মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্কের হাতাই প্রদেশে ভূমিকম্পে নিহত একজনের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন তার স্বজন। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:১৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় ২ দিন পার হলেও একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে লাশ। সিএনএনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৩২৬ জন। আহতের সংখ্যা অন্তত ৩০ হাজার ৪৭৪।

তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থার মতে, ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪৪। এছাড়া অন্তত ৫ হাজার ৭৭৫টি ভবন বিপর্যস্ত হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে দেশটির বিপর্যস্ত ১০টি প্রদেশে ৬০ হাজার ২১৭ জন উদ্ধারকর্মী নিয়োজিত আছেন বলেও জানায় সংস্থাটি।

অন্যদিকে সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৭৮২। এর মধ্যে ৯৭০ জন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, বাশার আল আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মৃতের সংখ্যা ৮১২।

ভূমিকম্প ও তৎপরবর্তী অন্তত ১০০ পরাঘাতের প্রভাবে দেশদুটির হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সর্বত্র উদ্ধার অভিযান চালালেও সবচেয়ে বেশি চিন্তা সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে। এখানকার অন্তত ৪০ লক্ষ মানুষ যুদ্ধের কারণে আগে থেকেই মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল।

এদিকে বিপদের ওপর বিপদ হিসেবে হাজির হয়েছে অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়া। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মী ও ত্রাণ সহায়তাকারীদের। ধ্বংসাবশেষে আগুন জ্বালিয়ে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোয় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরান ও ইরাক, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।

নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।

একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হনে।

বিষয়:

পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পুতিন

ভ্লদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিন রেকর্ড পরিমাণ ভোটে (প্রায় ৮৮ শতাংশ) জিতেছেন। স্থানীয় সময় রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসা পুতিন আবার নতুন ছয় বছরের মেয়াদে ক্ষমতায় আসছেন। এর মাধ্যমে পুতিন জোসেফ স্ট্যালিনকে ছাড়িয়ে যাবেন এবং ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি নেতা হবেন তিনি।

ফলাফলে দেখা যায়, পুতিন ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। রাশিয়ার সোভিয়েত-পরবর্তী ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফলাফল পেয়েছেন তিনি।
রাশিয়ান পাবলিক ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টার (ভিসিআইওএম) জানিয়েছে, পুতিন শতকরা ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে রয়টার্সের সাংবাদিকরা মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং ইয়েকাটেরিনবার্গের ভোটকেন্দ্রে দুপুরে ভোটারদের ব্যাপক সমাগম দেখেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া ও ইউক্রেনে দখলকৃত অঞ্চলে তিন দিনের ভোট শুরু হয়। রোববার তিন দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
প্রকৃতপক্ষে, কোনো যথার্থ বিরোধী প্রার্থীকে নির্বাচনে দাঁড়াতেই দেওয়া হয়নি। সদ্য প্রয়াত আলেক্সেই নাভালনির সমর্থকরাই যা কিছু প্রতীকী প্রতিবাদ করেছেন। তাদের ‘নুন অ্যাগেইনস্ট পুতিন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গের মতো শহর এবং বিদেশের অনেক দূতাবাসের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে বটে, কিন্তু ফলাফলের ওপর এর কোনো প্রভাব নেই।

অন্তত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে পর্যবেক্ষক সংস্থা ওভিডি-ইনফো। শুক্রবার কিছু ভোটকেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তবে পরের দুদিন তার আর পুনরাবৃত্তি হয়নি।

পশ্চিমা দেশগুলো এক সুরে বলছে, ভোট অবাধ বা সুষ্ঠু কোনোটিই হয়নি। জার্মানি এটিকে ‘সাজানো নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছে। বলছে, রাশিয়ার কর্তৃত্ববাদী শাসন সেন্সরশিপ, দমন ও সহিংসতার ওপর ভর করে টিকে আছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে অবৈধ নির্বাচন’ আয়োজনের নিন্দা করেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এটি স্বৈরশাসককে ক্ষমতায় রাখার নির্বাচন।’

নাভালনির ঘনিষ্ঠ মিত্র লিওনিড ভলকভের মন্তব্য, ‘পুতিনের প্রাপ্ত ভোটের হারের সঙ্গে বাস্তবতার সামান্যতম সম্পর্কও নেই।’


