শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

‘ক্লিক রসায়নে’ অবদান রেখে ৩ বিজ্ঞানীর নোবেল জয়

রসায়নে নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী (বাঁ থেকে) ক্যারোলিন আর বার্তোজ্জি, মর্টেন মেলডাল ও কে ব্যারি শার্পলেস। ছবি: নোবেল পুরস্কার
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৪৬

এ বছরে রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী ক্যারোলিন আর বার্তোজ্জি, মর্টেন মেলডাল ও কে ব্যারি শার্পলেস। বুধবার (৫ অক্টোবর) নোবেল কমিটির এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,

‘ক্লিক রসায়ন’ নিয়ে গবেষণার কারণে তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

তিন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কারের এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার সমানভাবে ভাগ করে নেবেন। এই তিনজনের মধ্যে কে ব্যারি শার্পলেস ২০০১ সালেও রসায়নে নোবেল পেয়েছেন।

নোবেল কমিটি বলছে, কঠিন প্রক্রিয়া সহজ করাই এ বছরের রসায়নে নোবেল মূল বিষয়। ব্যারি শার্পলেস ও মর্টানে মেলডাল রসায়নের একটি কার্যকর রূপ ‘ক্লিক কেমিস্ট্রি’র ভিত্তি স্থাপন করেছেন। এই প্রক্রিয়াটিতে পারমাণবিক বন্ধনগুলো দ্রুত ও কার্যকরভাবে আবদ্ধ হয়। ক্যারোলিন বার্তোজ্জি এই ক্লিক কেমিস্ট্রিতে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছেন এবং জীবিত প্রাণসত্তাতেও এর ব্যবহার শুরু করেছেন।

মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত গবেষণার জন্য সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে সান্তে পাভোর নাম জানিয়ে এ বছরের নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় ফ্রান্সের অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ ক্লজার ও অস্ট্রিয়ার অ্যান্টন জেইলিঙ্গারের নাম। বিজড়িত ফোটন কণা নিয়ে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার ‘যুগান্তকারী’ গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে তারা এ পুরস্কার পান। আজ ঘোষণা হলো রসায়নে নোবেলজয়ীদের নাম।

এরপর আগামীকাল সাহিত্যে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার ঘোষণা করা হবে শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম এবং আগামী ১৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে নোবেল পুরস্কার।


ভারতের মণিপুরে দুই সিআরপিএফ সদস্য নিহত

ভারতের মণিপুরে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এনডিটিভি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় এক হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়, যেটি জঙ্গিরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবর বলে, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের একটি দল নারানসেইনা গ্রামের পাহাড়ি অংশ থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে সিআরপিএফের চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর জবাবে সিআরপিএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরই মধ্যে চৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাহিনীর চার সদস্য।

এ চারজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও দুজনের মৃত্যু হয়। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রাণ হারানো দুই সিআরপিএফ সদস্য ১২৮ ব্যাটালিয়নের হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন, যাদের কর্মস্থল ছিল নারানসেইনা এলাকায়। এ দুজন হলেন উপপরিদর্শক এন সরকার ও প্রধান কনস্টেবল অরূপ সাইনি।

আহত দুজন হলেন পরিদর্শক যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস।

হামলাকারীরা গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে হামলা শুরু করে বলে খবর পাওয়া যায়, যেটি চলে রাত সোয়া দুইটা পর্যন্ত।


গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি।

লিঙ্কডইন পোস্টে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপপরিচালক ছিলেন হালা রাহারিত। এই সংস্থাটি আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। তারপর ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন তিনি।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গত মার্চে একই ভাবে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। তার আগে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারিক হাবাশ।


দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে কম সহিংসতার খবর মেলেনি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভারতের লোকসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে । দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৯টি আসনে ভোট হয়েছে গতকাল শুক্রবার। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলেছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন কেন্দ্রে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ জুন ভোটের গণনা ও ফলঘোষণা হবে। এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ভোটারের উপস্থিতি অনেক কম ছিল। এই প্রতিবেদ লেখা পর্যন্ত সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি ।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনসহ (কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার) দেশের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

