শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ বিশ্ব বিবেকের প্রতি অপমান: গুতেরেস

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:২৬

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ঘটনাকে বিশ্ব বিবেকের প্রতি ‘অপমান’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘে গত বুধবার সাধারণ পরিষদের এক বৈঠকে তিনি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানান।

সাধারণ পরিষদে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে গত বুধবার বিতর্ক জমে ওঠে। এতে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা রাশিয়াকে অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে কিয়েভ থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। ইউক্রেন আশা করছে, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতি সংহতি জানাবে। ইতিমধ্যে ৬০টি দেশ প্রস্তাবটিতে সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি ভাসিলি নিবিয়েনজিয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা পুরো বিশ্বকে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর শুক্রবার পূর্ণ হচ্ছে। ইউক্রেন ও তার মিত্রদের প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা।

সাধারণ পরিষদে গুতেরেস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ আমাদের সম্মিলিত বিবেকের প্রতি অপমান। এটি জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এই যুদ্ধ আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতাকে উসকে দিচ্ছে এবং বৈশ্বিক উত্তেজনা ও বিভাজন তৈরিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে। গুতেরেসের মতে, বিশ্বের অন্যান্য সংকট এই যুদ্ধের কারণে চাপা পড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের একটি প্রচ্ছন্ন হুমকিও ছিল। গুতেরেস মনে করেন, খাদের কিনারা থেকে এখন সরে আসার সময় এসেছে। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। যুদ্ধ একটি সমস্যা। ইউক্রেনের জনগণ ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ইউক্রেনীয়, রুশ এবং তাদের থেকে বহুদূরে বাস করা মানুষেরও শান্তি দরকার।’


প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠালো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে পাকিস্তান। পুরো অভিযানে সহায়তা করছে চীন। পাকিস্তান এই অভিযানের নাম দিয়েছে আইকিউব-কিউ। আজ শুক্রবার চীনের হাইনান থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। খবর জিও টিভির।

উৎক্ষেপণ কার্যক্রম পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির ওয়েবসাইটের পাশাপাশি চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

প্রথম চন্দ্র কক্ষপথে যাত্রা করার জন্য দেশ ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

বিবৃতিতে শাহবাজ বলেন, আইকিউব-কিউ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাকিস্তানের প্রথম পদক্ষেপ। পাকিস্তানি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও দক্ষ কর্মীরা পারমাণবিক প্রযুক্তিতে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, সেভাবে এই ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করছেন।

তিনি ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির (আইএসটি) কোর কমিটি, ডক্টর খুররম খুরশীদ, সুপারকো দলের সকল সদস্য এবং এই প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানান।

আইএসটির কোর কমিটির সদস্য ডক্টর খুররম খুরশিদ জিও নিউজকে বলেছেন, পাকিস্তানের স্যাটেলাইট পাঁচ দিনের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে এবং তিন থেকে ছয় মাসের জন্য চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করবে। চীনের লং মার্চ-৫ রকেটের মাধ্যমে এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইটের সাহায্যে চাঁদের পৃষ্ঠের বিভিন্ন ছবি তোলা হবে, এরপর গবেষণার জন্য পাকিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট ছবি থাকবে।

আইএসটি চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি ও পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা সুপারকোর সহযোগিতায় স্যাটেলাইটটি ডিজাইন ও তৈরি করেছে।


‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই চাপে আছে’

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই চাপে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে আছে। কারণ, আরব বসন্তের ছোঁয়া আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের আজ সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে সারা দেশে যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করেছিল, সে কারণেই জনগণ তাদের পাশে নেই। বিএনপি নোতারা ঝিমিয়ে পড়েছে। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আইনের ফাঁদে আটকা। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ মামলায় তার সাজা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়াতে তিনি বাসায় আছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মামলা করেনি। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতেও ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর আমরা ব্যাপকভাবে উদযাপন করবো। আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করব।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও এসএম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তুরস্ক বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সাথে সমস্ত বাণিজ্য স্থগিত ঘোষণা করে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে হামলার সময় বিনাবাধায় গাজায় সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত বাণিজ্য স্থগিত থাকবে।

