বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

ব্যর্থ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললেন বাইডেন

ফাইল ছবি
আপডেটেড
১৮ মার্চ, ২০২৩ ১২:৪৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে দেউলিয়াত্বের মুখে পড়া ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত শুক্রবার তিনি মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি এই আহ্বান জানান। খবর আল-জাজিরার।

এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘যে সমস্ত কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনা এবং অতিরিক্তি ঝুঁকি নেয়ার কারণে ব্যাংকগুলো ব্যর্থতার মুখে পড়েছে তাদের জবাবদিহীতা করতে হবে।’

আরও পড়ুন: এবার দুর্দশায় সুইস ব্যাংক, ধার নিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ওই কর্মকর্তাদের জরিমানা করা উচিত। এমনকি ব্যাংক খাত থেকেই তাদের নিষিদ্ধ করা উচিত। যাতে তারা অন্য কোনো ব্যাংকে গিয়েও আর চাকরি করতে না পারেন।’ তার মতে, ‘যাদের হাত ধরে একটি ব্যাংক ব্যর্থতার মুখে পড়েছে, তারা অন্য ব্যাংকে গেলেও সেই একই ক্ষতি করবেন।’

২০০৮ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে মার্কিন ব্যাংকিং খাত। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দেশটির দুটি বড় ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১০ মার্চ দেউলিয়াত্বের কারণে প্রথমে বন্ধ করে দেয়া হয় স্টার্টআপ ব্যবসায় শীর্ষ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি)। এরপর ১২ মার্চ আস্থার সংকটে ভুগতে থাকা নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংকও বন্ধ করে দেয়া হয়।

আমেরিকায় ব্যাংকিং শিল্পের ওপর প্রবিধান আরোপ করার ক্ষমতা রয়েছে কংগ্রেসের। ২০০৮ সালের বিপর্যয়ের দুই বছর পর মার্কিন আইনপ্রণেতারা ওয়াল স্ট্রিট সংস্কার আইন পাস করেন।

বাইডেন বলেন, ‘কংগ্রেসকে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাদের অব্যবস্থাপনা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যর্থ করেছে।’

এক টুইটে বাইডেন বলেন, ‘যখন সিলিকন ভ্যালি এবং সিগনেচার ব্যাংক ব্যর্থতার মুখে পড়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই, যাতে পুরো ব্যাংকিং সিস্টেম ভেঙে না পড়ে। এখন কংক্রেসকে অবশ্যই এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ব্যাংক কর্মকর্তারা জবাবদিহীতার আওতায় আসেন।’


শখের দাম লাখ ডলার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণ অনুসন্ধান ছিল তার শখ। আর এই শখই তাকে এনে দিল লাখ ডলার।

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার স্বর্ণখনিতে স্বর্ণ অনুসন্ধান করছিলেন ওই ব্যক্তি। হঠাৎই তিনি পান সাড়ে চার কেজি ওজনের বিশাল এক শিলাখণ্ড। যার মধ্যে রয়েছে আড়াই কেজিরও বেশি স্বর্ণ। আর এই স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তির কাছ থেকে স্বর্ণটি ইতিমধ্যেই কিনে নিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ডারেন কাম্প। ডারেন বলেন, তার ৪৩ বছরের ব্যবসায়ী জীবনে তিনি এত বিশাল স্বর্ণের তাল দেখেননি কখনো। প্রথমে ওই ব্যক্তি যখন তার কাছে আসেন, তিনি ভাবেন, সোনালি রঙের শিলা দেখে তিনিও অন্যদের মতো স্বর্ণ ভেবে হাজির হয়েছেন। পরে শিলাটি হাতে নিয়ে এবং পরীক্ষা করে রীতিমতো তাজ্জব বনে গেলেন ডারেন। কেননা, শিলাটির অর্ধেকের বেশি অংশজুড়ে রয়েছে স্বর্ণ।

জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে স্বর্ণের খনি। তার মধ্যে ভিক্টোরিয়ার স্বর্ণখনি অন্যতম। ১৮ শতাব্দী থেকেই সেখানে মিলছে সোনা।

ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে অস্ট্রেলিয়াতেই স্বর্ণের মজুত আছে সবচেয়ে বেশি। আর স্বর্ণের তাল পাওয়ার ঘটনা ও এখানেই বেশি।

সূত্র বিবিসি


লেপার্ড ও চ্যালেঞ্জার ট্যাংক পেল ইউক্রেন

জার্মানির অত্যাধুনিক লেপার্ড টু ট্যাংক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জার্মানির অত্যাধুনিক লেপার্ড টু ট্যাংক ও ব্রিটিশ চ্যালেঞ্জার টু ট্যাংকের প্রথম চালান ইউক্রেনে পৌঁছেছে। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত সোমবার জানায়, কিয়েভে ১৮টি ট্যাংক পাঠিয়েছে তারা। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুক্তরাজ্যের পাঠানো চ্যালেঞ্জার টু ট্যাংকগুলো পরিদর্শনের কথা জানান।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস আশা প্রকাশ করেন যে, ইউক্রেনের রণাঙ্গনে ট্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।

আল-জাজিরা জানায়, চলতি বছরের শুরুতে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য তাদের অত্যাধুনিক ট্যাংক পাঠানোর ব্যাপারে কিয়েভকে প্রতিশ্রুতি দেয়। এ ছাড়া ব্রিটিশ সরকার লন্ডনে ইউক্রেনীয় সেনাদের চ্যালেঞ্জার টু ট্যাংক পরিচালনার প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

বিবিসি জানায়, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম প্রদানের আহ্বান জানিয়ে আসছিল ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটো জোটের কাছে এখন ট্যাংকের পাশাপাশি যুদ্ধবিমানও চাইছেন। যদিও এখনো কোনো দেশই তা দেয়ার স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

প্রায় দুই হাজার লেপার্ড টু ট্যাংক- যেগুলোকে বিশ্বের প্রথমসারির যুদ্ধ ট্যাংক হিসেবে বিবেচনা করা হয়- সেগুলোর সবই ন্যাটো দেশগুলোতে উৎপাদিত এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী এই ট্যাংক ব্যবহার করে।

শুরুতে অনিচ্ছুক থাকলেও শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের চাপের মুখে গত জানুয়ারিতে জার্মানি ট্যাংক পাঠাতে রাজি হয়। জার্মান আইন অনুযায়ী, বার্লিনকে অবশ্যই লেপার্ড টু ট্যাংক যেকোনো দেশে পুনরায় রপ্তানি করার অনুমতি দিতে হবে।

আধুনিক স্থলযুদ্ধে ট্যাংক এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কারণ এটা শত্রুপক্ষের অবস্থান বা রক্ষণব্যূহ ভেদ করে সামনে এগুতে এবং জায়গা পুনর্দখল করতে বড় ভূমিকা রাখে। ট্যাংক চলার জন্য রাস্তা দরকার নেই, অসমান, উঁচু-নিচু, খানাখন্দে ভরা মাটির ওপর দিয়েও তা চলতে পারে।

একই সঙ্গে ট্যাংক হচ্ছে এক চলন্ত কামান, যা যুদ্ধরত বাহিনীকে শত্রুর প্রতিরক্ষাব্যূহ ভেঙে সামনে এগুনোর এবং গোলাবর্ষণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

লেপার্ডের মতো ট্যাংক যুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র একদিকে যেমন রাশিয়ার বিরুদ্ধে রণক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাবে, সেই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব বা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকেও এ যুদ্ধে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে ফেলবে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন যে ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবং যথাসময়ে ট্যাংকগুলো আমাদের ইউক্রেনীয় বন্ধুদের হাতে পৌঁছেছে।’

জার্মান সেনাবাহিনী গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনীয় সেনাদের লেপার্ড টুয়ের অ্যাডভান্সড এ-সিক্স ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।এদিকে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ তার ফেসবুক পেজে পশ্চিমাদের তৈরি সামরিক যানের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জার টু-এর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ব্রিটিশ যানটি সামরিক শিল্পের অন্যতম একটি নমুনা। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।