তবে ভোটের মাঠে প্রতিবন্ধকতা এখন তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশটির প্রায় বেশিরভাগ জায়গাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অত্যাধিক গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই গরম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনও। অত্যাধিক গরমের কারণে তিন ভোটার এবং এক জন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে।

ভোটদানে অনীহা গ্রামবাসীর

উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী গ্রামে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হয়েছে। ওই গ্রামে ৭৫ জন ভোটার রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষি কাজে ব্যস্ত।

ভোটারের খরা

ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে দেখা গেছে, প্রথম ধাপের চেয়েও দ্বিতীয় ধাপে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। একটি পরিসংখ্যান বলছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ভোটারের বিপরীতে কাস্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ছিল কম। ২০১৯ সালের তুলনায় এই সংখ্যাটি অনেক কম।

এ বিষয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ১ হাজার ২০০ এরও বেশি প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিকাল ৫টায় ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে মণিপুর, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড করা হলেও উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২.৬, ৫৩ এবং ৫৩.৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- শুক্রবার কেরালার ২০টি আসন, কর্ণাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪ টি, রাজস্থানে ১৩ টি, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে ৮ টি, মধ্যপ্রদেশে ৭ টি, আসাম ও বিহারে ৫ টি, ছত্তিশগড় এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩টি এবং মণিপুর, ত্রিপুরা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি করে আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লড়াই করেছেন ভারতের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, বিজেপির তেজস্বী সূর্য, হেমা মালিনী এবং অরুণ গোভিল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও শশী থারুর, কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশ এবং কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী অন্যতম।

ত্রিপুরাতে ভোটদানের হার ৫৪.৫ শতাংশ

১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হারে এগিয়ে ত্রিপুরা। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই রাজ্যেই। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ত্রিপুরাতে ভোটদানের হার ৫৪.৫ শতাংশ। সামান্য পিছিয়ে মণিপুর। আউটার মণিপুরের কয়েকটি জায়গায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। সেখানে ভোট পড়েছে ৫৪.৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মহারাষ্ট্রে (৩১.৮ শতাংশ)। সারা দেশে ভোট পড়েছে ৩৯.১ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, সাতটি ধাপের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। শেষ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন। ৪ জুন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে।


এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে ওমরাহ করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারাবিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য ওমরাহ পালনের পথ আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এখন থেকে যেকোনো দেশের যেকোনো ধরনের ভিসাধারী ব্যক্তি সহজে পবিত্র ওমরাহ পালন করার অনুমতি পাবেন। ওমরাহসংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করায় মুসলমানদের ওমরাহ করার সুযোগ আরও বাড়ল বলে মনে করে দেশটি।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, ‘যেকোনো দেশ থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিরা সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।’

মন্ত্রণালয় গুরুত্ব দিয়ে বলেছে- ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম, ই-ভিসাসহ সব ধরনের ভিসাধারীই ওমরাহ পালনের জন্য নতুন এ সুবিধা পাবেন।

সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক না কেন, আপনি ওমরাহ পালন করতে পারবেন।’

ওমরাহর অনুমতি পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং ইসলামের পবিত্রতম স্থান মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে আচার অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

যেসব মুসলিম ওমরাহ পালন এবং ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মদিনা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থাসহ নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।

গত কয়েক মাসে ওমরাহ পালনের জন্য বিদেশি মুসল্লিদের আসতে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সৌদি আরব।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের ওমরাহ পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

সম্প্রতি সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা; স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটি দিয়ে আসা মুসল্লিদের সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা।

এ ছাড়া গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোতে বসবাসকারী প্রবাসীরা এবং শেনজেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভিসাধারীরা এখন সৌদি আরবে যাওয়ার আগেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ পালনের অনুমতি নিতে পারবেন।


