১১ হাজার কর্মীকে এক ঘোষণায় চাকরিচ্যুত করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। মেটা প্ল্যাটফর্মসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সেবাগুলো যার অধীনে, তিনি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ক্ষমতাধর।
কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণায় ক্ষমতাধর সেই মানুষটি কাঁচুমাচু করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘আমি জানি এটা সবার জন্যই কঠিন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে আমি দুঃখিত।’ কঠিন সেই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণও জানিয়েছেন জাকারবার্গ।
করোনাকালে মেটার আয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গিয়েছিল। ভবিষ্যতেও প্রবৃদ্ধির সে ধারা বজায় থাকবে বলে ধারণা করেছিলেন। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল হয়নি। বিবৃতিতে জাকারবার্গ বলেছেন, ‘অনেকে ধারণা করেছিলেন এই প্রবৃদ্ধির হার স্থায়ী। আমিও তেমনই ভেবেছিলাম। তাই বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই। আমি বুঝতে ভুল করেছি এবং আমি এর দায়দায়িত্ব নিচ্ছি।’
এ পর্যন্ত ঠিক আছে, তবে জাকারবার্গের ভাষ্য বাস্তব কতটা?
আয় কমেছে ঠিকই, তবে খরচ বেড়েছে বেশি
মোট আয় থেকে মোট খরচ বাদ দিলে পাওয়া যায় নিট আয় (কিংবা ক্ষতি)। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) মেটার নিট আয় হয়েছে ৪৪০ কোটি ডলার। গত বছর একই মেয়াদে যা ছিল ৯২০ কোটি ডলার। এ বছর নিট আয় অর্ধেকের বেশি কমে যাওয়ার পেছনে কারণ হলো বিনিয়োগ বাড়ানো।
২০২১ সালের তুলনায় এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মেটার মোট আয় কমেছে বড়জোর পাঁচ শতাংশ। তবে খরচ বেড়েছে ২০ শতাংশ। কারণ মেটাভার্সের ভার্চুয়াল জগতের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মার্ক জাকারবার্গ।
মেটাভার্সের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিষ্ঠানের নামও ‘ফেসবুক’ থেকে ‘মেটা’ করেন তিনি। নাম পরিবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর ৭০ শতাংশের বেশি কমেছে। প্রতি শেয়ার ৩৪৫ ডলার ছিল, এখন তা ১০০ ডলারের আশপাশে ঘুরঘুর করছে।
স্বাভাবিক কারণেই জাকারবার্গের ওপর বিনিয়োগকারীরা নাখোশ। তবে বড়জোর নিজের ভাগের শেয়ার বেঁচে দিয়ে বিদায় নেয়া ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই। সব বিনিয়োগকারী এককাট্টা হলেও জাকারবার্গকে কেউ টলাতে পারবেন না, অন্তত যতক্ষণ তিনি নিজে না চাচ্ছেন।
সব বিনিয়োগকারীর সমান নন
জাকারবার্গ কেবল মেটার প্রধান নির্বাহী নন, পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানও। তা হোক। আর দশটা প্রতিষ্ঠানে এমনটা হলে এতক্ষণে শেয়ারহোল্ডারদের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা হয়ে যেতেন সিইও। জাকারবার্গের বেলায় সে সুযোগ নেই, কারণ মেটার শেয়ার কাঠামো ‘ডুয়াল-ক্লাস’ ধাঁচের।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাজদাক স্টক এক্সচেঞ্জে ২০১২ সালে লিপিবদ্ধ হয় ফেসবুক ইনকরপোরেটেড। অর্থাৎ শেয়ার কেনাবেচা শুরু হয়। সে সময় শেয়ার ক্রেতাদের বেশির ভাগ ‘ক্লাস এ’ শেয়ার পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক সাধারণ সভায় এ ধরনের প্রতি শেয়ারের জন্য একটি করে ভোটাধিকার পাওয়া যায়।
অন্যদিকে নির্বাচিত কিছু বিনিয়োগকারীকে ‘ক্লাস বি’ শেয়ার দেয়া হয়। এর প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারী ১০টি ভোটাধিকার পেয়ে থাকেন। স্টক এক্সচেঞ্জে সচরাচর এ ধরনের শেয়ার কেনাবেচা হয় না।
গত জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২৩০ কোটি ক্লাস এ শেয়ার ইস্যু করে মেটা। আর ক্লাস বি শেয়ার ছিল ৪১ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার। মোট শেয়ারের কেবল ১৫ শতাংশ হলেও প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বি শেয়ার হোল্ডারদের ভোটাধিকার ৬৪ শতাংশ।
শেয়ারে দ্বৈত কাঠামোর জন্যই মেটার কেবল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক হলেও যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে জাকারবার্গ একাই ৫৭ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। অর্থাৎ তিনি নিজে যদি নিজের বিপক্ষে ভোট না দেন, তবে তাকে সরানোর জো নেই কারও।
কেবল মেটা নয়
ডুয়াল ক্লাস শেয়ারের আরও প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে আছে। গত বছর শেয়ার বিকিকিনির জন্য মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জে লিপিবদ্ধ হওয়া (আইপিও) প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ধেক এবং সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের এক-চতুর্থাংশ ক্লাস বি শেয়ার ইস্যু করে।
এ ধরনের শেয়ার বেশি ইস্যু করার মূল সমস্যা হলো, বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্যবস্থাপনা পর্ষদের জবাবদিহিতা কমে যাচ্ছে। এতে ব্যবস্থাপনা পর্ষদ স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়। দ্য কনভারসেশন ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডুয়াল ক্লাস শেয়ার কাঠামোর প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বেশি।
বৈশ্বিক শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপো, ব্র্যান্ডটির সর্বশেষ স্মার্টফোন অপো ‘এ৫এক্স’ (৪জিবি+৬৪জিবি) ১৫ মে, ২০২৫ তারিখে দেশের বাজারে গ্রাহকদের জন্য উন্মোচন করতে যাচ্ছে। অপোর এই ডিভাইসটির বাজারমূল্য ধরা হয়েছে- মাত্র ১৪,৯৯০ টাকা।
অপো ‘এ৫এক্স’-এ গ্রাহকরা পাবেন আইপি৬৫ ওয়াটার এবং ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স, মেলিটারি-গ্রেড ড্রপ প্রটেকশন এবং ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল বিভিন্ন ফিচারের সমন্বয়, যা ব্যবহারকারীদের দেবে এই সেগমেন্টে সর্বোচ্চ স্মার্টফোন এক্সপেরিয়েন্স। মূলতঃ আউটডোরে ব্যবহারের কথা ভেবে ডিজাইন করা এই মোবাইল স্থায়িত্ব ও পারফরম্যান্সের দারুণ এক প্যাকেজ।
এই সেগমেন্টের স্মার্টফোনে প্রায়ই ফোনের স্থায়িত্ব বা ‘ডিউরাবিলিটি’ গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হয় না। অপো ‘এ৫এক্স’ দিচ্ছে পানি ও ধুলো থেকে আইপি৬৫ প্রোটেকশন। কারণ ব্যবহারকারীদের প্রায়ই আবহাওয়া ও পরিবেশের অনিশ্চিত, বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। অপোর অভিনব ওয়াটার স্প্ল্যাশ টাচ প্রযুক্তির কারণে ফোন ভেজা থাকলেও নিঁখুত স্ক্রিন রেসপন্স দিতে পারে, এতে ফলস টাচ কমে যায়। তাই ভেজা হাত, এমনকি হালকা বৃষ্টিতেও নির্বিঘ্নে স্মার্টফোন ইউজ করা যায়। এছাড়া- গ্লাভস ব্যবহার করেও ফোনে স্ক্রল করা যায়, কারণ ঠান্ডা কিংবা প্রখর রোদে অনেকেই মোটরবাইক চালানোর প্রয়োজনে তা ব্যবহার করেন। অপো ‘এ৫এক্স’ এ আরো রয়েছে- আউটডোর মোড, যেটি সরাসরি সূর্যরশ্মিতে আল্ট্রা-ক্লিয়ার ভিজিবিলিটি নিশ্চিত করে। তাই যারা দীর্ঘ সময় ঘরের বাইরে অবস্থান করেন এটি তাদের জন্য যথার্থ স্মার্টফোন।
