বিশ্ব ব্যাংকের নেতৃত্ব দিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অজয় বাঙ্গাকে মনোনয়ন দিয়েছেন জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের বর্তমান প্রধান ডেভিড ম্যালপাস। এর পরই মনোনয়নপ্রার্থীদের আবেদন জমা নিতে শুরু করে ঋণদাতা সংস্থাটি। যা চলবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। নেতৃত্বে আসার ক্ষেত্রে নারী প্রার্থীদের বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান সাধারণত মার্কিন নাগরিকই হন। আর প্রথাগতভাবে আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থার (আইএমএফ) প্রধান হন ইউরোপীয় কেউ। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার।
৬৩ বছর বয়সী বাঙ্গা বর্তমানে ইকুইটি ফার্ম জেনারেল আটলান্টিকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে মাস্টারকার্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
বাঙ্গাকে মনোনয়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনসহ বর্তমান সময়ের জরুরি মুহূর্ত সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি সম্পদ ব্যবহারে তীক্ষ্ণ দক্ষতা আছে তার।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
গাজার সব কয়টি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়ে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
গতকাল শনিবার গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, কোরবানির পশু প্রবেশের ওপর ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে ঈদুল আজহা উদযাপন এবং ইসলামী ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ হিসেবে কোরবানি করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাজার কয়েক হাজার পরিবার।
এক বিবৃতিতে গাজা কর্তৃপক্ষ বলেছে, দখলদার বাহিনী একটি নতুন অপরাধ করেছে। রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখল এবং বন্ধ করাসহ গাজা উপত্যকার সবগুলো ক্রসিং বন্ধ করে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা দিয়েছে তারা। এটিকে ‘মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি পুরোপুরি অবজ্ঞা’ বলে উল্লেখ করেছে গাজার মিডিয়া অফিস।
গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।
টানা আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আক্রমণে গাজার লাখ লাখ মানুষ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে।ইসরায়েলের হামলায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছে বহু গবাদি পশু। অনাহারেও মারা গেছে অনেক। এর ফলে এ বছর সেখানে কোরবানির পশুর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এ অবস্থায় বাইরে থেকে পশু প্রবেশে বাধা দেওয়া গাজাবাসীর জন্য নতুন সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই শেষ হলো হজের আনুষ্ঠানিকতা। এবারের হজে আরাফাত ময়দানে ১৫ লাখেরও বেশি মুসলমান জড়ো হন। গতকাল শনিবার সৌদির তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তীব্র গরমের মধ্যেই মহান আল্লাহতায়ালার কাছে চোখের জল ফেলে নিজ নিজ জীবনের সব পাপ মুছে ফেলার আকুতি নিয়ে হাজিরা প্রার্থনায় ছিলেন মশগুল।
মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে অবস্থিত পাথুরে আরাফাত পর্বত। ৭০ মিটার (২৩০ ফুট) উচু এই পাহাড়টিতে আরোহণ করে প্রার্থনা করেন হাজিরা। সেখানে নবী মোহাম্মদ (সা:) তাঁর শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন।
এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। নিজের পাপের বোঝার কথা স্মরণ করে লাখ লাখ মুসল্লির অবিরল অশ্রুধারায় ভিজেছে ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দান। তাঁদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাত ময়দান প্রকম্পিত হয়েছে।
এসময় হাজিদের কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা নিজেদের আত্মশুদ্ধি ও পাপমুক্তির আকুল বাসনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে অঝোরে কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন। নামাজ আদায় করার পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থেকেছেন।
মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় সার্বক্ষণিক জিকির করেছেন। প্রায় সারাক্ষণ তালবিয়া পড়েছেন। আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য প্রকাশ করছেন।
এর আগে, পবিত্র হজ পালনের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে সৌদি আরবে আসা বিশ্বের ২৫ লাখ মুসল্লি হজের দ্বিতীয় রুকন আদায়ের জন্য শনিবার সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই ময়দানেই অবস্থান করেন তাঁরা। আরাফাতের দিনকে মনে করা হয় বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। এদিন মহান আল্লাহ বান্দাদের পাপ মাফ করে দেন।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় মূলত পরদিন ঈদুল আজহায় কোরবানির মধ্য দিয়ে। আজ রোববার সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। খুব সকালে ঈদের জামাত আদায়ের পর কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে হাজিরা ঈদের আনন্দে মেতে উঠবেন। দিনটি বরকতময়। এদিন হাজিরা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কাটাবেন।
মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন মক্কায়। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে পবিত্র আরাফাতের ময়দান।
আজ শনিবার (১৫জুন) মক্কার ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ৯ই জিলহজ ইয়াওমুল আরাফা বা হাজিদের আরাফার ময়দানে অবস্থানের দিন। এটিই হজের অন্যতম প্রধান রোকন বা ফরজ। এই দিনকেই হজের দিন বলা হয়।
আরাফাত দিবসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ নামিরা থেকে হজের খুতবা ও নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আরাফাতে এ দিনের আনুষ্ঠানিকতাকে মূল হজ বলা হয়।
এ বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। এদিন রাতে পবিত্র মিনায় অতিবাহিত করেছেন হজযাত্রীরা। সেখান থেকে আজ দলে দলে আরাফাতের ময়দানে যাচ্ছেন হজযাত্রীরা।
হজের নিয়ম অনুযায়ী জিলহজ মাসের ৯ তারিখে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন হজযাত্রীরা। এরপর সেখানে অবস্থান করেন তারা।
এবার হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিল। তিনি আরাফাতের মসজিদে নামিরাহ থেকে হাজিদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেবেন। এ ছাড়া এই মসজিদে জোহর এবং আসরের নামাজের ইমামতিও করবেন তিনি।
এরপর সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন। ওই সময় প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করার জন্য তারা নুড়ি পাথরও সংগ্রহ করবেন।
মুজদালিফায় হজযাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ফজর নামাজ পড়ে তারা আবারও চলে যাবেন তাঁবুর শহর মিনায়।
কুয়েতে দক্ষিণাঞ্চলে আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওনমানোরামার তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ ভারতীয় নাগরিক আছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনই কেরালার বাসিন্দা। ওই ভবনে ১৯৫ শ্রমিক ছিলেন; যাদের বেশিরভাগই কেরালা ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা।
অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটি মালয়ালি ব্যবসায়ী কেজি আব্রাহামের মালিকানাধীন এনবিটিসি গ্রুপের বলে জানিয়েছে ওনমানোরামা।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। সেখানে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অর্ধ-শতাধিক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। আমাদের রাষ্ট্রদূত ক্যাম্পে গেছেন। আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’
কুয়েতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘আজকের অগ্নিকাণ্ডে আহত ৩০ জনেরও বেশি ভারতীয় শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইদ আল ওয়াইহান প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডে ৩৫ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরে আহতদের মধ্যে আরও ছয়জন একটি হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির জেনারেল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের একটি সূত্র বলছে, ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লাগার পর ধোঁয়া ওপরের দিকে উঠে যায়। যে কারণে সেখানে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকরা দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ঘটনার পর মানগাফ ও তার আশপাশের এলাকার সব হাসপাতালে উচ্চ-সতর্কতা জারি করেছে।
অগ্নিকাণ্ডে আহত অন্তত ৪৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলে শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের সিনিয়র ফিল্ড কমান্ডার সামি আবদুল্লাহ নিহত হওয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা যায়।
আজ বুধবার এই হামলার মধ্য দিয়ে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সংঘর্ষের উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই সীমান্তে গুলি বিনিময় করছে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ক্রমাগত বাড়তে থাকা শত্রুতা উভয়পক্ষ যে একটি বড় সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দক্ষিণ লেবাননের জুয়াইয়াতে হামলায় নিহত হন তালেব। বুধবার বিকালে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সবচেয়ে সিনিয়র এই কমান্ডার দক্ষিণ সীমান্তের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে হিজবুল্লাহর কমান্ডার ছিলেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ওই হামলার জবাবে ১০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রকেট হামলার ঘটনা এটি।
জুয়াইয়াতে ইসরায়েলের হামলাকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করে দেশটিতে অন্তত চারটি হামলার ঘোষণা দিয়েছিল হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে একটি ইসরায়েলি সামরিক কারখানায় নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যোদ্ধারা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে প্রায় ৫০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
