বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভারতে ভয়াবহ যত ট্রেন দুর্ঘটনা

উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়ে গেছে। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
৩ জুন, ২০২৩ ১৮:২৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩ জুন, ২০২৩ ১৮:২৫

ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে ভারত। গত শুক্রবার উড়িষ্যায় ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬১ জন নিহত এবং ৯০০ জনের মতো মানুষ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আহতদের মধ্যে গুরুতর অনেকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির সরকারি কর্মকর্তারা।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের রেল ব্যবস্থাপনার সুখ্যাতি থাকলেও দেশটিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনার সংখ্যাও কম নয়। অতীতের একাধিক ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে গত শুক্রবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি।

৬ জুন, ১৯৮১: সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে বিহার রাজ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বাগমতি সেতু পার হওয়ার সময় ভিড়েঠাসা একটি ট্রেনের পেছন দিকের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে যায়। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ৮০০ মানুষ।

৮ জুলাই, ১৯৮৮: একটি এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দক্ষিণ ভারতের কুইলনের কাছে বর্ষায় পানি উপচে পড়া একটি হ্রদে ডুবে যায়। ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ১০৬ জন নিহত হন।

২০ অগাস্ট, ১৯৯৫: দিল্লির ২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা কালিন্দি এক্সপ্রেস ট্রেনকে ধাক্কা দেয় পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ট্রেন। সে সময় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে সাড়ে ৩শ মানুষের মৃত্যু হয়।

২৬ নভেম্বর ১৯৯৮: পাঞ্জাবের খান্না এলাকায় গোল্ডেন টেম্পল মেইল ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ অবস্থায় পেছন থেকে এসে ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয় জম্মু তাবি–শিয়ালদহ এক্সপ্রেস ট্রেন। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২১২ জন।

২ অগাস্ট, ১৯৯৯: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের গাইসালে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রহ্মপুত্র মেইল ট্রেনে সজোর ধাক্কা দেয় অবধ আসাম এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে ২৮৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন ৩ শতাধিক মানুষ। হতাহতদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য।

২৯ অক্টোবর, ২০০৫: দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশে ভেলুগোন্দার কাছে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত ১০২ জনের।

১০ জুলাই, ২০১১: ভারতের ফতেহপুরে একটি মেইল ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৭০ জন মারা যায়, আহত হয় তিনশর বেশি মানুষ।

২০ নভেম্বর, ২০১৬: উত্তর প্রদেশে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয় ১৪৬ জন নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয় দুইশর বেশি মানুষ।

২১ জানুয়ারি, ২০১৭: অন্ধ্র প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে ৪১ জন নিহত হন।

১৯ অক্টোবর, ২০১৮: পাঞ্জাবের অমৃতসরে দশেরা উৎসব উপলক্ষে রেললাইনের ওপর জড়ো হওয়া কয়েকশ’ মানুষের ওপর দিয়ে একটি কমিউটার ট্রেন চলে গেলে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়,আহত হন আরও ৫৭ জন মানুষ।

বিষয়:

আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা, এখনো অ্যাটক কারাগারে ইমরান

ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখনো পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারেই বন্দি রয়েছেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাখার নির্দেশনা দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করেনি অ্যাটক কারা কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, গত আগস্টে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান। সম্প্রতি ইমরানকে রাওয়ালপিন্ডির কারাগারে হস্তান্তর করার এক আবেদনের শুনানিকালে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক দেখতে পান, পাকিস্তানের রাজধানীর আদালতগুলোয় বিচারাধীন সব মামলার আসামিদের আদিয়ালায় রাখা হয়। কিন্তু ইমরানকে অ্যাটকে রাখা হয়েছে। তিনি ইমরানকে দ্রুত আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের আদেশ দেন।

ইমরানের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, তোষাখানা মামলায় ইমরানের দণ্ড স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট । এখন ইমরান ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতের অধীনে সাইফার মামলায় বিচারাধীন, ফেডারেল অঞ্চলের বিচারাধীন হিসেবে ইমরানকে অবশ্যই আদিয়ালা কারাগারে রাখা উচিত।

