বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইরানে বিক্ষোভে ৫ মৃত্যু

তেহরানে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ। ছবি: আল জাজিরা
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:৪৬

ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণীর মৃত্যুর জেরে কুর্দি অঞ্চলে বিক্ষোভে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। স্থানীয় কুর্দি অধিকার সংস্থা দাবি করেছে, নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হয়েছে। হেনগাও মানবাধিকার সংস্থা এক টুইট বার্তায় জানায় জানিয়েছে, আমিনির নিজ শহর সাকেজে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালালে দুজন নিহত হন। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে দিভান্ডারেহ শহরে আরও দুজন এবং দেহগোলানে পঞ্চমজন নিহত হন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে অন্তত আটজন আহত হন।

ইসলামি আইন অনুযায়ী ‘সঠিক নিয়মে’ হিজাব না পরায় নৈতিক পুলিশ বা মোরালিটি পুলিশের হাতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর মৃত্যু হয় ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনির। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাজধানী তেহরানে গত মঙ্গলবার মাহসাকে গ্রেপ্তার করে তুলে নেয়ার সময় পুলিশ ভ্যানের ভেতর তাকে নির্যাতন করা হয়। পুলিশি হেফাজতে থাকার সময়েই মাহসার হার্ট অ্যাটাক হয়; এরপর তিনি কোমায় চলে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মাহসাকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরিবারের অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পর তাকে মারধর করা হয়েছে।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক দিনে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে এই বিক্ষোভে নারীদের পাশাপাশি ইরানি পুরুষও যোগ দিয়েছেন। রাস্তায় প্রতিবাদের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক নারী নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরার ঘোষণা দিয়ে ভিডিও পোস্ট করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। রাজধানী তেহরানে আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয় ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন।

মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে ফেসবুক ও টুইটারে #mahsaamini এবং #Mahsa_Amini হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রতিবাদ।

এমন পরিস্থিতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মাহসা আমিনির মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির নৈতিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্নেল আহমেদ মিরজাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরই নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। ইরানের ধর্মীয় শাসকদের কাছে নারীদের জন্য এটি ‘অতিক্রম-অযোগ্য সীমারেখা’। বাধ্যতামূলক এই পোশাকবিধি মুসলিম নারীসহ ইরানের সব জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের নারীদের জন্য প্রযোজ্য। তবে এই নিয়মের বিরুদ্ধে গত দুই দশক ধরেই বিভিন্ন মানবিক সংগঠন ও নারীরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। আর এ কারণে তাদের ওপর নির্যাতনের খড়্গও নেমে এসেছে অনেকবার। তবে এবার মাহসার মৃত্যুতে বারুদের মতো বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে নারী-পুরুষনির্বিশেষে ইরানের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে।

এ বিষয়ে ইরানি প্রখ্যাত সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট মাসিহ আলিনেজাদ তার অফিশিয়াল টুইটারে প্রতিবাদী নারীদের ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সাত বছর বয়স থেকে আমরা আমাদের চুল ঢেকে রাখতে বাধ্য। তা না হলে আমরা স্কুলে যেতে পারব না, চাকরি পাব না। আমরা এই লিঙ্গ-বৈষম্যভিত্তিক শাসনের অবসান চাই।’


গাজায় ইসরায়েল-হামাসের তুমুল লড়াই চলছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৩:০৫
বাসস

অবরুদ্ধ গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের চারিদিকে ইসরায়েল বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে কয়েকটি হাসপাতালের আশপাশে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। যদিও সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এছাড়া কাতারে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনাও থমকে আছে। এ জন্যে হামাস ও ইসরায়েল একে অন্যকে দোষারোপ করছে।

এদিকে ইসরায়েলকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেলআবিবের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। গাজায় অধিকহারে বেসামরিক হতাহত, মানবিক ত্রাণ সরবরাহের সংকট তীব্র হওয়া এবং গাজার দক্ষিণে রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই হতাশ। এর ফল হিসেবে দেশটি নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয়া থেকে বিরত থাকে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েল একে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট পিছু হটা বলে মন্তব্য করেছে।

