মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে নেতানিয়াহুর ‘সবুজ সংকেত’

পূর্ব জেরুজালেমে মোতায়েন ইসরায়েলি পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:০১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:০০

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে ইসরায়েলিদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া সহজলভ্য করার একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

আল-জাজিরা গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, নেতানিয়াহুর ওই পদক্ষেপকে একটি ‘সম্মিলিত শাস্তি’ হিসেবে দেখছে ইসরায়েলিরা। এর মধ্য দিয়ে কার্যত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে ইসরায়েলিদের ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন নেতানিয়াহু। এতে সহিংসতাকে আরও উসকে দেয়া হলো।

ফিলিস্তিনের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ সামরিক অভিযানের কয়েক দিনের মধ্যেই গত শুক্রবার জেরুজালেমে ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয়ে (সিনাগগ) বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এর পর পরই নেতানিয়াহু তার নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন। পূর্ব জেরুজালেম এলাকায় ফিলিস্তিনিদের তরফ থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হামলা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় সময় গত শনিবার গভীর রাতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু। বৈঠকে ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য বন্দুক রাখার অনুমতি এবং অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

যারা সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীদের বাড়িঘরও ধ্বংস করে দেয়া হবে। তবে তার আগে দ্রুত তাদের বাড়িঘর অবরুদ্ধ করা হবে। হামলাকারীদের পরিবারের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাও বাতিল করা হবে। এ ছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিগুলোকে ‘পাকাপোক্ত’ করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে দুই রাষ্ট্রের প্রস্তাব কি অকার্যকর

সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে হামলা ও সহিংসতা তীব্র আকার নেয়ায় মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে যে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক প্রস্তাব এসেছিল, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটি কি আদৌ টিকে আছে, নাকি ইতিমধ্যে বাতিল বা অকার্যকর হয়ে গেছে?

বিবিসি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংকট নিরসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্তই ছিল দুই পক্ষের জন্য আলাদা দুটি দেশ গঠন। ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তি আলোচনার মাধ্যমে এই দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের তত্ত্ব বা প্রস্তাবটি এসেছিল। সে সময় দুপক্ষই তাতে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। একসময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক ছিল এমন কয়েকটি মুসলিম দেশ এখন ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। আবার অসলো শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র সব সময় দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বললেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার পর ওই তত্ত্বের অপমৃত্যুই হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র যেদিন জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করছিল, সেদিন গাজা পরিণত হয়েছিল এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। সেদিন গাজায় সহিংসতায় নিহত হন ৫৮ জন, আর আহত হন আরও প্রায় তিন হাজার। ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর এক দিনে এত বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানির ঘটনা আর ঘটেনি।

ইসরায়েলের দাবি, জেরুজালেমের ওপর তাদের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে তারা পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। তারা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে মনে করে। কিন্তু অনেক দেশই একে স্বীকৃতি দেয়নি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস স্থানান্তরের পর কার্যত ফিলিস্তিনিদের দাবিটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মূলে বড় আঘাতটিই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলভিত্তিক বিশ্লেষক মুরাত আসলান বিবিসিকে বলেছেন, ট্রাম্প ও তার জামাতা জ্যারেড কুশনার একটি ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে এখন যে সহিংসতা চলছে, সেটির নিয়ন্ত্রণ এবং দীর্ঘদিনের চলে আসা সংকট নিরসনের জন্য বিশ্বাসযোগ্য কারও মধ্যস্থতায় নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিরাষ্ট্রনির্ভর সমাধানের দরকার নেই বলে মন্তব্য করলেও বর্তমান মার্কিন প্রশাসন বলছে, তারা দ্বিরাষ্ট্রনির্ভর সমাধানের নীতি সমর্থন করে। এর আগে হিলারি ক্লিনটন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে বলেছিলেন, ইসরায়েলের স্বার্থেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন রয়েছে।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে উত্তাল ইসরায়েল

ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের পরিকল্পনা নেয়ায় টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো নেতানিয়াহুর ডানপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার ইসরায়েলি। গত শনিবার তেল আবিবের কাপলান স্ট্রিটে ইসরায়েলি পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এবং ‘গণতন্ত্র’ বলে স্লোগান দেয়।

ইসরায়েলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী অধিকাংশ আইন পাসের সক্ষমতা সংসদেরই থাকবে। মূলত ওই পরিকল্পনার কারণেই বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। কারণ নতুন ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। সমালোচকদের অভিযোগ, সরকারের এই পরিকল্পনায় দেশটির বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা খর্ব হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়বে। এর ফলে সর্বময় ক্ষমতা পাবে নতুন সরকার।