এদিকে অ্যাটক কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়নি, তিনি এখনো তাদের হেফাজতেই আছেন। ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়নি মূলত দুটি কারণে- নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং লিখিত আদেশ না পৌঁছানো। বিচারপতি ফারুখ ফেডারেল জুডিশিয়াল একাডেমিতে অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে লিখিত আদেশ দেননি। ওই লিখিত আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত অ্যাটক কারাগার কর্তৃপক্ষ ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠাতে পারবে না।

বিষয়:

কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখদের বিক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে গত সোমবার কানাডায় ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের বাইরে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি পদদলিত করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নিজ্জর। তিনি ছিলেন খালিস্তানপন্থি সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’ বা কেটিএফের প্রধান। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের যোগসূত্র থাকতে পারে এমন অভিযোগ তুলেছে কানাডা সরকার। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জানান, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

রয়টার্স জানায়, কানাডার টরন্টোতে গত সোমবার প্রায় ১০০ শিখ বিক্ষোভকারী একটি ভারতীয় পতাকা পোড়ান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি কার্ডবোর্ডের প্রতিকৃতিতে আঘাত করেন। এ ছাড়া ২০০ বিক্ষোভকারী ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হন। অন্যদিকে রাজধানীর অটোয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনারের (দূতাবাস) সামনে ১০০ জনেরও কম লোক জড়ো হন। তারা ওই সময় ‘খালিস্তান’ চিহ্নিত হলুদ পতাকা উড়ান, যা ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলকে শিখদের জন্য একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত করার জন্য তাদের সমর্থনকে নির্দেশ করে।

অটোয়ায় বিক্ষোভকারী রেশমা সিং বলিনাস বলেন, ‘আমরা জাস্টিন ট্রুডোর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে কানাডার উচিত ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’

কানাডায় প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ বসবাস করেন। তাদের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবের বাইরে অন্য কোনো অঞ্চলে বসবাস করা এটিই শিখদের সর্বোচ্চ জনসংখ্যা। এদিকে শিখ নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে কানাডায় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ স্থগিত করেছে।

এদিকে ভারতে বসবাসকারী কানাডার নাগরিকদের সতর্ক করেছে ট্রুডো সরকার। প্রবাসী কানাডীয়দের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে একটি বিবৃতি জারি করে কানাডা সরকার। সেখানে নিজ দেশের নাগরিকদের ভারতে সাবধানে এবং সব সময় সতর্ক থাকতে বলেছে কানাডা সরকার।


আটলান্টিকের মধ্যে প্রাচীন দুর্গ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আজ থেকে ঠিক এক হাজার বছর আগে আটলান্টিক মহাসাগরে ফ্রান্সের উপকূলীয় এক দ্বীপে এক অ্যাবে বা ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা এখন ফ্রান্সের জাতীয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। স্থানটি এখন ফ্রান্সের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। মঁ স্যাঁ মিশেল দ্বীপের এ মধ্যযুগীয় অ্যাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ফরাসি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি এখন ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।

‘পশ্চিমা বিশ্বের বিস্ময়’ হিসেবে ডাকা হয় এ স্থাপনাটিকে। এর ইতিহাসের সূচনা হয়েছিল ৭০৯ সালে আর্চঅ্যাঞ্জেলে মাইকেলের সম্মানে একটি চার্চ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের মধ্য দিয়ে। পরে এটি একটি পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং একাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত বিকশিত হতে থাকে। চতুর্থ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত ‘১০০ বছরের যুদ্ধে’ এটি দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। প্রায় ৩০ বছর এটি ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অষ্টাদশ শতকে ফরাসি বিপ্লবের সময় এটিকে কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

আন ল্য পাজ ৯ বছর ধরে মঁ স্যাঁ মিশেল অ্যাবের গাইডের কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘এর একটি অংশ খুব সুন্দরভাবে এক ফ্লাইয়িং বাট্রেসের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে, যা আসলে ঘোরানো সিঁড়ি। অনেকটা গ্র্যানাইটের মধ্যে লেসের কাজের মতো। মনে রাখতে হবে, সেই মধ্যযুগেই এটা তৈরি হয়েছে।’ আজ যেখানে পর্যটকরা ছবি তুলতে ভিড় করেন, হাজার বছর আগে সেখানে বেনিডিক্টাইন সন্ন্যাসীরা বাস করতেন। মধ্যযুগেই হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এই অ্যাব দর্শন করতে আসতেন। এখনো বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসী এখানে থাকেন এবং প্রার্থনা করেন। ফরাসি সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার আওতায় এই সৌধে তাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।