এই ফোনের স্থায়িত্ব নিয়ে আরো বলা যায়- অপো ‘এ৫এক্স’ এ রয়েছে, ১৪-স্টার সার্টিফিকেশন সহ মেলিটারি-গ্রেড ড্রপ রেজিস্ট্যান্স, কর্নিং গরিলা গ্লাস ৭আই এবং এসজিএস গোল্ড সার্টিফিকেশন; সবমিলিয়ে শক্তিশালী ও দৃঢ় নিরাপত্তা, যা এই প্রাইস সেগমেন্টে খুব কমই দেখা যায়। তাই কর্মক্ষেত্রে অথবা কোথাও গমনকালে ভুলবশতঃ হাত থেকে পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ‘এ৫এক্স’ গ্রাহকদের দেবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সুরক্ষা।
এই স্মার্টফোনে আরো রয়েছে- ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল এআই ফিচার, যা খুব কমই এন্ট্রি-লেভেল স্মার্টফোনগুলোতে দেখা যায়। ডিভাইসটিতে ব্যবহারকারীরা আরো পাবেন আপগ্রেডেড ফটোগ্রাফি এক্সপেরিয়েন্স যেমন- এআই ইরেজার ২.০, যেটি ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষবস্তু মুছে ফেলতে সাহায্য করে; এআই আনব্লার, ব্লারি ছবি স্পষ্ট করতে সাহায্য করে; এছাড়া এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার প্রতিটি শটকে করে আরো নিখুঁত। অধিকন্তু, এআই রিফ্লেকশন রিমুভার আলোর অযাচিত প্রতিফলন দূর করে। এছাড়া- এআই স্টুডিও ২.০ স্টুডিও-কোয়ালিটি মনের মতো ইফেক্ট ব্যবহার করে পোর্ট্রেট তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া সৃজনশীলভাবে ছবি সম্পাদনায় ভূমিকা রাখে এআই স্মার্ট ইমেজ মেটিং, যার মাধ্যমে সহজেই ছবি থেকে কোনো বিষয় আলাদা করা যায়।
টেকসইতা এবং এআই-পাওয়ারড টুলস এর বদৌলতে ‘এ৫এক্স’-এ গ্রাহকদের দিচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা। এ মোবাইলে আছে ৩২ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। আরো আছে ৯০হার্টজ রিফ্রেশ রেট এর ৬.৬৭-ইঞ্চি ডিসপ্লে, যেটি ১০০০-নিট ব্রাইটনেস প্রদান করে এবং ব্যবহারকারীদের দেয় উজ্জ্বল ভিজ্যুয়াল। এ ডিভাইসে আরো আছে- স্মার্টফোনে দ্রুত ও নিরাপদ এক্সেস এর জন্য সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। পাশাপাশি উচ্চ স্পষ্ট শব্দ শোনার জন্য ৩০০% আল্ট্রা ভলিউম মোড। এই সবকিছু প্যাক করা আছে- ৭.৯৯এমএম স্লিম বডিতে যার ওজন মাত্র ১৯৩ গ্রাম। তাই ফোনটি আরামদায়কভাবে ও সহজেই মুঠোবন্দি করা যায়। দুইটি বাহারি রঙে পাওয়া যাবে স্মার্টফোনটি- একটি হচ্ছে লেজার হোয়াইট এবং অপরটি হচ্ছে মিডনাইট ব্লু।
এ প্রসঙ্গে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়ং বলেন, “যেসব ব্যবহারকারীরা আউটডোরে লম্বা সময় কাটান অপো ‘এ৫এক্স’ বিশেষত তাদের কথা মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয়েছে। পানি, ধুলো ও ড্রপ রেজিস্ট্যান্স এই স্মার্টফোনটি প্রতিটি মুহূর্তেই নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হিসেবে পাশে থাকে। এটির স্লিম ডিজাইন সারাদিনব্যাপী কমফোর্ট দিয়ে ইউজারের পাশে থাকে।”
অপো ‘এ৫এক্স’ (৪জিবি+৬৪জিবি) প্রি-অর্ডারের জন্য আগামী ১৫ মে থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। প্রি-অর্ডারের মাধ্যমে গ্রাহকরা জিতে নিতে পারেন বাই ওয়ান, গেট ওয়ান ফ্রি লটারি, ১ মাসের ফ্রি বঙ্গ সাবস্ক্রিপশন অথবা নিশ্চিতভাবে কম্বো গিফ্ট বক্স। বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপো বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও অপো বাংলাদেশের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
তরুণদের জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি কোম্পানিটির সর্বশেষ ‘পাওয়ারহাউজ’ স্মার্টফোন ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ এবং ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ বাংলাদেশে উন্মোচিত করেছে। যেসব ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল লাইফস্টাইলের নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা চান এবং পারফরম্যান্সের ব্যাপারে একবিন্দুও ছাড় দিতে নারাজ এই মোবাইল দুইটি তাদের জন্য; যেগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও অসাধারণ সব ফিচারের মাধ্যমে স্মার্টফোন মার্কেটে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ গ্রাহকদের দেবে ‘আল্টিমেট’ স্পিড ও ইফিশিয়েন্সি। এই ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকরা পাবেন নির্বিঘ্ন ডাউনলোড, ‘ল্যাগ-ফ্রি’ গেমিং, স্মুথ স্ট্রিমিং, ব্লেজিং-ফাস্ট ৫জি কানেক্টিভিটি, উভয়স সিম স্লটে ‘ডুয়েল-মুড ৫জি’ ফিচার সহ সবকিছুতেই দ্রুতগতির ‘নেক্সট-জেনারেশন’ এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্টফোনের শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেন ৪ ৫জি চিপসেট ব্যতিক্রমী ও অসাধারণ প্রসেসিং পাওয়ার প্রদান করে। এতে করে চাহিদা অনুযায়ী নিত্যদিনের রুটিনমাফিক কাজসহ গ্রাফিক্স-ইনটেনসিভ গেমস দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলা যায়। একইসঙ্গে সম্ভব হয় নির্বিঘ্ন মাল্টিটাস্কিং ও রেসপন্সিভ পারফরম্যান্স। সর্বোচ্চ ১২জিবি র্যাম এবং ২৫৬জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ এর ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ ইউজারকে আরো বেশি স্টোরেজ, পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপে দ্রুত সুইচ করার মতো সুবিধা দেবে এবং ডাইনামিক র্যাম এক্সপেনশন স্মার্টফোনটিকে করবে আরো কার্যকরভাবে ব্যবহার উপযোগী।
এই মোবাইলে আরো রয়েছে- ৪৫ওয়াট ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি ও ৬০০০এমএএইচ টাইটান ব্যাটারি যা দ্রুতই স্মার্টফোনকে পূর্ণ চার্জ হতে সাহায্য করে। এতে ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যাবার ভাবনা ছাড়াই নিশ্চিন্তে গ্রাহকরা ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া, স্মার্টফোনটির ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এর ৬.৬৭ ইঞ্চির অ্যামোলেড ই-স্পোর্টস ডিসপ্লে গ্রাহকদের আল্ট্রা-স্মুথ স্ক্রলিং এবং প্রাণবন্ত ভিজুয়্যাল এর অভিজ্ঞতা দেবে। ব্যবহারকারীরা আরো উপভোগ করতে পারবেন- ফ্লুইড এনিমেশন, রেসপন্সিভ টাচ এক্সপেরিয়েন্স, আইডিয়াল মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড গেমিং।
নান্দনিক সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করতেও সিদ্ধহস্ত ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’। এই ডিভাইসের ‘ভার্সেটাইল’ ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা স্পষ্ট ও নিখুঁত ছবি উপহার দেয় এবং বাড়তি লেন্স ও ইন্টেলিজেন্ট এআই ফিচার স্মার্টফোনপ্রেমীদের সৃজনশীলতা প্রকাশে সহায়তা করে।
আর ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ নৈমত্তিক কাজ ও বিনোদনের সেরা অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। এটির মাধ্যমে গ্রাহকরা দ্রুতগতির ডাউনলোড, স্মুথ স্ট্রিমিং এবং নির্ভরযোগ্য ৫জি পারফরম্যান্সে উন্নত অনলাইন এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। এই ডিভাইসে রয়েছে- কার্যকরী মিডিয়াটেক ডাইমেনেস্টি ৬৩০০ ৫জি চিপসেট, একটি অক্টাকোর প্রসেসর, যা স্মুথ মাল্টিটাস্কিং এর জন্য পাওয়ার ও ইফেসিয়েন্সির ভারসাম্য রক্ষা করে।
