মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
২১ আশ্বিন ১৪৩২

চীনে সমালোচকদের ওপর ‘দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’ বেড়েছে

প্রতীকী ছবি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২ মে, ২০২৩ ২১:৫৪

চীনে মানবাধিকারের পক্ষে সরব কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর সরকারের ‘দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’ জারি করার প্রবণতা অতীতের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া যেকোনো তদন্তাধীন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দেশত্যাগে বাধা দেয়ার আইনের সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ‘সেইফ গার্ড ডিফেন্ডার’ নামের একটি অধিকার গোষ্ঠী গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানায়।

সেইফ গার্ড জানায়, চীনের সুপ্রিম পিপলস কোর্টের তথ্যাবলিতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে চীনে ‘দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’র আওতায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ ছিলেন। সেখানে ২০২০ সালে সে সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হাজারে দাঁড়ায়। রয়টার্স জানায়, চীনা নাগরিকদের পাশাপাশি অনেক বিদেশিও ‘চীন ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’র কবলে পড়েন বলে সেইফ গার্ড তাদের প্রতিবেদনে বলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে সি চিন পিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনে ‘দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’ জারি করার প্রবণতা বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যায্যভাবেও এটি প্রয়োগ করা হয়। বর্তমানে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চীনে অন্তত ১৫টি আইন আছে।

বিষয়:

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের তিন বিজ্ঞানী

আপডেটেড ৭ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:০৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাগাগুচি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকে বা রাখা যায়, সে বিষয়ে তাদের গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার এ পুরস্কার ঘোষণা করে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।
স্টকহোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ বিষয়ক আবিষ্কারের জন্য এ তিন বিজ্ঞানীকে এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নোবেল জুরির ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের আবিষ্কার ইমিউন সিস্টেমের কার্যপ্রণালী এবং কেন সবাই গুরুতর অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয় না, তা বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
নোবেল জুরি জানায়, তাদের গবেষণা একটি নতুন ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং ক্যান্সার ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। একইসঙ্গে তাদের আবিষ্কার সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপনেও সহায়ক হতে পারে।
৭৪ বছর বয়সি সাকাগুচি ১৯৯৫ সালে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার করেন। সে সময় অনেক গবেষক মনে করতেন, ‘সেন্ট্রাল টলারেন্স’ নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকর ইমিউন কোষ থাইমাসে ধ্বংস হওয়ার কারণেই ইমিউন টলারেন্স তৈরি হয়। তবে সাকাগুচি দেখান, ইমিউন সিস্টেম আরো জটিল এবং তিনি এমন এক নতুন শ্রেণির ইমিউন কোষ আবিষ্কার করেন, যা দেহকে অটোইমিউন রোগ থেকে রক্ষা করে।
১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণকারী ব্রাঙ্কো এবং ৬৪ বছর বয়সী রামসডেল ২০০১ সালে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। তারা ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হন কেন কিছু ইঁদুর বিশেষভাবে অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
জুরি জানায়, তারা আবিষ্কার করেছেন ওই ইঁদুরগুলোর জিনে একটি মিউটেশন রয়েছে। তারা সেটির নাম দেন ‘ফক্সপ৩’। তারা দেখান, মানুষের শরীরে এ জিনের সমতুল্য মিউটেশন হলে মারাত্মক অটোইমিউন রোগ ‘আইপিইএক্স’ দেখা দেয়।
দুই বছর পর সাকাগুচি এই আবিষ্কারের সঙ্গে নিজের আবিষ্কারকে যুক্ত করেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফের কাছ থেকে তারা নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করবেন। পুরস্কারের মধ্যে থাকছে একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং ১২ লাখ মার্কিন ডলারের চেক।
আগামী সপ্তাহজুড়ে এ বছরের নোবেল পুরস্কারের মৌসুম চলবে। আজ মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান, আগামীকাল বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য, শুক্রবার শান্তি এবং আগামী সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।


ভারতে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ রোগীর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরে সরকারি সাওয়াই মান সিং (এসএমএস) হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটজন গুরুতর রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ট্রমা সেন্টারের ইনচার্জ ডা. অনুরাগ ধাক্কাদ জানিয়েছেন, আগুন লাগে ভবনের স্টোরেজ এলাকায়। সে সময় নিউরো আইসিইউতে ১১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গোটা তলায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। হাসপাতালে সংরক্ষিত নথি, আইসিইউ সরঞ্জাম ও রক্তের নমুনাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।