ফরাসি বিপ্লব থেকে শুরু করে ১৮৬৩ সাল পর্যন্ত সময়ে গোটা অ্যাবেটা কারাগার হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছে। আন ল্য পাজ বলেন, ‘সম্ভবত অনেক ঘণ্টা বা অনেক দিন ধরে থাকা বন্দিরাই খোদাই করে কিছু লিখেছে। কয়েকজন বন্দি তাদের কয়েক বছরের কষ্টের কথা বিভিন্ন জায়গায় লিখেছে। অনেক শতাব্দী ধরে এ মঠ দ্বীপে যা ঘটেছে, তার অনেকটাই এখনো অজানা। গবেষণা চালিয়েও হয়তো অনেক তথ্য কখনোই জানা যাবে না। তাই মঁ স্যাঁ মিশেলকে ঘিরে আজও অনেক অনুমান ও কল্পনা দানা বাঁধছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে


ইটালির ‘মাফিয়া বস’ মেসিনার মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

৩০ বছর পালিয়ে থাকার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ইটালির ‘মাফিয়া বস’ মাত্তিও মেসিনা দেনারো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে সোমবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ইটালি দক্ষিণের সিসিলি দ্বীপের এ মাফিয়া নেতা।

কয়েক দশক ধরে ইটালির মাফিয়া জগতে আধিপত্য বিস্তার করা মেসিনোকে আইনজীবীরা অবশ্য পশ্চিম সিসিলির কোসা নস্ত্রা মাফিয়া দলের প্রধান হিসেবেই বর্ণনা করছেন।

খুব অল্প বয়স থেকে মাফিয়া দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মেসিনা দেনারো। একবার নাকি তিনি বলেছিলেন যে, তার হাতে নিহত ব্যক্তিদের দিয়ে একটি কবরস্থান ভরে ফেলা যাবে। বছরের পর বছর ধরে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলেও এই ‘মাফিয়া বস’ ছিলেন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার উল্লেখযোগ্য অপরাধ কর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৯২ সালে মাফিয়াবিরোধী আইনজীবী গিওভানি ফালকোনে এবং পাওলো বোরসিলেনাকে হত্যা। ওই হত্যাকাণ্ডের পর সিসিলিয়ান মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ।

১৯৯৩ সালে ইটালির মিলান এবং ফ্লোরেন্সে বোমা হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এই মাফিয়া বস। সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১০ জন। গিওসেপ্পে দি মাত্তেও নামে ১২ বছরের এক শিশুকে অপহরণও করেছিলেন মেসিনো। ওই শিশুর বাবা যেন মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আদালতে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ না করেন সে জন্য তাকে অপহরণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে হত্যা করে মেসিনোর মাফিয়া বাহিনী।


চীনে কয়লা খনিতে আগুনে ১৬ জনের প্রাণহানি

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝু প্রদেশে গত রোববার একটি কয়লা খনিতে ভয়াবহ আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

গত রোববার রাতে প্যানঝু নগর সরকারের ওয়েবসাইট পোস্টে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে শানজিয়াওশু কয়লা খনিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, কনভেয়ার বেল্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ১৬ জন আটকা পড়ে। তবে এতে সম্পদের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বা কীভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরুরি কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কয়লা খনিটির তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। ঘটনার পর প্রাথমিক যাচাইয়ে ১৬ জনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

প্যানঝু নগর খনিটি রাজধানী বেইজিং থেকে প্রায় ৩,৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর চীনে ১৬৮টি দুর্ঘটনায় ২৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গত মাসে চীনের উত্তর শানজি প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে এক বিস্ফোরণে ১১ জন নিহত হয়।

বিষয়:

