শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

গুতেরেসের ওপর মার্কিন নজরদারি

গত বছরের এপ্রিলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন পরিদর্শন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। ছবি: এএফপি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:২৮

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস রাশিয়ার দাবিদাওয়া মেনে নিতে খুবই ইচ্ছুক বলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেণিবদ্ধ নথি থেকে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।

ফাঁস হওয়া এসব গোপন নথিতে আভাস মিলেছে যে, জাতিসংঘ মহাসচিবের সব গতিবিধির ওপর ভালোভাবে নজর রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছু নথিপত্রে গুতেরেস এবং তার সহকারীর একান্ত যোগাযোগের বর্ণনা রয়েছে। এসব নথিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং অনেক আফ্রিকান নেতার অবস্থান পর্যবেক্ষণের বিষয় উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের বেশ কিছু গোপন নথি ফাঁস হয়ে পড়ায় খুব অস্বস্তিতে পড়েছে মার্কিন প্রশাসন। নথি ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে সম্পাদিত শস্য চুক্তির বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের নজরে ছিল। বিশ্ব খাদ্যসংকটের আশঙ্কা দূর করতে গত জুলাইয়ে শস্য চুক্তি হয়। পেন্টাগনের নথিতে ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছে, এই শস্য চুক্তি করার ব্যাপারে গুতেরেস এতটাই আগ্রহী ছিলেন যে, তিনি রাশিয়ার স্বার্থ মেনে নিতে তার কোনো আপত্তি ছিল না।

এসব নথিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘রাশিয়ার রপ্তানি সামর্থ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন গুতেরেস। শস্য চুক্তি করতে গিয়ে যদি রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা পাওয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হয় সেটিতেও তিনি রাজি ছিলেন। মস্কোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার ক্ষেত্রেও জাতিসংঘ মহাসচিব কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলেও মনে করছে পেন্টাগন। মস্কোর প্রতি গুতেরেস নরম ভাবাপন্ন- যুক্তরাষ্ট্রের এমন ধারণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তারা।

জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব যেন গরিব দেশগুলোর ওপর না পড়ে, সে তাড়না থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব রাশিয়া-ইউক্রেন শস্য চুক্তি করতে আগ্রহী ছিলেন। খাদ্যপণ্যের দাম হ্রাস করা এবং যেসব দেশের সার প্রয়োজন, তারা যেন সেটি পায়, তা নিশ্চিত করাই গুতেরেসের মূল চাওয়া ছিল। গুতেরেসের কর্মকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা স্পষ্টতই অখুশি হয়েছেন। তারা বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতি বিরোধী মনোভাব গুতেরেস শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হয়ে পড়া কয়েক ডজন গোপন নথি এখন ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হচ্ছে। এসব নথির কোনো কোনোটির ওপর ‘টপ সিক্রেট’ বা ‘অতি গোপনীয়’ চিহ্ন রয়েছে। এসব নথিতে ইউক্রেনের যুদ্ধের বিস্তারিত বর্ণনা এবং চীন ও মিত্রদের বিষয়ে নানা তথ্য রয়েছে। পেন্টাগনের কর্মকর্তারা এসব নথি আসল বলে জানিয়েছেন।


মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দুই বছর পিছিয়ে গেছে : পেন্টাগন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সর্বশেষ মূল্যায়নে দেখা গেছে সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে পরিচালিত মার্কিন হামলার ফলে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে বলে বুধবার (০২ জুলাই) পেন্টাগন জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল বুধবার (০২ জুলাই) সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই হামলার ফলে তাদের কর্মসূচি অন্তত এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি এটি দুই বছরের কাছাকাছি সময়ের জন্য তাদের কার্যক্রম থামিয়ে দিয়েছে।


ইসরাইল-মার্কিন হামলায় জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি বন্ধ করে দিল ইরান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জেরে জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। এই পদক্ষেপকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তেহরান থেকে এএফপি জানায়, গত মাসে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতের পরই এই সিদ্ধান্ত এলো। ওই সংঘাতে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে নজিরবিহীন হামলা চালায়, যা তেহরান ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)’র মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।

গত ২৫ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার একদিন পরই ইরানি আইনপ্রণেতারা আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার পক্ষে বিপুল ভোটে রায় দেন। বুধবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে যে, আইনটি এখন কার্যকর হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, এই আইনের লক্ষ্য হলো পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি)-এর অধীনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নিজস্ব অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন নিশ্চিত করা, বিশেষ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ওপর জোর দেওয়া।

ওয়াশিংটন গত ১৩ জুন ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপের কারণে স্থগিত হওয়া আলোচনা পুনরায় শুরুর জন্য তেহরানকে চাপ দিচ্ছিল। তারা ইরানের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, ‘আমরা এটিকে অগ্রহণযোগ্য বলব। এমন এক সময়ে ইরান আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন তাদের সামনে শান্তির ও সমৃদ্ধির পথে ফেরার সুযোগ ছিল।’

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র এই সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

এদিকে, পেন্টাগন বুধবার জানিয়েছে যে মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নে দেখা গেছে, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় চালানো হামলায় দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের কর্মসূচিকে অন্তত এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে দিয়েছি। প্রতিরক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা মূল্যায়নে এটিই দেখা গেছে।’