দমকল বাহিনী খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের কর্মী ও রোগীর স্বজনরা আগুন লাগার পরপরই বিছানাসহ রোগীদের বাইরে সরিয়ে নেন।

ওয়ার্ডবয় বিকাশ পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে বের করে আনি। অন্তত তিন-চারজন রোগীকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি, তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর আর ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি।’

ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা, সংসদীয়বিষয়ক মন্ত্রী যোগরাম প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জওহর সিং বেধাম। তারা ক্ষতিগ্রস্ত রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তবে দুই রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে যান এবং রোগীদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি। তারা আরও জানান, আমরা ধোঁয়া দেখে কর্মীদের জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি।

এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।


যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করলেন কিম জং উন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। পাঁচ হাজার টন ওজনের ডেস্ট্রয়ারটি শত্রুদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রাগারে থাকা পাঁচ হাজার টন ওজনের দুটি ডেস্ট্রয়ারের মধ্যে ছো হিওন একটি। দুটি ডেস্ট্রয়ারই এই বছর চালু করা হয়েছে।

দেশটির নৌ সক্ষমতা বাড়াতে এটি কিম জং উনের প্রচেষ্টার একটি অংশ।

রোববার যুদ্ধজাহাজটি পরিদর্শনকালে কিম বলেন, যুদ্ধজাহাজটি ‘(উত্তর কোরিয়ার) সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের একটি স্পষ্ট প্রদর্শনী।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশাল সমুদ্রে আমাদের নৌবাহিনীর অসাধারণ ক্ষমতা প্রয়োগ করা উচিত, যাতে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে শত্রুর উস্কানিকে পুরোপুরি প্রতিহত করা ও শত্রুদের শাস্তি দেওয়া যায়।’

কিম আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে একই ধরনের তৃতীয় ডেস্ট্রয়ার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য হাজার হাজার উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের বিনিময়ে সম্ভবত রাশিয়ার সহায়তায় উত্তর কোরিয়া ছো হিওন তৈরি করেছে।’

কেসিএনএর ছবিতে দেখা গেছে, কিম জাহাজের ভেতরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ তদারকি করছেন এবং মনিটরগুলোতে কোরিয়ান উপদ্বীপের চারপাশের সমুদ্র দেখা যাচ্ছে।

আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, সামরিক জেনারেলদের সামনে একটি মানচিত্রের দিকে ইঙ্গিত করছেন কিম।

পরমাণু অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকি প্রতিহত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫শ সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং গত মাসে দেশটির নিরাপত্তা মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে একটি যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে।

পিয়ংইয়ং নিয়মিতভাবে এই ধরনের মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে নিন্দা করে আসছে। অন্যদিকে মিত্ররা জোর দিয়ে দাবি করেছে যে, এগুলো প্রতিরক্ষামূলক মহড়া।


ফেডারেল কর্মীদের গণহারে ছাঁটাইয়ের হুমকি হোয়াইট হাউসের

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ব্যাপক হারে ছাঁটাই করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি মনে করেন, আংশিক সরকারি শাটডাউন (অচলাবস্থা) থামাতে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটদলীয় সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি, তাহলে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

গত বুধবার থেকে শাটডাউন শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সদস্যরা আগের দিন মধ্যরাতের মধ্যে নতুন সরকারি ব্যয় বা অর্থায়ন পরিকল্পনায় একমত হতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন অবস্থা চলছে।

হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের পরিচালক কেভিন হাসেট সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে বলেন, তার বিশ্বাস ডেমোক্র্যাটরা এখনো তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে একটি বড় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট এড়ানো সম্ভব হবে।

হাসেট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং রাস ভট (হোয়াইট হাউসের বাজেট পরিচালক) সবকিছু প্রস্তুত করছেন এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তৈরি। তবে তারা আশা করছেন, সেটা করতে হবে না। প্রেসিডেন্ট যদি সিদ্ধান্ত নেন, আলোচনা একেবারেই ফলপ্রসূ হচ্ছে না, তবে তখন ছাঁটাই শুরু হবে।’

