কোরীয় উপদ্বীপে চলমান উত্তেজনার মধ্যে উত্তর কোরিয়া ফের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সকালে উত্তর কোরিয়ার হোয়াইং প্রদেশের পূর্ব উপকূলে পরপর দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়।
পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে চলেছে। চলতি মাসে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর পর থেকে পাল্টা জবাব হিসেবে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার তারা এক জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। নিহত বাকি দুজন নারী।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সব ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে এবং সেগুলোর ধ্বংসাবশেষের আঘাতে লোকজনের প্রাণহানি হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া কিয়েভ লক্ষ্য করে নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। গত মে মাসে এ রকম ১৭টি হামলা চালানো হয় এবং সর্বশেষ গত বুধবার রাতের এই আক্রমণ হয়। বেশির হামলাই চালানো হয়েছে রাতের বেলায়। এর মধ্যে একবার দিনের বেলাতেও আক্রমণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ এই হামলায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হচ্ছে। হামলায় বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, শহরে ‘ধারাবাহিক বিস্ফোরণের’ ঘটনা ঘটেছে এবং উদ্ধারকারীরা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সরানো ও আগুন নেভাতে কাজ করছেন।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া এখন ইউক্রেনের রাজধানীর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিককালে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া যেসব হামলা চালিয়েছে, সেগুলোতে ক্রুজ ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও কামিকাজে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউক্রেন যখন রাশিয়ার ওপর পাল্টা আক্রমণ চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, সে সময় কিয়েভ লক্ষ্য করে এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
ইউক্রেন কয়েক মাস ধরেই রাশিয়ার ওপর পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।
কিন্তু পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্র এসে পৌঁছানো এবং সেগুলো ব্যবহারের বিষয়ে সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে তাদের পাল্টা হামলা শুরু করতে দেরি হচ্ছে। এই পরিকল্পনাকে ইউক্রেনের জন্য বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নাইজেরিয়ার পরিবেশকর্মী জনাথন ওলানলোকুন পরিবেশ বাঁচানোর অভিযানে নেমেছেন। রাস্তায় ময়লা-আর্বজনা না ফেলার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করতে তিনি স্পাইডারম্যানের সাজ ধারণ করেছেন।
ইউরোনিউজ জানায়, স্পাইডারম্যান সেজে জনাথন প্রতিদিন ওসুন রাজ্যের ওসোগোবোর রাস্তা পরিষ্কার করেন। তার এমন ব্যতিক্রমী সাজ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে পরিবেশ রক্ষায় জনাথন কাজ করছেন। তিনি শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার পাশাপাশি জনসাধারণের সামনে পরিবেশ সুন্দর রাখার গুরুত্ব তুলে ধরতেন। জনাথন জানান, তার এই পরিবেশ পরিষ্কার রাখার উদ্যোগের ব্যাপারে লোকজন তেমন আগ্রহী ছিল না। এতে কিছুটা হতাশ হলেও জনাথন হাল ছেড়ে দেননি। একপর্যায়ে দারুণ একটা বুদ্ধি খেলে জনাথনের মাথায়। তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে স্পাইডারম্যানের পোশাক পরে তিনি রাস্তার আবর্জনা পরিষ্কার করা শুরু করেন। তার এমন অভিনব সাজে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের দৃশ্য বহু মানুষের মনোযোগ কাড়ে। তিনি এখন আগের তুলনায় বেশি মানুষকে পরিবেশ পরিছন্ন রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে পারছেন।
বায়ুদূষণে প্রথম দিকেই আছে দিল্লির নাম। ভারতের এই শহরটিতে দূষণের মাত্রা মাঝে মাঝে এতটাই বেড়ে যায় যে, স্কুল-কলেজ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করতে হয়। এ অবস্থায় স্থপতি দম্পতি অমিত ও বৃত্ত নোবেল গুপ্ত একটি পার্কে স্থাপন করেছেন বায়ু পরিশোধন টাওয়ার।
বলা বাহুল্য, টাওয়ারটি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে আদৌ এটি কতখানি কাজ করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এখনো।
