সোমবার, ৬ মে ২০২৪

ভূমিকম্পে এত মৃত্যুর জন্য দুর্বল অবকাঠামো দায়ী, তুরস্কে ক্ষোভ

তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের একটি ইনডোর খেলার স্টেডিয়ামে ভূমিকম্পে নিহতদের মরদেহ এনে রাখা হচ্ছে। যাদের এখনো পরিচয় মেলেনি, দাফনের আগে তাদের শনাক্ত করার জন্য এখানে এনে রাখা হয়। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:১০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:০৭

তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে লাশের সারি আরও দীর্ঘতর হচ্ছে। যতই সময় যাচ্ছে ফুরিয়ে আসছে ভবনের নিচে চাপা পড়াদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা। তবে এবারের ভূমিকম্পে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর পেছনে কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে ভবনগুলোর দুর্বল অবকাঠামোকে।

বিবিসি জানায়, এই নিয়ে জনমনে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি নির্মাণ সংস্থাগুলো প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছে ভূমিকম্পে ভঙ্গুর ভবনগুলো নির্মাণের জন্য। কারণ সম্প্রতি নির্মিত অনেক নতুন ভবনও গত সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে ধুলোয় মিশে গেছে।

এদিকে একটি নির্মাণ সংস্থার বিজ্ঞাপন নজর কেড়েছে অনেকের। ২০১৯ সালের একটি বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে একটি ভবনের ছবি দিয়ে প্রচার করা হয়েছিল, ‘সর্বশেষ ভূমিকম্পে নিয়ম মেনে নির্মিত। গুক্লু বাহচে সিটি প্রকল্পটির অবস্থান এবং নির্মাণ গুণাবলির দিক থেকে অন্যদের তুলনায় বিশেষত্বসম্পন্ন।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে নির্মিত ভবনগুলোর দাঁড়িয়ে থাকা উচিত ছিল। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের ভূমিকম্পে অন্তত ৭৫ হাজার ভবন গুঁড়িয়ে গেছে। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইমার্জেন্সি প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ডেভিড আলেকজান্ডার বলেন, ‘যদিও এই ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ তীব্রতা ছিল মারাত্মক। কিন্তু তারপরও ভালোভাবে নির্মিত ভবনগুলো ধসিয়ে দেয়ার কথা নয়। বেশির ভাগ জায়গায় কম্পনের মাত্রা সর্বাধিকের চেয়ে কম ছিল। তাই আমরা অনায়াসেই বলতে পারি, যে কয়েক হাজার ভবন ধসে পড়েছে, তার প্রায় সব কটিই যুক্তিসংগতভাবে ভূমিকম্পের নির্মাণ কোড মানেনি।’

১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ মারা যায়। যে কারণে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ইজমিত শহরে ২০১৮ সালে ভূমিকম্পের বিপর্যয় এড়াতে নির্মাণ নিয়ম কঠোর করা হয়েছিল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে নির্মাণনীতিতে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে ভবনের কাঠামোতে ইস্পাত বার দিয়ে শক্তিশালী কংক্রিট ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই আইনগুলো দুর্বলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। অথচ অন্যদিকে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে জাপানে অত্যন্ত কঠোরভাবে ভবন নির্মাণবিধি মেনে চলা হয়।

১২ ঘণ্টা পর টুইটার ফিরেছে তুরস্কে

ভূমিকম্পের প্রবল ক্ষয়ক্ষতি, বিল্ডিং কোড না মানা এবং সরকারের প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে অনলাইন সমালোচনার ঝড় উঠলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার বন্ধ হয়ে যায়।

তুর্কি মোবাইল সরবরাহকারীরা ১২ ঘণ্টার জন্য টুইটার ব্যবহার করতে পারেনি। স্থানীয় সময় বেলা ২টার দিকে টুইটারে আবার অ্যাক্সেস পাওয়া যায়। অনলাইন মনিটর নেটব্লক.অর্গ গত বুধবার জানায়, টুইটারে অতিমাত্রায় পোস্ট আসতে শুরু করে এবং তারপরে দেশের সব প্রধান সেলফোন সরবরাহকারী টুইটারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল।

তুরস্কের দুর্গতদের এক মাসের বেতন দিচ্ছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

