মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

তুরস্কে ভূমিকম্পের পর পরাঘাত হয়েছে ৬৬ বার

তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ান শহর ইদলিবের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া একটি ভবনে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৪:২৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৪:২২

তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।

তথ্যানুযায়ী, অন্তত ৯টি প্রদেশে পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে ৩ বার। ৫ মাত্রার বেশি ১৪ বার আর ৪ মাত্রার বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে ৩৪ বারেরও বেশি।

মূল ভূমিকম্পের ১১ মিনিট পরই সবচেয়ে শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থলের ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের সেই ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৬.৭। মূল ভূমিকম্পের ১৯ মিনিট পর ৫.৬ মাত্রার আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।

সোমবার ভোর ৪টায় বেশিরভাগ মানুষ যখন ঘুমে নিমগ্ন, তখনই অনুভূত হয় তুরস্কের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এ ভূমিকম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।

নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, তুরস্কে ২৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যেখানে আহতের সংখ্যা ২৩ শ’রও বেশি। আর প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩২০। দেশটিতে ৬৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়ার আলেপ্পো, লাতকিয়া, হামা ও তারতুসে এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানায় রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা।

তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।

বিষয়:

পুলিৎজার পেল রয়টার্স-নিউইয়র্ক টাইমস-ওয়াশিংটন পোস্ট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে। পুলিৎজারের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা।

জানা গেছে, এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে গাজায় চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে খবর প্রকাশ বড় ভূমিকা রেখেছে। গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি এবার পুলিৎজারের ‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে। এ বছর ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্সের আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের তোলা একটি ছবি। ছবিটিতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী।

এদিকে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও তারপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ও বর্বর আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন করায় ‘ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

অন্যদিকে, জেলবন্দি রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকেও পুলিৎজার দেওয়া হয়েছে। কারাগারে থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আলোচিত কিছু কলাম লেখার কারণে তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

কারা-মুর্জা রাশিয়ায় ২৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া এক বক্তৃতায় রাশিয়া ইউক্রেনে ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে বলে উল্লেখ করার পর তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগ তোলে পুতিন প্রশাসন। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচকদের মধ্যে তিনিই দীর্ঘতম সাজা পেয়েছেন।

এবার পুলিৎজারের ‘ফিকশন অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন সাহিত্যিক জেন অ্যান ফিলিপস। যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে এক মা ও তার মেয়েকে নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘নাইট ওয়াচ’-এর জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ‘এ ডে ইন দ্য লাইফ অব আবেদ সালামা: অ্যানাটমি অব এ জেরুজালেম ট্র্যাজেডি’ বইয়ের জন্য পুলিৎজারের ‘ননফিকশন’ পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকান ইহুদি লেখক নাথান থ্রাল।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিকতার ‘নোবেল’হিসেবে খ্যাত এই পুলিৎজার পুরস্কার। ১৯১৭ সাল থেকে সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতি বছর এ পুরস্কার ঘোষণা করে।

বিষয়:

পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে শপথ নিলেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ৭১ বছর বয়সী নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি। দেশটির সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুশ সরকারের সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বিদেশি অনেক কূটনীতিকদেরও নিমন্ত্রণ করা হয়। মস্কোতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভিকেও নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল এবং তিনি উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘিরে ব্যাপক তিক্ততা চলছে প্যারিস এবং মস্কোর মধ্যে।

তবে পোল্যান্ড, জার্মানি এবং চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূতদের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ‘অন্যায়’ অভিযানের প্রতিবাদ হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি ছিল না। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে মেদভেদেভ এবং পুতিন— উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।


যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে পণ্য ঢোকাচ্ছে চীন

মেক্সিকোতে চীনের মালিকানাধীন কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মেক্সিকোর মন্টেরে শহরের ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার ফ্যাক্টরিতে যেসব বিলাসবহুল ও আরামদায়ক সোফা তৈরি হয়, সেখানে লিখা রয়েছে ‘মেইড ইন মেক্সিকো’। সেখান থেকে তাদের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট ও কস্টকোর মতো বড় বিপণিগুলো। কিন্তু এই কোম্পানিটি চীনের মালিকানাধীন এবং মেক্সিকোয় উৎপাদন কারখানাও তৈরি হয়েছে চীনা অর্থে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই ত্রিমুখী সম্পর্ক একটি নতুন শব্দে পরিচিত হয়ে উঠেছে; সেটি হলো ‘নিয়ারশোরিং’- অফশোরিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে এমন নাম। ম্যান ওয়াহ কয়েক ডজন চীনা কোম্পানির মধ্যে একটি, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থান নিয়েছে। এতে পরিবহন খরচ কমে যাওয়া ছাড়াও চূড়ান্ত যে পণ্য প্রস্তুত হলো, তা পুরোপুরি মেক্সিকান। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে ওয়াশিংটন চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ও কর আরোপ করেছে, সেটি এড়ানো সম্ভব হয়।