তিনি পরে যোগ করেন, ‘আমরা মনে করি সময়টা সম্ভবত দুই বছরের কাছাকাছি।’

আইএইএ পরিদর্শকদের ইরানের ঘোষিত পরমাণু স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকলেও, এই স্থগিতাদেশের কারণে তাদের বর্তমান অবস্থা অনিশ্চিত।

রোববার, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন, ‘পরিদর্শকদের কাজ স্থগিত করা হয়েছে, তবে তাদের বা আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসির বিরুদ্ধে কোনো হুমকির ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরিদর্শকরা ইরানে আছেন এবং নিরাপদ আছেন। কিন্তু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং তারা আর আমাদের স্থাপনাগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না।’

নতুন আইনে স্থগিতাদেশের পর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

আইএসএনএ বার্তা সংস্থা আইনপ্রণেতা আলিরেজা সালিমিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘এখন থেকে পরিদর্শকদের পারমাণবিক স্থাপনায় প্রবেশ করতে হলে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন লাগবে।’

অন্যদিকে, মেহর বার্তা সংস্থা আইনপ্রণেতা হামিদ রেজা হাজী বাবাইকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আইএইএ’র ক্যামেরা ব্যবহারের অনুমতিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদিও এটি নতুন আইনের আওতায় আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।’

সংসদে বিলটি পাস হওয়ার পর গার্ডিয়ান কাউন্সিল তা অনুমোদন করে এবং প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিতাদেশ কার্যকর করেন বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে।

জবাবে, ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির ইউরোপীয় স্বাক্ষরকারীদের প্রতি ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালু করে ইরানের ওপর জাতিসংঘের সমস্ত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার আহ্বান জানান।

স্ন্যাপব্যাক, যা অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা, সেটি ছিল পরমাণু চুক্তির অংশ যা ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফা ভাবে প্রত্যাহার করার পর ভেঙে পড়ে। ইরান এক বছর পর তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে।

ইরানি কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালু হলে তারা এনপিটি থেকেও সরে যেতে পারে।

ইসরাইল পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও এনপিটি চুক্তির সদস্য নয়।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্টিন গিজ বলেন, আইএইএ-এর সঙ্গে ইরানের সহযোগিতা স্থগিত করার পদক্ষেপটি একটি ‘ভয়াবহ সংকেত’।

ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর থেকে তেহরান বারবার আইএইএ’র নীরবতার সমালোচনা করেছে।

১২ জুন জাতিসংঘে গৃহীত একটি প্রস্তাবনায় ইরানকে অসহযোগিতার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। তেহরান বলছে, ওই প্রস্তাবই হামলার জন্য অজুহাত তৈরি করেছিল।


বুধবার ইরানের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আলী মোজাফফারি আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি’র বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তমূলক ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন’ তৈরি করে ইসরাইলকে হামলার ‘পটভূমি তৈরি’ করে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।

ইরান জানিয়েছে, গ্রোসি বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শনের জন্য যেতে চাইলেও তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ—তাদের মতে, তাতে ‘খারাপ উদ্দেশ্য’ রয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি আইএইএ প্রধানের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হুমকির নিন্দা জানিয়েছে।

সোমবার, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, সহযোগিতা বন্ধের ভোট জনসাধারণের ‘উদ্বেগ ও ক্ষোভের’ প্রতিফলন।

১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের বহু সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ইসরাইলের ওপর পালটা হামলায় ইরানও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।

গত ২২ জুন, ইসরাইলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে নজিরবিহীন হামলা চালায়।

বিচার বিভাগ অনুসারে, এই সংঘাতে ইরানে ৯শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলের সরকারি তথ্যমতে, ইরানের পালটা হামলায় দেশটিতে ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি স্বীকার করেছেন, ‘স্থাপনাগুলোতে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।’

তবে সিবিএস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বোমা মেরে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান ধ্বংস করা যায় না।’


ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা: ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইতালির নাগরিক ও নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডি’র কর্মকর্তা তাবেলা সিজারকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়, বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ চার জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরো এক বছরের কারাভোগ করতে হবে।

খালাস পাওয়া অপর তিন আসামি হলেন- কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, সোহেল ও শাখাওয়াত হোসেন।

আদালতের পেশকার গোলাম নবী বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ৯০ নম্বর সড়কের পশ্চিম প্রান্তে গুলশান অ্যাভিনিউ সংলগ্ন গভর্নর হাউজের দক্ষিণের দেওয়াল ঘেঁষা ফুটপাতে দুর্বৃত্তরা তাবেলা সিজারকে গুলি করে।

ওই সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ওই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশনের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন দার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়।

২০১৬ সালের ২৮ জুন ঢাকার আদালতে বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।