আফগান নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী আটক

মতিউল্লাহ ওয়েসা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ২৩:৪৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানে প্রখ্যাত এক নারী শিক্ষা অধিকারকর্মীকে আটক করেছে তালেবান সরকার। মতিউল্লাহ ওয়েসা নামে ৩০ বছর বয়সী আফগান যুবককে গত সোমবার কাবুলে আটক করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশন মঙ্গলবার জানায়, মতিউল্লাহ আফগান নারীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য লড়াই করছেন। তালেবান কর্তৃপক্ষ তাকে কী কারণে আটক করেছে তা পরিষ্কার করেনি। মতিউল্লাহ এখন কোথায় আছেন তাও জানা যায়নি।

এর আগে নারীদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে কথা বলায় ইসমাইল নামে এক অধ্যাপককে তালেবান আটক করেছিল। তবে গত ৫ মার্চ তিনি মুক্তি পেয়েছেন।


ইউক্রেন দ্বন্দ্বে ভারতের কাছে তেল বিক্রি বেড়েছে রাশিয়ার

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত শুরুর পর থেকেই মস্কোর কাছ থেকে তেল কেনায় নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দিল্লি। ছবি: প্রতীকী
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০৯:০৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাশিয়া থেকে প্রতি মাসেই তেল কেনা বাড়াচ্ছে ভারত। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত শুরুর পর থেকেই মস্কোর কাছ থেকে তেল কেনায় নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দিল্লি। ইকোনমিক টাইমসের তথ্যানুসারে, ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে দিনে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল কিনেছে।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে পশ্চিমারা রাশিয়ার তেলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করে তেলের দাম। দীর্ঘ সাত বছর পর তা ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের সব তেল আমদানিকারী দেশের আমদানি মূল্য বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় ডলারের বিনিময় হার। ডলারসংকটে অনেক দেশেরই রিজার্ভ কমে যায়। কিন্তু পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা না শুনে ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বৃদ্ধি করে। এতে তারা বড় ধরনের সংকট এড়াতে পেরেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত বিশ্ববাজার থেকে যে পরিমাণ তেল কিনেছে, তার মধ্যে ৩৫ শতাংশই ছিল রাশিয়ার থেকে কেনা। অথচ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর আগে ভারত মোট আমদানির মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ তেল রাশিয়ার কাছ থেকে কিনত। এক বছরে তা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে গতকাল মঙ্গলবার বলা হয়, রাশিয়া আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কম দামে ভারতকে তেল দিচ্ছে। সস্তায় তেল কিনে ভারত বিদেশি মুদ্রা বাঁচাচ্ছে। সে জন্য তারা পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছে না। অর্থাৎ ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাতের কারণে লাভবান হচ্ছে ভারত।

রাশিয়ার কাছ থেকে তেলা কেনা বৃদ্ধি করায় ওপেকের কাছ থেকে ভারতের তেলা কেনা কমেছে। রয়টার্স জানায়, ২০০৮ সালে ভারত ৮৭ শতাংশ তেল কিনত ওপেকের কাছ থেকে, সেটা ২০২২ সালে যা নেমে এসেছে ৬৪ দশমিক ৫ শতাংশে। তা সত্ত্বেও গত বছর রাশিয়ার পর ভারতে শীর্ষ তেল সরবরাহকারী ছিল ইরাক ও সৌদি আরব।

বর্তমানে ইইউ থেকে নির্ধারিত মূল্যসীমার চেয়েও অনেক কম দামে বা প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারের নিচে রাশিয়ার তেল কেনা যাচ্ছে। ভারত সে সুযোগ লুফে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ সে সুযোগ নিতে পারছে না। এতে দেশের আমদানি ব্যয় বাড়ছে।