ইসরায়েল বুধবার রাতভর গাজা শহর ও রাফায় বোমা হামলা চালিয়েছে। আগুনের গোলায় আলোকিত হয়ে ওঠে গাজার আকাশ। এদিকে ইসরায়েলী বাহিনী গাজার তিনটি হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে ফিলিস্তিনী গ্রুপ হামাসের সাথে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত এবং রোগী ও চিকিৎসকদের নিয়ে আশংকা বাড়ছে। হামাস হাসপাতালগুলো ব্যবহার করে তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এ অভিযোগে গাজার বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েল গত সপ্তাহে হামলা শুরু করে। এরপর আরো দু’টি হাসপাতালে ইসরায়েল অভিযান চালায়। যদিও হামাস তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধের প্রায় ছয় মাসে হতে চলল। অবরুদ্ধ গাজায় খাবার, পানি ও জ্বালানির তীব্র ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহের বাধা দিচ্ছে বলেও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা অভিযোগ করে আসছে। এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২৪ লাখ লোক মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবন্ধে জোর তৎপরতা কয়েকসপ্তাহ ধরেই অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে উভয়পক্ষ থেকে আলোচায় কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা বলা হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, চলমান আলোচনা একটি কৌশলগত পর্যায়ে রয়েছে। তবে হামাস নেতা গাজী হামাদ বলেছেন, একরোখা ইসরায়েল চাচ্ছে যুদ্ধ চলুক। তিনি আরও বলেছেন, যুদ্ধবিরতি কিংবা বন্দী বিনিময় আলোচনায় কোন অগ্রগতি নেই।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এরপরই ইসরায়েল পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং হামাসকে নিশ্চিহ্নের অঙ্গীকার করে।

ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু


রমজানে ১৫ দিনে ওমরাহ পালন করেছেন ৮০ লক্ষাধিক মুসল্লি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি বছরের পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিনে ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। গতকাল বুধবার সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮০ জন মুসল্লি চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালন করেছেন। মুসলিম বছরের সবচেয়ে পবিত্র মাস হিসেবে বিবেচিত রমজানে সারা বিশ্ব থেকে পুণ্যার্থীরা মক্কা ও মদিনায় এসে জমায়েত হয়েছেন।

রমজান মাসে মুসলিমরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে রোজা রাখেন। সব সুস্থ-সবল মুসলিমদের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। এ মাসে ইবাদত, প্রার্থনা ও দানের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়।

হজের মতো সুনির্দিষ্ট সময়ে নয়, বরং বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। তা সত্ত্বেও অনেক পুণ্যার্থী অধিক সওয়াবের আশায় এ মাসে ওমরাহ পালন করে থাকেন।

রমজান মাসে হাজারও মানুষ সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাবা শরিফে ছুটে আসেন। নামাজ পড়া ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যেই তারা মূলত এখানে আসেন। যার ফলে এ সময় পবিত্র এই ভূমিতে মানুষের ভিড় অনেক বেশি থাকে।

গত সপ্তাহে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় রমজান মাসে একবারের বেশি ওমরাহ পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পবিত্র মাসে ভিড় কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে ওমরাহ পালন করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই নীতিমালা বাস্তবায়নে ওমরাহর অনুমতি নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম নুসুকে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার অনুমতি নিতে গেলে ‘এরর মেসেজ’ পাবেন।


ইন্দোনেশিয়া ভূমিধসের ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৪:০৬
বাসস

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের একটি গ্রামে ভূমিধস ও বন্যার ঘটনায় উদ্ধারকর্মীরা চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। বুধবার এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।

রোববার সন্ধ্যার পর কয়েক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিবেন্ডা গ্রামে মধ্যরাতের ঠিক আগে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ সময় অনেক গ্রামবাসী ঘুমিয়ে ছিল।

এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাথমিকভাবে দশ জন নিখোঁজ হওয়ার কথা জানানো হয়। এতে কয়েক ডজন বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং শত শত লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান মেইদি এএফপি’কে বলেন, ‘আজ সকাল পর্যন্ত চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অনুসন্ধান অভিযান চালানো হচ্ছে।’

খবরে বলা হয়, বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় এবং বন উজাড়ের কারণে কিছু অঞ্চলে সমস্যাটি আরও বেড়েছে।
এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে দ্বীপপুঞ্জের কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে।


গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বোমাবর্ষণ, আরও সাহায্য বৃদ্ধির আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় দুর্ভিক্ষ ঢেকে ফেলায় সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েল দক্ষিণ গাজায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে।