ম্যান ওয়াহর জেনারেল ম্যানেজার ইয়ু কেন ওয়েই বলেন, অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক্যাল দিক চিন্তা করেই তারা মেক্সিকোতে তাদের কারখানা সরিয়ে এনেছেন। তিনি বলেন, আমাদের মেক্সিকোয় আসার উদ্দেশ্য হলো, ভিয়েতনামে আমরা যে পরিমাণ পণ্য উৎপাদন করি, সেই পরিমাণ এখানেও উৎপাদন করা। কোম্পানিটি মাত্র ২০২২ সালে মন্টেরে আসে এবং এরই মধ্যে মেক্সিকোতে ৪৫০ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে তারা। জেনারেল ম্যানেজার জানান, তাদের লক্ষ্য ১২০০র ওপর কর্মীকে কাজে লাগানো, যাতে আসন্ন বছরগুলোতে কয়েক ধাপের অপারেশন এখানে চালু করা যায়।

বাণিজ্য বেড়েছে মেক্সিকোর

নিয়ারশোরিং মেক্সিকান অর্থনীতিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। গত বছরের জুন পর্যন্ত মেক্সিকোর মোট রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। আর এই ধারা কমার কোনও লক্ষণ নেই। এ বছরের প্রথম দুই মাসেই মেক্সিকোতে যে পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে, তা ২০২০ সালের মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেকের সমান। ম্যান ওয়াহ ফ্যাক্টরির অবস্থান মন্টেরের বাইরে চাইনিজ-মেক্সিকান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হফুসানে। সেখানে প্লটের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে, অবিক্রিত কোনো জায়গা নেই। শুধু তাই নয়, মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন (এএমপিআইপি) জানিয়েছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেক্সিকোর সব সাইট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক মেক্সিকান অর্থনীতিবিদ ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটিতে চীনের এই আগ্রহ সাময়িক কোনো বিষয় নয়।

মেক্সিকোর সাবেক ফরেন ট্রেড ভাইস মিনিস্টার হুয়ান কার্লোস বাকের পিনেদা বলেন, যেসব কাঠামোগত কারণে মেক্সিকোতে বিনিয়োগ আসছে তার পরিবর্তন হবে না। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাত খুব সহসা মিটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ আমি দেখি না। তিনি বলেন, যদিও এসব চীনা বিনিয়োগ মেক্সিকোতে ঢোকা হয়তো কিছু দেশের জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী, এই পণ্যগুলো সব দিক দিয়েই পুরোপুরি মেক্সিকান। বস্তুত এই পরিস্থিতি মেক্সিকোকে দুই সুপারপাওয়ারের মধ্যে কৌশলগত ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। মেক্সিকো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জায়গায় চীনকে তাদের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার বানিয়েছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও একটা প্রতীকী বদল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মেক্সিকোর কিছু অংশে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যার অন্যতম কারণ নিয়ারশোরিং বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিণতি নিয়ে সংশয়

এভাবে চীনা বিনিয়োগ আসার বিষয়ে অনেকেই মেক্সিকোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ ভূরাজনৈতিকভাবে এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে যেতে পারে তারা। উদাহরণ দিয়ে ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের অধ্যাপক এনরিক দুসেল বলেন, শহরের পুরোনো ধনী যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা দেখা যাচ্ছে শহরের নতুন ধনী চীনের সঙ্গে; কিন্তু মেক্সিকোর আগের সরকার বা বর্তমান সরকারের কোনো কৌশল দেখা যাচ্ছে না এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের ব্যাপারে।


ভোট দিলেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদের নিশান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।

এনডিটিভি বলছে, স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টার কিছু পরে তিনি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি মোদিকে স্বাগত জানান। এ সময় তাদের দু’জনের পাশে জড়ো হয় অনেক মানুষ। মোদির আগমণে তারা দলীয় স্লোগান ধরেন।

মোদি ভোট দিতে গেলে বিজেপির এক সমর্থক একটি পোর্ট্রেট ছবি মোদির সামনে ধরে অটোগ্রাফ চাইলে মোদি তাকে অটোগ্রাফ দেন।