তুরস্কের ভূমিকম্পদুর্গতদের সহায়তায় নিজেদের এক মাসের বেতন পাঠাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। স্বশাসিত দ্বীপটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বৃহস্পতিবার বলেছে, আঙ্কারাকে ইতিমধ্যেই কিছু ত্রাণ পাঠিয়েছে তাইপে, কিন্তু সাই ও লাইয়ের বেতন এর বাইরে।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব দেশ পুনর্গঠনে তাদের দেয়া সহায়তা তুরস্কের কাজে লাগবে বলে আশা করছেন তারা। এর আগে প্রেসিডেন্ট সাই ও ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই গত বছর তাদের এক মাসের বেতন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মানবিক ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। সাইয়ের এক মাসের বেতন ৪ লাখ তাইওয়ানি ডলার, যা ১৩ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য।

বিষয়:

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা: ৭০ হাজার লোক নিরাপদ স্থানে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চল রিও গ্রান্ডে দো সুলে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস ও তীব্র ঝড়ের কারণে প্রায় ৭০ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার এসব কথা জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা।

সংস্থাটি আরও জানায়, প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট এই বন্যায় ৫৭ জন নিহত, ৭৪ জন আহত এবং ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যায় আরও দুজন অন্তর্ভূক্ত হয়নি যারা পোর্তো আলেগ্রে বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্যাস স্টেশন বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

বন্যার কারণে পোর্তো আলেগ্রে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল ফ্লাইট শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রাভাটাইয়ের মেয়র সেবাস্তিয়াও মালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) কঠোর সতর্কতা জারি করে বলেছেন, ‘লোকজনকে অবশ্যই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।’

রিও গ্রান্ডে দো সুলের গভর্নর এই বন্যাকে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করে একে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বলেও উল্লেখ করেছেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিও গ্রান্ডে দো সুলের অন্তত তিন শ পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি আবহাওয়ার এ পরিস্থিতির জন্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ি করেছেন।

শহরটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গুইবা নদীর পানি ঐতিহাসিক রেকর্ড ৫.০৪ মিটার উচ্চতায় বয়ে যাচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ৬৯ হাজার দুই শ লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ লাখেরও বেশি লোক খাবার পানি থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

বিষয়:

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। তার ভাষ্যে, এটি সম্পূর্ণভাবে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েলী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছেন।

গতকাল শনিবার কায়রোতে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময়ে তারা হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া শোনেন। প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়।

হামাসের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাদের গ্রুপ কোন অবস্থাতেই এই প্রস্তাবে রাজি হবে না। কারণ প্রস্তাবে গাজা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভূক্ত নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গাজা যুদ্ধের অবসান না ঘটিয়ে চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল কেবল জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে ব্যক্তিগতভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা চলে। কিন্তু সেটি এক পর্যায়ে থমকে যায়। কারণ হামাসের দাবি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিন্তু নেতানিয়াহু বারবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছেন। রাফাহ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল।

আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হামাসের সিনিয়র সূত্র থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা আজ রোববার পুনরায় শুরু হবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এপর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

বিষয়:

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় ৩৯ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৩:৪৯
ইউএনবি

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দু সুলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৬৮ জন। হাজার হাজর মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে শুক্রবার দু সুলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রবল বর্ষণের কারণে তৈরি হওয়া এই বন্যা গত ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। রাজ্যের অন্তত ২৪ হাজারের বেশি মানুষকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে।

ব্রাজিলের ভূতাত্ত্বিক পরিষেবার তথ্যানুসারে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় ১৯৪১ সালে এ রাজ্যে হওয়া ভয়াবহ বন্যাকে ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে চলমান বন্যাটি। বন্যায় কিছু কিছু শহরের পানির উচ্চতা দেশটির প্রায় ১৫০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

পানির চাপে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেন্তো গনসালভেস ও কোতিপোরা শহরের মাঝে অবস্থিত একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের অংশবিশেষ ভেঙে যায়। এর ফলে স্থানীয় তাকারি নদী উপত্যকার লাজিয়াদো ও এস্ত্রেলা শহরদুটি সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

এ ছাড়া রাজ্যটির রাজধানী পোর্তো আলেগ্রে থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের ফেলিজ ও লিনিয়া নোভা শহরদুটির বিশালাকৃতির সংযোগ সেতুটি স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে। রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, টেলিফোন ও পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

