মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতে বিলাওয়াল ভুট্টো

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারি
আপডেটেড
৪ মে, ২০২৩ ১৮:৫০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৪ মে, ২০২৩ ১৮:০৩

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বৃহস্পতিবার ভারতের গোয়ায় গেছেন। গোয়ায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে তিনি পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

প্রায় এক যুগের মধ্যে এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফরে গেলেন। ২০১১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি ভারতে এসেছিলেন।

এনডিটিভি জানায়, গোয়াগামী উড়োজাহাজে উঠে এক টুইট ভিডিও বার্তায় ৩৪ বছর বয়সী বিলাওয়াল জানান, এসসিওর সনদের প্রতি পাকিস্তানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরতেই তিনি ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করতে তিনি উদগ্রীব হয়ে আছেন বলেও জানান।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, বিলাওয়াল ভুট্টো শুধু গোয়ায় এসসিওর বৈঠকেই যোগ দেবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার আলাদা কোনো বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। বিবিসি জানায়, পাকিস্তান সরকারও ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিলাওয়ালের এই সফর হবে পুরোপুরি এসসিও ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে, এর সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কোনোভাবে জড়িত নয়। তবু সাম্প্রতিক কালে কথিত জঙ্গি অনুপ্রবেশের ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক যে রকম তলানিতে এসে ঠেকেছে, সেই পটভূমিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সশরীরে ভারতে আসাটাকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক। ভারতের সাবেক কূটনীতিবিদ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অনিল ত্রিগুনায়াতের মতে, গোয়ার বৈঠক থেকে নাটকীয় কোনো ফলাফল হয়তো আশা করা উচিত নয়, তবে দুই দেশের সম্পর্ককে কিছুটা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সেখানে অগ্রগতি হতে পারে।

ত্রিগুনায়াত বলেন, ‘এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন যদি কোনো তিক্ততা ছাড়াই শেষ হয়, তাহলে হয়তো আমরা দেখব, আগামী জুলাই মাসে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতে যাবেন।’

গোয়ায় গতকাল থেকে এসসিওর সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী বৈঠক শুরু হয়েছে। এসসিও জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মূল বৈঠকটি হবে আজ শুক্রবার। যেখানে আফগানিস্তান আলোচনার একটা বড় অংশজুড়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এখন এসসিওর পূর্ণাঙ্গ সদস্য। আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়া রয়েছে পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে। ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে রয়েছে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, মিসর, কাতার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, কম্বোডিয়া ও সৌদি আরব। বর্তমানে ভারত এই জোটের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে।


অপারেশন সিঁদুরে কী অর্জন হলো ভারতের?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত বুধবার পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের গভীরে প্রবেশ করে এক বিশাল হামলা চালায় ভারত। মূলত পেহেলগামে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি হামলায় ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়াও ছিল এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। ভারতের সরকার জানিয়েছে, এই অভিযান ছিল সম্পূর্ণ সফল। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির চোখে কেমন ছিল এই অভিযান? কী অর্জন এসেছে অপারেশন সিঁদুরের নিখুঁত সন্ত্রাসবিরোধী হামলার মাধ্যমে- সেটাই তুলে ধরেছে এনডিটিভি।

নয়টি জঙ্গি শিবির ধ্বংস

অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবস্থিত নয়টি ‘জঙ্গি ঘাঁটি’ ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এই ঘাঁটিগুলো ছিল জঙ্গিসংগঠন- লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মুহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের। এই ঘাঁটিগুলোকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ ও কার্যকরী কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গভীর হামলা

পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গভীরে আঘাত হানার সদিচ্ছা প্রদর্শন করে ভারত যুদ্ধনীতির ধরন বদলে দিয়েছে। জঙ্গি এবং জঙ্গি-পৃষ্ঠপোষকরা আলাদা নয় বরং উভয়কে লক্ষ্য করে একটি নতুন নীতির সূচনা করেছে ভারত।

হামলাগুলো শুধু পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নয়, পাকিস্তানের ভেতরে শত শত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এমনকি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশেও জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়, যা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কৌশলগত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ভারত এমন সংবেদনশীল জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা করেছে; যেমন- বাহাওয়ালপুর যেখানে এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও কখনো ড্রোন পাঠানোর সাহস দেখায়নি।

ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তান থেকে এলে সীমান্ত রেখা বা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ভূগোল কোনো বাধা নয়। এই হামলার মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করেছে যে পাকিস্তানের প্রতিটি ইঞ্চি ভারতীয় হামলার আওতাভুক্ত।

রেডলাইন

অপারেশন সিঁদুর এমন এক রেডলাইন তৈরি করেছে, যা পাকিস্তান আর উপেক্ষা করতে পারবে না। তাদের রাষ্ট্রীয় নীতিতে সন্ত্রাসের ব্যবহার করলে এর প্রতিক্রিয়া হবে লক্ষ্যভেদী ও দৃশ্যমান।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নতুন ধারা

প্রথমবারের মতো ভারত স্পষ্টভাবে জঙ্গি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে পার্থক্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং উভয়ের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি সেই দীর্ঘদিনের ধারণাকেও নস্যাৎ করেছে যে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাবশালী কিছু দুষ্কৃতকারী উপাদান অনায়াসে সন্ত্রাস চালাতে পারে।

পাকিস্তানের দুর্বল বিমান প্রতিরক্ষা

ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যে পরিচালিত দ্রুত ও নিখুঁত হামলা পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতাই প্রকাশ করে। ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই মিশন সম্পন্ন করে, যা প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করে।

ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রদর্শন

ভারত আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষার রূপান্তরিত রূপ তুলে ধরেছে। নিজস্ব আকাশসীমা সুরক্ষায় একটি শক্তিশালী ও স্তরযুক্ত কাঠামো তৈরি করেছে। ভারত সফলভাবে পাকিস্তানের ব্যবহৃত চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ভেদ করেছে। প্রতিরক্ষা মানে শুধু কেনাকাটা নয়, বরং তার কার্যকর সংযোজন- এটাই প্রমাণ করেছে।

এ ছাড়া ভারতের আকাশতীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত শত পাকিস্তানি ড্রোন ও মিসাইল ভূপাতিত করে তার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে এবং এখন এটি বৈশ্বিক রপ্তানিযোগ্য পণ্যে পরিণত হয়েছে।

উত্তেজনা ছাড়াই সুনির্দিষ্ট হামলা

জঙ্গি অবকাঠামো ছাড়া প্রাথমিকভাবে কোনো সামরিক বা বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। বড় মাত্রায় উত্তেজনা সৃষ্টি না করেই ভারত তার শূন্য-সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গিবাদীদের নির্মূল

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত একাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে। এক রাতেই বহু জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক কাঠামোর ক্ষতি

৯ ও ১০ মে রাতের অভিযানে ভারত এমন দেশ হয়ে উঠেছে, যারা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের বিমান ঘাঁটিগুলোতে ক্ষতিসাধন করেছে। তিন ঘণ্টার মধ্যে ১১টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে- যার মধ্যে রয়েছে নুর খান, রফিকি, মুরিদ, সুক্কুর, শিয়ালকোট, পাসরুর, চুনিয়ান, সারগোধা, স্কারু, ভোলারি এবং জ্যাকবাবাদ।

হামলায় পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ২০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ভারতের হামলায় ভোলারি ঘাঁটিতে পাকিস্তানের স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ ও চারজন বিমানসেনাসহ ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।

যৌথ-সেনা সমন্বয়

ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সমন্বিতভাবে হামলা চালিয়েছে, যা ভারতের ক্রমবর্ধমান যৌথ যুদ্ধক্ষমতার প্রমাণ।

বিশ্বকে পাঠানো বার্তা

ভারত বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, জনগণকে রক্ষা করতে অনুমতির অপেক্ষা করা হবে না। সন্ত্রাসবাদকে শাস্তি দেওয়া হবে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে। তারা দেখিয়ে দিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদ ও তাদের পরিকল্পনাকারীদের জন্য আর কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই। যদি পাকিস্তান প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে ভারত কেবল তা প্রতিহত করতেই সক্ষম নয়, প্রয়োজনে জবাবি হামলায় আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।

বিশ্বব্যাপী সমর্থন

আগে যখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু সংঘাতমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হতো, অধিকাংশ দেশ ভারতকে সংযমের আহ্বান জানাত। কিন্তু এবার বহু বিশ্বনেতা ভারতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে।

কাশ্মীর নিয়ে বিবর্তিত বর্ণনা

প্রথমবার ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কেবল সন্ত্রাসবাদের আলোকে দেখা হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যু থেকে এটি পুরোপুরি আলাদা করা হয়েছে।


শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। পরস্পরের ওপর আরোপ করা পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য শুল্ক ৯০ দিনের জন্য ব্যাপক পরিসরে কমাতে একমত হয়েছে দুই দেশ। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা কমাতেই এই চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের আগে চীনের ওপর মার্কিন শুল্ক ছিল ২০ শতাংশ। পরে নতুন শুল্ক যখন ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন তখন তিনি বলেছিলেন তিন মাস সবার জন্য বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, গঠনমূলক ও দৃঢ় আলোচনার পর উভয় দেশ ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করতে রাজি হয়েছে। এর আওতায় দেশ দুটি পারস্পরিক শুল্ক ১১৫ শতাংশ কমাবে।

চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত বর্তমান ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। অন্যদিকে চীন মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপ করা ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। উভয় দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আগামী ১৪ মে থেকে শুল্কের এই কাঁটছাট কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে স্কট বেসেন্ট বলেন, আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে এসেছি যে, আমাদের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। দুই পক্ষের প্রতিনিধিদলই একমত হয়েছে যে তারা বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় না। মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশই নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছে। আমাদের লক্ষ্য ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের পথে অগ্রসর হওয়া এবং এটি তারই সূচনা।

প্রথম দফায় শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল এবং বৈশ্বিক মন্দার শঙ্কাও জোরালো হয়েছিল। তবে এবার এই চুক্তির ঘোষণায় বিশ্ব শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

শুল্ক কমানোর চুক্তির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববাজারে চাঙাভাব দেখা দেখা গেছে। হংকংয়ের প্রধান সূচক ৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ স্টক ফিউচারের উত্থান হয়েছে। এছাড়া বাড়তি শুল্ক স্থগিতের খবরে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের দর বেড়ে ছয় মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় শেয়ারবাজারগুলোও উচ্চমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু করে এবং মার্কিন বাজারগুলোও ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, এই সময়সীমার মধ্যে চীনের উচিত হবে ফেন্টানিল নামক ভয়াবহ মাদকের অবৈধ রপ্তানি বন্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া। এ বিষয়ে চীনের সদিচ্ছা দেখে ওয়াশিংটন আশাবাদ প্রকাশ করেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলের প্রবেশ ঠেকাতে চীন পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।


শেষ জীবিত মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

হামাসের কাছে জিম্মি সর্বশেষ জীবিত মার্কিন সেনা সদস্য এডেন আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১২ মে) তাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করে হামাস।

বিনাশর্তে আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়াকে গাজা যুদ্ধ অবসান ও বাকি জিম্মিদের ঘরে ফেরানোর জন্য হামাসের ‘সদিচ্ছা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, রেড ক্রসের কাছে আলেকজান্ডারকে হস্তান্তর করার পর হেলিকপ্টারে করে তাকে তেলআবিবের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় দেশটির সেনাবাহিনী।

পরে আলেকজান্ডারের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। হাসপাতালে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত হন তিনি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী ২১ বছর বয়সী আলেকজান্ডার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে তাকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। তার প্রায় ১৯ মাস পর গতকাল (সোমবার) তিনি পরিবারের কাছে ফিরেছেন।

মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজায় পুনরায় ইসরায়েলের হামলার শুরুর পর এই প্রথম কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়নি, যদিও হস্তান্তরের জন্য কিছু সময় লড়াই বন্ধ রেখেছিল।

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নবায়নসহ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের পর তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ছাড়া যুদ্ধের অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা অব্যাহত রাখার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে হামাস। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনকে অনুরোধ করছি যেন তারা এই নির্মম যুদ্ধের অবসানের জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।’

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় গতি আনতে আগ্রহ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ট্রাম্প।

রবিবার (১১ মে) নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, হামাসের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের প্রচেষ্টার প্রতি সদিচ্ছার একটি পদক্ষেপ।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাকি জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও তেল আবিবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি বৈঠক করেছেন। এ সময় আলেকজান্ডারের মুক্তিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

এদিকে, গাজায় অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজা দখল করে সেখানকার জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে আবারও স্থানচ্যুত করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।

তাছাড়া গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। এই অবরোধ তুলে না নিয়ে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। ইসরায়েলের এই পদক্ষেপে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি অনাহারের মুখে পড়েছেন বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।