এই ফোনের ৬.৬৭ ইঞ্চির ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে স্মুথ স্ক্রলিং এবং প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেয়। এই মোবাইলেও রয়েছে- ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জ সক্ষমতার ৬০০০এমএএইচ দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি।
এই ডিভাইসটিতে রয়েছে- এআই সক্ষমতার ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যেটি বেশি বা বেশি ভারসাম্যহীন আলোতেও আকর্ষণীয় ছবি তুলতে সক্ষম।
৮জিবি র্যাম এবং ১২৮জিবি/২৫৬ জিবি স্টোরেজ এর ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকদের দিচ্ছে পর্যাপ্ত মোমোরি ও স্টোরেজ; যা কি না ডাইনামিক র্যাম এক্সপ্যানশনের মাধ্যমে গ্রাহকের মাল্টিটাস্কিং অভিজ্ঞতাকে করে তোলে অনন্য।
‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ এবং ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ দুইটি ডিভাইস-ই দেখতে দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক ডিজাইনের। পারফরম্যান্স ও নান্দনিকতার অসাধারণ সমন্বয়ে রিয়েলমি’র প্রতিশ্রুতি যেটি পুর্নব্যক্ত করে। এই ডিভাইস দুইটিতে আরো রয়েছে- অ্যান্ডয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই ৬.০, যা ব্যবহারকারীদের স্মুথ ও কাস্টমাইজেবল এক্সপেরিয়েন্স দেয়। এছাড়া- এ দুইটি ডিভাইসেই রয়েছে- সেরা মানের আইপি৬৯, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৬ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স, যা কি না স্মার্টফোনকে অভাবনীয় স্থায়িত্ব প্রদান করে।
‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ এবং ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ এর বাজারমূল্য যথাক্রমে ৪১,৯৯৯ টাকা ও ৩১, ৯৯৯ টাকা। সেই সাথে ১২ থেকে ১৪ মে, ২০২৫ তারিখের মধ্যে প্রি-অর্ডার ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময় যে সকল ব্যবহারকারী এই স্মার্টফোন কিনবেন, তারা ২,৫০০ টাকা মূল্যের নতুন লঞ্চ হওয়া রিয়েলমি বাডস পাবেন বিনামূল্যে। বিস্তারিত অন্যান্য তথ্য জানতে রিয়েলমি’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল হ্যান্ডল এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকুন।
দেশের দ্রুতবর্ধমান ও অন্যতম বৃহৎ থার্ড পার্টি মেইনটেন্যান্স সার্ভিস প্রোভাইডার ‘সার্ভিসিং২৪’, কোম্পানিটির এন্টারপ্রাইজ কাস্টমারদের জন্য মাসব্যাপী বিনামূল্যে সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্ক অ্যাসেসমেন্ট ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেছে।
এই ক্যাম্পেইনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- হার্ডওয়্যার, রেইড ও মেমোরি, ডিস্ক হেলথ, ফার্মওয়্যার, লগ ইস্যু, আপ-টাইম পারফরম্যান্স ইত্যাদি বিভিন্ন ইস্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। এসব অ্যাসেসমেন্ট শেষে কাস্টমাররা একটি বিস্তারিত হেলথ-চেক রিপোর্টও পাবেন। এছাড়া- সার্টিফাইড ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ অনুযায়ী ‘সার্ভিসিং২৪’ প্রাপ্ত সমস্যাগুলো সমাধানে বিভিন্ন সুপারিশও প্রদান করবে।
এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে ‘সার্ভিসিং২৪’-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নাসির ফিরোজ বলেন, “অধিকাংশ মানুষই আইটি সাপোর্ট সার্ভিস এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে না। সিস্টেমের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলোর রুটিন-মাফিক অ্যাসেসমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ঘোষিত এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে চাচ্ছি; যাতে তারা বুঝতে পারে ডিভাইসগুলোকে অবহেলার কারণে ভবিষ্যতে জটিল আইটি সমস্যা ও বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে।”
গ্রাহকরা আগামী ৩১, ২০২৫ পর্যন্ত এই ফ্রি আইটি হেলথ চেকআপ এর জন্য স্লট বুক করতে পারবেন। বিস্তারিত তথ্যের জন্য [email protected] এ মেইল করুন, +8809614556655 নাম্বারে কল করুন অথবা ভিজিট করুন servicing24.com।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘সার্ভিসিং২৪’ অল্প সময়েই বাংলাদেশের শীর্ষ আইটি সাপোর্ট সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স (টিপিএম), ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস ও এন্টারপ্রাইজ আইটি সাপোর্টে বিশেষায়িত। হার্ডওয়্যারের আয়ু বাড়িয়ে ৭০% পর্যন্ত কার্বন নির্গমন কমানো ও টেকসই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। প্রধান সেবার মধ্যে রয়েছে টিপিএম, সার্ভার-স্টোরেজ সাপোর্ট, ক্লাউড সল্যুশন, সাইবার সিকিউরিটি, আইটি মনিটরিং ও আইটিএসএম সফটওয়্যার। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যাল, অটোমোবাইল, এফএমসিজি, হোটেল-রিসোর্টসহ বিভিন্ন খাতে সেবা দিয়ে থাকে।
নারায়ণগঞ্জে বহুল প্রতীক্ষিত বাণিজ্যিক প্রকল্প প্রিন্সিপাল ১০০ শপিংমলে স্মার্ট কুলিং পদ্ধতি স্থাপনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ, সাইনটেক টেকনোলজি ও প্রিন্সিপাল গ্রুপ।
এ উপলক্ষে রাজধানীর ওয়েস্টিন ঢাকায় গতকাল (৫ মে) এক অনুষ্ঠানে এই তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এ অংশীদারিত্ব নারায়ণগঞ্জের রিটেইল খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে শপিংমলটিতে স্যামসাংয়ের অত্যাধুনিক ডাক্ট-টাইপ ইনডোর ইউনিট সহ ভিআরএফ ডিভিএম এস২ সিস্টেম স্থাপন করা হবে; যা জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি, সর্বোচ্চ কর্মক্ষম কুলিং সমাধান প্রদান করবে। এটি ক্রেতাদের জন্য আরামদায়ক ও কার্যকর কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাং মিন জাং, হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এসএসি বিজনেস ইনচার্জ) শাহীন হোসেন খান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া, আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাইনটেক টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আল-আমিন, চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল; প্রিন্সিপাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. একেএম ফজলুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. ওবায়েদ উল্লাহ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাদ্দিস কাজী মো. শরিফ উল্লাহ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
দ্রুত পরিবর্তনশীল এই ডিজিটাল যুগে, বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়ীদের (এসএমই) জন্য সহজলভ্য এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য ই-কমার্স সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যথেষ্ট জটিল এবং ব্যয়বহুল একটি কাজ। এই কাজটিকেই সহজ করছে দেশীকমার্স।