অপর একটি ঘোষণায় বলা হয়েছে, লেবানন থেকে আনুমানিক ৯০টি উড়ন্ত বস্তুকে ইসরায়েলের দিকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কয়েকটিকে প্রতিহত করেছে ইসরায়েল। তবে অন্যগুলো উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে পড়েছিল। এতে বেশ কয়েকটি এলাকায় আগুন লাগে। তবে উড়ন্ত বস্তুগুলো ডোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ছিল কি না তা স্পষ্ট করা হয়নি।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ‘সামি আবদুল্লাহ’ নিহত হয়েছেন।
লেবাননের একটি সামরিক সূত্র গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সামরিক সূত্রটি বলছে, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ শুরুর পর হিজবুল্লাহর যেসব সদস্য নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তি।’
গাজা যুদ্ধের জেরে লেবাননের সীমান্ত এলাকায় সহিংসতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। লেবাননের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।
লেবাননের সামরিক সূত্রের তথ্যমতে, দেশটির জুয়াইয়া শহরে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন।
হিজবুল্লাহর বরাতে এএফপির খবরে বলা হয়, সংগঠনটির নিহত কমান্ডারের নাম সামি আবদুল্লাহ ওরফে আবু তালেব। তার জন্ম ১৯৬৯ সালে।
কুয়েতের মাঙ্গাফ শহরে শ্রমিক ভবনে আগুন লেগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪১ জনে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এ তথ্য দিয়েছেন। ওই ভবনটিতে প্রায় ১৬০ জন শ্রমিক বসবাস করত বলে জানা গেছে। তারা সবাই একই কম্পানির অধীনে কাজ করতেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহদ আল ইউসেফ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ ঘটনার জন্য আবাসনের মালিকদের দায়ি করে বলেছেন, তাদের লোভ ও নিয়মনীতি লঙ্ঘনের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভবনের মালিকদের লোভের কারণেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে।’
আজ বুধবার ভোর ৬টায় কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার খবর পায় বলে জানিয়েছেন কুয়েত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইদ রাশিদ হামাদ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জেনারেল হামাদ বলেন, ‘যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটিতে শ্রমিকরা থাকতো।’
সেখানে বহু শ্রমিক ছিল। এদের মধ্যে অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে।’ ভবনগুলোতে একসঙ্গে অনেক শ্রমিককে না রাখার জন্য তারা ‘সবসময় সতর্ক করে আসছেন’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশই ঘুমের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গাল্ফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে মাঙ্গাফ শহরের ছয়তলা ভবনের একটি রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহদ আল ইউসেফ এ ঘটনাকে একটি বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেজর জেনারেল ইদ রশিদ জানান, অগ্নিনির্বাপক ও ফরেনসিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশী নাগরিকও রয়েছে। কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগুনে আহত প্রায় ৪৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং আগুন লাগার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।
কুয়েতের দক্ষিণ আহমেদি গভর্নরেটের মানগাফ শহরে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। ভবনটি শ্রমিকদের আবাসিক ভবন ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আরব নিউজ।
কুয়েতের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মানগাফের একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত চারজন এবং পাশের আরেকটি ভবনের অন্তত ৩৫ জন মারা গেছেন। অর্থাৎ, মোট ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তার।
তবে হতাহতের এই সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দমকলকর্মীরা এখনও আগুন নেভাতে কাজ করছেন। কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কুনার তথ্য অনুসারে, অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৩ জন আহত হয়েছেন।
চিকিৎসার জন্য তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
হজের সময় চলমান তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে হজযাত্রীদের সতর্ক করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। এ সময় মন্ত্রণালয় নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে হজযাত্রীদেরকে।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ আল-আব্দুল আলি বলেছেন, উচ্চতাপমাত্রা এ বছরের হজ মৌসুমে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। অতি গরম থেকে সুরক্ষিত থাকতে হজযাত্রীদেরকে তিনি মন্ত্রণালয় নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