ভোট দেওয়া শেষে জনতার উদ্দেশে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোদি বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, কারা নিয়ন্ত্রণ করবে এই দেশ— তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। তাই আসুন, ভোট দিন। এখনও চার ধাপ ভোট বাকি আছে।’

এ সময় নির্বাচন কভার করা সংবাদকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সংবাদকর্মীদেরকে স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে এবং অধিক পরিমাণে পানি পানের পরামর্শ দেন।

আজ দেশটির ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।

বিষয়:

বিজেপির উত্থানে নেপথ্যের কারিগর অমিত শাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো জিতে রেকর্ড করতে পারবেন কি না সেটা তিনি জানতে পারবেন সামনের জুন মাসে। এক দশকের ক্ষমতায় তিনি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বারবার। তবে কম আলোড়িত একজন রাজনীতিবিদকে সব সময় তার পাশে দেখা গেছে, যিনি কৌশলপ্রণেতা হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অসাধারণ উত্থানে সাহায্য করে গেছেন, তিনি অমিত শাহ।

অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী পুরোনো বন্ধু, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন এবং তার নির্বাচনী সিদ্ধান্তের নেপথ্যের মস্তিষ্ক। কট্টরপন্থি হিন্দু জাতীয়তাবাদী অমিত শাহ দলের কর্মীদের মধ্যে ‘অমিত ভাই’ নামেই বেশি পরিচিত। তার হাত ধরেই ভোটের মাঠে টানা সাফল্য আসছে বিজেপির তথা মোদির।

সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের ভাষায়, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো তারকাখ্যাতি অমিত শাহর নেই। তিনি নিজের গণ্ডিতে চলতেই পছন্দ করেন। তবে তিনি একজন দক্ষ সংগঠক, প্রচার কৌশলবিদ, একজন ঝানু রাজনীতিবিদ এবং মোদির মতোই বিভাজনের রাজনীতির জন্য পরিচিত।

সমালোচকরা বলছেন, কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল করাসহ ভারতের কিছু বিতর্কিত আইনের নেপথ্যের ব্যক্তি এই অমিত শাহ। কাশ্মীরের বিষয়টি কয়েক দশক ধরেই বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। নতুন নাগরিকত্ব আইন করার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, যে আইনকে মুসলমানদের জন্য বৈষম্যমূলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অমিত শাহর বন্ধু ও সহকর্মী, যারা তাকে স্কুলে পড়ার সময় থেকে, কিংবা পেশাজীবনের প্রথম থেকে চেনেন; এমনকি জেল খাটার সময়ও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এই বিজেপি নেতার প্রথম দিককার জীবন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন বিবিসির গীতা পাণ্ডে। অমিত শাহর অসাধারণ সাফল্যের পেছনে কী কী কাজ করেছে, তা বর্ণনা করেছেন তারা। দলীয় কর্মীদের প্রতি তার গভীর স্নেহ আর কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতার কথা তারা বলেছেন।

প্রধান কৌশলবিদ: অমিত শাহ জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে প্রথম আলোচনায় উঠে আসেন এক দশক আগে, যখন তিনি ভারতের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশে বিজেপির জন্য একটি অসাধারণ জয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন। বছরের পর বছর ধরে উত্তর প্রদেশকে অজেয় হিসেবে দেখেছে বিজেপি। তবে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলটি এই রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭১টিতে অভূতপূর্ব জয় তুলে নেয়। অমিত শাহর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা বিজেপির সাবেক রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী যতিন ওঝা বলছেন, অমিত শাহর জন্য ঈশ্বরের একটি উপহার আছে, তা হলো চাণক্যের চেয়েও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ক।

২০১৪ সালের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে ২০১৭ ও ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েন অমিত। ২০১৯ সালেও বড় জয় পায় তার দল। যতিন ওঝা বলেন, প্রথম থেকেই তার মনে হতো, অমিত শাহ এক দিন ‘ক্ষমতার চূড়ায়’ পৌঁছে যাবেন।