বলা হচ্ছে, নয়াদিল্লির সুন্দর নার্সারিতে অবস্থিত ১৮ ফুট লম্বা টাওয়ারটি প্রতিদিন ৬ লাখ কিউবিক মিটার বায়ু পরিশোধন করছে। এটি বাতাসের নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড হ্রাস করার পাশাপাশি বিপজ্জনক সূক্ষ্ম পার্টিকেল কমিয়ে বাতাস পরিশোধন করে।
স্টুডিও সিমবায়োসিস নামে এক স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণ করেছে। এই টাওয়ারের ভেতরে জ্যামিতিক আকারে আছে পাঁচটি বায়ু পরিশোধন কিউব। বিদ্যুৎ-চালিত পাখার সাহায্যে এই কিউবগুলোর মধ্যে বাতাস পরিশোধিত হয়।
স্থপতি অমিত জানান, দুই শ থেকে পাঁচ শ মিটার পরিধির বাতাস পরিশোধন করতে পারে এই টাওয়ারটি। নগরের আরও বহু স্থানে যেন এ ধরনের টাওয়ার বসানো হয়, সে জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।
অমিত আরও বলেন, ইতিমধ্যেই উজবেকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ স্টুডিও সিমবায়োসিসের সঙ্গে কথা বলেছে টাওয়ারটির ব্যাপারে। এ ছাড়া যেসব এলাকায় নির্মাণকাজ চলছে, সেসব স্থানের বায়ুদূষণ রোধে টাওয়ার স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান।
ভারতের এক চিকিৎসা সাময়িকী জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে ২০১৯ সালেই দেশটিতে ১.৬ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়ায় শহরটির বায়ুর মান গত কয়েক বছর ধরেই একেবারে নিচের দিকে। এ অবস্থায় বায়ু পরিশোধনের উপায় নিয়ে ভাবছে সবাই।
সূত্র: সিএনএন
উত্তর কোরিয়ার সামরিক ‘গোয়েন্দা স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের পর ‘মারাত্মক ত্রুটি’র কারণে সাগরে বিধস্ত হয়।
বিবিসি জানায়, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ভুল করে সাইরেন বাজানো হয়। জাপানে ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে জানানো হয় ভূখণ্ডে সেটি আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই।
এর আগে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রমের ওপর নজর রাখতে ১১ই জুনের মধ্যে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা দিয়েছিল। উৎক্ষেপণের প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটি বলছে, খুব শিগগির তারা দ্বিতীয় উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা চালাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, উত্তর কোরিয়া যে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে তা মাঝ আকাশেই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এটি উৎক্ষেপণের পরপরই রাডার থেকে হারিয়ে যায়। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান রি পিয়ং চোল মঙ্গলবার উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার ‘বেপরোয়া সামরিক কর্মকাণ্ডের’ জবাবে পিয়ংইয়ং একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মনে করেন, শত্রুদের প্রতিরোধে তার দেশের প্রতিরক্ষায় সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট স্থাপন করা জরুরি। সেজন্য অন্তত তার শাসনামলে মহাকাশে এটি স্থাপনে তিনি তোড়জোড় চালাচ্ছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার পর তাকে অভিনন্দন জানাতে বিশ্বের বড় বড় নেতার মধ্যে বলতে গেলে তাড়াহুড়া লেগে যায়। এমন দৃশ্য থেকে বিশ্বে তুরস্কের কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে একটা আঁচ পাওয়া যায়, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।
বিবিসি জানায়, গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তুরস্কের ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোয়ান। গত রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরও পাঁচ বছরের জন্য দেশটির শাসনভার তার হাতেই তুলে দিয়েছে দেশটির জনতা। দীর্ঘ সময়ে এরদোয়ান তুরস্কের একচ্ছত্র নেতা হওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে এরদোয়ান ভারসাম্য নীতি বজায় রেখে চলেছেন। তিনি একদিকে রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছেন, অন্যদিকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর ন্যাটো জোটে তুরস্কের মিত্র দেশগুলো যখন রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং এসব দেশ রাশিয়ার ওপর তাদের জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তখন ক্রেমলিনকে পরিত্যাগ করে তাকে একঘরে করতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া-তুরস্ক বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেড়ে গেছে। এ কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এরদোয়ানকে পছন্দ করতেই পারেন। এরদোয়ানের জয়ের খবর সরকারিভাবে প্রকাশের আগেই উচ্ছ্বসিত পুতিন তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এদিকে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ করে দিতে রাশিয়াকে রাজি করাতেও জাতিসংঘের পাশাপাশি এরদোয়ানের তুরস্ক ভূমিকা রাখে। এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানাতে পিছিয়ে থাকেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁসহ যুক্তরাজ্য, জার্মানির নেতারা। জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ন্যাটো পক্ষ থেকেও এরদোয়ানের জয়ে তাকে অভিনন্দন জানানো হয়।