মধ্যপ্রাচ্যে ১০ এপ্রিল ঈদের সম্ভাবনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার ইতি টানবেন সেখানের মুসলমানরা।
আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী ১০ এপ্রিল শাওয়াল মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ঈদের দিন হতে পারে। তার মানে হলো এবার ৩০টি রোজা রাখতে হবে।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করে, যা কৃতজ্ঞতা, নতুনত্ব ও ঐক্যের প্রতীক।
ঈদের দিন সকালে মুসলমানরা বিশেষ নামাজের জন্য জড়ো হন, যা ঈদের নামাজ নামে পরিচিত। মসজিদ, উন্মুক্ত স্থান অথবা বড় কোনো জায়গায় এই নামাজ আদায় করা যায়।
মধ্যপ্রাচ্যে ১০ মার্চ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। তাই সোমবার (১১ মার্চ) সেখানে রমজান মাসের প্রথম দিন ছিল।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান হলো নবম মাস। এই মাসে মুসলিমরা সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন।


গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজার মূল হাসপাতাল আল শিফায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা চলছে। হাসপাতাল ভবনটি ট্যাংক বহর দিয়ে ঘিরে রেখে সেখানে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সোমবার এক ঘোষণায় বলেছে, হামাসের সিনিয়র সদস্যরা ভবনটি ব্যবহার করছে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে সুনির্দিষ্ট হামলা চালানো হচ্ছে।

গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফা। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েল এই হাসপাতালে অভিযান চালায়। সে সময় ইসরায়েলের ওই হামলাও ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে।

গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আল শিফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ভবনটি ইসরায়েলি ট্যাংক ঘিরে রেখেছে। সঙ্গে হাসপাতাল কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ছোড়া হচ্ছে গোলা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা জানায়, আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের এই হামলায় কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে আটকা পড়া এসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষ, হাসপাতালের স্টাফ এবং আহত রোগী।

ইসরায়েল বার বার অভিযোগ করে আসছে, হামাস হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো থেকে তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এর পরপরই ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নারী-শিশুসহ ব্যাপকসংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন।


সৌদির মরুভূমিতে এবার দেখা গেল তুষার!

সৌদি আরবের আফিফ মরুভূমিতে তুষার জমেছে। ছবি: এক্সের সৌজন্যে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের পশ্চিমেই অবস্থিত আফিফ মরুভূমি। শুক্রবার ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর আফিফ মরুভূমি সাক্ষী হয় বিরল এক ঘটনার। মরুভূমিতে পড়তে থাকে তুষার। দেখে মনে হবে মরুভূমির বালুতে বিছানো আছে সাদা কম্বল।

সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ বলছে, শুক্রবার বিকেলের এই দৃশ্য অনেকেই ক্যামেরাবন্দি করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করেন ভিডিও। তাতে দেখা যায়, রাস্তা ও এর পাশে তুষার পড়ে আছে। মুহূর্তেই এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও। সৌদি আরব সাধারণত গরমপ্রধান দেশ। তবে ইদানিং বৃষ্টি বেড়েছে। মরুভূমিতে দেখা যাচ্ছে সবুজ ঘাস। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবারের এই আবহাওয়া নিয়ে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশটি। এতে বলা হয়, রোববার থেকে সৌদিতে নতুন আবহাওয়া বিরাজ করবে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টি। এ ছাড়া ঝড়ও আসতে পারে। টানা থাকবে এই ঝড়।

বিষয়:

সোমালি জলদস্যুদের থামানো যাচ্ছে না কেন, তারা কি অপ্রতিরোধ্য?

সোমালি জলদস্যু। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর আগেও ওই অঞ্চলে একের পর এক জাহাজে হামলা করে নাবিকদের জিম্মি ও মুক্তিপণ আদায়ের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একজোট হয়ে জলদস্যুবিরোধী অভিযান চালিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষ। ফলে উল্লেখযোগ্য হারে জলদস্যুদের আক্রমণ কমতে শুরু করে। কিন্তু গত কয়েক মাসে অন্তত ১৪টি জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ‘হর্ন অব আফ্রিকা’ অঞ্চলের সমুদ্র-নিরাপত্তা নিয়ে ফের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন কোনোভাবেই সোমালিয়ার জলদস্যুদের থামানো যাচ্ছে না?