যেখানে সবকিছুর শুরু: ১৯৬৪ সালের ২২ অক্টোবর গুজরাটের ছোট্ট শহর মানসায় জন্মগ্রহণ করেন অমিত শাহ। তার বাবা অনিল চন্দ্রের ছিল পিভিসি পাইপ তৈরির একটি ছোট ব্যবসা। মা কুসুমবেন ছিলেন গৃহিণী। ১৬ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে গুজরাটের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অমিত শাহ যেখানে থাকতেন, বন্ধুদের সঙ্গে যে বাগানে ক্রিকেট ও মার্বেল খেলতেন, সেই পারিবারিক পরিসর বিবিসির গীতা পাণ্ডেকে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন অমিত শাহর বাল্যবন্ধু সুধীর দর্জি। অমিত শাহদের বারোয়ারি ভিটাও আছে এর মধ্যে। পাশের যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অমিত শাহ এবং সুধীর দর্জি পড়তেন, তাদের সেই খেলার মাঠ, শ্রেণিকক্ষ, খেলনার আলমারি আর স্কুলের ঘণ্টা যেন অর্ধশতাব্দীতেও বদলায়নি।

এক গাড়ির দুই চাকা : ১৯৮২ সালে উগ্র ডানপন্থি সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস) যোগ দেন অমিত শাহ। ওই সময়ই আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। মোদি তখন আরএসএসের একজন প্রচারক। তিনি তার অনুজ সহকর্মীকে (অমিত শাহ) বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। অল্পদিনেই দুজনের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়। মোদির পদোন্নতি হতে থাকে দ্রুত, অমিত শাহরও তাই। সমর্থকরা তাদের নাম দেন ‘এক গাড়ির দুই চাকা। হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের দুই ভাই রাম ও লক্ষ্মণের সঙ্গেও তাদের তুলনা চলতে থাকে।

গুজরাটেই উত্থান: অমিত শাহ রাজনৈতিক কারিকুরি শিখেছেন তার নিজ রাজ্যে; বছরের পর বছর ধরে তিনি নিজেকে নরেন্দ্র মোদির ডান হাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তাকে চেনেন এমন একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরডি দেশাই। তিনি বলেন, অমিত শাহ প্রতিভা খুঁজে বের করতে পারদর্শী। যাদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখেন, সেই তরুণদের তিনি সমর্থন দিয়ে যান। কিন্তু রাজনীতিতে আসার পর দেড় দশকের বেশি সময় তিনি নিজে কোনো নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি, বলেছেন ‘আগে আমাকে সংগঠন গড়তে হবে।’

অমিত শাহ প্রথমবার গুজরাট বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৯৭ সালে। নরেন্দ্র মোদি তাকে বিধানসভার সারখেজ আসনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৭ সালেও একই আসন থেকে জয়ী হন শাহ। ২০০৮ সালে আসনটি বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি নারায়ণপুরায় চলে যান। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে (লোকসভা) অমিত শাহ প্রার্থী হননি। তবে ২০১৯ সালে গান্ধীনগর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং এবারও তিনি একই আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী।

২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং তার পরের ঘটনাপ্রবাহ মোদি-অমিত সম্পর্কের নতুন পটভূমি তৈরি করে, পরে যা আরও বিকশিত হয়েছে। মোদি তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। দাঙ্গার কয়েক মাস পরে বিজেপি যখন ধর্মীয়ভাবে দারুণ বিভক্ত গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করল, অমিত শাহকে তখন এক ডজন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলো। রাজ্য পুলিশ এবং প্রসিকিউশন তখন অমিত শাহর অধীনে। দাঙ্গা নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছিল তার অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিছু মামলার তদন্তে গাফিলতির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিলেন তদন্তকারীরা।


হজ ভিসায় নতুন নিয়ম আনল সৌদি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হজ ভিসায় নতুন নিয়ম আরোপ করেছে সৌদি আরব। এ সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদন খবরটি দিয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, শুধু হজ ভিসা দিয়েই ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীরা জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে জোর দিয়ে বলেছে, সৌদি আরবে কোনো কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়। এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারী ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও পেতে পারেন। তাকে দেশ থেকেও বের করে দেওয়া হতে পারে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের দেশগুলো ছাড়া যেসব আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী হজ পালন করতে চান তাদের অবশ্যই হজ ভিসা নিতে হবে। হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে নতুন বিধিতে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজ ভিসার আবেদনের জন্য ভিসা প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করে উপযুক্ত পরিষেবা নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। সব নিয়মনীতির প্রতি সম্মতি জানিয়ে আগে থেকেই ভিসার জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কারণ, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাধারণত তিন কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগে।

বিষয়:

৫ বছর পর ইউরোপ সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট

সি চিনপিং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। এর আগে ২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফরে গিয়েছিলেন তিনি। এবার শি তার সফর শুরু করছেন ফ্রান্স থেকে। এরপর তিনি সার্বিয়া ও হাঙ্গেরি যাবেন।