এ নিয়ে গত এক বছরে চারটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। ২০২৩ সালের জুলাইতে আরও একটি বড় বন্যার শিকার হন ব্রাজিলের নাগরিকরা। এরপর সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে আরও দুটি বন্যায় হয় দেশটিতে। সরকারি তথ্যানুযায়ী, ওই তিনটি ঘটনায় মোট ৭৫ জন নিহত হয়। তবে এবারের বন্যা ওগুলোর চেয়েও ভয়াবহ।

বিষয়:

জর্ডানের বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী সপ্তাহে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউস এ কথা জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকটি হবে একান্ত ব্যক্তিগত। তবে এ বৈঠকের দিনক্ষণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি।

জর্ডানের বাদশাহ গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ হোয়াইট হাউস সফর করেন। এ সময় তিনি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং রাফায় হামলার কারণে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন।

এ ছাড়া এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে জর্ডান ইসরায়েলে ছোঁড়া ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। তাদরে লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যের সহিংসতা আর বাড়তে না দেওয়া।

এ দিকে, গাজায় প্রায় সাতমাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তি নিশ্চিত করতে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র হামাসের প্রতি তাদের ভাষায় ‘অসাধারণ উদার’ এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করছেন।

বিষয়:

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে নিহত ২০

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১১:০৩
বাসস

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে পার্বত্য এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ২০ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের চিলাস শহরের কাছে একটি বাঁকে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি গভীর পাথুরে খাদে পড়ে যায়।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

শহরের একজন পুলিশ কর্মকর্তা আজমত শাহ এএফপিকে বলেন, ‘স্থানীয় উলামা (মুসলিম নেতা) মসজিদের লাউড স্পিকার থেকে দুর্ঘটনার খবর ঘোষণা করেন এবং আহতদের জন্য রক্ত দিতে জনগণকে আহ্বান জানান।’

তিনি আরও জানান, উদ্ধার তৎপরতা সম্পন্ন হয়েছে। ২১ জন আহতের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বাসটি রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে গিলগিট যাচ্ছিল।


প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠালো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে পাকিস্তান। পুরো অভিযানে সহায়তা করছে চীন। পাকিস্তান এই অভিযানের নাম দিয়েছে আইকিউব-কিউ। আজ শুক্রবার চীনের হাইনান থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। খবর জিও টিভির।

উৎক্ষেপণ কার্যক্রম পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির ওয়েবসাইটের পাশাপাশি চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

প্রথম চন্দ্র কক্ষপথে যাত্রা করার জন্য দেশ ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

বিবৃতিতে শাহবাজ বলেন, আইকিউব-কিউ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাকিস্তানের প্রথম পদক্ষেপ। পাকিস্তানি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও দক্ষ কর্মীরা পারমাণবিক প্রযুক্তিতে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, সেভাবে এই ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করছেন।

তিনি ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির (আইএসটি) কোর কমিটি, ডক্টর খুররম খুরশীদ, সুপারকো দলের সকল সদস্য এবং এই প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানান।

আইএসটির কোর কমিটির সদস্য ডক্টর খুররম খুরশিদ জিও নিউজকে বলেছেন, পাকিস্তানের স্যাটেলাইট পাঁচ দিনের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে এবং তিন থেকে ছয় মাসের জন্য চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করবে। চীনের লং মার্চ-৫ রকেটের মাধ্যমে এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইটের সাহায্যে চাঁদের পৃষ্ঠের বিভিন্ন ছবি তোলা হবে, এরপর গবেষণার জন্য পাকিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট ছবি থাকবে।

আইএসটি চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি ও পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা সুপারকোর সহযোগিতায় স্যাটেলাইটটি ডিজাইন ও তৈরি করেছে।


‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই চাপে আছে’

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই চাপে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে আছে। কারণ, আরব বসন্তের ছোঁয়া আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের আজ সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে সারা দেশে যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করেছিল, সে কারণেই জনগণ তাদের পাশে নেই। বিএনপি নোতারা ঝিমিয়ে পড়েছে। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আইনের ফাঁদে আটকা। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ মামলায় তার সাজা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়াতে তিনি বাসায় আছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মামলা করেনি। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতেও ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর আমরা ব্যাপকভাবে উদযাপন করবো। আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করব।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও এসএম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তুরস্ক বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সাথে সমস্ত বাণিজ্য স্থগিত ঘোষণা করে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে হামলার সময় বিনাবাধায় গাজায় সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত বাণিজ্য স্থগিত থাকবে।