থাইল্যান্ডে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ছদ্মবেশে ৭ বাংলাদেশি আটক

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ছদ্মবেশ নেয় ৭ বাংলাদেশি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। দেশটির সোংখলা ইমিগ্রেশন ও হাট ইয়াই পর্যটন পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

রোববার দেশটির থাইগার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশ ধরা ৭ বাংলাদেশি মাথার চুল কেটে ফেলেন, যেন তাদের প্রকৃত পরিচয় ধরা না পড়ে। স্থানীয় লোকজন এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশে যেতে তারা এ কৌশল নিয়েছিলেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ৪৬ বছর বয়সী রূপদা। তাদের গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া।

পাতায়া নিউজের খবরে জানা গেছে, দলটি বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের তাক প্রদেশে হয়ে অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করে। তাদের বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগ এনেছে কর্তৃপক্ষ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৭ জনকে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


‘সময়ের প্রয়োজনে একা’ ট্রুডো

জাস্টিন ট্রুডো। সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শিখ সম্প্রদায়ের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুকে ঘিরে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জেরে এক সময়ের বন্ধু দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্কে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে। এই ঘটনার জেরে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক বহিষ্কার, ভ্রমণে সতর্কতা জারি, এমনকি ভারত ভ্রমণে ইচ্ছুক কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। তবে দুই দেশের এই টানাপোড়েনে কানাডার পাশে কার্যত অন্য কোনো দেশকে প্রকাশে অবস্থান নিয়ে দেখা যায়নি। বিবিসি গত কাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তখন তার মুখের হাসি মলিন ক্রমে হতে শুরু করে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্নের প্রায় সবই ছিল ভারতের বিরুদ্ধে তোলা ট্রুডোর অভিযোগের বিষয়ে।

গত সপ্তাহে ট্রুডো অভিযোগ করেন, কানাডার মাটিতে দেশটির নাগরিক হরদীপ সিংয়ের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে কানাডা। হরদীপ সিং একজন শিখ অধিকার রক্ষাকর্মী যাকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে ভারত।

ভারত সরকার কানাডার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সতর্কভাবে ট্রুডো বলেন, ‘আমরা কাউকে উসকানি দিতে চাই না বা কোনো সমস্যা তৈরি করতে চাই না। আমরা আইনের শাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।’

কয়েকজন সাংবাদিক তখন প্রশ্ন করেন যে, কানাডার মিত্ররা কোথায়? ট্রুডোকে উদ্দেশ্য করে একজন সাংবাদিক মন্তব্য করেন, ‘প্রয়োজনের সময়ে আপনাকে একা মনে হচ্ছে।’

বিবিসি জানায়, সাদা চোখে অন্তত এখনো পর্যন্ত এটাই মনে হচ্ছে যে, ভারতের সাথে মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার সময় ট্রুডোকে পুরোপুরি একাই দাঁড়াতে হয়েছে।

ভারত বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ, জনসংখ্যার দিক থেকে যা কানাডার তুলনায় ৩৫ গুণ বড়।

যেদিন ট্রুডো কানাডার হাউজ অব কমন্সে ওই বিস্ফোরক ঘোষণা দেন, সেদিন থেকে দেশটির প্রধান মিত্রদের কাউকেই শক্ত গলায় সহায়তার আশ্বাস নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।

কানাডা প্রধান মিত্র দেশগুলো, যাদের সাথে দেশটি নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করে, তাদের একসাথে ফাইভ আইস ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্স বলা হয়। কানাডা ছাড়া এর অন্য সদস্যরা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার এই দেশগুলো অনেকটা দায়সারা গোছের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে, কেউই ট্রুডোর পাশে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়ায়নি।

কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মিত্ররা?