চাপের মুখে নমনীয় হলেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ২৩:৫০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রবল জনরোষের মুখে বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় সংস্কার উদ্যোগ আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিচার বিভাগীয় সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে নমনীয় হলেন নেতানিয়াহু।

আল-জাজিরা জানায়, নেতানিয়াহু পার্লামেন্টের নয়া অধিবেশন শুরুর আগ পর্যন্ত তার বিচার বিভাগীয় সংস্কার কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তার ঘোষণার পর ইসরায়েলে চলমান বিক্ষোভ-উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়নগুলো তাদের ধর্মঘটের ডাক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

নেতানিয়াহু গত সোমবার রাতে বলেন, যখন গৃহযুদ্ধ এড়ানোর জন্য আলোচনার একটা বিকল্প আছে, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেই বিকল্পই নিচ্ছি। তিনি বিচার বিভাগীয় সংস্কার কর্মসূচি এখনই বাস্তবায়ন না করে বরং এ বিষয়ে আরও সংলাপ চালাবেন বলে জানান।

আল-জাজিরা জানায়, প্রবল চাপের মুখে নেতানিয়াহু নমনীয় হলেও বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ বলছেন, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কর্মসূচি পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন করছেন।

নেতানিয়াহুর বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার মধ্যে সরকারকে বিচারক নিয়োগকারী কমিটির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আইনপ্রণেতাদের কেউ দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য হলে তাকে অপসারণ করাটা আদালতের জন্য আগের চাইতে কঠিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা মনে করেন, এ বিধানটি ক্ষমতাসীন নেতা নেতানিয়াহুর স্বার্থ বিবেচনা করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে দুর্নীতির একটি মামলা চলমান রয়েছে।

বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার প্রতিবাদ করায় নেতানিয়াহু তার প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ইসরায়েলিরা। লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ধর্মঘটের ডাক দেয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জানায়, তারা এই সংস্কারের বিরোধী। এমনকি নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ও জোট শরিক নেতাদের একাংশ এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না।


ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭

ভূমিধসে বিধ্বস্ত বাড়িঘর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ২২:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইকুয়েডরের আন্দিজ পর্বতমালায় ঘেরা এক বসতিতে ভূমিধসে অন্তত ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখনো নিখোঁজ আছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।

ইউকুয়েডরের কর্মকর্তারা গত সোমবার জানান, রাজধানী কিটো থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণের আলাউসি এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হয়।

দেশটির প্রেসিডেন্ট গিলিয়ার্মো লাস্সো দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। চারদিক সবুজ পাহাড়ে ঘেরা আলাউসিতে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ বাস করেন। ভূমিধসে কয়েকটি সরকারি ভবন ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে তিনটি স্কুল। ডয়চে ভেলে

বিষয়:

মেক্সিকোয় অভিবাসন আটককেন্দ্রে আগুনে ৩৯ জনের মৃত্যু

মেক্সিকোর অভিবাসন আটককেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর দগ্ধ এক ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ক্রী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ২১:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের কাছে মেক্সিকোর একটি অভিবাসন আটককেন্দ্রে আগুনে অন্তত ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মেক্সিকো সরকার মঙ্গলবার এই খবর জানায়।

আল-জাজিরা জানায়, মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর সিউদাদ হুয়ারেজে গত সোমবার দিবাগত রাতে ন্যাশনাল মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউটে (আইএনএম) আগুন লাগে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে ঘটনাস্থলে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ফাইটার্সদের ভিড় দেখা যায়। আগুনে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২৯ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে আছেন। দুর্ঘটনার সময় আটককেন্দ্রটিতে মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার ৬৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন। আটককেন্দ্রটিতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।

মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আইএনএমের কার্যালয়ে আসেন এক ভেনেজুয়েলার নারী। তিনি জানান, তার ২৭ বছর বয়সী স্বামী এই আটককেন্দ্রে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে তার বতর্মান অবস্থা সম্পর্কে কিছুই বলছে না কর্তৃপক্ষ।

মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়ি জমাতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে সিউদাদ হুয়ারেজ শহরটি বড় ক্রসিং পয়েন্ট। এই শহরের অভিবাসন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় সব সময়ই লোকের ভিড় থাকে।


স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার হলেন হামজা ইউসুফ

হামজা ইউসুফ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ২১:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হলেন হামজা ইউসুফ। স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট মঙ্গলবার তাকে সরকারপ্রধান হিসেবে বেছে নেয়। এর মধ্যে দিয়ে তিনিই পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে প্রথম মুসলিম সরকারপ্রধান হলেন।

এর আগে স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) হামজাকে দলীয় প্রধান হিসেবে বেছে নেয় । পাঁচ সপ্তাহের প্রতিযোগিতার পর তাকে বেছে নেয় এসএনপি। ৩৭ বছর বয়সী হামজা স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী ফার্স্ট মিনিস্টার হলেন। তিনি বুধবার শপথ নেবেন। স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া হামজার বাবা পাকিস্তানি এবং মা কেনিয়ান।

স্কটল্যান্ডের সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন হামজা। স্টার্জেন গত মাসে আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।আট বছর ধরে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেন স্টার্জেন। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় এই পদে ছিলেন।

আল-জাজিরা জানায়, করোনাভাইরাস মহামারিকালে স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন হামজা। মহামারির সময় দক্ষতার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যখাত সামলান হামজা। এর আগে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর এডিনবার্গে দক্ষিণ এশিয় বংশোদ্ভুদদের উদ্দেশে নিজের বিজয়ী ভাষণে হামজা বলেন, ‘পাঞ্জাব থেকে আমাদের পার্লামেন্ট, এটি আমাদের প্রজন্মের যাত্রা।’


জাপানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৭:২৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ফের আঘাত হেনেছে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যদিও এ ঘটনায় এখনো সুনামি সতর্কতা জারি করেনি কর্তৃপক্ষ।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানায়, আমরির পূর্ব উপকূলে অন্তত ২০ কিলোমিটার (১২.৫ মাইল) গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মধ্যে আছে হোক্কাইডো ও ইওয়াতে এলাকাও।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, জাপানের হোক্কাইডো অঞ্চলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

গত মাসের ২৫ তারিখেও ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। হোক্কাইডো দ্বীপের পূর্ব দিকে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রাও ছিল ৬ দশমিক ১। ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স (এনআইইডি) অনুসারে, সেই ভূমিকম্পটি ৬১ কিলোমিটার (৩৮ মাইল) গভীরে নেমুরো উপদ্বীপে আঘাত হানে।

তারও দিনপাঁচেক আগে আরেকটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপানের অন্যতম প্রধান উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডো। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।

বিষয়:

যারা ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ চায় তাদের বিরুদ্ধে কেন অভিযান নয়, প্রশ্ন শিখ সংগঠনের

‘অকাল তখত’র সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের শীর্ষ মুখপাত্র জিয়ানি হরপ্রীত সিং। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৪২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান নিয়ে পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে শিখ সংগঠন ‘অকাল তখত’। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিসহ উগ্রবাদীদের দিকে ইঙ্গিত করে তারা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, ‘যারা হিন্দু রাষ্ট্র চায় তাদের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন?’ খবর এনডিটিভির।

পাঞ্জাবের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিক, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘অকাল তখত’র এক সমাবেশে শীর্ষ নেতারা এ প্রশ্ন তোলেন।

আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্র গড়তে ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ প্রধান অমৃতপাল সিংয়ের সাম্প্রতিক তৎপরতায় অস্থিরতা বিরাজ করছে পাঞ্জাবে। তাকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযানের ইন্টারনেটও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে পাঞ্জাবে। অমৃতপালের অনুসারী সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেক শিখ তরুণ।

সমাবেশে অকাল তখতের ‘জথেদার’ জিয়ানি হরপ্রীত সিং গ্রেপ্তার তরুণদের মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম। ‘অকাল তখত’ হলো শিখ ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ পরিষদ এবং এর ‘জথেদার’ তাদের শীর্ষ মুখপাত্র।

