বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভারতে ইসলামী সংগঠন পিএফআই নিষিদ্ধ

ছবি : সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:৩২



দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের সরকার দেশটিতে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) নামের একটি ইসলামী সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম গতকাল বুধবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএফআই ও তার বেআইনি অঙ্গসংগঠনগুলো পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে।

রয়টার্স জানায়, এ বিষয়ে সংগঠনটির তরফ থেকে কোনো বক্তব্য মেলেনি। তবে পিএফআইয়ের ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (সিএফআই) সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছে।

পিএফআইয়ের শতাধিক কর্মী-সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি মাসে গ্রেপ্তার করেছে। সিএফআইয়ের জাতীয় সম্পাদক ইমরান পি জে বলেন, ‘আমরা একটি হিন্দু জাতির ধারণার বিপক্ষে। আমরা এই বাধাকে জয় করবই। আমাদের আদর্শকে পাঁচ বছর পরে পুনরুজ্জীবিত করব। আর আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করব।’

সহিংসতা ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে পিএফআই গত মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দেয়। ওই দিন বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠনটির বিভিন্ন কার্যালয়ে তল্লাশি অভিযান চালোনো হয় এবং বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল পিএফআইকে নিষিদ্ধ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ ও তার তহবিল জোগান, উদ্দেশ্যমূলক নৃশংস হত্যাকাণ্ড, সাংবিধানিক কাঠামোকে অস্বীকার প্রভৃতি গুরুতর অপরাধমূলক কাজে পিএফআই ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতের জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ মুসলমান। অনেকে অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে মুসলিম সম্প্রদায়কে নানাভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। মোদির নেতৃত্বে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বর্তমানে ভারতের শাসনক্ষমতায় রয়েছে।

তবে বিজেপি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে ভারতের সব নাগরিক সরকারি উদ্যোগে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণের সুফল ভোগ করছে।

ভারতে ২০১৯ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য রাখার অভিযোগে যে বিক্ষোভ হয়, তাতে পিএফআই সমর্থন দিয়েছিল। আবার চলতি বছর কর্ণাটক রাজ্যে মুসলিম ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরার দাবিতে আন্দোলনেও সংগঠনটি সমর্থন দেয়।

সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, পিএফআই ও তার অঙ্গসংগঠন সিএফআই, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রিহ্যাব ফাউন্ডেশন কেরালার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সরকার বলছে, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে পিএফআইয়ের আন্তর্জাতিক যোগসাজশের বেশকিছু উদাহরণ পাওয়া গেছে। পিএফআইয়ের কয়েকজন সদস্য ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিয়েছে এবং সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।

সিএফআই নেতা ইমরান বলেন, সরকার পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকা বা ইসলামিক স্টেটে যোগদানের মতো বিভিন্ন অভিযোগ আনলেও সেসবের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি।

ভারত গত দুই দশকে কয়েকটি বড় বড় জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে। এসবের বেশির ভাগেই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামপন্থিরা জড়িত ছিল।

পিএফআই ২০০৬ সালের শেষদিকে ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম শুরু করে এবং পরের বছর দক্ষিণ ভারতের তিনটি সংগঠনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ শুরু করে। তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পিএফআই মূলত সামগ্রিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে কাজ করে।


কাল থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন

ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামীকাল শুক্রবার ভারতে শুরু হচ্ছে আঠারোতম লোকসভার নির্বাচন। সাত দফায় এবার লোকসভার ৫৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে ৪২টি আসন। কাল পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচন হবে লোকসভার তিনটি আসনে। আসন তিনটি হলো-কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার আসন। আর বাকি ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কাল নির্বাচন হচ্ছে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একই সঙ্গে কাল নির্বাচন হবে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের বিধানসভার ৬০টি এবং সিকিমের ৩২টি আসনে।

রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো হলো পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু, সিকিম, রাজস্থান, পদুচেরি, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, লাক্ষাদ্বীপ, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্রিশগড়, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী এবং বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়। রয়েছে অন্য ছোটখাটো দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ। রয়েছে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। আলিপুরদুয়ার আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বামফ্রন্টের মিলি ওঁরাওসহ অন্যান্য ছোট দল স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে। বামফ্রন্ট ছিল শূন্য। আর গোটা দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩০৩টি, কংগ্রেস ৫২টি, সমাজবাদী পার্টি ৫টি, বহুজন সমাজ পার্টি ১০, তৃণমূল ২২, ডিএমকে ২৩, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ২২ এবং টিডিপি ২টি আসনে জিতেছিল।