অস্ট্রেলিয়ার বলেছে, তারা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।

অস্ট্রেলিয়ার মতোই অনেকটা একই ধরনের শব্দ বেছে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি বলেন, তার দেশ ‘কানাডা যা বলছে তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।’

সবচেয়ে নীরব প্রতিক্রিয়া এসেছে কানাডার প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। এই দুটি দেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পক্ষে ক্ষোভ দেখিয়ে কথা বলেনি।

চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ভারতের প্রসঙ্গ টানেন, তখন তিনি ভারতের প্রতি নিন্দা জানাননি। বরং নতুন অর্থনৈতিক পথ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য দেশটির প্রশংসা করেন।

বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কোনো ‘প্রতিবন্ধকতা’ নেই। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কানাডার সাথে নিবিড়ভাবে আলাপ করা হচ্ছে; কিন্তু জনসমক্ষে প্রকাশিত অন্যান্য বিবৃতিতেও তেমন উত্তাপ ছিল না। দুই দেশের মধ্যকার চলমান বিরোধকে ‘গভীর উদ্বেগের’ বিষয় বলার সাথে সাথে ছিল পশ্চিমা দেশগুলোয় ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টাও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ট্রুডোর জন্য সমস্যা হচ্ছে ভারতের ব্যাপক কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ কিছুটা মলিন হয়ে গেছে।

উইলসন সেন্টারের কানাডা ইন্সটিটিউটের গবেষক জেভিয়ার ডেলগ্যাডো বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্য পশ্চিমা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক মিত্ররা চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা ও পাল্টা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যে কৌশল ঠিক করেছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারত নির্ভর। সেটা এই মুহূর্তে চাইলেই তারা একেবারে বাদ দিতে পারবে না। মিত্ররা যে কানাডার প্রতিরক্ষায় দ্রুত এগিয়ে আসেনি, সেটা আসলে ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় সবার অবস্থানের ইঙ্গিত।’

কানাডার টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কানাডায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড কোহেন নিশ্চিত করে বলেছেন যে, ফাইভ আইস ভুক্ত দেশগুলো এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করেছে।

এই মিত্র দেশগুলোই জনসমক্ষে হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাতে কানাডার আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে যে প্রতিবেদন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গোপন কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চান না।’ তবে এ ঘটনা বিশ্বমঞ্চে কানাডার দুর্বল অবস্থানেরও ইঙ্গিতও দেয়, যে পশ্চিমাদের নির্ভরযোগ্য এক মিত্র; কিন্তু যে নিজ গুণে পরাশক্তি নয়।


বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ দেশ মিয়ানমার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ দেশ এখন মিয়ানমার। বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা নির্ধারণ বিষয়ে নতুন একটি গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি নামের একটি সংস্থা।

বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ ৫০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক সংস্থাটি। এ তালিকায় পরের চারটি চরম সংঘাতপ্রবণ দেশ হচ্ছে যথাক্রমে সিরিয়া, মেক্সিকো, ইউক্রেন এবং নাইজেরিয়া।

তালিকায় আছে বাংলাদেশের নামও। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকেও বাংলাদেশের পাশাপাশি ‘উচ্চমাত্রার সংঘাতপ্রবণ’ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান ১৩, ভারত ১৬ ও পাকিস্তান আছে তালিকার ১৯ নম্বরে। তবে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২২ নম্বরে।

গণতন্ত্রের নামে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাধারণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের নতুন ভিসা নীতিতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার ঘোষণা দেয়া যুক্তরাষ্ট্রও আছে সংঘাতপ্রবণ শীর্ষ ৫০ দেশের তালিকায়। আছে ইউক্রেনে আগ্রাসন সৃষ্টিকারী রাশিয়ার নামও।

এসিএলইডি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যভিত্তিক একটি উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও তালিকা প্রণয়নবিষয়ক অলাভজনক সংস্থা। এ তালিকা প্রকাশে আগে বিশ্বের ২৪০টির বেশি দেশ এবং অঞ্চল থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি।

এসিএলইডি জানায়, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত মোট ১২ মাসে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি ঘটনা তালিকাভুক্ত করে। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।

প্রসঙ্গত, গত এক বছরে সংগৃহীত উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি দেশ ও অঞ্চলকে চারটি নির্দেশকের মাত্রার ভিত্তিতে সংঘাত সূচকে ক্রমঅনুসারে তালিকাভুক্ত করে এসিএলইডি। এই নির্দেশকগুলো হলো মৃত্যু-আশঙ্কার তীব্রতা, বেসামরিক ব্যক্তিদের জন্য বিপদের মাত্রা, ভৌগোলিক বিস্তৃতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা ও বিভক্তি।

গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেশিরভাগ দেশই কমপক্ষে একটি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। তবে অনেক বেশি সংঘাতের তালিকায় রয়েছে শীর্ষ ৫০টি দেশ। এসব দেশকে উচ্চমাত্রার সংঘাতের কারণে ‘চরম’, ‘উচ্চ’, বা ‘অশান্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে মিয়ানমারে। এ পরিস্থিতি নিয়ে দেশটি ‘চরম’ পর্যায়ভুক্ত হয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গাদের ওপরে নৃশংস নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের দেশ ছাড়া করার পর এখনো দেশটির অভ্যন্তরে আঞ্চলিক সন্ত্রাস ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও জান্তা শাসনের কারণে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা অং সান সুচি এখনো অন্তরীণ। ফলে রাজনৈতিক হানাহানি দেশটিতে লেগেই রয়েছে।

চরম সংঘাতময় পরিস্থিতির অপর দেশগুলো হচ্ছে ইউক্রেন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, ব্রাজিল, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, নাইজেরিয়া ও মেক্সিকো।

‘উচ্চমাত্রা’র সংঘাতপ্রবণ দেশ হিসেবে তালিকায় রাখা হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, ক্যামেরুন, নাইজার, মালি, ভেনেজুয়েলা, হন্ডুরাস, গুয়েতেমালা, হাইতিসহ কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রকে।

‘অশান্ত’ দেশের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, লিবিয়া, ঘানা, শাদ, তুরস্ক, ইরান, দক্ষিণ আফ্রিকা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেমিয়া, মোজাম্বিক, ইকুয়েডরসহ আরো কিছু রাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের নাম এ তালিকায় আসার অন্যতম কারণ দায়ী করা হয় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সহিংসতা এবং উগ্র ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান বিস্তারকে। আর ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে দেশের ভেতরে নানা ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা, প্রতিবাদ, ভাড়াটে যোদ্ধাদের আগ্রাসন ইত্যাদি রাশিয়াকে তালিকায় টেনে এনেছে।

এসিএলইডির যোগাযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোনস বলেন, এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রমাণ করে, রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র বা অগণতান্ত্রিক দেশেগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়।

তিনি আরো বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিভাজন; বিশেষ করে, এই দুটি সূচকের অবনতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এ তালিকায় এসেছে।


দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমায় চীনের ভাসমান বেড়া

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় ভাসমান বেড়া বসিয়েছে চীন। গতকাল রোববার এ অভিযোগ তুলে ফিলিপাইন বলেছে, সাগরে ফিলিপাইনের জেলেদের প্রবেশ ও মাছ ধরা ঠেকাতেই চীন এমন কাণ্ড করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দক্ষিণ চীন সাগরের স্কারবোয়াফ শোয়াল নামের এলাকার একটি অংশে বসানো হয়েছে এই ভাসমান বেড়া। ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘এক্স’ এ তথ্য জানান। মুখপাত্র জানান, শোয়াল দ্বীপ এলাকার জলসীমায় প্রায় ৩০০ মাইল দীর্ঘ ভাসমান বেড়া বসানো হয়েছে। বেড়ার কারণে ফিলিপাইনের জেলেরা মাছ ধরার জন্য সেখানে যেতে পারছেন না। ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড এবং মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদবিষয়ক ব্যুরো চীনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুসারে স্কারবোয়াফ শোয়াল কোনোভাবেই চীনের সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না দাবি করে ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র অধিকার ও মেরিটাইম ডোমেইন রক্ষার স্বার্থে এই ইস্যুতে ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য দেশের সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