গত রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প সম্ভাব্য চাকরিচ্যুতিকে ‘ডেমোক্র্যাট ছাঁটাই’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যদি চাকরি হারায়, তবে মনে করতে হবে, সেটা ডেমোক্র্যাটদের কারণে হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অচলাবস্থা সত্ত্বেও রোববার ভার্জিনিয়ার নরফোকে মার্কিন নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন ট্রাম্প।

নরফোকের নেভাল স্টেশনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হোয়াইট হাউস থেকে নেভাল স্টেশনটির উদ্দেশে যাত্রা করার আগে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, যা কিছুই ঘটুক, শো অবশ্যই চলবে।’ তিনি এটিকে নৌবাহিনীর দক্ষতা ও শক্তিমত্তা প্রদর্শনের শো বলে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারে আংশিক অচলাবস্থার জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তারা মার্কিন নৌবাহিনীর জন্মদিনের এই দারুণ উৎসবটাকে নষ্ট করতে চায়।

কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের সর্বশেষ বৈঠকের পর এখন পর্যন্ত কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়নি।

সিনেটের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সিবিএসের ফেস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নন। ট্রাম্প ও কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে নতুন আলোচনার মাধ্যমেই কেবল অচলাবস্থার অবসান সম্ভব।’

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, সরকারে আংশিক শাটডাউন চলার কারণে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ফেডারেল কর্মী বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন।


আদালতে ভারতের প্রধান বিচারপতির দিকে জুতা নিক্ষেপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের দিকে জুতা ছুড়ে মেরেছেন ৭১ বছর বয়সি এক আইনজীবী। ঘটনাটি জানার পর দিল্লি পুলিশ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে জুতা মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতি বিচলিত না হয়ে আইনজীবীদের আদালতের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশ কিশোর নামের ওই আইনজীবী স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কোর্ট নম্বর ১-এ শুনানি চলাকালে তাঁর স্পোর্টস শু খুলে প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের দিকে ছুড়ে মারেন।

একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তাকর্মীরা ওই আইনজীবীকে আটক করে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি ময়ূর বিহার এলাকার বাসিন্দা এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধিত সদস্য।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দির চত্বরে ‘ভগবান বিষ্ণু’র একটি মূর্তি পুনর্নির্মাণের আবেদন নিয়ে সাম্প্রতিক এক শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে ওই আইনজীবী ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, দিল্লি পুলিশ এখন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে সমন্বয় করছে। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে নয়াদিল্লি জেলা পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

প্রধান বিচারপতি গাভাই দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা বিভাগের দেওয়া ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পান।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রণের সঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চে সভাপতিত্ব করার সময় প্রধান বিচারপতি গাভাই মন্তব্যটি করেন। সে সময় তিনি খাজুরাহো মন্দির চত্বরের জাভরি মন্দিরে ৭ ফুট লম্বা জরাজীর্ণ ‘ভগবান বিষ্ণু’র মূর্তি পুনর্নির্মাণের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিলেন।

প্রধান বিচারপতি গাভাই আবেদনকারীকে বলেছিলেন, ‘এটি পুরোপুরি প্রচারের স্বার্থে করা মামলা। আপনি যান এবং দেবতাকে নিজেকেই কিছু করতে বলুন। আপনি যদি নিজেকে ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত বলে দাবি করেন, তবে প্রার্থনা করুন এবং কিছুটা ধ্যান করুন।’

পরে প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, তিনি ‘সব ধর্মকে সম্মান করেন’। তিনি স্পষ্ট করেন, মূর্তিটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই)। এই পটভূমিতে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘আমি সব ধর্মে বিশ্বাস করি, আমি সব ধর্মকে সম্মান করি।’


নিয়োগের ২৬ দিনের মাথায় ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি, তার আগেই পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লকর্নু। মাত্র ২৬ দিন আগে তিনি ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

এলিসি প্রাসাদ থেকে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিন সকালে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে দেখা করতে এলিসি প্রাসাদে এসেছিলেন সেবাস্তিয়ান লকর্নু। তিনি প্রায় এক ঘণ্টা এলিসি প্রাসাদে অবস্থান করেন।

গত মাসে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ফ্রাঁসোয়া বাইরু। তাঁর পদচ্যুতির পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সেবাস্তিয়ান লকর্নু।