বিষয়:

বিজেপির উত্থানে নেপথ্যের কারিগর অমিত শাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো জিতে রেকর্ড করতে পারবেন কি না সেটা তিনি জানতে পারবেন সামনের জুন মাসে। এক দশকের ক্ষমতায় তিনি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বারবার। তবে কম আলোড়িত একজন রাজনীতিবিদকে সব সময় তার পাশে দেখা গেছে, যিনি কৌশলপ্রণেতা হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অসাধারণ উত্থানে সাহায্য করে গেছেন, তিনি অমিত শাহ।

অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী পুরোনো বন্ধু, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন এবং তার নির্বাচনী সিদ্ধান্তের নেপথ্যের মস্তিষ্ক। কট্টরপন্থি হিন্দু জাতীয়তাবাদী অমিত শাহ দলের কর্মীদের মধ্যে ‘অমিত ভাই’ নামেই বেশি পরিচিত। তার হাত ধরেই ভোটের মাঠে টানা সাফল্য আসছে বিজেপির তথা মোদির।

সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের ভাষায়, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো তারকাখ্যাতি অমিত শাহর নেই। তিনি নিজের গণ্ডিতে চলতেই পছন্দ করেন। তবে তিনি একজন দক্ষ সংগঠক, প্রচার কৌশলবিদ, একজন ঝানু রাজনীতিবিদ এবং মোদির মতোই বিভাজনের রাজনীতির জন্য পরিচিত।

সমালোচকরা বলছেন, কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল করাসহ ভারতের কিছু বিতর্কিত আইনের নেপথ্যের ব্যক্তি এই অমিত শাহ। কাশ্মীরের বিষয়টি কয়েক দশক ধরেই বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। নতুন নাগরিকত্ব আইন করার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, যে আইনকে মুসলমানদের জন্য বৈষম্যমূলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অমিত শাহর বন্ধু ও সহকর্মী, যারা তাকে স্কুলে পড়ার সময় থেকে, কিংবা পেশাজীবনের প্রথম থেকে চেনেন; এমনকি জেল খাটার সময়ও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এই বিজেপি নেতার প্রথম দিককার জীবন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন বিবিসির গীতা পাণ্ডে। অমিত শাহর অসাধারণ সাফল্যের পেছনে কী কী কাজ করেছে, তা বর্ণনা করেছেন তারা। দলীয় কর্মীদের প্রতি তার গভীর স্নেহ আর কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতার কথা তারা বলেছেন।

প্রধান কৌশলবিদ: অমিত শাহ জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে প্রথম আলোচনায় উঠে আসেন এক দশক আগে, যখন তিনি ভারতের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশে বিজেপির জন্য একটি অসাধারণ জয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন। বছরের পর বছর ধরে উত্তর প্রদেশকে অজেয় হিসেবে দেখেছে বিজেপি। তবে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলটি এই রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭১টিতে অভূতপূর্ব জয় তুলে নেয়। অমিত শাহর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা বিজেপির সাবেক রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী যতিন ওঝা বলছেন, অমিত শাহর জন্য ঈশ্বরের একটি উপহার আছে, তা হলো চাণক্যের চেয়েও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ক।

২০১৪ সালের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে ২০১৭ ও ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েন অমিত। ২০১৯ সালেও বড় জয় পায় তার দল। যতিন ওঝা বলেন, প্রথম থেকেই তার মনে হতো, অমিত শাহ এক দিন ‘ক্ষমতার চূড়ায়’ পৌঁছে যাবেন।

যেখানে সবকিছুর শুরু: ১৯৬৪ সালের ২২ অক্টোবর গুজরাটের ছোট্ট শহর মানসায় জন্মগ্রহণ করেন অমিত শাহ। তার বাবা অনিল চন্দ্রের ছিল পিভিসি পাইপ তৈরির একটি ছোট ব্যবসা। মা কুসুমবেন ছিলেন গৃহিণী। ১৬ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে গুজরাটের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অমিত শাহ যেখানে থাকতেন, বন্ধুদের সঙ্গে যে বাগানে ক্রিকেট ও মার্বেল খেলতেন, সেই পারিবারিক পরিসর বিবিসির গীতা পাণ্ডেকে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন অমিত শাহর বাল্যবন্ধু সুধীর দর্জি। অমিত শাহদের বারোয়ারি ভিটাও আছে এর মধ্যে। পাশের যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অমিত শাহ এবং সুধীর দর্জি পড়তেন, তাদের সেই খেলার মাঠ, শ্রেণিকক্ষ, খেলনার আলমারি আর স্কুলের ঘণ্টা যেন অর্ধশতাব্দীতেও বদলায়নি।

