৭৯২ নম্বরে কিংবা ইমেইল করা যাবে [email protected] এই ঠিকানায়।

ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের দোকান নম্বর ‘৪সি-০১৮বি’-তে গিয়ে ওয়ানপ্লাসের ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটি ঘুরে আসতে পারবেন। আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই ঠিকানায় https://www.oneplus.com/bd/experience-and-retail#/.


কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির মেধাবী শিক্ষার্থীরা তৈরি করল ‘ওয়াটার ড্রোন’

বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে ‘ওয়াটার ড্রোন’ তৈরি করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিপর্যয় ও দুর্যোগের সময়, বিশেষ করে বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারবে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের তৈরি একটি ড্রোন।

বন্যাপ্রবণ বাংলাদেশ প্রায়ই বন্যার কবলে পড়ে। সড়কপথ তলিয়ে যাবার ফলে অসহায় ও দুস্থদের কাছে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক এই সংকটময় মুহূর্তে আশীর্বাদ হয়ে এলো ‍ওয়াটার ড্রোন নামক এ প্রযুক্তিটি।

রিলিফ অ্যাসিসটেন্স ফ্লোটিং ট্রান্সপোর্ট নামক ড্রোনটি সাত কেজি পর্যন্ত জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বা পেলোড সরবরাহ করতে সক্ষম। পাশাপাশি এটি দুই কিলোমিটার পর্যন্ত কার্যক্ষমতা ধারণ করতে পারবে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নির্মিত এই প্রযুক্তিটি ভবিষ্যতে বিপর্যয়ের সময় বন্যার্তদের মাঝে সহায়তা দ্রুত এবং সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।


বাজারে এলো টেকনো স্পার্ক ৩০সি, দাম নাগালের মধ্যেই

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উদ্ভাবনী প্রযুক্তির শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড টেকনো সম্প্রতি তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা ইন-ক্লাস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হ্যাসব্রো’র ট্রান্সফরমারস ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কোলাবোরেশন করেছে। এই সহযোগিতার আওতায় টেকনো স্পার্ক ৩০ সিরিজ থেকে বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন ট্রান্সফর্মার্স এডিশন (সংস্করণ)।

ট্রান্সফর্মার্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা এই নতুন সংস্করণের ফোন তরুণ প্রজন্মের মতো প্রাণবন্ত হবে, সঙ্গে থাকবে আইকনিক ডিজাইন এবং আরও শক্তিশালী ও পার্সোনালাইজড অভিজ্ঞতা। স্পার্ক ৩০সি এই অংশীদারিত্বের অধীনে রিলিজ হওয়া প্রথম ডিভাইস।

এর ধারাবাহিকতায় টেকনো বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে স্পার্ক সিরিজের নতুন ফোন টেকনো স্পার্ক ৩০সি। দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা সঙ্গে আল্ট্রা-স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে এই ফোন। যারা নির্ভরযোগ্য, শক্তিশালী এবং ভালো পারফরম্যান্স যুক্ত একটি ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য চমৎকার একটি পছন্দ হতে পারে নতুন এই ডিভাইস।

টেকনো স্পার্ক ৩০সি ফোনের অনেকগুলো আকর্ষণীয় ফিচারের একটি হলো এর ‘৫০ মাসের দীর্ঘস্থায়ী ফ্লুয়েন্সি’ ফলে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো রকম ল্যাগ ছাড়াই উপভোগ করা যাবে স্মুথ স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা। স্থায়িত্বের জন্য এই ফোনে আরও রয়েছে আইপি৫৪ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স (পানি এবং ধূলিকণা প্রতিরোধক) ফিচার। বৈরি আবহাওয়া বা ধুলোময় পরিবেশ যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন স্পার্ক ৩০সি। ফলে যেসব ব্যবহারকারীরা একটু চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করেন অথবা একটি পাওয়ারফুল স্মার্টফোন প্রয়োজন তাদের জন্য আদর্শ চয়েস হতে পারে স্পার্ক ৩০সি।

এ ছাড়া, এই ফোনের ইনফ্রারেড রিমোট-কন্ট্রোল ফিচারের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা ঘরের যেকোনো স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সহজেই। ফোনটিতে আরও আছে ১২০ হার্জ ৬.৬” এইচডি+ আইপিএস স্মুথ ডিসপ্লে। প্রসেসর সেকশনে থাকছে হেলিও জি৮১ অক্টা-কোর প্রসেসর।