মামলায় বিচার চলাকালে ৭০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।


ট্রাম্পের শুল্কের চাপ: আমদানি খরচে ঊর্ধ্বগতি, মার্জিনে ধস, সংকটে মার্কিন রেস্তোরাঁ শিল্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ব্রাজিলিয়ান কফি বিন, ফরাসি শ্যাম্পেন আর চীনা চা—এই ধরনের পানীয়গুলো সাধারণত মার্কিন রেস্তোরাঁগুলোর লাভের মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বিশ্বব্যাপী শুল্ক নীতির কারণে গত তিন মাসে আমদানি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। এতে একদিকে ব্যবসার লাভের মার্জিন কমছে এবং অন্যদিকে ক্রেতাদের জন্য মূল্যবৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের খুব কাছেই অবস্থিত 'ক্লাইডস রেস্টুরেন্ট গ্রুপ', যারা স্থানীয় উৎস থেকে মাংস ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য সংগ্রহে গর্ববোধ করে, তারাও বাধ্য হয়েছে মেনুর দাম বাড়াতে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট বেভারেজ ডিরেক্টর জন ফিলকিন্স এএফপিকে জানান, ‘বাস্তবতা হল, কিছুটা খরচ আমাদের অতিথিদের দিকেই ঠেলতে হচ্ছে। গ্লাসে ওয়াইন, স্পিরিটস বা খাবারের কিছু আইটেমে ৫০ সেন্ট থেকে ১ ডলার পর্যন্ত দাম বেড়েছে।’

তিনি আরও জানান, কফি ও চায়ের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে কাগজজাত পণ্য ও খাদ্যসামগ্রীর দামেও ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।

১৯৬০-এর দশকে ওয়াশিংটনে যাত্রা শুরু করা ক্লাইড’স। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ও তার আশপাশে এক ডজনের বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে।

তাদের একটি রেস্তোরাঁ হ্যামিল্টন শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত, যেখানে পানীয়ের দাম কিছুটা বেড়েছে।

মালিকপক্ষ দাম বৃদ্ধিকে সীমিত রাখার চেষ্টা করলেও, ফিলকিন্স বলছেন এটি কঠিন হয়ে পড়ছে।

জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা সরবরাহ চেইনের বিঘ্ন এবং অতিরিক্ত ব্যয়ে জর্জরিত।

এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট তার সবচেয়ে বিস্তৃত শুল্ক ঘোষণা করেন, যার আওতায় অধিকাংশ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এটি আগামী সপ্তাহ থেকে আরও উচ্চ হারে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

ফিলকিন্সের মতো নেতারা আগামী বুধবারের দিকে নজর রাখছেন, যেদিন থেকে উঁচু হারে শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে।

প্রতিটি বাণিজ্য অংশীদার অনুযায়ী আলাদা হার নির্ধারিত হয়েছে—যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের জন্য হার ২০ শতাংশে উঠবে এবং জাপানের জন্য এটি ২৪ শতাংশে পৌঁছাবে, যদি তারা চুক্তির মাধ্যমে হার কমাতে না পারে।

ফিলকিন্স সতর্ক করে বলেন, শুল্ক দীর্ঘদিন বহাল থাকলে ছোট ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও স্বাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা কমে যেতে পারে।

তিনি বলেন, আশা করছি, আমরা এমন পর্যায়ে আর শুল্ক দেখব না । রেস্তোরাঁ শিল্প সাধারণত কম নগদ প্রবাহ ও কম মুনাফার উপর চলে।

তিনি বলেন, সাধারণত রেস্তোরাঁর মুনাফার হার এক অঙ্কের মধ্যেই থাকে । উদাহরণস্বরূপ, যদি ওয়াইন বাই দ্য গ্লাসের মুনাফার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারিয়ে যায়। সেটি বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ফিলকিন্স বলেন, ক্লাইড’স কফির জন্য ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া থেকে বিন সংগ্রহ করে এবং তাদের চা আসে ভারত ও চীন থেকে। গত ছয় মাসে আমরা কফি ও চায়ের খরচে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি দেখেছি। এর কারণ হচ্ছে, সরবরাহকারী ও পরিবেশকেরা শুধু ১০ শতাংশ শুল্কই নয়, বিনিময় হারজনিত অতিরিক্ত খরচও দিচ্ছে।

চীন থেকে আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে ৩০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য যদিও ওয়াশিংটন ও বেইজিং সাময়িকভাবে একে অপরের উপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক কমিয়েছে।

চুক্তি না হলে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত পণ্যে বুধবার থেকে ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে, এবং ভারতের জন্য এই হার হবে ২৬ শতাংশ। মদ, বিয়ার ও ওয়াইন ক্ষেত্রে, আমরা যে ওয়াইন আমদানি করি তার বেশিরভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসে।

ফিলকিন্স বলেন, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন ও পর্তুগাল থেকে আসা পণ্যে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। তবে তার কোম্পানি চেষ্টা করছে যাতে সব বাড়তি খরচ গ্রাহকের ওপর না পড়ে।

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোক্তারা বেশি খরচ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না উল্লেখ করে ফিলকিন্স বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি কোভিড-১৯ মহামারির পর তুলনামূলকভাবে ভালো পারফর্ম করেছে। কারণ, শক্তিশালী শ্রমবাজার ভোক্তাদের খরচ চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তবে এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান কমছে।