বিবিসির ইউরোপবিষয়ক সম্পাদক কাটিয়া এডলার বলছেন, পশ্চিমা নেতারা রাশিয়ার সঙ্গে এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করেন না। এরদোয়ানের দুই দশকের শাসনামলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করার মতো বিষয়গুলোও তাদের অপছন্দ। তার পরও তুরস্ক পশ্চিমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, যদিও এই সম্পর্ক অনেক কঠিন। পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদেশ তুরস্ক। ন্যাটোর সব অভিযানেই এই দেশটি অংশ নিচ্ছে।
কাটিয়া এডলার বলছেন, এরদোয়ান হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছেন, কিন্তু একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে তিনি সামরিক সাহায্যও দিয়ে আসছেন।
সিরিয়া শরণার্থী ইস্যু
তুরস্কের ভেতরে সিরীয় শরণার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তুর্কিরা ক্রমশই অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ছে। এ কারণে নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই এই শরণার্থী ও অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তারা মনে করে, সিরীয় শরণার্থীদের তুরস্ক থেকে জোর করে সিরিয়ায় ফেরত পাঠানো হলে তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ব্রাসেলস মনে করে, এ রকম হলে শরণার্থীরা মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে চলে আসার চেষ্টা করবে।
২০১৫ সালের দিকে যখন ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশের হার বিশেষত সিরীয়দের আগমন ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়, তখন বিপুল পরিমাণ অর্থ ও তুর্কিদের ভিসা ফ্রি প্রবেশের সুযোগের বিনিময়ে এরদোয়ান সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসে ইইউ।
সুইডেন উপকূলে একটি বেলুগা তিমির দেখা মিলেছে। দ্য ওয়ানহোয়েল নামের একটি সংস্থার ধারণা, এটি রাশিয়ার গুপ্তচর তিমি।
আল-জাজিরা জানায়, সুইডেনের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে গত রোববার তিমিটির দেখা মেলে। ২০১৯ সালে এই গুপ্তচর তিমিটিকে প্রথমবার নরওয়েতে দেখা গিয়েছিল। তখন এর গলায় লাগানো বর্মের মধ্যে একটি অ্যাকশন ক্যামেরা সংযুক্ত ছিল এবং প্লাস্টিকের হুকে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ’।
ওই সময় নরওয়ের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বেলুগা তিমিটি সম্ভবত তার আবাসস্থল ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। রুশ নৌবাহিনী হয়তো এটিকে গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তিমিটি মানুষের কাছাকাছি থাকতে অভ্যস্ত বলে জানিয়েছিলেন নরওয়ের কর্মকর্তারা।
ওয়ানহোয়েল সংস্থা গত সোমবার জানায়, তিমিটি গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আস্তে আস্তে নরওয়ের উপকূলের অর্ধেকটা পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোয় এটি স্বাভাবিকের চেয়ে গতি বাড়িয়ে নরওয়ের উপকূলের বাকি অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে সুইডেনে পৌঁছেছে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কো এবং তার আশেপাশের এলাকায় মঙ্গলবার ড্রোন হামলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া এই হামলার জন্য ইউক্রেনের দিকে আঙুল তুলেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, কিয়েভ এই সন্ত্রাসী হামলা করেছে। হামলায় অন্তত ৮টি ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে। ইউক্রেন অবশ্য রাশিয়ার এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার রাজধানী শহরটিতে এমন ড্রোন হামলার ঘটনা বিরল। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রথমবার রুশ প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন ক্রেমলিন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার খবর দিয়েছিল মস্কো। তবে এবারের হামলায় ড্রোনের সংখ্যা তুলনামুলকভাবে বেশি ছিল। এতদিন ধরে ইউক্রেনের অভ্যন্তরেই যুদ্ধ চলছে। তবে রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া এবং সীমান্ত এলাকা বেলগোরেদে কয়েক দফা হামলা, সহিংসতা ঘটেছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, ভোরের ড্রোন হামলায় অন্তত দু'জন আহত হয়েছে এবং দুটি অ্যাপার্টমেন্ট সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আল-জাজিরা জানায়, মস্কোর বেশ কয়েকটি অভিজাত এলাকায় ড্রোন হামলা হয়েছে। এর মধ্যে গ্র্যান্ড এভিনিউ লেনিনস্কি প্রসপেক্ট এবং পশ্চিম মস্কোর এলাকা রয়েছে। এই এলাকায় মস্কোর অভিজাত শ্রেণীর বসবাস। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিজের বাড়ি সেখানে রয়েছে।
মস্কোর গভর্নর আন্দ্রেই ভরোবিয়ভ বলেছেন, মস্কোর দিকে ধেয়ে আসা একাধিক ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়েছে। টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি বলেন, আজ সকালে কিয়েভের শাসকরা মস্কোকে লক্ষ্য করে একটি সন্ত্রাসী ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তিনটি ড্রোন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, যেখানে হামলার লক্ষ্য ছিল, তার বাইরে গিয়ে পড়েছে। এছাড়া মস্কো অঞ্চলে আরও পাঁচটি ড্রোনকে পান্তসির-এস ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভূপাতিত করা হয়েছে ।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে টানা হামলা করে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। আল-জাজিরা জানায়, কিয়েভে মঙ্গলবার সকালে হামলা চালায় রাশিয়া। এতে একজন নিহত এবং চারজন আহত হন। একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানীতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে গত শনিবার শহরটিতে তুমুল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা হয়
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে তীর্থযাত্রী বহনকারী একটি বাস বৈষ্ণদেবী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ঝঝ্ঝর কোটলি এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে গিয়ে পড়ে যায়।
জম্মু পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্ডেডেন্ট চন্দন কোহলি জানান, দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৫৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, বাসটি জাতীয় মহাসড়কের নিচে উল্টে পড়ে রয়েছে। সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
জাতিগত সহিংসতায় উত্তপ্ত ভারতের উত্তর-পূর্বের মণিপুর রাজ্য। গত ৩ মে আদিবাসী কুকি ও সংখ্যাগুরু মেইতেই জাতির মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সেখানে এখন পর্যন্ত ৭৫ জন নিহত হয়েছেন। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। আটক হয়েছেন সহিংসতায় জড়িত হিসেবে সন্দেহভাজন অনেকে।
‘পরিস্থিতি শান্ত’ করতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত সোমবার মণিপুর সফরে গেছেন। চারদিনের সফরে রাজ্যটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে বলা হয়েছে, মেইতেই ও কুকি জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ইতিমধ্যেই ৭৫ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। দুই পক্ষই পরস্পরের অনেক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুড়িয়ে দিয়েছে গির্জা-মন্দির। ঘরছাড়া অনেকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছেন, মণিপুরের ৩৮টি অঞ্চল স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বহু জায়গায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভারতের সেনাবাহিনী জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে মণিপুরের ইম্ফল থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অত্যাধুনিক অস্ত্র বহনকারী কথিত সন্ত্রাসীরা সেরু ও সুগুনু এলাকায় অনেক বাড়িতে আগুন দেয়ার পর রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন সহিংসতার খবর মিলেছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গত কয়েক দিন অন্তত ‘৪০ সন্ত্রাসী’ নিহত হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের ওপর এম-১৬, একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং স্নাইপার বন্দুক নিয়ে হামলা করছে। তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে খুব শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা প্রায় ৪০ জন সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করার খবর পেয়েছি।’