রয়টার্স জানায়, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় চীনের দূতাবাস সাগরে ভাসমান বেড়া তৈরি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরে প্রায় একক মালিকানা দাবি করে চীন। সাগরের সীমানা নিয়ে চীনের সঙ্গে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, জাপান, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের দীর্ঘ সময় ধরে বিরোধ রয়েছে। এ সব দেশও দক্ষিণ চীন সাগরে সীমানা নিয়ে পাল্টা দাবি করছে। সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিংয়ের নতুন মানচিত্র ঘিরে এ সব সাগরপাড়ের দেশগুলো আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কারণ মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- সার্বভৌম, এক্সক্লুসিভ এবং ইকোনমিক- তিনপর্যায়ে সাগরটির প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিজেদের বলে দাবি করেছে চীন। ২০১২ সালে স্কারবোয়াফ শোয়াল দ্বীপটি দখল করে নেয় চীন। তারা সেখানকার জলসীমা থেকে ফিলিপাইনের জেলেদের তাড়িয়ে দেয়। তবে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের আমলে ম্যানিলা-বেইজিং সম্পর্ক কিছুটা ‍উন্নয়ন হয়। দুতার্তের আমলে ফিলিপাইনের জেলেদের শোয়ালের জলসীমায় প্রবেশের অনুমতি দেয় চীন। কিন্তু গত বছর দুতার্তের উত্তরসূরি হিসেবে ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ধারাবাহিক অবনতি ঘটেছে।

বিষয়:

বেনিনে তেলের ডিপোতে আগুন ৩৫ জনের মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনের একটি তেলের ডিপোতে বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে গেলে অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নাইজেরিয়া সীমান্তবর্তী বেনিনের শহর সেমেপোজির একটি তেলের ডিপোতে গত শনিবার এই অগ্নিকাণ্ড হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সেমেপোজি শহরে তেলের ডিপোটিতে অবৈধভাবে পাচার হয়ে আসা জ্বালানি তেল সংরক্ষণ করা হতো। ডিপো থেকে তেল নিতে সেখানে সারাক্ষণই গাড়ি, মোটরসাইকেলের ভিড় লেগে থাকত। আগুন লাগার পর ওই এলাকার পুরো আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বলে স্থানীয় কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। স্থানীয় কৌঁসুলি আবদুবাকি আদম-বোংলে আগুনে তেলের ডিপোটি পুড়ে গেছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এক শিশুসহ ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি জানান, খুব সম্ভবত যানবাহনে পেট্রোল ঢালার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। তিনি আরো জানান, ১২ জনেরও বেশি ব্যক্তি দগ্ধ হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দুর্ঘটনার একটি ভিডিওফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, একটি বাজারের ওপরে আকাশ কালো ধোঁয়া ও আগুনের শিখায় ছেয়ে গেছে। নিরাপদ দূরত্বে থেকে আতঙ্কিত কিছু মানুষ এই দৃশ্য দেখছেন।

বেনিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসান সেইদৌউ বলেন, ‘অবৈধভাবে পাচার হয়ে আসা তেল এই বিস্ফোরণের কারণ।’ তিনি জানান, মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে।

নাইজেরিয়া-বেনিন সীমান্তে তেল চোরাকারবার খুবই সাধারণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। নাইজেরিয়া এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে বেশকিছু অবৈধ তেল পরিশোধনাগার, তেলের ডিপো ও পাইপলাইন তৈরি হয়েছে, যা প্রায়ই আগুনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বেনিনের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।


নাগারনো-কারাবাখ ছাড়ছেন আর্মেনীয় বাসিন্দারা

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়েছে জাতিগত আর্মেনীয় বাসিন্দাদের একটি দল। রোববার তারা আর্মেনিয়ার মূল ভূখণ্ডে যেতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে একটি কেন্দ্রে নাম নিবন্ধন করেন। ছবি : এএফপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণাধীন নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল ছাড়তে শুরু করেছেন জাতিগত আর্মেনীয় বাসিন্দারা। তারা আর্মেনিয়ার মূল ভূখণ্ডে চলে যাবেন।

