শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রাজার প্রত্যাবর্তন

সিংহ ফেরায় ৬৭ হাজার একরের সামারার চেহারা বদলে গেছে। ছবি: সামারা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৩১

গ্রেট কারুতে একসময় সিংহ দাপিয়ে বেড়াত। আর ছিল চিতা। এরপর মানুষ গিয়েই বিপত্তিটা বাধাল। নিজেদের মতো সীমানা দেগে একের পর এক খামার গড়ে তোলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্তীর্ণ মালভূমিতে। এতে যা হবার তা-ই হলো। ১৮৪০-এর দশক নাগাদ বিদায় নেয় সিংহ। পরের তিন দশকে চিতাও গেল।

বাঘ-সিংহ বিদায় নেয়ার পর গ্রেট কারু ও আশপাশের অঞ্চলে অনেকগুলো গবাদি পশুর খামার গড়ে ওঠে। বিশেষ করে ইস্টার্ন কেপের যে অঞ্চল এখন ‘সামারা প্রাইভেট গেম রিজার্ভ’ হিসেবে পরিচিত।

১৯৯৭ সালে গ্রেট কারুর আগের সেই প্রাকৃতিক পরিবেশ সামারায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তী ২৫ বছরের চেষ্টায় সিংহ আর চিতা এখন ফের দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার অঞ্চলটিতে। যে চেষ্টার পুরোধা মার্ক ও সারাহ টম্পকিন্স। মোট ৬৭ হাজার একরজুড়ে থাকা ১১টি খামার কিনে নেন টম্পকিন্স দম্পতি।

টম্পকিন্সদের বড় মেয়ে ইজাবেল এখন সামারার ব্যবসায় উন্নয়ন ব্যবস্থাপক। অঞ্চলটি আগেও বুনো ছিল না বলে সিএনএনকে জানান তিনি। উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছিল বলে কিছু প্রাণী সেখানে আশ্রয় নেয়। সেই অতিথি প্রাণীগুলোকে তাড়িয়ে দেয়ায় খাদ্যের অভাবের সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় শিকারি প্রাণীও।

বড় স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ছোট থেকে শুরু করে টম্পকিন্স পরিবার। আক্ষরিক অর্থেই তৃণমূল পর্যায় থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গুল্ম কিংবা বৃক্ষজাতীয় যে ৯ ধরনের উদ্ভিদ পাওয়া যায়, তার পাঁচটির অস্তিত্ব সামারায় মেলে। ইজাবেল বলেন, ‘শুষ্কপ্রায় অঞ্চল হলেও জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে কিন্তু দারুণ, বিশেষ করে স্থানীয় উদ্ভিদের দিক থেকে।’

টম্পকিন্সদের চেষ্টায় একসময় অঞ্চলটি ফের উদ্ভিদে পূর্ণ হয়ে ওঠে। এতে ছোট তৃণভোজী প্রাণী থেকে শুরু করে হাতির মতো বড় প্রাণীর উপযুক্ত আবাসে পরিণত হয় সামারা। ইজাবেলের ভাষায়, ‘অল্প অল্প করে আমরা পাজলের টুকরোগুলো জোড়া দিতে শুরু করি।’

পর্যাপ্ত শিকার থাকায় শিকারি প্রাণী ছাড়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠে সামারা। ১৩০ বছর পর ২০০৩ সালে প্রথমবার অঞ্চলটিতে চিতা আনা হয়। সামারায় সব মিলিয়ে ৫০টির মতো চিতা শাবকের জন্ম হয়েছে। প্রাণীসংখ্যা পর্যাপ্ত হয়ে যাওয়ায় কতকগুলোকে অন্যান্য অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যানে স্থানান্তর করতে হয়। আবার জিন বৈচিত্র্যের জন্য বাইরে থেকেও সামারায় কিছু চিতা আনা হয়েছিল।

রাজার ফেরা
চিতার আবাস ঠিকঠাক হলে ১৭০ বছর পর সিংহ ফেরানোর আয়োজন শুরু হলো। সামারা এবং গ্রেট কারুর জন্য দারুণ এক সময় বটে! ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘টাইটাস’ নামের সিংহ এবং ‘সিকেলেলে’ নামের সিংহী আনা হয় সামারায়। কাছাকাছি সময়ে ‘সেবা’ নামের আরেক সিংহীও আসে। এর মধ্যে সিকেলেলে দুটি এবং সেবা একটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। অভয়ারণ্যের প্রথম সিংহশাবক এখন নিজেই শিকার করতে শিখে গেছে বলে জানান টম্পকিন্স।

