শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে

ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রায় ছয় হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
আপডেটেড
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৫৯

তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানিয়েছেন, দেশটিতে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৪১৯ জনের মরদেহে এবং ২০ হাজার ৫৩৪ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ভূমিকম্পে তুরস্কে ছয় হাজারের মতো ভবন ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন ফুয়াত ওকতায়।

এদিকে গত সোমবারের এই ঘটনায় সিরিয়ায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০২ জন মারা যাওয়ার খবর মিলেছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, দেশটিতে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ২৪ হাজার ৪০০ কর্মী।

বিবিসি জানায়, ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোয় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরান ও ইরাক, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।

নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।

একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হনে।

বিষয়:

পুতিনকে জিততে দিতে পারি না: জো বাইডেন

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইউক্রেনকে নতুন করে সামরিক সহায়তা দিতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে সহায়তার জন্য তিনি বুধবার রিপাবলিকানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। বাইডেন বলেন, তারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জিততে দিতে পারেন না।

বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়া জয়ী হলে তা মস্কোকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্রদের আক্রমণ করার অবস্থানে নিয়ে যাবে। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে জড়াতে হতে পারে।

ইউক্রেনের জন্য বাইডেন প্রশাসন অতিরিক্ত ১৭৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার পরিকল্পনা করেছে; কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল ফুরিয়ে আসছে। ইউক্রেনকে অতিরিক্ত অর্থসহায়তার বিল কংগ্রেসে পাসের জন্য রিপাবলিকানদের সমর্থন দরকার। এমন প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে কথা বললেন বাইডেন।

ইউক্রেনকে আরও অর্থায়নের বিলে সমর্থন দেয়ার বিনিময়ে মার্কিন অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি চান কট্টর রিপাবলিকানরা। রিপাবলিকানদের সমর্থন পেতে মার্কিন অভিবাসন নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার বিষয়ে বাইডেন তার ইচ্ছার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বাইডেন বলেন, পুতিন যদি ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ী হন, তাহলে তিনি সেখানেই থামবেন না।

বাইডেন ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ‘তখন পুতিন ন্যাটোর মিত্রকে আক্রমণ করবেন। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন কিছু (রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ) করতে হবে, যা ওয়াশিংটন চায় না। আমরা পুতিনকে জিততে দিতে পারি না।’

বাইডেনের এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্ভাব্য সংঘাত নিয়ে বাইডেন যা বলেছেন, তা উসকানিমূলক বক্তব্য। একটি দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তিধর দেশের কাছ থেকে এমন বক্তব্য আসাটা অগ্রহণযোগ্য।

বিষয়:

দেড় কোটি ভোটার আমার সঙ্গে আছে: ট্রাম্প

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামনের বছর হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেড় কোটি ভোট পাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে আবারও মনোনয়নপ্রত্যাশী ট্রাম্প স্থানীয় সময় বুধবার ফক্স চ্যানেল আয়োজিত এক ইভেন্টে দর্শক-সমর্থকদের সামনে এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।

তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট থাকতে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে যা করেছি, তা আর কাউকে করতে দেখিনি। আমি মনে করি ৭৫ লাখ নয়, দেড় কোটি ভোটার আমার সঙ্গে আছে।’

ট্রাম্প দর্শকদের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘নিরাপদ সীমান্ত, শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, কম ট্যাক্স ও কম খরচ সবারই চাওয়া, যা আমি করেছি এবং করব। আপনি নিশ্চয়ই খুব সহজে কম মূল্যে নিজের বাড়িটি কিনতে চাইবেন।’

২০২৪-এর নির্বাচনে ট্রাম্প জিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র একজন স্বৈরাচারী শাসক পাবে বলে বেশ কয়েকদিন যাবৎ ভোটারদের সতর্ক করে আসছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাট ও তার দলের কিছু রিপাবলিকান রাজনৈতিক কর্মী ও বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে তিনি ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি কখনোই স্বৈরশাসক হব না।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হেরে যান।

দেশটির আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকতে পারেন। তাই ট্রাম্পের আরও একবার এ পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ আছে।


বাঘের খাঁচায় মানুষের মরদেহ

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৫৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানে একটি চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচা পরিষ্কারের সময় মানুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের শেরবাগ চিড়িয়াখানায় বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এরপর চিড়িয়াখানাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাতে বৃহস্পতিবার এএফপি এ খবর প্রকাশ করেছে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই দিন সকালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিনটি বাঘের মধ্যে একটির মুখে মানুষের জুতা দেখতে পাওয়ার পর মরদেহটি পাওয়া যায়।