হজের সময় গরম থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহারের পাশাপাশি বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া প্রয়োজন ছাড়া হাজিদেরকে বাইরে না যাওয়ার জন্যও সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরবের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, হজের সময় মক্কার তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
গতবারও হজের সময় তীব্র গরম ছিল। সেবার ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালে অনেকে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এবারও একই ধরনের গরম থাকতে পারে বলে আগেই সতর্ক করল সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আগামী শুক্রবার (১৪ জুন) শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। পরদিন আরাফাতের ময়দানে হজের মূলপর্ব।
এবার প্রায় ২০ লাখ মুসলমান পবিত্র হজব্রত পালন করবেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে গেছেন ৮২ হাজার ৭৭২ জন। আজ বুধবার (১২ জুন) শেষ হচ্ছে হজ ফ্লাইট।
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের দোদা জেলায় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ঘাঁটিতে হামলায় পাঁচ সেনা সদস্য ও স্পেশাল পুলিশের এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
বুধবার সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘নির্মূল হয়েছে’ এক সন্ত্রাসী।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, আহত ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য সাব ডিস্ট্রিক্ট হসপিটাল ভাদেরওয়াহতে নেয়া হয়েছে।
সশস্ত্র সংগঠন দ্য কাশ্মীর টাইগার্স ওত পেতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ও তাদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছিল।
হামলার বিষয়ে সীমান্তবর্তী দেশ পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে এডিজিপি আনন্দ জৈন বলেন, ‘আমাদের শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশী সবসময় আমাদের দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়। হিরানগরের এ সন্ত্রাসী হামলা দৃশ্যত নতুন অনুপ্রবেশের ঘটনা।’
রিয়াসি ও কঠুয়ার পর বুধবারের হামলাটি ছিল জম্মু অঞ্চলে গত তিন দিনের মধ্যে এ ধরনের তৃতীয় ঘটনা।
প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাওলাস চিলিমাসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। তিনি ছাড়াও বিমানটিতে আরও ৯ জন আরোহী ছিলেন। যার মধ্যে দেশটির সাবেক ফার্স্ট লেডিও ছিলেন। খবর বিবিসির।
মালাউইয়ের সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ধারণা করছেন, প্লেনটি চিকানগাওয়ার জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু এটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্লেনটির সব আরোহী নিহত হয়েছেন।
৫১ বছর বয়সি ভাইস প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত বিমানে যারা ছিলেন তারা সবাই নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে রাজধানী লিলংওয়ে থেকে সামরিক বিমানটি উড্ডয়নের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে মালাউইয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার পল ভেলেন্তিনো ফিরি সকালে জানিয়েছিলেন, ঘন জঙ্গল এবং কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার লিলংওয়ে ছেড়ে যাওয়ার পর মালাউই প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই বিমানটি ‘রাডারের বাইরে চলে যায়’। প্লেনটির স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পরে দেশের উত্তরে অবস্থিত মজুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, প্লেনটি রাডারের বাইরে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মালাউইয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনী, পুলিশ সার্ভিস, বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
প্রসঙ্গত, সাওলাস চিলিমা ২০১৪ সাল থেকে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি এর আগে মোবাইল নেটওয়ার্ক এয়ারটেল মালাউইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, পাশাপাশি ইউনিলিভার, কোকাকোলা এবং কার্লসবার্গে কাজ করেছেন।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের আশ্রয় দিয়ে হজ পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। তার এই নির্দেশের আওতায় আরও বাড়তি ১ হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার থেকে সৌদি আরবে বিনা খরচে হজ পালনের সুবিধা পাবেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের বাদশাহের দপ্তর এক রাজকীয় নির্দেশ জারি করেছে। সব মিলিয়ে এই উদ্যোগের আওতায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি সৌদি আরবে বিনা খরচে হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
বাদশাহ সালমানের রাজকীয় নির্দেশে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার শহীদদের পরিবার থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আনার জন্য ‘হোস্টিং ইনিশিয়েটিভ ফর পিলগ্রিমস ফ্রম দ্য ফ্যামিলিস অব মার্টায়ার্স অ্যান্ড দ্য ওউন্ডেড ফ্রম দ্য গাজা স্ট্রিপ’ উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এই উদ্যোগের আওতায় ফিলিস্তিন থেকে মোট ২ হাজার হজযাত্রী আসবেন।
সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, দাওয়াহ অ্যান্ড গাইডেন্স মন্ত্রী শেখ আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আল-শায়েখ বলেছেন, এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনের জন্য সব স্তরে আমাদের দেশের (সৌদি আরবের) অটল সমর্থনকেই তুলে ধরে।
শেখ আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ আল-শায়েখ আরও বলেছেন, এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের কষ্ট-দুর্দশা কিছুটা প্রশমিত করবে। সৌদি সরকারের এমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নতুন কিছু নয়। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাকালীন বাদশাহ আবদুল আজিজের যুগ থেকে দেশটি ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
মুসলিম বিশ্বে হজ অন্যতম অবশ্য পালনীয় ফরজ ইবাদত, যা প্রতি আরবি বছরের জিলহজ মাসে পবিত্র শহর মক্কায় অবস্থিত কাবাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সারা বিশ্ব থেকে লাখো মানুষ সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত হন। মক্কার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছে, গত শনিবার পর্যন্ত ১৩ লাখ নিবন্ধিত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
হজের সময় গাজা নিয়ে ‘স্লোগান’ নিষিদ্ধ
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হজ চলাকালে কোনো প্রকার ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশটির পবিত্র স্থানগুলোতে রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকতে ১২ লাখের বেশি হজযাত্রীকে আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়কমন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ বলেছেন, ‘হজ হচ্ছে উপাসনার সময়, এটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি প্রকাশের সময় নয়।’
তিনি বলেন, ‘হজযাত্রীদের জন্য শান্ত ও ভক্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তারা স্বস্তির সঙ্গে ধর্মীয় আচার পালন করতে পারেন।’
আসন্ন হজ মৌসুমের খুঁটিনাটি তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘হজ সত্যিকার অর্থে ভক্তি, প্রশান্তি ও আধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ স্তরের ক্রিয়াকলাপ এবং সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতেই কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। খোদা সৌদি আরবকে রক্ষা করুন।’
তিনি বলেন, ‘সবার আধ্যাত্মিকতা ও ভক্তির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে- এমন যেকোনো ঝামেলা হজযাত্রীদের এড়িয়ে চলা উচিত।’
গাজায় চলমান সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তার সরকারের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের নৃশংস হামলার পর জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিরোধী নেতা বেনি গ্যান্টজ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অবস্থান অনেকটা জোরালো করেছিলেন। কিন্তু রোববার তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যগ করেছেন।
উগ্র দক্ষিণপন্থি জোট সরকারের একমাত্র মধ্যপন্থি দলের প্রস্থান একাধিক সংকটের সময়ে ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনই সরকার পতনের আশঙ্কা না থাকলেও নেতানিয়াহুকে এবার জোটের কট্টরপন্থি সদস্যদের ওপর আরও বেশি নির্ভর করতে হবে।
ফলে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ আমেরিকার সঙ্গে মনোমালিন্য আরও তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু নিজের সরকারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মার্কিন প্রশাসনের অনেক চাপ উপেক্ষা করার চেষ্টা করে চলেছেন।
গাজায় বিতর্কিত সামরিক অভিযানের পাশাপাশি উত্তরে লেবানন সীমান্তের অপর প্রান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে আরও তীব্র সংঘাতের আশঙ্কা ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। গাজায় এক সেনা অভিযানে হামাসের কবল থেকে চার জন বন্দিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও হামাসের কবলে এখনও অনেক বন্দি থেকে যাওয়ায় ইসরায়েলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।
দেশের এমন সংকটের সময় মন্ত্রিসভা থেকে বিদায়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। ইসরায়েলের একাধিক সামরিক কর্মকর্তার মতে, তিনিও গাজায় সামরিক অভিযানের সমাপ্তির পর কোনও রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের পরিকল্পনার অভাবের সমালোচনা করে আসছিলেন।
৮ জুনের মধ্যে তিনি নেতানিয়াহুর কাছে এক রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের খসড়া দাবি করেছিলেন। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে গ্যান্টজ বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত জয়ের দিকে এগোনোর পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাই ভারাক্রান্ত মনে আমাদের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করতে হচ্ছে।’