সিংহ ফেরায় সামারার চেহারা বদলে গেছে। খাদ্যজালে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামারা এতটাই সফল যে মেঘ না চাইতে বৃষ্টি মিলেছে। যেমন, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে অভয়ারণ্যের ভেতর বেশ কয়েকবার একটি পুরুষ লেপার্ড ধরা দেয় ক্যামেরায়। সেটি বেড়া টপকে ঢুকে পড়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। ইজাবেল বলেন, ‘এর অর্থ লেপার্ড টিকে থাকার মতো পরিবেশ এখানে রয়েছে।’

উচ্চাকাঙ্ক্ষী না হয়ে উপায় নেই
মূলত পর্যটন থেকেই সামারার খরচ মেটানো হয়। দর্শনার্থী এসে লজে থাকতে পারেন, চাইলে খোলা আকাশের নিচে তারাও গুণতে পারেন। বিলাসবহুল সাফারি কিংবা পর্যটকদের জন্য চিতার পিছু নেয়ার ব্যবস্থাও আছে সেখানে। আয়ের পুরোটাই সামারায় নানা কর্মসূচিতে ফের বিনিয়োগ করা হয়।

সামারায় দীর্ঘমেয়াদে আরেকটি বড় উদ্যোগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন টম্পকিন্সরা। কারুর ক্যামডেবু জাতীয় উদ্যান এবং মাউন্টেন জেবরা জাতীয় উদ্যানের সঙ্গে সংযোগপথ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা সম্ভব হলে ১৩ লাখ একরের বিশাল এক অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।

প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সামারার চেষ্টা তো আছেই, জাতিসংঘের ‘বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারের দশক’ উদ্যোগের দিকনির্দেশনাও আছে। অগ্রাধিকারভুক্ত অঞ্চলগুলোতে কেবল ১৫ শতাংশ ভূমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হলে বিলুপ্তির আশঙ্কায় থাকা প্রাণীর ৬০ শতাংশ রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে। জলবায়ু এবং জীবিকা-সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধা তো আছেই। ইজাবেল বলেন, ‘সময় চলে যাচ্ছে। আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী না হয়ে উপায় নেই।’

ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি আশাবাদী। মানুষ নিজ নিজ উঠানে উদ্যোগী হলেই বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের উঠানটা কেবল ৬৭ হাজার একরের।’


ফ্রান্সে অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে রেল নেটওয়ার্কে ‘ব্যাপক হামলা’

ছবি: এপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দ্রুতগতির টিজিভি রেল নেটওয়ার্কে ব্যাপক হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে নাশকতাকারীরা। উচ্চগতির রেল অবকাঠামোয় (টিজিভি) একাধিকবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে এই হামলা করা হয়েছে। এতে এক প্রকার অচলই হয়ে গেছে দেশটির রেল যোগাযোগ। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় ট্রেন অপারেটর এসএনসিএফ এসব তথ্য জানায়।

এ ঘটনায় প্যারিস ও লন্ডনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করেছে লন্ডনভিত্তিক রেলসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ইউরোস্টার। তারা তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, শুক্রবার প্যারিসের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ও প্যারিস থেকে লন্ডনের দিকে আসা সব ট্রেন অন্য রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

এ ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, হামলাগুলো ‘নাশকতা’ ছড়াতে করা হয়েছে। টিজিভি নেটওয়ার্ককে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে এটি একটি বৃহৎ ও ব্যাপক আক্রমণ। এর ফলে অনেক রুটের ট্রেন চলাচল বাতিল করতে হবে।

এসএনসিএফ বলেছে, রাতারাতি একাধিক আক্রমণের শিকার হয়েছে টিজিভি। এর ফলে আটলান্টিক, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের রেল চলাচল ব্যাহত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামো পুরোপুরি মেরামত করতে এই সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