এক গাড়ির দুই চাকা : ১৯৮২ সালে উগ্র ডানপন্থি সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস) যোগ দেন অমিত শাহ। ওই সময়ই আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। মোদি তখন আরএসএসের একজন প্রচারক। তিনি তার অনুজ সহকর্মীকে (অমিত শাহ) বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। অল্পদিনেই দুজনের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়। মোদির পদোন্নতি হতে থাকে দ্রুত, অমিত শাহরও তাই। সমর্থকরা তাদের নাম দেন ‘এক গাড়ির দুই চাকা। হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের দুই ভাই রাম ও লক্ষ্মণের সঙ্গেও তাদের তুলনা চলতে থাকে।

গুজরাটেই উত্থান: অমিত শাহ রাজনৈতিক কারিকুরি শিখেছেন তার নিজ রাজ্যে; বছরের পর বছর ধরে তিনি নিজেকে নরেন্দ্র মোদির ডান হাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তাকে চেনেন এমন একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরডি দেশাই। তিনি বলেন, অমিত শাহ প্রতিভা খুঁজে বের করতে পারদর্শী। যাদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখেন, সেই তরুণদের তিনি সমর্থন দিয়ে যান। কিন্তু রাজনীতিতে আসার পর দেড় দশকের বেশি সময় তিনি নিজে কোনো নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি, বলেছেন ‘আগে আমাকে সংগঠন গড়তে হবে।’

অমিত শাহ প্রথমবার গুজরাট বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৯৭ সালে। নরেন্দ্র মোদি তাকে বিধানসভার সারখেজ আসনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৭ সালেও একই আসন থেকে জয়ী হন শাহ। ২০০৮ সালে আসনটি বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি নারায়ণপুরায় চলে যান। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে (লোকসভা) অমিত শাহ প্রার্থী হননি। তবে ২০১৯ সালে গান্ধীনগর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং এবারও তিনি একই আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী।

২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং তার পরের ঘটনাপ্রবাহ মোদি-অমিত সম্পর্কের নতুন পটভূমি তৈরি করে, পরে যা আরও বিকশিত হয়েছে। মোদি তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। দাঙ্গার কয়েক মাস পরে বিজেপি যখন ধর্মীয়ভাবে দারুণ বিভক্ত গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করল, অমিত শাহকে তখন এক ডজন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলো। রাজ্য পুলিশ এবং প্রসিকিউশন তখন অমিত শাহর অধীনে। দাঙ্গা নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছিল তার অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিছু মামলার তদন্তে গাফিলতির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিলেন তদন্তকারীরা।


হজ ভিসায় নতুন নিয়ম আনল সৌদি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হজ ভিসায় নতুন নিয়ম আরোপ করেছে সৌদি আরব। এ সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদন খবরটি দিয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, শুধু হজ ভিসা দিয়েই ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীরা জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে জোর দিয়ে বলেছে, সৌদি আরবে কোনো কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়। এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারী ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও পেতে পারেন। তাকে দেশ থেকেও বের করে দেওয়া হতে পারে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের দেশগুলো ছাড়া যেসব আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী হজ পালন করতে চান তাদের অবশ্যই হজ ভিসা নিতে হবে। হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে নতুন বিধিতে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজ ভিসার আবেদনের জন্য ভিসা প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করে উপযুক্ত পরিষেবা নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। সব নিয়মনীতির প্রতি সম্মতি জানিয়ে আগে থেকেই ভিসার জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কারণ, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাধারণত তিন কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগে।

বিষয়:

৫ বছর পর ইউরোপ সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট

সি চিনপিং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। এর আগে ২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফরে গিয়েছিলেন তিনি। এবার শি তার সফর শুরু করছেন ফ্রান্স থেকে। এরপর তিনি সার্বিয়া ও হাঙ্গেরি যাবেন।

সফরের শুরুতে সোমবার প্যারিসে সি চিনপিংয়ের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। নৈশভোজে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনও থাকবেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রসঙ্গ গুরুত্ব পাবে।

ইউক্রেনে হামলার পর ২০২২ সালে ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে; কিন্তু চীন রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ফ্রান্সে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত অবশ্য দাবি করেছেন, রাশিয়ার প্রতি চীন নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে চলছে।