সন্তানকে উদ্দেশ্য করে মাহমুদ খলিলের হৃদয়বিদারক চিঠি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পৃথিবীতে এসেছে প্রথম সন্তান, কিন্তু সদ্যজাত সন্তানকে কোলে নেওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। তাই বুকভরা যন্ত্রণা নিয়ে লুইজিয়ানার আটককেন্দ্র থেকে নবজাতকের উদ্দেশ্যে একটি হৃদয়বিদারক চিঠি লিখেছেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে মাহমুদের চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

পুত্র দীনকে উদ্দেশ্য করে মাহমুদ লিখেছেন, ‘আমি যখন ভাবি, তোমাকে প্রথমবার কোলে নিতে পারিনি, তোমার প্রথম কান্না শুনতে পারিনি, তোমার মুঠোবাঁধা হাত খুলে দিতে পারিনি, কিংবা তোমার প্রথম ডায়াপার বদলাতে পারিনি; আমার হৃদয় ব্যথিত হয়ে ওঠে।’

নিজের সন্তানের জন্মের সময় তার অনুপস্থিতিকে তিনি ফিলিস্তিনের বহু পিতার অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে উল্লেখ করেছেন মাহমুদ।

বেদনা জড়িত বাক্যে তিনি লেখেন, ‘বর্ণবাদী শাসন ও দূরবর্তী কারাগারে বন্দি হয়ে আমিও অন্যান্য ফিলিস্তিনি পিতাদের মতো তোমার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি।’

‘প্রতিদিন জন্ম নেওয়া যেসব শিশুর পাশে তাদের বাবারা থাকেন না— তারা স্বেচ্ছায় যান না কোথাও। যুদ্ধ, বোমা, কারাগার কিংবা দখলদারত্বের নির্মম যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তোমার মা ও আমি যে শোক অনুভব করছি, তা ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর বহু প্রজন্ম ধরে ডুবে থাকা দুঃখের সাগরের একটি ক্ষুদ্র ফোঁটা মাত্র’, বলেন মাহমুদ।

নিজেকে একজন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে বর্ণনা করে মাহমুদ চিঠিতে আরও লেখেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রতি অটল সমর্থনের কারণেই তিনি আজ বন্দি।

সন্তানকে ‍উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘একদিন হয়তো তুমি জানতে চাইবে কেন ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য মানুষকে শাস্তি পেতে হয়, কেন সত্য ও সহানুভূতি ক্ষমতার জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।’

‘এই প্রশ্নগুলো কঠিন, কিন্তু আমি আশা করি আমাদের গল্প তোমাকে এটা শেখাবে; এই পৃথিবীর প্রয়োজন আরও সাহস। এমন মানুষ প্রয়োজন যারা সুবিধা নয় বরং ন্যায়কে বেছে নেন।’

গত বসন্তে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংঘটিত বিক্ষোভে জড়িত থাকার কারণে এ বছরের ৮ মার্চ মাহমুদ খলিলকে গ্রেপ্তার করেছিল দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা। এরপর থেকে লুইজিয়ানার জেনা শহরে একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে রয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইহুদিবিদ্বেষী বিক্ষোভ বন্ধের অভিযানের প্রথম শিকার ৩০ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি যুবক। মাহমুদ খলিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের শিক্ষার্থী। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের গ্রিনকার্ড রয়েছে তার। গ্রেপ্তারের পরই তার গ্রিনকার্ড বাতিলের কথা জানায় ওয়াশিংটন।


যে কারণে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলো ভারত-পাকিস্তান

ভারতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা, পাকিস্তানিদের উল্লাস (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চার দিন ধরে চলা ভয়াবহ পাল্টাপাল্টি হামলার পর অবশেষে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় দুই দেশের মধ্যে এই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের পরমাণু সক্ষমতা ও উত্তেজনার ক্রমবর্ধমান মাত্রা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষে সাময়িক বিরতি এলেও—যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া ও কৃতিত্ব নিয়ে দুই প্রতিবেশীর ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

হঠাৎ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের সময় সকাল ৮টার কিছু আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন, ‘দীর্ঘ রাতের আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’ তিনি দুই দেশের নেতাদের ‘সাধারণ জ্ঞান ও চমৎকার বুদ্ধিমত্তার’ প্রশংসাও করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ ঘোষণাকে আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে বলেন, শুধু যুদ্ধবিরতি নয়—ভারত ও পাকিস্তান একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত আলোচনা শুরু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, গত দুই দিন তিনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স উভয় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখেছেন। পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে। কিছুক্ষণ পর ভারতও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।