পূর্ব আফ্রিকার একটি অংশের নাম ‘হর্ন অব আফ্রিকা’। ত্রিকোণাকৃতির ভৌগোলিক মানচিত্রের কারণেই অঞ্চলটিকে এই নামে ডাকা হয়। একে সোমালি উপদ্বীপও বলা হয়। সমুদ্রপথে বৈশ্বিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা এটি। আর ‘হর্ন অব আফ্রিকা’র বড় একটি অংশজুড়েই আছে সোমালিয়া।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা দেশটির যুদ্ধবিগ্রহ এবং অর্থনৈতিক দুর্দশা ও সমুদ্র উপকূল রক্ষায় প্রশাসনের শক্তিশালী উপস্থিতি না থাকায় অঞ্চলটিতে নাশকতা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে জলসীমার নিরাপত্তায় সরকারি বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সেখানে বাড়ে বিদেশি মাছ ধরা নৌযানের উপস্থিতি। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ে স্থানীয় জেলেরা।

সোমালিয়ার সমুদ্র এলাকায় বিদেশিদের এই শোষণ বন্ধে স্থানীয় জেলেরা সশস্ত্র দলে বিভক্ত হয়ে ওই অঞ্চলে বিদেশি জাহাজের প্রবেশ বন্ধের চেষ্টা করে; কিন্তু বিদেশি জাহাজ জিম্মি করে পাওয়া মুক্তিপণের অর্থ পেয়ে দস্যুবৃত্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে অনেক সোমালিয়ান তরুণ।

সোমালিয়া থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত এডেন উপসাগরের পথ ধরে বছরে প্রায় ২০ হাজার বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করে। সুয়েজ খালের এই পথটি এশিয়া থেকে ইউরোপ এবং আমেরিকায় যাওয়ার সবচেয়ে দ্রুততম পথ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জাহাজ মালিকরা পণ্য পরিবহনে এই পথটিকেই বেছে নেয়; কিন্তু তাতে সমস্যা বাধায় সোমালি জলদস্যুরা।

রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) তথ্যমতে, গত ছয় বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় শেষ তিন মাসে ‘হর্ন অব আফ্রিকা’য় জাহাজ ও নাবিক জিম্মি করে উচ্চ মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনা বেড়েছে।

একদিকে সোমালিয়ার দারিদ্র্য, অরাজকতা, আইনের শাসনের অভাব, অন্যদিকে গৃহযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার কারণে দেশটির অনেক তরুণই জলদস্যুতার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আর এর সঙ্গে সোমালিয়ার স্থানীয় অভিজাতদের জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বা আঞ্চলিক নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অর্থের প্রয়োজনে তারা এই কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া পূর্ব আফ্রিকান জলসীমার দেশগুলো নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক সংস্থা ইন্ডিয়ান ওশান কমিশনের (আইওসি) মতে, সোমালিয়ায় মাছ ধরার নতুন নীতির কারণে বিদেশি মাছ ধরার জাহাজের প্রবেশ বেড়েছে।

সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, সমুদ্রের আড়াই মিলিয়ন বর্গমাইল এলাকা ছিনতাইপ্রবণ, যা পুরোপুরিভাবে টহল দেওয়া কার্যত অসম্ভব। এ ছাড়া জলদস্যুরা বড় আকারের ‘মাদার শিপ’ ব্যবহার করে। এটি ব্যবহার করেই তারা সমুদ্রের মাঝখানে ছোট নৌযান থেকে আক্রমণ চালায়।

ছোট নৌকাজাতীয় ‘স্কিফ’, মই আর সামান্য কিছু অস্ত্র দিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বিশাল মালবাহী জাহাজ ছিনতাই করে। একইসঙ্গে জাহাজের ক্রুদের জিম্মি করে আদায় করে মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণও। ২০০৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময়কালে হর্ন অব আফ্রিকার দস্যুরা কী পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে তার একটি আনুমানিক হিসাব করেছে বিশ্বব্যাংক। সেই হিসাব অনুযায়ী জলদস্যুরা ক্রুদের জিম্মি করে সাড়ে ৩০০ থেকে সোয়া ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আদায় করেছে।

অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক অলাভজনক গণমাধ্যম নেটওয়ার্ক ‘দ্য কনভার্সেশন’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সে সময় জলদস্যুদের থামানোর চারটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

এগুলো হলো-

১. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যসহ বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম নৌবাহিনীর দ্বারা জলদস্যু-বিরোধী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা ও সমন্বয়

২. ব্যয়বহুল আত্মসুরক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন

৩. জলদস্যুদের বিচার ও কারাদণ্ড প্রদানে আইনি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং

৪. আঞ্চলিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে জলদস্যুদের বন্দি করা

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলদস্যুদের থামাতে এই সফলতার বড় একটি অংশই ছিল ভূমিতে। সোমালিয়ায় আল-শাবাব সন্ত্রাসীদের হটাতে স্থলভাগে আফ্রিকান ইউনিয়নের সামরিক বাহিনীসহ একযোগে মার্কিন বিমান হামলার মতো আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার কারণেই জলদস্যুতা হ্রাস পায়।

সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশনের অংশ হিসেবে ২০১২ সালে কেনিয়ার সৈন্যরা কিসমায়ো বন্দর দখল করে এবং আল-শাবাব যোদ্ধাদের তাড়া করে। এ সময় যে ঘাঁটি থেকে জলদস্যুরা সব কাজ পরিচালনা করত সেটিও সরিয়ে দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে কিছু রক্ষণশীল সোমালিগোষ্ঠীও জলদস্যুদের নেটওয়ার্কের প্রতি ক্ষেপে গিয়েছিল। ঐতিহ্য বা ধর্মের ওপর নির্ভর না করে বরং অস্ত্র আর ডাকাতির ওপর নির্ভর করে হঠাৎ করেই একটি দলের আধিপত্য অন্যরা মেনে নিতে পারেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দস্যুরা ক্ষমতা হারাতে শুরু করে। তবে ছয় বছর পর নতুন করে বাড়ছে জলদস্যুতার ঘটনা।

বিষয়:

যানজটে বসে নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আম্বানি

মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি। ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য তিন সপ্তাহ ধরে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনই একদিন গাড়িতে করে ঘুরতে বেরিয়ে মুম্বাইয়ের পেডার রোডে যানজটে আটকা পড়েন মুকেশ ও নীতা। যানজটে বসে থাকতে থাকতে মুকেশের মনে হয়, নীতাই সেই মেয়ে, যাকে তিনি বিয়ে করতে পারেন। আর হুট করে তখনই তিনি নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন।

তারকা উপস্থাপক ও অভিনেত্রী সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। পুরোনো সাক্ষাৎকারটি নতুন করে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। সিমি গারেওয়ালকে মুকেশ আম্বানি বলেছিলেন, ‘নীতাকে আমি আমার জীবনসঙ্গী করব, তা অনেকটাই মনস্থির করে ফেলেছিলাম। আর তাই পেডার রোড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় আমি হুট করেই ওকে বলে বসলাম, ‘নীতা তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে? এখন শুধু হ্যাঁ অথবা না বলো।’

মুকেশ বলেন, প্রশ্নটি শুনে নীতা তাকে শুধু গাড়ি চালাতে বলেন। কারণ, এভাবে বসে থাকায় যানজট আরও বাজে আকার ধারণ করছিল। লোকজন চিৎকার করছিল। গাড়িগুলো হর্ন দিচ্ছিল। নীতা বলেন, ‘মুকেশ, গাড়ি টান দাও।’ মুকেশ তখন নীতাকে বলেন, ‘আমাকে হ্যাঁ অথবা না বলো। আমি গাড়ি ছাড়ব না।’

পরপর তিনবার জিজ্ঞেস করার পরও নীতা কোনো সাড়া দিচ্ছিলেন না। এরপর মুকেশের প্রস্তাবে সায় দেন তিনি। মুকেশ বলেন, ওই ঘটনার পর নীতা আম্বানি জানতে চেয়েছিলেন, তিনি যদি প্রস্তাবে রাজি না হতেন, তাহলে মুকেশ তখন কী করতেন? নীতা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কি তখনই আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে এবং নিজে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে?’

মুকেশের জবাব ছিল, ‘না, আমি তোমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতাম এবং আমরা বন্ধু হয়ে থাকতাম।’

সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে ওই আলাপচারিতায় মুকেশের সঙ্গে নীতা আম্বানিও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নীতা বলেছেন, বিয়ের এক বছরের মাথায় তিনি সানফ্লাওয়ার নার্সারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। লোকজন তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। তবে তাতে তার কিছু যায়-আসেনি। কারণ, কাজটি করে তিনি আত্মতৃপ্তি অনুভব করতেন।

বিষয়:

গাজার আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের অভিযান চলছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজার মূল হাসপাতাল আল শিফায় ইসরায়েলের অভিযান চলছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সোমবার এক ঘোষণায় এই কথা জানিয়ে বলেছে, হামাসের সিনিয়র সদস্যরা ভবনটি ব্যবহার করছে।

সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৈন্যরা বর্তমানে আল শিফা হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট হামলা পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সিনিয়র হামাস সন্ত্রাসীরা এই হাসপাতাল ভবন ব্যবহার করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফা। গতবছরের নভেম্বরেও ইসরায়েল এই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আল শিফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ভবনটি ইসরায়েলী ট্যাংক ঘিরে রেখেছে।

ইসরায়েল বার বার অভিযোগ করে আসছে, হামাস হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো থেকে তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছে।

কিন্তু হামাস বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

উল্লেখ্য, গতবছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এর পরপরই ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু এবং হামাসকে নিশ্চিহ্নের অঙ্গীকার করে।


বিশাল ব্যবধানে জয়, আবারও ক্ষমতায় পুতিন

আপডেটেড ১৮ মার্চ, ২০২৪ ১০:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তিন দিনব্যাপী নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়ে আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

স্থানীয় সময় রোববার প্রকাশিত ফলের মধ্য দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী রাশিয়ায় পুতিন সবচেয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির জানায়, সোভিয়েত আমলের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুতিন প্রথম ক্ষমতায় আরোহণ করেন ১৯৯৯ সালে। এবারের নির্বাচনে জয়ের পর তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, এ ফল পশ্চিমা রাষ্ট্র ও তাদের নেতাদের জন্য বার্তা হওয়া উচিত।

এ নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে ৭১ বছর বয়সী পুতিন নতুন করে ছয় বছর রাশিয়া শাসন করবেন।

ফের ক্ষমতায় এসে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলে জোসেফ স্তালিনকে ছাড়িয়ে ২০০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে রশিয়ায় সবচেয়ে বেশি বছর ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রনায়ক হবেন তিনি।

পাবলিক ওপিনিয়ন ফাউন্ডেশন (এফওএম) নামের জরিপকারী সংস্থার বুথ পরবর্তী জরিপের ফল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ পান পুতিন, যা সোভিয়েত পরবর্তী রাশিয়ায় সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে রাশিয়ান পাবলিক ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টার (ভিসিআইওএম) নামের সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, পুতিন ভোট পান ৮৭ শতাংশ।

উল্লিখিত দুটি সংস্থার হিসাবের সঙ্গে প্রথম দিককার আনুষ্ঠানিক ফলের মিল পাওয়া গেছে।

রাশিয়ায় গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভোটকে অবাধ কিংবা সুষ্ঠু কোনোটাই মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ সমমনা দেশগুলো।

আংশিক ফল অনুযায়ী, পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলাই খারিতোনভ চার শতাংশের সামান্য কম ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। অন্যদিকে নবাগত ভ্লাদিস্লাভ দাভানকো


 এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযান চালাবে ভারতীয় নৌবাহিনী: সোমালিয়ার মন্ত্রী

দুদিন ধরে নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের সঙ্গে দুদিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তাদের পরিবার বা জাহাজমালিক কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করেননি নাবিকরা। এ ছাড়া জলদস্যুরা কোনো প্রকার মুক্তিপণও দাবি করেনি। কেএসআরএম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আগের অবস্থান থেকে অন্তত ৫০ মাইল সরিয়ে নেওয়া হয়। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলের গদবজিরান শহরের কাছাকাছি অবস্থান করছিল।

ওই দিন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) জানিয়েছিল, জাহাজটি বৃহস্পতিবার যেখানে নোঙর ফেলেছিল, শুক্রবার সেখান থেকে ৪৫ থেকে ৫০ মাইল উত্তরে সরে গেছে। সেটি এখন সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূল থেকে প্রায় ৪ মাইল দূরে নোঙর করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতের পর থেকে তাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। জাহাজ দুটি জিম্মি হওয়া জাহাজটির কয়েক মাইলের মধ্যে অবস্থান করছে।

শিপিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিম্মি হওয়া নাবিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ওই দুটি জাহাজ থেকে কোনো অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। কমান্ডো অপারেশন চালানোর মতো অবস্থাও নেই বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, সোমালি জলদস্যুদের কাছ থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে মুক্ত করার পর বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ডের বন্দর ও সামুদ্রিকপথবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ ইয়াসিন সালাহ।