স্পার্ক ৩০সি ফোনে থাকছে ১২জিবি র‍্যাম (৬জিবি + ৬জিবি এক্সটেন্ডেড) ১২৮জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। স্মুথ ডিসপ্লে, বড় র‍্যাম, পাওয়ারফুল প্রসেসরের কম্বিনেশন রেগুলার ব্যবহার থেকে শুরু করে গেমিং সব ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত ল্যাগবিহীন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।

ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য এই ডিভাইসে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা যার সাহায্যে তোলা যাবে উচ্চ-রেজ্যুলেশনে প্রাণবন্ত ছবি। এছাড়া, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা নিখুঁত ডিটেইলস সহ ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত। ১৮ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সহ ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকআপ নিশ্চিত করবে। মনোমুগ্ধকর অডিও অভিজ্ঞতার জন্য এই ডিভাইসে আছে ডিটিএস ডুয়াল সিমেট্রিকাল স্পিকার।

দুর্দান্ত সব ফিচার যুক্ত স্পার্ক ৩০সি পাওয়া যাবে মাত্র ১৩,৯৯৯ টাকায় (ভ্যাট ব্যতীত) দেশজুড়ে সকল টেকনো স্টোরে।


দারুণ পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা পূরণে ফিরছে রিয়েলমির জনপ্রিয় নাম্বার সিরিজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তরুণ প্রজন্মের প্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি শিগগিরই একটি নতুন ফোন আনতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে অনন্য মাত্রা যোগ করবে। গুঞ্জন রয়েছে, এই স্মার্টফোনটি হতে যাচ্ছে রিয়েলমির জনপ্রিয় নাম্বার সিরিজের ফোন, যা এক বছর পর ফিরে আসছে।

শোনা যাচ্ছে, আসন্ন এই স্মার্টফোনটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট দ্বারা পরিচালিত একটি শক্তিশালী ফোন হতে চলেছে। যদি এটি সত্য হয়, তবে ব্যবহারকারীরা এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং দ্রুত গতির অভিজ্ঞতা পাবেন। যদিও বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এর সম্ভাব্য পারফরম্যান্স নিয়ে ইতোমধ্যেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

ডিভাইসটির পারফরম্যান্সের মূল ভিত্তি প্রসেসিং স্পিড হলেও, অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ ফিচার থাকার সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে, যা তরুণ ব্যবহারকারীদের এই ফোনের ব্যাপারে আরও আগ্রহী করে তুলবে। ফোনে আরও থাকতে পারে একটি শক্তিশালী সনি ওআইএস পোর্ট্রেট ক্যামেরা। এটি স্মার্টফোনপ্রেমীদের দেবে অসাধারণ এবং ঝকঝকে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা।

গ্রাহকদের বাড়তি প্রত্যাশা পূরণে ফোনটিতে একটি উচ্চমানের রিফ্রেশ রেটের অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকার সম্ভাবনাও আলোচনায় রয়েছে। এই সম্ভাবনা সত্যি হলে, ডিসপ্লে ব্যবহারকারীদের অভূতপূর্ব ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতার পাশাপাশি চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্স দিতে সক্ষম হতে পারে।

এছাড়াও, চার্জিং সক্ষমতা অনেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের সূত্র বলছে, এই ফোনটি অত্যন্ত দ্রুত চার্জিং সুবিধা নিয়ে আসছে। কিছু সূত্র এমন ইঙ্গিতও দিচ্ছে যে, এটি ৬৭ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং এর মতোই শক্তিশালী হতে পারে।

যদিও বিস্তারিত তথ্য এখনও গোপন রাখা হয়েছে, তবে অতুলনীয় গতিসম্পন্ন এবং পারফরম্যান্স প্রদানে সক্ষম এই স্মার্টফোনটির সম্পর্কে জানার জন্য গ্রাহকদের আগ্রহ কিন্তু বেড়েই চলেছে। তরুণ স্মার্টফোনপ্রেমীরা তাই নতুন ফোনের অভাবনীয় পারফরম্যান্সের সাক্ষী হওয়ার জন্য দিন গুনছেন।


রোববার রাত থেকে ভোর আংশিকভাবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল রোববার রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পর‌্যন্ত আংশিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস। আজ শনিবার দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটনিং ফিল্টার ইনস্টলেশনের কারণে চার ঘণ্টা কোনো কোনো জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হবে।

আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও পূর্ব-পশ্চিম ইউরোপের কনসোর্টিয়াম (এসইএ-এই-ডব্লিউই ফাইভ) এই ইনস্টলেশনের কাজ করবে। সেসময় কুয়াকাটা থেকে এসইএ-এই-ডব্লিউই ফাইভ হয়ে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হবে।

বাংলাদেশ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের পাঁচ হাজার ৮০০ জিবিবিএস ব্যবহার করছে। এর অর্ধেক ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত থেকে স্থলপথে আমদানি করে।