লকর্নু রোববার নতুন যে মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন, তা নিয়ে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের বেশির ভাগ দলের পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি ওঠে। কারণ, লকর্নু তার পূর্বসূরি বাইরুর ভেঙে দেওয়া মন্ত্রিসভা প্রায় অক্ষত অবস্থায় ফেরত আনেন। এর সমালোচনা করে দলগুলো নতুন মন্ত্রিসভাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুমকি দেয়।

এখন কয়েকটি দল আগাম নির্বাচনের দাবি তুলছে, কেউ কেউ মাখোঁর পদত্যাগ দাবি করছে। মাখোঁর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তিনি পদত্যাগ করবেন না।

গত বছরের জুলাই থেকে ফ্রান্সের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। দেশটির সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে কোনো দল স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

এর ফলে কোনো প্রধানমন্ত্রীই বিল এবং বার্ষিক বাজেট পাস করানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারছেন না।

ফ্রান্সে দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পথ বেছে নিলেন।


আগামী সপ্তাহেই গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করার ইঙ্গিত ট্রাম্পের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি সমাধানের জন্য তার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ আগামী সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। গত রোববার রাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

ট্রাম্প বলেন, ‘এই সপ্তাহান্তে হামাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (আরব, মুসলিম এবং অন্য সকলের) সঙ্গে খুবই ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় যুদ্ধের অবসান - কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করা হয়েছে। এই আলোচনা খুবই সফল হয়েছে এবং দ্রুত এগিয়ে চলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত বিশদ বিবরণ পরিষ্কার করার জন্য এবং কাজ করার জন্য কারিগরি দলগুলো সোমবার মিসরে আবার মিলিত হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, প্রথম পর্যায়টি এই সপ্তাহেই সম্পন্ন হওয়া উচিত। আমি সকলকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

ট্রাম্প উল্লেখ করেন, এ বিষিয়ে কোনো বিলম্ব হবে ‘ব্যাপক রক্তপাতের হুমকি আসবে - এটি এমন কিছু যা কেউ দেখতে চায় না।’

গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউস গাজা উপত্যকার সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে ট্রাম্পের ‘ব্যাপক পরিকল্পনা’ প্রকাশ করে। এই নথিতে ২০টি দফা রয়েছে এবং বিশেষ করে ফিলিস্তিনি অঞ্চলটিতে অস্থায়ী ‘বহিরাগত প্রশাসন’ প্রবর্তন। আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের কথাও বলা হয়েছে। ইসরায়েল এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।


গাজা যুদ্ধে ১১৫২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ১ হাজারেরও বেশি সেনাকে হারিয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ১ হাজার ১৫২ জন সামরিক সদস্য প্রাণ হারিয়েছে।

ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকাশিত পরিসংখ্যানে গাজা উপত্যকা, অধিকৃত অঞ্চলের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল এবং লেবাননের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে অবস্থানরত ইসরায়েলি নিরাপত্তা সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পার্সটুডে জানায়, দখলদার বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় প্রায় তিন বছর ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।


ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪-এ দাঁড়িয়েছে। উদ্ধারকারীরা এখনো নিখোঁজদের খোঁজে কাজ চালাচ্ছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, দুর্ঘটনা গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরের নামাজের সময় ঘটে। স্কুলের ভিত্তি ওপরের তলায় চলমান নির্মাণকাজের চাপ সামলাতে না পেরে ধসে পড়ে এবং শতাধিক কিশোর শিক্ষার্থীর ওপর ভেঙে পড়ে।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার (বাসার্নাস) অপারেশন ডিরেক্টর যুধি ব্রামান্তিও বলেন, ৫৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ চলছে। আশা করি আজই (সোমবার) উদ্ধারকাজ শেষ করা সম্ভব হবে এবং মরদেহগুলো পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার (বিএনপিবি) উপপ্রধান বুদি ইরাওয়ান জানিয়েছেন, এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক স্কুল ধস দুর্ঘটনা। তিনি বলেন, কমপক্ষে ১৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, নিম্নমানের নির্মাণকাজ এই ধসের প্রধান কারণ হতে পারে। উদ্ধারকাজে ক্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সোমবারের মধ্যে সব ধ্বংসস্তূপ সরানোর আশা করা হচ্ছে।

আল খোজিনি স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্রেন’ বা ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল নামে পরিচিত। ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৪২ হাজার ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলে ৭০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।