অমৃতপালকে সমর্থন করার অভিযোগে এবং খালিস্তানের দাবিতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করা হলো সে প্রশ্ন তুলে হরপ্রীত সিং বলেন, ‘লাখ লাখ লোক আছে যারা হিন্দু রাষ্ট্র দাবি করে। যারা হিন্দু রাষ্ট্রের ডাক দিচ্ছে তাদেরও এনএসএর আওতায় আনা উচিত।’

এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান জানিয়েছেন, তিনি রাজ্য পুলিশকে তাদের হেফাজতে নেয়া ব্যক্তিদের ছেড়ে দিতে বলেছেন, যদি তারা কোনো দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত না থাকে। তবে কেউ শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের হাতে আটক ৩৫৩ জনের মধ্যে ১৯৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

‘অকাল তখত’ জথেদার হরপ্রীত সিং কোনো ধরনের সহিংস প্রতিবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং বলেছেন, গ্রেপ্তার যুবকদের মুক্তি না দিলে জবাব দেয়া হবে। হরপ্রীত সিং বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আক্রমণাত্মক হব না, তবে তাদের কূটনৈতিকভাবে জবাব দেয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

হরপ্রীত বলেন, ‘বৈশাখীর পর গোটা দেশ ও বিশ্বের দরবারে বিষয়টি তুলে ধরবে অকাল তখত। আমাদের সঙ্গে কী করা হচ্ছে, আমরা তাদের বলব।’

বিষয়:

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ ওমরাযাত্রীর মৃত্যু

দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া বাস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৪৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে ওমরাযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস উল্টে আগুন ধরে গেছে। এতে বাসটিতে থাকা ২০ ওমরাযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। দগ্ধ-আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন।

গত সোমবার পবিত্র মক্কা নগরীতে যাওয়ার পথে বাসটি এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

মঙ্গলবার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আল এখবারিয়া চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। হতাহতদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। তবে তাদের নির্দিষ্ট জাতীয়তা জানা যায়নি।

সৌদিতে পঞ্চম রমজানে এ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে আল এখবারিয়া বলছে, বাসটির সামনে অন্য কোনো গাড়ি চলে এসেছিল। অন্যদিকে বেসরকারি সংবাদমাধ্যম ওকাজ বলছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে (ব্রেক ফেল) বাসটি ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়, এরপর গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে হজ মৌসুম ছাড়া সারা বছরই ওমরা পালনে মক্কা-মদিনায় গিয়ে থাকেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। তবে ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ওমরা পালনকারীদের ভিড় বেশি দেখা যায় সৌদিতে।


যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গুলি, তিন শিশুসহ নিহত ৬

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:০২
আব্দুল মালেক, নিউইয়র্ক থেকে

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিলের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী তরুণীও মারা গেছে বলে জানা গেছে।

ন্যাশভিলে মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান জন ডেরেক এক ব্রিফিংয়ে জানান, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে একটি খ্রিষ্টান কনভেন্ট স্কুলে ২৮ বছরের এক তরুণী গুলিবর্ষণ শুরু করে। তার কাছে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। বন্দুকধারী তরুণী ওই স্কুলের একজন সাবেক ছাত্রী।

মার্কিন ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভসের’ পরিসংখ্যান অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১২৮টি গুলির ঘটনা ঘটে। গত বছর এ সময়ের মধ্যে যা ছিল ১১৩টি। এসব ঘটনায় গত বছর ৬৪৭ এবং ২০২১ সালে ৬৯০টি হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুলির ঘটনাটিকে ‘সিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।