এই গ্রীষ্মে অর্থনীতিবিদরা দেখছেন শুল্ক যদি সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিতে অবদান রাখে, তাহলে পরিবারগুলো আরও সতর্ক হয়ে খরচ করবে।

ট্রাম্পের ঘন ঘন শুল্ক ঘোষণা, পরিবর্তন ও স্থগিতাদেশ আর্থিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে এবং ব্যবসাগুলো বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফিলকিন্স শুল্ক কমানোর প্রত্যাশা করছেন।

ফিলকিন্স বলেন, পরবর্তী আট দিনে কী হতে যাচ্ছে তা আমাদের পক্ষে বলা কঠিন। আমরা কেবল অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সব সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’


একসময়ের বন্ধুই এখন বড় শত্রু ট্রাম্পের

নতুন দল গঠনের হুমকি ইলন মাস্কের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইলন মাস্কের কম্পানিগুলোকে ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিলিয়ন ডলারের ভর্তুকি বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার এ হুমকি দেন। একসময়ের মিত্র এই দুই ব্যক্তির মধ্যে চলমান বাকযুদ্ধ আরো তীব্র হয়েছে।

বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’—একটি ট্যাক্স-কাট ও ব্যয়সংকোচন বিল, যা পাস হয়েছে সিনেটে।

এই বিলের ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য বরাদ্দ সরকারি ভর্তুকি ও করছাড় বাতিল হতে পারে, যা টেসলা দীর্ঘদিন ধরে পেয়ে আসছিল। মাস্ক এই বিলের তীব্র সমালোচনা করেন—এবং সেখান থেকেই ফের জ্বলে ওঠে পুরনো দ্বন্দ্ব।

মাত্র কয়েকদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আতিথেয়তায় রাজকীয় ভোজে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক ডাইনিং টেবিলে বসে তারা আলোচনা করেছেন রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন পর্যন্ত।

মাস্ক তখন ছিলেন ট্রাম্পের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মানুষদের একজন—সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্য নিয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স ‘ডিওজিই’-এর নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। তবে সময় বেশি দিন সহনশীল থাকেনি। হঠাৎ করেই বন্ধুত্বে দেখা দিয়েছে ফাটল, আর এখন তা রূপ নিয়েছে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে। বন্ধুত্ব আর আস্থার জায়গা ছেড়ে এখন তারা মুখোমুখি দুই শিবিরে।

দ্বন্দ্ব কেবল রাজনীতি নয়, জড়িয়ে পড়ছে ব্যবসা, ব্যক্তিত্ব, এমনকি সামাজিক মাধ্যমে চরম বাকবিতণ্ডায়। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না—আর এই টানাপড়েনে ঝুঁকির মুখে পড়েছে মাস্কের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য ও ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল দুই-ই।

গত সোমবার মাস্ক ফের ট্রাম্পের ট্যাক্স-কাট ও ব্যয়ের বিলের সমালোচনা করেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ও ( ইলন মাস্ক) তার ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকল) ম্যান্ডেট হারাতে যাচ্ছে বলে ক্ষুব্ধ। কিন্তু ও আরো অনেক কিছু হারাতে পারে।’

ইলন মাস্ক অতীতে সরকারি ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিলেও, বাস্তবে তার কম্পানি টেসলা এ ধরনের সুবিধা থেকে বহু বছর ধরে লাভবান হয়েছে। ৭ হাজার ৫০০ ডলার মূল্যের ট্যাক্স ক্রেডিটসহ নানা সুবিধা ভোক্তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি আগ্রহী করেছে, যা বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন। মঙ্গলবার টেসলার শেয়ারমূল্য ৫ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।

এদিকে মাস্ক হুমকি দিয়েছেন, তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন এবং ট্যাক্স বিল সমর্থনকারী আইনপ্রণেতাদের হারাতে অর্থ ব্যয় করবেন। যদিও তিনি সরকারি ব্যয় কমানোর পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট মাস্কের বাজেট ঘাটতির সমালোচনার জবাবে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির দেখভাল আমিই করব।’

মাস্কের উদ্যোগে গঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামের ব্যয় সংকোচন প্রকল্প থেকেও মে মাসে তিনি নিজেই সরে দাঁড়ান। ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে লেখেন, ‘ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি পেয়েছে ইলন মাস্ক।’ তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘রকেট লঞ্চ, স্যাটেলাইট বা ইভি উৎপাদন সব বন্ধ করলে আমেরিকার অনেক টাকা বাঁচবে।’

পরে ট্রাম্প আরো বলেন, ‘ডিওজিই এমন একটা দানব যেটা আবার ইলনকেই খেয়ে ফেলতে পারে।’

জবাবে মাস্ক নিজের প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লেখেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, সব ভর্তুকি বন্ধ করুন, এখনই।’ তিনি আরো পাল্টা আক্রমণ করতে পারতেন বলেও জানান, তবে আপাতত তা থেকে বিরত থাকার কথাও বলেন।

এই দ্বন্দ্ব মাস্কের ব্যবসা সাম্রাজ্যের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে টেসলা বর্তমানে টেক্সাসের অস্টিনে পরীক্ষাধীন রোবোট্যাক্সি প্রোগ্রামের ওপর বড় বিনিয়োগ করেছে, যার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সরকারি নীতিমালার ওপর।