চিড়িয়াখানার দায়িত্বে থাকা প্রাদেশিক বন বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলি উসমান বুখারি জানান, লোকটি কীভাবে সেখানে প্রবেশ করেছেন তা বের করতে চিড়িয়াখানাটি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরদেহের অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্যক্তির ওপর বাঘ হামলা করেছিল।

বুখারি জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বাঘ আক্রমণ করার সময় ওই ব্যক্তি জীবিত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি আক্রমণ করার জন্য বাঘ তার খাঁচার বাইরে বের হয়নি। লোকটি সেখানে ঢুকেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুখারি বলেন, ‘যদি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়, আমরা তা সমাধান করব। প্রয়োজনে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ দেওয়া হবে।’

এদিকে নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি এবং কেউ মরদেহ দাবি করতেও যোগাযোগ করেনি।

মরদেহ পাওয়ার পর জ্যেষ্ঠ স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা জহির আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, চিড়িয়াখানার কর্মীরা সবাই ঠিক আছেন। তার মতে, এটি কোনো উন্মাদের কাজ। কারণ কোনো বুদ্ধিমান মানুষ বাঘের খাঁচায় ঢুকবে না।

বিষয়:

১৬ বছর পর কারামুক্ত পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৫৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ১৬ বছর বন্দিজীবন কাটানোর পর বুধবার কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

মূলত শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই ৮৫ বছর বয়সি ফুজিমোরিকে মুক্তি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে ক্ষমা পাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পান আলবার্তো ফুজিমোরি। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্টে ছিলেন তিনি। তার এক দশকের দীর্ঘ শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ২৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, আন্তঃআমেরিকান মানবাধিকার আদালত এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারের সমালোচনা সত্ত্বেও দেশটির সর্বোচ্চ আদালত মঙ্গলবার মানবিক কারণে ৮৫ বছর বয়সি ফুজিমোরিকে ক্ষমা ঘোষণার একটি আপিলের পক্ষে রায় দেন।

২০০৭ সালে চিলি থেকে প্রত্যার্পণ করার পর ফুজিমোরি গত প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাগারেই ছিলেন।

পেরুর রাষ্ট্রচালিত ন্যাশনাল পেনটেনশিয়ারি ইনস্টিটিউট ফুজিমোরিকে ‘অবিলম্বে মুক্তির’ নির্দেশ দেওয়ার পরপরই বুধবার তাকে কারাগার থেকে বের হয়ে একটি গাড়িতে উঠতে দেখা যায়। তার মুক্তির এ ঘটনাটি স্থানীয় টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

পরে সাবেক এ প্রেসিডেন্টের মুক্তির সময় তার বিপুলসংখ্যক সমর্থক ও সাংবাদিকদের ফুজিমোরিকে বহনকারী গাড়ির পেছনে পেছনে যেতে দেখা যায়। কারাগারের বাইরে অপেক্ষারত ফুজিমোরির সমর্থক ক্যাটালিনা পন্স বলেন, ‘ফুজিমোরির বিরুদ্ধে এই অবিচারের অবসানের সময় এসেছে।’

ফুজিমোরির সমর্থকরা বিশ্বাস করেন, তিনি সন্ত্রাসবাদ এবং অর্থনৈতিক পতন থেকে পেরুকে রক্ষা করেছিলেন। তবে সমালোচকরা বলছেন, শাইনিং পাথ গেরিলাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের যুদ্ধের সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং নৃশংসতা চালিয়েছেন।

রয়টার্স বলছে, ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে শাইনিং পাথ গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ২৫ জনকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ২০০৯ সালে ফুজিমোরিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। একই সঙ্গে তাকে সে সময় ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ২০১৭ সালে পেরুর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেড্রো পাবলো কুজিনস্কি তাকে ক্ষমা করেন। পরে আন্তঃআমেরিকান আদালত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের চাপের মুখে দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটির নিম্ন আদালত সেই ক্ষমার আদেশ বারবার বাতিল বা স্থগিত করার মতো সিদ্ধান্ত নেন।

তবে এবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত মানবিক কারণে ক্ষমার আদেশ পুনর্বহাল রেখে রায় দেওয়ায় মুক্তি পেলেন আলবার্তো ফুজিমোরি।

বিষয়:

দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েল-হামাসের তুমুল লড়াই 

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৪৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে ইসরায়েলি সেনাদের। বৃহস্পতিবার হামাস নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলার দাবি করেছে ইসরায়েল। লড়াই দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় ফিলিস্তিনি বেসামরিকরা মিসর সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ছুটছে। তবে অনেকেই আশঙ্কা করছে রাফাহতেও ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ থেকে সেখানেও তারা নিরাপদ থাকতে পারবেন না। খবর রয়টার্সের।

বুধবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ গাজার বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের প্রাণকেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করছে সেনারা। এক বিবৃতিতে বাহিনীটি বলেছে, এ শহর হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক শাসনের প্রতীক। সেনারা সন্ত্রাসীদের হত্যা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস ও অস্ত্রের অবস্থান শনাক্ত করছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, খান ইউনিসে হামাস নেতা ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনারা। তার বাড়ি হয়তো তার দুর্গ নয়। তিনি পালিয়ে যেতে পারেন; কিন্তু তাকে ধরে ফেলা সময়ের ব্যাপার।

খান ইউনিসের বাসিন্দারা বলছেন, সিনওয়ারের বাড়ির কাছে ইসরায়েলি ট্যাংক রয়েছে। তবে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন কি না তা জানা যায়নি।

ইসরায়েল দাবি করে আসছে, হামাসের একাধিক নেতা ও যোদ্ধারা সুড়ঙ্গে অবস্থান নিয়েছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড বলেছে, তুমুল লড়াই চলছে। বাসিন্দারা বলছে, বুধবার রাতে বোমাবর্ষণের তীব্রতা বেড়েছে।

প্রায় দুই মাসের সংঘাতে লাখো ফিলিস্তিনি উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখন দক্ষিণাঞ্চলেও ইসরায়েলি অভিযান শুরু হয়েছে। ফলে তাদের জন্য নিরাপদ কোনো স্থান নেই। বুধবার রাফাহতে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।

রাফাহ থেকে টেলিফোনে সামির আবু আলি বলেন, ইসরায়েলিরা মিথ্যাচার করছে। গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই। আগামীকাল তারা রাফাহতেও আসবে।

গাজায় যুদ্ধরত অবস্থায় সবশেষ আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন এবং চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৮ জন ইসরায়েলি সেনা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে গতকাল আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

এর বিপরীতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে বুধবার পর্যন্ত ১৬ হাজার ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

তবে গত দুই দিনে ইসরায়েলের হামলার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গাজার সব হাসপাতাল ও অন্যান্য সূত্র থেকে হতাহতের পুরো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। যার ফলে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং হামাসের হাতে জিম্মি হন প্রায় ২৪০ জন। ইসরায়েল দাবি করছে, এখনো হামাসের কাছে ১৩৬ জন জিম্মি আটক আছেন।

এ ঘটনার পর হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। এ লক্ষ্যে গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই মাস ধরে নির্বিচার স্থল ও বিমানহামলা চালায় ইসরায়েল। এর পর কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। শুক্রবারের মেয়াদ শেষ হয়।

সাত দিনের এ যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় নতুন করে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির মধ্যে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।

বিষয়:

গাজায় নিহতদের মধ্যে ১২ হাজারই নারী-শিশু

গাজার রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত এক শিশুকে জড়িয়ে ধরে আছেন ফিলিস্তিনি নারী। ছবি: আল-জাজিরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলছেই। টানা প্রায় দুই মাস ধরে চলা এই আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই প্রায় ১২ হাজার। আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৪৪ হাজারে। এদিকে গাজায় হামাসের হামলায় ১০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। অন্যদিকে গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে কাতার ও সৌদি আরব।

এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস জানায়, নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭ হাজার ১১২ জন শিশু এবং ৪ হাজার ৮৮৫ জন নারী রয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ হাজার ৬১৬ জন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভূখণ্ডটিতে এখনো প্রায় ৭ হাজার ৬০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তারা ইসরায়েলি হামলায় ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছেন।

অক্টোবরের ৭ তারিখে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকেই অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় দুই মাসের এই যুদ্ধে উপত্যকাটিতে ৪০ হাজার টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে ভূখণ্ডটিতে।