দেশীকমার্স মূলত একটি SaaS সলিউশন যেটি দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায়। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্সকে সহজলভ্য করার স্বপ্ন নিয়ে দেশীকমার্সের যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। কোম্পানিটি এখন ১৫০-র অধিক দেশী উদ্যোক্তাকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
বিগত কয়েক দশকে প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে মানুষের কেনাকাটার ধরনে পরিবর্তন এসেছে বিশেষ করে ই-কমার্সের উত্থানের ফলে ব্যবসায়িক জগতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের একজন মধু বা আম বিক্রেতার পক্ষেও সরাসরি ঢাকার একজন কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে।
২০১৮ সালে ঢাকাভিত্তিক BluBird Interactive Ltd.-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে DeshiCommerce। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে এই উপলব্ধি থেকে — দেশীয় ব্যবসায়ীরা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে নানা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত জটিলতা এবং ওয়েবসাইট তৈরীর উচ্চ খরচ SME-দের ই-কমার্সে প্রবেশের স্বপ্নে বাধা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য DeshiCommerce এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যেটা দিয়ে নামমাত্র খরচে মাত্র কয়েক মিনিটে একটি দ্রুতগতির ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
একটা সময় ছিল যখন ভালো মানের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে কয়েক মাস এবং কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করতে হতো। দেশীকমার্স সেটাকে নিয়ে এসেছে মাত্র কয়েক মিনিট এবং কয়েকশো থেকে হাজার টাকার মধ্যে। DeshiCommerce-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিক হাসান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো—বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স সলিউশনকে সহজলভ্য ও সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা। যাতে তারা সহজেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করে সফলতা পেতে পারেন।”
দেশীকমার্স প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের বাজার ও ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে কাস্টমাইযেবল ডিজাইন, সহজ পণ্য ব্যবস্থাপনা, অর্ডার রিটার্ন রিফান্ড ম্যানেজমেন্ট, পেমেন্ট ও ডেলিভারি অপশন ব্যবহারের সুবিধা। প্ল্যাটফর্মটি RedX, Pathao, Steadfast-এর মতো লোকাল লজিস্টিকস এবং bKash, SSLCommerz-এর মতো পেমেন্ট গেটওয়ের সাথে ইন্টিগ্রেটেড — যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে করে আরও সহজ।
ব্যবসার আকার অনুযায়ী দেশীকমার্স-এর বিভিন্ন প্রাইস প্যাকেজ রয়েছে যাতে উদ্যোক্তারা নিজেদের উপযোগী প্ল্যান বেছে নিতে পারেন।দেশীকমার্স মূলত SME দের উদ্দেশ্য করে তৈরী হলেও অনেক বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও দেশীকমার্স ব্যবহার করে তাদের ই-কমার্স বিজনেস পরিচালনা করছে। দেশীকমার্স-এর আর একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহীন বলেন, “এর বড় কারণ হলো - দেশীকমার্স সহজে ব্যবহার করা খুব সহজ, মাত্র কয়েক মিনিটে আপনার সাইট রেডি হয়ে যাবে এবং আপনি সহজেই 'স্কেল' করতে পারবেন।”
ডিজিটাল টুল ব্যবহারে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেশীকমার্স গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তাই দেশীকমার্স বিভিন্ন ভিডিও ও লেখার মাধ্যমে টিউটোরিয়াল, প্রিন্টযোগ্য পিডিএফ ইবুক এবং নিয়মিত ওয়েবিনার আয়োজন করে। সেইসাথে রয়েছে অনলাইন ও অন-সাইট প্রশিক্ষণের সুবিধা যা পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ ট্রেইনাররা।
দেশীকমার্স একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা ই-কমার্স ব্লগও চালায়, যেখানে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, টুল ব্যবহারের কৌশল, মার্কেট রিসার্চ, ও ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির নানা আপডেট প্রকাশিত হয়। এসব তথ্য উদ্যোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বেটা ভার্সনে চালু হওয়ার পর থেকে দেশীকমার্স ইতোমধ্যেই ১৫০-এর বেশি অ্যাক্টিভ ইউজার পেয়েছে। ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে তারা প্রতিনিয়ত প্ল্যাটফর্ম উন্নয়ন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে দেশীকমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে যাচ্ছে AI-ভিত্তিক ফিচার—যেমন স্বয়ংক্রিয় প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখা ও পার্সোনালাইজড প্রোডাক্ট রেকমেন্ডেশন—যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।
দেশীকমার্স শুধু বাংলাদেশে থেমে থাকতে চায় না। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি অন্যান্য এশিয়ান দেশ, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও নিজেদের বিস্তার ঘটাতে চায়। উদ্ভাবন, নির্ভরযোগ্যতা ও পার্টনারশিপের ওপর ভর করে তারা হতে চায় গ্লোবাল ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের অন্যতম চালিকাশক্তি।
বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি যেমন বাড়ছে, তেমনি দেশীকমার্স-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো স্থানীয় ব্যবসাগুলোর অনলাইন জগতে টিকে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এখন থেকে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি অডিটোরিয়ামে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ইন্টারনেট সেবা: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, গৃহীত সিদ্ধান্ত আজ থেকেই কার্যকর হবে। এখন থেকে ৫০০ টাকায় দ্বিগুণ গতির ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পেলে আগামীতে ৫০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস ইন্টারনেট দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্রডব্যান্ডের স্পিড সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস হওয়া উচিত। যেসব ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্সের (আইএসপি) এই গতির ইন্টারনেট দেওয়ার সক্ষমতা আছে, তাদের লাইসেন্স দ্রুত আপগ্রেড করা উচিত।’
তবে আইএসপিএবির এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। সরকার ইতোমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। পাঁচ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়া ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে প্রোভাইডাররা ইন্টারনেট কিনছেন মাত্র ৮০ টাকায় ১ জিবিপিএস, অথচ গ্রাহকরা কিনছে লাখ টাকায়। গ্রাহকদের প্রত্যাশা ছিল ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস এবং সর্বোচ্চ হবে ১০০ এমবিপিএস।’