ইসরায়েল থেকে আমদানি এবং দেশটিতে রপ্তানি স্থগিত করা হয়েছে’ উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে: ‘ইসরায়েল সরকার গাজায় মানবিক সাহায্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের অনুমোদন না দেয়া পর্যন্ত তুরস্ক এই নতুন ব্যবস্থাগুলো প্রয়োগ করবে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এরআগে বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের রপ্তানি ও আমদানি বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ভঙ্গ করার অভিযোগ করেছিলেন।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যে মাত্র কয়েকটি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তুরস্ক তাদের একটি। এপ্রিল মাসে ইসরায়েলে রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার পর এই পদক্ষেপটি সম্পর্কের অবনতির সর্বশেষ ঘটনা।

জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা আসন্ন দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকা মানবিক সংকটে ভুগছে।

হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪,৫৯৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।


কারামুক্ত হচ্ছেন ইমরান খান!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। দেশটির হাইকোর্ট এ কথা জানিয়েছে। গত বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ জানায়। হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের কাছে ‘বড় স্বস্তি’ বলেই মনে করছেন তার অনুসারীরা।

গত অক্টোবরে ইমরান এবং তার দলের আরেক নেতা সাবেক মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে আদালতে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ফাঁসির সাজাও হতে পারে।

‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণেই চলতি বছর পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২২ সালের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন ইসলামাবাদে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার তিন সহযোগী সেই গোপন নথি ফাঁস করে দেন।

গোপন নথি ফাঁস-সংক্রান্ত একটি তারবার্তা (সাইফার) আদালতে ‘প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খান দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই বলে বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের আগে ইমরান খানের কারামুক্তি নিয়ে কথা বলেন পিটিআইএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খান। গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, চলতি মাসেই জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন ইমরান খান।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের আগেই তাকে মুক্ত করার চেষ্টা ছিল তাদের। তিনি বলেন, আদিয়ালা কারাগারে ১৪ ঘণ্টার শুনানি হয়েছে। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা মে মাসে জেল থেকে মুক্তি পাবেন এবং জনসমক্ষে আসবেন।

গত আগস্টে তোশাখানা মামলায় ইমরানের তিন বছরের সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তার জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’-সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি মেলেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

তবে এবার সেই মামলা থেকে ইমরান খান রেহাই পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এবং বিচারপতি মিয়ানগুল হাসান অওরঙ্গজেবের বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া তারবার্তা ইমরান নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন- এমন একটিও প্রমাণ তদন্তকারী সংস্থা পেশ করতে পারেনি।


পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ কংগ্রেস: মোদি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি পাকিস্তান এখন কংগ্রেস নেতাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসা করার পরদিনই এমন মন্তব্য করেছেন মোদি।

মোদি বলেছেন, ‘পাকিস্তান কাঁদছে কারণ এখানে কংগ্রেস মারা যাচ্ছে। পাকিস্তানি নেতারা কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন। পাকিস্তান ‘শেহজাদাকে’ (রাহুল গান্ধী) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে আগ্রহী। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ আমরা ইতোমধ্যেই জানি যে কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘মুরিদ’। পাকিস্তান ও কংগ্রেসের মধ্যে পার্টনারশিপ এটাই প্রমাণ করে যে দেশের শত্রুরা শক্তিশালী সরকার গঠন করতে পারবে না।’

গুজরাটের আনন্দে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় নরেন্দ্র মোদি বিরোধী নেতা সালমান খুরশিদের ভাগ্নি মারিয়া আলমের ‘ভোট জিহাদের’ আহ্বানের জন্য কংগ্রেস দলের সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই বিবৃতি একজন শিক্ষিত মুসলিম পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু কোনো কংগ্রেস নেতাই এর নিন্দা জানায়নি।

মোদি আরও অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস মুসলিমদের রিজার্ভেশন প্রদানের জন্য দেশের সংবিধান সংশোধন করতে চায়। তারা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) থেকে সুবিধা সরাতে চায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ধর্মভিত্তিক সুবিধা প্রদানের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করবে না- এমন বিবৃতি লিখিতভাবে কংগ্রেসকে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।


মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করায় বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলের চিরশত্রু ইরান তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করায় কিছু ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অপারেশন কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ব্রায়ান পি ফেন্টন ও মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সাবেক কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারসহ সাতজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

এদিকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি অব স্টেট গ্রান্ট শাপস, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেমস হকেনহুল ও লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভিকে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন ও শেভরন এবং ব্রিটিশ সমকক্ষ এলবিট সিস্টেমস, পার্কার মেগিট ও রাফায়েল ইউকের বিরুদ্ধেও শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ‘ইরানের আর্থিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অ্যাকাউন্ট ও লেনদেন ব্লক, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের এখতিয়ারের মধ্যে সম্পদ ব্লক এবং সেই সঙ্গে ভিসা প্রদান ও ইরানের ভূখণ্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।