কৃতিত্ব ঘিরে দ্বিমত

যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কো রুবিও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন, তবে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতির এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে। তারা পরবর্তী কোনো আলোচনা হবে কিনা সে বিষয়ে ‘কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি’ বলেও জানায়।

অন্যদিকে পাকিস্তান পুরো বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব ও সক্রিয় ভূমিকায় আমরা কৃতজ্ঞ।’পাকিস্তানের এক সূত্র সিএনএনকে জানান, মার্কো রুবিওর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চুক্তি অনিশ্চিত অবস্থায় ছিল।

ভিন্ন অবস্থান: কেন?

বিশ্লেষকদের মতে, এই ভিন্ন ব্যাখ্যার পেছনে রয়েছে দুই দেশের মৌলিক কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। ভারত দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার বিরোধী। ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. অপর্ণা পান্ডে বলেন, ‘ভারত কখনোই কোনো দ্বন্দ্বে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা মেনে নেয় না, হোক তা পাকিস্তান, চীন কিংবা অন্য যে কোনো দেশের সঙ্গে।’তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সবসময় আন্তর্জাতিক সহায়তা চায়, কারণ সেটিই একমাত্র উপায় যেটি ব্যবহার করে তারা কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’

সংঘর্ষ যেভাবে শুরু

এই উত্তেজনার সূত্রপাত ২৬ এপ্রিল, কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা থেকে। সেখানে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নিহত হন। ভারত হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপর দুই সপ্তাহ পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, যার আওতায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালানো হয়।

পাকিস্তান পাল্টা জবাব দেয়। শনিবার সকালের দিকে ইসলামাবাদ-সংলগ্ন ঘাঁটি পর্যন্ত ভারতীয় হামলার অভিযোগ তোলে পাকিস্তান। জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায়। সেনাবাহিনীর ভাষায়, ‘চোখের বদলে চোখ।’

এই হামলার পর শ্রীনগর ও জম্মুতে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান যথাযথ প্রত্যুত্তর দিয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ কেন সক্রিয় হলো?

মাত্র দুই দিন আগেও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি বিষয় নয়।’ কিন্তু শুক্রবার নতুন গোয়েন্দা তথ্য আসার পর পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা নেয়। স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা জানান, সংঘাত ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছাতে পারে এমন তথ্য পাওয়ার পর তারা দ্রুত হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন।

যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ কি?

যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরের উভয় অংশে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন। পাকিস্তানও ভারতকে একই অভিযোগে দায়ী করে। তবে দেশটি জানায়, ‘আমরা চুক্তি পালনে আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এই উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা নিয়েছে—যেমন, ভিসা স্থগিত, বাণিজ্য বন্ধ এবং ভারতের পানিবণ্টন চুক্তি থেকে সরে আসা। এই সিদ্ধান্তগুলো ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না, সেটি এখনও অনিশ্চিত।


সংলাপের ডাক পুতিনের, সাড়া দেননি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী ১৫ মে তুরস্কের ইস্তানবুলে সরাসরি আলোচনায় বসতে ইউক্রেনের প্রতি আহ্বান জানান। তবে ট্রাম্প ও ইউরোপীয় মিত্রদের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। কিয়েভ থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

রোববার ভোরে ক্রেমলিনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘কোনো শর্ত ছাড়াই আমরা কিয়েভকে আবার আলোচনায় বসতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ইউক্রেন, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা সোমবার থেকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য একযোগে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানান।

পুতিন বলেন, ‘২০২২ সালে যেসব আলোচনা অমীমাংসিত রয়ে গেছে তা ফের শুরুর জন্য কিয়েভ সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকে ইস্তানবুলে সরাসরি আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।

পুতিন আরো জানান, ‘আমরা দেরি না করে আগামী বৃহস্পতিবার ইস্তানবুলে ফের সংলাপ শুরু করতে চাই।’ এ আলোচনার আয়োজন করতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সহায়তা চাইবেন বলেও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন ‘আমি ইউক্রেনের সঙ্গে আন্তরিক আলোচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের মূল কারণ চিহ্নিত করে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির ভিত্তি স্থাপন করতে।’ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনকে ‘ডি-নাজিফাই’ করা, রুশভাষীদের নিরাপত্তা, ন্যাটোর সম্প্রসারণ রোধ ও ইউক্রেনের পশ্চিমমুখী নীতির বিরোধিতা।