বিশ্লেষক জিন মানস্টার বলেন, ‘টেসলার বাজারমূল্যের বড় অংশ নির্ভর করছে স্বয়ংচালিত প্রযুক্তির অগ্রগতির ওপর। যদিও তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন হবে না, তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।’

বুধবার টেসলার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা। ইউরোপে বিক্রয় মিশ্র হলেও মাস্কের কট্টর ডানপন্থি অবস্থান অনেক বাজারেই টেসলার জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

ইভি ক্রেডিট বাতিল হলে টেসলার আয় ১.২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জে.পি মরগান—যা ২০২৪ সালের মোট পরিচালন আয়ের প্রায় ১৭ শতাংশ। ইলেকট্রিফিকেশন কোয়ালিশন, একটি ইভি সমর্থনকারী সংগঠন, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসকে অনুরোধ করেছে যেন তারা সিনেট বিলটি সংশোধন করে।

টেসলার বিনিয়োগকারী গ্যারি ব্ল্যাক জানান, গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ায় তিনি শেয়ার বিক্রি করেছেন এবং ইভি ক্রেডিট বাতিল হলে কম্পানিটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদিকে স্পেসএক্স এখনো প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের সরকারি চুক্তির ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি, টেসলা বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার রেগুলেটরি ক্রেডিট বিক্রি করে এসেছে। এ আয় ছাড়া কম্পানিটি এপ্রিল মাসে লোকসান দেখত।

জুনের শুরুতেই ট্রাম্প মাস্কের সরকারি চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন। তখন থেকেই দুজনের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়ে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না ওকে (মাস্ককে) ডিপোর্ট করা হবে কি না। এটা খতিয়ে দেখতে হবে।’


আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের আইন চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের আইন চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান।

বুধবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

তেহরান থেকে এএফপি জানায়, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের আইন অনুমোদন করেছেন মাসউদ পেজেশকিয়ান।

গত মাসে ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের পর প্রণীত এই আইন আজ কার্যকর করা হলো।


হরমুজ প্রণালিতে মাইন পাততে চেয়েছিল ইরান

শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের সময় গত মাসে ইরানের সেনাবাহিনী পারস্য উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালিতে স্থাপনের জন্য জল-মাইন ভর্তি নৌযান নিয়ে গিয়েছিল। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানোর পর তেহরান হরমুজ প্রণালি অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন শঙ্কিত হয়ে উঠেছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল ১৩ জুন ইরানের ওপর প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কিছুদিন পরই এই জল-মাইন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এত দিন প্রকাশ্যে আসেনি। তবে হরমুজ প্রণালিতে এখনো এসব মাইন মোতায়েন করা হয়নি।

বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নৌপথগুলোর একটি হরমুজ প্রণালি। ইরান যদি এটি বন্ধ করে দিলে বৈশ্বিক বাণিজ্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে এবং চলমান উত্তেজনা আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বের মোট তেল-গ্যাস রপ্তানির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালি দিয়ে যায়। এটি বন্ধ হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আকাশচুম্বী হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত বাস্তবে তা ঘটেনি। বরং, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর থেকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। বড় ধরনের কোনো অস্থিতিশীলতা হয়নি বাজারে।

গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করে। তবে সেটি বাধ্যতামূলক ছিল না। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ওপর ছিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার। ইরান আগে বহুবার এই প্রণালি বন্ধের হুমকি দিলেও কখনো সেটি বাস্তবায়ন করেনি।

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ চলাকালে ঠিক কখন তেহরান জল-মাইন মোতায়েনের জন্য জাহাজে তুলেছিল, তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। এছাড়া, মাইনগুলো এখন জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এই তথ্য জানতে পারল—সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে সাধারণত স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি কিংবা গোপন সূত্রের মাধ্যমে এমন তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

হরমুজ প্রণালি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের (ডোনাল্ড ট্রাম্প) দক্ষ নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশন মিডনাইট হ্যামার, হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান এবং সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কারণেই হরমুজ প্রণালি খোলা আছে। নৌ-চলাচলের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ইরান এখন অনেকটাই দুর্বল।’

এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর বা ইরানের জাতিসংঘ মিশনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, মাইন মোতায়েনের জন্য জাহাজে তোলার এই পদক্ষেপ আসলে ইরানের কৌশলগত চালও হতে পারে। তারা হয়তো দেখাতে চেয়েছে, হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়ে তারা সত্যিই প্রস্তুত। আবার তারা এমন প্রস্তুতি নিয়েছে, যাতে প্রয়োজন হলে তা বাস্তবায়ন করা যায়।

হরমুজ প্রণালি ওমান ও ইরানের মাঝখানে। এটি পারস্য উপসাগরকে দক্ষিণে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। সবচেয়ে সংকীর্ণ স্থানে প্রণালির প্রস্থ ২১ মাইল (৩৪ কিলোমিটার)। এর মধ্যে ২ মাইল করে নৌ-চলাচলের পথ রয়েছে।