অবরুদ্ধ গাজায় জরুরি সাহায্যের প্রয়োজন এবং খাদ্য প্যাকেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন লোক মারা যাওয়ায় বিমান থেকে সহায়তা দেয়া বন্ধ করার জন্য হামাসের অনুরোধ থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বিমান থেকে সাহায্য দেয়া অব্যাহত রাখবে।

ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর হামলার বাইরে থাকা গাজার শেষ আশ্রয় কেন্দ্র রাফাহ শহরের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েল ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে আগুনের গোলায় রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এই এলাকায় আটকে আছে। অনেকে দক্ষিণে মিশর সীমান্তের দিকে পালিয়ে গেছেন।

সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং উত্তরে গাজা শহরে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। যেখানে ইসরায়েলি সেনারা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শহরের বৃহত্তম হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আসছে।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার ভোরে বলেছে, রাফাহ ও তার আশপাশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত তিনজনসহ সারারাত হামলায় ৬৬ জন নিহত হয়েছেন।


বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনাক: ভয়াবহ বললেন বাইডেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাল্টিমোর সেতু ধসের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দেশটির মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ সরাসরি ধাক্কা দিলে সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে। স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত মধ্যরাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটার পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ভেঙে পড়া ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ নামের সেতুটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনর্নিমাণ করা হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন এতে সময় লাগবে।

বাইডেন আরও বলেছেন, এই ঘটনা মোকাবেলায় ফেডারেল থেকে যত সহায়তা প্রয়োজন তা তিনি সরবরাহ করবেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু করতে সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

এদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মী। সেতুটি ধসে পড়ার সময় তাঁরা সেতুতে মেরামতের কাজ করছিলো।

বাল্টিমোর বন্দর এখনো বন্ধ রয়েছে। সেখানে কখন আবার কার্যক্রম শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।


গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলা। ছবি: এএফপি
আপডেটেড ২৬ মার্চ, ২০২৪ ২২:২১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯৩ জন। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৪ জন মানুষ। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জন। হামলার পাশাপশি পশ্চিম তীরে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। যদি কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধে।


গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানবে না ইসরায়েল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমধ্যম এক্স পোস্টে এ কথা জানান ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইসরায়েল কাৎজ জানান, হামাস নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় হামলা চলবে।

গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে ওই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পাল্টে ভেটো না দিয়ে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাব করলে ১৪ কাউন্সিল সদস্য দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ওই প্রস্তাবে হামাসের হাতে বন্দি থাকা সবার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আলজেরিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আমর বেনজামা ভোটের পর কাউন্সিলে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই রক্তস্নাত অনেক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। অনেক দেরি হওয়ার আগেই এই রক্তপাত বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব।’

গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই যুদ্ধবিরতির জন্য বারবার চেষ্টা করে আসছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তা প্রতিবারই পাস করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার আমেরিকা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিলেও বিরোধিতা করেনি। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে আমেরিকার এই পদক্ষেপ তার মিত্র ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইসরায়েলের সমালোচনা করে মন্তব্য করে ওয়াশিংটন। এর পরেই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন। তবে সেই প্রস্তাবে ইসরায়েলের পক্ষে যায় উল্লেখ করে তাতে ভেটো দেয় রাশিয়া ও চীন। তবে এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বিরোধিতা ছাড়াই নিরাপত্তা পরিষদে পাস হলো। তবে আমেরিকা ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিলেও ভেটো না দেওয়া ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকা তাদের কঠোর অবস্থানের জানান দিল।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর লিন্ডা গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে শুরু হবে। আমরা অবশ্যই হামাসকে এ বিষয়ে চাপ দেব। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়ে লিন্ডা জানান, প্রস্তাবের সব বিষয়ে সম্মত না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভোট প্রদান করেনি। এ ছাড়া ওই প্রস্তাবে হামাসের নিন্দা প্রস্তাব অন্তর্ভুক্তি না থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেয়নি।’

এদিকে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হওয়া ৪ ইউরোপীয় দেশকে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে তা সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার শামিল হবে বলে মত তার।

এর আগে, শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ঘোষিত রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির প্রথম পদক্ষেপ নিতে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়ার সঙ্গে একমত হয় স্পেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

বিষয়:

ন্যূনতম বেতন ৪০ শতাংশ বাড়াল শ্রীলঙ্কা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশজুড়ে ন্যূনতম মাসভিত্তিক বেতন ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভা এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী বান্দুলা গুনাবর্ধনে। এতদিন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ন্যূনতম মাসভিত্তিক বেতন ছিল ১২ হাজার ৫০০ রুপি। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর এখন তা বেড়ে হলো ১৭ হাজার ৫০০ রুপি।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা আশা করছি, শিগগিরই দৈনিক মজুরিও আমরা বাড়াতে পারব।’

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি, দুর্নীতি ও আর্থিক অব্যবস্থাপনার জেরে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সংকটের একপর্যায়ে ২০২২ সালের মার্চে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার সরকার।

এদিকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সেখানে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ যাবতীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যস্ফীতি শুরু হয়। ফলে একসময়ের উচ্চ-মধ্যম আয়ের এই দেশটিতে বাড়তে থাকে হতদরিদ্র লোকজনের সংখ্যা।

মহামারিপূর্ব সময়ের তুলনায় বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় সার্বিক জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। দেশটির মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ চরম দরিদ্র, যাদের মাসিক আয় ১৭ হাজার ৫৭২ রুপি। ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনর্গঠনে গত বছর শ্রীলঙ্কাকে ২৯০ কোটি ডলার জরুরি (বেইলআউট) ঋণ দিয়েছিল সরকার, সেই অর্থ দিয়েই ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। ইতোমধ্যে তাতে সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে দেশটিতে। এর আগ পর্যন্ত দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭০ শতাংশ।


জাহাজের ধাক্কায় যানবাহন নিয়ে ধসে গেছে সেতু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বালটিমোর শহরে অবস্থিত ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতু।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে সেতুটিতে একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগে। এতে সেতুটিতে থাকা অনেক গাড়ি পানিতে পড়ে যায়। খবর আল জাজিরার।

এ বিষয়ে ম্যারিল্যান্ড ট্রান্সপোস্ট কর্তৃপক্ষ এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানিয়েছে, এ ঘটনার পর আই-৬৯৫ সেতুর উভয় দিক দিয়ে লেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ট্রাফিক সংযোগও।

বালটিমোর মেয়র জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং তারা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

বালটিমোর ফায়ার বিভাগের কমিউনিকেশন পরিচালক কেভিন কার্টরাইট রাত ৩টার দিকে বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা পানিতে নেমে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে সাতজন পানিতে তলিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে জরুরি নম্বরে কল আসে। এতে বলা হয় বালটিমোর সেতুতে বাণিজ্যিক জাহাজ ধাক্কা দেয়ায় এক কলাম ভেঙে সেতুটি ধসে পড়েছে। ওই সময় সেতুটিতে একাধিক যানবাহন ছিল।

কার্টরাইট বলেন, ‘আমরা এখন ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে কতজন মানুষ পানিতে পড়ে গেছে সে সম্পর্কে সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।’


সন্ত্রাসী হামলার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করল ফ্রান্স

ফ্রান্সে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্ট হলে শুক্রবারের (২২ মার্চ) ভয়াবহ বন্দুক ও বোমা হামলার পর এবার ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রোববার দেশটির জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখোর বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল এ তথ্য জানান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে গ্যাব্রিয়েল আতাল বলেন, মস্কোয় হামলার ঘটনায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দায় স্বীকার ও আমাদের দেশের ওপর হামলার হুমকি বিবেচনায় নিয়ে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার জন্য তিন স্তরের সতর্কতা ব্যবস্থা রয়েছে। সর্বোচ্চ স্তরটি দেশের অভ্যন্তরে বা বিদেশে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বা যখন কোনো হুমকি আসন্ন বলে মনে করা হয় তখন জারি করা হয়।

সর্বোচ্চ স্তরের সন্ত্রাসী সতর্কতা জারি করা হলে তার অধীনে ট্রেন স্টেশন, বিমানবন্দর ও ধর্মীয় স্থানের মতো জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোতে সশস্ত্র বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের পাশাপাশি নানা ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে থাকে ফ্রান্স সরকার।

এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মস্কোর ক্রোকাস সিটি কনসার্ট হলে হামলা চালায় একদল বন্দুকধারী। তারা প্রথমে কনসার্ট হলের নিরাপত্তারক্ষীদের হত্যা করে, এরপর দর্শনার্থীদের ওপর গুলি চালায় ও তারপরে ভবনটিতে আগুন দিতে শুরু করে, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ওই হামলায় অন্তত ১৪০ জন নিহত হন ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। নিহতদের মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে ও এখন পর্যন্ত মোট ৬২টি মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। গত দুই দশকের মধ্যে রাশিয়ায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই এ হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যদিও এই হামলার সঙ্গে ইউক্রেন জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কিয়েভ।


ফিলিপাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাম্প বোঝাই একটি ট্রাক ও একটি যাত্রীবাহী ভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির।

ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানা এর উত্তর কোটাবাটো প্রদেশের এন্টিপাস পৌরসভার প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা স্যামুয়েল লুমায়ন এএফপিকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতরভাবে আহত অনেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাকের ব্রেক কাজ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।


পাপুয়া নিউ গিনিতে ভূমিকম্পে ৫ নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বন্যা-কবলিত পাপুয়া নিউ গিনির উত্তরাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানায় কমপক্ষে পাঁচ জনের প্রাণহানি ও আনুমানিক ১ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। খবর এএফপির।

কর্মকর্তারা সোমবার বলেছেন, দুর্যোগ কর্মীরা এই অঞ্চলে তাদের সহায়তায় আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জরুরি উদ্ধারকর্মীরা এখনও কম্পনের ফলে প্রদেশের বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রভাব মূল্যায়ন করছে উল্লেখ করে পূর্ব সেপিকের গভর্ণর অ্যালান বার্ড বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।’

রোববার ভোরে দেশটির সেপিক নদীর তীরে অবস্থিত কয়েক ডজন গ্রামে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইতোমধ্যে গ্রামবাসী বড় বন্যার সাথে লড়াই করছে।

প্রাদেশিক পুলিশ কমান্ডার ক্রিস্টোফার তামারি এএফপিকে বলেন, কর্তৃপক্ষ ৫ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করেছে তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভূমিকম্পের পরে তোলা ছবিগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত আশপাশের কাঠের বাড়িগুলোকে বন্যার পানিতে ভেসে যেতে দেখা গেছে।


রোজার প্রথম ১০ দিনে মসজিদে নববি পরিদর্শনে ১ কোটির বেশি মুসল্লি

সৌদি আরবের পবিত্র নগরীতে অবস্থিত মসজিদে নববি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পবিত্র নগরী মদিনায় বেড়েছে মুসল্লিদের সমাগম। গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মসজিদে নববির রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ বলেছে, রমজানের প্রথম ১০ দিনে ১ কোটিরও বেশি দর্শনার্থী ভিড় করেছেন মসজিদে নববিতে। দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

মক্কায় মুসলিম উম্মাহর পবিত্রতম স্থান গ্র্যান্ড মসজিদে ওমরাহ বা অন্য পবিত্র স্থানের উদ্দেশে যাত্রার পর অনেক মুসল্লিই প্রার্থনা এবং আল রাওদা আল শরিফা দেখার জন্য মসজিদে নববিতে ছুটে যান। সেখানে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর রওজা শরিফ।

দর্শনার্থীদের জন্য মানসম্পন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে এই মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তাদের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, রমজানের প্রথম ১০ দিনে মোট ৯৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৪ জন প্রার্থনাকারী ও দর্শনার্থীকে স্বাগত জানান হয়েছে মসজিদে নববিতে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০২ জন নবীজির (সা.) রওজা শরিফ পরিদর্শন করেছেন।

নিজেদের সাংগঠনিক পদ্ধতিতে মসৃণভাবে ভিড় ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পুরুষ ও নারীদের উভয়ের জন্য পরিদর্শনের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তারা আরও জানিয়েছে, ২৬ হাজার ৯১০ জন বয়স্ক ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী গত সপ্তাহে মসজিদ কর্তৃপক্ষের দেওয়া পরিষেবাগুলো থেকে উপকৃত হয়েছেন। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন নির্দেশিকাবিষয়ক পরিষেবাগুলো ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে উপকৃত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৩ জন।

এসবের সঙ্গে জমজমের পানির ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮০০টি বোতল সরবরাহ করা হয়েছে। রোজাদারদের জন্য মনোনীত মসজিদের করিডরে ২৯ লাখ ৮ হাজার ৫৩০টি ইফতারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।

বিষয়:

banner close