গত নির্বাচনে গোটা দেশে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির ৪০ জন, তৃণমূলের ৯ জন, কংগ্রেসের ৬ জন, ওডিশার বিজেডির ৫ জন মিলিয়ে সর্বমোট ৭৮ জন। আর এ বছর ভারতে প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন (১৮-১৯ বছর) ১ কোটি ৮০ লাখ ভোটার।

পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৮১ জন। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজার ৯৬০ জন। রাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ১ হাজার ৮৩৭ জন। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশন ভোট নির্বিঘ্ন করতে সব ভোটকেন্দ্রের জন্য ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করেছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছে ১১ হাজার রাজ্য পুলিশ। নির্বচন কমিশন এই রাজ্যের কোচবিহার আসনের ২ হাজার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৬টি কেন্দ্র, আলিপুরদুয়ারের ১ হাজার ৮৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৯টি এবং জলপাইগুড়ির ১ হাজার ৯০৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯১টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রথম দফার এই তিন আসনের নির্বাচনে ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থীরা। কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক, জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায় এবং আলিপুরদুয়ারে জন বারলা। বিজেপি এবার জন বারলাকে মনোনয়ন না দিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গাকে মনোনয়ন দিয়েছে। গত নির্বাচনে এই তিনটি আসনে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীদের পরাজিত করেছিল বিপুল ভোটের ব্যবধানে। এবারও বিজেপি আশাবাদী, এই তিনটি আসনেই আবার তারা জিততে চলেছে। কারণ, এখনো পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ এলাকায় বিজেপি শক্তিশালী।

বিষয়:

গাজায় ছোড়া হয়েছে ২৫ হাজার টন বিস্ফোরক: জাতিসংঘের দূত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ২৫ হাজার টন বিস্ফোরকদ্রব্য ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডগুলোর জন্য নিয়োজিত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকা আলবানিজ। তার ভাষ্য, এসব বিস্ফোরকের বেশির ভাগ ছোড়া হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে।

আল জাজিরা বৃহস্পতিবার জানায়, ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া হামলার প্রথম সপ্তাহে গড়ে ২৫০ জন নিহত হন বলে জানান আলবানিজ। জাতিসংঘের বিশেষ দূতের ভাষ্য, গাজায় হামলার শুরুর সপ্তাহে ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়’ ইসরায়েল দুই হাজার পাউন্ড বাঙ্কার বাস্টার বোমা ছোড়ে।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জিপি হটভলির এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত কথাগুলো বলেন আলবানিজ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজকে হটভলি বলেন, ‘শুধু ভাবুন, জেরুজালেমের মতো কোনো শহরের মাঝখানে বিশাল একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়লে বিষয়গুলো কেমন ঠেকত।

‘শুধু ভাবুন, এটি লোকালয় এবং জনগণ ও শিশুদের ওপর আঘাত করছে।’

গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

জিপির দাবি, ইরানের হামলায় ক্ষতি হয়নি বললেই চলে।


হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়

জোসেপ বোরেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ নিতে কয়েক দিন আগে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলে এটিই ছিল ইরানের সরাসরি প্রথম কোনো হামলা।

যদিও কনস্যুলেটে হামলা চালানোর কথা ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে এই হামলার পর এখন ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে। এমন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে বড়সড় যুদ্ধের সূচনা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

তবে হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এমনকি আঞ্চলিক সংঘাত সৃষ্টি হলে তা ‘কারও স্বার্থেই ভালো হবে না’ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান মঙ্গলবার ফরাসি দৈনিক লে মন্ডেকে বলেছেন। সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ইরানের হামলা সম্পর্কে জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েক দিন আগে সতর্ক করা হয়েছিল।’

জোসেপ বোরেল আরও বলেছেন, ‘আক্রমণের পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন- তারা শুধু সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, তিনি আমাকে বুঝিয়েছেন- এটি ছিল কেবল নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া। আপনি যখন ক্ষতি করতে চান, তখন আপনি এমন কোনো ড্রোন পাঠাবেন না, যেটি আঘাত হানতে ছয় ঘণ্টা সময় নেয়।’

তার ভাষায়, ‘বর্তমানে হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়।’