ইসরায়েল থেকে আমদানি এবং দেশটিতে রপ্তানি স্থগিত করা হয়েছে’ উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে: ‘ইসরায়েল সরকার গাজায় মানবিক সাহায্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের অনুমোদন না দেয়া পর্যন্ত তুরস্ক এই নতুন ব্যবস্থাগুলো প্রয়োগ করবে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এরআগে বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের রপ্তানি ও আমদানি বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ভঙ্গ করার অভিযোগ করেছিলেন।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যে মাত্র কয়েকটি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তুরস্ক তাদের একটি। এপ্রিল মাসে ইসরায়েলে রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার পর এই পদক্ষেপটি সম্পর্কের অবনতির সর্বশেষ ঘটনা।

জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা আসন্ন দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকা মানবিক সংকটে ভুগছে।

হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪,৫৯৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।


কারামুক্ত হচ্ছেন ইমরান খান!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। দেশটির হাইকোর্ট এ কথা জানিয়েছে। গত বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ জানায়। হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের কাছে ‘বড় স্বস্তি’ বলেই মনে করছেন তার অনুসারীরা।

গত অক্টোবরে ইমরান এবং তার দলের আরেক নেতা সাবেক মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে আদালতে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ফাঁসির সাজাও হতে পারে।

‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণেই চলতি বছর পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২২ সালের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন ইসলামাবাদে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার তিন সহযোগী সেই গোপন নথি ফাঁস করে দেন।

গোপন নথি ফাঁস-সংক্রান্ত একটি তারবার্তা (সাইফার) আদালতে ‘প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খান দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই বলে বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের আগে ইমরান খানের কারামুক্তি নিয়ে কথা বলেন পিটিআইএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খান। গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, চলতি মাসেই জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন ইমরান খান।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের আগেই তাকে মুক্ত করার চেষ্টা ছিল তাদের। তিনি বলেন, আদিয়ালা কারাগারে ১৪ ঘণ্টার শুনানি হয়েছে। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা মে মাসে জেল থেকে মুক্তি পাবেন এবং জনসমক্ষে আসবেন।

গত আগস্টে তোশাখানা মামলায় ইমরানের তিন বছরের সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তার জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি মেলেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

তবে এবার সেই মামলা থেকে ইমরান খান রেহাই পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এবং বিচারপতি মিয়ানগুল হাসান অওরঙ্গজেবের বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া তারবার্তা ইমরান নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন- এমন একটিও প্রমাণ তদন্তকারী সংস্থা পেশ করতে পারেনি।


পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ কংগ্রেস: মোদি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি পাকিস্তান এখন কংগ্রেস নেতাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসা করার পরদিনই এমন মন্তব্য করেছেন মোদি।

মোদি বলেছেন, ‘পাকিস্তান কাঁদছে কারণ এখানে কংগ্রেস মারা যাচ্ছে। পাকিস্তানি নেতারা কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন। পাকিস্তান ‘শেহজাদাকে’ (রাহুল গান্ধী) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে আগ্রহী। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ আমরা ইতোমধ্যেই জানি যে কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘মুরিদ’। পাকিস্তান ও কংগ্রেসের মধ্যে পার্টনারশিপ এটাই প্রমাণ করে যে দেশের শত্রুরা শক্তিশালী সরকার গঠন করতে পারবে না।’

গুজরাটের আনন্দে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় নরেন্দ্র মোদি বিরোধী নেতা সালমান খুরশিদের ভাগ্নি মারিয়া আলমের ‘ভোট জিহাদের’ আহ্বানের জন্য কংগ্রেস দলের সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই বিবৃতি একজন শিক্ষিত মুসলিম পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু কোনো কংগ্রেস নেতাই এর নিন্দা জানায়নি।