ওপেকভুক্ত—সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাক তাদের অধিকাংশ তেল এই পথ দিয়ে এশিয়ায় রপ্তানি করে। বিশ্বের অন্যতম বড় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিকারক কাতারও প্রায় সম্পূর্ণ রপ্তানি এই পথ দিয়ে করে। ইরান নিজেও তাদের অধিকাংশ তেল এই প্রণালি দিয়ে রপ্তানি করে। তাই সাধারণভাবে তাদের এই পথ বন্ধ করার ইচ্ছা কম। তবে তারা বরাবরই এই পথ বন্ধ করার সামরিক সক্ষমতা ধরে রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ২০১৯ সালের হিসাব অনুসারে, ইরানের কাছে ৫ হাজারের বেশি জল-মাইন আছে। দ্রুতগামী ছোট নৌকা দিয়ে সেগুলো খুব সহজেই মোতায়েন করা যায়।

আরব সাগর অঞ্চলে বাণিজ্য নিরাপত্তা রক্ষায় বাহরাইনে অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর। সাধারণত সেখানে ৪টি মাইন-নিষ্ক্রিয়কারী (এমসিএম) জাহাজ থাকত। এখন এগুলোর পরিবর্তে আরও আধুনিক ‘লিটারাল কমব্যাট শিপ’ বা এলসিএস মোতায়েন করা হচ্ছে, যেগুলোতেও মাইন প্রতিরোধের প্রযুক্তি রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলার আগে সম্ভাব্য পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় বাহরাইন থেকে সব মাইন-নিষ্ক্রিয়কারী জাহাজ সরিয়ে নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইরান শুধু কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের পক্ষ থেকে আরও পাল্টা হামলার সম্ভাবনা তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।


বিমানে সাপ, ফ্লাইট ছাড়তে দুই ঘণ্টা বিলম্ব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিমানবন্দরে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের কার্গো হোল্ডে সাপ দেখতে পাওয়ার পর সতর্কতা হিসেবে ফ্লাইটটি দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) মেলবোর্ন থেকে ব্রিসবেনগামী ভার্জিন অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট ভিএ৩৩৭-এর যাত্রী উঠানোর সময় ঘটে এ ঘটনা, যা পরদিন বুধবার গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

ঘটনার সময় প্লেনটির কার্গো হোল্ডে একটি সবুজ সাপ দেখতে পান পেশাদার সাপ ধরার বিশেষজ্ঞ মার্ক পেলে। সাপটি ছিল প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার (দুই ফুট) লম্বা। অল্প আলোতে সাপটি বিষধর মনে হলেও পরে নিশ্চিত হওয়া যায় এটি একটি নিরাপদ ‘গ্রিন ট্রি স্নেক’।

মার্ক পেলে জানান, সাপটি আংশিকভাবে লুকানো অবস্থায় ছিল এবং যেকোনো সময় প্লেনের মূল কেবিনে ঢুকে যেতে পারতো। তিনি বলেন, ‘ভাগ্য ভালো যে প্রথম চেষ্টাতেই সাপটিকে ধরতে পেরেছি। নইলে পুরো প্লেন খালি করে কিছু অংশ খুলে ফেলতে হতো।’

ভার্জিন অস্ট্রেলিয়ার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ফ্লাইটটি প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।

পেলের ধারণা, সাপটি আগের কোনো ফ্লাইটে যাত্রীর ব্যাগে করে এসেছিল এবং পরে পালিয়ে যায়। তবে অস্ট্রেলিয়ার কড়াকড়ি কোয়ারেন্টাইন নীতির কারণে সাপটিকে বনে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সংরক্ষিত প্রজাতির এই সাপ বর্তমানে মেলবোর্নের এক পশু চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং পরবর্তীতে এটিকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সাপ পালনকারীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।


উত্তরসূরি নিয়ে অন্য কারো হস্তক্ষেপ চলবে না: দালাই লামা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে নির্বাসিত তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা তার উত্তরসূরি নির্ধারণে শুধুমাত্র তারই প্রতিষ্ঠিত ‘গাহদেন ফোড্রাং ট্রাস্ট’ সিদ্ধান্ত নিবেন। দালাই লামা বলেছেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’

বুধবার (০২ জুলাই) এক ভিডিও বার্তা ও বিবৃতিতে দালাই লামা জানান, তার অনুপস্থিতিতে পরবর্তী দালাই লামাকে নির্বাচন করা হবে তিব্বতীয় বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও নিয়মনীতি অনুযায়ী। এই ঘোষণাকে ঘিরে চীনের প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতা বলেন, ‘পরবর্তী দালাই লামাকে নির্বাচন এবং পুনর্জন্ম শনাক্ত করার পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে গাহদেন ফোড্রাং ট্রাস্ট-এর মাধ্যমে। এই বিষয়ে অন্য কারো হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।’

দালাই লামার ঘোষণার আগে উত্তর ভারতের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয় তিন দিনব্যাপী ১৫তম তিব্বতীয় ধর্মীয় সম্মেলন। এতে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো তিব্বতী ধর্মানুসারী জড়ো হন।