ইইউ পররাষ্ট্র নীতির এই প্রধান জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক লক্ষ্য হলো উত্তেজনা এড়ানো। তিনি উল্লেখ করেছেন, আঞ্চলিক সংঘাত ‘কারও স্বার্থে, বিশেষ করে গাজার স্বার্থে ভালো কিছু নয়’।

জোসেপ বোরেল জোর দিয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতি এবং ঐক্য ছাড়া অন্য কোনো ক্ষমতা নেই, যদিও জার্মানিসহ কিছু সদস্য দেশের ইসরায়েলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘আমেরিকানরা চাইলে অন্য উপায় ব্যবহার করতে পারে, বিশেষ করে ইসরায়েলে তাদের অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে। তারা অতীতে অপরিবর্তনীয় নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আজ, আমি মনে করি, তাদের যে সুবিধা আছে তা তারা ব্যবহার করতে চায় না।’

তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত সম্পর্কে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ‘স্পষ্ট এবং গভীর বিভাজন’ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন, তাদের মধ্যে কিছু দেশ- যেমন ফ্রান্স অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে শুরু করেছে।

বোরেল জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সর্বদা পারস্পরিক সম্মতিসূচক অবস্থান উপস্থাপনের চেষ্টা করি: যদি ইউক্রেনের অবরুদ্ধ জনসংখ্যার জন্য পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য বন্ধ করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি হয়, তাহলে গাজাতেও তা একই।’

তার ভাষায়, ‘যদি আমরা এই সার্বজনীনতাবাদী অবস্থান গ্রহণ না করি, তাহলে আমাদেরকে দ্বিচারিতা বা ভণ্ডামির জন্য অভিযুক্ত করা হবে।’

এর আগে সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এ হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।

মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।

তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।

এদিকে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা আর না বাড়ানোর বিষয়ে বোঝাতে ইসরায়েল সফরে গেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন। এই সফরে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ইরানের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। যদিও এখনো পাল্টা আক্রমণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি তেল আবিব।

তবে এই উত্তেজনা যাতে আঞ্চলিকভাবে বড় পরিসরে ছড়িয়ে না পড়ে সেই উদ্যোগ নিতে ডেভিড ক্যামেরুনের এই হঠাৎ সফর।

তিনি ইসরায়েল সরকারকে স্মার্ট ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার জেরুজালেমে পৌঁছে ক্যামেরুন বলেছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানাতেই সেখানে গিয়েছেন। পরবর্তীতে কী ঘটবে সে বিষয়ে ভাবার এখনই উপযুক্ত সময়। কিন্তু এটা পরিষ্কার ইসরায়েল আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেবে।

ক্যামেরুন আশাবাদ ব্যক্ত করেন, উত্তেজনা যতটা সম্ভব কমের মধ্যে রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি জানান, ইসরায়েলের হামাসকেই মূল ফোকাসে রাখতে হবে। তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে।


ভারী বর্ষণে প্লাবিত দুবাই, অর্ধশতাধিক ফ্লাইট বাতিল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আকস্মিক বর্ষণে প্লাবিত হয়ে গেছে দুবাইয়ের বিমানবন্দর। প্রবল বজ্রঝড় ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহরটি। রেকর্ড করা হয়েছে ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। জলমগ্ন হয়ে পড়ায় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অর্ধশতাধিক ফ্লাইট বাতিল ও বুধবার রাত পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার গভীর রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে পুরো বছর জুড়ে দুবাইয়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হতো ৯৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার।

প্রবল বৃষ্টির কারণে সোমবার রাত থেকেই অকার্যকর হতে থাকে বিভিন্ন পরিষেবা। প্রবল বর্ষণের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতেই দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার রাত পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে বিমানবন্দরে চেক-ইন।

এদিকে প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে ওমানে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।


ইরানকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:১১
বাসস

ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ওয়াশিংটন ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরি কর্মসূচির পাশাপাশি দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। খবর তাসের।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলে ইরানের হামলার ব্যাপারে ‘বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া’ জানানোর পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ও অংশীদারদের এবং মার্কিন কংগ্রেসের উভয় চেম্বারের নেতাদের সঙ্গে একত্রে তিনি এমন পরিকল্পনা করছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আগামী দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচির পাশাপাশি দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এবং তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

সুলিভান আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে যে ওয়াশিংটনের মিত্র ও অংশীদাররা ‘খুব শিগগিরই তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞার পথ অনুসরণ করবে।’

এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হন। এর পরপরই আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা জানায় ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে ইসরায়েলে হামলা চালাবে ইরান। ৪৮ ঘণ্টা যাওয়ার আগেই ইরান হামলা চালায়। ইরানের এই হামলা ভূপাতিত হবার আগেই নিষ্ক্রিয় করে দেয় ইসরায়েল।

বিষয়:

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: শ্রিংলা

ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এমনই, যা পারস্পরিক অব্যাহত সহযোগিতার মাধ্যমে লালন করে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সম্পর্ক শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে না, দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নতুন উদ্যমে এই সম্পর্কের গতি ধরে রাখতে হবে।’

বিশ্ব রাজনীতি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিম রঞ্জন বসুর সঙ্গে একটি পডকাস্টে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শ্রিংলা।

প্রতিম রঞ্জন বসু একজন মিডিয়া ভাষ্যকার, গবেষক ও পরামর্শদাতা। এ ছাড়াও সংবাদপত্রে কলাম লেখার পাশাপাশি প্রায়ই সময় জাতীয় টেলিভিশনেও দেখা যায় তাকে।

২০২২-২৩ সালে ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির প্রধান সমন্বয়ক শ্রিংলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন; যা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। দুই দেশ একসঙ্গে সম্পর্কের নানা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।

নতুন করে ভারতীয় ঋণের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি দেশেরই ঋণ শোষণের ক্ষমতা রয়েছে।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে এবং নির্ধারিত ঋণসীমাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অবশ্যই এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করা খুবই জরুরি।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ভারতীয় ঋণের ৫০ শতাংশ প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য। ‘আপনার প্রতিবেশীদের বাদ দিয়ে আপনি উন্নতি ও বিকাশের আশা করতে পারেন না।’

সাবেক এই ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, কোভিড-১৯ চলাকালে ভ্যাকসিন আদান-প্রদান, পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি এবং বাণিজ্য সুবিধাগুলো থেকে সুফল আসছে।

তিনি আরও বলেন, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ সহযোগিতার বিকাশ হবে এবং শ্রীলংকায় সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক ক্যাবল ব্যবস্থা দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে।

মালদ্বীপে ‘বয়কট ইন্ডিয়া’ প্রচারণা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রিংলা বলেন, সম্পর্ক এতই মজবুত যে ‘বয়কট ইন্ডিয়া’ প্রচারে তাতে ব্যাঘাত ঘটার সুযোগ নেই।

পর্যটন, চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা খাতের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের খুব নিরাপদে বলতে পারি যে, এই দুই দেশের মানুষের মধ্যে অত্যন্ত দৃঢ় সখ্য ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।’

শ্রিংলা আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে প্রতিবেশীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিস্তৃত ও দূরদর্শী নীতি।

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে শ্রিংলা বলেন, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে নেই তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশনায় দেশের জন্য কাজ করতে পেরে তিনি খুশি। ভারতের ব্যাপক রূপান্তর হয়েছে এবং সাফল্য অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ভারত একটি বহুমেরু বিশ্ব চায়; যার অন্যতম মেরু হবে দেশটি। মোদির অধীনে ভারত সমস্ত প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের ভেতর ও বাইরে উভয় দিক থেকেই প্রতিরোধের মুখোমুখি হলেও এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।

ভারত-মার্কিন সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ‘মার্কিন সংস্থাগুলো ভারতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এতে কোনো প্রভাব পড়বে না।’

ইন্দো-প্যাসিফিক ও কোয়াড যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এতে সহযোগিতা বাড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শ্রিংলা বলেন, এডেন উপসাগর ও সুয়েজ খাল দিয়ে সামুদ্রিক বাণিজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, সমুদ্রে নিরাপত্তা প্রদানে ভারতের ভূমিকা পশ্চিম ভারত মহাসাগর এবং সম্ভবত পূর্ব ভারত মহাসাগরেও বাড়বে।

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তায় আমাদের আরও জোরালো অংশগ্রহণ দেখাতে হবে। আজ আমরা আরও সক্রিয় হয়েছি। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা এর অংশ।’

শ্রিংলা আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে বৃহত্তর স্থিতিশীলতা দেখা যাবে বলে আমরা আশা করি।’


ওমরাহ ভিসার অপব্যবহারের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করল সৌদি