মণিপুরে প্রধানত সংখ্যাগুরু হিন্দু ধর্মানুসারী মেইতেই গোষ্ঠীকে তপশিলি উপজাতি বা এসটি তালিকাভুক্ত করার বিরোধিতা করছে প্রধানত খ্রিস্ট ধর্মানুসারী কুকিরা। গত ৩ মে ভারতের হাইকোর্ট মেইতেইদের তপশিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি সরকারকে বিবেচনা করতে বলার পর রাজ্যটিতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।
এসটি তালিকাভুক্ত গোষ্ঠী চাকরিতে কোটা সুবিধাসহ সরকারের নানা সংরক্ষিত সুবিধা পেয়ে থাকে। কুকিদের অভিযোগ, মণিপুরে সংখ্যাগুরু হওয়ায় এমনিতেই চাকরিসহ বিভিন্ন জায়গায় মেইতেইদের আধিপত্য বেশি। আদিবাসী বা সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত সুবিধাও তাদের দেয়া হলে রাজ্যের কুকিসহ অন্য জনজাতিগুলো কোণঠাসা হয়ে পড়বে। এমনকি আদালতের আদেশের কারণে মেইতেইরা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত জমিও অধিগ্রহণের সুযোগ পাবে, যা জমি হারানোর ঝুঁকিতে ফেলবে নৃগোষ্ঠী বা আদিবাসীদের।
দীর্ঘ ২০ বছর তাকে কাটাতে হয়েছে পরবাসে। সঙ্গীর মৃত্যুর পর একাকী এই জায়ান্ট পান্ডাটি বেশ অসুস্থও হয়ে পড়ে। তা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে যায় চীনে। অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বয়স্ক এই পান্ডাটিকে ফিরিয়ে দিল নিজ দেশে।
২০০৩ সালে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্মারক হিসেবে চীন দুটি জায়ান্ট পান্ডা উপহার দেয় যুক্তরাষ্ট্রকে। এদের নাম ছিল ইয়া ইয়া ও লে লে। পান্ডা দুটি টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস চিড়িয়াখানায় রাখা হয়।
চলতি বছর লে লের মৃত্যুর পর থেকেই চীনে শোরগোল ওঠে যে, পান্ডা দুটিকে ঠিকমতো দেখাশোনা করা হয়নি। অযত্ন আর সঠিক পরিচর্যার অভাবে লে লের মৃত্যু হয়েছে। ইয়া ইয়াও চর্মরোগসহ নানা রোগে ভুগছে। এ অবস্থায় ইয়া ইয়াকে বেইজিংয়ে ফিরিয়ে দিতে নেটিজেনদের আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। তবে মেমফিস চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বারবারই বলে এসেছে যে, পান্ডা দুটির যত্নআত্তির কোনো অভাব হয়নি সেখানে।
তবে গত ২০ বছরে বদলে গেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। দুটি দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে আছে এখন। আর এ অবস্থার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে ফিরিয়ে দিল ইয়া ইয়াকে। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে গত রোববার জায়ান্ট পান্ডাটি বেইজিং পৌঁছে।
সংবাদটি চীনের টুইটার ভার্সন উইবোতে সেদিনই ২৩০ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। চীনা নাগরিকরা ইয়া ইয়ার প্রত্যাবর্তনকে একটি জাতীয় সেন্টিমেন্ট হিসেবেই বিবেচনা করছে। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে।
সূত্র: সিএনএন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আরও ৫ বছরের জন্য তুরস্কের শাসনভার তার হাতেই থাকছে। বৈশ্বিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে ওঠা এরদোয়ানের জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
ডয়চে ভেলে জানায়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গত রোববার এক টুইট বার্তায় বাইডেন বলেন, ‘ন্যাটো মিত্র হিসেবে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু ও অভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তুরস্কের সঙ্গে আমি একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ব্যক্তিগতভাবে এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়ে তুরস্ককে গুরুত্বপূর্ণ ন্যাটো মিত্র ও অংশীদার বলে বর্ণনা করেছেন।
এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, এরদোয়ানের জয় অবশ্যম্ভাবী ছিল। কারণ, তুরস্ককে এতদিন ধরে এরদোয়ান যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি রাশিয়ার বন্ধু হিসেবেও তুরস্ককে চিহ্নিত করেছেন পুতিন। তিনি ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গাঢ় হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টুইট করে জানিয়েছেন, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষেই এগোবে ইউক্রেন। এরদোয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে তারা।