সফরের শুরুতে সোমবার প্যারিসে সি চিনপিংয়ের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। নৈশভোজে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনও থাকবেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রসঙ্গ গুরুত্ব পাবে।

ইউক্রেনে হামলার পর ২০২২ সালে ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে; কিন্তু চীন রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ফ্রান্সে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত অবশ্য দাবি করেছেন, রাশিয়ার প্রতি চীন নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে চলছে।

ফ্রান্সের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া যাতে এই বিরোধ মেটানোর রাস্তায় আসে তার জন্য চীনকে চাপ দেবে ফ্রান্স। তবে এই চাপে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, গত বছর ফ্রান্সের অনুরোধে শি জিনপিং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন। কিন্তু তারপরও কিছুই বদলায়নি।

এই সফর প্রসঙ্গে প্যারিসের ক্যাথলিক ইনস্টিটিউটের গবেষক এমানুয়েল লিনকট বলেছেন, মাখোঁর সঙ্গে সি চিনপিংয়ের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই মাসের শেষের দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট চীন সফরে যাচ্ছেন। ফলে বেইজিং তার অবস্থান থেকে সরবে বলে মনে হয় না। তার মতে, আন্তর্জাতিক বিষয়ে শি জিনপিংয়ের অবস্থান বিন্দুমাত্র বদলের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

ফ্রান্সের পর সার্বিয়া সফরে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ২৫ বছর আগে বেলগ্রেডে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আঘাত হেনেছিল মার্কিন বোমা। সেই সময় যুগোস্লাভিয়ায় বিরুদ্ধে ন্যাটোর সংঘাতের অংশ ছিল ওই আক্রমণ। পরে যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চায়। নিহত চীনা নাগরিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দেয়। কিন্তু চীনের অনেকে এখনও মনে করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই তাদের দূতাবাসে বোমা ফেলা হয়েছিল।


ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা: ৭০ হাজার লোক নিরাপদ স্থানে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চল রিও গ্রান্ডে দো সুলে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস ও তীব্র ঝড়ের কারণে প্রায় ৭০ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার এসব কথা জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা।

সংস্থাটি আরও জানায়, প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট এই বন্যায় ৫৭ জন নিহত, ৭৪ জন আহত এবং ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যায় আরও দুজন অন্তর্ভূক্ত হয়নি যারা পোর্তো আলেগ্রে বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্যাস স্টেশন বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

বন্যার কারণে পোর্তো আলেগ্রে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল ফ্লাইট শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রাভাটাইয়ের মেয়র সেবাস্তিয়াও মালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) কঠোর সতর্কতা জারি করে বলেছেন, ‘লোকজনকে অবশ্যই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।’

রিও গ্রান্ডে দো সুলের গভর্নর এই বন্যাকে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করে একে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বলেও উল্লেখ করেছেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিও গ্রান্ডে দো সুলের অন্তত তিন শ পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি আবহাওয়ার এ পরিস্থিতির জন্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ি করেছেন।

শহরটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গুইবা নদীর পানি ঐতিহাসিক রেকর্ড ৫.০৪ মিটার উচ্চতায় বয়ে যাচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ৬৯ হাজার দুই শ লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ লাখেরও বেশি লোক খাবার পানি থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

বিষয়:

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। তার ভাষ্যে, এটি সম্পূর্ণভাবে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েলী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছেন।

গতকাল শনিবার কায়রোতে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময়ে তারা হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া শোনেন। প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়।

হামাসের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাদের গ্রুপ কোন অবস্থাতেই এই প্রস্তাবে রাজি হবে না। কারণ প্রস্তাবে গাজা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভূক্ত নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গাজা যুদ্ধের অবসান না ঘটিয়ে চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল কেবল জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে ব্যক্তিগতভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা চলে। কিন্তু সেটি এক পর্যায়ে থমকে যায়। কারণ হামাসের দাবি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিন্তু নেতানিয়াহু বারবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছেন। রাফাহ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল।

আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হামাসের সিনিয়র সূত্র থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা আজ রোববার পুনরায় শুরু হবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এপর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

বিষয়:

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় ৩৯ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৩:৪৯
ইউএনবি

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দু সুলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৬৮ জন। হাজার হাজর মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে শুক্রবার দু সুলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রবল বর্ষণের কারণে তৈরি হওয়া এই বন্যা গত ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। রাজ্যের অন্তত ২৪ হাজারের বেশি মানুষকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে।