এসএনসিএফের প্রধান নির্বাহী শন-পিয়েরে ফারান্দো বলেছেন, এই হামলার ফলে অন্তত ৮ লাখ যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। চলমান ট্রেনগুলোকে বিভিন্ন ট্র্যাকে ঘুরিয়ে দেওয়া হলেও অনেকগুলো শিডিউল বাতিল করতে হবে। যাত্রীদের তাদের ট্রিপ স্থগিত করতে ও ট্রেন স্টেশন থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রী প্যাত্রিশ ভারগারিত বলছেন, টিজিভি রেল নেটওয়ার্কে এমন আক্রমণ বড় ধরনের অপরাধ। এই হামলার ফলে উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সে রেল যোগাযোগ অর্ধেক হয়ে যাবে ও আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত পুরো ফ্রান্সে এর গুরুতর প্রভাব পড়বে।

ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম বিএফএমটিভি-তে রেল কোম্পানি এসএনসিএফ-এর প্রেসিডেন্ট জানান, রেল নেটওয়ার্ককে অলিম্পিক গেমসের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এই নেটওয়ার্ক যত দ্রুত সম্ভব সচল করতে শত শত কর্মকর্তাকে কাজে লাগাতে হচ্ছে।

এসএনসিএফ বলছে, বৃহস্পতিবার রাতভর রেল নেটওয়ার্ককে অচল করে দিতে দফায় দফায় ব্যাপক হামলা হয়। প্যারিসের পশ্চিম, উত্তর এবং পূর্বে চলে যাওয়া টিজিভি রেল লাইনগুলোর তিনটি স্থলে আগুন জ্বলতে শুরু করে। ইচ্ছাকৃতভাবেই রেললাইনে আগুন দেওয়া হয়। তবে দক্ষিণের একটি স্থানে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সেখানকার লাইনগুলো অক্ষত আছে।

এদিকে, তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হামলার ঘটনাকে ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন।


গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ বন্ধের এখনই সময়

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ বন্ধের এখনই সময় বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। কমলা হ্যারিস আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বৈঠকে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ‘খোলামেলা এবং গঠনমূলক’ আলোচনায় গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় কমলা ‘কঠোর মনোভাব’ দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজায় হতাহতের বিষয়ে তার ‘গভীর উদ্বেগ’ রয়েছে। সংকট সুরাহায় দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি জোর দিয়ে কমলা বলেন, ‘সময় হয়েছে এই যুদ্ধ বন্ধের।’

নেতানিয়াহুর সঙ্গে ৪০ মিনিটের বৈঠকে কমলা বলেছেন, ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার’ অধিকার আছে সেটা তিনি মানেন এবং দেশটির প্রতি আমেরিকার ‘অটল প্রতিশ্রুতিও’ আছে। তিনি বলেছেন, গত বছর ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হামাস হামলা চালালে শুরু হয় সংঘাত।

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। ৮১ বছর বয়সি এই প্রেসিডেন্ট তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে দলের প্রার্থী করার সুপারিশ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন নেতানিয়াহু। এক দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি বক্তৃতায় হামাসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ জয়ের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন নেতানিয়াহু, যখন হাজারো ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ করেছে।

ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধকাল গড়িয়েছে নবম মাসে। এই যুদ্ধ শেষ করার জন্য নেতানিয়াহুকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী হামাস অক্টোবরের ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেছে। জিম্মি করেছে আড়াই শতাধিক মানুষকে। ওই দিন থেকেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।

কমলা বলেন, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে আত্মরক্ষার পদ্ধতি কী হবে তা গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমরা এই পরিস্থিতিতে অসাড় ভূমিকা নিতে পারি না, নীরবও থাকতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা যুদ্ধ শেষ করতে চুক্তিটি সম্পন্ন করি, যাতে আমরা যুদ্ধ শেষ করতে একটি যুদ্ধবিরতি পেতে পারি। আসুন আমরা জিম্মিদের মুক্ত করে নিয়ে আসি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছে দিই।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর দেখা করার কথা রয়েছে।

নেতানিয়াহু-বাইডেনের আলোচনা

জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতে নেতানিয়াহু বলেন, চার দশকের বেশি সময় ধরে বাইডেনকে চেনেন ও জানেন এবং অর্ধশতাব্দীকালের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে। নেতানিয়াহু বলেন, ‘একজন গর্বিত ইহুদি হিসেবে ইসরায়েলকে ৫০ বছর ধরে সমর্থনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