সাগরের নিচ দিয়ে আসা প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ৮০০ জিবিবিএস আনা হয়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ এই সংযোগে যুক্ত হয়। বর্তমানে তা বাড়িয়ে তিন হাজার ৮০০ জিবিবিএস করা হয়েছে।

কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডব্লিউই ফাইভ থেকে পাওয়া যায় এক হাজার ৭০০ জিবিবিএস। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডব্লিউই সিক্স থেকে ১৩ হাজার ২০০ জিবিবিএস পাওয়া যাবে।


মুখে কৃত্রিম ত্বক বসিয়ে রোবটকে হাসালেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানীদের তৈরি করা সেই কৃত্রিম ত্বক ও সেখানে ফুটে ওঠা হাসি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম জীবন্ত ত্বক রোবটে বসিয়ে সেটিতে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। টোকিও ইউনিভার্সিটির বায়োহাইব্রিড সিস্টেম ল্যাবরেটরির অধ্যাপক শোজি তাকেউচির নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা মানুষের মুখের অনুরূপ একটি অ্যাকচুয়েটর (এক ধরনের বল প্রয়োগকারী যন্ত্র) ব্যবহার করে এ কাজ করেছেন। এখানে অ্যাকচুয়েটরটি ত্বকের লিগামেন্টের কাজ করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এ সংক্রান্ত। সেখানে দেখা যায়, বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম ত্বকের টিস্যুগুলো দলা পাকতে না দিয়ে, না ছিঁড়তে দিয়ে বা কোনো জায়গায় আটকে যেতে না দিয়ে সফলভাবে সেখানে হাসির অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে কৃত্রিমভাবে তৈরি ত্বককে যখনই কোনো শক্ত তলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, তখনই সেই ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এবার ক্ষিতগ্রস্ত না হলেও হাসিটি পুরোপুরি মানুষের মতো হয়নি। বরং অনেকটাই অ্যানিমেশন চরিত্রের হাসির মতো হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের আশা, এই আবিষ্কার মানবসদৃশ রোবটিক যন্ত্রের বিকাশকে এগিয়ে নেবে।

শোজি তাকেউচি বলেন, ‘আমাদের তৈরি করা ত্বকের লক্ষ্য হলো মানুষের ত্বকে পাওয়া জৈবিক কার্যক্রমের সম্পূর্ণ পরিসরের প্রতিলিপি করা; যেখানে মুখের পেশি, ঘামগ্রন্থি, সেবাসিয়াস গ্রন্থি, রোমকূপ, রক্তনালি, চর্বি ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর ব্যাপক কার্যকারিতা আরও প্রাণবন্ত ও কার্যকর রোবোটিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেবে।’ বায়োহাইব্রিড রোবোটিকসের পক্ষের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের অগ্রগতি একদিন একটি সামাজিক বিপ্লবের সূত্রপাত করতে পারে, যেখানে মানুষ ও মানবসদৃশ রোবট পাশাপাশি বাস করবে এবং সেগুলো বাস্তব মানুষের মতোই কাজ করবে। জীবন্ত ত্বক রোবটগুলোকে মানুষের সঙ্গে আবেগপ্রবণ ও আরও ভালো যোগাযোগের সুবিধা দেবে।

টোকিও ইউনিভার্সিটির তাকেউচির দলটি বর্তমানে তাদের কাজের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তাদের এই প্রকল্পে মিনি রোবট তৈরি করা হবে। যেগুলো কৃত্রিমভাবে তৈরি জৈবিক পেশি টিস্যু এবং থ্রিডি প্রিন্টেড কৃত্রিম মাংস ব্যবহার করে তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে এই দল কৃত্রিম কোষের ঝিল্লি, নিউরাল নেটওয়ার্ক এবং ইমপ্লান্টেবল ডিভাইস নিয়েও গবেষণা করছে। তাকেউচির বিশ্বাস, রোবোটিক ত্বক শতভাগ বাস্তবসম্মত হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিতে হবে। কারণ টেক্সচার, রং ও জৈবিক উপাদানগুলোর একীকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা আরও প্রাণবন্ত রোবট তৈরি করার লক্ষ্য রেখেছি, তবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য সেগুলোর উপযোগিতা ও মিথস্ক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ানো।’


সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সংশোধনের আহ্বান অ্যামনেস্টির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অতীতের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে মানবাধিকারের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে সংগঠনটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে।

গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) এক এক্স পোস্টে এ আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ওই পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে সংগঠনের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক গবেষক তাকবির হুদা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি মেনে চলার জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধনের আহ্বান জানাচ্ছে।’