ব্রাজিলের ভূতাত্ত্বিক পরিষেবার তথ্যানুসারে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় ১৯৪১ সালে এ রাজ্যে হওয়া ভয়াবহ বন্যাকে ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে চলমান বন্যাটি। বন্যায় কিছু কিছু শহরের পানির উচ্চতা দেশটির প্রায় ১৫০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

পানির চাপে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেন্তো গনসালভেস ও কোতিপোরা শহরের মাঝে অবস্থিত একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের অংশবিশেষ ভেঙে যায়। এর ফলে স্থানীয় তাকারি নদী উপত্যকার লাজিয়াদো ও এস্ত্রেলা শহরদুটি সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

এ ছাড়া রাজ্যটির রাজধানী পোর্তো আলেগ্রে থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের ফেলিজ ও লিনিয়া নোভা শহরদুটির বিশালাকৃতির সংযোগ সেতুটি স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে। রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, টেলিফোন ও পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

এ নিয়ে গত এক বছরে চারটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। ২০২৩ সালের জুলাইতে আরও একটি বড় বন্যার শিকার হন ব্রাজিলের নাগরিকরা। এরপর সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে আরও দুটি বন্যায় হয় দেশটিতে। সরকারি তথ্যানুযায়ী, ওই তিনটি ঘটনায় মোট ৭৫ জন নিহত হয়। তবে এবারের বন্যা ওগুলোর চেয়েও ভয়াবহ।

বিষয়:

জর্ডানের বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী সপ্তাহে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউস এ কথা জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকটি হবে একান্ত ব্যক্তিগত। তবে এ বৈঠকের দিনক্ষণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি।

জর্ডানের বাদশাহ গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ হোয়াইট হাউস সফর করেন। এ সময় তিনি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং রাফায় হামলার কারণে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন।

এ ছাড়া এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে জর্ডান ইসরায়েলে ছোঁড়া ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। তাদরে লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যের সহিংসতা আর বাড়তে না দেওয়া।

এ দিকে, গাজায় প্রায় সাতমাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তি নিশ্চিত করতে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র হামাসের প্রতি তাদের ভাষায় ‘অসাধারণ উদার’ এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করছেন।

বিষয়:

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে নিহত ২০

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১১:০৩
বাসস

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে পার্বত্য এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ২০ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের চিলাস শহরের কাছে একটি বাঁকে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি গভীর পাথুরে খাদে পড়ে যায়।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

শহরের একজন পুলিশ কর্মকর্তা আজমত শাহ এএফপিকে বলেন, ‘স্থানীয় উলামা (মুসলিম নেতা) মসজিদের লাউড স্পিকার থেকে দুর্ঘটনার খবর ঘোষণা করেন এবং আহতদের জন্য রক্ত দিতে জনগণকে আহ্বান জানান।’

তিনি আরও জানান, উদ্ধার তৎপরতা সম্পন্ন হয়েছে। ২১ জন আহতের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বাসটি রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে গিলগিট যাচ্ছিল।


প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠালো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে পাকিস্তান। পুরো অভিযানে সহায়তা করছে চীন। পাকিস্তান এই অভিযানের নাম দিয়েছে আইকিউব-কিউ। আজ শুক্রবার চীনের হাইনান থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। খবর জিও টিভির।

উৎক্ষেপণ কার্যক্রম পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির ওয়েবসাইটের পাশাপাশি চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

প্রথম চন্দ্র কক্ষপথে যাত্রা করার জন্য দেশ ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

বিবৃতিতে শাহবাজ বলেন, আইকিউব-কিউ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাকিস্তানের প্রথম পদক্ষেপ। পাকিস্তানি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও দক্ষ কর্মীরা পারমাণবিক প্রযুক্তিতে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, সেভাবে এই ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করছেন।

তিনি ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির (আইএসটি) কোর কমিটি, ডক্টর খুররম খুরশীদ, সুপারকো দলের সকল সদস্য এবং এই প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানান।

আইএসটির কোর কমিটির সদস্য ডক্টর খুররম খুরশিদ জিও নিউজকে বলেছেন, পাকিস্তানের স্যাটেলাইট পাঁচ দিনের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে এবং তিন থেকে ছয় মাসের জন্য চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করবে। চীনের লং মার্চ-৫ রকেটের মাধ্যমে এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইটের সাহায্যে চাঁদের পৃষ্ঠের বিভিন্ন ছবি তোলা হবে, এরপর গবেষণার জন্য পাকিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট ছবি থাকবে।

আইএসটি চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি ও পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা সুপারকোর সহযোগিতায় স্যাটেলাইটটি ডিজাইন ও তৈরি করেছে।


banner close