শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প ৭০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত

সিরিয়ার ইদলিব শহরে একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে সাত বছর বয়সী জায়েদ আল ওমরের পাশে দাঁড়িয়ে আছে তার চার বছর বয়সী বোন শাম আল ওমর। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনে চাপা পড়ার ৪৫ ঘণ্টা পর এই ভাই-বোনকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:০৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:০৮

সিরিয়া ও তুরস্কে গত সপ্তাহের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৭০ লাখের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ মঙ্গলবার এ কথা জানায়। ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস ইলদার বলেন, তুরস্কে ভূমিকম্পের আঘাত হানা ১০টি প্রদেশে অন্ত ৪৬ লাখ শিশু বাস করত। অন্যদিকে সিরিয়ায় ভূমিকম্পদুর্গত অঞ্চলে ২৫ লাখ শিশু বাস করত। সংস্থাটি শঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, ভূমিকম্পে এই শিশুদের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে।

১৯৮ ঘণ্টা পর দুই ভাইকে উদ্ধার

তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৯৮ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই ভাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরে ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ বছর এবং ২১ বছর বয়সী দুই ভাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পরপরই দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে তাদের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা ফিঁকে হয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই ভাইকে জীবিত ফিরে পাওয়ার ঘটনা উদ্ধারকারীদের মনে সাহস জোগাচ্ছে।

এক দশক পর সিরিয়ায় সৌদি উড়োজাহাজ

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে মঙ্গলবার ত্রাণবাহী সৌদি উড়োজাহাজ অবতরণ করেছে। প্রায় দশ বছরের বেশি সময় পর সিরিয়ার মাটিতে নামল সৌদি উড়োজাহাজ।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১৫ টন খাবার নিয়ে আলেপ্পোয় বিমানবন্দরে এসেছে সৌদি উড়োজাহাজটি। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আরও দুটি সৌদি উড়োজাহাজ সিরিয়ায় আসবে। এএফপি জানায়, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় সর্বশেষ সৌদি উড়োজাহাজ এসেছিল। ওই বছরই সৌদি সরকার সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর দিকে দেশটির বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় সৌদি সরকার।

আরও দুটি সীমান্ত খুলছে আসাদ সরকার

জাতিসংঘ বলছে যে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার পর সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আরও দুটি সীমান্ত পারাপার খুলতে রাজি হয়েছে আসাদ সরকার। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘এটি একটি বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। আমরা এখন পর্যন্ত একটি সীমান্ত পারাপার ব্যবহার করছি।’

অনেক সিরীয় নাগরিক তাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সহায়তা না পৌঁছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সিরিয়ার আসাদের সরকার ‍ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হওয়ার জন্য দেশটির ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সাহায্য গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, আসাদ সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং দেশের সব এলাকায় উদ্ধার কাজে সংযুক্ত না হওয়াটাই মূল প্রতিবন্ধকতা।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর জাতিসংঘ নতুন দুটি সীমান্ত পারাপার খুলে দেয়ার খবর জানায়। এগুলো হলো- তুরস্কের সীমান্তের সঙ্গে থাকা বাব আল-সালাম এবং আল রাই সীমান্ত পারাপার। বিবিসি রেডিও ফোরের ওয়ার্ল্ড টুনাইট প্রোগ্রামকে গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, খুব শিগগিরই আমরা অন্য দুটি পারাপার ব্যবহার করব। দুজারিক আরও বলেন, ‘আমি শুধু অনুমান করতে চাই যে, মানুষ এই সংঘর্ষে যে পক্ষকেই সমর্থন করুক না কেন, এখন তারা রাজনীতিকে সরিয়ে রাখবে।’


গাজায় মার্কিন-সমর্থিত সহায়তা কেন্দ্র মৃত্যু ফাঁদ : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মার্কিন-সমর্থিত সহায়তা কেন্দ্রগুলোর বাইরে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিয়মিতভাবে হত্যা করছে বলে শুক্রবার অভিযোগ তুলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সংকট ও সংঘাতবিষয়ক সহপরিচালক বেলকিস উইলে বলেন, গাজায় ‘মার্কিন-সমর্থিত ইসরাইলি বাহিনী ও বেসরকারি ঠিকাদাররা একটি ত্রুটিপূর্ণ, সামরিক নিয়ন্ত্রিত ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা চালু করেছে, যা সহায়তা বিতরণকে নিয়মিত রক্তপাতের ঘটনায় পরিণত করেছে।’