হামাসের হামলায় ১০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ১০ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এ ছাড়া হামাসের হামলায় ইসরায়েলি ট্যাংক, সামরিক যান এবং সামরিক বুলডোজারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামাসের হাতে নিহতের বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ১০ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডস জানিয়েছে, খান ইউনিস শহরের পূর্বে ‘পয়েন্ট-ব্লাংক রেঞ্জে’ অর্থাৎ ‘খুব কাছ থেকে গুলি করে’ ওই ইসরায়েলি সেনাদের হত্যা করেন হামাসের যোদ্ধারা। গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, সেনাদের হত্যার পাশাপাশি খান ইউনিসের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে হামাসের যোদ্ধারা তিনটি ইসরায়েলি ট্যাংক, দুটি সেনাবাহী সামরিক যান এবং তিনটি সামরিক বুলডোজারে অ্যান্টি-আরমার শেল দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। হামাসের সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরকে লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার সেনারা।

গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধের আহ্বান কাতার-সৌদির

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে কাতার এবং সৌদি আরব। কাতার-সৌদি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের এক যৌথ বিবৃতিতে কাতারের আমির এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গাজা উপত্যকার মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

উভয়পক্ষ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এবং আরব শান্তি উদ্যোগের নীতি অনুসারে ফিলিস্তিন সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন এই দুই শীর্ষ নেতা।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। একটি ভিডিও ফুটেজে একটি ধসে পড়া ভবন দেখা গেছে। সেখানে হামলার পর লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গত দুই দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওই শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালাল ইসরায়েলি বাহিনী।


ভয়ঙ্কর ক্ষুধা-সংকটের মুখে গাজা: জাতিসংঘ

গাজা উপত্যকায় একটি বেকারির বাইরে রুটি কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে আবার লড়াই শুরু হয়েছে। ফলে অঞ্চলটি ভয়ঙ্কর ক্ষুধা সংকটে পড়বে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সম্প্রতি গাজায় সাতদিন ধরে যুদ্ধবিরতি ছিল। তখন গাজায় কিছু ত্রাণসামগ্রী ঢুকেছে। তা বিতরণ করার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। কিছু মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভবও হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, ‘দুঃখের বিষয় হলো, এ বিষয়ে যতটা এগোনো জরুরি ছিল তা হয়নি।’ ডব্লিউএফপি বলছে, ‘নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ায় ত্রাণ বিতরণ করা যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে কর্মীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে বেসামরিক সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। গাজায় ২০ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার সম্বল হলো এই ত্রাণের খাদ্যশস্য।’

সংস্থাটি বলেছে, ‘আমাদের কর্মীদের জন্য গাজা ভূখণ্ডে নিরাপদ, বাধাহীন ও দীর্ঘকালীন যাতায়াতের ব্যবস্থা চাই। তাহলেই তারা মানুষের কাছে জীবনদায়ী ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারবে। একমাত্র দীর্ঘস্থায়ী শান্তি হলেই এই মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। ডব্লিউএফপি তাই দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি এবং সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়। এদিকে গাজা থেকে যারা মুক্তি পেয়েছেন এবং যারা এখনও হামাসের হাতে বন্দি, তাদের ও তাদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত দুই মাসের মধ্যে এটিই প্রথম বৈঠক। এ বৈঠকে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল।

নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমি এমন কাহিনি শুনেছি, যাতে আমার মন ভেঙে গেছে। আমি ক্ষুধা ও তৃষ্ণার, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের কাহিনি শুনেছি। যৌন নির্যাতন ও ভয়ঙ্কর ধর্ষণের কথাও শুনেছি। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা এই কাহিনি শুনিয়েছেন।’ ইসরায়েলের মিডিয়া জানিয়েছে, এই বৈঠকে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল এবং শেষের দিকে প্রায় অর্ধেক মানুষ বৈঠক ছেড়ে চলে যায়। দানি মিরানের মেয়ে এখনো হামাসের হাতে বন্দি। তিনি ইসরায়েলের টেলিভিশনে বলেছেন, ‘বৈঠকে কী হয়েছে তা আমি বিস্তারিত বলব না। শুধু এটুকু জানাব, পুরোটা ছিল কুৎসিত, অপমানকর এবং অগোছালো।’ তিনি বলেন, ‘সরকার দাবি করছে, তারাই সবকিছু করেছে; কিন্তু হামাস নেতা ইহাইয়া সিনওয়ার আসলে আমাদের মানুষের ফেরত দিয়েছেন। যখন সরকার দাবি করছে, তাদের নির্দেশে সবকিছু হয়েছে, তখন আমরা রাগ সামলাতে পারিনি। ওরা একটাও নির্দেশ দিতে পারেনি।’ জেনিফারের পার্টনার অ্যান্ড্রে এখনো বন্দি। তিনি জানিয়েছেন, ‘বৈঠক ছিল রীতিমতো উত্তেজক। অনেকেই সেখানে চিৎকার করেছেন।

অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আক্রমণ করে হামাস ভয়ঙ্কর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। বিশ্ব এটাকে উপেক্ষা করতে পারে না। সব সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীদের এই যৌন নির্যাতনের নিন্দা করতে হবে।’ তার দাবি, ‘হামাস ইসরায়েলের মেয়েদের ওপর অত্যাচার করেছে, তারপর হত্যা করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। যারা বেঁচে ফিরেছেন, তারা এ ভয়ঙ্কর কাহিনি আমাদের জানাচ্ছেন।’


বাস দুর্ঘটনায় ফিলিপাইনে ১৭ জন নিহত

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলীয় যাত্রীবাহী একটি বাস দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে পাহাড়ি গিরিখাদে পড়ে গেলে এসব লোক প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে একজন কেনিয়ার নাগরিক ও রয়েছে।

আজ বুধবার দেশটির কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।

প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থার প্রধান রডারিক ট্রেন এএফপি’কে বলেন, বাসটি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অ্যান্টিক প্রদেশের হ্যামটিক পৌরসভায় যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
গভর্নর রোডোরা কাদিয়াও স্থানীয় বেতার কেন্দ্র ডিজেডআরএইচ’কে বলেছেন, যাত্রীর মধ্যে চারজন কেনিয়ার নাগরিক ছিল। এদের বেশির ভাগই অ্যান্টিক প্রদেশের বাসিন্দা।
কাদিয়াও বলেন, গিরিখাদটি প্রায় ৩০ মিটার গভীর ছিল।
ট্রেন বলেন, দুর্ঘটনায় সাতজন মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহতদের মধ্যেও একজন কেনিয়ার নাগরিক রয়েছে। রাস্তাটি দুর্ঘটনা প্রবণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অবশিষ্ট দুই কেনিয়ার নাগরিকের অবস্থা জানা যায়নি।
ট্রেন বলেন, ‘এটি একটি পাহাড়ি রাস্তা হওয়ায় বাসটি অনেক উঁচু থেকে গিরিখাদে পড়ে। এ কারণে অনেকে হতাহত হয়।


মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার আহ্বান

মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং। গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমারের এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তে একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক জান্তা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর জান্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের খবরে বলা হয়, জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং হুঁশিয়ার করে বলেন, সশস্ত্র সংগঠনগুলো যদি বোকার মতো এভাবে লড়াই চালিয়ে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষকে ভুগতে হবে। জান্তাপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ভাবতে হবে। ওই সব সশস্ত্র সংগঠনকে তাদের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধানে মনোযোগী হতে হবে।’

মিয়ানমারে এক ডজনের বেশি সংখ্যালঘু সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এসব গোষ্ঠীর অনেকে সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা। গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি সশস্ত্রগোষ্ঠী উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে যৌথভাবে হামলা শুরু করে। ওই প্রদেশের চীন সীমান্তবর্তী বেশ কয়টি শহর এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য তারাই নিয়ন্ত্রণ করে।

জাতিসংঘের মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরে বিদ্রোহীরা হামলা শুরুর পর শিশুসহ ২৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানায়, দেশজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জান্তার সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকার উৎখাত হওয়ার পর ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’ (পিডিএফ) গঠিত হয়। তারা মিয়ানমারের উত্তর ও পূর্বে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে।

গত সপ্তাহে পিডিএফ যোদ্ধারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের রাজধানীর কিছু অংশ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। পুরো শহর থেকে জান্তা বাহিনীকে বিতাড়ন করতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


থাইল্যান্ডে বাস দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:২৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ডাবল ডেকার একটি বাস গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে উপকূলীয় প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশে দূরপাল্লার বাসটি ব্যাঙ্কক থেকে রাজ্যের দক্ষিণে যাওয়ার সময় গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গাছটি এখনও মাঝখানে আটকে আছে।

প্রাচুয়াপ খিরি খানের হুয়ে ইয়াং জেলার একজন পুলিশ তদন্তকারী আর্নন টাংটো এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ৩২ জন আহত হয়েছে।’ তিনি বলেছেন, ‘তদন্ত চলছে।’