গ্রাহকদের ওপর বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় এবং অযৌক্তিক হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত সেবা কর্মীদের জন্য আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫ জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই নীতিমালা জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় বস্থাপনা অনুবিভাগ।
এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নীতিমালায় সরকার দৈনন্দিন কাজে গতিশীলতা আনা, স্বল্প সময়ে সেবা গ্রহণ, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা এবং মানসম্পন্ন সেবা ক্রয়ের পাশাপাশি সেবা কর্মীদেরকে কাজে উৎসাহিত করা লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ক্যাটাগরির সেবা ও ৩টি বিশেষ সেবার জনপ্রতি মাসিক সেবামূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এছাড়া সেবাকর্মীরা দুটি উৎসব প্রণোদনা হিসাবে এক মাসের সমপরিমাণ সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে এবং বৈশাখী প্রণোদনা হিসাবে মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে প্রণোদনা সেবামূল্য পাবেন। একইসঙ্গে সেবা কর্মীদের বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ খাত হতে সেবাকর্মীকে প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, সেবাকর্মীরা প্রতি অর্থবছরে দুই সেট ইউনিফর্ম (দায়িত্ব পালনের জন্য পোশাক) পাবেন এবং সেবাকর্মীরা ইউনিফর্ম পরিধানপূর্বক দায়িত্ব পালন করবেন। যেসব কাজ নারী সেবাকর্মী সংশ্লিষ্ট- সেসব কাজে নারী সেবাকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং নারী সেবা কর্মীরা ৪৫ (পয়তাল্লিশ) দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তাদের জন্য পেনশন সুবিধা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় ক্রয় করা সেবামূল্য সেবাকর্মীর নিজ নামীয় ব্যাংক হিসাব/এমএফএস(মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস)-এর মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেওয়া হবে।
সর্বোপরি, সেবা কর্মীরা তার মাসিক সেবামূল্য কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা করা হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত সেবাকর্মীর মাসিক সেবামূল্য ও প্রণোদনা অর্থ বিভাগের বিভিন্ন সময়ে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সেবা ক্রয়কারী কর্তৃক ঘোষিত নির্ধারিত সেবাঘণ্টা সেবাকর্মীর সেবা সময় হিসাবে বিবেচিত হবে। তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় সেবাদানে নিয়োজিত থাকার প্রয়োজন হলে অর্থ বিভাগের সম্মতিসাপেক্ষে চুক্তি মোতাবেক অতিরিক্ত সেবামূল্য দেবেন।
গ্লোবাল উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করেছে তাদের বহু প্রতীক্ষিত নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজে তিনটি মডেল- নোট ৫০, নোট ৫০ প্রো এবং নোট ৫০ প্রো প্লাস- বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। স্মার্টফোনগুলো আধুনিক মেটাল ফ্রেম, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে।
ক্রেতাদের সুবিধার জন্য ইনফিনিক্স পাম পে-এর সাথে অংশীদারিত্বে ০% ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে, মাত্র ২০% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ফোনটি কেনা যাবে এবং পুরো এপ্রিল মাসে চার মাসে কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। এটি তরুণ পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেটের মধ্যে একটি দুর্দান্ত ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা উপভোগের সুযোগ।
ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৫০ সিরিজে যুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন এআই প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে এবং ব্যবহারকারীর আচরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেকে নিখুঁতভাবে মানিয়ে নিতে পারে। আরও থাকছে ডিপ সিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা ও স্ক্রিন, এবং এআই নয়েজ মিউট—যার মাধ্যমে ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, কাজের ধরন কিংবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুযায়ী কার্যক্ষমতা সামঞ্জস্য করতে পারে। এছাড়া থাকছে নতুন বায়ো-অ্যাকটিভ হালো এআই লাইট, যা নোটিফিকেশন ও বিভিন্ন কার্যক্রম অনুযায়ী লাইভ লাইটিং ইফেক্ট প্রদর্শন করে।
নোট ৫০ সিরিজে ইনফিনিক্স এনেছে নতুনভাবে ডিজাইন করা আর্মরঅ্যালয়™ নির্মিত একটি উন্নতমানের কাঠামো, যা ড্যামাস্কাস স্টিল এবং এয়ারোস্পেস-গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম এর সমন্বয়ে গঠিত। হাইপারকাস্টিং প্রযুক্তিতে নির্মিত এই মেটাল ইউনিবডি স্মার্টফোনটিকে দিয়েছে হালকা ও স্লিম প্রোফাইল। ডিভাইসের মেটাল কোয়াড-কার্ভড প্রান্ত এবং জিরকোনিয়াম-স্যান্ড পলিশড ফিনিশ ব্যবহারকারীর হাতে এনে দেয় একটি প্রিমিয়াম টাচ অনুভূতি। সেই সঙ্গে, টিইউভি সুড-সার্টিফায়েড ড্রপ রেজিস্ট্যান্স নিশ্চিত করেছে ফোনটির উন্নত নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্ব।
নোট ৫০ এবং নোট ৫০ প্রো মডেলগুলোতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি১০০ আলটিমেট চিপসেট, আর নোট ৫০ প্রো+ মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে নেক্সট-জেন ৪ ন্যানোমিটার ডাইমেনসিটি ৮৩৫০ আলটিমেট ৫.৫জি চিপসেট, যা স্মুথ মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ডিসপ্লে বিভাগে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, যা উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট ভিউ নিশ্চিত করে। ক্যামেরা প্রযুক্তি হিসেবে নোট ৫০ সিরিজে রয়েছে ৫০ মেগা পিক্সেল ওআইএস নাইট মাস্টার ক্যামেরা, ১১২° আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স, এবং উন্নত এআই ফটোগ্রাফি টুলস। নোট ৫০ প্রো+ মডেলে রয়েছে ১০০X পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স এবং সনি আইএমএক্স ৮৯৬ সেন্সর, যা ৪কে ৬০এফপিএস ভিডিও রেকর্ডিং নিশ্চিত করে।
সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ফাস্টচার্জ ৩.০ প্রযুক্তি, যা দ্রুত চার্জিং নিশ্চিত করে। নোট ৫০ প্রো+ মডেলে ১০০ ওয়াট ওয়ায়ার্ড চার্জিং এবং ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ সুবিধা রয়েছে।
এছাড়াও, ইনফিনিক্স প্রথমবারের মতো সেন্সর-ভিত্তিক স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং ফিচার এনেছে, যার মাধ্যমে হৃদস্পন্দন এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মনিটরিং করা যাবে।
কার্লকেয়ার, ইনফিনিক্সের অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টার, নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোনের জন্য প্রদান করবে প্রিমিয়াম সার্ভিস। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ দিন স্ক্রীন ড্যামেজ প্রটেকশন, ফ্রি ফার্ম ক্লিনিং, ফাস্ট রিপেয়ার সার্ভিস এবং সার্ভিস ডে অফার, যা এস-ভিআইপি কার্ড সহ প্রদান করা হবে। এই ভিআইপি কার্ড নোট ৫০ সিরিজের ব্যবহারকারীদেরকে প্রাধান্য ভিত্তিক গ্রাহক সেবা প্রদান করবে।
নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোন দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে—টাইটেনিয়াম গ্রে এবং এনচ্যান্টেড পারপল। নোট ৫০ সিরিজের ফোনগুলোর মূল্য যথাক্রমে ৫৪,৯৯৯ টাকা, ৩১,৯৯৯ টাকা, এবং ২৭,৯৯৯ টাকা (নোট ৫০ প্রো+, নোট ৫০ প্রো, এবং নোট ৫০) এবং বর্তমানে এগুলো দেশব্যাপী সকল অনুমোদিত রিটেইলার এবং অনলাইন স্টোরে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটুসেবা চালুর জন্য স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংককে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। গতকাল রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তার পরিপ্রেক্ষিতেই ২৯ মার্চ স্টারলিংককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিডা থেকে নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই নিবন্ধনও স্টারলিংককে দেওয়া হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও জানান, পরিচালনার জন্য যে ননজিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) লাইসেন্সের প্রয়োজন, এর জন্য স্টারলিংকের আজ (রোববার) আবেদন করার কথা রয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করলে অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা করার জন্য কোনো বাধা থাকবে না।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আগামী ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেটুসেবা ব্যবহার করা হবে। সেখানে উপস্থিত সব অংশগ্রহণকারী সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়। সেখানে বাংলাদেশের জন্য স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রযুক্তি খাতের ব্যক্তিরা বলছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট-সেবা পাওয়া যাবে। ফলে ইন্টারনেট-সেবার ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে যাবে। গ্রামে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন তরুণেরা।
ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ এক পোস্টে জানান, মাত্র এক ঘণ্টায় ১০ লাখ নতুন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী যোগ হয়েছেন।গত সপ্তাহে ওপেনএআই-এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে সার্ভারে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় সাময়িকভাবে এই ফিচারের ব্যবহার সীমিত করে ওপেনএআই।
চ্যাটজিপিটির ইমেজ-জেনারেশন টুল ব্যবহার করে জিবলি-স্টাইলের এআই চিত্র থেকেই মূলত এ উন্মাদনা শুরু।
এই ভাইরাল ট্রেন্ডে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরা স্টুডিও জিবলির হাতে আঁকা ছবির শৈলীতে প্রভাবিত হয়ে এআই দিয়ে তৈরি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন।
স্টুডিও জিবলি জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও। খ্যাতিমান পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি হলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি 'স্পিরিটেড অ্যাওয়ে' ও 'মাই নেইবার টোটোরো'-এর মতো চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত।
মার্কেট রিসার্চ ফার্ম সিমিলারওয়েবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরই প্রথমবারের মতো সপ্তাহে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর গড় সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে।
ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান সোমবার এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, 'মাত্র এক ঘণ্টায় ১০ লাখ নতুন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী যোগ হয়েছেন।' তিনি জানান, দুই বছর আগে এই সংখ্যক ব্যবহারকারী পেতে পাঁচদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
সেন্সর টাওয়ারের তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে সক্রিয় ব্যবহারকারী, ইন-অ্যাপ সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় এবং অ্যাপ ডাউনলোডের পরিমাণ সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির আপডেটেড মডেল জিপিটি-৪০ চালুর পর থেকেই এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আপডেটেড মডেলটি উন্নত ছবি তৈরি করতে সক্ষম।
আরেক বাজার গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী চ্যাটজিপিটি অ্যাপের ডাউনলোড ১১ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ইন-অ্যাপ কেনাকাটা থেকে আয়ও ৬ শতাংশ বেড়েছে।
তবে, এআই ইমেজ-জেনারেশন টুলের জনপ্রিয়তার কারণে ব্যবহারকারীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে চ্যাটজিপিটিতে বিভিন্ন কারিগরি সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। কিছু ছোটখাটো বিভ্রাট ও সার্ভার ডাউন হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার ওপেনএআই-এর এক সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানান, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। তবে নতুন আপডেট প্রকাশে দেরি, মাঝে মাঝে কিছু ফিচার কাজ না করাসহ সার্ভিস ধীরগতি পারে বলে জানিয়েছেন। এরজন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন ব্যবহারকারীদের। এরইমধ্যে তারা সার্ভারের ওপর অতিরিক্ত ব্যবহারকারীর কারণে সৃষ্ট চাপ সামলানোর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ শুরু করেছেন।
আইনি অনিশ্চয়তা
জিবলি-স্টাইলের চিত্র তৈরিতে এআই টুলের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে সম্ভাব্য কপিরাইট লঙ্ঘন হচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আইন বিষয়ক সংস্থা নিল অ্যান্ড ম্যাকডেভিটের অংশীদার ইভান ব্রাউন বলেন, স্টুডিও জিবলির স্বতন্ত্র শৈলী অনুকরণ করে তৈরি এআই-জেনারেটেড ছবির আইনি অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়। কপিরাইট আইন সাধারণত নির্দিষ্ট শিল্পকর্ম বা অভিব্যক্তিকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু কোনো শিল্পশৈলীকে নিজস্বভাবে সংরক্ষণ করে না। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট জিবলি চিত্র হুবহু অনুলিপি করা কপিরাইট লঙ্ঘন হতে পারে, কিন্তু শুধুমাত্র সেই শৈলীতে এআইয়ে তৈরিকৃত ছবি আইনগতভাবে সমস্যাযুক্ত নাও হতে পারে। তবে, এই বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত ও ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল।
তবে এসব বিষয়ে ওপেনএআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
স্টুডিও জিবলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি ২০১৬ সালে এআই-জেনারেটেড ছবির বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন। গত সপ্তাহে ট্রেন্ডটি জনপ্রিয় হওয়ার পর তার সেই মন্তব্য আবারও আলোচনায় এসেছে।
এআই ব্যবহার করে তৈরি ছবি দেখে মিয়াজাকি বলেছিলেন, "আমি খুবই বিরক্ত। আমি কখনোই এই প্রযুক্তি আমার কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই না।"