প্রায় ২২ মাস ধরে গাজায় ইসরাইলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের ফলে জাতিসংঘ নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে এবং বেসামরিক মানুষেরা অনাহারে মৃত্যুবরণ করছে।

ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর পরিচালিত একটি বেসরকারি ত্রাণ উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছে, যা গাজার অভ্যন্তরে চারটি স্থানে পরিচালিত হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে মার্কিন সামরিক ঠিকাদার ও ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিরাপত্তা দিচ্ছে।

জিএইচএফ তাদের কার্যক্রম শুরু করে মে মাসের শেষ দিকে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়।

তখনই ইসরাইল দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা খাদ্য ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অবরোধ কিছুটা শিথিল করতে শুরু করে।

তথাপি, এরপর থেকে গাজার ভেতরে এএফপি প্রতিবেদক, সিভিল ডিফেন্স সংস্থা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বারবার এমন ঘটনার কথা জানিয়েছে, যেখানে সহায়তার আশায় জিএইচএফ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সেনারা গুলি চালিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মে থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ৮৫৯ জন ফিলিস্তিনি জিএইচএফ-এর ত্রাণকেন্দ্রগুলোর আশেপাশে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় নিহত হয়েছেন— যাদের অধিকাংশই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা গেছেন।

এইচআরডব্লিউ-এর বেলকিস উইলে বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী শুধু ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখছে না, বরং তারা এখন প্রায় প্রতিদিনই ওই মানুষগুলো যখন তাদের পরিবারের জন্য খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করছে তখন তাদের গুলি করে হত্যা করছে।’

এইচআরডব্লিউ-এর প্রতিবেদনের বিষয়ে এএফপির অনুরোধে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে তারা পূর্বে দাবি করেছে, তারা নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে না এবং দুর্ঘটনাজনিত হতাহত এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ শুক্রবার গাজায় জিএইচএফ-এর অন্তত একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছেন, এমন সময় যখন এই ক্ষুধা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।


মার্কিন নতুন শুল্ক বৃদ্ধিতে হতাশ কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি শুক্রবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্তে তার সরকার ‘হতাশ’ হয়েছে।

ট্রাম্প আগেই সতর্ক করেছিলেন যে কানাডা যদি আগামী সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়, তাহলে এর জন্য বাণিজ্যিক পরিণতি ভোগ করতে হবে।

অটোয়া থেকে এএফপি জানায়, এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প এই শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করেন।

তবে ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি (ইউএসএমসিএ)-র আওতায় থাকা অনেক পণ্য এই নতুন হারে শুল্কের বাইরে থাকবে।

‘কানাডার সরকার এই পদক্ষেপে হতাশ,’ এক বিবৃতিতে বলেন কারনি।

ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়, কানাডা ‘ফেন্টানিল ও অন্যান্য নিষিদ্ধ মাদকের স্রোত ঠেকাতে সহযোগিতায় ব্যর্থ’ হয়েছে এবং তার পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক’ আচরণ করেছে।

কারনি জানান, ফেন্টানিল নিয়ন্ত্রণে কানাডা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করছে।

‘মার্কিন ফেন্টানিল আমদানির মাত্র এক শতাংশই কানাডা থেকে আসে এবং আমরা এই পরিমাণ আরও কমাতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,’ তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো চুক্তি (ইউএসএমসিএ)-তে অটল আছে অটোয়া।

‘ইউএসএমসিএ অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কানাডার পণ্যের গড় শুল্কহার এখনো তাদের সব বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে সর্বনিম্ন,’ বলেন তিনি।

‘তবে আমাদের অর্থনীতির অন্য খাত- যেমন কাঠ, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও মোটরগাড়ি। তবে মার্কিন শুল্ক ও ডিউটির কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’


বিশ্ব বাণিজ্য পুনর্গঠনে ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আমূল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি বাণিজ্য

অংশীদার দেশের ওপর পুনরায় শুল্ক আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই পদক্ষেপকে তিনি মার্কিন উৎপাদন শিল্পের সুরক্ষা ও রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এসব শুল্ক কার্যকর হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। যদিও শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল শুক্রবার থেকেই এটি চালু হবে।

ট্রাম্পের মতে, এই শুল্ক ব্যবস্থা মার্কিন রপ্তানিকারকদের জন্য আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করবে এবং বিদেশি আমদানির প্রবাহ কমিয়ে দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করবে।

তবে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিচ্ছেন, এই পদক্ষেপ বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং অন্যান্য নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাবও ফেলতে পারে।