আর্নন টাংটো বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চালক ঘুমের ঘোরে চালানোয় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে চালক মারাত্মকভাবে আহত হলেও বেঁচে গেছেন।’

আর্নন বলেন, ‘আমরা তার রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করছি।’

নিহতরা সবাই থাই নাগরিক কি-না তা তদন্ত করছে পুলিশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, থাইল্যান্ডে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যায়।


ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে চেন্নাইয়ে ৮ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:৫১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের জেরে ভারতের চেন্নাইয়ে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার হিন্দুস্তান টাইমসের প্রদিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর কিছুক্ষণেই ভূভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এর আগে অবশ্য সোমবারই চেন্নাই দেখেছে মিগজাউমের তাণ্ডব। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছ চেন্নাই সব উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে। আর আজ এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব প্রতক্ষ্য করতে চলেছে অন্ধ্র উপকূল। এরই মধ্যে আকাশেও ঘন কালো মেঘের দেখা মিলেছে। আজ রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে চলেছে। ভিজতে চলেছে কলকাতাও।

এতে আরও বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল ছিল ওঙ্গোলের ২৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রাপথ বদল করা হচ্ছে বহু ট্রেনের। এদিকে চেন্নাইয়ের বেশ কিছু এলাকা হাঁটু-গভীর জলে তলিয়ে গিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।

চেন্নাই আবহাওয়া কেন্দ্র মঙ্গলবার সকালে জানায়, আজ চেন্নাইসহ তামিলনাড়ুর দশটি জেলায় মাঝারি বজ্রঝড় এবং বজ্রপাত সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস হতে পারে।

অন্ধ্রপ্রদেশে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি বাড়তে শুরু করেছে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়, মঙ্গলবার ভোর থেকেই প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে সেখানকার বিভিন্ন জায়গায়। বহু জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার জেরে গাছ ভেঙে পড়েছে। বাতিস্তম্ভও পড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র চেন্নাইতেই ২০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এছাড়াও শহেরর আশেপাশে আরও ১০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।


৩ রাজ্যে জয়ী বিজেপি, একটিতে কংগ্রেস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিধানসভার নির্বাচনে বাজিমাত করেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান এই তিন রাজ্যেই গেরুয়া শিবিরের জয় হয়েছে। অন্যদিকে শুধু তেলেঙ্গানায় জিতেছে কংগ্রেস। চার রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের ওপর অনেকটাই নির্ভর করেছিল জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ।

ফলাফলে দেখা গেছে, কংগ্রেসকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি রাজ্যেই সহজ জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল। এর আগে শুধু মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস পার্টি। কিন্তু এবার এই দুই রাজ্যও বিজেপির দখলে চলে গেল। মধ্যপ্রদেশে এবার কংগ্রেস বিজেপিকে পরীক্ষায় ফেলতে যাচ্ছে, ভোটের আগে এমন পূর্বাভাসই পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু গত রোববার দুপুরের মধ্যেই সেই পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সঙ্গে কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে না পারা কংগ্রেস বরং রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা হারিয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে বিজেপির দখলে রয়েছে ১৬১টি আসন এবং কংগ্রেসের ৬৬টি আসন। রাজস্থানে বিজেপি পেয়েছে ১১২টি আসন, কংগ্রেস ৭১টি। ছত্তিশগড়ে বিজেপি ৫৫টি, কংগ্রেস পেয়েছে ৩২টি আসন। অথচ এই নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা দারুণভাবে জেগে উঠেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ জানিয়েছিল, বিজেপির জয় হাসিল খুব একটা সহজ হবে না।