এভারেস্টে তুষার ঝড়ে আটকা পড়ে ১ হাজার পর্যটক

৩৫০ জনেরও বেশি উদ্ধার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তিব্বতের পূর্বপাশে মাউন্ট এভারেস্ট এলাকায় তীব্র তুষার ঝড়ের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে প্রায় ১ হাজার পর্যটক ও অভিযাত্রী সেখানে আটকা পড়েছেন।

এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, মাউন্ট এভারেস্টের তিব্বতী অংশে তুষার ঝড়ের কারণে ৩৫০ জনেরও বেশি ট্রেকারকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। টিংরি অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেকিং রুটে অস্বাভাবিক ভারী তুষারপাত ও বৃষ্টিপাতের কারণে মোট ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ বিপদের মুখে পড়ে।

সোমবার সিসিটিভির বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা ধাপে ধাপে ট্রেকারদের চূড়ার তিব্বতের দিকের ছোট শহর কুদাংয়ে পৌঁছে দিয়েছে। এই এলাকার গড় উচ্চতা প্রায় ৪২০০ মিটার (১৩ হাজার ৮০০ ফুট)। সেখানে গত শুক্রবার থেকে ভারী তুষারপাত শুরু হয় এবং গত শনিবারও তা অব্যাহত থাকে।

কুদাং পৌঁছানো ১৮ জনের একটি ট্রেকিং দলের সদস্য চেন গেশুয়াং বলেছেন, ‘পাহাড়গুলোতে এত ভেজা ও ঠাণ্ডা ছিল, হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকি প্রকট। স্থানীয় গাইড জানিয়েছিলেন, অক্টোবরে কখনো এমন আবহাওয়ার মুখোমুখি হননি।

প্রতিবেশী নেপালে শেরপা সম্প্রদায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখে পড়ছে। নেপাল পর্যটন বোর্ড জানিয়েছে, দেশের অন্যান্য অংশে আকাশ পরিষ্কার থাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তবে দক্ষিণ এশিয়ায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। নেপালে গত শুক্রবারের ভারী বৃষ্টিপাতে ভূমিধস ও বন্যায় কমপক্ষে ৪৭ জনের মৃত্যু, ভারতের পূর্ব ইলাম জেলায় পৃথক ভূমিধসে ৩৫ জন নিহত ও ৯ জন নিখোঁজ। এছাড়া বজ্রপাতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানও চলমান বন্যায় প্রায় চার মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


গ্রেটা থুনবার্গসহ ফ্লোটিলার ১৭১ কর্মীকে বিতাড়িত করেছে ইসরাইল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরাইল সোমবার জানিয়েছে, গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক হওয়া ১৭১ জন অধিকার কর্মীকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে এক পোস্টে বলেছে, ‘গ্রেটা থুনবার্গসহ হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার আরো ১৭১ জন উস্কানিদাতাকে আজ ইসরাইল থেকে গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় বিতাড়িত করা হয়েছে।’

পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিতাড়িতরা গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

পোস্টের সঙ্গে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, থুনবার্গসহ দুই নারী তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এ সময় তারা ইসরাইলি কারাগারের ধূসর ট্র্যাকসুট পরিহিত ছিলেন।

ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এএফপি’কে জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৩৮ জন অধিকারকর্মী এখনো ইসরাইলের হেফাজতে রয়েছেন।

এরআগে ৪৫টি নৌযানের ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ইসরাইলের অবরোধ ভেঙে গাজায় সাহায্য পৌঁছানোর চেষ্টা করে। জাতিসংঘ বলেছে, দুই বছরের ধ্বংসাত্মক সংঘাতে গাজায় দুভিক্ষ শুরু হয়েছে।

ইসরাইল বুধবার আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফ্লোটিলার জাহাজ আটক করা শুরু করে। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের এক কর্মকর্তা জানান, চারশ’রও বেশি যাত্রীবাহী এ জাহাজগুলো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর চেষ্টার সময় আটকে দেওয়া হয়েছে।

ইসরাইল থেকে বিতাড়িত হয়ে ইস্তাম্বুলে পৌঁছানো পর শনিবার একদল আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী জানান, তারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে ‘প্রাণিসুলভ আচরণ করা হয়েছে’।

ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক্সে এক পোস্টে জানায়, এই প্রচারণায় অংশগ্রহণকারীদের আইনগত সকল অধিকার পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা বহাল থাকবে।