ট্রাম্প ইস্যুতে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না এবং এমন সুযোগ থাকলে তার অর্থ আসলে কী দাঁড়ায়, এ বিষয়ে পর্যালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। এর জবাবই নির্ধারণ করবে ২০২০ সালের নির্বাচকে নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারের মুখোমুখি হবেন কি না। তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক, প্রত্যেক বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটিই যুক্তরাষ্ট্রের আগামী দিনের গণতন্ত্রের নতুন রূপ দেবে।

এ বিষয়ে আদালতের নির্ধারিত যুক্তিতর্কের এক দিন পর বিশেষ সেশনে মামলাটির শুনানি হয়েছে। এর ভিত্তি ছিল মূলত ট্রাম্পের এই দাবি যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্তব্যরত থাকার সময় তিনি যেকোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। ট্রাম্পের মতে এই দায়মুক্তিই হবে স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ।

এই দায়মুক্তি বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত তার বিচার স্থগিত থাকবে। জুনে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিচারকরা যে প্রশ্ন তুলেছেন তা তাদের মধ্যে বিভক্তির একটি ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্তই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বিভক্তির জেরে আরও জটিল সিদ্ধান্তও আসতে পারে, যা পুনরায় বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে। একটি পূর্ণ দায়মুক্তির অর্থ কি এই দাঁড়াবে যে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও মেরে ফেলতে পারেন?

কিংবা এই দায়মুক্তি না থাকলে প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হবেন বা জেলে যাবেন? রক্ষণশীলরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের কিছুটা দায়মুক্তি থাকা উচিত। তবুও বিচারকরা এ মামলায় ট্রাম্পের আইনজীবী ডিন জন সাউয়ের যুক্তিতর্ক নিয়ে সতর্ক, যেখানে তিনি বলেছেন, একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচার প্রক্রিয়া থেকে ‘প্রায় সুরক্ষিত’। সাউয়েরকে এই সুরক্ষার বিষয়টি ধরে ৯ জন বিচারক জেরা করেছেন।

প্রেসিডেন্ট যদি সামরিক বাহিনীকে অভ্যুত্থান ঘটাতে বলে তাহলে কী হবে, তিন উদারপন্থি বিচারকের একজন এলেনা কাগান এই প্রশ্নটি করেছেন। সাউয়েরকে বেশ দ্বিধান্বিত দেখা গেছে এর উত্তর দিতে গিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে’। বিচারপতি কাগান প্রত্যুত্তরে বলেছেন, ‘এটি খুব একটা ভালো শোনাচ্ছে না, তাই নয় কি?

পরে আরেকজন উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসনও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্টরা পুরো ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে তারা তো আইন নাও মানতে পারেন। রক্ষণশীল বিচারকরাও সাউয়েরকে চাপ দেন যে- প্রেসিডেন্টের কাজ এবং ব্যক্তিগত কাজের অংশ হিসেবে করা ‘অফিশিয়াল অ্যাক্ট বা সরকারি কাজ’ বলতে কী বোঝায়। আমার প্রশ্ন হলো দায়মুক্তির যে বিশাল আওতার কথা আপনি বলছেন সেটা প্রয়োজনীয় কি না, আদালতের অন্যতম রক্ষণশীল বিচারক স্যামুয়েল আলিতো জানতে চান। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধি মাইকেল দ্রিবেনও একই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। কারণ বিচারকরা এটিও চিন্তা করেছেন যে কিছুটা সুরক্ষা না থাকলে মেয়াদ শেষ করা প্রেসিডেন্টের কী অবস্থা হবে।