আগামী কয়েক মাসে বড় বড় সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য ইসরায়েল ইচ্ছুক বলে বাইডেনকে বলেছেন নেতানিয়াহু। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই পরিস্থিতিতে একটি জিম্মি মুক্তি চুক্তির জরুরি প্রয়োজন বলে মনে করেন। এ ছাড়া লেবাননে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা, ইরানের হুমকি এবং সমঝোতায় পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।’

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সম্পর্কে ‘ফাঁক রয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন জন কিরবি।

বিষয়:

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ জানাল শ্রীলঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রীলাঙ্কা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে একটি নোটিশ দেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন। নোটিশে বলা হয়, আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।

তথ্য অনুসারে, ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ। শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে নির্বাচনে যে প্রার্থী হবেন, তা প্রায় নিশ্চিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ২ জনের নাম শোনা যাচ্ছে— সজিত প্রেমাদাসা এবং অনুরা কুমারা দেশনায়েক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের অধিকাংশই অবশ্য মনে করছেন, জয়ের সম্ভাবনা অন্য দুই প্রার্থীর চেয়ে রনিল বিক্রমাসিংহের বেশি।

৭৫ বছর বয়সী রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হন ২০২২ সালের ২২ জুলাই। তার আগে এক সপ্তাহ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন তিনি। তারও আগে ওই বছরের ১১ মে রনিলকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন তার পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের প্রেসিডেন্ট হন গোতাবায়া রাজাপাকশে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তার বড়ভাই মাহিন্দা রাজাপাকশে।

গোতাবায়া-মাহিন্দা সরকার গঠনের তার বছর শুরু হয় করোনা মহামারি। সেই মহামারিকালীন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দিতে চরম ব্যর্থতা, সরকারি তহবিল থেকে বেহিসেবি অর্থব্যয় এবং সরকারের ভুল নেতৃত্বের ফলে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকে যায়। এতে ২০২১ সালের শেষ দিক থেকে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ আমদানির মতো অর্থও ছিলো না দেশটির।

এক পর্যায়ে সাধারণ জনগণের চরম বিক্ষোভের মুখে ২০২২ সালের জুলাই মাসে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া। তিনি দেশত্যাগের পর পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের ভোটে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হন রনিল এবং গোতাবায়া সরকারের সাংবিধানিক মেয়াদের বাকি ২ বছর পূর্ণ করেন।

এই দুই বছর ছিল শ্রীলঙ্কার সংকটে জর্জরিত মৃতপ্রায় অর্থনীতির স্থিতিশীলতার পথে যাত্রার বছর। রনিলের আমলেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২৯০ কোটি জরুরি ঋণ পায় শ্রীলঙ্কার সরকার। এছাড়া ভারত, চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন মিত্র দেশও ঋণ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে।

২০২৩ সালে ২ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। তার আগের বছর ২০২২ সালে সংকোচনের হার ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। বর্তমানে অবশ্য সেই পর্যায় পার করেছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির অর্থনীতিবিদদের ধারণা, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে অর্থনীতির। তবে তারপরও দেশটির বকেয়া বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ থাকবে অন্তত ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।

এছাড়া দেশটির অর্থনীতি খানিকটা ঘুরে দাঁড়ালেও জনগণের দুর্ভোগ তেমন লাঘব হয়নি। এখনও মূল্যস্ফীতি, বেকারত্বের মতো সমস্যাগুলো শ্রীলঙ্কায় বেশ ভালোভাবেই রয়েছে।

রাজধানী কলম্বোভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা পলিসি অল্টারনেটিভসের জ্যেষ্ঠ গবেষক ভবানী ফনসেকা রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “শ্রীলঙ্কার জন্য এটি জটিল একটি সময়। গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য নির্বাচন অপরিহার্য, কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক সংকট যেহেতু এখনও পুরোপুরি কাটেনি—তাই এবারের নির্বাচন বিগত নির্বাচনগুলোর মতো হবে বলে মনে হয় না। তবে জনগণ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।”

বিষয়:

ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই ধারা বহাল থাকবে।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ জারি করা হলো। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। জনসাধারণকে কোনো অবস্থাতেই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘণ না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশটিকে সম্প্রতি বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার কোরআন অবমাননার দায়ে বন্দি জনৈক পাকিস্তানি নাগরিক মোবারক সানি মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তান, জামিয়াত উলেমা-ই ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) বিভিন্ন ইসলামি দল এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচির জেরে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জননিরাপত্তার স্বার্থে পাঞ্জাব প্রদেশের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা করা হয়েছে। জনগণকে সরকারের এই আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়— এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে প্রাদেশিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সংযোগ সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ, সেইসঙ্গে শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল চলছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং পিটিআইয়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গত দুদিন ধরে এসব দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

বিষয়:

নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নেপালে রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমস। জানা যায়, এই সময় বিমানটিতে ১৯ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৮ জন দুর্ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

হিমালয়ান টাইমসে বলা হয়, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) সৌর্য এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এই ফ্লাইটটি উড্ডয়নের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।

বিমানটিতে শুধু এয়ারলাইন্সের কারিগরি কর্মীরাই ছিলেন বলে জানা গেছে। পৃথক এক প্রতিবেদনে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, বুধবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টেকঅফের সময় সৌর্য এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

পোখারাগামী এই ফ্লাইটটি টেকঅফের সময় রানওয়ের বাইরে ছিটকে পড়ার পর দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (টিআইএ) মুখপাত্র সুবাস ঝা জানিয়েছেন। বিমানটিতে ক্রু সদস্যসহ ১৯ জন আরোহী ছিলেন।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাপ্টেন এমআর শাক্যকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমানটি রানওয়ের দক্ষিণ প্রান্ত (কোটেশ্বর পাশ) থেকে উড্ডয়নের সময় হঠাৎ উল্টে মাটিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। তারপরে বিমানটি বুদ্ধ এয়ার হ্যাঙ্গার এবং রাডার স্টেশনের মধ্যে রানওয়ের পূর্ব দিকে একটি নিচু অংশে পড়ে যায়।


করোনায় আক্রান্ত বাইডেন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল বুধবার নাভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

একটি বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাইডেন করোনার মৃদু উপসর্গে ভুগছেন।

করোনা শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ব্যবহৃত উড়োজাহাজ এয়ারফোর্স ওয়ানে করে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেন বাইডেন। সেখানে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে তার দায়িত্ব পালন করবেন।

উড়োজাহাজে ওঠার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ভালো বোধ করছি।’

এর আগে ২০২২ সালেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

বিষয়:

কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ৪ ভারতীয় সেনা নিহত

পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের জম্মু-কাশ্মিরে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাও রয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলায় এই ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই বন্দুকযুদ্ধে আরও চার সেনা ও একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। আর সেসময়ই তাদের উপর হামলা ঘটে।

ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র গতকাল বলেছেন, সোমবার রাতে ৯টার দিকে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছিল। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে, গত ৮ জুলাই জম্মু-কাশ্মিরের কাঠুয়া জেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আরও পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়। কাঠুয়া জেলার বাদনোতা গ্রামের জেন্দা নাল্লাহ নামক একটি স্থানে ওই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা ভারতীয় সেনাদের বহনকারী একটি গাড়িবহরকে অ্যামবুশে ফেলে আক্রমণ চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

তার আগে গত ৬ ও ৭ জুলাই দক্ষিণ কাশ্মীরে দুটি পৃথক এনকাউন্টারে ছয় সন্ত্রাসী এবং দুই সেনাসদস্য নিহত হন। এর আগে ২৯ জুন সকালে রাজৌরিতে হামলায় এক সেনাসদস্য আহত হন।

তারও আগে ১১ ও ১২ জুন জোড়া সংঘর্ষে দুই সন্ত্রাসী ও এক সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার পাশাপাশি ছয় নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। ২৭ জুন ডোডায় তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। তার আগে ৯ জুন সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় ৯ জন তীর্থযাত্রী নিহত হন।


আমি মারা যেতে পারতাম: ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্দুক হামলা থেকে বাঁচার পর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি মারা যেতে পারতাম।’ তিনি তাকে হত্যা করার চেষ্টাকে ‘একটি পরাবাস্তব অভিজ্ঞতা’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

উইসকনসিনের শহর মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিমানে তিনি বলেন, ‘আমার এখানে থাকার কথা নয়, আমার মরে যাওয়ার কথা ছিল।’