কিন্তু ব্যক্তি বা সংস্থার ওপর এই পদক্ষেপগুলোর প্রভাব, সেই সঙ্গে তাদের সম্পদ বা ইরানের সঙ্গে লেনদেন। সব কিছু অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
হামাসকে সমর্থন করলেও হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।


ভারতে রেকর্ড ভাঙল দাবদাহ, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৭ ডিগ্রি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: এএফপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দাবদাহে পুড়ছে ভারতের বেশিরভাগ এলাকা। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ভয়ংকর পরিস্থিতি চলছে। এর মধ্যেই নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্তপ্ত এপ্রিল মাস পার করেছে দক্ষিণ ভারত। আর উত্তরপূর্ব ভারতে ভেঙেছে ৫১ বছরের রেকর্ড। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা দেখেছে ভারতের তিনটি বড় শহর - বেঙ্গালুরু, কলকাতা এবং মুম্বাই।

সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ ভারতে এবারের এপ্রিল মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০১৬ সালের রেকর্ডভাঙা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সামান্য কম। ওই বছর ১৯০১ সালের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছিল এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা। এ বছর নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল মাস পার করেছে বেঙ্গালুরু।

পুরো মাসজুড়েই চরম উত্তপ্ত আবহাওয়া ছিল পূর্ব ভারতে। আইএমডির তথ্যমতে, গত এপ্রিল মাসে পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারতে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৯৭৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। তবে মাসটিতে রাতের গড় তাপমাত্রা ছিল ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ।

গরমে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারও। গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কলকাতার দম দমে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এবারের এপ্রিলে সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং যেকোনো মাসের ক্ষেত্রে চতুর্থ সর্বোচ্চ। এদিন কলকাতার আলিপুরেও তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা প্রায় এক শতাব্দী আগে রেকর্ড করা ৪৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড থেকে সামান্য কম। এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কলকাতায় এপ্রিলের তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁলো।

চলতি গ্রীষ্মে ভারতে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রার পারদ ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে গত মঙ্গলবার, সেটিও পশ্চিমবঙ্গে। ওই দিন কলাইকুণ্ডায় ৪৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। একইদিন ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার বাহারাগোরা এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ অঞ্চলের অন্তত তিনটি স্থানে-কলাইকুণ্ডা, পানাগড় (পশ্চিমবঙ্গ) এবং বালাসোরে (উড়িষ্যা) স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার কথা জানানো হয়েছে।

এদিকে, আইএমডি জানিয়েছে, পূর্ব ভারতে ২ মে পর্যন্ত এবং দক্ষিণ ভারতে আরও অন্তত পাঁচদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

বিষয়:

আট বাংলাদেশির মরদেহ দেশে আসবে দুপুরে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ১০:৩৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলের কাছে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির মরদেহ দেশে আসবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পোস্টে হয়, ‘শববাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ২ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা।’

লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতের এ দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ৫২ জন যাত্রী এবং এক চালকসহ নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে ডুবে যায়। নৌকাটি থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি, আটজন পাকিস্তানি, পাঁচজন সিরীয় ও চারজন মিসরীয়।

প্রাণ হারানো ৯ জনের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি ও একজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন।


২ বছরে উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৯ শতাংশ:  এডিবির প্রেসিডেন্ট

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভায় যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জর্জিয়ার রাজধানীতে পৌঁছেছেন প্রতিনিধিরা। আগত অতিথিদের উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছে তিবিলিসি। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) শুরু হতে যাওয়া সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সবুজ বিশ্বায়নসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মূল উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। বুধবার (১ মে) রাতে তিবলিসিতে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পৌঁছান বলে জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।

২০২৪ সালের বার্ষিক সভার পর্দা উত্তোলনের সময়, একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কী প্রয়োজন সে নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া, ইউরোপিয়ান ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট ওডিলে রেনাড-বাসো এবং জর্জিয়ার অর্থমন্ত্রী লাশা খুটিশভিলি।

আন্তর্জাতিক সাংবাদিক নিশা পিল্লাইয়ের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বায়ন ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি সত্ত্বেও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও দেশগুলো কীভাবে আরও কার্যকরভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