বিবিসি জানায়, নাগারনো-কারবাখে এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বাসিন্দা বাস করেন। গত সপ্তাহের লড়াইয়ে আজারবাইজানের কাছে পরাজয় মেনে নিয়েছে কারাবাখ কর্তৃপক্ষ। তবে আর্মেনীয় বাসিন্দারা আজারবাইজানের অংশ হিসেবে ওই অঞ্চলে বাস করতে চান না। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নাগোরনো কারাবাখের আর্মেনীয় বাসিন্দাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তবে এলাকাটি দখলে রেখেছিল আর্মেনিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে দুটি যুদ্ধ হয়। ২০২০ সালে ছয় সপ্তাহের লড়াইয়ে অঞ্চলটিতে উভয় পক্ষের বহু মানুষ হতাহত হন। গত ৯ মাস ধরে আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ কারাবাখ-আর্মেনিয়ার মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক লাচিন করিডোর অবরুদ্ধ করে রাখে। গত সপ্তাহে জাতিগত আর্মেনিয় অধ্যুষিত এই অঞ্চলটিতে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান চালায় আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় বির্তকিত অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে জাতিগত আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ।

আজারবাইজান জানিয়েছে, তারা জাতিগত আর্মেনীয়দের অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে এবং এই অঞ্চলকে একীভূত করবে। কিন্তু আর্মেনীয়রা জানিয়েছে, তারা দমন-পীড়নের আশঙ্কা করছে। নাগোরনো কারাবাখ কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘আমাদের জনগণ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না। ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ আমাদের ঐতিহাসিক ভূমি ছেড়ে চলে যাওয়াটা বেছে নিয়েছে।

এদিকে কোনো রকম প্রতিরোধ ছাড়াই নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের সেনাদের কাছে পরাজয় মেনে নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর্মেনিয়ার জনতা। তারা আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনইয়ানের পদত্যাগের দাবি করে বিক্ষোভ করেন।


গাজায় ইসরায়েলের ড্রোন হামলা

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত শনিবার গাজা উপত্যকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের ইরেজ-ক্রসিং বন্ধের প্রতিবাদে সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের টানা বিক্ষোভ চলছে। এ অবস্থার মধ্যেই ইসরায়েলিবাহিনী গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে।

ইসরায়েলিবাহিনী বলেছে, যেখানে সহিংস দাঙ্গা চলছে তার সংলগ্ন এলাকায় হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্র হতাহতের কোনো উল্লেখ না করে বলেছে, গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে হামাসের নজরজারি এলাকায় ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা সীমান্ত বেড়ার কাছে অবস্থান নেয়া ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। এ সময়ে বিক্ষোভকারীরা টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সেনাদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সময়ে ইসরায়েলের গুলিতে তিনি আহত হয়েছে।

হামাস গ্রুপ ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজার আকাশ, স্থল ও সমুদ্র অবরোধ করে রেখেছে। এদিকে, ইরেজ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিকের ইসরায়েলে গিয়ে কাজ করার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। একে ইসরায়েলি এনজিও গিশা সামষ্টিক শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সীমান্তে সহিংসতায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১০০।

বিষয়:

শিখ নেতা হত্যা তদন্তে কানাডার সঙ্গে কাজ করবে ভারত

আপডেটেড ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:৪১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে নয়াদিল্লির এজেন্টদের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার তদন্তে ভারত সরকার কানাডার সঙ্গে কাজ করবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শিখ নেতা হত্যার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো যে অভিযোগগুলো তুলেছেন, সেগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ তদন্তে কানাডার সঙ্গে ভারতের কাজ করা জরুরি। আমরা জবাবদিহি দেখতে চাই। আমরা আমাদের কানাডিয়ান সহকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি। কেবল পরামর্শই নয়, এ বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয়ও করছি।’

এর আগে ট্রুডো দাবি করেছেন, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। এ ঘটনার পর নয়াদিল্লি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ট্রুডো বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাই। আশা করি তারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে, যাতে আমরা তদন্তের গভীরে যেতে পারি।’

কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, সে সম্পর্কে ট্রুডো কোনো তথ্য দেননি, তবে কানাডা সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যের ওপর আস্থা না থাকলে ট্রুডো প্রকাশ্যে কথা বলতেন না। শিখ নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের। গত ১৮ জুন কানাডায় খলিস্তানপন্থি আন্দোলনকারী শিখ নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। তিনি ছিলেন খালিস্তানপন্থি সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’ বা কেটিএফের প্রধান।


banner close