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ওমরাহ ভিসার অপব্যবহার রোধে হুঁশিয়ার করেছে সৌদি সরকার। ধর্মীয় উদ্দেশ্য ছাড়া কর্মসংস্থান বা অন্য কোনো কাজে যেন এই ভিসার ব্যবহার না করা হয়, সেজন্য ওমরাহ পালনকারীদের প্রতি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। ভিসার নির্দিষ্ট প্রবিধানগুলো মেনে চলার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে সৌদির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ওমরাহ পালনের লক্ষ্যে ইস্যু করা ভিসাগুলো কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বা এ সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ নিজেদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ওমরাহ পালনের ধর্মীয় উদ্দেশ্য যথাযথভাবে পূরণের ওপর জোর দিতে হবে। বিবৃতিতে ওমরাহ পালনকারীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশ ত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে এই ভিসা ব্যবহারের যেন কোনো প্রকার চেষ্টা না করা হয়, সে জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি-বজ্রপাতে ৩৯ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টিপাতে প্লাবিত এলাকা। ছবি: বিবিসি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে কমপক্ষে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দিন ধরেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফসল কাটার সময় বেশ কয়েকজন কৃষক বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। আকস্মিক বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে বৃষ্টির পানিতে কৃষিজমি ডুবে গেছে।

পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগও বাড়ছে। শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যায় ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয় আরও কয়েক হাজার মানুষ। এতে কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন এবং কয়েক মাস ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দেয়। সে বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের কিছু অঞ্চল বন্যায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চলতি বছরের বন্যা এবং বজ্রপাতেও সেসব এলাকা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগামী কয়েক দিনে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে সেখানে বজ্রপাতে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছে। পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সোম এবং মঙ্গলবার প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বালুচ শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নুর আহমেদ পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেছেন, পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।

এদিকে পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানেও ভারী বন্যার খবর পাওয়া গেছে। আফগান কর্তৃপক্ষ রোববার জানিয়েছে, সেখানে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে, পাকিস্তানে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পঞ্চম দেশ হিসাবেও স্থান পেয়েছে।

বিষয়:

ইসরায়েলকে আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিল ইরান

ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলকে আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার জবাব দেবে ইরান। আজ মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঘেরি বলেন, ইসরায়েলের যেকোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেহরানের পাল্টা আক্রমণ হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। ইরান এবার জবাব দেওয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করবে না; এমনকি, এক ঘণ্টাও দেরি করবে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ফজল শেকারচি। তিনি বলেন, ইরান প্রমাণ করেছে যে তারা যুদ্ধবাজ নয় ও যুদ্ধের বিস্তার চায় না। তবে ইসরায়েল যদি প্রতিশোধ বা উসকানিমূলক কোনো আগ্রাসন চালায়, তবে ইরান আরও শক্তিশালী জবাব দেবে।

গত শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান। দামেস্কে ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।

ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল ঠিক কী পদক্ষেপ নেবে, তা নির্দিষ্ট করেননি জেনারেল হারজি। তাছাড়া কবে, কখন ইসরায়েল এই জবাব দেবে, তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি। ইসরায়েলের মিত্ররা ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে তারা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

‘পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সক্ষমতা ইরানের আছে’

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর ইরানকে সরাসরি সমর্থন দেয়নি চীন। তবে এবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই যা বললেন, তাতে দেশটি ইরানের পক্ষে আছে বলেই মনে হতে পারে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইরানের। এ অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, তারা সেটি দেখছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সময় ওয়াং ই বলেন, ইরান নিজেদের প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের চিন্তা করে হামলা করেছে বলে জানিয়েছে। সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রকাশিত চীনের বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক দেশগুলোতে হামলা না করার দিকে যেভাবে ইরান জোর দিয়েছে তাতে সমর্থন দিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ওয়াং ইকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা নিয়ে ইরানও চিন্তিত। এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা করছে। এই উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে সে জন্য তারা সব করতে রাজি।

ইরানের হামলার পর সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফাহিয়ান আল সৌদের সঙ্গেও কথা বলেন ওয়াং ই। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে রিয়াদের সঙ্গে কাজ করতে বেইজিং প্রস্তুত বলে জানান তিনি। এমনকি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়েও কাজ করবে চীন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে একজন কমান্ডারসহ ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সাত কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ হামলার জবাবে গত রোববার ভোরে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের হামলায় খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান সহায়তা করেছে।

ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল কী করে, তা দেখতে উদগ্রীব পুরো বিশ্ব। তবে এখনই ইসরায়েলকে কিছু না করার পরামর্শ দিয়েছে পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। উত্তেজনা না বাড়ানোর জন্য সোমবার ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্রগুলো আহ্বান জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ইসরায়েলকে সংযত থাকতে বলেছেন।


ইসরায়েল কি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আঘত হানবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:২৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ির সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের টোলফোনে কথোপকথন হয়েছে। এই আলাপে উঠে আসে সম্প্রতি ইসরায়েলে ইরানের হামলার বিষয়টি। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এই টেলিফোন আলাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোতে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলর হামলার বিষয়টি ওয়াংয়িকে অবগত করেন এবং এই হামলার জবাবে হিসেবে ইরান ইসরাইলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানায়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান ওয়াংয়িকে আরও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলে এই হামলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেয়নি এবং ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের নিজের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। বর্তমানে ইরান-ইসরায়েল আঞ্চলিক পরিস্থিতি ‘খুবই স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরান ‘সংযম করতে ইচ্ছুক’ এবং আর উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।

জবাবে ওয়াংয়ি বলেন, ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করেছে চীন এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে। চীন ইসরায়েলে ইরানের হামলাকে প্রতিক্রিয়া হিসেবে এবং আত্মরক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে।

এদিকে, ইরানের এই হামলার জবাব ইসরায়েল অবশ্যই দেবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। ইসরায়েলে হামলার পর ইরানের পরমাণু স্থাপনা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বলেছেন, ইরান নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে তাদের পারমাণবিক স্থাপনা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। চলতি সপ্তাহের ইসরায়েলের ওপর কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার পর তেহরান এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। খবর এএফপির।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল; ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার শঙ্কা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কি না।

জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বদা এমন হামলার শঙ্কা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি আপনাদের যা বলতে পারি তা হলো ইরানে অবস্থানকারী আমাদের পরিদর্শকদের দেশটির সরকার জানিয়েছে, আমরা প্রতিদিন যেসব পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন করছি; নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে সেসব স্থাপনা বন্ধ থাকবে।’

বিষয়:

কাশ্মীরে নৌকাডুবে নিখোঁজ ১৫ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত-শাসিত কাশ্মীরের ঝিলম নদীতে মঙ্গলবার একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর উদ্ধারকারীরা নিখোঁজ প্রায় ১৫ জনকে খুঁজে বের করার প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

নিখোঁজদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু, যারা স্কুলে যাওয়ার পথে শ্রীনগর শহরের ঝিলাম নদীতে নৌকা উল্টে যাওয়ায় নিখোঁজ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাশ্মীরের সিনিয়র এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর প্রায় ১৫ জন নিখোঁজ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ও রয়েছে।’

কাশ্মীরের হিমালয় উপত্যকা জুড়ে কয়েকদিনের বৃষ্টির পর নদীটি ফেঁপে উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রবল স্রোতে নৌকাটি উল্টে যায়।

শ্রীনগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিলাল মহিউদ্দিন ভাট এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের উদ্ধারকারী দল সেখানে রয়েছে। আমরা ঘটনার বিস্তাারিত জানার চেষ্টা করছি।’

অনেক অফিস কর্মী এবং স্কুলছাত্রীরা রাস্তার যানজট এড়াতে সকালে নদীতে নৌকা নিয়ে পারাপার হয়।

পার্বত্য অঞ্চলের রাস্তায় দুর্ঘটনা সাধারণ ঘটনা কিন্তু যাত্রীবাহী নৌকা বিপর্যয় বিরল।


মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা

শনিবার রাতে ইসরায়েলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ফাইল ছবি: বিবিসি
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:১৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বেশকিছু নিরাপত্তা বিশ্লেষক বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইসরায়েল শিগগিরই কিংবা কিছুদিন পরে ইরানের হামলার জবাব দেবে- এ ব্যাপারে তাদের কোনো সন্দেহ নেই। চলমান এ পরিস্থিতিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে।

শনিবার রাতে ইরান প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা চালায়। এসব হামলায় তারা শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে অপারেশন ট্রু প্রোমিজ নামে অভিযান চালিয়েছে ইরান। তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি। দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। এবারই প্রথম ইসরায়েলের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালাল ইরান। তবে ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে ইরানের ওই হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। রোববার রাতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা পশ্চিমা নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও ‘আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ উভয়ই অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে কখন কীভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। জানা গেছে, ইরানে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সবাই একমত হতে পারেননি।