ফ্রান্সের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া যাতে এই বিরোধ মেটানোর রাস্তায় আসে তার জন্য চীনকে চাপ দেবে ফ্রান্স। তবে এই চাপে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, গত বছর ফ্রান্সের অনুরোধে শি জিনপিং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন। কিন্তু তারপরও কিছুই বদলায়নি।

এই সফর প্রসঙ্গে প্যারিসের ক্যাথলিক ইনস্টিটিউটের গবেষক এমানুয়েল লিনকট বলেছেন, মাখোঁর সঙ্গে সি চিনপিংয়ের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই মাসের শেষের দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট চীন সফরে যাচ্ছেন। ফলে বেইজিং তার অবস্থান থেকে সরবে বলে মনে হয় না। তার মতে, আন্তর্জাতিক বিষয়ে শি জিনপিংয়ের অবস্থান বিন্দুমাত্র বদলের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

ফ্রান্সের পর সার্বিয়া সফরে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ২৫ বছর আগে বেলগ্রেডে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আঘাত হেনেছিল মার্কিন বোমা। সেই সময় যুগোস্লাভিয়ায় বিরুদ্ধে ন্যাটোর সংঘাতের অংশ ছিল ওই আক্রমণ। পরে যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চায়। নিহত চীনা নাগরিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দেয়। কিন্তু চীনের অনেকে এখনও মনে করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই তাদের দূতাবাসে বোমা ফেলা হয়েছিল।


ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা: ৭০ হাজার লোক নিরাপদ স্থানে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চল রিও গ্রান্ডে দো সুলে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস ও তীব্র ঝড়ের কারণে প্রায় ৭০ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার এসব কথা জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা।

সংস্থাটি আরও জানায়, প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট এই বন্যায় ৫৭ জন নিহত, ৭৪ জন আহত এবং ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যায় আরও দুজন অন্তর্ভূক্ত হয়নি যারা পোর্তো আলেগ্রে বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্যাস স্টেশন বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

বন্যার কারণে পোর্তো আলেগ্রে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল ফ্লাইট শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রাভাটাইয়ের মেয়র সেবাস্তিয়াও মালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) কঠোর সতর্কতা জারি করে বলেছেন, ‘লোকজনকে অবশ্যই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।’

রিও গ্রান্ডে দো সুলের গভর্নর এই বন্যাকে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করে একে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বলেও উল্লেখ করেছেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিও গ্রান্ডে দো সুলের অন্তত তিন শ পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি আবহাওয়ার এ পরিস্থিতির জন্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ি করেছেন।

শহরটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গুইবা নদীর পানি ঐতিহাসিক রেকর্ড ৫.০৪ মিটার উচ্চতায় বয়ে যাচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ৬৯ হাজার দুই শ লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ লাখেরও বেশি লোক খাবার পানি থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

বিষয়:

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। তার ভাষ্যে, এটি সম্পূর্ণভাবে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েলী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছেন।

গতকাল শনিবার কায়রোতে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময়ে তারা হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া শোনেন। প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়।

হামাসের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাদের গ্রুপ কোন অবস্থাতেই এই প্রস্তাবে রাজি হবে না। কারণ প্রস্তাবে গাজা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভূক্ত নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গাজা যুদ্ধের অবসান না ঘটিয়ে চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল কেবল জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে ব্যক্তিগতভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা চলে। কিন্তু সেটি এক পর্যায়ে থমকে যায়। কারণ হামাসের দাবি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিন্তু নেতানিয়াহু বারবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছেন। রাফাহ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল।

আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হামাসের সিনিয়র সূত্র থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা আজ রোববার পুনরায় শুরু হবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এপর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

বিষয়:

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় ৩৯ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৩:৪৯
ইউএনবি

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দু সুলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৬৮ জন। হাজার হাজর মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে শুক্রবার দু সুলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রবল বর্ষণের কারণে তৈরি হওয়া এই বন্যা গত ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। রাজ্যের অন্তত ২৪ হাজারের বেশি মানুষকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে।

ব্রাজিলের ভূতাত্ত্বিক পরিষেবার তথ্যানুসারে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় ১৯৪১ সালে এ রাজ্যে হওয়া ভয়াবহ বন্যাকে ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে চলমান বন্যাটি। বন্যায় কিছু কিছু শহরের পানির উচ্চতা দেশটির প্রায় ১৫০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

পানির চাপে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেন্তো গনসালভেস ও কোতিপোরা শহরের মাঝে অবস্থিত একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের অংশবিশেষ ভেঙে যায়। এর ফলে স্থানীয় তাকারি নদী উপত্যকার লাজিয়াদো ও এস্ত্রেলা শহরদুটি সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