বিদেশের মাটিতে সহিংস হামলার নির্দেশ যদি কোনো প্রেসিডেন্ট দেন, তাহলে কী হবে, পরে কী তার বিচার করা যাবে- বিচারপতি ক্লেয়ারেন্স থমাস জানতে চান। দ্রিবেন জানান, নিজের কাজের জন্য ফৌজদারি দায় থেকে সুরক্ষা পাওয়ার কয়েকটি স্তর কার্যকর আছে, যার আওতায় বিদেশের মাটিতে সংঘটিত কার্যক্রমও রয়েছে। বিচারক আলিতো আরেকটি সম্ভাব্য পরিণাম নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, প্রেসিডেন্ট দলীয় হামলারও শিকার হতে পারেন, তার উত্তরসূরি দ্বারা কিংবা মেয়াদ শেষে অফিস ছাড়ার পর।

বিচারপতি আলিতো বলেন, এটা প্রেসিডেন্সিকেও ধ্বংস করতে পারে, যিনি শুনানির দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধান ভূমিকা রাখেন। বিচারপতি এমি কোনে ব্যারেটকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাকে কিছুটা সন্দেহগ্রস্ত মনে হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট পূর্ণ দায়মুক্তি পাওয়ার অধিকারী কি না তা নিয়ে।

দ্রিবেন বলেন, প্রেসিডেন্টের দোষ-ত্রুটি মোকাবেলায় ‘এখানে সম্পূর্ণ প্রশ্নমুক্ত কোনো পদ্ধতি নেই’। জাস্টিস ব্যারেট বলেছেন এ বিষয়ে তিনিও একমত।


বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।

তিনি বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে। কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার সিন্ধ সিএম হাউসে একটি মতবিনিময় সভা করেন শাহবাজ শরিফ। সে সভায় মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।’

এদিকে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও ব্যবসাবিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়েও কথা বলেন। এ ছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শাহবাজ।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস


ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ আগামীকাল

মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ
ভারতের লোকসভা ভোটের একটি কেন্দ্র। ছবি: আল-জাজিরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার। এরই মধ্যে বুধবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচারাভিযান শেষ হয়েছে। এই ধাপে পশ্চিমবঙ্গসহ ১২টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৯টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মণিপুরের ২০টি, কেরালার ২০টি, কর্ণাটকের ১৪টি, রাজস্থানের ১৩টি, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের ৮টি করে, মধ্যপ্রদেশের ৭টি, আসাম ও বিহারের ৫টি করে, পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড়ে ৩টি করে এবং ত্রিপুরা ও জম্মু-কাশ্মীরের ১টি করে আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে।

দ্বিতীয় ধাপে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে আজ। সেগুলো হলো—দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ। এই ধাপে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ হাজার ২৯৮টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। মোতায়েন করা হবে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে থাকবে ১২ হাজার ৯৮৩ জন রাজ্য পুলিশ।

দার্জিলিংয়ে ৭৩৯টি স্পর্শকাতর বুথ আছে। সেখানে ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। রায়গঞ্জে আছে ২১০টি স্পর্শকাতর বুথ। সেখানে ১১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। বালুরঘাটে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৯২টি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ৭৩ কোম্পানি।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরের লোকসভা কেন্দ্র আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই ধাপে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৯ এপ্রিল প্রথম ধাপে ওই লোকসভা কেন্দ্রের একাংশে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। বাকি অংশে ভোট হবে আজ। দ্বিতীয় ধাপে মধ্যপ্রদেশের আটটি লোকসভা আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেখানকার বেতুল কেন্দ্রে তৃতীয় ধাপে, অর্থাৎ ৭ মে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আগামীকালের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১২০৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

এই দ্বিতীয় ধাপের ভোটে সারা দেশের হেভিওয়েট প্রার্থীদের কয়েকজন—কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, লোকসভার স্পিকার তথা বিজেপি প্রার্থী ওম বিড়লা লড়ছেন।

মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি আরচণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন-ইসি। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসি জানিয়েছে, এ বিষয়ে নোটিশ দিয়ে দুই নেতার প্রতিক্রিয়া বা জবাব চাওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুই নেতার দল থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশও জানানো হয়। এরপরই তাদেরকে সতর্ক করে নোটিশ পাঠায় কমিশন। এ বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে চিঠি পাঠিয়ে জবাব চেয়েছে ইসি। আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে সেই জবাব দিতে হবে।

সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে। সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই গত রবিবার রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় জনসমাবেশে মোদি বলেন, কংগ্রেস তার ইশতেহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।

পরদিন সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। মোদির সেই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয় কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি। ইসির কাছে অভিযোগ করে তারা। আর রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।


জলবায়ু বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জলবায়ু এবং আবহাওয়ার ঝুঁকির কারণে ২০২৩ সালে এশিয়া ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-কবলিত অঞ্চল। এতে হতাহত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রধান কারণ ছিল বন্যা এবং ঝড়। মঙ্গলবার জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বলেছে, এশিয়া বিশেষ করে দ্রুত গতিতে উষ্ণ হচ্ছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এশিয়ায় তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও গুরুতর হয়ে উঠছে এবং হিমবাহগুলো গলে যাওয়ায় এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ পানি সুরক্ষা হুমকির মুখোমুখি।

ডব্লিউএমও বলেছে, এশিয়া বিশ্বব্যাপী গড়ের চেয়ে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। গত বছর তাপমাত্রা ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সালের গড় থেকে প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেস্তে সাওলো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রিপোর্টের উপসংহারগুলো খুবই মর্মান্তিক।’

‘খরা এবং তাপপ্রবাহ থেকে বন্যা ও ঝড় এবং চরম বৈরী পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের অনেক দেশ ২০২৩ সালে তাদের রেকর্ডে উষ্ণতম বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।’

‘জলবায়ু পরিবর্তন এই ধরনের ইভেন্টের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে, যা সমাজ, অর্থনীতি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানব জীবন এবং আমরা যে পরিবেশে বাস করি তা গভীরভাবে প্রভাবিত করছে।’

‘দ্য স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া-২০২৩’ রিপোর্টে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, হিমবাহের গলন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো মূল জলবায়ু পরিবর্তনের সূচকগুলোর ত্বরান্বিত হারকে হাইলাইট করে বলেছে- এগুলো এই অঞ্চলের সমাজ, অর্থনীতি এবং বাস্তুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

ডব্লিউএমও বলেছে, ‘এশিয়া ২০২৩ সালে আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি-সম্পর্কিত বিপদ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।’

২০২৩ সালে এশিয়ায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বাতাসের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা রেকর্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল, যা ১৯৯১-২০২০ গড় থেকে ০.৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াাস এবং ১৯৬১-১৯৯০ গড় থেকে ১.৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

বিশেষ করে পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত উচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাপানের গ্রীষ্মের রেকর্ডে এটি উষ্ণতম।

বৃষ্টিপাতের জন্য হিমালয় এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় এটি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল।

ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম চীন খরায় ভুগছে। বছরের প্রায় প্রতি মাসেই স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়।

তিব্বত মালভূমিকে কেন্দ্র করে হাই-মাউন্টেন এশিয়া অঞ্চলে মেরু অঞ্চলের বাইরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বরফ রয়েছে।

গত কয়েক দশক ধরে এই হিমবাহগুলোর অধিকাংশই ত্বরান্বিত হারে গলে যাচ্ছে- এ কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএমও বলেছে। এই অঞ্চলের ২২টি নিরীক্ষণ করা হিমবাহের মধ্যে ২০টি গত বছর ক্রমাগত ব্যাপক হারে বরফ গলন দেখা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা রেকর্ডে সর্বোচ্চ ছিল।

গত বছর, এশিয়ায় পানি-সম্পর্কিত আবহাওয়ার ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত ৭৯টি দুর্যোগের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি বন্যা এবং ঝড়, ২,০০০-এরও বেশি মানুষের প্রাণহানি এবং ৯ মিলিয়ন মানুষ এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ডব্লিউএমও বলেছে, ‘২০২৩ সালে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে রিপোর্টকৃত ঘটনাগুলোর মধ্যে বন্যা ছিল মৃত্যুর প্রধান কারণ’। প্রাকৃতিক বিপজ্জনক ঘটনাগুলোর জন্য এশিয়ার উচ্চ স্তরের ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে।