রোববার সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ৪০ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ৩৫ জলদস্যু ও ১৭ ক্রুসহ মাল্টার জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ভারতীয় নৌ সেনা ও কমান্ডোরা। এই অভিযানে তারা আইএনএস সুভদ্র নামের একটি যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ব্যবহার করে।

মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটি মুক্ত করার পর একইভাবে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকেও উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোমালিয়ার মন্ত্রী।

এদিকে বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ এবং তারা পুরোনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মধ্যস্থতাকারী খুঁজছে। যাতে দ্রুত জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের জিম্মি ঘটনায় মুক্তিপণের বিষয় তিন ধাপে আলোচনা হয়। জাহাজের মালিকপক্ষ যোগাযোগ করে বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বিমা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী ঠিক করে। তারা যোগাযোগ করে জলদস্যুর প্রতিনিধির সঙ্গে। তিন পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে।

১৪ বছর আগে এ প্রক্রিয়াতেই ‘এমভি জাহান মণি’ জাহাজের নাবিকরা মুক্ত হয়েছিলেন।

কেএসআরএমের মুখপাত্র ও মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত শুক্রবার রাতের পর থেকে নাবিকদের সঙ্গে আমাদের আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। হয়তো জলদস্যুরা সেখানে নিরাপদ মনে করছে। ধারণা করছি, জাহাজ মালিক পক্ষকে চাপে ফেলতেই তারা যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না। এটা তাদের কৌশলও হতে পারে। তবে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নানা উপায়ে ও কৌশলে সে চেষ্টা চলছে। এখনো পর্যন্ত কেউ মুক্তিপণ চায়নি বলে তিনি জানান।

এদিকে জাহাজের ফোন না আসায় জিম্মি হওয়া নাবিকদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্বজনরা কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং নাবিকদের মুক্তির আশ্বাস দিচ্ছেন।
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জলদস্যুরা জাহাজের নাবিকদের জিম্মি করে।

জাহাজে থাকা নাবিকেরা হলেন: জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, মো. আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।
জিম্মি নাবিকদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের ও ২ জন নোয়াখালীর। বাকি ১০ জন যথাক্রমে ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, খুলনা, নেত্রকোনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল জেলার।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরে যাচ্ছিল। ১৯ মার্চ গ্রিনিচ সময় রাত ৮টায় জাহাজটি সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কেএসআরএম গ্রুপের মোট ২৩টি জাহাজ আছে, যেগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করছে। ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ গত বছর কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানায় আসে।

এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের উপকূলে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।


আফগানিস্তানে ট্যাঙ্কারের সাথে বাসের সংঘর্ষে নিহত ২১, আহত ৩৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে রোববার তেল ট্যাঙ্কার ও মোটরবাইকের সাথে একটি বাসের ধাক্কায় ২১ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হয়েছেন। প্রাদেশিক কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

দুর্বল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, মহাড়কগুলোতে বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং নিয়ম না মেনে চলার কারণে দেশটিতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় প্রাদেশিক তথ্য বিভাগ জানায়, ‘রোববার সকালে ট্যাঙ্কার, মটরসাইকেল ও একটি বাসের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২১ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, হেলমান্দ প্রদেশের গ্রীশক জেলার হেরাত-কান্দাহার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হেলমান্দ গভর্নর মুখপাত্র মোহাম্মাদ কাসিম রিয়াজ এএফপিকে বলেন, এ সংঘর্ষে গাড়িগুলোতে আগুন ধরে যায়।


আইসল্যান্ড উপদ্বীপে আবারও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আইসল্যান্ডের রেইকজেনেস উপদ্বীপে নতুন আগ্নেয়গিরির ফাটল থেকে লাভা উদগীরণ হয়েছে। এতে পুলিশ শনিবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ডিসেম্বর থেকে এই এলাকায় এটি চতুর্থ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। খবর এএফপির।

আইসল্যান্ডিক আবহাওয়া অফিসের (আইএমও) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেইকজেনেস উপদ্বীপে স্টোরা স্কোগফেল ও হাগাফেলের মধ্যে আগ্নেয়গিরির এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিও জ্বলন্ত লাভা উদগীরণ ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

আইসল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল প্রোটেকশন এবং ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট ঘোষণা করেছে, তারা নতুন ফাটলের সঠিক অবস্থান সংকুচিত করতে একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অগ্নুৎপাতের কারণে পুলিশ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