তবে, কিয়েভ ও পশ্চিমারা বরাবরই এসব দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এটিকে রাশিয়ার ‘সাম্রাজ্যবাদী ভূমি দখলের প্রচেষ্টা’ বলেও আখ্যা দিয়েছে।
পুতিন বলেন, তিনি আলোচনায় রাজি। সম্ভব হলে পরেও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যেতে পারে। তবে তিনি ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় নেতাদের বিরুদ্ধে রাশিয়া বিরোধী মনোভাব ও আল্টিমেটাম দেওয়ার অভিযোগ করেন। তবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

এর কয়েক ঘণ্টা আগেই কিয়েভ সফর করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। তারা একযোগে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। সেই প্রস্তাবে সাড়া না দিলে রাশিয়াকে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন।

ম্যাক্রোঁ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনো শর্ত ছাড়াই আগামী সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। রাশিয়া এতে সাড়া না দিলে ইউরোপ ও আমেরিকা একসঙ্গে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবে।’ ইউক্রেনের পক্ষে থাকা ২০টি দেশের নেতাদের সঙ্গে কিয়েভে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেন ইউরোপীয় চার নেতা ।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরেই একই ধরনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছিল। তবে রাশিয়া সেই প্রস্তাবে কখনো সাড়া দেয়নি।


পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে।

তবে রবিবার (১১ মে) ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর ও জম্মুতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির দাবি, ‘পাকিস্তান বারবার যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তারা হামলা চালিয়েছে, পরে ভারতীয় সেনারা তার জবাব দিয়েছে।’

নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চুক্তি লঙ্ঘনের এই কার্যকলাপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও পরিস্থিতির মোকাবেলায় যথাযথ গুরুত্ব ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করার জন্য আমরা পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাই।’

অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে তারা ‘পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনা গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় চিরবৈরি এই দুই প্রতিবেশি দেশ।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। পরবর্তীতে দুপক্ষই একে অপরের কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

এরপরই গত ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে অন্তত ৩৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটির সরকার। আবার পাকিস্তানও পাল্টা অভিযান ঘোষণা করে। পাকিস্তানের হামলায় ২১ ভারতীয় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।

এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।

শনিবার নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান।’

পরে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। প্রায় তিন ডজন দেশের কূটনৈতিক সহায়তায় এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উভয়পক্ষই শত্রুতা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও একে বৃহত্তর স্থিতিশীলতার পথে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, নিরপেক্ষ জায়গা থেকে এক গুচ্ছ বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফসহ দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গেল ৪৮ ঘণ্টা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও মার্কো রুবিও।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, এটি দীর্ঘমেয়াদে বজায় থাকবে।


ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগারে হামলার দাবি পাকিস্তানের

অস্বীকার ভারতের
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত বলছে, পাকিস্তান তাদের ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই পাকিস্তান অভিযোগ করে যে, ভারত তাদের তিনটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানকে উসকানিমূলক এবং সংঘাতমূলক আচরণের জন্য অভিযুক্ত করেছে। খবর বিবিসির।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে—যা দিল্লি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।

গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে যে হামলা চালায়, তারই পাল্টা হিসেবে ইসলামাবাদ ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’ নামে এক অভিযান শুরু করেছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং এবং পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি উভয়েই পাকিস্তানের হামলায় ভারতের কোনো সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

উইং কমান্ডার সিং বলেন, পাকিস্তান ক্রমাগত বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করেছে। তারা বলছে, আদমপুরে ভারতীয় এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে, সুরাট ও সিরসায় বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে, নাগরোটায় ব্রহ্মোস স্পেস, ডেরাঙ্গিয়ারি ও চণ্ডীগড়ে আর্টিলারি অবস্থান এবং চণ্ডীগড়ের গোলাবারুদ ডিপো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এসব দাবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভুয়া প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

যে কারণে পাকিস্তানের অভিযানের নাম ‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস’