নতুন নির্বাহী আদেশে প্রায় ৭০টি দেশের ওপর শুল্ক বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, যাতে এপ্রিল মাসে ঘোষিত ১০ শতাংশ হার থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে।

দেশভেদে শুল্ক বৃদ্ধির এই হার ভিন্ন ভিন্ন হলেও, বেশ কয়েকটি দেশের জন্য তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, সুইজারল্যান্ডের জন্য শুল্ক হার বেড়ে ৩৯ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের জন্য শুল্ক হার কমে ১৯ শতাংশে এবং তাইওয়ানের জন্য এই হার কমে হয়েছে ২০ শতাংশ।

যদিও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে এই হার আরও কমানোর আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন।

কানাডিয়ান পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে।

তবে এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, কানাডার সঙ্গে আরও আলোচনার সুযোগ রয়েছে। কানাডা ও মেক্সিকোর জন্য আলাদা শুল্ক ব্যবস্থা প্রযোজ্য থাকবে এবং উত্তর আমেরিকান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় কিছু আমদানির ওপর ছাড় থাকবে।

এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাণিজ্য বিশ্লেষক ওয়েন্ডি কাটলার বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এই নির্বাহী আদেশ এবং গত কয়েক মাসে স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট চুক্তিগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শাসনকে চ্যালেঞ্জ করেছে।’

বর্ধিত শুল্কের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেও ওয়াশিংটন দু’বার এ সিদ্ধান্ত পিছিয়ে নেয়। এ সময়ে তীব্র আলোচনা, নতুন শুল্ক ঘোষণা এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, মেক্সিকান পণ্যের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশেই থাকছে এবং পূর্বঘোষিত বৃদ্ধি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট

ক্লাউদিয়া শেইনবামের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়।

৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প বাণিজ্যে ‘সংরক্ষণবাদী’ নীতির প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘শুল্ক ছাড়া আমাদের অর্থনীতির টিকে থাকার কিংবা সফলতার কোনো সুযোগ নেই।’

তবে তার এই নীতি নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।

একটি নিম্ন আদালত ইতোমধ্যে মত দিয়েছে যে, ট্রাম্প তার ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। এখন বিষয়টি মার্কিন আপিল আদালতে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।

ট্রাম্প তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন যে, শুল্কের কারণে রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

তবে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন যে, এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে এবং এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তা ও উৎপাদক— দুই পক্ষেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে এবং শুল্ক বৃদ্ধি এড়াতে পেরেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে- ভিয়েতনাম, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

যুক্তরাজ্যও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যদিও তাদের ওপর শুরুতে উচ্চ ‘পাল্টা’ শুল্ক আরোপের লক্ষ্য ছিল না।

কানাডার ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, অন্য দেশের মাধ্যমে কানাডা থেকে পণ্য ট্রান্সশিপ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হলে আরও বেশি শুল্ক আরোপ করা হবে।

ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার পর ওয়াশিংটন-অটোয়া বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন করে চাপে পড়েছে।

নতুন শুল্ক ব্যবস্থায় এপ্রিল মাসে তালিকাভুক্ত না থাকা দেশগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন- ইকুয়েডর, ঘানা ও আইসল্যান্ডের ওপর এখন ১৫ শতাংশ হার প্রযোজ্য হবে।

চীন যদিও এই ঘোষণার মধ্যে ছিল না, তার পরেও তাদের ওপর শুল্ক সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত আসছে ১২ আগস্টে। তখন দ্বিপাক্ষিক শুল্ক হারে আবারও বড় পরিবর্তন আসতে পারে।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ইতঃপূর্বেই পাল্টা শুল্ক আরোপ করে একাধিকবার শতকরা তিন অঙ্কে পৌঁছে যায়, তবে বর্তমানে উভয় দেশ এই হার সাময়িকভাবে কমিয়ে একটি বাণিজ্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সেটি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।


ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেল আরও ৪৮ ফিলিস্তিনির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় ত্রাণ নিতে গিয়ে আরও অন্তত ৪৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০) এ হতাহতের তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিফ উইটকফ।

গাজা শহরের শিফা হাসপাতাল জানিয়েছে, নিহত ও আহতরা জিকিম ক্রসিং এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। এটি উত্তর গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের প্রধান পথ। তবে কে গুলি চালিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি এবং ওই ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, আল-সারায়া ফিল্ড হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের হাসপাতালে শতাধিক আহত ও নিহতদের নিয়ে আসা হয়েছে।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিভাগের প্রধান ফারেস আওয়াদ জানান, কিছু লাশ অন্য হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছে। এ কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গুলিতে অন্তত ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই খাবারের খোঁজে জড়ো হয়েছিলেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলাগুলোর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। সেনাবাহিনীর দাবি, তারা কেবল যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই হামলা চালায়। তাছাড়া বেসামরিক মৃত্যুর জন্য হামাসকেই দায়ী করে। কারণ তাদের ভাষ্যে, হামাসের যোদ্ধারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেন।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, অনাহারে এক শিশুসহ আরও সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে অনাহারে ৮৯ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক ৬৫ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও রয়ে গেছে বাধা