এ ছাড়া রাজ্যটির রাজধানী পোর্তো আলেগ্রে থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের ফেলিজ ও লিনিয়া নোভা শহরদুটির বিশালাকৃতির সংযোগ সেতুটি স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে। রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, টেলিফোন ও পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

এ নিয়ে গত এক বছরে চারটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। ২০২৩ সালের জুলাইতে আরও একটি বড় বন্যার শিকার হন ব্রাজিলের নাগরিকরা। এরপর সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে আরও দুটি বন্যায় হয় দেশটিতে। সরকারি তথ্যানুযায়ী, ওই তিনটি ঘটনায় মোট ৭৫ জন নিহত হয়। তবে এবারের বন্যা ওগুলোর চেয়েও ভয়াবহ।

বিষয়:

জর্ডানের বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী সপ্তাহে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউস এ কথা জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকটি হবে একান্ত ব্যক্তিগত। তবে এ বৈঠকের দিনক্ষণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি।

জর্ডানের বাদশাহ গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ হোয়াইট হাউস সফর করেন। এ সময় তিনি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং রাফায় হামলার কারণে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন।

এ ছাড়া এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে জর্ডান ইসরায়েলে ছোঁড়া ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। তাদরে লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যের সহিংসতা আর বাড়তে না দেওয়া।

এ দিকে, গাজায় প্রায় সাতমাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তি নিশ্চিত করতে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র হামাসের প্রতি তাদের ভাষায় ‘অসাধারণ উদার’ এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করছেন।

বিষয়:

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে নিহত ২০

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১১:০৩
বাসস

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে পার্বত্য এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ২০ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের চিলাস শহরের কাছে একটি বাঁকে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি গভীর পাথুরে খাদে পড়ে যায়।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

শহরের একজন পুলিশ কর্মকর্তা আজমত শাহ এএফপিকে বলেন, ‘স্থানীয় উলামা (মুসলিম নেতা) মসজিদের লাউড স্পিকার থেকে দুর্ঘটনার খবর ঘোষণা করেন এবং আহতদের জন্য রক্ত দিতে জনগণকে আহ্বান জানান।’

তিনি আরও জানান, উদ্ধার তৎপরতা সম্পন্ন হয়েছে। ২১ জন আহতের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বাসটি রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে গিলগিট যাচ্ছিল।


প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠালো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে পাকিস্তান। পুরো অভিযানে সহায়তা করছে চীন। পাকিস্তান এই অভিযানের নাম দিয়েছে আইকিউব-কিউ। আজ শুক্রবার চীনের হাইনান থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। খবর জিও টিভির।

উৎক্ষেপণ কার্যক্রম পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির ওয়েবসাইটের পাশাপাশি চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

প্রথম চন্দ্র কক্ষপথে যাত্রা করার জন্য দেশ ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

বিবৃতিতে শাহবাজ বলেন, আইকিউব-কিউ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাকিস্তানের প্রথম পদক্ষেপ। পাকিস্তানি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও দক্ষ কর্মীরা পারমাণবিক প্রযুক্তিতে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, সেভাবে এই ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করছেন।

তিনি ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির (আইএসটি) কোর কমিটি, ডক্টর খুররম খুরশীদ, সুপারকো দলের সকল সদস্য এবং এই প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানান।

আইএসটির কোর কমিটির সদস্য ডক্টর খুররম খুরশিদ জিও নিউজকে বলেছেন, পাকিস্তানের স্যাটেলাইট পাঁচ দিনের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে এবং তিন থেকে ছয় মাসের জন্য চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করবে। চীনের লং মার্চ-৫ রকেটের মাধ্যমে এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইটের সাহায্যে চাঁদের পৃষ্ঠের বিভিন্ন ছবি তোলা হবে, এরপর গবেষণার জন্য পাকিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট ছবি থাকবে।

আইএসটি চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি ও পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা সুপারকোর সহযোগিতায় স্যাটেলাইটটি ডিজাইন ও তৈরি করেছে।


‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই চাপে আছে’