পুরুষের গৃহস্থালি কাজের প্রশিক্ষণ

আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:১১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিষয়টি এমন নয় যে, পুরুষ মানুষ গৃহস্থালি কাজ করেন না বা করতে চান না। তবে বাস্তবতা এমন যে, গৃহস্থালি কোন কাজগুলো করতে হবে বা করা প্রয়োজন, তাই আসলে বুঝে উঠতে পারেন না তারা। আর এই ‘বুঝে ওঠার’ ব্যাপারটিই সহজ করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে চান অনেক পুরুষ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গৃহস্থালি কাজে জেন্ডার বৈষম্য প্রকট। নারী বাইরের কাজ করলেও গৃহস্থালি কাজের ৭০ শতাংশ বা পুরোটাই তাকে করতে হয়। আর সন্তান লালন-পালনের অন্তত ৬৬ শতাংশ তো করতে হয়ই।

বিষয়টি মূলত নজরে আসে কোভিড মহামারি চলাকালে। সে সময় নারী, পুরুষ উভয়কেই বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করতে হয়েছে। ফলে ঘরে তারা একই পরিমাণ সময় কাটিয়েছেন এবং গৃহস্থালি কাজ নিয়ে উভয়ের মনোভাবের পার্থক্যগুলোও পরিষ্কার হয়ে ধরা দিয়েছে।

কাজ শেষে বাড়ি ফিরে অপরিচ্ছন্ন ঘর দেখলেই তা পরিষ্কার করার কথা মাথায় আসে নারীর। অথচ সেই অপরিচ্ছন্নতা পুরুষের দৃষ্টি না এড়ালেও পরিচ্ছন্নতার কাজটি যে করতে হবে, তা তার মাথাতেই আসে না।

একই ঘটনা রান্নাঘরের ক্ষেত্রেও। রান্নাঘরে ঢুকলেই নারী খুঁজে পাবেন কিছু নোংরা বাসনকোসন। আর সেগুলো ধুতে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন তিনি। অথচ পুরুষ মানুষের মাথায় সেগুলো ধোয়ার চিন্তা আসবেই না।

ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টম ম্যাকক্লিল্যান্ড বলেন, ‘ঘরকন্নার কাজে নারী-পুরুষ বৈষম্য বিদ্যমান, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর অধিকাংশ পুরুষই এই কাজগুলোর ব্যাপারে অন্যমনস্ক, তার মানে হচ্ছে প্রথাগতভাবে যেসব ব্যাখ্যা এতদিন দিয়ে এসেছি আমরা, সেগুলোও সম্পূর্ণ নয়।’

তবে মানুষের উপলব্ধি বা অনুধাবন মূলত চর্চার দ্বারা সমৃদ্ধ হয়। আর মানুষ চাইলেই নিজেদের ভালো অভ্যাসের দ্বারা প্রশিক্ষিত করতে সক্ষম হতে পারেন, বলেন ম্যাকক্লিল্যান্ড।

‘আপনি যখন একদিন চায়ের কেটলিতে চা বানাতে গিয়ে ময়লা দেখে সচেতনভাবে সেটি পরিষ্কার করে নেবেন, এরপর থেকে যখনই আপনি চা বানাতে যাবেন, সেটি ময়লা থাকলে নিজের অজান্তেই তা আপনি পরিষ্কার করে ফেলবেন। তাই আসলে নিজেকে একটু একটু করে প্রশিক্ষিত করার মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তা সে বড় কোনো কাজ হোক, বা গৃহস্থালির ছোট কাজ।’ ম্যাকিক্লিল্যান্ড বলেন।

এ কারণেই আসলে বিভিন্ন দেশে আজকার পিতৃত্বকালীন ছুটি দিচ্ছে সরকার। চার বা ছয় সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো আপনি নবজাতকের যত্ন নিলেন, আর তারপর বাকি জীবনের জন্য তার যত্নের বিষয়গুলো স্ত্রীর হাতে ছেড়ে দিলেন, তা নয়। এই ছুটি বরং আপনাকে একটু একটু করে প্রশিক্ষিত করবে, কীভাবে সন্তানের যত্ন নিতে হয়, কীভাবে স্ত্রীকে সহায়তা করতে হয়- এ বিষয়গুলো বুঝতে এবং তা অব্যাহত রাখতে।

সূত্র: এএফপি


banner close