গাজায় ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে উপত্যকাটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। একের পর এক অনাহারে মৃত্যুর পর আন্তর্জাতিক চাপের কারণে গাজায় ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছে ইসরায়েল।

তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রয়োজন, তা সম্পূর্ণভাবে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে কাজ করা ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাট জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাজায় ২২০টিরও বেশি ট্রাক প্রবেশ করেছে।

তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে যুদ্ধবিরতির সময় প্রতিদিন গড়ে জাতিসংঘের ৫০০–৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করত। সে তুলনায় বর্তমানে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না গাজাবাসী। তাছাড়া এখনো গাজায় প্রবেশ করা সহায়তা যথাযথভাবে বিতরণে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘ। কারণ অধিকাংশ ট্রাক ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ভিড় করা জনতার মাধ্যমে খালাস হয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) থেকে খাবার নিতে গিয়ে মে থেকে এ পর্যন্ত অন্তত এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে এবার কানাডা ও মাল্টার সম্মতি

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলা ও অনাহারে একের পর এক মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমা বিশ্বও।

দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের ভিত্তি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা ও মাল্টা।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি মন্ত্রিসভার এক বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন। এর আগে মাল্টার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ক্রিস্টোফার কুটাজার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানবিষয়ক অধিবেশনে মাল্টার অবস্থান ঘোষণা করেন।

তবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ হামাসের ‘সন্ত্রাসবাদ’ পুরস্কৃত করার শামিল হবে বলে মন্তব্য করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু লেখেন, ‘আজ ইসরায়েলের সীমান্তে একটি জিহাদি রাষ্ট্র গড়া হলে, কাল সেটি আপনাদের জন্যেই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’


ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী এমিল বোভ বিচারপতি নিযুক্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী এমিল বোভকে যুক্তরাষ্ট্রের থার্ড সার্কিট কোর্ট অব অ্যাপিলস-এর ফেডারেল আপিলেট বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছে মার্কিন সিনেট।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, মঙ্গলবার সিনেটে ৫০-৪৯ পার্টিজান (দলীয় বিভক্তি) ভোটে আজীবন মেয়াদে এই পদে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়। ডেমোক্র্যাটরা তীব্র আপত্তি জানিয়ে এ মাসের শুরুতে সিনেট কমিটির একটি বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন।

আলাস্কার লিসা মারকউস্কি এবং মেইনের সুসান কলিন্স- এই দুই রিপাবলিকান সিনেটর বোভের মনোনয়নের বিপক্ষে ভোট দিলেও রিপাবলিকানদের ৫৩-৪৭ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় মনোনয়ন অনুমোদন হয়।

৪৪ বছর বয়সী এমিল বোভ একজন সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর এবং বিচার বিভাগে তৃতীয় সর্বোচ্চ পদে থাকার সময় ট্রাম্প তাকে মনোনয়ন দেন।

তবে তার মনোনয়ন ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়। সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর ডিক ডারবিন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বোভের প্রধান যোগ্যতা হলো এই প্রেসিডেন্টের প্রতি তার অন্ধ আনুগত্য।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বোভ ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে অবস্থান নেন এবং যারা তাদের বিচারের আওতায় এনেছিলেন, তাদের বরখাস্ত করেন।

বোভের বিচারিক এলাকা হবে ডেলাওয়ার, নিউ জার্সি এবং পেনসিলভানিয়া- এই তিনটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য।

নিউ জার্সির সিনেটর কোরি বুকার এবং অ্যান্ডি কিম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বোভের পেশাগত রেকর্ডে অসদাচরণ, নৈতিক লঙ্ঘন এবং বিচার বিভাগের নীতি-নৈতিকতার প্রতি অসম্মানের প্রমাণ রয়েছে।’

বোভের মনোনয়নের বিরুদ্ধে আইনজীবী মহলে জোরালো প্রতিবাদ গড়ে ওঠে।

৯০০-র বেশি সাবেক বিচার বিভাগীয় আইনজীবী সিনেট কমিটিতে একটি চিঠি দিয়ে বলেন, ‘যিনি বিচার বিভাগকে অপমান করেন, তার উচ্চ আদালতে নিযুক্তি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’

