শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১৬

ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন।

বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পেতে পশ্চিমা মিত্রদের বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সোমবার সাংবাদিকদের বাইডেন জানান, তিনি যুদ্ধবিমান পাঠাবেন না। এর আগে জার্মান সরকারও ইউক্রেনে ‍যুদ্ধবিমান পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমি জেলেনস্কি এবং দেশটির অন্যান্য সামরিক কর্মকতাদের মতে, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের মতো সামরিক সহায়তা দিতে পশ্চিমাদের মনে ভয়-আতঙ্ক থাকা উচিত না। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আশঙ্কা, এমন সহায়তা পরমাণু শক্তিধর রাশিয়ার সঙ্গে তাদের উত্তেজনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন্স বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিমান হিসেবে মনে করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশ যেমন বেলজিয়াম এবং পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। অন্যদিকে ইউক্রেন এখনো সোভিয়েত আমলে নির্মিত যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। যাই হোক, বাইডেন একাধিক বারই যুদ্ধবিমান নিয়ে ইউক্রেনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরিবর্তে তিনি ইউক্রেনের অন্যান্য সামরিক সহায়তা দিতে নজর বাড়িয়েছেন। ইউক্রেনে অত্যাধুনিক ট্যাংক পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনীহা ছিল। তবে সে অবস্থান থেকে সরে এসে দেশটি গত সপ্তাহে ইউক্রেনে অত্যাধুনিক আব্রাম৩১ ট্যাংক পাঠানো ঘোষণা দেয়। যুক্তরাজ্য ও জার্মানিও তাদের অত্যাধুনিক ট্যাংক কিয়েভে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে তিন শতাধিক ভারী ট্যাংক দেবে পশ্চিমা দেশগুলো।


যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

নিহত উইন রোজারিও। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ছবি: সংগৃহীত


নিহত উইন রোজারিও। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে উইন রোজারিও (১৯) নামের এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে তিনি ১০ বছর আগে বাংলাদেশ ছেড়ে নিউইয়র্কে যান। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলের দিকে কুইন্সে ওজোন পার্কের ১০৩তম স্ট্রিটে তার পরিবারের দ্বিতীয় তলার অ্যাপার্টমেন্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।

জানা যায়, নিহত ওই তরুণ মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। গুলিতে নিহত হওয়ার আগে সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে ফোন করেছিলেন।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘উইন রোজারিও নামের ওই তরুণ কাঁচি নিয়ে পুলিশ অফিসারদের দিকে তেড়ে যান। এরপর একপর্যায়ে কর্মকর্তারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’ তবে নিহত তরুণের ভাই উশতো রোজারিও এই গুলি চালানোর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং তিনি ঘটনায় পুলিশি বিবরণের বিরোধিতা করেছেন।

ঘটনাটি নিয়ে পুলিশি বর্ণনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিয়েছেন নিহত বাংলাদেশি তরুণের ভাই। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তাদের মা ছেলেকে বাধা দিচ্ছিলেন। তখন পুলিশের গুলি করার মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল না।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছু পরই উইন রোজারিও নামের ওই তরুণকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বুধবার বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওজোন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে তাদের দ্বিতীয় তলার অ্যাপার্টমেন্টে ঘটনাটি ঘটে বলে জানায় পুলিশ।

নিহত উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল উইনের।

পুলিশ কর্মকর্তা জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ওই তরুণের ব্যাপারে ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে দুই পুলিশ সদস্য ওই বাসায় যান। সেখানে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। পুলিশের ধারণা, রোজারিও নিজেই ওই নম্বরে কল করেছিলেন।

নিহতের ভাই বলেন, ‘তাকে ছয়বার গুলি করা হয়েছে। মা এনকাউন্টারের পুরো সময়জুড়ে আমার ভাইকে তার কোলে ধরে রেখেছিলেন। আমার মা যখন তাকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন, তখন তারা তাকে টেজার দিয়ে গুলি করে। টেজার দিয়ে গুলি করার পরও আমার ভাই নিচে পড়ে যাননি। তাই একজন পুলিশ বন্দুক বের করে তাকে গুলি করে এবং সে সময়ও আমার মা তাকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। এভাবে গুলি করা ছিল অপ্রয়োজনীয়।’