মোদি আরও অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস মুসলিমদের রিজার্ভেশন প্রদানের জন্য দেশের সংবিধান সংশোধন করতে চায়। তারা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) থেকে সুবিধা সরাতে চায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ধর্মভিত্তিক সুবিধা প্রদানের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করবে না- এমন বিবৃতি লিখিতভাবে কংগ্রেসকে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।


মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করায় বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলের চিরশত্রু ইরান তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করায় কিছু ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অপারেশন কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ব্রায়ান পি ফেন্টন ও মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সাবেক কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারসহ সাতজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

এদিকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি অব স্টেট গ্রান্ট শাপস, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেমস হকেনহুল ও লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভিকে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন ও শেভরন এবং ব্রিটিশ সমকক্ষ এলবিট সিস্টেমস, পার্কার মেগিট ও রাফায়েল ইউকের বিরুদ্ধেও শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ‘ইরানের আর্থিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অ্যাকাউন্ট ও লেনদেন ব্লক, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের এখতিয়ারের মধ্যে সম্পদ ব্লক এবং সেই সঙ্গে ভিসা প্রদান ও ইরানের ভূখণ্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।

কিন্তু ব্যক্তি বা সংস্থার ওপর এই পদক্ষেপগুলোর প্রভাব, সেই সঙ্গে তাদের সম্পদ বা ইরানের সঙ্গে লেনদেন। সব কিছু অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
হামাসকে সমর্থন করলেও হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।


ভারতে রেকর্ড ভাঙল দাবদাহ, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৭ ডিগ্রি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: এএফপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দাবদাহে পুড়ছে ভারতের বেশিরভাগ এলাকা। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ভয়ংকর পরিস্থিতি চলছে। এর মধ্যেই নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্তপ্ত এপ্রিল মাস পার করেছে দক্ষিণ ভারত। আর উত্তরপূর্ব ভারতে ভেঙেছে ৫১ বছরের রেকর্ড। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা দেখেছে ভারতের তিনটি বড় শহর - বেঙ্গালুরু, কলকাতা এবং মুম্বাই।

সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ ভারতে এবারের এপ্রিল মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০১৬ সালের রেকর্ডভাঙা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সামান্য কম। ওই বছর ১৯০১ সালের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছিল এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা। এ বছর নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল মাস পার করেছে বেঙ্গালুরু।

পুরো মাসজুড়েই চরম উত্তপ্ত আবহাওয়া ছিল পূর্ব ভারতে। আইএমডির তথ্যমতে, গত এপ্রিল মাসে পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারতে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৯৭৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। তবে মাসটিতে রাতের গড় তাপমাত্রা ছিল ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ।

গরমে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারও। গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কলকাতার দম দমে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এবারের এপ্রিলে সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং যেকোনো মাসের ক্ষেত্রে চতুর্থ সর্বোচ্চ। এদিন কলকাতার আলিপুরেও তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা প্রায় এক শতাব্দী আগে রেকর্ড করা ৪৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড থেকে সামান্য কম। এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কলকাতায় এপ্রিলের তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁলো।

চলতি গ্রীষ্মে ভারতে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রার পারদ ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে গত মঙ্গলবার, সেটিও পশ্চিমবঙ্গে। ওই দিন কলাইকুণ্ডায় ৪৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। একইদিন ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার বাহারাগোরা এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ অঞ্চলের অন্তত তিনটি স্থানে-কলাইকুণ্ডা, পানাগড় (পশ্চিমবঙ্গ) এবং বালাসোরে (উড়িষ্যা) স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার কথা জানানো হয়েছে।

এদিকে, আইএমডি জানিয়েছে, পূর্ব ভারতে ২ মে পর্যন্ত এবং দক্ষিণ ভারতে আরও অন্তত পাঁচদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

বিষয়:

আট বাংলাদেশির মরদেহ দেশে আসবে দুপুরে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ১০:৩৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলের কাছে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির মরদেহ দেশে আসবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পোস্টে হয়, ‘শববাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ২ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা।’

লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতের এ দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ৫২ জন যাত্রী এবং এক চালকসহ নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে ডুবে যায়। নৌকাটি থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি, আটজন পাকিস্তানি, পাঁচজন সিরীয় ও চারজন মিসরীয়।

প্রাণ হারানো ৯ জনের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি ও একজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন।


banner close