নির্বাচনী ফলাফল জানাচ্ছে, কংগ্রেস পেয়েছে ৬৩টি আসন, বিআরএস ৬১টি, বিজেপি ৮টি, এআইএমআইএমর দখলে আছে ৬টি আসন। স্বভাবতই এই জয়ের পর বিপুল উচ্ছ্বাস দেখা যায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তিন রাজ্যে ছিল আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ। তা খুব সফলভাবেই অতিক্রম করেছে বিজেপি।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বই যে মোড় ঘুরিয়েছে, এমনটাই মত তাবড় বিজেপি নেতাদের। অন্যদিকে তুষ্টিকরণ ও ভেদাভেদের রাজনীতির বিপক্ষেই রায় দিয়েছে মানুষ এমনটাই মনে করেন অমিত শাহ। তিন রাজ্যের জনতাকে প্রণাম জানিয়েছেন তিনি। মানুষ কেবল সুশাসন ও উন্নয়নের রাজনীতিতেই ভরসা করে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিন রাজ্যের ভোটে বিপুল জয়, চব্বিশে বিজেপির জয়ের গ্যারান্টি দিয়ে দিল। তিন রাজ্যে জয়ের পর এক ভাষণে এমনই প্রত্যয়ী কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। বিজেপির জয় শুধু দলীয় জয় নয় বরং দেশের গরিব মানুষ, নারী, যুবক প্রত্যেকেরই। এভাবেই রাজনৈতিক জয়কে মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেন মোদি।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে বিজেপিই মানুষের জন্য কাজ করে। নতুন ভারতের রূপরেখা তুলে ধরে চার জাতির কথা উল্লেখ করেন তিনি। তা হলো- নারীশক্তি, যুবশক্তি, কৃষক এবং গরিব বা দরিদ্র। এই চার জাতিই দেশের শক্তি। দেশের নারীশক্তি যে পূর্ণভাবে বিজেপিকে সমর্থন করেছে এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আগামীতেও নারীশক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে বিজেপি। এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচারে যে মোদি গ্যারান্টির কথা টেনেছিলেন তিনি এদিনও তার মুখে শোনা গেল সেই কথা। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, তিনি যা বলছেন তা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, তা যে পূরণ হবে সে গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। তার মতে, ‘মোদি গ্যারান্টি’তে ভরসা রেখেছেন তিন রাজ্যের মানুষ। তিনি বলেন, দেশের যুবশক্তি শুধু উন্নয়নই চায়। আর তাই যেখানে সরকার যুবকদের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, সেখানে মানুষ সেই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

মোদির দাবি, কংগ্রেসের নীতির জন্য দশকের পর দশক বঞ্চিত ছিল আদিবাসীরা। তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের কাজ করবে বিজেপি। সেবা ও সুশাসনের নতুন মডেল দেশের সামনে তুলে ধরেছে বিজেপি। দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ এই জয়ে কংগ্রেসকে বড় শিক্ষা দিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


ইসরায়েলি বাহিনী প্রতি ১০ মিনিটে বোমা মারছে: ইউনিসেফ

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান। ছবি : এএফপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক পদক্ষেপ গুরুতর উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজার উত্তরে যা ঘটেছে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সত্যিই একটি শক্তিশালী বার্তা এসেছে। সেখানকার লোকজন ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি দক্ষিণাঞ্চলে ঘটতে দেওয়া উচিত নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আনুমানিক প্রতি ১০ মিনিট পর পরই বোমা ফেলা হচ্ছে।

জেমস এলডার বলেন, দক্ষিণ গাজার লোকজনের জন্য এ বিপদ আরও বেশি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যখন আপনি বোমা বর্ষণের কারণে তিন থেকে চারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন- এমন পরিস্থিতিতে লোকজন সত্যিই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তারা তাদের সন্তানদের একসঙ্গে রাখার চেষ্টা করছেন কিন্তু তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

তিনি বলেন, যখন আমি দেখি শিশুরা আর্তনাদ করছে। বাবা-মা একের পর এক যুদ্ধের ভয়ংকর ক্ষত নিয়ে স্ট্রেচারে চিৎকার করছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা এভাবে পার করছে। কিন্তু তারা হাসপাতাল বা আশ্রয়কেন্দ্রেও নিরাপদ নয়। এটা সত্যিই উদ্বেগজনক।

এদিকে গত তিন দিনের ভারী বোমাবর্ষণ শেষে এবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওতে প্রচারিত প্রাথমিক খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, বর্তমানে তারা খান ইউনিসের উত্তরে অভিযান চালাচ্ছে। এ ছাড়া খান ইউনিস শহরের কাছাকাছি জায়গায় ইসরায়েলি একটি ট্যাঙ্কের ছবিও প্রকাশ হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান দেশটির সৈন্যদের জানিয়েছেন যে, তারা দক্ষিণ গাজায় জোরালোভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজা ডিভিশনের অতিরিক্ত সৈন্যদের সঙ্গে নিজেদের সামরিক লক্ষ্যের বিষয়ে কথা বলেন আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি। এ সময় হামাস কমান্ডারদের হত্যার বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই প্রধান বলেন, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে জোরালোভাবে যুদ্ধ করেছি। এখন আমরা গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলেও একইভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি।


banner close