একইসাথে ৭৫ জনেরও বেশি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক আরেকটি চিঠিতে বলেন, ‘একজন প্রেসিডেন্টের পক্ষে তার নিজস্ব অপরাধ মামলার আইনজীবীকে বিচারপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া অত্যন্ত অনুচিত।’

বোভ ট্রাম্পের হয়ে নিউ ইয়র্কে ৩৪টি ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতির মামলায় সাফাই পেশ করেন, যা এক পর্নোতারকাকে ঘুষ প্রদান কেলেঙ্কারি ঢাকতে করা হয়েছিল।

এছাড়া তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফেডারেল ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেন, যা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর বন্ধ হয়ে যায়।

চলতি বছর, বোভ নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস এর বিরুদ্ধে থাকা ঘুষ ও জালিয়াতির অভিযোগ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন, যার ফলে ম্যানহাটন ইউএস অ্যাটর্নি অফিস ও ওয়াশিংটনের বিচার বিভাগে ব্যাপক পদত্যাগ শুরু হয়।

বোভ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে মেয়রের সমর্থনের বিনিময়ে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করেন।


দক্ষিণ আফ্রিকায় জি২০ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, তার আগামী নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের ‘পদ্ধতিগতভাবে নিপীড়ন ও হত্যার’ বিতর্কিত বিষয়গুলো পুনরায় উত্থাপন করেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকা অবস্থায় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি অন্য কাউকে পাঠাতে পারি। কারণ আমার দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমার অনেক সমস্যা রয়েছে।

তিনি বলেন, ওখানে কিছু খুব খারাপ নীতি চালু আছে। অনেক মানুষ মারা গেছে। তাই আমার মনে হয় না আমি যাব। আমি যেতে চাই, কিন্তু সম্ভবত যাব না।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার বিষয়ে মনোযোগ দেন। বিশেষ করে তার তৎকালীন মিত্র এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ইলন মাস্কের উত্থাপিত দাবির ভিত্তিতে দেশটির বিরুদ্ধে তিনি শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অভিযোগ তুলেন।

ওয়াশিংটন চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ভূমি বাজেয়াপ্তকরণ আইনের বেশ সমালোচনা করেছে। এ আইনের লক্ষ্য ছিল শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু শাসনের সময়কার বৈষম্য দূর করা।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা যুক্তরাষ্ট্রের সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এই আইন ইচ্ছাকৃতভাবে শ্বেতাঙ্গ মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে নয়।

গত মে মাসে হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট রামাফোসাকে চাপে ফেলেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে একটি ভিডিও প্রচার করেন। এর মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুর ওপর ‘গণহত্যা’ চলছে বলে দাবি করেন।

এই নিপীড়নের অভিযোগ করে ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকার শেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এ শুল্ক আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

এছাড়া, চলতি বছরের শুরুর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বর্জন করেন।


ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বকে আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ফ্রান্সসহ ১৫টি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের সব দেশকে আহ্বান জানিয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্যারিস থেকে এএফপি জানিয়েছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সম্মেলনের পর ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো এক্স-এর এক পোস্টে লিখেছেন, ‘নিউইয়র্কে আরো ১৪টি দেশের সঙ্গে ফ্রান্স একটি সম্মিলিত আহ্বান জানাচ্ছে যে আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছি এবং যারা এখনো তা করেনি, তাদের আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এই সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে পুনর্জীবিত করা।


৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে রাশিয়া, জাপানে সুনামি; দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে সতর্কতা জারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বুধবার ৮.৮ মাত্রার ওই কম্পনে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে সুনামির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আলাস্কা, হাওয়াই ও দক্ষিণে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

জাপান ও মার্কিন ভূমিকম্পবিদদের মতে, জাপানের স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ভূমিকম্পটির প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৮.০। পরে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) তা সংশোধন করে ৮.৮ করে এবং ভূকম্পনটির গভীরতা ছিল ২০.৭ কিলোমিটার।

ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাশিয়ার কামচাটকার পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহর থেকে ১১৯ কিলোমিটার পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পূর্বে। ওই শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে এ পর্যন্ত ৬.৯ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পনও রেকর্ড করা হয়েছে।

পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কিতে ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, রাস্তায় গাড়ি দুলেছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং মোবাইল ফোন সেবাও বন্ধ হয়ে যায়।

রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কয়েকজন চিকিৎসা সহায়তা চাইলেও গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

২০১১ সালের মার্চে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বিশ্বজুড়ে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পন। ওই ভূমিকম্পে বিশাল সুনামি হয়েছিল এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গলন শুরু হয়।

তবে জাপানের প্রশান্ত উপকূলীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বুধবারের ভূমিকম্পের পর কোনো গড়বড় ধরা পড়েনি। টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) জানিয়েছে, ফুকুশিমা দাইইচি কেন্দ্রটিতে প্রায় ৪ হাজার কর্মী উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং দূর থেকে কেন্দ্রে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফিলিপাইনের ভূকম্প ও আগ্নেয়গিরি সংস্থার প্রধান টেরেসিতো বাকলকল বলেন, তাদের পূর্ব উপকূলীয় শহর ও প্রদেশগুলোতে ১ মিটার (৩ ফুট) এর চেয়ে কম উচ্চতার সুনামি ঢেউ আঘাত হানতে পারে।

তিনি বলেন, ‘ঢেউ বড় না হলেও তা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আসতে পারে এবং পানিতে থাকা মানুষের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সুনামির প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়। এ সময় হনলুলুতে সুনামির সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে এবং মানুষ উঁচু এলাকায় সরে যেতে শুরু করে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, হোক্কাইডোর দক্ষিণ উপকূলীয় টোকাচিতে ৪০ সেন্টিমিটার (১.৩ ফুট) উঁচু সুনামি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের ভূকম্পনের উপকেন্দ্রসংলগ্ন এলাকাগুলোতে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানকার লোকজন সরিয়ে নেওয়া হলেও গুরুতর কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় গভর্নর ভ্যালেরি লিমারেঙ্কো জানান, রাশিয়ার কুরিল দ্বীপপুঞ্জের প্রধান বসতি সেভেরো-কুরিলস্কে প্রথম সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপদে আছেন এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা কেটে না যাওয়া পর্যন্ত তারা উঁচু এলাকায় অবস্থান করবেন।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতাকেন্দ্র জানায়, ভূমিকম্পটি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের সব দ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো সুনামির সৃষ্টি করেছে। তাদের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘জীবন ও সম্পদ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলীয় অঙ্গরাজ্য ওরেগনের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ ফেসবুকে জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের পর ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার ছোট ছোট সুনামির ঢেউ ওরেগনের উপকূলে পৌঁছাতে পারে। এ সময় মানুষকে সমূদ্র সৈকত, বন্দর ও নৌ-ঘাঁটি এড়িয়ে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তারা জানায়, ‘এটি বড় কোনো সুনামি নয়, তবে জলোচ্ছ্বাস ও বিপজ্জনক স্রোত পানির কাছাকাছি থাকা ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।’

ওরেগনসহ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলজুড়ে, অর্থাৎ, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া, ওয়াশিংটন ও ক্যালিফোর্নিয়াতেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির উপকূলজুড়ে ‘অস্বাভাবিক প্রবল স্রোত ও অনিয়মিত ঢেউ’ দেখা দিতে পারে। তাদের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা সবাইকে পানির বাইরে, সৈকত ও নদী মোহনার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে বলেছে।

নিউজিল্যান্ড প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে, ভূকম্পনের উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ৯ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

রাশিয়ার ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থার কামচাটকা শাখা জানিয়েছে, ১৯৫২ সালের পর এই এলাকায় এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

তারা বলছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কম্পন-পরবর্তী আঘাতের ঝুঁকি রয়েছে এবং তা এক মাস পর্যন্ত চলতে পারে। কিছু উপকূলীয় এলাকায় না যাওয়ার জন্যও সতর্ক করেছে তারা।

এ মাসের শুরুতেই কামচাটকার উপকূলে সমুদ্রে পাঁচটি শক্তিশালী ভূকম্পন হয়েছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির মাত্রা ছিল ৭.৪। সেটি ২০ কিলোমিটার গভীরে এবং পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি থেকে ১৪৪ কিলোমিটার দূরে ছিল।

এর আগে ১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর কামচাটকায় ৯.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, যদিও সেটি হাওয়াইয়ে ৯.১ মিটার (৩০ ফুট) উঁচু ঢেউ সৃষ্টি করেছিল।


নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৫ : মার্কিন গণমাধ্যম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানের মধ্যাঞ্চলে সোমবার একটি বহুতল ভবনে এক বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও রয়েছেন।