উশতো রোজারিও জানান, ‘তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন এবং সম্প্রতি বিষণ্নতার মধ্যে ছিলেন।’

পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ওই পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ কর্মকর্তাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তবে সে ফুটেজ প্রকাশ করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা এক ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে ফোনকলের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পরে গুলি চালানোর এই ঘটনা ঘটে। সেখানে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক ছিল। পুলিশ মনে করছে, নিহত রোজারিও নিজেই ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন। অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পর অফিসাররা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি একটি ড্রয়ার থেকে কাঁচি বের করে অফিসারদের দিকে ধেয়ে আসেন। পরে উভয় অফিসারই রোজারিওর ওপর টেজারের মাধ্যমে গুলি করেন এবং তাকে পরাস্ত করা হয়।’

এদিকে, নিউইয়র্কে গত দুই মাসে পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তৃতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন রোজারিও।


পরিবেশ দূষণে দেশে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে ২০১৯ সালে বায়ুদূষণসহ চার ধরনের পরিবেশ দূষণে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এক প্রতিবেদনে এই তথ্যের কথা বলেছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংসাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে উদ্বেগজনক মাত্রায় দূষণ এবং পরিবেশ বেশ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু বায়ুদূষণের কারণে হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

এ ছাড়া দূষণের কারণে উল্লেখিত বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।

‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি অ্যানভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সিসা দূষণই অকাল মৃত্যুর প্রধানতম কারণের কথা বলা হয়। ফলে বছরে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন দিন (৫২২ কোটি দিন) অসুস্থতায় অতিবাহিত হয়। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ ক্ষতির পরিমাণ ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউর ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্য উৎসগুলো থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটছে বলেও জানানো হয়।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ প্রতিরোধ করা গেলে বছরে এক লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকানো যাবে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানির ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ুদূষণ কমাতে পারে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই প্রতিবেদনে পরিবেশগত অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশও করা হয়েছে।


বিশ্বে প্রতিদিন নষ্ট হয় ১০০ কোটি মানুষের খাবার: জাতিসংঘ

খাবারের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনি শিশুরা। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে । কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন ১০০ কোটি মানুষের এক বেলার সমান খাবার নষ্ট হচ্ছে। অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের একভাগ খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট-২০২৪’-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

ইউএনইপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। আর ভোক্তাদের প্রায় ১৯ শতাংশ খাবার দোকান, রেস্তোরাঁ ও গৃহস্থালি পর্যায়ে নষ্ট হয়। ফসল তোলার পর থেকে বিক্রি পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে ১৩ শতাংশ খাবারের অপচয় হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা।

খাবার অপচয়ের এই চিত্রকে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭৮ কোটির বেশি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন শত কোটি টন খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে, যার পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে বলে এ ধরনের অপচয় হচ্ছে। এ ছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে, তাও আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।

এ ধরনের ঘটনাকে ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’ হিসেবে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়।

উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। খাবার অপচয় নিয়ে এটি এ পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করেছে। ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এই চিত্র দেখে আমি হতভম্ব। বিশ্বে এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, শুধু তা দিয়েই অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রতিবছর খাওয়ানো সম্ভব।’

খাবার অপচয়ের আরেকটি কারণ হিসেবে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করে সোয়ানেল বলেন, উৎপাদিত খাবার নষ্ট হচ্ছে কারণ, মানুষ ভুলবশত ধারণা করে যে তাদের খাবারের মেয়াদ নেই। উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রচুর খাদ্য অযথাই অপচয় হয়নি বরং এগুলো পরিবহনের সময় কিংবা রেফ্রিজারেটরের অভাবে নষ্ট হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা-বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন এ প্রসঙ্গে জানান, খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধু এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা।

ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর বলেন, আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত অবস্থা আরও অনেক বেশি।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার মানুষ চরম খাদ্য সংকটে রয়েছেন। খাবারের অভাবে পশুখাদ্য খেয়ে বেঁচে আছেন অনেক ফিলিস্তিনি। শুধু তা-ই নয়, চরম খাদ্য সংকটে ফিলিস্তিনি শিশুরা মারা যাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।


জাতিসংঘে প্রস্তাব পাসে গাজা যুদ্ধ কি বন্ধ হবে?