ডান কানে ব্যান্ডেজ বাঁধা ৭৮ বছরের ট্রাম্প হামলার শিকার হওয়ার মুহূর্তটিকে স্মরণ করে বলেন, ‘এটি একটি পরাবাস্তব অভিজ্ঞতা।’ তিনি জানান, চিকিৎসকরা তাকে বলেছেন, তার ফিরে আসা ‘একটি অলৌকিক ঘটনা’।

পত্রিকাটিকে ট্রাম্প বলেন, ‘যখন গুলির ঘটনা ঘটে তখন আমি বক্তব্যের অন্য একটি পার্টের লিখিত অংশ দেখার জন্য পোডিয়ামের দিকে ঝুঁকেছিলাম। মূলত এ কারণেই আমি বেঁচে গেছি বলে আমার ধারণা।’

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তাকে রক্ষা ও বন্দুকধারী থমাস ক্রুকসকে হত্যার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা দুর্দান্ত কাজ করেছেন।’

ট্রাম্প তার ভাইরাল হওয়া একটি ছবি নিয়েও কথা বলেন। তার সেই ছবিতে দেখা যায়, রক্তাক্ত মুখমণ্ডল নিয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মুষ্টি উঁচিয়ে ধরেছেন এবং বলছেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট।’

সেই ছবি প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক লোকেই বলছেন, এই ছবিটি তাদের জীবনে দেখা সেরা আইকনিক ছবি। তারা ঠিক বলেছেন। তবে এই ধরনের ছবি পাওয়ার জন্য প্রাণও দেওয়া লাগতে পারে, কিন্তু আমি মরিনি।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘অনেক লোক বলছেন, ভাগ্য বা ঈশ্বরের সহায়তায় আজ আমি এখানে উপস্থিত হতে পেরেছি।’

ট্রাম্প জানান, রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনের জন্যে বাইডেনের ভয়ংকর প্রশাসনের বিরুদ্ধে তিনি খুব কড়া ভাষায় তার বক্তব্য তৈরি করেছিলেন। কিন্তু হামলার ঘটনার পর তা আবার লিখেছেন। আগেরটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। কারণ তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান।

এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এ ঘটনা তার নীতি বা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করবে কি-না? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আমাদের দেশকে একত্রিত করার চেষ্টা করতে চাই। কিন্তু আমি জানি না, এটি সম্ভব কি না। মানুষ খুবই বিভক্ত।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এই মুহূর্তে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং আমেরিকান হিসেবে আমাদের প্রকৃত চরিত্র প্রদর্শন করা, দৃঢ় ও সংকল্পবদ্ধ থাকা এবং খারাপকে জয়ী হতে না দেওয়া অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রোববার নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত দ্বিতীয় বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। ট্রাম্প বলেন, চলতি সপ্তাহে উইসকনসিনে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে (আরএনসি) বক্তব্য রাখার অপেক্ষায় আছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘সবার শুভ কামনা ও প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। কারণ একমাত্র ঈশ্বরই এই অকল্পনীয় ঘটনাটি ঘটতে বাধা দিয়েছেন। আমরা ভয় পাব না, বরং আমাদের বিশ্বাসে দৃঢ় থাকব। আমাদের ভালোবাসা অন্য ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের প্রতি। আমরা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সত্যিই আমাদের দেশকে ভালোবাসি এবং তোমাদের সবাইকে ভালোবাসি। আমি উইসকনসিন থেকে আমাদের মহান জাতির সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষায় আছি।

রিপাবলিকানদের কনভেনশন ১৫-১৮ জুলাই উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের এ জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে উইসকনসিনের শহর মিলওয়াকিতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার এক দিন পরই ট্রাম্প মিলওয়াকিতে গেলেন।

মিলওয়াকিতে ১৫ থেকে ১৮ জুলাই রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন হবে। এ সম্মেলনেই ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

চার দিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে রিপাবলিকান পার্টি ভোটারদের কাছে নিজেদের অবস্থানও তুলে ধরবে এ সম্মেলনে।

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে পেনসিলভ্যানিয়ায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে অতর্কিত হামলার শিকার হন। হামলাকারীর গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে যায়।

ট্রাম্পের মঞ্চ থেকে প্রায় ১৩০ গজ দূরের একটি ছাদ থেকে হামলাকারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।