এমডাব্লিউসি ২০২৫-এর শো স্টপার ইভেন্টে উদ্ভাবনী সব প্রযুক্তির প্রদর্শনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি আরও শক্তিশালী করেছে। ‘এআই, ইকো-টেক ও নিজস্ব উদ্ভাবনের মাধ্যমে আগামীর ক্ষমতায়ন’—এই দর্শনকে সামনে রেখে ইনফিনিক্স দুটি নতুন উদ্ভাবন সবার সামনে এনেছে। উদ্ভাবনগুলো হলো- সোলার এনার্জি-রিজার্ভিং টেকনোলজি বা পরিবেশের আলো ব্যবহার করে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানো ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ফোনের ডিজাইন কাস্টমাইজ করার একটি অত্যাধুনিক ফিচার।
টেকসই শক্তির নতুন দিগন্ত
ইনফিনিক্সের সোলার এনার্জি রিজার্ভিং টেকনোলজি টেকসই ও কার্যকর শক্তি ব্যবস্থাপনায় সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। উন্নত পেরোভস্কাইট ফটোভোলটাইক প্রযুক্তি ও বুদ্ধিমান এআই অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে এটি আলোকে শক্তিতে রূপান্তর করে যা চার্জিং পদ্ধতিকে আরও কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব করে তোলে।
এই কনসেপ্ট প্রযুক্তিটি ঘরের ভেতর ও বাহির দুই জায়গার আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে প্রোটটাইপ স্মার্টফোনের ফোন কেসে সংরক্ষণ করে। ফোন কেসটির ভেতরে থাকা সংযোগ পয়েন্টের মাধ্যমে সংরক্ষিত শক্তি স্মার্টফোনে স্থানান্তরিত হয় ফলে চার্জিং প্রক্রিয়া হয় আরও নির্বিঘ্ন।
এছাড়া, এআই-চালিত "সানফ্লাওয়ার" ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি এই উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সূর্যমুখী গাছের মতো এই প্রযুক্তি আলোর প্রতি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে যাতে সর্বোচ্চ পরিমাণে আলো গ্রহণ করা যায়। স্মার্ট আলোকসংবেদী সেন্সর ও এআই-নিয়ন্ত্রিত চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে এটি ৩ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সর্বোত্তম চার্জিং নিশ্চিত করতে পারে। ভবিষ্যতে এটি আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই প্রযুক্তিগুলোর সম্মেলনে ইনফিনিক্স একটি টেকসই, নিরাপদ ও গতিশীল শক্তি ব্যবস্থা তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য দিচ্ছে -
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার - সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনডোর ও আউটডোর আলোর শক্তি সংগ্রহ করে ব্যাটারির ব্যাকআপ ক্ষমতা বাড়ায়।
এআই-চালিত শক্তি ব্যবস্থাপনা - ম্যাক্সিমাম পাওয়ার পয়েন্ট ট্র্যাকিং (এমপিপিটি) প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই ভোল্টেজ ও কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে ফলে অতিরিক্ত গরম হওয়া বা ব্যাটারির স্থায়িত্ব কমার সম্ভাবনা থাকে না।
জরুরি পাওয়ার ব্যাকআপ - যেকোনো বিপর্যয় বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় ইনফিনিক্স-এর এআই-নিয়ন্ত্রিত ফটোভোলটাইক চার্জিং ব্যবহারকারীদের সংযুক্ত রাখবে।
স্মার্টফোনের গণ্ডি পেরিয়ে টেকসই প্রযুক্তির বিস্তার
এই প্রযুক্তি শুধু স্মার্টফোনের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়। ইনফিনিক্স ভবিষ্যতে ডিজিটাল ডিভাইস ও পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিতে এটির ব্যবহার পরিকল্পনা করছে। এটি পারফর্মেন্স ও সহজলভ্যতাকে ঠিক রেখে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, নতুন কর্মক্ষমতা ও অত্যাধুনিক ফিচারের মিশেলে একটি নতুন ভবিষ্যতের হাতছানি দিচ্ছে।
ই-কালার শিফট ২.০
শক্তি ব্যবস্থাপনার উদ্ভাবনের পাশাপাশি ইনফিনিক্স নিয়ে এসেছে ই-কালার শিফট ২.০ নামের একটি এআই চালিত উন্নত প্রযুক্তি যা স্মার্টফোনের ডিজাইনে নিজের ব্যক্তিত্বের ছাপ আনার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে।এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনের রঙ ও ডিজাইন পছন্দমতো পরিবর্তন করতে পারবেন। এই ফিচারটিতে বিভিন্ন বাইরের পরিবেশ ও ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী ফোনের রঙ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হবে।
কাস্টোমাইজড মডেল- ৬টি ডায়নামিক প্যাটার্ন ও ৬টি উজ্জ্বল রঙের প্যালেট থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ, যা মিলিয়ে ৩০টি ভিন্ন কম্বিনেশন তৈরি করা যাবে।
এআই রেকগনাইজড মডেল- সেন্সরের মাধ্যমে ফোনের ব্যাক কভার পরিবর্তিত হবে আবহাওয়া, ওয়ালপেপার ও চারপাশের পরিবেশ অনুযায়ী, যা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নির্বিঘ্ন রঙ পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।
উন্নত কালার ডেপথ ও সেগমেন্টেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-কালার শিফট ২.০ এআই-চালিত স্মার্টফোন কাস্টমাইজেশনের মূলধারার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
যদিও এই প্রযুক্তিগুলো বর্তমানে কনসেপ্ট পর্যায়ে রয়েছে তবে ইনফিনিক্সের লক্ষ্য একটি বুদ্ধিমান, টেকসই ও নিজের পছন্দমতো স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা তৈরি করা।
সোলার এনার্জি রিজার্ভিং টেকনোলজির মাধ্যমে ইনফিনিক্স মোবাইল চার্জিং-এর ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করছে। এই প্রযুক্তির প্রথম প্রয়োগ হতে যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজে, যা ২০২৫ সালের মার্চের শেষ দিকে বাজারে আসবে। নতুন নোট ৫০-এ থাকবে উন্নত চার্জিং সুবিধা, নেক্সট জেনারেশন ফিচার ও প্রিমিয়াম মেটাল ডিজাইন। শীঘ্রই বাজারে আসতে যাওয়া এই স্মার্টফোনটি হতে যাচ্ছে একটি সত্যিকারের ফ্ল্যাগশিপ ফোন।
নতুন বছরকে সামনে রেখে প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য বিশেষ অফার দিয়েছে জনপ্রিয় গ্লোবাল টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। নতুন সব উদ্ভাবন এবং স্টাইল যেন সব শ্রেণির গ্রাহকের কাছে সহজলভ্য হয় সেজন্য মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন ইনফিনিক্স হট ৫০ মডেলে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক হাজার টাকা ছাড়ে বর্তমানে হট ৫০ স্মার্টফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়। আগে এর দাম ছিল ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা।
শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য হট ৫০ স্মার্টফোনটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একইসঙ্গে মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন বাজারে এটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ইনফিনিক্সের নতুন বছরের অফার গ্রাহকের সেই চাহিদা পূরণ করবে, বিশেষ করে যারা মিড বাজেটের স্মার্টফোনে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা খুঁজছেন। একইসঙ্গে এটি গ্রাহকদের ব্র্যান্ডটির গুণগত মান এবং প্রবেশযোগ্যতার প্রতি প্রতিশ্রুতি গ্রহণে উৎসাহিত করেছে।