ইরানের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ না নিতে। একই সঙ্গে তিনি নেতানিয়াহুকে তার দেশের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ‘সতর্কতার সঙ্গে ভাবারও’ পরামর্শ দেন। বাইডেনের পরামর্শ মেনে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে আক্রমণ না চালালেও তারা বলছে, ইরানে নিজের বেছে নেওয়া উপায় ও সময়ে হামলার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রোববার ইরানি হামলার জবাব দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করতে অন্তত ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের অপর একটি সংবাদমাধ্যম ইসরায়েল হাইয়ুমের প্রতিবেদনে ইসরায়েল সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই (ইরানকে) একটি প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’

ইরান এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইসরায়েল বা তার সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আরও বড় আক্রমণ চালাবে তারা। অন্যথায় সংঘাত এখানেই সমাপ্ত। অর্থাৎ আক্রমণের পর বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে ঠেলে দিয়েছে ইরান। পরবর্তীতে কী হবে তার পুরোটাই নির্ভর করছে ইসরায়েলের পদক্ষেপের ওপর।

ইরান-ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বড় পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আরও হামলা-পাল্টা হামলার মাধ্যমে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেন।

গুতেরেস বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বাসিন্দারা সর্বাত্মক এবং ভয়াবহ সংঘাতের মধ্যে পড়ে গেছে। গোটা অঞ্চল এখন খাদের কিনারে চলে গেছে। বাসিন্দারা একটি পূর্ণমাত্রার ধ্বংসাত্মক সংঘাতের মুখোমুখি। তারা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছেন। এখনই সময় তাদের খাদের কিনার থেকে ফিরিয়ে আনার। আর এ দায়িত্ব যৌথভাবে গোটা বিশ্বের।’

বিশ্ব সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি সভার শুরুতে দেওয়া ভাষণে গুতেরেস এসব কথা বলেন। স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে ইসরায়েলের অনুরোধে ইরানের হামলা নিয়ে এ সভা ডাকা হয়। এতে স্ব স্ব দেশের অবস্থানের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েল ও ইরানের রাষ্ট্রদূতেরা।

সংঘাতে কোনো পক্ষ নেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না উল্লেখ করে গুতেরেস জানান, তিনি নিশ্চিতভাবে এই সংঘাতে কোনো পক্ষে যাননি।

মধ্যপ্রাচ্যের বড় বড় সামরিক পক্ষগুলো ফের ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে যেতে পারে, এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো সংঘাতপূর্ণ পদক্ষেপ এড়িয়ে যাওয়া জরুরি। ইতোমধ্যে এখানকার বেসামরিক নাগরিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের (গাজাবাসী) চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। তাই এখনই সময়, সবাইকে যুদ্ধের কিনার থেকে ফিরে আনার।’

জাতিসংঘের মহাসচিব আরও বলেন, ‘(ইরান-ইসরায়েল-গাজা) সংঘাত যাতে আবার উসকে না যায়, তা প্রতিরোধে সবার দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে সক্রিয়ভাবে এই দায়িত্ব পালনের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।’

সবার যৌথ অংশগ্রহণে এখনই গাজায় যুদ্ধ বিরতি প্রয়োজন উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, ‘সেখানে মানবিক অবস্থা বিপর্যস্ত। এ জন্য সব জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও বাধাহীনভাবে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে দেওয়া দরকার।’

গুতেরেস তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সংঘাত বন্ধ ও লোহিত সাগরে নৌযান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করা নিয়েও কথা বলেন।

ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলায় জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যদি কোনো পাল্টা হামলা পরিচালনা করে তাতে অংশগ্রহণ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার হোয়াইট হাউস এ কথা নিশ্চিত করেছে।

ইরানের হামলার পর এক বিবৃতিতে বাইডেন জানান, তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন- ইসরায়েল নিজেকে রক্ষার তাৎপর্যপূর্ণ সক্ষমতা দেখিয়েছে এবং নজিরবিহীন হামলাকে পরাজিত করেছে। বিবৃতিতে তিনি ও নেতানিয়াহু সম্ভাব্য ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন কি না তা সম্পর্কে কিছু বলেননি বাইডেন।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি এক মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলকে রোববার বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তবে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না ওয়াশিংটন। ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করবে কি না জানতে চাইলে কিরবি বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও দেশটিকে রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার লৌহদৃঢ়। প্রেসিডেন্ট যেমন অনেকবার বলেছেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধ চাই না। ইরানের সঙ্গে আমরা যুদ্ধ চাই না। আমি এটুকুই বলব।