হংকংয়ে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এক ঘণ্টায় ১৫৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে, যা ১৮৮৪ সালে টাইফুনের ফলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি।

ডব্লিউএমও বলেছে, দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জন্য উপযোগী তথ্য উন্নত করার জন্য এ অঞ্চলজুড়ে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার জরুরি প্রয়োজন।


তাইওয়ানে দফায় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:২৬
বাসস

তাইওয়ানে গতকাল সোমবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তীব্রতর ভূমিকম্পের উৎপত্তি পূর্বাঞ্চলীয় শহর হুয়ালিয়েনে। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৬.৩।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে প্রথম যে ভূমিকম্প আঘাত হানে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫। রাজধানী তাইপেতেও এ কম্পন অনুভূত হয়। এরপর দফায় দফায় কম্পন অনুভূত হতে থাকে। বিশেষ করে মঙ্গলবার আঘাত হানা দুটি ভূমিকম্প ছিল তীব্র। রিখটার স্কেলে প্রথমটির তীব্রতা ছিল ৬.০ এবং দ্বিতীয়টির ৬.৩।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। এতে অন্তত ১৭ জন মারা যান। এতে অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়ে ছিল। তীব্র সে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে।

তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে ওটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। তাতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যান।


মালয়েশিয়ায় দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ১০

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় একটি সামরিক মহড়ার সময় আকাশে নৌবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলভার সাড়ে ৯টার দিকে মালয়েশিয়ার লুমু শহরে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়। পরে বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় বাহন দুটি। কেউই বেঁচে নেই।

রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ১০ জনকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। লুমুত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মরদেহ শনাক্তের জন্য। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

যে দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এর মধ্যে একটি হলো এইচওএম এম৫০৩-৩। এতে সাতজন আরোহী ছিলেন। চলমান ট্র্যাকে বিধ্বস্ত হয়েছে এই উড়োজাহাজটি। অন্যটি ফেনেক এম৫০২-৬। এতে ছিলেন তিনজন আরোহী। এটি বিধ্বস্ত হয় কাছাকাছি একটি সুইমিং পুলে।

রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়য়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

এর আগে গত মার্চ মাসে একটি মালয়েশিয়ান কোস্ট গার্ড উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় মালয়েশিয়ার আংসা দ্বীপের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনার পর পাইলট, কো-পাইলট এবং এতে থাকা দুই যাত্রীকে জেলেরা উদ্ধার করেন।


ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন

মেজর জেনারেল আহারন হালিভা (বাঁয়ে)। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৪০
বাসস

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকানোর ব্যর্থতার দায়ভার মেনে নিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে গত ৭ অক্টোবরের ঘটনার ব্যর্থতার দায় নিয়ে হালিভা ইসরায়েলের সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলাপ করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিয়ম অনুসারে ও পেশাগত প্রক্রিয়া মেনে উত্তরসূরি নিয়োগের পর হালিভা তার দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন, তিনি অবসরে যাবেন।

গত বছর হালিভা (৫৬) জানান, তিনি অক্টোবর ৭ এই হামাসের নজিরবিহীন হামলা সম্পর্কে আগে থেকে তথ্য না পাওয়া ও গোয়েন্দা বিভাগের অন্যান্য ব্যর্থতার দায়ভার স্বীকার করে নিয়েছেন।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বর্তমানে সেনাবাহিনী হালিভার বিরুদ্ধে হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জুনের শুরুতে তদন্তের ফল আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভির কাছে জমা দেওয়া হবে।

বিষয়:

ইরানে ইসরায়েলি হামলা, স্যাটেলাইটে ক্ষয়ক্ষতির ছবি প্রকাশ

ইরানে ইস্পাহান বিমানঘাঁটিতে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্যাটেলাইট ইমেজ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইস্পাহান শহরে শুক্রবার ভোরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের একটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের চালানো হামলায় বিমানঘাঁটিতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ধারণ করা হয় এসব দৃশ্য।

প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজের দুটি দৃশ্য বিশ্লেষণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে দেখা গেছে, হামলায় ইস্পাহানের ওই বিমানঘাঁটির একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। পাল্টা জবাবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানের ইস্পাহানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে ইরান সরকার তা অস্বীকার করেছে। ইরান বলেছে, বাহির থেকে কোনো হামলা হয়নি। ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়নি।

মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে বলেন, শুক্রবার ভোরে ইরান সীমান্তের বাইরে থেকে ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। নাম প্রকাশ না করে ইরানের কর্মকর্তাদের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, বিমানঘাঁটিতে ওই হামলা ছাড়াও ইস্পাহানের প্রায় ৫০০ মাইল উত্তরে তাবরিজ এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে এ হামলা নস্যাৎ করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইস্পাহানে বিকট শব্দে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় আকাশে দেখা দেয় আলোর ঝলকানি। এ ঘটনার পর রাজধানী তেহরানসহ ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের আকাশসীমা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পর আবার বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে তেহরান ও তেল আবিব চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলকে হেয় করে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান। এনবিসি নিউজের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শুক্রবারের হামলা ইরানের কাছে কোনো ঘটনাই নয়। ইসরায়েল যে অস্ত্র ব্যবহার করে তা ইরানের শিশুদের কাছে খেলনার মতো।

মূলত ওই হামলায় যে ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়েই উপহাস করেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তেহরানের নেই। তবে তাদের পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতির মুখে পড়লে তার চরম মূল্য দিতে হবে তেল আবিবকে।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, গত সপ্তাহে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে চালানো হামলা ছিল কেবল একটা সতর্কতা মাত্র। ইরান চাইলে তাদের আল হাইফা, তেল আবিবের মতো বড় শহরগুলোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক বন্দরগুলো টার্গেট করতে পারত; কিন্তু বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে তেমনটা করেনি ইরান।


মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে টিকটক বন্ধের প্রস্তাব পাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক স্থায়ীভাবে বন্ধের প্রস্তাব পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। খবর বার্তা সংস্থা এপির।

গত শনিবার মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের মাধ্যমে এই প্রস্তাব পাস হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি চীনভিত্তিক এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির শেয়ার এক বছরের মধ্যে বিক্রি না করে, তাহলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে এখনই এই অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না।

মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৬০টি। এর বিরোধিতা করেছেন ৫৪ জন। এই বিলটি আগামী সপ্তাহে সিনেটে উত্থাপন করা হতে পারে। সিনেটে পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রে একটি কোম্পানি বন্ধ করার মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটবে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরইমধ্যে জানিয়েছেন, সিনেটে পাস হওয়ার পরই তিনি এই বিলে স্বাক্ষর করবেন। এ মাসের শুরুতে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনে টিকটক নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন বাইডেন।

এদিন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব অগ্রাধিকারে আনেন। তার মধ্যে রিপাবলিকানরা ব্যাপক বিদেশি সহায়তা প্যাকেজ হিসেবে নিষেধাজ্ঞায় টিকটক প্রসঙ্গ আনেন। এর আগে এই নিষেধাজ্ঞার একটি প্রক্রিয়া সিনেটে আটকে যায়। তখন টিকটকের শেয়ার বিক্রি করার জন্য ৬ মাসের একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে প্রতিনিধি পরিষদে মার্চে প্রস্তাব পাস হয়। তাতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয়পক্ষই সমর্থন দেয়। তাতে চীনভিত্তিক টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স লিমিটেড নিয়ে ব্যাপক জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ তুলে ধরা হয়।


banner close