এক্সের পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে যেকোনো নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটা জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের রক্ষা এবং অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার উপযুক্ত মুহূর্ত।

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি তাকবির হুদার আহ্বান, মানবাধিকারের দাবি জানাতে গিয়ে আইসিটি আইন, ডিএসএ, সিএসএ কিংবা অন্য কোনো আইনের অধীনে আটক সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে ও তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে।

এদিকে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, গত কয়েক সপ্তাহের গণবিক্ষোভ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


৫ ঘণ্টা পর সচল হলো ফেসবুক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার বন্ধ হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর এ দুই সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম আবার চালু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার সচল হতে শুরু করে।

এর আগে আজ বেলা ১টার দিকে মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধ করে দেয় অপারেটররা। অনেক ব্যবহারকারী জানান, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকে ঢুকতে সমস্যার মুখে পড়ছেন তারা।

মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। তাই দুপুর ১২টার পর থেকে ফেসবুকের ক্যাশসার্ভারগুলো ডাউন করে রেখেছে মোবাইল অপারেটররা। মোবাইল নেটওয়ার্কে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও বন্ধ করা রয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম।


মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ ফেসবুক-টেলিগ্রাম

মোবাইল অপারেটর সূত্রে বলছে, ফেসবুক-টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ রয়েছে
প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২ আগস্ট, ২০২৪ ১৪:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছে অপারেটররা। আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে অনেক ব্যবহারকারী জানান, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকে ঢুকতে সমস্যার মুখে পড়ছেন তারা।

মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। তাই দুপুর ১২টার পর থেকে ফেসবুকের ক্যাশসার্ভারগুলো ডাউন করে রেখেছে মোবাইল অপারেটররা। মোবাইল নেটওয়ার্কে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও বন্ধ করা রয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম।

এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। ৩১ জুলাই দুপুরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু হয়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেওয়া এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।

বিষয়:

ইন্টারনেটে আবারও ধীর গতি, জানা গেল কারণ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১০ দিন পর বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার ফের চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। তবে শুরুতেই ইন্টারনেটের ধীরগতি পেয়েছেন অনেকে। এর আগে চালু হওয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। কিন্তু আজ সোমবার দুপুর থেকে ফের ধীরগতিতে চলছে ব্রডব্যান্ড সেবা।

গ্রাহকদের অভিযোগ, স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে এ সমস্যা। স্বাভাবিক সময়ে এই সার্ভারগুলো ঠিক হতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ইন্টারনেট সার্ভিস চালুর পর ১০ দিন গুগলের ক্যাশ সার্ভিস, অর্থাৎ গুগল বা গুগল রিলেটেড জিমেইল, ইউটিউব এগুলো বন্ধ ছিল। এসব সার্ভার আপডেট হতে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন পড়ে। এতে প্রধান আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে চাপ পড়েছে। ফেসবুকসহ যেসব সার্ভিস বন্ধ আছে সেগুলো ভিপিএন দিয়ে অনেকে চালাচ্ছেন। যার কারণেও আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে প্রচুর চাপ পড়েছে। এ কারণে মোবাইল ইন্টারনেট অনেক জায়গায় স্লো পাচ্ছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে মোবাইলে ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে পড়ে। তখন থেকে সব অপারেটরের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। রোববার চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। এ ছাড়া ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই রাত থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হয়।


কেন ভিপিএনে ঝুঁকছে মানুষ?

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:১৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নিজের পরিচয় লুকিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন। বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৬০ কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করছে, যা মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ।

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্যমতে, বর্তমানে ব্যবসার তুলনায় ব্যক্তিগত পর্যায়েই ভিপিএনের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়াতে এবং নির্দিষ্ট এলাকার জন্য সীমাবদ্ধ বিভিন্ন স্ট্রিমিং সার্ভিস ও কন্টেন্টের অ্যাকসেস পেতেই ভিপিএন বেশি ব্যবহার করছে মানুষ।

জরিপ বলছে, ব্যবহারকারীদের ভিপিএনে আগ্রহী হওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়ানো। ৬৬ শতাংশ ব্যবহারকারীই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ভিপিএন ব্যবহার করেন। বিপরীতে, নিয়োগদাতা বা অফিসের তথ্য সুরক্ষায় ভিপিএন ব্যবহার করেন মাত্র ছয় শতাংশ ব্যবহারকারী।

১৬ শতাংশ ব্যহারকারী জানিয়েছেন, নিয়োগদাতার বাধ্যবাধকতার কারণে তারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশই বলেছেন, তারা সুরক্ষা বাড়াতে ভিপিএনে আগ্রহী হয়েছেন।

৩৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা নিজেদের ইন্টারনেট কার্যক্রম গোপন রাখতে ভিপিএন ব্যবহার করেন। এনক্রিপশন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভিপিএন ব্যবহার করেন ১৮ শতাংশ ব্যবহারকারী। টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের জন্য ভিপিএন ব্যবহার করেন ৩০ শতাংশ মানুষ।

ভিপিএন কারা ব্যবহার করেন?