কিরবি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার তীব্রতা বাড়ুক আমরা চাই না। আমরা বড় সংঘাত চাই না। রোববার ইসরায়েলের দুই সিনিয়র মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েলের পাল্টা হামলা খুব দ্রুত হবে না এবং একা হামলা চালাবে না।

বিলিয়ন ডলার ক্ষতি ইসরায়েলের

ইসরায়েলে ইরানের হামলায় ক্ষতিও হয়েছে অনেক। তবে তারা সেটি সঠিকভাবে প্রকাশ করছে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল-জাজিরা। এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তবে ইসরায়েল যা বলছে তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। আল-জাজিরা বলছে, ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু তাদের বিবৃতিতে তা প্রকাশ পায়নি।

ইরানের হামলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলায় একজন আহত হওয়ার খবর জেনেছেন তারা। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি।

এদিকে রাতভর ইরানের ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাবেক এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম আমিনোচ ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানান।

আমিনোয়াচ বলেন, আমরা যদি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বলি; ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র- যা অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভূপাতিত করা দরকার, সেগুলো আমরা মূলত যুদ্ধবিমান দিয়ে ভূপাতিত করছি। অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ৩৫ লাখ ডলার, ডেভিডস ব্লিংয়ের জন্য ১০ লাখ ডলার, এ ছাড়া জেট বিমানের জন্যও এ ধরনের খরচ হয়েছে। অর্থাৎ সব খরচ মেলালে ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান কী করতে সক্ষম তার সামান্য চিত্র দেখাল মাত্র। এটা এমন একটি দৃশ্য যা কখনো কেউ দেখেনি। এমন হামলার পরেই পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে।


‘ইরানের হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল কোনো এক সময় অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, এটি প্রায় নিশ্চিত যে ইসরায়েল প্রতিশোধ নেবে। তবে সে প্রতিশোধ কখন ও কীভাবে নেওয়া হবে তা অজানা। খবর এএফপি’র।

গাজা যুদ্ধ নিয়ে এ অঞ্চলে ইতোমধ্যে অশান্তি বিরাজ করায় বিশ্ব নেতারা সংশ্লিষ্ট সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ইরানের হামলার সামরিক প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বেশ কিছু নিরাপত্তা বিশ্লেষক এএফপি’কে বলেছেন, ইসরায়েল শিগগিরই বা পরে ইরানের এমন হামলার জবাব দেবে এ ব্যাপারে তাদের কোন সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে তারা ইসরায়েল এবং জোটের জন্য বিশাল ঝুঁকির এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে এর প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।

যে কারণে ইসরায়েল প্রতিশোধ নেবে

নিরাপত্তা পরামর্শদাতা স্টিফেন অড্র্যান্ড বলেছেন, যদিও ইসরায়েল এবং তাদের মিত্ররা এসব হামলার অধিকাংশ ঠেকিয়ে দিয়েছে। ইরানের এমন হামলায় দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন করে চরম অবনতি ঘটে। এদিকে ইরান বলেছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোতে তেহরানের কনস্যুলেট ভবনে ১ এপ্রিল চালানো ভয়াবহ বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা এসব ড্রোন ও বিমান হামলা চালায়। ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়েছিল।

ওই হামলায় দুই সিনিয়র জেনারেলসহ ইরানের সাতজন রেভল্যুশনারি গার্ড নিহত হয় এবং সেখানে হামলার পরপরই ইরানের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। অড্র্যান্ড আরও বলেছেন, ‘ইসরায়েলের ভূখণ্ড অন্য রাষ্ট্র দ্বারা হামলার শিকার হলে, এক্ষেত্রে ঐতিহ্যগতভাবে ইসরায়েলের একটি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে।’

ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান তামির হায়মান যুক্তি দিয়ে বলেন, ইসরায়েল তাদের সুবিধা মতো সময়ে পাল্টা আঘাত করবে এমনটা প্রায় নিশ্চিত। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া তার ভবিষ্যদ্বানীতে বলেন, ‘ইরানের মাটিতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল তাদের জবাব দেবে।’

বিষয়:

banner close