বস্তুত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে খাদ্যশস্যের চুক্তি জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হয়েছে। এর ফলে কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিশ্বের অন্যত্র পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা তুরস্কে বৈঠক করেছিলেন শান্তির লক্ষ্যে। যদিও তা সফল হয়নি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এরদোয়ানের জয়ে চীনের পক্ষ থেকেও অভিনন্দন জানানো হয়। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এরদোয়ানের নেতৃত্বে তুরস্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন। তিনি আরও বলেন, কৌশলগত সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে তুরস্কের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আগ্রহী চীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ন্যাটোর তরফেও এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। দুই জোটই জানিয়েছে, তুরস্কের কাছে তারা আরও বড় ভূমিকা আশা করে। তারা চান, এরদোয়ান আরও বেশি সহায়ক শক্তি হয়ে উঠুন।
তুরস্কের দ্বিতীয় দফার ভোটে জয়ী হয়েছেন এরদোয়ান। তিনি টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১ শতাংশ। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। গত ১৪ মে দেশটিতে প্রথম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কেউই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এরদোয়ানকে অনেকটা কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে। দেশটির মুদ্রার ধারাবাহিক দরপতন, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যসামগ্রীর চড়া দাম, অর্থনৈতিক সংকট এবং সর্বশেষ দেশটিতে ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারানোয় তার জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়ে। যার প্রভাব পড়েছিল ভোটের ময়দানে। তবে শেষ হাসি হাসলেন এরদোয়ানই।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক বিতর্কের জেরে তার ছেলে শোতারো কিশিদাকে রাজনৈতিক সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সরকারি বাসভবনে আত্মীয়দের ডেকে শোতারো ‘পার্টি’ করার খবর গত সপ্তাহে একটি সাময়িকীতে প্রকাশের পর সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক সচিব পদে থেকে জনপরিসরে (পাবলিক স্পেস) তার আচরণ ছিল ‘অসঙ্গত’। সেজন্য আমরা তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শোতারো আগামী ১ জুন (বৃহস্পতিবার) পদত্যাগ করবেন।
ওই সাময়িকীতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত বছরের কোনো এক দিনে সরকারি বাসভবনে শোতারো আত্মীয়দের ডেকে পার্টি করেছেন। প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, আগতদের কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলনে বসার ভান ধরে আছেন এবং একজন লাল-গালিচার সিঁড়িতে শুয়ে আছেন।
খবরটি প্রকাশের পরই প্রধানমন্ত্রী তার ৩২ বছর বয়সী ছেলেকে তিরস্কার করেন। যদিও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলা এ ঘটনার কড়া সমালোচনায় মেতেছে। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রীরই পদত্যাগ চাইছে।
অর্থনৈতিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে ফুমিও কিশিদা তার মন্ত্রিসভা থেকে গত তিন মাসে চার মন্ত্রীকে হারিয়েছেন। এর মধ্যে ছেলের কাণ্ড আরও চাপের মুখে ফেলেছে তাকে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে গত রোববার রাতে ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’ চালানো হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘দামেস্কের আশপাশের নির্দিষ্ট কিছু স্থাপনা’ লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় বিমান বিধ্বংসী প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কার্যকর করে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়।
মার্চ মাসের পর দামেস্কে এটি ছিল প্রথম বিমান হামলার ঘটনা। গত ২ মে সিরিয়ায় ইসরায়েলের সর্বশেষ বিমান হামলায় সাতজন নিহত হন।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ার বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি দামেস্কের মিত্র এবং ইসরায়েলের চিরশত্রু ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর বিরুদ্ধে শত শতবার বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েল খুব কমই তাদের বিমান হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে। তবে দেশটি জানায়, তারা তাদের দোরগোড়ায় ইরানের অবস্থান প্রতিরোধ করতে চায়।