পোস্টে আরো বলা হয়েছে, ‘তারা (অধিকার কর্মীরা) তাদের পূর্বপরিকল্পিত ভুয়া খবরের অংশ হিসেবে মিথ্যাচার করছে।’ সূত্র: বাসস


যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী জনমত বাড়ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই ইসরায়েলি সরকারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন। পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত এই জরিপ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মার্কিন জনগণ ক্রমশ ইসরায়েলি সরকারের সমালোচক হয়ে উঠেছে।

জরিপে বলা হয়, ৩৯ শতাংশ আমেরিকান মনে করছেন ইসরায়েল হামাসবিরোধী সামরিক অভিযানে ‘অতিরিক্ত বল প্রয়োগ’ করছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ৩১ শতাংশ, আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের শুরুর তুলনায় বর্তমানে ইসরায়েলি সরকারের প্রতি মার্কিন নাগরিকদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশে।

মাত্র ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ইসরায়েল সঠিক পথে এগোচ্ছে। অন্যদিকে ১০ শতাংশ মনে করছেন, ইসরায়েলের অভিযান যথেষ্ট নয়। বাকিরা নিশ্চিত নন।

জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক গাজা যুদ্ধ মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। সমর্থন করেছেন মাত্র ৩০ শতাংশ। এছাড়া, ৩৬ শতাংশ আমেরিকান মনে করছেন ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রতি অতিরিক্ত পক্ষপাত দেখাচ্ছেন। মার্চে এ সংখ্যা ছিল ৩১ শতাংশ। মাত্র ২ শতাংশ বলেছেন, ট্রাম্প ফিলিস্তিনপন্থি হয়ে উঠেছেন।

প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আমেরিকান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অত্যধিক সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। ২৩ শতাংশ মনে করছেন সহায়তার পরিমাণ ঠিক আছে, আর ৮ শতাংশ মনে করেন এটি যথেষ্ট নয়।

তবে ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিকদের জন্য মার্কিন সহায়তার বিষয়ে ভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। মাত্র ৯ শতাংশ বলেছেন সহায়তা বেশি দেওয়া হচ্ছে, ২০ শতাংশ বলেছেন যা দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক, আর ৩৫ শতাংশ বলেছেন সহায়তার পরিমাণ খুবই কম।

প্রায় ৮০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক গাজায় খাদ্যসংকট ও ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের প্রাণহানিতে উদ্বিগ্ন। ৬৯ শতাংশ উদ্বিগ্ন ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়তে বাধ্য করার বিষয়ে।

একইভাবে, ৮০ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন। আর ৭৩ শতাংশ আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে আবারও হামাস ইসরায়েলকে আক্রমণ করতে পারে।

ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদের তুলনায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। বিপরীতে রিপাবলিকানরা ভবিষ্যতে হামাসের হামলার আশঙ্কা নিয়ে বেশি চিন্তিত। তবে উভয় দলই সমানভাবে জিম্মি মুক্তির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।

হামাসের প্রতি মার্কিন বিরূপ মনোভাব স্পষ্ট। জরিপে ৮৪ শতাংশ আমেরিকান হামাসকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে অপছন্দ করেন ৬৮ শতাংশ আমেরিকান।

ইসরায়েলি জনগণের প্রতি সহানুভূতি তুলনামূলক বেশি—৫৬ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলিদের পছন্দ করেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে ৫২ শতাংশের। তবে ইসরায়েলিদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গত এক বছরে ৮ শতাংশ কমেছে, আর ২০২২ সালের তুলনায় ১১ শতাংশ কমেছে।

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের সব প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়নিগাজা নিয়ে ট্রাম্পের সব প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়নি

ডেমোক্র্যাট ও ডেমোক্র্যাটঘেঁষা স্বতন্ত্র ভোটারদের ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। রিপাবলিকান ও রিপাবলিকান-সমর্থকদের মধ্যে এই সংখ্যা মাত্র ৩৭ শতাংশ।

এদিকে, ইসরায়েলি সরকারের প্রতি অনুকূল মনোভাব রয়েছে মাত্র ১৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাটের, কিন্তু রিপাবলিকানদের মধ্যে তা ৫৫ শতাংশ।

এছাড়া, তরুণ আমেরিকানরা (১৮-২৯ বছর) ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিপক্ষে বেশি। তাদের ৪২ শতাংশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত সহায়তা দিচ্ছে। বিপরীতে ৬৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে এ মতের হার মাত্র ২৪ শতাংশ।


যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী জনমত বাড়ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই ইসরায়েলি সরকারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন। পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত এই জরিপ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মার্কিন জনগণ ক্রমশ ইসরায়েলি সরকারের সমালোচক হয়ে উঠেছে।

জরিপে বলা হয়, ৩৯ শতাংশ আমেরিকান মনে করছেন ইসরায়েল হামাসবিরোধী সামরিক অভিযানে ‘অতিরিক্ত বল প্রয়োগ’ করছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ৩১ শতাংশ, আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের শুরুর তুলনায় বর্তমানে ইসরায়েলি সরকারের প্রতি মার্কিন নাগরিকদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশে।

মাত্র ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ইসরায়েল সঠিক পথে এগোচ্ছে। অন্যদিকে ১০ শতাংশ মনে করছেন, ইসরায়েলের অভিযান যথেষ্ট নয়। বাকিরা নিশ্চিত নন।

জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক গাজা যুদ্ধ মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। সমর্থন করেছেন মাত্র ৩০ শতাংশ। এছাড়া, ৩৬ শতাংশ আমেরিকান মনে করছেন ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রতি অতিরিক্ত পক্ষপাত দেখাচ্ছেন। মার্চে এ সংখ্যা ছিল ৩১ শতাংশ। মাত্র ২ শতাংশ বলেছেন, ট্রাম্প ফিলিস্তিনপন্থি হয়ে উঠেছেন।

প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আমেরিকান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অত্যধিক সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। ২৩ শতাংশ মনে করছেন সহায়তার পরিমাণ ঠিক আছে, আর ৮ শতাংশ মনে করেন এটি যথেষ্ট নয়।

তবে ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিকদের জন্য মার্কিন সহায়তার বিষয়ে ভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। মাত্র ৯ শতাংশ বলেছেন সহায়তা বেশি দেওয়া হচ্ছে, ২০ শতাংশ বলেছেন যা দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক, আর ৩৫ শতাংশ বলেছেন সহায়তার পরিমাণ খুবই কম।

প্রায় ৮০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক গাজায় খাদ্যসংকট ও ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের প্রাণহানিতে উদ্বিগ্ন। ৬৯ শতাংশ উদ্বিগ্ন ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়তে বাধ্য করার বিষয়ে।

একইভাবে, ৮০ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন। আর ৭৩ শতাংশ আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে আবারও হামাস ইসরায়েলকে আক্রমণ করতে পারে।

ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদের তুলনায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। বিপরীতে রিপাবলিকানরা ভবিষ্যতে হামাসের হামলার আশঙ্কা নিয়ে বেশি চিন্তিত। তবে উভয় দলই সমানভাবে জিম্মি মুক্তির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।

হামাসের প্রতি মার্কিন বিরূপ মনোভাব স্পষ্ট। জরিপে ৮৪ শতাংশ আমেরিকান হামাসকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে অপছন্দ করেন ৬৮ শতাংশ আমেরিকান।

ইসরায়েলি জনগণের প্রতি সহানুভূতি তুলনামূলক বেশি—৫৬ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলিদের পছন্দ করেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে ৫২ শতাংশের। তবে ইসরায়েলিদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গত এক বছরে ৮ শতাংশ কমেছে, আর ২০২২ সালের তুলনায় ১১ শতাংশ কমেছে।

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের সব প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়নিগাজা নিয়ে ট্রাম্পের সব প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়নি

ডেমোক্র্যাট ও ডেমোক্র্যাটঘেঁষা স্বতন্ত্র ভোটারদের ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। রিপাবলিকান ও রিপাবলিকান-সমর্থকদের মধ্যে এই সংখ্যা মাত্র ৩৭ শতাংশ।

এদিকে, ইসরায়েলি সরকারের প্রতি অনুকূল মনোভাব রয়েছে মাত্র ১৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাটের, কিন্তু রিপাবলিকানদের মধ্যে তা ৫৫ শতাংশ।

এছাড়া, তরুণ আমেরিকানরা (১৮-২৯ বছর) ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিপক্ষে বেশি। তাদের ৪২ শতাংশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত সহায়তা দিচ্ছে। বিপরীতে ৬৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে এ মতের হার মাত্র ২৪ শতাংশ।


banner close