বিভিন্ন কারণে এই ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ে। ভিপিএন ব্যবহারে সুবিধার পাশাপাশি নানারকম ঝুঁকি ও অসুবিধা আছে। এর মধ্যে কিছু নিরাপদ আবার কিছু অনিরাপদ ভিপিএন আছে। প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা জানান, অনিরাপদ ভিপিএন ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা আছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা বাড়ানো এবং অপ্রবেশযোগ্য কনটেন্ট দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়েছে ভিপিএন। তবে ভিপিএন ব্যবহার করা অবস্থায় ব্যাংক কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

নব্বইয়ের দশকে ভিপিএনের আবির্ভাব ঘটেছে। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই ভিপিএন ব্যবহার করা হলেও স্ট্রিমিং, গোপনীয়তা, গেমিং, ভ্রমণ এবং নিষিদ্ধ সাইট ও কনটেন্টে অ্যাকসেস পেতেও ভিপিএন ব্যবহার করা হয়। শুরুতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়েই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গুগল প্লে স্টোরে শীর্ষ ডাউনলোড করা পাঁচটি অ্যাপসের মধ্যে চারটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিপিএন। এরপর আছে টিকটক।

বর্তমানে অসংখ্য ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ পাওয়া যায়। এই ভিপিএন টুল ডাউনলোড করার সময় ডিভাইস, ফেসবুক, ই-মেইলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভিপিএন নির্মাতার কাছে। এ ঝুঁকির পাশাপাশি অনেক সময় ইন্টারনেটের গতিও কমে যায়।

এ ছাড়া ভিপিএনের মূল উদ্দেশ্য তথ্য গোপন করা। তাই সরকারি সংস্থাগুলো চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে এসব তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারে না। ভিপিএন ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী বহু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপরাধীদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন, যা মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৩১ শতাংশ। বর্তমানে ভিপিএনের বাজার প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও ২০৩০ সাল নাগাদ এটি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারে নানারকম কঠোর বিধিনিষেধ আছে। সেসব দেশে মূলত ভিপিএন ব্যবহার করেন বহু মানুষ। বর্তমানে শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশ কাতার। দেশটিতে ৭০ শতাংশ মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করেন। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত ৬২ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুর ৫৪ শতাংশ। কম ব্যবহারকারীর তালিকায় শীর্ষে সাউথ আফ্রিকা। সেখানে মাত্র ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করেন। এরপর জাপান ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং কেনিয়া ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।


ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে বিটিআরসির নির্দেশ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে বিকেল ৩টার দিকে বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন ডিরেক্টরেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল করা হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ও বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সে নির্দেশনা আইআইজি অপারেটরদের জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশনাও দিয়েছে বিটিআরসি। ফলে এখন থেকে ইউটিউব ও গুগলে সার্ভিস পেতে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না ব্যবহারকারীদের।

তবে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ) এবং টিকটকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুলাই রাত থেকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করে সরকার। গত বুধবার রাত থেকে সব জায়গায় ব্রডব্যান্ড চালু করা হয়। তবে ব্রডব্যান্ড চালু হলেও ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি পাচ্ছিলেন না। এরপর গুগলের ক্যাশ চালু ও ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো আপাতত বন্ধই থাকছে। তবে ভিপিএন ব্যবহার করে বহু ব্যবহারকারী এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন।


সহসাই চালু হচ্ছে না ফেসবুক-ইউটিউব

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সহসাই ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

পলক বলেন, আগামী তিন দিনের ফেসবুক, টিকটকের মতো মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে চিঠি দিয়ে তাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি এই শুনানিতে অংশ নিয়ে সন্তোষজন জবাব দিতে না পারে তবে তাদের বিষয়ে কঠোর হবে সরকার।

এজন্য এফ-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের আরো দুই-তিন দিন ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান পলক। একইসঙ্গে দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্মগুলোকে এ ধরনের প্লাটফর্ম তৈরিতে আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা যেন নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করেন। এ জন্য আমরা দেশীয় ডোমেইন সহজ করেছি।

বিষয়:

banner close