আলোচনায় এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, তথাকথিত উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনীতি ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ বেড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা ২০২২ সালে ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধির গতি চলতি বছর এবং আগামী বছর প্রায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন আসাকাওয়া। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এডিবি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির হার ২০২২ সালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে এই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি আসে- প্রথমত, তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা। দ্বিতীয়ত, রপ্তানি কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধার। তৃতীয়ত, খুব শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ। চতুর্থত, পর্যটন পুনরুদ্ধার কারণ আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক ফিরে আসছেন এবং পঞ্চমত, চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার।’

চীনের অর্থনীতি প্রসঙ্গে এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩ দশমিক শূন্য হলেও কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি থেকে বেরিয়ে আসার পর ২০২৩ সালে তা ৫ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রচুর পরিমাণে অনিশ্চয়তা এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সত্ত্বেও এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতি খুব স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে মনে হচ্ছে।

এ সময় এডিবি প্রেসিডেন্ট চারটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন- প্রথমটি হলো মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য স্থানে চলমান ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত। দ্বিতীয়ত, উন্নত অর্থনীতিগুলোতে- বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক নীতির অভিযোজনের কারণে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারগুলো খুব অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা। তৃতীয়ত, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। সাধারণত খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ হওয়ার পর থেকে চালের দাম বেড়েই চলেছে। চতুর্থত বিশ্ব যে নেতিবাচক ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন সংকট।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এটা অস্বস্তিকর সত্য যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনের জন্য ৫০ শতাংশের বেশি দায়ী। তবে একই সঙ্গে এটিও সত্য যে এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি।’

এডিবির ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালক উচং উম বলেন, 'বৈঠকে জর্জিয়া ও এডিবির মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব তুলে ধরা হবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার প্রতি জর্জিয়ার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, পূর্ব ও পশ্চিমের সংযোগস্থলে অবস্থিত তিবিলিসিতে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সরাসরি, আর্থিক এবং অর্থনৈতিক সংযোগগুলো খোঁজার একটি চমৎকার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’

এবার প্রথমবারের মতো জর্জিয়ায় এডিবির বোর্ড অব গভর্নর্সের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

'ব্রিজ টু দ্য ফিউচার' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২ থেকে ৫ মে পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। এতে এডিবির ৬৮ সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।

জর্জিয়া ২০০৭ সালে এডিবিতে যোগ দেয়। জর্জিয়াকে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশটির অন্যতম বৃহৎ বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে এডিবি।

এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেগুলো

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৭:৫৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব অর্থনীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ থেকে বোঝা যায়, সে দেশের প্রভাব কতখানি। এই তালিকার ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে।

১. ফেডারেল রিজার্ভ

তালিকার একেবারে ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭ লাখ ৫৪ হাজার কোটি ডলার। আর্থিক খাতের মানুষজন এই ব্যাংককে ডাকেন ‘ফেড’ নামে। ১৯১৩ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা নজরদারি ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছে প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যে কত বড়, ফেডারেল রিজার্ভের হাতে থাকা বিশাল সম্পদ সেটাই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে এটাও দেখায় যে মার্কিন অর্থনীতি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

২. ব্যাংক অব জাপান

জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, জাপান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই ব্যাংকের হাতে থাকা সম্পদের আর্থিক মূল্য ৫ লাখ ২১ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব জাপানের প্রতিষ্ঠা ১৮৮২ সালে। বাজারে মুদ্রা ছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতি পরিচালনা করা এই ব্যাংকের মূল কাজ।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক অব জাপানের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কারণে যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবস্থাপনার দিকটি বাস্তবায়ন করছে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংক অব জাপানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সে কারণে তাদের সম্পদ বেড়েছে।

৩. পিপলস ব্যাংক অব চায়না

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার কোটি ডলার। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালে। মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, বাজারে মুদ্রা ছাড়া এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানতম কাজ।

সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সম্পদ বিপুলভাবে বেড়েছে। এর কারণ হলো, একটি ছোট অর্থনীতির দেশ থেকে চীন এখন বিশাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।

৪. ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক

ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক। ফোর্বসের তালিকায় জার্মানি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার সম্পদের মালিক জার্মানির এই ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৫৭ সালে। ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালু করার পেছনে এই ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

জার্মানির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা বুন্ডেসব্যাংকের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে বুন্ডেসব্যাংক।

৫. ব্যাংক অব ফ্রান্স

ইউরোপের আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮০০ সালে। বিশ্বে যত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাচীনতম ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক অব ফ্রান্স।

ফ্রান্সের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ব্যাংক অব ফ্রান্সের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।

৬. ব্যাংক অব ইতালি

ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ইতালির প্রতিষ্ঠা ১৮৯৩ সালে। ইতালির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ছাড়া ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তেও অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।