শপথ নিলেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী

কে পি শর্মা অলি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের প্রধান নির্বাহী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন কে পি শর্মা অলি। আজ সোমবার কাঠমান্ডুর মহারাজগঞ্জের শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে অলিকে পদ ও গোপনীয়তার শপথ পড়ান প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউদেল।

এর আগে গত শুক্রবারের ফ্লোর টেস্টের সময় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রতিনিধি পরিষদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পাউদেল ওদিন সন্ধ্যায় সংবিধানের ৭৬ (২) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের আহ্বানের পরপরই, ৭২ বছর বয়সী অলি তার নতুন জোটের অংশীদার নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবি জানাতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে যান।

অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া অলি তার সমর্থনে ১৬৬ জন আইনপ্রণেতার স্বাক্ষর জমা দিয়েছিলেন (কংগ্রেসের ৮৮ এবং ইউএমএলের ৭৮)। ২৭৫-শক্তিশালী প্রতিনিধি পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ন্যূনতম ১৩৮টি আসনের।


পিটিআইকে নিষিদ্ধ করবে পাকিস্তান

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৫ জুলাই, ২০২৪ ১৮:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। তাদের দাবি, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। খবর আল-জাজিরার। আজ সোমবার পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে পিটিআইর অস্তিত্ব রাখা যাবে না। বিদেশি তহবিল মামলা, ৯ মে দাঙ্গা এবং সাইফার মামলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে পাস করা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্বাস করি, পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার মতো যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পিটিআইর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ করার অধিকার দেয়। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।

ইমরান খানকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আপনি আপনার রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করতে গিয়েছিলেন।

এ ঘটনাকে পিটিআইর বিরুদ্ধে নতুন দমন-পীড়নের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন। তারা লিখেছে, এ পদক্ষেপ কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলকে জাতীয় পরিষদে একক বৃহত্তম দল হতে বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

পাকিস্তানের সংবিধানের ১৭ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে না থাকা পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিকের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার বা সদস্য হওয়ার অধিকার থাকবে। তবে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতার স্বার্থে আইনের মাধ্যমে সেই দলের ওপর যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ আরোপ করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর পদ্ধতিতে গঠিত হয়েছে বা এ ধরনের কাজ করছে, কেন্দ্রীয় সরকার এমন ঘোষণা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

বিষয়:

হামলার শিকার যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্টপ্রার্থী

জন এফ কেনেডি, বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগেও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্টের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হামলা থেকে বাদ যাননি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীও। এমনকি আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন জন এফ কেনেডিসহ চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রক্তাক্ত হতে দেখল বিশ্ববাসী। স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই সময় সেখানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি।

ট্রাম্প বক্তব্য শুরুর পরপরই মঞ্চ বরাবর গুলি করেন আততায়ী। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে যায়। দর্শক সারিতে থাকা একজন নিহত এবং আরও দুজন গুরুতর আহত হন। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন সন্দেহভাজন হামলাকারীও। একনজরে যেসব প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হামলার শিকার হন–

অ্যান্ড্রু জ্যাকসন: আমেরিকার গৃহযুদ্ধের আগে প্রেসিডেন্ট ছিলেন অ্যান্ড্রু জ্যাকসন। ক্যাপিটলে একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তাকে লক্ষ্য করে পরপর দুবার গুলি করেন হামলাকারী। কিন্তু একটি গুলিও জ্যাকসনের শরীরে লাগেনি। বেঁচে যান তিনি।

থিওডোর রুজভেল্ট: সময়টা ১৯১২ সাল। ট্রাম্পের মতো আবারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন থিওডোর রুজভেল্ট। প্রচার সভায় বক্তব্য দিতে উইসকনসিনের মিলওয়াউকিতে যাচ্ছিলেন তিনি। একজন সেলুন তত্ত্বাবধানকারী তাঁকে গুলি করেন। তবে হামলাটি ব্যর্থ হয়।

ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তখনো দায়িত্ব নেননি ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। ১৯৩৩ সালে মিয়ামিতে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করেন আততায়ী। রুজভেল্টকে হত্যা করতে ব্যর্থ হন হামলাকারী। তবে গুলিতে নিহত হন পাশে থাকা শিকাগোর মেয়র।

হ্যারি ট্রুম্যান: ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট মারা যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হ্যারি ট্রুম্যান। ১৯৫০ সালে পুয়ের্তো রিকোর একজন জাতীয়তাবাদী হোয়াইট হাউসের বাইরে তার ওপর হামলা চালান। তবে বেঁচে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