আইএমও-এর মতে, এটি ৮ ফেব্রুয়ারির আগের অগ্ন্যুৎপাতের মতো একই জায়গায় ঘটেছে। লাভাটিকে দক্ষিণে মাছ ধরার গ্রাম গ্রিন্ডাভিককে রক্ষা করার জন্য নির্মিত আলের (বাঁধ) দিকে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।

এতে আরও বলা হয়, গ্রিনিচ মান সময় ২২০০ এর কিছু পরেই ‘দক্ষিণ লাভা ফ্রন্ট গ্রিন্ডাভিকের পূর্ব দিকের ওই আল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ছিল। এটি ঘণ্টায় প্রায় এক কিমি বেগে অগ্রসর হচ্ছিল।’


ভারতীয় হেলিকপ্টারে গুলি চালিয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত মহাসাগরে জিম্মি একটি মাল্টিজ-পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারে গুলি চালিয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ‘ইক্স-এমভি রুয়েন’ নামের মাল্টার পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এই জাহাজটিকেই আবার ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকেও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করেছে জলদস্যুরা। জাহাজটিকে আটকাতে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। তারা একটি যুদ্ধজাহাজ দিয়ে ছিনতাইকৃত জাহাজটি আটকাতে সক্ষম হন।

খবরে বলা হয়েছে, এরপর ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এমভি রুয়েনের কাছে যায়। তখন সেটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছে এবং জাহাজটিতে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে তারা- যোগ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

এই ঘটনার ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশ করা হয়েছে। আট সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, এক জলদস্যু হেঁটে ডেকে এসে ছিনতাইকৃত জাহাজটির ওপরে উড়তে থাকা একটি হেলিকপ্টারের দিকে রাইফেল তাক করে গুলি ছুড়ছে, দুইবার গুলি ছোড়ে সে।

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বলেছে, চলতি সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলের অদূরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় জলদস্যুরা সম্ভবত তাদের ছিনতাই করা জাহাজ রুয়েনকে ব্যবহার করেছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা এখন আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিয়ে সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমালি জলদস্যুদের হাতে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে পাওয়া এসওএসে ভারতীয় নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার সাড়া দিয়েছিল, এর এক দিন পর এ ঘটনাটি ঘটেছে।

বিষয়:

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ভিক্ষা করছেন আমিরাতের ভিক্ষুকরা!

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘সামাজিক ব্যাধি’ হয়ে উঠেছে ভিক্ষাবৃত্তি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিক্ষুকরা প্রথাগত পদ্ধতি বাদ দিয়ে অভিনব উপায়ে ভিক্ষা করা শুরু করেছে। আবুধাবি পুলিশ জানিয়েছে, আমিরাতের ভিক্ষুকরা এখন মানুষের বাড়িতে বা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিক্ষা করা শুরু করেছেন।

আবুধাবির পুলিশ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, পবিত্র রমজান মাস লক্ষ্য করে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি কাজে লাগিয়ে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন ভিক্ষুকরা। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো- ভিক্ষুকরা এখন দরজা, রাস্তা কিংবা শপিংমলে গিয়ে ভিক্ষা চেয়েই থেকে নেই। তারা এখন অনলাইনে ভিক্ষা চাচ্ছেন।

সতর্কতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, রমজান শুরু হওয়ার পরে ভিক্ষুকরা ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে ভিক্ষা শুরু করেছেন। তারা সাধারণত ম্যাসেজ, মানবিক ছবি ও অর্থ দিতে প্ররোচিত হয় এমন সব বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে ভিক্ষা করছেন। এসব ক্ষেত্রে অনাথদের সাহায্য করা, অসুস্থদের চিকিৎসা, দরিদ্র দেশে মসজিদ ও স্কুল নির্মাণ করার কথা বলা হচ্ছে।

আমিরাতে ভিক্ষা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি ভিক্ষা করা অবস্থায় ধরা পড়েন, তাহলে ৫ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। আবার যদি কেউ সত্যিকারের ভিক্ষুক না হয়েও ভিক্ষা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, ভিক্ষা করা একটি নিন্দনীয় কাজ। আসুন, ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল করতে একসঙ্গে কাজ করি। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিক্ষা চাইছে, তাদের এড়িয়ে চলুন।

নাগরিকদের অজানা লোকদের কাছে অর্থ পাঠানো বা স্থানান্তর করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে আবুধাবি পুলিশ। তাছাড়া এই ‘বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে সহযোগিতা করতে বলেছে পুলিশ।


banner close