উন্নত স্পেসিফিকেশন এবং স্মার্ট ডিজাইনের সমন্বয়ের মাধ্যমে ইনফিনিক্স হট ৫০ নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। এতে আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং এফএইচডি প্লাস রেজ্যুলেশন; যা একইসঙ্গে গেমিং, স্ট্রিমিং এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য চমৎকার ভিউইং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
হট ৫০ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি ১০০ চিপসেট, যা ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.২ স্টোরেজের সাথে মসৃণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাথমিক রিয়ার ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা; যা দিয়ে ফটোগ্রাফি প্রেমী এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সূক্ষ্ম, প্রাণবন্ত ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৮ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিং ব্যবস্থা থাকায় ব্যবহারকারীদের চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না। স্লিক ব্যাক, সেজ গ্রিন এবং টাইটানিয়াম গ্রে- এই তিন রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।
বছরের শুরুতে যারা সাশ্রয়ী দামে প্রিমিয়াম বিল্ড, শক্তিশালী পারফরম্যান্সযুক্ত একটি নির্ভরযোগ্য এবং ফিচার-সমৃদ্ধ স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য হট ৫০ হতে পারে একটি আদর্শ পছন্দ।
দেশের সব অনুমোদিত রিটেইলার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইনফিনিক্স হট ৫০ এই বিশেষ মূল্যছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশের বাজারে তাদের ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে। এই ইকোসিস্টেমের অংশ হিসেবে তিনটি অত্যাধুনিক ডিভাইস– ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ ও ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ উন্মোচন করা হয়েছে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ বাজারে পাওয়া গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩।
এটি বাংলাদেশে চালু হওয়া কোনো স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত আইওটি ইকোসিস্টেমগুলোর একটি, যা ব্যবহারকারীদের উদ্ভাবন ও সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এই ডিভাইসগুলো নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, হাই পারফর্মেন্স, অত্যাধুনিক ডিজাইন ও উন্নত ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করবে।
ওয়ানপ্লাস প্যাড ২: সহজ জীবনযাপনের জন্য
ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ট্যাবলেট প্রযুক্তিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এর স্লিক, পাতলা নিম্বাস গ্রে অল-মেটাল ইউনিবডি ডিজাইন অত্যন্ত স্টাইলিশ ও কার্যকর। স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ প্ল্যাটফর্ম চালিত এই ট্যাবলেটটিতে রয়েছে ১২.১-ইঞ্চি থ্রি-কে ডিসপ্লে ও ছয়টি স্টেরিও স্পিকার; যা একটি চমৎকার সামগ্রিক অভিজ্ঞতা দেবে।
প্রোডাকটিভিটি ও ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতে এতে রয়েছে ওপেন ক্যানভাস, যার মধ্যে রয়েছে স্প্লিট স্ক্রিন মাল্টিটাস্কিং সেটআপ। এ ছাড়াও এআই টুলবক্সে রয়েছে মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য এআই স্পিক, নোট লেখার জন্য রেকর্ডিং সামারি এবং কনটেন্ট তৈরির জন্য এআই রাইটার ফিচার। ৯৫১০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৬৭ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ দীর্ঘ সময় ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিত করে। ওয়ানপ্লাস স্মার্ট কিবোর্ড ও স্টাইলো ২ এর মতো সহযোগী ডিভাইসগুলো এর কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তোলে। প্যাডটির দাম ৫৯,৯৯৯ টাকা। আর আলাদাভাবে এই প্যাডের স্মার্ট কিবোর্ডটির দাম ১০,৯৯৯ টাকা।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২: সময়ের সঙ্গী
টেকসই ও মার্জিত ডিজাইনের স্মার্টওয়াচ ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ ব্ল্যাক স্টিল রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে । এর মূল্য ২৯,৯৯৯ টাকা। উন্নত হেলথ ট্র্যাকিং ফিচারসহ স্মার্টওয়াচটি ব্যবহারকারীদের সুস্থতার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। এসব ফিচার রিয়েল-টাইম হার্টরেট, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, ঘুমের ধরন এবং স্ট্রেস লেভেল জানিয়ে দেয়। ব্যহারকারীরা এসব ফিচারের সাহায্যে তাদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়গুলো দেখভাল করতে পারেন।
স্ন্যাপড্রাগন ডাব্লিউ৫ জেন ১ চালিত এই ডিভাইসটি স্মার্ট ও উন্নত পার্ফমেন্সের সাথে ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাহায্যে ১০০ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ দেবে। ১.৪৩-ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ ও ২ জিবি র্যামের একটি কার্যকরী পার্ফমেন্সের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় ডিভাইসটিতে। গুগলের ওয়্যার ওএস চালিত ডিভাইসটি ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ গঠিয়ে নোটিফিকেশন, মিউজিক কন্ট্রোল এবং জিপিএস নেভিগেশন নিশ্চিত করে।
ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩: নিখুঁত অডিও অভিজ্ঞতা
অডিও অভিজ্ঞতাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে দ্রুতই বাজারে আসছে ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩। মিডনাইট ওপাস ও লুনার রেডিয়েন্স রঙে বাজারে পাওয়া যাবে ইয়ারবাডটি। এতে রয়েছে স্প্যাশিয়াল অডিও, রিয়েল-টাইম অ্যাডাপটিভ এএনসি, ৪৩ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ ও হেড ট্র্যাকিং এর মতো ফিচার।
১১মিমি উফার এবং ৬মিমি টুইটার এর মাধ্যমে এটি ইমারসিভ সাউন্ড প্রদান করে। গুগল ফাস্ট পেয়ার প্রযুক্তির সাহায্যে এটি নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করে।
সমন্বিত ইকোসিস্টেম: ডিভাইসের মধ্যে সীমাহীন সংযোগ
ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়াচ ২ এবং বাডস প্রো ৩ একসঙ্গে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সংযুক্ত এবং কার্যকর ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি করে। সিঙ্কড নোটিফিকেশন, ক্রস-ডিভাইস মিডিয়া কন্ট্রোল ও সহজ ফাইল শেয়ারিং এর মতো ফিচার ব্যবহারকারীদের প্রোডাকটিভিটি বাড়াবে ও বিনোদনের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।
যেখানে পাওয়া যাচ্ছে
ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ও ওয়াচ ২ ওয়ানপ্লাস ফ্ল্যাগশিপ ও এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও অনলাইনে পিকাবু, দারাজ ও গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার থেকেও পণ্যগুলো অর্ডার করা যাবে। বাডস প্রো ৩ এর বাজারে আসার তারিখ ও মূল্য শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ওয়ানপ্লাস-এর সকল পণ্য ১ বছরের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টিসহ পাওয়া যাবে।