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই চাপে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে আছে। কারণ, আরব বসন্তের ছোঁয়া আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের আজ সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে সারা দেশে যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করেছিল, সে কারণেই জনগণ তাদের পাশে নেই। বিএনপি নোতারা ঝিমিয়ে পড়েছে। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আইনের ফাঁদে আটকা। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ মামলায় তার সাজা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়াতে তিনি বাসায় আছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মামলা করেনি। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতেও ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর আমরা ব্যাপকভাবে উদযাপন করবো। আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করব।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও এসএম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তুরস্ক বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সাথে সমস্ত বাণিজ্য স্থগিত ঘোষণা করে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে হামলার সময় বিনাবাধায় গাজায় সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত বাণিজ্য স্থগিত থাকবে।

ইসরায়েল থেকে আমদানি এবং দেশটিতে রপ্তানি স্থগিত করা হয়েছে’ উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে: ‘ইসরায়েল সরকার গাজায় মানবিক সাহায্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের অনুমোদন না দেয়া পর্যন্ত তুরস্ক এই নতুন ব্যবস্থাগুলো প্রয়োগ করবে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এরআগে বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের রপ্তানি ও আমদানি বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ভঙ্গ করার অভিযোগ করেছিলেন।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যে মাত্র কয়েকটি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তুরস্ক তাদের একটি। এপ্রিল মাসে ইসরায়েলে রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার পর এই পদক্ষেপটি সম্পর্কের অবনতির সর্বশেষ ঘটনা।

জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা আসন্ন দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকা মানবিক সংকটে ভুগছে।

হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪,৫৯৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।


কারামুক্ত হচ্ছেন ইমরান খান!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। দেশটির হাইকোর্ট এ কথা জানিয়েছে। গত বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ জানায়। হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের কাছে ‘বড় স্বস্তি’ বলেই মনে করছেন তার অনুসারীরা।

গত অক্টোবরে ইমরান এবং তার দলের আরেক নেতা সাবেক মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে আদালতে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ফাঁসির সাজাও হতে পারে।

‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণেই চলতি বছর পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২২ সালের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন ইসলামাবাদে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার তিন সহযোগী সেই গোপন নথি ফাঁস করে দেন।

গোপন নথি ফাঁস-সংক্রান্ত একটি তারবার্তা (সাইফার) আদালতে ‘প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খান দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই বলে বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের আগে ইমরান খানের কারামুক্তি নিয়ে কথা বলেন পিটিআইএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খান। গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, চলতি মাসেই জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন ইমরান খান।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের আগেই তাকে মুক্ত করার চেষ্টা ছিল তাদের। তিনি বলেন, আদিয়ালা কারাগারে ১৪ ঘণ্টার শুনানি হয়েছে। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা মে মাসে জেল থেকে মুক্তি পাবেন এবং জনসমক্ষে আসবেন।

গত আগস্টে তোশাখানা মামলায় ইমরানের তিন বছরের সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তার জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি মেলেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

তবে এবার সেই মামলা থেকে ইমরান খান রেহাই পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এবং বিচারপতি মিয়ানগুল হাসান অওরঙ্গজেবের বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া তারবার্তা ইমরান নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন- এমন একটিও প্রমাণ তদন্তকারী সংস্থা পেশ করতে পারেনি।


পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ কংগ্রেস: মোদি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি পাকিস্তান এখন কংগ্রেস নেতাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসা করার পরদিনই এমন মন্তব্য করেছেন মোদি।

মোদি বলেছেন, ‘পাকিস্তান কাঁদছে কারণ এখানে কংগ্রেস মারা যাচ্ছে। পাকিস্তানি নেতারা কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন। পাকিস্তান ‘শেহজাদাকে’ (রাহুল গান্ধী) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে আগ্রহী। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ আমরা ইতোমধ্যেই জানি যে কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘মুরিদ’। পাকিস্তান ও কংগ্রেসের মধ্যে পার্টনারশিপ এটাই প্রমাণ করে যে দেশের শত্রুরা শক্তিশালী সরকার গঠন করতে পারবে না।’

গুজরাটের আনন্দে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় নরেন্দ্র মোদি বিরোধী নেতা সালমান খুরশিদের ভাগ্নি মারিয়া আলমের ‘ভোট জিহাদের’ আহ্বানের জন্য কংগ্রেস দলের সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই বিবৃতি একজন শিক্ষিত মুসলিম পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু কোনো কংগ্রেস নেতাই এর নিন্দা জানায়নি।

মোদি আরও অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস মুসলিমদের রিজার্ভেশন প্রদানের জন্য দেশের সংবিধান সংশোধন করতে চায়। তারা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) থেকে সুবিধা সরাতে চায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ধর্মভিত্তিক সুবিধা প্রদানের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করবে না- এমন বিবৃতি লিখিতভাবে কংগ্রেসকে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।


banner close