জর্জ ওয়ালেস: তখন জর্জ আলাবামা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর। ১৯৭২ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওয়াশিংটনের বাইরে তাঁর ওপর গুলি করা হয়। এতে প্রাণে বাঁচলেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন এই রাজনীতিক।

জেরাল্ড ফোর্ড: সময়টা ১৯৭৫ সাল। পরপর দুবার হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট ফোর্ড।

রোনাল্ড রিগ্যান: ওয়াশিংটনের হিলটন হোটেলের বাইরে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। হঠাৎ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। আহত হন প্রেসিডেন্ট। রিগ্যানের চেয়েও গুরুতর আহত হয়েছিলেন তার প্রেস সেক্রেটারি জেমস ব্র্যাডি।

বারাক ওবামা: হোয়াইট হাউসে ২০১১ সালে গুলি করে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ওবামাকে হত্যাচেষ্টায় আইডাহোর এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মোট চারজন প্রেসিডেন্ট আততায়ীর হামলায় নিহত হয়েছেন। তারা হলেন আব্রাহাম লিংকন, জেমস এ গারফিল্ড, উইলিয়াম ম্যাককিনলে এবং জন এফ কেনেডি। ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরে রাজনৈতিক সফরে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কেনেডি।


নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কেপি শর্মা অলি নিয়োগ পেয়েছেন। আজ রোববার তাকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওডেল। এর মধ্য দিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নতুন একটি জোট সরকার পেতে যাচ্ছে নেপাল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

দেশের প্রধান নির্বাহী হিসেবে এটি অলির চতুর্থ মেয়াদ। তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন ২০১৫ সালের অক্টোবরে। সেবার তিনি ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মে এবং ২০২১ সালের মে থেকে সে বছরের জুলাই পর্যন্ত নেপাল সরকারের প্রধান ছিলেন।

নেপালি কংগ্রেসের ৮৮ জন, ইউএমএল-এর ৭৮ জনসহ ১৬৬ জন আইন প্রণেতার সমর্থনের পর প্রেসিডেন্ট পাউডেল অলিকে সংবিধানের ৭৬(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে নিয়োগ দিয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল ১১টায় নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা শপথ নেবেন।

এর আগে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট পাউডেল একজন সংসদ সদস্যকে আজ রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে জোট সরকারের নেতৃত্ব দাবি করার আহ্বান জানান। ২৭৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় আসনের সংখ্যা ১৩৮। সেদিন সন্ধ্যায় পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রীর বালুওয়াটার বাসভবন ত্যাগ করার পর প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ৭৬(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে নতুন সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানান।

নিম্নকক্ষের আস্থা চেয়ে শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রচণ্ড প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। তবে এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

অনুচ্ছেদ ৭৬(২) অনুসারে, প্রেসিডেন্ট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সেই সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করবেন, যিনি দুই বা ততোধিক দলের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন। অলিকে এখন সাংবিধানিক আদেশ অনুযায়ী নিয়োগের ৩০ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জিততে হবে।


আমেরিকায় এমন সহিংসতার স্থান নেই: বাইডেন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।তিনি বলেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানান তিনি। খবর বিবিসি।

বিবিসি বলছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। এরপরই নিজের প্রতিক্রিয়া জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই, এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ হামলা।

তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।

এটি হত্যার প্রচেষ্টা ছিল বলে তিনি বিশ্বাস করেন কিনা তা বাইডেনের কাছে একজন প্রতিবেদক জানাতে চান। জবাবে বাইডেন বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে।

এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে’।

তিনি বলেন, তিনি আজ (গতকাল) রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে আশা করছেন। তিনি আরও বলেন, সমাবেশে হামলার সময় যা ঘটেছিল সে সম্পর্কে তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তিনি এখন তার ডাক্তারদের সাথে আছেন।’

মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এটি (এই ধরনের হামলা) ঘটতে দিতে পারি না। আমরা এমনটা হতে পারি না। আমরা এটি ক্ষমাও করতে পারি না।’

উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী নিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা। মূলত আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ট্রাম্প। নির্বাচনের প্রচারে শনিবার বাটলার শহরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দিতে ওঠার পরই একপর্যায়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।


banner close