দলটির মুখপাত্র পেনপা সেরিং জানান, ‘বিশ্বজুড়ে তিব্বতীয়রা আন্তরিকভাবে দালাই লামাকে অনুরোধ করেছেন যাতে তিনি পরবর্তী উত্তরসূরির বিষয়টি বিবেচনায় নেন। তিনি সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন।’

এদিকে দালাই লামার ঘোষণার পরপরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই সিদ্ধান্তকে তারা ‘অবৈধ ও গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মনে করে। বেইজিংয়ের দাবি অনুযায়ী, ‘পরবর্তী দালাই লামা নির্ধারণে চীনা সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।

এই প্রক্রিয়া চীনের আইন, ধর্মীয় রীতিনীতি ও ঐতিহাসিক রীতিনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।’

চীন আরো দাবি করে, ‘লট ড্রয়িং’ পদ্ধতির মাধ্যমে স্বর্ণের পাত্র থেকে নাম বেছে নিয়েই দালাই লামা নির্বাচন করা উচিত—একটি পদ্ধতি চালু হয়েছিল ১৭৯২ সালে। যদিও এই পদ্ধতি বর্তমান দালাই লামার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়নি।

সমালোচকদের মতে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চীন দালাই লামার উত্তরসূরি বাছাইয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যদিও চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে।

তবে বুধবার (০২ জুলাই) তার বক্তব্যে এ বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট—পুনর্জন্ম এবং উত্তরাধিকার প্রথা বজায় রাখা হবে, এবং তা সম্পূর্ণভাবে তিব্বতীয় বৌদ্ধ ঐতিহ্য অনুসরণ করে হবে।

চলতি সপ্তাহে দালাই লামার ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের মন্ত্রীরা, বিশিষ্ট অতিথি ও হলিউড অভিনেতা রিচার্ড গেরে। জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ধর্মশালায় এক বিশাল জনসমাগম হয়।

অনুষ্ঠানে দালাই লামাকে বলতে শোনা যায়, ‘একটি কাঠামোর মধ্য থেকে আমরা দালাই লামাদের প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা নিয়ে আলোচনা করতে পারি।’


ইউক্রেনে কিছু অস্ত্রের চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের কিছু চালান স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের মজুত অনেকটাই কমে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজন মঙ্গলবার (০১ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুই সূত্র বলেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কিয়েভকে যে অস্ত্র সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কিছু চালান সম্প্রতি ধীরগতিতে পাঠানো হচ্ছে। দেরি করে পাঠানো এসব চালানের মধ্যে আছে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সহায়ক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

পেন্টাগন এক ই-মেইলে বলেছে, ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কিছু বিকল্প পথ দেখিয়েছে তারা। এর লক্ষ্য হলো ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতিমালাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি এলব্রিজ কোলবি বলেন, একই সময়ে পেন্টাগন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্য ঠিক রাখতে তাদের পরিকল্পনা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে ও বদলাচ্ছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী যেন প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোর জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে, সেটাও নিশ্চিত করা হচ্ছে।

রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ধীরে ধীরে আরও অগ্রসর হচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তারা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের নতুন এলাকা দখল করেছে। দেশজুড়ে বিমান হামলাও বাড়িয়েছে রাশিয়া।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সাময়িকভাবে সব ধরনের অস্ত্রসহায়তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর মার্চে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেনের অনুমোদিত শেষ দফার সহায়তা পাঠানো শুরু করে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো নীতিমালার ঘোষণা আসেনি।

তবে চালান স্থগিতের খবরটি পলিটিকো বুধবার (০২ জুলাই) প্রথম প্রকাশ করেছে।


ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরাইলি সেনাবাহিনী তারা মঙ্গলবার ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হুথিরা ইসরাইলে ড্রোন হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলি বিমানবাহিনী সাইরেন বাজানোর পর, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।’

হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেলিগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ফিলিস্তিন ২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইয়াফা দখলকৃত এলাকার লদ বিমান বন্দরকে লক্ষ্য করে একটি সামরিক হামলা পরিচালনা করেছে।’

তিনি বলেন, অভিযানটি তার লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং ‘লাখ লাখ দখলদার ইহুদিবাদীদের আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এই হামলার কারণে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

এই হামলাটি প্রতিহতের পর, ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, ‘ইয়েমেনের সঙ্গেও তেহরানের মতো আচরণ করা হবে’, যা স্পষ্টতই ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে। ওই যুদ্ধের সময়ে ইসরাইল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।

কাটজের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,‘তেহরানে সাপের মাথায় আঘাত করার পর, আমরা ইয়েমেনের হুথিদের ওপরও হামলা করব। যে কেউ ইসরাইলের বিরুদ্ধে হাত তুলবে তার হাত কেটে ফেলা হবে।’

হামাসের ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামলার ফলে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথিরা তাদের ফিলিস্তিনি মিত্রকে সহায়তার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

সারির টেলিগ্রাম এক পোস্টে ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনের ইয়াফা, আশকেলন এবং উম্ম আল-রাশ অঞ্চলে ইসরাইলি শত্রুর সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে’ ড্রোন হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার হুথিরা জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা ২৪ জুন ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পর হুথি কর্তৃক ঘোষিত ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ।

হুথিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কাজ করছে বলে দাবি করে।

তারা মার্চ মাসে শেষ হওয়া গাজায় দুই মাসের যুদ্ধ বিরতির সময় তাদের হামলা স্থগিত করেছিল। কিন্তু ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর, হামলা শুরু করে।

ইয়েমেনে হুথি-অধিষ্ঠিত বন্দর ও বিদ্রোহী-অধিষ্ঠিত রাজধানী সানার বিমানবন্দর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।


ভারতের মণিপুরে গুলিতে কুকি জনগোষ্ঠীর ৪ জন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলায় চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ একটি গাড়িতে পাওয়া গেছে। আর এক নারীর দেহ পাওয়া যায় গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে। পুলিশের ধারণা, কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এই খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে।

মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি মৃতদেহে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া একজন নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

মণিপুর পুলিশ আরও জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরুর পাশাপাশি আততায়ীদের খুঁজে বের করতে দক্ষিণ মণিপুরের ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।

মণিপুরে প্রায় দুই বছর ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকি-জো আদিবাসীদের মধ্যে সংঘাত চলছে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এবারের ঘটনা তার ব্যতিক্রম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, চূড়াচাঁদপুর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত যাদের মৃতদেহ আনা হয়েছে তারা হলেন জেলার মাতেজাং অঞ্চলের থেনখোথাং হাওকিপ ওরফে থাহপি (৪৮), তেসেং গ্রামের সেইখোগিন (৩৫) এবং চেংকোন অঞ্চলের লেঙ্গোহাও (৩৫)। এছাড়া কোয়েট গ্রামের ফলহিং নামে ৭২ বছরের এক নারীর দেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামে একটি বিদ্রোহী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপপ্রধান ছিলেন থেনখোথাং হাওকিপ। বাকি দুজন সেইখোগিন ও লেঙ্গোহাও কেএনএর সাধারণ সদস্য ছিলেন। মণিপুরের ১৭টি উপজাতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত বিদ্রোহী কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের অন্যতম সদস্য কেএনএ। ২০০৭-০৮ সালে কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করে সংঘর্ষে বিরতি ঘোষণা করে।

কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের বিরোধী হচ্ছে ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (ইউ-কেএনএ)। ইউ-কেএনএ সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতিতে যায়নি। তাদের বক্তব্য, কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন সংগঠন (যেমন কেএনএ) সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের নানাভাবে হেনস্তা করছে, অনেক সময় তাদের সদস্যদের হত্যাও করছে। যারা তাদের হেনস্তা এবং হত্যা করতেন, তাদের অন্যতম ছিলেন থেনখোথাং হাওকিপ। তিনি ও তার দলের লোকজন ইউ-কেএনএর ৩০ জনের বেশি সদস্যকে গত কয়েক বছরে হত্যা করেছেন। এদের মধ্যে ইউ-কেএনএর শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন।

ইউ-কেএনএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ কারণে হাওকিপসহ কেএনএর তিন সদস্যকে সোমবার হত্যা করা হয়েছে।


কলরেকর্ড ফাঁসের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফোনের কথাবার্তা ফাঁসের ঘটনায় থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে ফোনের কথাবার্তা ফাঁসের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁর পদত্যাগের জোর দাবি উঠেছে। তুমুল বিক্ষোভ হয়েছে রাজধানী ব্যাংককে।

গত মে মাসে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত এক সীমান্ত অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নের সঙ্গে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের ফোনের আলোচনা ফাঁস হলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

ফোনে ওই আলোচনায় পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের এক সেনা কর্মকর্তার সমালোচনা করেন এবং হুন সেনকে ‘আংকেল’ বলে ডেকে তার প্রতি অতিমাত্রায় নমনীয় আচরণ করেন বলে জনগণের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়। এরপরই পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামেন মানুষ। সাংবিধানিক আদালতে পিটিশন দায়ের করা হয়।

সাংবিধানিক আদালতে মঙ্গলবার ভোটাভুটি হয়। আদালত ৭-২ ভোটে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত দেশের ভারপ্রাপ্ত নেতার দায়িত্ব পালন করবেন।

থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনীর প্রকাশ্যে সমালোচনার সুযোগ নেই বললে চলে। কারণ, দেশটির সেনাবাহিনী রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক প্রভাব বজায় রেখে আসছে। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সাংবিধানিক আদালতে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন পদচ্যুত হলে ২০২৪ সালের আগস্টে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট। থাইল্যান্ডে তিনিই হচ্ছেন সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তখন তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ফিউ থাই পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার ছোট মেয়ে।

পেতংতার্ন ব্যাংককের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। উং ইং ডাকনামেও পরিচিত পেতংতার্ন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন ফিউ থাই পার্টির ইনক্লুশন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাডভাইজরি কমিটির প্রধান হন তিনি।

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে দ্বিতীয় সন্তানের মা হন পেতংতার্ন। নির্বাচনে তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় প্রার্থী। পেতংতার্ন থাকসিন পরিবার থেকে সরকারের শীর্ষ পদে আসা তৃতীয় ব্যক্তি। বাবা থাকসিনের পাশাপাশি পেতংতার্নের ফুপু ইংলাক সিনাওয়াত্রাও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


banner close