পেহেলগাওকাণ্ডে পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির অভ্যন্তরে ‌‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছে ভারত। গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের ২৪টি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে এই অভিযান শুরু করে ভারত। এতে দেশটিতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর পাল্টা জবাবে ‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস’ নামে অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান।

গত শুক্রবার মধ্যরাতে ও শনিবার ভোরে ভারতের বারামুলা থেকে ভুজ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাদের অভিযানের নাম বুনিয়ানুন মারসুস কেন- তা নিয়ে রয়েছে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারীদের কৌতূহল। জানা গেছে, ‘বুনিয়ানুন মারসুস’ আরবি শব্দগুচ্ছ। এর অর্থ কংক্রিট কাঠামো বা দৃঢ় ভিত্তি। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেছেন, বুনিয়ানুন মারসুস অর্থ সিসা ধাতু দিয়ে তৈরি সুরক্ষিত প্রাচীর’।

অভিযানের নাম ‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস’ রাখা প্রসঙ্গে পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, পবিত্র কোরআনের সুরা আস-সাফের ৪ নং আয়াত থেকে এ শব্দগুচ্ছ নেওয়া হয়েছে। ওই আয়াতে ব্যবহৃত ‘বুনিয়ানুন মারসুস’ ইসলামে ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং দুর্নিবার প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। মূলত এখান থেকেই পাকিস্তানের অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে।

সুরার অনুবাদ হলো: ‘আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন, যারা তার পথে লড়াই করেন, যেন তারা গলিত সিসা দিয়ে তৈরি শক্ত প্রাচীর’ (সুরা আল-সাফ, আয়াত ৪)

নয়াদিল্লির দেওয়া অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, পেহেলগাওয়ে ২৫ নারী বিধবা হয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র কয়েকদিন আগে একজনের বিয়ে হয়েছিল। সিঁদুর সনাতনী নারীরা বিয়ের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেন। ভারতের হামলার নাম অপারেশন সিঁদুর রাখা হয়েছে মূলত ওই হামলায় স্বামী হারানো নারীদের ক্ষত এবং কষ্টের কথা তুলে ধরে।

ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পছন্দে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি রাখা হয়েছে।

উত্তেজনার আগুনে পরমাণু নয়, বললেন খাজা আসিফ

এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, এই মুহূর্তে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় নেই। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে শুধু আমাদের নয়, যারা বাইরে থেকে দেখছে, তারাও এর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না।

ভারত-পাকিস্তানের চলমান সামরিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।

খাজা আসিফ বলেন, ‘আমি বিশ্বকে বলছি, এটা শুধু এই অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না; এর ধ্বংস অনেক বিস্তৃত হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত যেভাবে পরিস্থিতি তৈরি করছে, তাতে আমাদের বিকল্পগুলো কমে আসছে।’

তবে এই পরিস্থিতি চরমে ওঠার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে ভারত-পাকিস্তান উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি হয়।


ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর আকাশসীমা খুলে দিল পাকিস্তান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর পাকিস্তান শনিবার তার আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে। পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (পিএএ) একথা জানিয়েছে।

করাচি থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর, ‘সব ধরনের ফ্লাইটের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা সম্পূর্ণরূপে খুলে দেওয়া হয়েছে।’


যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

পরিপূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত পাকিস্তান। শনিবার (১০ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন তথ্য জানিয়েছেন।

নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পরিপূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান।

সাধারণ জ্ঞান ও দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোর জন্য দুদেশকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক ধরও এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সঙ্গে আপস না করেই এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।


উত্তেজনা কমাতে ভারত-পাকিস্তানের প্রতি জি-৭-এর আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় সংঘাতের ‘তাৎক্ষণিক উত্তেজনা হ্রাস’ ও ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান জানিয়েছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো। শুক্রবার এ আহ্বান জানান অর্থনৈতিক জোটের নেতারা।

মন্ট্রিল থেকে এএফপি জানায়, বিশ্বের সাতটি উন্নত ও ধনী গণতান্ত্রিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘সামরিক উত্তেজনা আরো বাড়লে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি হতে পারে’। উভয় পক্ষকে ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সরাসরি সংলাপে অংশ নেওয়ার’ আহ্বান জানান তারা।

উল্লেখ্য, জি-৭ সদস্য দেশগুলো হলো: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান।

এই জোট বৈশ্বিক অর্থনীতি, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সংকটসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমন্বিত নীতি নির্ধারণ ও আলোচনার মাধ্যমে কাজ করে।


ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানকে অর্থছাড়ের অনুমোদন আইএমএফের

আপডেটেড ১০ মে, ২০২৫ ১৭:১২
বাসস

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শুক্রবার পাকিস্তানের জন্য ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার অনুমোদন দিয়েছে। যার ফলে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল ছাড় করা হয়েছে এবং নতুন ১শ’ ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি বেইলআউট প্যাকেজ অনুমোদন করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

২০২৩ সালে পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়, যখন রাজনৈতিক সংকট আর অর্থনৈতিক মন্দা এক সঙ্গে মিশে দেশটির ঋণের বোঝা চরম মাত্রায় পৌঁছে। তখন আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের বেইলআউট প্যাকেজ পাকিস্তানকে রক্ষা করে। যা ১৯৫৮ সালের পর থেকে তাদের ২৪ তম আইএমএফ সহায়তা।

আইএমএফ এক বিবৃতিতে বোর্ডের প্রথম ঋণ পর্যালোচনার অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে গণমাধ্যমের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, ‘পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ শক্তিশালী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, যা অর্থায়ন এবং বৈদেশিক খাতে উন্নতি এবং একটি ধারাবাহিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে।’

এছাড়াও ‘জলবায়ু ঝুঁকি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতি অর্থনৈতিক সহনশীলতা গড়ে তোলা পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য’ প্রায় ১ শ’ ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি নতুন ঋণ কর্মসূচির অনুরোধও অনুমোদন করেছে আইএমএফ’র বোর্ড।

পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারত ভোটদানে বিরত থাকে। আইএমএফ বোর্ডে ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ভারত। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন একজন ব্যক্তি এএফপি’কে নিশ্চিত করেছেন, ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে ওই চারটি দেশই কার্যত ভোটদানে বিরত ছিল। তবে ওই ব্যক্তি প্রকাশ্যে গণমাধ্যমের সামনে কোনো কথা বলেননি।

ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানের দুর্বল রেকর্ডের কারণে সেখানে আইএমএফ কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।’

নয়াদিল্লি আরো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই অর্থ পাকিস্তান ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদে’ ব্যবহার করতে পারে।

আইএমএফ বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বেড়েছে এবং তিন দিনের ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।


'অপারেশন সিঁদুর' এর জবাব পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’

ভারতের ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
ছবি: রয়টার্স‌
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেনা অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যে শুক্রবার রাতে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

শুক্রবার (৯ মে) রাতে ভারতের বারামুলা থেকে ভূজ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা এসব হামলা চালানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, সামরিক অভিযানটির নাম ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’ রাখা হয়েছে। আরবি ভাষার এ শব্দগুচ্ছের অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’।

হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে তিনি জানান, এই স্থাপনাগুলোর মধ্যে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি, উধামপুর বিমান ঘাঁটি, গুজরাট বিমান ঘাঁটি, রাজস্থান বিমান ঘাঁটি এবং ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রাহ্মো‌সের একটি মজুতস্থান উল্লেখযোগ্য। পাল্টা এ হামলায় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার।

জানা যায়, শুক্রবার রাতের হামলায় ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের বারামুলা জেলার উরি শহরে ভারতীয় সেনবাহিনীর একটি ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টার এবং সরবরাহ বা রসদ ডিপো, নাগরোটা শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ব্যাটারি ধ্বংস হয়েছে।

অন্যদিকে ভারতের মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাকিস্তান থেকে চালানো সন্দেহভাজন সশস্ত্র ড্রোন বেসামরিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল। বারামুল্লা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, জম্মু, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, লালগড় জাট্টা, জয়সলমীর, বারমের, ভুজ, কুয়ারবেত এবং লক্ষী নালার কাছে ওই ড্রোনগুলো দেখা গেছে।

তারা আরও জানায়, ফিরোজপুরের একটি বেসামরিক এলাকায় একটি ড্রোন থেকে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। ওই হামলায় স্থানীয় অনেক বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বিস্ফোরণের খবর আসছে। বিবিসির সাংবাদদাতারা ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর এবং জম্মু শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তবে এই বিস্ফোরণের উৎস শনাক্ত করা যায়নি।

গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার রাতে দেশটির ২৪টি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হন। আহত হন ৪৬ জনের বেশি। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।


banner close