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ছবি: এএফপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। গত ২৫ মার্চ গৃহীত প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা উচিত এবং ‘একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে রমজান মাসের প্রতি সব পক্ষেরই শ্রদ্ধা দেখানো উচিত’। নিরাপত্তা পরিষদের ২৭২৮ নম্বর প্রস্তাবটিতে সব জিম্মিকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়েছে।

এখন এই প্রস্তাবনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিতর্ক চলছে।

প্রস্তাবের পক্ষে কারা?

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ১৪টি রাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে কেউ ভোট দেয়নি। কেবল যুক্তরাষ্ট্র ভোটদান থেকে বিরত ছিল। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের তিনটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় তারা বলেছিল, ওই প্রস্তাবগুলো জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে না অথবা প্রস্তাবগুলোতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার যথাযথ নিন্দা জানানো হয়নি।

প্রস্তাব পাসে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কী?

গাজায় আগ্রাসনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছেন, দুঃখজনকভাবে আজও এই পরিষদ ৭ অক্টোবরের গণহত্যার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, এটি লজ্জার।

এদিকে ইসরায়েলের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওয়াশিংটনে পূর্বনির্ধারিত যে সফর করার কথা ছিল, প্রস্তাব পাসের পর সেটি বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার যে অবস্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের, তারা সেটি পরিত্যাগ করেছে। দুঃখজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্র নতুন প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি।
এই প্রস্তাব মানা কি বাধ্যতামূলক?

জাতিসংঘ সনদের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বর্তমান সনদ অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সম্মত। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাতিসংঘে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেয়ে থাকে, সেগুলো মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র গত ২৫ মার্চ পাস হওয়া ২৭২৮ নম্বর প্রস্তাবটিকে বাধ্যতামূলক নয় বলে বর্ণনা করেছে। তাদের যুক্তি, ওই প্রস্তাবে ‘যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ কথাগুলোর পরিবর্তে ‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করা হয়েছে’ অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব নয়। কিন্তু জাতিসংঘের অন্য কর্মকর্তারা বলছেন উল্টো কথা। জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক।

২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মার্ক লায়াল-গ্রান্ট বিবিসি রেডিওর এক অনুষ্ঠানে বলেন, এই প্রস্তাবনা পাসের অর্থ ইসরায়েল এখন পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে একটি বাধ্যবাধকতার অধীনে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রস্তাবনা আইনত ইসরায়েলের জন্য বাধ্যতামূলক কিন্তু হামাসের জন্য নয়। কারণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি কোনো রাষ্ট্র নয়।
জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনাগুলো আন্তর্জাতিক আইন। সুতরাং এগুলো আন্তর্জাতিক আইনের মতোই বাধ্যতামূলক।

জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায় ব্যবহার হবে?

সদস্য দেশগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রস্তাব মানতে বাধ্য করার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হাইতিতে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বহুজাতিক পুলিশ বাহিনী পাঠাতে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ড এবং ২০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের তদন্ত ও বিচারের সময় এটির ব্যবহার হয়েছিল।

২০০৬ সালে এই সপ্তম অধ্যায়ের অধীনেই ইরানকে অন্যান্য দেশে অস্ত্র সরবরাহ করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং এ বিষয়ে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। প্যাট্রিক জোহানসনের নর্ডিক জার্নাল অব ইন্টারন্যাশনাল ল’তে প্রকাশিত লেখা অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ‘একটি সপ্তম অধ্যায় প্রস্তাবনা’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যদি ‘বিবেচনাধীন পরিস্থিতি মানুষের শান্তির জন্য হুমকি, শান্তি লঙ্ঘন বা আগ্রাসনের মতো ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়’।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর এই অধ্যায়টি ব্যবহার করানোর জন্য চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা পরিষদে এসেছি। এখন তারা বলছেন, এটি বাধ্যতামূলক নয়। আমরা তা মানব না ... নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাধ্যতামূলক।’

রিয়াদ মনসুর বলেন, ইসরায়েল যদি এটি বাস্তবায়ন করতে না পারে, তাহলে নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব হচ্ছে অধ্যায় সাত ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের পরিষদের প্রস্তাব মেনে চলতে বাধ্য করা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ব্রাসেলস-ভিত্তিক থিংকট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মায়া উঙ্গার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি আইনি কাঠামোর ওপর নির্ভর করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে, যা হয়তো কেউ কেউ মেনে নিতে পারে। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, ‘সিদ্ধান্ত’ বা সপ্তম অধ্যায়ের ‘আহ্বান’ শব্দটি ব্যবহার না করলে প্রস্তাবনাটি বাধ্যতামূলক হবে না।


বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ডোনাল্ড লু

আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ২২:৫১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের অবদানের উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে ডোনাল্ড লু এ কথা বলেন।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি আমেরিকানের কথা উল্লেখ করে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেন, তাদের শক্তি এবং অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে সর্ম্পকের ভিত্তি তৈরি করেছে। বাংলাদেশি আমেরিকানরা দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তার জন্য আমরা গর্বিত।

ডোনাল্ড লু বাংলাদেশি আমেরিকান উদ্যোক্তাদের কথা উল্লেখ করেন, যারা তাদের অনন্য উদ্ভাবনী শক্তি ও ধারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন। ‘শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ, জয় বাংলা’ বলে বক্তব্য শেষ করেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বিরাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, সবার সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে, দুই দেশ তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও এগিয়ে নিতে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তরিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে আমরা সব বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করি।

পরে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যৌথভাবে অতিথিদের উপস্থিতিতে কেক কাটেন। এর আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

ইউ এস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন মিশন অফিসের ডিরেক্টর অ্যাম্বাসেডর রেবেকা গঞ্জালেস, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মার্কিন সরকার, ইউএসএআইডি, ইউএসটিআর, এনডিআই, আইআরআই ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত স্টেট সিনেটর বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।


গাজায় ইসরায়েল-হামাসের তুমুল লড়াই চলছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৩:০৫
বাসস

অবরুদ্ধ গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের চারিদিকে ইসরায়েল বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে কয়েকটি হাসপাতালের আশপাশে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। যদিও সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এছাড়া কাতারে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনাও থমকে আছে। এ জন্যে হামাস ও ইসরায়েল একে অন্যকে দোষারোপ করছে।

এদিকে ইসরায়েলকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেলআবিবের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। গাজায় অধিকহারে বেসামরিক হতাহত, মানবিক ত্রাণ সরবরাহের সংকট তীব্র হওয়া এবং গাজার দক্ষিণে রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই হতাশ। এর ফল হিসেবে দেশটি নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয়া থেকে বিরত থাকে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েল একে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট পিছু হটা বলে মন্তব্য করেছে।

ইসরায়েল বুধবার রাতভর গাজা শহর ও রাফায় বোমা হামলা চালিয়েছে। আগুনের গোলায় আলোকিত হয়ে ওঠে গাজার আকাশ। এদিকে ইসরায়েলী বাহিনী গাজার তিনটি হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে ফিলিস্তিনী গ্রুপ হামাসের সাথে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত এবং রোগী ও চিকিৎসকদের নিয়ে আশংকা বাড়ছে। হামাস হাসপাতালগুলো ব্যবহার করে তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এ অভিযোগে গাজার বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েল গত সপ্তাহে হামলা শুরু করে। এরপর আরো দু’টি হাসপাতালে ইসরায়েল অভিযান চালায়। যদিও হামাস তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধের প্রায় ছয় মাসে হতে চলল। অবরুদ্ধ গাজায় খাবার, পানি ও জ্বালানির তীব্র ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহের বাধা দিচ্ছে বলেও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা অভিযোগ করে আসছে। এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২৪ লাখ লোক মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবন্ধে জোর তৎপরতা কয়েকসপ্তাহ ধরেই অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে উভয়পক্ষ থেকে আলোচায় কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা বলা হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, চলমান আলোচনা একটি কৌশলগত পর্যায়ে রয়েছে। তবে হামাস নেতা গাজী হামাদ বলেছেন, একরোখা ইসরায়েল চাচ্ছে যুদ্ধ চলুক। তিনি আরও বলেছেন, যুদ্ধবিরতি কিংবা বন্দী বিনিময় আলোচনায় কোন অগ্রগতি নেই।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এরপরই ইসরায়েল পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং হামাসকে নিশ্চিহ্নের অঙ্গীকার করে।

ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু


রমজানে ১৫ দিনে ওমরাহ পালন করেছেন ৮০ লক্ষাধিক মুসল্লি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি বছরের পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিনে ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। গতকাল বুধবার সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮০ জন মুসল্লি চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালন করেছেন। মুসলিম বছরের সবচেয়ে পবিত্র মাস হিসেবে বিবেচিত রমজানে সারা বিশ্ব থেকে পুণ্যার্থীরা মক্কা ও মদিনায় এসে জমায়েত হয়েছেন।

রমজান মাসে মুসলিমরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে রোজা রাখেন। সব সুস্থ-সবল মুসলিমদের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। এ মাসে ইবাদত, প্রার্থনা ও দানের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়।

হজের মতো সুনির্দিষ্ট সময়ে নয়, বরং বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। তা সত্ত্বেও অনেক পুণ্যার্থী অধিক সওয়াবের আশায় এ মাসে ওমরাহ পালন করে থাকেন।

রমজান মাসে হাজারও মানুষ সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাবা শরিফে ছুটে আসেন। নামাজ পড়া ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যেই তারা মূলত এখানে আসেন। যার ফলে এ সময় পবিত্র এই ভূমিতে মানুষের ভিড় অনেক বেশি থাকে।

গত সপ্তাহে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় রমজান মাসে একবারের বেশি ওমরাহ পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পবিত্র মাসে ভিড় কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে ওমরাহ পালন করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই নীতিমালা বাস্তবায়নে ওমরাহর অনুমতি নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম নুসুকে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার অনুমতি নিতে গেলে ‘এরর মেসেজ’ পাবেন।


ইন্দোনেশিয়া ভূমিধসের ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৪:০৬
বাসস

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের একটি গ্রামে ভূমিধস ও বন্যার ঘটনায় উদ্ধারকর্মীরা চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। বুধবার এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।

রোববার সন্ধ্যার পর কয়েক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিবেন্ডা গ্রামে মধ্যরাতের ঠিক আগে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ সময় অনেক গ্রামবাসী ঘুমিয়ে ছিল।

এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাথমিকভাবে দশ জন নিখোঁজ হওয়ার কথা জানানো হয়। এতে কয়েক ডজন বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং শত শত লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান মেইদি এএফপি’কে বলেন, ‘আজ সকাল পর্যন্ত চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অনুসন্ধান অভিযান চালানো হচ্ছে।’

খবরে বলা হয়, বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় এবং বন উজাড়ের কারণে কিছু অঞ্চলে সমস্যাটি আরও বেড়েছে।
এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে দ্বীপপুঞ্জের কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে।


গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বোমাবর্ষণ, আরও সাহায্য বৃদ্ধির আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় দুর্ভিক্ষ ঢেকে ফেলায় সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েল দক্ষিণ গাজায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে।

অবরুদ্ধ গাজায় জরুরি সাহায্যের প্রয়োজন এবং খাদ্য প্যাকেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন লোক মারা যাওয়ায় বিমান থেকে সহায়তা দেয়া বন্ধ করার জন্য হামাসের অনুরোধ থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বিমান থেকে সাহায্য দেয়া অব্যাহত রাখবে।

ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর হামলার বাইরে থাকা গাজার শেষ আশ্রয় কেন্দ্র রাফাহ শহরের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েল ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে আগুনের গোলায় রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এই এলাকায় আটকে আছে। অনেকে দক্ষিণে মিশর সীমান্তের দিকে পালিয়ে গেছেন।

সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং উত্তরে গাজা শহরে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। যেখানে ইসরায়েলি সেনারা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শহরের বৃহত্তম হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আসছে।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার ভোরে বলেছে, রাফাহ ও তার আশপাশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত তিনজনসহ সারারাত হামলায় ৬৬ জন নিহত হয়েছেন।


বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনাক: ভয়াবহ বললেন বাইডেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাল্টিমোর সেতু ধসের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দেশটির মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ সরাসরি ধাক্কা দিলে সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে। স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত মধ্যরাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটার পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ভেঙে পড়া ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ নামের সেতুটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনর্নিমাণ করা হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন এতে সময় লাগবে।

বাইডেন আরও বলেছেন, এই ঘটনা মোকাবেলায় ফেডারেল থেকে যত সহায়তা প্রয়োজন তা তিনি সরবরাহ করবেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু করতে সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

এদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মী। সেতুটি ধসে পড়ার সময় তাঁরা সেতুতে মেরামতের কাজ করছিলো।

বাল্টিমোর বন্দর এখনো বন্ধ রয়েছে। সেখানে কখন আবার কার্যক্রম শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।


গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলা। ছবি: এএফপি
আপডেটেড ২৬ মার্চ, ২০২৪ ২২:২১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯৩ জন। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৪ জন মানুষ। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জন। হামলার পাশাপশি পশ্চিম তীরে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। যদি কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধে।


গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানবে না ইসরায়েল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমধ্যম এক্স পোস্টে এ কথা জানান ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইসরায়েল কাৎজ জানান, হামাস নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় হামলা চলবে।

গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে ওই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পাল্টে ভেটো না দিয়ে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাব করলে ১৪ কাউন্সিল সদস্য দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ওই প্রস্তাবে হামাসের হাতে বন্দি থাকা সবার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আলজেরিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আমর বেনজামা ভোটের পর কাউন্সিলে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই রক্তস্নাত অনেক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। অনেক দেরি হওয়ার আগেই এই রক্তপাত বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব।’

গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই যুদ্ধবিরতির জন্য বারবার চেষ্টা করে আসছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তা প্রতিবারই পাস করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার আমেরিকা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিলেও বিরোধিতা করেনি। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে আমেরিকার এই পদক্ষেপ তার মিত্র ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইসরায়েলের সমালোচনা করে মন্তব্য করে ওয়াশিংটন। এর পরেই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন। তবে সেই প্রস্তাবে ইসরায়েলের পক্ষে যায় উল্লেখ করে তাতে ভেটো দেয় রাশিয়া ও চীন। তবে এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বিরোধিতা ছাড়াই নিরাপত্তা পরিষদে পাস হলো। তবে আমেরিকা ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিলেও ভেটো না দেওয়া ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকা তাদের কঠোর অবস্থানের জানান দিল।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর লিন্ডা গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে শুরু হবে। আমরা অবশ্যই হামাসকে এ বিষয়ে চাপ দেব। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়ে লিন্ডা জানান, প্রস্তাবের সব বিষয়ে সম্মত না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভোট প্রদান করেনি। এ ছাড়া ওই প্রস্তাবে হামাসের নিন্দা প্রস্তাব অন্তর্ভুক্তি না থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেয়নি।’

এদিকে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হওয়া ৪ ইউরোপীয় দেশকে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে তা সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার শামিল হবে বলে মত তার।

এর আগে, শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ঘোষিত রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির প্রথম পদক্ষেপ নিতে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়ার সঙ্গে একমত হয় স্পেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

বিষয়:

ন্যূনতম বেতন ৪০ শতাংশ বাড়াল শ্রীলঙ্কা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশজুড়ে ন্যূনতম মাসভিত্তিক বেতন ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভা এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী বান্দুলা গুনাবর্ধনে। এতদিন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ন্যূনতম মাসভিত্তিক বেতন ছিল ১২ হাজার ৫০০ রুপি। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর এখন তা বেড়ে হলো ১৭ হাজার ৫০০ রুপি।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা আশা করছি, শিগগিরই দৈনিক মজুরিও আমরা বাড়াতে পারব।’

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি, দুর্নীতি ও আর্থিক অব্যবস্থাপনার জেরে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সংকটের একপর্যায়ে ২০২২ সালের মার্চে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার সরকার।

এদিকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সেখানে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ যাবতীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যস্ফীতি শুরু হয়। ফলে একসময়ের উচ্চ-মধ্যম আয়ের এই দেশটিতে বাড়তে থাকে হতদরিদ্র লোকজনের সংখ্যা।

মহামারিপূর্ব সময়ের তুলনায় বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় সার্বিক জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। দেশটির মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ চরম দরিদ্র, যাদের মাসিক আয় ১৭ হাজার ৫৭২ রুপি। ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনর্গঠনে গত বছর শ্রীলঙ্কাকে ২৯০ কোটি ডলার জরুরি (বেইলআউট) ঋণ দিয়েছিল সরকার, সেই অর্থ দিয়েই ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। ইতোমধ্যে তাতে সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে দেশটিতে। এর আগ পর্যন্ত দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭০ শতাংশ।


banner close