৭. ব্যাংক অব স্পেন

স্পেনের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ১৭৮২ সালে। অনেক পুরোনো এই ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার। এটি স্পেনের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। পাশাপাশি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়নসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়।

৮. ব্যাংক অব ইংল্যান্ড

বিশ্বে যতগুলো পুরোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের অন্যতম ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এটির প্রতিষ্ঠা ১৬৯৪ সালে। নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংক হলেও এটি মূলত যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি ডলার।

যুক্তরাজ্যের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। বাজারে মুদ্রাও ছাড়ে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

৯. সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক

এটি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের হাতে যে সম্পদ আছে, তার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩ হাজার কোটি ডলার। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯০৭ সালে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ব্যবস্থাপনা এই ব্যাংকের মূল দায়িত্ব।

সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা ফ্রাঙ্কের মূল্যমান যাতে না বেড়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যেই বাজারে হস্তক্ষেপ করে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সে কারণে তাদের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।

১০. রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। তাদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৮১ হাজার কোটি ডলার। ১৯৩৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও নিজের দেশের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে এবং বাজারে মুদ্রা ছাড়ে। চীনের মতো ভারতের অর্থনীতিও এখন অনেক বড় হয়েছে। পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ভারত। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:১৭
ইউএনবি

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চারজন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। স্থানীয় সময় সোমবার বিকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, নর্থ ক্যারোলাইনার বৃহত্তম শহর শার্লটের একটি উপশহর এলাকায় তদন্ত চালানোর সময় মার্কিন মার্শাল ফিউগিটিভ টাস্ক ফোর্সের তিন সদস্য বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ বিভাগ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, একটি বাড়ির সামনের উঠানে বন্দুকধারীর গুলিতে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং বাড়ি থেকে আরও দুজনকে হেফাজতে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে গেলে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।


দিল্লি কংগ্রেস প্রধানের পদত্যাগ

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অরবিন্দর সিং লাভলি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলছে। ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। আর এর মধ্যে বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। নির্বাচনের মধ্যেই তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলেও মনে করা হচ্ছে। আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনো কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসেবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এ ছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনো কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকি দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। শহরের পূর্বাঞ্চলীয় হ্যাজেলউড এলাকার জেনার ও কিলহপার স্ট্রিটের হান্ড্রেড ব্লকে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং রেডিওর মাধ্যমে নাম ও পরিচয়হীন দুজন ব্যক্তির খুন হওয়ার কথা জানান দেয়। এ বিষয়ে যেকোনো তথ্য জানাতে ৭১৬-৮৪৭-২২৫-এই নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর সোমবার নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।

এদিকে বাংলাদেশি অভিবাসীরা ওই দুজনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। বাবুল উদ্দিন ৮ মাস আগে ভার্জিনিয়া থেকে বাফেলোতে আসেন। ইউসুফ মিয়া আসেন চার মাস আগে সিলেট থেকে। দুপুরের পর থেকে খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশিরা তাদের বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোক এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বাফেলো পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল জে ডিজর্জ বলেছেন, শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার পর পর জেনার স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে গুলির খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের সোয়াত টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অনলাইন পোর্টাল বাফেলোনিউজের খবরে বলা হয়, বিকাল ৪টার দিকেও ১৪৮ জেনার স্ট্রিটের আঙিনায় গুলিবিদ্ধ একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনা জড়িত কে বা তারা তাদের বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ। এখনো কাউকে ধরতেও পারেনি।

সিটি অব বাফেলোর এশিয়ান অ্যাডভাইজার শাহী চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বাফেলো শহরে দুই বাংলাদেশি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সিলেটের ইউসুফ ও কুমিল্লার বাবু। এ ঘটনার পর বাফেলো শহরে হাজারো বাংলাদেশির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৯ বছর বয়সি বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও। ২৭ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের ওজন পার্কে নিজ বাসা থেকে পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চান উইন রোজারিও। নিহতের বাবার দাবি, ফোন পেয়ে পুলিশ তাদের বাসায় গিয়ে মায়ের সামনেই ছেলেকে ছয় রাউন্ড গুলি করে। পরে উইন রোজারিওর মানসিক সমস্যার কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এমন একজনকে কেন গুলি করে মারতে হলো এমন প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় কমিউনিটিতে। যদিও পুলিশের দাবি, উইন কাঁচি নিয়ে তাদের মারতে উদ্যত হয়েছিল।


banner close