মার্কিন গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে (২২০০ জিএমটি) ঘটনার সূত্রপাত হয়। নিউইয়র্কের বিখ্যাত পার্ক অ্যাভিনিউর একটি বহুতল ভবনে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শত শত পুলিশ বহুতল ভবন বিশিষ্ট পার্ক অ্যাভিনিউ এলাকা ঘিরে ফেলেন।

ওই ভবনে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকস্টোন, নিরীক্ষা সংস্থা কেপিএমজি এবং ন্যাশনাল ফুটবল লিগের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল ৩৪৫, পার্ক অ্যাভিনিউ একটি অফিস টাওয়ার ব্লকে অবস্থিত। ঘটনাস্থলটি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একমাত্র সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন। তবে, সন্দেহভাজনের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন নারী কর্মী জানান, আমি এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমি তখন পাশেই ছিলাম। অন্য একজন বর্ণনা করেছেন যে কর্মীরা চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই সময় একজন বন্দুকধারী একের পর এক ফ্লোরে ছুটছিলেন’।

একটি আইন প্রয়োগকারী সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, ‘আজ মিডটাউন ম্যানহাটনে গুলি চালানোর ঘটনায় নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের একজন কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন,’। সূত্রটি আরো জানিয়েছে যে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ‘আত্মঘাতী’ বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনার পরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘আঘাত’ করা হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মেয়র।

যদিও নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র পরবর্তী সময় বলেন, তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত কিংবা অস্বীকার—কোনোটাই করতে পারছেন না।

পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, এই মুহূর্তে ঘটনাস্থল নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং একমাত্র সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী অফিস কর্মী শাদ সাকিব এএফপিকে বলেন, তিনি কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন, এমন সময় তাদের নিজ নিজ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকে ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, 'সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল। পরে একজন বিষয়টি বুঝতে পারে যে, কেউ একজন মেশিনগান নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেছে।'


অবশেষে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সীমান্ত নিয়ে বিরোধের জেরে চলমান সংঘর্ষের পর নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। বিষয়টি জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়োর ইব্রাহিম। সংঘর্ষের পাঁচদিন পর অবশেষে সমাধানে এসেছে প্রতিবেশী দেশদুটি।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে প্রতিবেশী দেশদুটির ছয়টি সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও রকেট হামলার মধ্য দিয়ে এই সহিংসতা শুরু হয়। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত এবং ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সংঘর্ষের পাঁচ দিন পর যুক্তরাষ্টের চলমান চাপের কারণে সোমবার পুত্রজায়ায় ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যুদ্ধ থামাতে সম্মত হন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমথম ওয়েচায়াচাই।

এর আগে, শনিবার (২৬ জুলাই) নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সরকারপ্রধানকে তিনি বলেছেন যে সংঘাত না থামালে তাদের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনায় এগোবে না ওয়াশিংটন। এরপর দুই দেশই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

সোমবারের বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উভয় পক্ষই খোলামেলা আলোচনার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে একটি অভিন্ন বোঝাপড়ায় পৌঁছেছে।’ উত্তেজনা প্রশমন এবং শান্তি ও নিরাপত্তা পুনর্প্রতিষ্ঠার পথে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিস্তারিত কার্যপদ্ধতি প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা যায়।

এ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শিগগিরই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন। তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা পুনর্গঠনের এখনই সময়।’

এ ছাড়া এই সিদ্ধান্ত শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য থাইল্যান্ডের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন ফুমথম।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি চাপের কারণেই এই যুদ্ধবিরতি হওয়ায় সোমবার এক্সে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি ও শান্তি স্বাপনে সম্মত হয়েছে। আমি শান্তির প্রেসিডেন্ট হয়ে গর্বিত।’

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈঠক আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-ও। তিনি বলেন, তৎক্ষণাৎ সংঘর্ষ বন্ধে তিনি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সরকার এই সংঘাত অবসানের জন্য তাদের অঙ্গীকার পূর্ণভাবে রক্ষা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এরপর হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট যুদ্ধবিরতির খবর এক্সে পোস্ট করে লেখেন, ‘এই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিন!’

থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত বহু দশক ধরেই বিরোধপূর্ণ। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ছোট একটি সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির মধ্য দিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত হয়।

সে সময় এক কম্বোডিয়ান সেনা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। শুরুতে দুপক্ষই দাবি করে যে তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। এ নিয়ে তখন উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর এই সামরিক উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

পরে দুই দেশ উত্তেজনা হ্রাসে একমত হয়। তবে সীমান্তে কড়াকড়ি, নিষেধাজ্ঞা ও বাকযুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।


যুদ্ধ বিরতির প্রথম দিনে গাজায় ১২০ ট্রাক ত্রাণ পৌঁছেছে : ইসরাইল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরাইল সোমবার জানিয়েছে, যুদ্ধে আংশিক বিরতির প্রথম দিনে জাতিসংঘ এবং সহায়তা সংস্থাগুলো গাজা উপত্যকায় ১২০ টিরও বেশি ট্রাক ভর্তি খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছে।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

রোববার, ইসরাইল গাজার কিছু এলাকায় সামরিক হামলা ‘কৌশলগত’ বিরতি ঘোষণা করেছে এবং ত্রাণের জন্য নিরাপদ রুট খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং মানবিক গোষ্ঠীগুলোকে খাদ্য বিতরণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক বিষয় তত্ত্বাবধানকারী ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংস্থা কো-অর্ডিনেটর অব গভার্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন দ্য টেরিটোরিস (কোগ্যাট) সোমবার এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছে, গতকাল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ১২০ ট্রাকেরও বেশি ত্রাণ সংগ্রহ এবং বিতরণ করেছে’।


মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় ‘নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সোমবার মধ্যরাত থেকে ‘নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতিতে যাবে বলে ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

পুত্রাজায়া থেকে এএফপি জানায়, মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মধ্যস্থতামূলক আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড উভয় পক্ষ একটি অভিন্ন সমঝোতায় পৌঁছেছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী ২৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখ মধ্যরাত থেকে ‘তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।


গাজায় অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ১ লাখ শিশু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় খাবার-সংকট অসহনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে। উপত্যকাটিতে দুই বছরের কম বয়সি ১ লাখের বেশি শিশু অপুষ্টির কারণে মৃত্যুর চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজার কিছু এলাকায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে হামলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

টানা ১১ সপ্তাহ অবরোধের পর মে মাসের শেষের দিক থেকে গাজায় খুব সামান্য পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েলে ও যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্রে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে হত্যার শিকার হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে রয়েছেন।

গাজায় খাবার-সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। উপত্যকাটির জনসংযোগ কার্যালয় থেকে গত শনিবার জানানো হয়েছে, ফর্মুলা দুধ সরবরাহ না করা হলে আসন্ন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে দুই বছরের কম বয়সি ১০ লাখের বেশি শিশু। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার শিশুর বয়স এক বছরের কম। ফর্মুলা দুধের অভাবে শিশুদের পানি খাওয়াচ্ছেন মায়েরা।

চরম দুর্দশায় রয়েছেন গাজার মায়েরাও। অপুষ্টির কারণে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না তারা। এমনই একজন জয়নব। তিনি বলেন, ‘এই অনাহারের মধ্যেই আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। যখন সন্তানের জন্ম দিই, তখনো অনাহারে ছিলাম। গত ৯ মাসে একটি ডিমও খেয়েছি কি না, মনে পড়ে না। এর বেশি আর কী বলব?’

খাবারের এই হাহাকারের মধ্যে গতকাল রোববার অনাহারে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত মার্চে গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ শুরু পর থেকে এ নিয়ে অনাহার ও অপুষ্টিতে অন্তত ১২৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে ৮৫ জনের বেশি শিশু। এছাড়া ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘ। উপত্যকাটিতে ‘ব্যাপক হারে দুর্ভিক্ষ’ ছড়িয়ে পড়ছে বলে গত বুধবার সতর্ক করেছিল শতাধিক মানবাধিকার সংস্থা। এ ছাড়া গাজায় দেখা দেওয়া ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ থামানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।

এএফপি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আজ গাজার কিছু এলাকায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে ‘কৌশলগত সামরিক কর্মকাণ্ড’ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলেছে, উপত্যকার আল মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা নগরীতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হামলা চালানো হবে না। এ সময়ে জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সড়কপথে নিরাপদে ত্রাণ পাঠাতে পারবে।

এ ছাড়া গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা হচ্ছে বলে আজ জানিয়েছে ইসরায়েল। উত্তর গাজায় এমনই একটি ত্রাণের বাক্স একটি তাঁবুর ওপর পড়ে অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মিসর থেকেও রাফা ক্রসিং হয়ে ত্রাণের ট্রাক গাজায় প্রবেশ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ।

এদিকে গাজাবাসীর জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) জাহাজ ‘হান্দালাকে’ বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, জাহাজটির আরোহীদের ‘অপহরণ’ করা হয়েছে। ওই সময় জাহাজটি গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই


banner close